![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুপেয়ের পরিচয়ে এসেছি মাটির ধামে, মানুষের রূপ পেতে হৃদয়ে কামনা করি রোজ। পরিচয় নেই কিছু আর, এর ভালো যদি খুজে পাই! এই আশাটাই মন সম্বোঝ।
অস্বাভাবিক কিছু হলে আমরা সাধারণত বলে থাকি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। যেমন হঠাত করে যখন হলমার্কের মতো কোন ভুইফুড় কম্পানি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যায় অথবা কোন ছাত্র নেতার ভাঙ্গা টিনের ঘর হয়েযায় আলিশান দুইতলা পাকা দালান, তখন আমরা বলে থাকি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। নানাবিধ কারনে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ এখন সাভাবিক। কিন্তু আমাদের ক্রীকেট টিম দেখিয়েছে অন্য কিছু, তারা কয়দিন আগে একেবাড়ে আঙ্গুল ফুলে বটগাছ হয়ে গেছিলো। ডালপালা শাখা প্রশাখা শিকড় বাকড় দিয়ে একেবারে মহিরোহ। আবার হঠাত করে যেই আঙ্গুল সেই ফিঙ্গার। মানেটা বোঝা গেলোনা।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে বাংলাদেশ যেটা খেললো সেটা বাংলাদেশের চিরায়ত খেলা, যা আমরা দেখে আসছি সব সময়, কিন্তু তার আগে পাকিস্থানকে বাংলা ওয়াশ এবং ইন্ডিয়াকে ধবল- তথা, হোয়াই বাংলা ওয়াস করার পর বাংলাদেশ বটবৃক্ষ তুল্য। আর খেলা দুইটার আগে বাঙলাদেশ মোটামুটি ভাবে একটা দন্ডায়মান আঙ্গুলই ছিলো। আচ্ছা কোনো এমনটা হলো, কেনোই বা আমরা হঠাত বটবৃক্ষ হলাম এবং কেনোইবা আবার ফিঙ্গার? কেউ কেউ বলেন যে বাংলাদেশ ক্রীকেট টিম একটু ভালো করার পর তাদেরকে আমরা যে প্রশংসা করি সেটা অতিরঞ্জিত হয়ে যায়, যা তাদের উপর একটা মানুষিক চাপ তৈরি করে। খেলার মাঠে সেই চাপ আরো বৃদ্ধিপায়, নষ্ট হয় মনোযুগ। হতে পারে এটা খুব যুক্তি যুক্ত। আমাদের সাবেক ক্রীকেট দল আই সি সি ট্রফি জেতার পর তাদের যখন ঢাকাতে বাড়ি গাড়ি দেয়া হলো অমনি তারা একটা মানুষিক অবস্থার মধ্য পতিত হলো। তারা আর এ থেকে উঠতে পারলোনা। খেলার মাঠে তাদের কে আমাদের প্রশংসা এবং বাড়ি গাড়ি দান মানুষিক ভাবে তাড়া করে বেড়িয়েছে যে “ আমরা কি আগের মত দেশের মান রাখতে পারবো। আমরাকি আমাদের যা দান করলো দেশ তার সম্মান রক্ষা করতে পারবো? এই মানুষিক চাপ তাদেরকে দূর্বল করেছে। যার ফলাফল হয়েছিলো ভয়াবহ।
এই বার দুষটা চেপেছে আট কোটি টাকার উপর। চাপাটাই সাভাবিক। তবে এটা বলা যায় যে সারা দেশের প্রায় ২০ লক্ষ তরুন তরুনীকে বেস্ত রাখা যায় একটা দুটা ক্রীকেট ম্যাচ আয়োজন করে।
কেউ কেউ আবার স্বরযন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেঁ। কারণ খেলার জগতে ক্রিকেট হলো সব চাইতে করাপ্টেড প্লেস। সেখানে নাতিং ইস ইমপসিবল।
©somewhere in net ltd.