নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুপেয়ের পরিচয়ে এসেছি মাটির ধামে, মানুষের রূপ পেতে হৃদয়ে কামনা করি রোজ। পরিচয় নেই কিছু আর, এর ভালো যদি খুজে পাই! এই আশাটাই মন সম্বোঝ।
ক্রোধের বয়ান
ফিরিস্তিনি কবি রাফিফ জায়েদাহ
=================================
‘আমি আরবের কালো মেয়ে’,
আমাকে আমার আরবি জবানে চিতকার দিতে দাও।
ওই তারা বসে আছে উঁত পেতে চেয়ে-
আমার মায়ের ভাষার মুখেতে লাগাম পড়াবে বলে
বিষের ঘুঙুর পড়াইয়া দিতে আমার স্মৃতির পায়ে।
ভাষার মুখের লাগামের আগে চিতকার দিতে চাই,
“আমরা এসেছি আপামর ঐ ক্রোধের সিঁড়িটি বেয়ে”
‘আমি আরবের কালো মেয়ে’।
হাইফা- জাফার মাঝখানে এক নিবিড় শান্ত গ্রাম-
সে গ্রামেই মোর পিতা’ পিতামহ’ সে গ্রামই তাদের ধাম।
সেখানে আমার পিতামহ তার নামজনিষ্ঠ স্ত্রীকে
ঘুম থেকে জেগে খুজেছে জীবনের প্রতিটি সুবেহ সাদিকে।
এই হলো সেই মটি, যে মাটির এক জলপাই ছায়া তলে
মায়েরও আমার সেখানে জন্ম হয়,
তবু তারা বলে অস্ত্রের বলে আজ, সে মাটি আমার নয়।
কিন্তু তাদের সেই ব্যারিকেড, রর্ণবদির দেয়াল
তল্লাশি চৌকি, লার চোখ, অস্ত্রের বেড়াজাল,
এক দিন আমি পাড় হয়ে যাব সবই
পড় হবো সব যাবতীয় ঐ ক্রোধের সিঁড়িটি বেয়ে
আবার বলছি আমি, “আমি আরবের কালোমেয়ে”।
তুমি কি শুনেছো, আমার বোনের প্রশবের চিতকার?
তল্লাশি চৌকিতে—গতকাল তার ব্যথাছিলো বিয়োবার।
ইসরয়েলের সেনারা তার প্রসবের সন্ধি
মেলিয়া খুজিছে ভবিষ্যতের সন্ত্রাসী’ ‘বন্দী’
খুজঁছিলো তারা ভবিষ্যতের হুমকি মুর্তিমান
দু’পায়ের ফাঁকে ডাকছিলো তাকে ‘জানিন’
হাতে ছিলো খোলা “বারুদের গোলা” ‘গান’।
জেলেতে বসিয়া ‘আমনি’ যখন করছিলো চিতকার
‘আমরা ফিরছি প্যালেস্টাইনে, এটা আমাদের অধিকার’
তখন হায়েনা অস্ত্রের সেনা টিয়ারের শেল ছোড়ে-
তবুও অশ্রু ঝরেনা, আজকে মোদের রুধির নয়ন জোড়ে।
তবে মনে রেখো, ‘আমি আরবের কালো মেয়ে’
আমরা আসছি যাবতীয় ঐ ক্রোধের সিঁড়িটি বেয়ে।
“ এই তোরা বলিস, আমার ঔরস থেকে
কেবলই বেরোবে সন্ত্রাসবাদী, বন্দুক ঝোলা দাড়ি টুপিওলা
পাগড়ি ধারী মরুনিগ্রোরা একে একে,
আমরাই নাকি মরতে পাঠাই আমাদের ছেলেপুলে।
কিন্তু আমার আকাশেতে কেনো তোদের বাস্প শকট!!
‘আলেন্দে’ আর ‘লুলুম্বাকে’ কী দোষে মারিয়া ছিলে?
আচ্ছা, বলতো কে আছিলো ঐ ওসামার ওস্তাদ?
আমার দাদাতো পড়েনি কখনো সাদাটুপি সাদা হুডি,
কালো মানুষের গলায় পড়াতে দড়ি
ভাড়ের মত করেনিকো ছোটাছুটি---
তবু আজ কেনো আমার আশার চুলেতে তোদের মুঠি?
তবে মনে রেখো, ‘আমি আরবের কালে মেয়ে,
আমরা আসছি যাবতীয় ঐ ক্রোধের সিঁড়িটি বেয়ে।
‘এই শ্যমলা নারীটি কে? মিছিলে করছে চিতকার?’
মাফ করবেন, চিতকার করা আমার নয়কি উচিত অধিকার?
আপনার ঐ প্রাচ্যবাদী খোয়াব আছিলো যত
বোতলবন্দী জ্বিন, বেলি-নর্তকী, হেরেম-রমনী আর
মুখচোরা আরব রমনী।আমি ভুলে গেছি সবশত।
জী মহারাজ, না মহারাজ সব নয়
পিনাক বাটার স্যান্ডউইচ এর লাগি
শুকরিয়া তারে, জী হুজুর দিতেহয়।
কিন্তু আমার ত্রাতা প্রভুরা এখানে এসেছে আজ-
দেখাতে এসেছে তারা
শিশু হত্যায় খায়েশী হাতের নিপুন কারোকাজ।
দিয়েছে তাহারা এ কারোকাজের একটা আদুরে নাম-
হত্যা নয়কো এটি ‘কো্ল্যাটারাল ড্যামেজ’
জেনোসাইড নঢ, এটি মিছে বদনাম।
তবে জেনেরেখো, ‘আমি আরবের কালো মেয়ে’
আমরা আসছি জাবতীয় ঐ ক্রোধের সিঁড়িটি বেয়ে।
কাজেই, শোনো বলি, আমার ঔরস জোড়ে
ক্যবলই গজাবে বিদ্রোহী বীর স্বাধীনতাকামী রোজ
এক হাতে যার ফিলিস্তিনের ঝান্ডা বাতাসে উড়ে
অন্য হাতেতে পাথর মিসাইল- গরবী মুক্তি ফৌজ।
ক্রোধ থেকে মোর সাবধান, সাবধান।
আমি ও আমরা এসেছি সকল ক্রোধের সিঁড়িটি বেয়ে।
আবার বলছি শোন, ‘আমি আরবের কালো মেয়ে’।
বের কালো মেয়ে’।
২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৪১
টু-ইমদাদ বলেছেন: ভাল হয়েছে . . . আরো লিখুন . .
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৩১
কালের সময় বলেছেন: সুন্দর কবিটা