নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অসময়ে অপেক্ষা

এই বেশ ভালো আছি

অনুপম জীবন

এই বেশ ভালো আছি

অনুপম জীবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যম ফেসবুক!

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২৩





সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম 'ফেসবুক' নিয়ে দেশবিদেশে অনেক অভিযোগই আছে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুকের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো, এটাকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে চলমান প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণও পাওয়া গেছে।



বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) সহায়তায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ফেসবুকের পাঁচটি গ্রুপ ও ১৪টি অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করেছেন। ফেসবুকের এসব অ্যাকাউন্ট, পেইজ ও গ্রুপে প্রাথমিক সমাপনীসহ বিভিন্ন পরীক্ষার বিভিন্ন বিষয়ের প্রশ্ন আপলোড করা হয়েছে।



তদন্তসূত্রে জানা গেছে, প্রশ্ন ফাঁস করা এসব অ্যাকাউন্ট, পেইজ ও গ্রুপে কনটেন্ট আপলোড করা হয়েছে ময়মনসিংহ ও বগুড়া জেলা থেকে। এসব অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা প্রশ্নের মধ্যে ৮০ থেকে ১০০ শতাংশই পরীক্ষার মূল প্রশ্নপত্রে কমন পড়েছে।



ফেসবুকের চিহ্নিত এই ১৪টি ফেসবুক অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. পারভেজ বাদী হয়ে রাজধানীর মিরপুর থানায় মঙ্গলবার মামলা দায়ের করেছেন।



জানা গেছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশেই এই তদন্ত শুরু হয়। চিহ্নিত হওয়া সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টের সবক'টিরই নাম ও ছবি ভুয়া বলে প্রাথমিকভাবে কর্মকর্তাদের কাছে মনে হয়েছে। মিজানুর রহমান ও সৈয়দ মিজানুর রহমান নামের কথিত প্রশ্ন আপলোড করা দুটি অ্যাকাউন্টে প্রোফাইল পিকচার হিসেবে একই ছবি ব্যবহার করা হয়েছে।



চিহ্নিত পেইজের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন ফাঁস করা হয়েছে-- PSC • JSC • SSC • HSC All Exam Question 100 o;mmon By ReZza (Click This Link) শীর্ষক পেইজ থেকে। বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে বেশি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে-- Bangladesh PSC JSC SSC HSC Exam Informations & Suggestions (Click This Link) গ্রুপটি থেকে।



প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে বরাবরই সমাপনীর প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এর আগে জানিয়েছেন, সমাপনীর কোনো প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। ফাঁস হলে তিনি এর দায় নেবেন। তবে মন্ত্রী অস্বীকার করলেও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিটিআরসি তদন্ত চালিয়ে ফেসবুকের এসব অ্যাকাউন্ট ও গ্রুপ চিহ্নিত করেছে।



এদিকে ফেসবুকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাধারণ অভিভাবকরা চরম ক্ষুব্ধ। ফেসবুক নিয়ে তাদের অনেকে বিষেদাগার করছেন।



এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, দোষটা ফেসবুকের নয়। কারণ ফেসবুকের কোনো ক্ষমতাই নেই প্রশ্নপত্র ফাঁস করার। প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য ফেসবুকের ব্যবহারকারীদেরও দায়ী করা যাবে না। কারণ, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মডারেশন, বিতরণ বা সংরক্ষণের সঙ্গে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কোনো সম্পর্ক নেই। শিক্ষা ও পরীক্ষার কাজে যারা জড়িত, তাদেরই কারও মধ্য থেকে প্রশ্ন ফাঁস করা হয়। এরপর তা সামাজিক মাধ্যম হিসেবে ফেসবুকে উঠে আসতে পারে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দয়া করে লিংকগুলো সরিয়ে নিন।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:০২

অনুপম জীবন বলেছেন: কেন ভাই?

২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কারন এতে লিংকটি ছড়িয়ে যাবার সুযোগ থাকে। একজনের কৌতুহল অনেক সময় অন্যের উপর প্রভাব ফেলে।

৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৬

সোহানী বলেছেন: তলে তলে লোকজন ধরবা আর মুখে বলবা প্রশ্ন ফাঁস কি জানিই না..... এভাবে দ্বৈত নীতি কেন???

আর এভাবে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে কি প্রশ্ন ফাঁস আটকানো যাবে!!!! সত্যিই সেলুকাস কি বিচিত্র এ বুদ্ধিজীবিরা !!!!!!!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.