নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

((((এক দিন আমি চলে গেলে- ছেড়ে এ গ্রহ,যদি আর কোন দিন কোন খানে নাহয় জনম, কেমনে ভাবিব আমি এইখানে শতেক বছর, একশত কোটিবার নিয়েছিনু দম!! ছিলো ঝিনুকের মত গোল নদীটার তিরে মোর ঘর।)))) **ধর্ম বিশ্বাস মানুষকে সুখ দেয়, কারণ ধর্ম মানুষকে আশাবাদী করে, মানুষ বুঝতে পারে

প্রথম বাংলা

দুপেয়ের পরিচয়ে এসেছি মাটির ধামে, মানুষের রূপ পেতে হৃদয়ে কামনা করি রোজ। পরিচয় নেই কিছু আর, এর ভালো যদি খুজে পাই! এই আশাটাই মন সম্বোঝ।

প্রথম বাংলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙালীর প্রেম এবং ট্রামের তলে জীবন

২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৪৫

আজকে কেবল জীবনানন্দ দাশ মাথার মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে। যার কবিতার ছাড়া বাঙালীর প্রেম হয়না তার সেই সব কবিতার প্রশব বেদনা বাঙালীকি জানে, জানলে কজনে জানে?

এই কথাটা সকাল থেকে রাত অবধি ভাবছি। জীবনানন্দ হলো প্রেমের কবি প্রকৃতির কবি কিন্তু কতটুকু প্রেম কবি পেয়েছিলো আমি জানিনা। কেউ বলে কবির মৃত্যুটা একটা দূর্ঘটনা কেউ বলে আত্ন হত্যা।
কোনটা সঠিক আসলে কেবল কবিই জানেন আর জানে বিধাতা।

ধরে নিলাম কুসুমপুত্র আত্নহত্যা করেছে- তাহলে কি দাড়ায়, কবি কি জীবনে হতাস ছিলেন। হয়তো বা ছিলে, তা না হলে বোধ নামক কবিতায় কেন কবি বলবেন :

স্বপ্ন নয়
হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়
আমি তারে পারিনা এড়াতে;
সে আমার হাত রাখে হাতে।
সব কাজ তুচ্ছ মনেহয়, - পন্ডো মনেহয়
সব চিন্তা- প্রার্থনার সকল সময়
শূন্য মনেহয় শূন্য মনেহয়।

অথবা

পথ চ'লে পারে- পারাপারে
উপেক্ষা করিতে চই তারে
মরার খুলির মতো ধরে-
আছার মারিতে চাই,
জীবন্ত মাথার মতো ঘোরে
তবুসে মাথার চারি পাশে---

এই সকল কবিতার প্রশব বেদনা কি আমরা বোঝব? মনেহয়না। আমাদের সেই বোধ এখনো হয়নি।

তবে বেচেঁ থাকাটা কবির কাছে সুখের কোন বিষয় ছিলোনা, তা এই সব কবিতারা সাক্ষি দেয়।
একজন বেচেঁথাকার স্বপ্নহীন কবি কি বিভ্রান্ত ছিলেন মনে মনে? আর সে কারনে তার উদাসীন পথ চলার ফলাফল সেদিনের কলকাতার অভিষপ্ত ট্রামের চাপায় একজন মহাকালের মহা মানবের জীবনাবসান!

দুটোই হতে পারে, কিন্তু ফলাফল এক, আমরা অকালে হারালাম এমন একজনকে যাকে পরিমাপ করার কোন যোগ্যতা কোন বাঙালীর আছে বলে মনে হয়না।

== তাই কবির সম্মানে এই নিবেদন ==

একদিন হয়তোবা আকাশের অরবিটে ঘুরে সূর্য্য
পৃথিবীরে টেনে নিয়ে যাবে তার ফেলে আসা পথে
কবেকার পিছনের ফেলে আসা তারার রজনী
অথবা ট্রামের নিচে মরে যাওয়া কবি, নিজের অমতে;

উত্তর পুরুষের, আমাদের" পাবে দরশন
হয়তো তখন ফের অতৃপ্ত কবির হৃদয়
ফিরিতে চাহিবে এই পৃথিবীর মাটির কুঠিরে
তখন নদীর কিনারে কোন রানী
আধ গালে কোয়াশার জল, আধখানা শাড়ি
বাতাসে উড়ায়ে দিয়ে, ভেজাবে চরণ তার শিশিরের নিরে।

মনে মনে বকিতেবে "বনলতা সেন" কিবা "ঘাস"
হয়তো বা তার নাম "সুহাসীনী চৌধুরী" হবে
হয়তো নিয়ম নেই বলে আসবেনা কবি আর ফিরে,
সূর্য-স্বাগরতীরে শুনাযাবে বেদনার শ্বাস।




মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৫১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভালো লাগল!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.