![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যত অপ্রিয়ই হোক, সত্য বলতে আমি দ্বিধা করি না। আমি সদাই সত্যে অবিচল। অন্যের কাছে থেকে কিছু জানা আমার শখ।
মুসলমানদের একটা অংশ নাকি মনে করে যে, মহানবী(দঃ)এর ইন্তেকালে খিলাফতের হকদার ছিলেন হযরত আলী। তাকে বঞ্চিত করে অন্যরা খিলাফত দখল করেছিলেন। কিন্তু ইতিহাস ঘেটে এ কথার তো কোন সত্যতা পাওয়া যায় না। কেননা আবু বকর খলিফা হওয়ার সাথে সাথেই হযরত আলী তার বাইয়াত গ্রহন করেছেন। অনুরুপভাবে হযরত উমর ও ওসমানের কাছেও তিনি নিঃশর্তে বাইয়াত নিয়েছেন। তাদের কারো বিরোধিতা তিনি করেননি। খলিফা ওমর অন্যদের সাথে তাকে পরামর্শ সভার অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এর দ্বারাই প্রমাণিত হয় যে, সাহাবায়ে কেরাম তাকে উপযুক্ত মর্যাদা প্রদান করেছেন, তার ব্যাপারে কোন যুলম বা বাড়াবাড়ি করেননি। যে যখন ক্ষমতার হকদার ছিলেন, তাকেই তারা ক্ষমতা প্রদান করেছেন। আলী নিজে কখনোই বলেননি যে ক্ষমতার হকদার কেবল তিনিই।
ফাতেমা (রাঃ)-এর মৃত্যুর পর হযরতআলী (রাঃ) উম্মুল বানিন বিনত হিজাম ইব্ন দারেমকে বিয়ে করেছেন, তার গর্ভের এবং আলীর ঐরশের সন্তানের নাম- উসমান ইব্ন আলী ইব্ন আবু তালেব। পরবর্তীতে তিনি লায়লা বিনতে মাসউদ আদ-দারিয়াহকে বিবাহ করেন। তার গর্ভের সন্তানের নাম - আবুবকর ইব্ন আলী ইব্ন আবি তালিব। হযরত আলী উম্মে হাবিবা বিনতে রাবিয়াহ নামক এক মহিলাকেও বিবাহ করেছিলেন, তার গর্ভের সন্তানের নাম- ওমর ইব্ন আলী ইব্ন আবি তালিব, তিনি পয়ত্রিশ বছর বয়সে মারা যান।
এখন প্রশ্ন হলো, তিনি যদি আবু বকর, উমর আর ওসমানকে অপছন্দই করতেন, তাহলে নিজ সন্তানদের নাম এইসব সাহাবীর নামে কেন রাখলেন ? বনু হাশেমের মধ্যে সর্ব প্রথম আলী (রাঃ) নিজ সন্তানের নাম রেখেছিলেন আবু বকর।
আবু বকর ইব্ন আলী ইব্ন আবু তালেব কারবালার ময়দানে তার ভাই হুসাইনের সাথে শাহাদাত বরণ করেছিলেন, অনুরূপ হুসাইনের এক সন্তান শাহাদাত বরণ করেছিলেন, যার নাম ছিল আবু বকর! এবং মুহাম্মদ আসগর, (হুসাইনের ছেলে) যার উপনাম ছিল আবু বকর। তারা সাহাবাদের নামে নিজ সন্তানের নাম রাখতে পছন্দ করতেন। সাহাবাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষনের কোন প্রশ্নই উঠে না।
আলী (রাঃ)যখন খিলাফত গ্রহণ করেন, তখন তিনি তার পূর্বের খলিফাদের বিরোধিতা করেননি। পূর্বের খলিফাদের যুগে মুসলিমদের নিকট সংরক্ষিত কুরআন ব্যতীত অন্য কুরআন তিনি পেশ করেননি। তিনি কুরআনের কোন বিষয়ে মতবিরোধও করেননি। বরং তিনি বারবার বলেছেন : “নবীর পর এ উম্মতের সর্বোত্তম ব্যক্তি হচ্ছে আবু বকর ও ওমর”।
