![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালী জাতির এক গৌরভগাঁথা অধ্যায়।বৈশাখ মাসের এই দিনে নানান উৎসবমূখর পরিবেশে ঘটা করে আমরা বরণ করে থাকি পহেলা বৈশাখকে।শুধু তাই না, এমন আনন্দের রেশ আমাদের দেশের সীমানা ফেরিয়ে কোলকাতা সহ ভারতবর্ষে ও বিদ্যমান।বাঙ্গালী ছাড়া অন্যান্য ভাষা-ভাষী যারা বাংলা ভাষাকে কিছুটা আয়ত্ব করে ভাঙ্গাভাঙ্গা বাংলা বলতে পারে প্রহেলা বৈশাখের দিনে তাদের আনন্দ উল্লাসের মাএাও যথেষ্ট লক্ষণীয়।অবশ্যই এটি একটি ভালো দিক।কিছু কিছু জিনিস আছে যা ভাগাভাগি করলে কমেনা,বরণ বাড়ে।ঠিক প্রহেলা বৈশাখ তেমনী এক মধুর মিলনমেলা যেখানে বিভিন্ন গোএ-ধর্ম-বর্ণের মানুষ এক সারিতে বসতে শিখে।দেশীয় সাংস্কৃতি শিক্ষাগ্রহনের জন্য প্রহেলা বৈশাখকে একটি বড় মৌসূম বলে আমি মনে করি। সাংস্কৃতি চর্চার এর চেয়ে বড় উপলক্ষ আর কিছুই হতে পারেনা।দূঃখের বিষয় হল আমাদের এমন মূল্যবান সাংস্কৃতি অতি উৎসাহী কতিপয় তরুণ-তরুণী এবং স্বার্থেন্বেষী মহলের কল্যানে অপসাংস্কৃতিতে পরিনত হতে যাচ্ছে।বাংলা বর্ণমালা সমৃদ্ব জামা-কাপড় আর মুখে স্বরবর্ণ-ব্যঞ্জনবর্ণ লিখে দিনভর ধলাধলি হৈহূল্লোড় কিংবা বিশেষ দিনকে টার্গেট করে প্রেমিক প্রেমিকার ভাব বিনিময়ের মাধ্যমে প্রহেলা বৈশাখের কিছুটা আমেজ সৃষ্টি করা গেলেও এটি বাঙ্গালী জাতীর আসল কৃষ্টিকালচারের বাস্তব বহিঃপ্রকাশ অন্তরালেই থেকে যাচ্ছে।হয়ত এজন্যই আমাদের হস্ত ও কুটির শিল্পের কদর দিনদিন হ্রাস পাচ্ছে।দেশীয় পণ্যের সমারোহ কিংবা বিভিন্ন নকশায় সজ্জিত পিঠাগুলো মেলার স্টলে সেভাবে শোভা পাচ্ছেনা।এদেশের মানুষের মনের মাধুরী মিশানো সেই গ্রাম্য মায়েদের হাতের আলপনাকৃত কাঁথা-চাটাই-চুটাই এর স্হান কেড়ে নিয়েছে ঝুরিঝুরি কৃএিম পণ্যের বদৌলতে।বাঙ্গালীর অতীত নিদর্শনাবলী অথবা প্রাচীন কারুকাজ সমুহ প্রদর্শন না করে অনুষ্ঠান বা মেলাগুলোতে ঢাকঢোল পিঠিয়ে নাচ-গান-যাএা আর বড় বড় জুয়ার আসর বসার মতো অপসাংস্কৃতির অবসান না হলে একদিন হয়ত বাঙ্গালীর অস্তৃত্ব খূঁজে পাওয়া দূষ্কর হয়ে যাবে।যাতে করে আমাদের দেশের ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ মিড়িয়াম স্কুলগুলোর আশাভরসা ষোলকলা পূর্ণ হলেও অবাক হওয়ার কিছুই থাকবেনা।
...............গোলাম রসুল রিপন, পরিচালক, ভোকেশনাল সার্ভে এণ্ড টেকনিক্যাল ইনষ্টিটিউট। ০১৭১২১৭৬০৫৪
©somewhere in net ltd.