![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সৌদি আরবের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো আছে বা আগের মত আছে তা বলা যাচ্ছেনা। স্থানীয় বাজারে তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ৯০% .. এরই ধারাবাহিকতায় অন্যান্য জিনিসপত্রের ও দাম বৃদ্ধি পাবে বা পেয়েছে কোন সন্দেহ নেই।
আবাসনের বাড়াও বৃদ্ধি পেয়েছে। যে সকল অভিবাসীরা সৌদির নামে নিজের ব্যবসা গড়েছেন, তা সৌদি আরবের আইনগত ভাবে অবৈধ। এখানে সকল ক্ষেত্রেই জেল জরিমানার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
যে অভিবাসীরা কফিল অর্থাৎ এস্পন্সরকে মাসিক বেতন দিয়ে ব্যবসা কিংবা বাহিরে অবৈধ ভাবে চাকুরী করেন তাদের ক্ষেত্রে কফিল কে আগের তুলনায় অনেক বেশী টাকা দিতে হয়। কারণ সৌদির নিজ কোম্পানির লাইসেন্স ঠিক রাখতে আগের তুলনায় অনেক বেশী টাকা খরচ করতে হয়, অর্থাৎ সরকারী কোষাগারে জমা করতে হয়, একই সাথে তাদের জীবন যাত্রার খরচ ও বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাস্তাঘাট অবকাঠামো নির্মাণে যে সব কন্ট্রাক্টিং কোম্পানী কাজ করে থাকে, অনেকেই সময় মত বেতন দিতে পারছেনা, অনেক কোম্পানী নিজেদেরকে গুটিয়ে নিচ্ছে।
এমন অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে উচ্চ মূল্যে অভিবাসী হয়ে সৌদি আরবে এসে নিজেদেরকে বিপদে ফেলছে বাংলাদেশী অভিবাসীরা। এইখানে বেকারত্বের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ফ্রী ভিসার নামে ১০ থেকে ১৩ লাখ টাকায় এসে মাথায় হাত রেখে চিন্তা করছেন কত দিনে এই টাকা আয় করবেন। এর মধ্যে কফিলকে দিতে হবে মাসিক ৩ থেকে ৫ শত রিয়াল কিংবা তারও বেশী। নিজের থাকা খাওয়া, ডিজিটাল যুগে মোবাইল, ইন্টারনেট খরচ,
দেশে পরিবারের খরচের টাকা!
এই মন্দা অবস্থায় কত বছরে আপনি আপনার আসল টাকা জমা করতে পারবেন দেশ থেকে আসার আগে ভেবে দেখেছেন কি?
অন্যদিকে কন্ট্রাক্ট ভিসার নামে বাংলাদেশ সরকারের বেধে দেয়া খরচের চেয়ে অবৈধ ভাবে প্রতিযোগিতা করে অধীক খরচ অর্থাৎ এক থেকে দেড় লাখের স্থলে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে সৌদি আরবে আসছে বাংলাদেশী অভিবাসীরা। যেখানে বেতন পাবে ৫/৬ শত রিয়াল মাত্র। একজন মানুষের খাওয়া টেলিফোন বিল সহ আনুষঙ্গিক খরচ এই টাকায় সম্পন্ন করা সম্ভব না।
ভিসা কিনতে দেয়া অর্থ ফেরত পেতে অনৈতিক কর্মকাণ্ড বা অপরাধের দিকে ঝুঁকে যাওয়া ছাড়া বিকল্প পথ থাকেনা।
নারী শ্রমিকদের আত্মচিৎকার সোস্যাল মিডিয়ার কল্যাণে হরহামেশাই দেখা যাচ্ছে, তারপরও বাংলাদেশ থেকে আসা বন্দ হচ্ছেনা!
সৌদি আরবের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা গত পাঁচ বছর আগের তুলনায় আগামী পাঁচ বছরে বিপরীত মেরুতে অবস্থান করার সম্ভাবনা খুব বেশী। তাই বাংলাদেশ সরকার, সৌদি আরবে অবস্থানরত প্রবাসী এবং সৌদি আরবে আসতে আগ্রহীদের সকলকে আগামীর প্রদক্ষেপ নিতে খুব সতর্কতার সাথে ভেবেচিন্তে নিতে হবে।
২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
লাখ লাখ বাংগালীকে বেতন দেবে না সৌদী মালিকেরা; মানুষ খালি হাতে ফিরে আসবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪১
পিচ্চি হুজুর বলেছেন: সৌদীর অবস্থা ভাল হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এই বছর ৯৮ বিলিওন ডলার এর বাজেট ঘাটতি, আবার সেই সাথে ইরানের সাথে তাদের সম্পর্ক ছেদ। ইরান অবশ্যই চাইবে তাদের তেল এর উৎপাদন বাড়িয়ে তেলের দাম আরও কমিয়ে দিতে। এই দামে দুই তিন বছর চললেই হয়। ওইদিকে সৌদি নিজের বণ্ড বেচা শুরু করছে। সেই সাথে রাজতন্ত্র টিকাইয়া রাখার যন্ত্রণা ত আছেই।