![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত ছয় মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না অনলাইন নিউজ পোর্টাল পরিবর্তন ডটকমের সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। পরিবর্তনে বর্তমানে কর্মরত আছেন ২৬ জন সাংবাদিক-কর্মকর্তা। সম্প্রতি বকেয়া বেতনের জন্য আন্দোলনরত অন্য ২০জন সহকর্মীর সঙ্গে বেঈমানী করে গোপনে বেতন নিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ৬ জন সাংবাদিক কর্মী।
জানা গেছে মালিক পক্ষের সঙ্গে আঁতাত করে সম্প্রতি নিউজ পোর্টালটির সহকারী বার্তা সম্পাদক অঞ্জন আচার্য, অনন্যা আশরাফ, আইটি বিভাগের কর্মকর্তা নাজমুস সৌদ, গ্রাফিক্স ডিজাইনার শাওন কুমার বৈরাগী, ডেস্ক স্টাফ শরীফ আহমেদ (ইমন শুভ) ও অফিস সহকারী জুলফিকার আলী গোপনে অফিসে এসে বেতন নিয়েছেন। বাকি ২০ জনকে বেতন দেওয়া হয়নি।
মালিকপক্ষের সঙ্গে এই আঁতাতের নেতৃত্ব দিয়েছেন অনন্যা আশরাফ নামের এক ভদ্রমহিলা। ইনি আবার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘণিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে বিশেষ পারদর্শী। যেখানেই যান গড়ে তুলেন দহরম মহরম সম্পর্ক। এর আগে একজন কন্ট্রিবিউটর হিসেবে বাংলানিউজে ঢুকে বিভাগীয় সম্পাদকের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তুলে বাগিয়ে নেন নিউজরুম এডিটরের পদ। সেখানে কেলেংকারির কারণে চাকরিচ্যুত হওয়ার পর পরিবর্তনে যোগ দেন। তবে পরিবর্তনে ঢুকেও তার খাসালতের পরিবর্তন হয়নি।
এদিকে গোপনে অফিসের ছয়জনকে বেতন দেওয়া আর অফিসের জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলার চেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হতাশায় ভুগছেন। একইসঙ্গে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।
আঁতাত করা ৬ জন মোটেও ভাবেননি তাদের বাকি ২০ সহকর্মীর কথা। এই হলো আমাদের সুবিধাবাদী সংবাদ-কর্মীদের চেহারা।
গার্মেন্টসের কর্মীরা তাদের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারে আর সুবিধাবাদী সংবাদকর্মীরা তা পারেন না। কারা উত্তম? স্বল্প শিক্ষিত মেহনতি গার্মেন্টস কর্মীরা নাকি তথাকথিত সুশীল সমাজের সংবাদকর্মীরা ?
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১৪
অনুপম জীবন বলেছেন: প্রিয় রাইয়া... ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আমার বক্তব্য হলো --
১. একটা প্রতিষ্ঠানে ২৬ জনের মধ্যে ২০ জন ফাঁকিবাজ আর দুর্নীতিবাজ, আর মাত্র ৬ জন অরজিনাল যারা কাজ করে (!) ... এটা মানা যায় না। মেয়েদের নিয়ে এখানে কোনো অশ্লীল কথা লিখা হয়নি। অনন্যার ব্যাপারে পরিবর্তনের লোকজন যা বলে তাই লিখেছি। তার অতীত ইতিহাস সম্পর্কেও কিছু তথ্য আমার জানা আছে। বাংলানিউজে এই ভদ্রমহিলা যেসব নোংরা কাণ্ড করে এসেছে, একটু খোঁজ নিলে আপনিও জানতে পারবেন। এখানে মেয়ে হিসেবে নয়, তার সুবিধাবাদী মনোভাব আর নীতি বর্জিত উচ্চাকাঙ্খার কারণে তার নাম আলাদাভাবে উল্লেখ করেছি।
২. 'বছরের সেরা রিপোর্টার' হওয়ার বিষয়টি এ লেখায় অপ্রাসঙ্গিক।
৩. পরিবর্তনের মারামারি নিয়ে এ লেখাটা নয়, সহকর্মীদের সঙ্গে বেইমানির বিষয়টি এখানে উল্লেখ করা হয়েছে।
২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৪
ডার্ক ম্যান বলেছেন: কর্পোরেট পলিটিক্সের কুফল ভোগ করছেন ২০ জন বেতন না পাওয়া ব্যক্তি। তারা যদি ফাঁকিবাজ আর দূর্নীতিবাজ হন, তাহলে তাদেরকে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেওয়া উচিত।
আর কারো ব্যক্তিগত চরিত্র নিয়ে কথা বলাটা অনুচিত। আর তিনি একজন নারী হলে তো কথাই নেই। নারী নেতৃত্বের দেশে নারীদের নিয়ে কথা বলাটা কেন নারীরা সহ্য করবেন?
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৮
রাইয়া বলেছেন: ১. মালিক পক্ষ ফাঁকিবাজ আর দুর্নীতিবাজদের বাদ দিয়ে অরজিনাল যারা কাজ করে তাদেরকে বেতন দিলেই ঘনিষ্ট সম্পর্ক হয়ে যায় তাই না? অনন্যার ক্ষেত্রে ঘনিষ্ট সম্পর্ক কিন্তু ছেলেরা যারা বেতন নিয়েছে তাদের ক্ষেত্রে কি হয়েছে। পরিবর্তনের ছেলেরা কি হেড অফিসের মেয়েদের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে তুলেছে? মেয়েদের ক্ষেত্রে যতো সব অশ্লীল কথা লিখা যায় তাই না?
২. নিজে টাকা খরচ করে সার্টিফিকেট আর ক্রেস্ট বানালেই 'বছরের সেরা রিপোর্টার' হওয়া যায় না। রাস্তার টোকাইরাও এরকম কিছু টাকা খরচ করলে সার্টিফিকেট আর ক্রেস্ট জোগাড় করতে পারে।
৩. আমিনুল ইসলাম মিঠু পরিবর্তনের অফিসে নাজমুস সৌদকে যে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে চেয়ার তুলে মারতে চেয়েছিল সেই বিষয়টি এই লেখার মধ্যে কৈ?