![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বাধীনতা উত্তরকালে সত্য, সুন্দর ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার দাবিতে নতুন প্রজন্মের ডাকে মানুষের এমন অহিংস ও দীর্ঘ সমাবেশ আর কেউ দেখেনি। এ এক অভূতপূর্ব ঘটনা। সবমিলে শাহবাগে হয়ে উঠেছে সব ধর্ম-বর্ণের মিলন ক্ষেত্র। দিন যত গড়াচ্ছে জনতার ঢল ততই বাড়ছে শাহবাগে। অহিংস সমাবেশে জনসমাগমের নতুন ইতিহাস গড়েছে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর তরুণদের আন্দোলন।
গুটি গুটি পায়ে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল শাহবাগকেন্দ্রিক শত তরুণের মাঝে, ১১তম দিনেও জাগরণ সমাবেশে ছিল লাখ লাখ জনতার ঢল। ছুটির দিন হওয়ায় শাহবাগ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয় ।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঘোষণার মাধ্যমে জাগরণ সমাবেশ শেষ হলেও আগ্রহের কমতি ছিলনা জনতার। তখনও চারদিক থেকে আসছিল জনতার খন্ড খন্ড মিছিল। তাদের কারো হাতে পতাকা। কারো হাতে কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবির ফেস্টুন। আবার কারো হাতে বিশাল আকারের কুশপুত্তলিকা। কারো হাতে প্ল্যাকার্ড।
গণজাগরণ চত্বরে শুক্রবার ছিল জাগরণ সমাবেশ। এর আগে চতুর্থ দিনে মহাসমাবেশ করা হয়। কোনটি সমাবেশ আর কোনটি মহাসমাবেশ তা আলাদা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এদিন শাহবাগ ছাড়িয়ে সমাবেশ ছড়িয়ে পড়ে, বাংলামোটর থেকে টিএসটি, আরেক দিকে মৎস্য ভবন থেকে বাটা সিগন্যাল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।জনতার উপচে পড়া স্রোত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা, জাতীয় গণগ্রন্থাগার, ছড়িয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি ছিল এই নজীর বিহীন সফল কর্মসূচি। এর আগে মঙ্গলবার ৩ মিনিট নিরবতা পালন কর্মসূচি ইতিহাস গড়তে সক্ষম হয়েছে। অনেকটা সেই গল্পের হ্যামিলনের বাঁশি ওয়ালার মতো। জাগরণ মঞ্চ থেকে যা ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে, মন্ত্র মুগ্ধের মতো তাই পালন করছে দেশবাসি।
শুক্রবার যখন ঘোষণা পাঠ করা হয় তখন পিন পতন নিরবতা চলছিল গণজাগরণ চত্বরে। সবাই যেন চাতক পাখির মতো চেয়েছিল কি ঘোষণা আসে তা দেখার জন্য।
একের পর এক অহিংস সফল কর্মসূচি বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে। যে জনতার দাবি নিয়ে কথা বলতে হলে নেতা হওয়ার প্রয়োজন নেই।
কোন রাজনৈতিক নেতার নেতৃত্ব নেই শাহবাগের এই তারুণ্য স্কয়ারে। স্বতস্ফূর্ত সমাবেশ থেকে তাই জনদাবিই প্রতিফলিত হচ্ছে বার বার। এই আন্দোলন মূলমন্ত্র হিসেবে একাত্তরকে ধারণ করায় হারিয়ে যাওয়া মুক্তিযুদ্ধের অর্জনগুলোর বিষয়েও সোচ্চার হয়েছে আন্দোলনকারীরা। আমরা চাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, এখন একমাত্র দাবি তাদের ফাঁসি।
গত ৫ই ফেব্রুয়ারি থেকে যুদ্ধাপরাধীদের ন্যায়সঙ্গত বিচার করার জন্য দাবি জানিয়ে তরুণগণ গন্তব্যে পৌঁছাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে। বাংলার ইতিহাসে এই প্রতিবাদ স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। মাতৃভাষার আন্দোলন, স্বাধীনতার আন্দোলন, বর্তমানে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি বন্ধে অপরাধীদের বিচারের রায় কঠোর না হলে তরুণদের প্রতিবাদ চলবেই।
২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:১৫
লতিফা লতা বলেছেন: আমরা চাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, এখন একমাত্র দাবি তাদের ফাঁসি।
৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:০৬
সেই রাধা বলেছেন: জনতার দাবি নিয়ে কথা বলতে হলে নেতা হওয়ার প্রয়োজন নেই
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:১১
ক্ষয়রোগ বলেছেন: অহিংস সমাবেশে জনসমাগমের নতুন ইতিহাস গড়েছে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর তরুণদের আন্দোলন।