হযরত উসমানের(রাঃ) শাসনকালে ফাসাদ সৃষ্টিকারী বিদ্রোহীরা যখন হযরত উসমান (রাঃ)কে গৃহ বন্দী করে, আলী (রাঃ)তার পক্ষে লোকদের প্রতিহত করেন এবং তাদেরকে তাড়িয়ে দেন। আর তাকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য প্রেরণ করেন নিজের প্রাণপ্রিয় দুই সন্তান হাসান ও হুসাইন এবং ভাতিজা আব্দুল্লাহ ইব্ন জাফরকে। কাজেই আলী ও উসমানের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ থাকার বিষয় ইতিহাসে প্রমাণ হয় না। অবশ্য হযরত মুয়াবিয়া এই অভিযোগ তুলেছিলেন। কিন্তু মুয়াবিয়ার যথেষ্ট ইজতিহাদী ভুল ছিল, যা ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ আছে। আলী এবং উসমান এরাও ইজতিহাদী ভুলের বাইরে ছিলেন না। কিন্তু এইসবকে পুজি করে সাহাবাদের সম্পর্কে ভুল ধারনা পোষন করা কোন মুসলমানের কাম্য নয়।
২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৩৬
নজিবুল্লাহ বলেছেন: হযরত আলী (রা: ) নিজে কখনোই শিয়া দের অতিভক্তি কে সমর্থন দেন নি। শিয়ারা আলী রা: কে আল্লাহর আসনে পর্যন্ত বসাইছিল আজকের খৃষ্টানদের ইসা ভক্তের মত। হযরত আলীকে পুজি করে তারা মারেফতী/গোপন বিদ্যার গোমরাহী মতবাদ আবিষ্কার করে। তাদের অনেকে বলে কোরআনে ৪০ হাজার আয়াত, ছয়হাজার প্রকাশ্য বাকী গুলো গোপন , যা মুহাম্মদ (স.) একমাত্র আলী (রা.) কেই শিক্ষা দিয়েছিঁলেন। নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক।
৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৫৭
আবদুস সবুর খান বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর লেখা উপহার দেয়ার জন্য ......
৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২৬
েজ আলম বলেছেন: নবী রাসূলদের জীবনি পড়তে আমার খুব ভালো লাগে। এখনও এটি পড়ে ভালো লাগলো। মহানবী (সাঃ) এর পরে এসব সাহাবীদের অবস্থান সর্বোত্তম এ পৃথিবীতে। তাই এসব সাহাবীদের ব্যাপারে ভুল ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করা আমাদের উচিত নয়।
ধব্যবাদ চালিয়ে যান। আমি কমেন্ট না করলেও অবশ্যই পড়বো।
এ ব্লগে নবী-রাসূলদের জীবনী সম্পর্কিত ইসলাম সম্পর্কিত যত লেখা ছাপা হয় সবই আমি পড়ি। কমেন্ট করা হয় না অলসতার কারনে। এই ব্লগে এখনও প্রবেশ করি এসব পড়ার জন্য এবং কম্পিউটার বিষয়ক টিপস জানার জন্য।
৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:১৩
দূর প্রবাসী বলেছেন: নিজের বুদ্ধিতে যা আসে তাই লিখেন কেন??? 'বেলায়েতের দ্যুতি' বইটা পড়ে তারপর মন্তব্য করবেন। আর খলিফা বলেন আর সিরাজাম মুনিরার (হেদায়েতের নূর) ধারকই বলেন তা ছিল হযরত আলী (রা এর মাঝেই, কিন্তু তিনি অসম্ভব বিনয়ি হওয়ার কারনে ঝামেলা এড়ানোর জন্য কাউকে কিছুই বলতেন না। ব্লগে এত ইসলামিক চিন্তাবিদ যে কোথা থেকে আসে.......
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:১৩
আনোয়ার আলী বলেছেন: আমি ঠিকই ইসলামী চিন্তাবিদ, আমি কামনা করি প্রতিটি মুসলমান ইসলামী চিন্তাবিদ হোন। আমি ইতিহাসের পাতা থেকে লিখেছি। মনে যা আসে তা লিখা কি কোন ইসলামী চিন্তাবিদের সাজে ?
৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৫০
স্বাধীকার বলেছেন:
আলী বিনয়ী ছিলেন। কিন্তু উসমান হত্যাকান্ডের ব্যাপারে এমন একটি ধারণা দেওয়া হয় যে, ৮০ বছরের বৃদ্ধ উসমানকে ঘরের ভিতর গিয়ে হত্যাকারী মুহাম্মদ বিন উমর এর সাথে আলীর সম্পর্ক ভালো ছিলো। মিশরের গর্ভনর নিয়োগকে কেন্দ্র করে উসমানের চালাকী এবং তা প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর যে সালিশ বসে, সেখানে হস্তরেখা পরীক্ষার দায়িত্বপান আলীসহ আরো কয়েকজন। উসমান বার বার অস্বীকার করছিলেন যে, এই চিঠি তিনি লিখেননি। কিন্তু দেখা যায় যে ক্রীতদাস চিঠিসহ ধরা পড়ে-তার উটের মালিক ছিলেন উসমান এবং চিঠির হাতের লেখা উসমানের প্রধানমন্ত্রীর। সাথে সাথেই উসমান সালিশ থেকে উঠে যান এবং ঘরে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন এবং সেখানেই পরে তিনি খুন হন।
উসমানের কর্তিত হাতের আঙ্গুল ও রক্তাক্ত জামা নিয়ে রাজনীতি করেন ৩জন-এক আয়েশা, মুয়াবিয়া, উসমানের স্ত্রী নায়লা। তারা আলীর ইসলামী রাজ্যের খলীফাত্ব দিতে চাচ্ছিলেন না। আয়েশার ভাই এবং দুই দুলা ভাই(তালহা এবং যুবায়ের) তারাও ছিলেন ক্ষমতার প্রত্যাশী। তবে তখন আলীই ছিলেন যোগ্য ব্যক্তিত্ব-আলীর কোনো ব্যক্তিগত রাগবিরাগ তার পূর্ববর্তী খলীফাদের প্রতি ছিলো-এরকম কোনো কিছু ইতিহাসে পাওয়া যায়নি।
৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩৪
ইভা_110 বলেছেন: আসলে মহানবী (সা.)-এর উত্তসূরী যিনি হবেন তিনি কি ভোটের মাধ্যমে হবেন না , মহানবী নিজেই মনোনীত করবেন ?
এমন বিয়াদব এসমস্ত খলিফারা যারা মহানবীর মরদেহকে ফেলে রেখে ভোটাভোটুরি জন্য লেজ তুলে ছুটে গেলেন বনি সাকিফাতে।
তাদের অবস্থা দেখে মনে হয় তারা হাম্মালীগের বড় বড় ক্যাডার ! তারপর ইতিহাসে প্রমাণিত বনি সাকিফাতে এক সাহাবী আরেক সাহাবী দাঁড়ি ছেড়া-ছেড়ি , কিল, ঘুষি লাথা-লাথিও করেছেন। আর ওদিকে নবী পরিবারের মাত্র কয়েকজন মানুষ মহানবীকে দাফন করেন ।
লজ্জা হয় না ঐ সব দস্যু খলিফাদের কথা বলতে?
৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮
এম এ হুসাইন বলেছেন: ছোটবেলা থেকেই ভুল-ইতিহাস যাদের পড়ানো হয় তাদের কোনো দোষ নেই। আপনি যদি সাকিফার বিষয়গুলো না জানতেন তাহলে আপনিও গড্ডালিকা প্রবাহে ভাসমান বেশিরভাগ মুসলমানদের মতই থাকতেন ও ভাবতেন! এই কিছুকাল আগে ঘটা ১৯৭১ সালের ইতিহাসও নানা জনে নানাভাবে বলেন! পাকিস্তানের স্কুল-পাঠ্যে বলা হয় এক ধরনের ইতিহাস, বিশেষ একটি দল বলবে অন্য ধরনের ইতিহাস এবং ওই দলের বাইরের অন্য দলপন্থীরা বলবে অন্য ইতিহাস। সবাই নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে উল্লসিত। আর এভাবে জানা-অজানা এবং সত্য গোপন ও সত্য প্রকাশের মধ্য দিয়েই এগিয়ে যাবে মানব সভ্যতার ইতিহাস।
৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯
এম এ হুসাইন বলেছেন: এ কথাগুলো বললাম ইভা_110-কে।
১০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:১৩
এম এ হুসাইন বলেছেন: নামের বিষয় গুরুত্বপূর্ণ কোনো চালিকাশক্তি নয়। খ্রিস্টান ও ইহুদিদের মধ্যে অনেক সুন্দর সুন্দর মুসলিম নাম পাওয়া যায়। ইরাকের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক আজিজ ছিলেন খ্রিস্টান। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর স্বামী ফিরোজ গান্ধী ছিলেন অগ্নি-উপাসক পারসিক-বংশদ্ভুত ভারতীয়। বেঞ্জামিন নামটি হযরত ইউসুফ নবীর ভাই বেনিআমিনের রূপান্তর। বেনিআমিনও সম্ভবত নবী ছিলেন। হযরত ইয়াকুবের নামে খ্রিস্টানরা জ্যাকব নাম রাখে। হযরত ইব্রাহিমের নামে নাম রাখা হয় আব্রাহাম। মাইকেল, মিশেল বা মিখাইল নামটি মিকাইল ফেরেশতার নামের রূপান্তর। গ্যাব্রিয়েল এসেছে জিব্রাইল ফেরেশতার নাম অনুসারে। আপনার বন্ধুদের মধ্যে ধরুন কয়েকজন আবুবকর, ওমর এবং ওসমান রয়েছেন। তাদের মধ্যে এক আবুবকর ভাল এবং অন্যজন আপনার ক্ষতি করেছে বা আপনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তার মানে এই নয় যে আপনি আপনার ভাল বন্ধু আবুবকরের নামে নিজের ছেলের নাম রাখার পর ওই ছেলের নাম বদলে দিবেন কিংবা নতুন কোনো সন্তান হলে তার নাম আর আবুবকর রাখবেন না! আপনার বন্ধু এক ওমর ভাল ও অন্য ওমরটি বাটপার। তাই বলে কি ওমর নাম রাখা বাদ দেবেন? ওসমান প্রসঙ্গেও একই কথা প্রযোজ্য। আলী তার ছেলের নাম ওসমান রেখেছিলেন অন্য এক ওসমানের নামে যার সঙ্গে আলী খুব ঘনিষ্ঠতা ছিল। ইমাম হুসাইনকে হত্যা করেছিল ইয়াজিদ। তা সত্ত্বেও ইয়াজিদ নামের ব্যবহার আরবদের মধ্যে সেই যুগে অব্যাহত ছিল। আলী ও হুসাইনপন্থীদের মধ্যেও অনেকের নাম ছিল মুয়াবিয়া ও ইয়াজিদ। এই আধুনিক যুগে ফ্রান্সের ফুটবল তারকা জিদানের নামেও রয়েছে ইয়াজিদ। এগুলো কালচারাল বিষয়। এগুলোকে রাজনৈতিক বিষয় দিয়ে দেখা হয় না অন্য অনেক দেশে। পাকিস্তানের ইয়াহিয়া ছিল গণহত্যাকারী। কিন্তু ইয়াহিয়া আবার নবীরও নাম। তাই বলে ইয়াহিয়া নাম রাখার মানে পাকিস্তানের ইয়াহিয়ার প্রতি ভালবাসা বা সমর্থনের প্রকাশ নাও তো হতে পারে! আশা করি ' ইতিহাসের আলোকে হযরত আলীর সাথে হযরত আবু বকর, উমর ও ওসমানের সম্পর্ক শীর্ষক প্রবন্ধের লেখক এই বাস্তবতা ও নিজের সম্ভাব্য ভুল বুঝতে পেরেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২৭
আধারের কবি বলেছেন: মুয়াবিয়ার যথেষ্ট ইজতিহাদী ভুল ছিল, যা ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ আছে
সুন্দর লিখেছেন স হ ম ত
আমার ধারনা তখনকার পুরো ঝামেলাটা যোগাযোগের সমন্বয়ের অভাব। মুসলিম রাস্ট্রের এই ত্রুটি কে কাজে লাগাতে দুষ্ক্রিতিকারিরা ছাড়ে না।