নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অসময়ে অপেক্ষা

এই বেশ ভালো আছি

অনুপম জীবন

এই বেশ ভালো আছি

অনুপম জীবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

২টি ডাবল সেঞ্চুরী দেখার বিরল সৌভাগ্যের অপেক্ষা

১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৮



শ্রীলংকার গল টেস্টে স্বাগতিক দলে বিরুদ্ধে আমাদের আশরাফুল আর মুশফিকের দুর্দান্ত পারফর্মেন্সে দেশবাসী নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের সব ক্রিকেট প্রেমির মতো ২টি ডাবল সেঞ্চুরী দেখার বিরল সৌভাগ্যের অপেক্ষায় আছি আমিও।



আনন্দের বিষয় বাংলাদেশের ক্রিকেটের আশার ফুল আশরাফুলের ব্যাটে আবারও রান ভর করেছে। ১৮৯ রান করে দ্বিশতকেরও দোরগোড়ায় রয়েছেন সর্বকনিষ্ঠ এই টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান। তার সঙ্গী টাইগার লিডার মুশফিকও এ মুহূর্তে হয়ে উঠেছেন দুর্ধর্ষ। তৃতীয় দিন শেষে তার ব্যাট থেকে রান এসেছে ১৫২। আগের দিনের ধারাবাহিকতা আর ধৈর্য্য ধরে রাখতে পারলে নিশ্চয়ই বাংলাদেশের ক্রিকেটে এক ম্যাচের এক ইনিংসে দুটি ডবল সেঞ্চুরির অবিস্মরণীয় রেকর্ড যোগ হবে বলে আমার ধারণা।



তৃতীয় দিন সকালে আশরাফুল যখন ৬৫ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে অনেকের মতো আমারও মনে সন্দেহ ছিল আগের দিনের সেই আশরাফুলকে আজ দেখা যাবে কি না। কিন্তু সে সবার চিন্তাকে ভুল প্রমাণ করে জীবনের সেরা ইনিংসটি খেলেছেন আশরাফুল । শুধু তাই না, সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থাৎ উন্নত একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে হাজির টেস্ট জীবনে নিজের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি খেলেছেন তিনি। টেস্টে তার ভারতের বিরুদ্ধে ১৫৮ (অপ:) এবং লঙ্কার বিরুদ্ধে ১৩৬, ১২৯ (অপ:), ১০১, ১১৪ রানের ইনিংস রয়েছে। কিন্তু আজকের ইনিংস সব কৃতীকে ছাড়িয়ে গেল। ৫৮ টেস্টে এটা তার ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি। প্রতিটি বলে মেরিট অনুযায়ী খেলেছে বাংলাদেশের এই লিটল মাস্টার।



বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের পারফর্মেন্সও ছিল অসাধারণ। মমিনুল ও মাহমুদুল্লাহর বিদায়ের পর তিনি যখন ব্যাটিংয়ে নামে তখন আশরাফুল ৮৫। দিন শেষে দু'জনের রানের পার্থক্য ৩৭। এতে বোঝাই যায় কত বেশ আক্রমণাত্মক ছিল বাংলাদেশের অধিনায়ক। তার প্রায় প্রতিটি শটই ছিল চোখ জুড়ানো।



আশরাফুল ১৮৯ করে ৩৯৮ (২০ চার, ১ ছয়) বল খেলে। আর মুশফিক ১৫২ করে ২৩৬ (১৮ চার, ১ ছয়) বলে। এই জুটির মাধ্যমে অনেক রেকর্ড গড়ে এই দুইজন। তাদের এ সাফল্য ১৬ কোটি মানুষের জন্য বিশেষ পাওয়া।



অবশ্য তৃতীয় দিন বাংলাদেশের সূচনাটা তেমন ভালো ছিল না। স্কোর বোর্ডের আরও ৩৫ যোগ হওয়ার পর একটি ভুল শট খেলে আউট হয় মমিনুল। আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে ২০ রান যোগ করে। তাড়াহুড়ো উইকেট ছেড়ে শট খেলতে গিয়ে স্টাম্প হয় দলের আরেক পরীক্ষিত ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (০)। এরপর পঞ্চম উইকেটে যোগ হয়েছে ২৬১।



তরুণ ডেবুটান মমিনুলের কথাও বলতে হয়। বিদেশের মাঠে জীবনের প্রথম টেস্টে কি অসাধারণ ব্যাটিং করল। ৮৩ বলে করা ৫৫ রানে বাউন্ডারির (৯টি) সংখ্যাই প্রমাণ করে তার ইনিংসটি কত মেজাজি ছিল। দুর্ভাগ্য রিয়াদের। সে হেরাথের যে ওভারে আউট হয় ওই ওভারে তার আগে আশরাফুল একটি ছক্কা ও একটি চার হাঁকায়। কিন্তু তারপরই এক শট বল অযথা আগ বাড়িয়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্প হয়।



বাংলাদেশ এখনও ১৩২ রানে পিছিয়ে। সুতরাং আমাদের সেই স্কোর অতিক্রম করতে হবে। তারপর অন্য হিসাব। লিড নিতে পাড়লে অনেক চমক দেখানোর সুযোগ থাকবে মুশফিক বাহিনীর। ব্যাটিং লাইনে এখনও আছে নাসির, আবুল, সোহাগ ও ইলিয়াস। তাই ভালো কিছু আশা করতে পারি আমরা। তবে এ জন্য উইকেটে যারা আছে এবং প্যাভিলিয়নে যারা রয়েছে সবাইকেই তাদের সেরাটা খেলতে হবে। সারাদিন মাত্র দুটি উইকেট পড়লেও শ্রীলঙ্কার বোলাররা যে বাজে বোলিং করেছে তা মোটেই বলা যাবে না। বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যান অসাধারণ ব্যাটিং নৈপুণ্য প্রদর্শন করে যায়। স্বাগতিক বোলারদের সাধারণ মানের বোলার হিসেবে পরিণত করে।



গল টেস্টের চতুর্থ দিনের শুরুটাও ভালো হোক কামনা করি। যদি ধারাবাহিকতা ঠিক থাকে, আমার বিশ্বাস আশরাফুল আর মুশফিকুর বাংলাদেশের ক্রিকেটকে দিতে চলেছে এক ম্যাচে এক ইনিংসে দুটি ডাবল সেঞ্চুরির সম্মান।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩২

লতিফা লতা বলেছেন: ২টি ডাবল সেঞ্চুরী দেখার বিরল সৌভাগ্যের অপেক্ষায় আছি আমিও

২| ১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩২

লতিফা লতা বলেছেন: ২টি ডাবল সেঞ্চুরী দেখার বিরল সৌভাগ্যের অপেক্ষায় আছি আমিও

৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

অচীনপুরের চেনা মুখ বলেছেন: আশরাফুল আর মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরী দেখার অপেক্ষায় ১৬ কোটি মানুষ

৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১

অনুপম জীবন বলেছেন: আশরাফুল না পারলেও মুশফিক ঠিকই পারলেন। বাড়তি এলো নাসির হোসাইনের সেঞ্চুরি। একটি ডাবল আর দুটি সিঙ্গেল সেঞ্চুরি, এটাই বা কম কী? থ্রি চিয়ার্স ফর টাইগার্স

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.