![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুপেয়ের পরিচয়ে এসেছি মাটির ধামে, মানুষের রূপ পেতে হৃদয়ে কামনা করি রোজ। পরিচয় নেই কিছু আর, এর ভালো যদি খুজে পাই! এই আশাটাই মন সম্বোঝ।
নূহা মেয়েটাকে একটা থাপ্পর দিতে ইচ্ছে করছে, যখনি আসে ঝড়ের মত আসে, কোন একটা ক্ষতি করে যাবেই । নাহয় কোন একটা বেয়াদবী।
হঠাত করেই ঘরে ঢুকে বলে বসলো " এই আমাকে চিন্তে পারচিস? আমি হলাম রাক্ষসি কটকটি, আমাকে তোরা চিনবিনা, হিহিহিহিহহহাহা হাহা" বলেই আবার ঝড়ের বেগে শাড়ির আঁচল দুলিয়ে হেলে দৌড়ে বের হয়ে গেলো। একটা ধমক দেব সেই সুযোগটাও দিবেনা।
মেজাজটা খারাপ হয়ে আছে, ৫ বছরের একটা বাচ্ছা মেয়ে হঠাত করেই এসে তুই তুক্কারি করে চলে গেলো!!।
প্রতিদিন কম করে হলেও ৩০ টা ক্ষতিকর কাজ করবে। কী কম্পিউটার কী ভাতের হাড়ি অথবা জুতা কিংবা কাপড়চুপড়, কোন কিছুই বাদ যাবেনা।
জুতাকে মোবইল বানিয়ে কথা বলতে বলতে হারিয়ে যাবে কোন চিপাচাপায়, নিজে ফিরে আসবে ঠিকি, জুতাটা আর আসবেনা।
আচ্ছা আমি এসব কেনো বলছি, বসেতো ছিলাম কবিতা লিখার জন্য। কবিতা না লিখে : ধান ভান্তে শিবের গীত গাইছি: । নূহা এখন কাছে নাই, সে যেমন চলে গেছে, ঠিক তেমন তার আচরণটাও ভুলে যেতে চাই।
আচ্ছা ভুলতে চাইলেইকি সব কিছু ভুলা যায়। বাইরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে, আমার ঘরটা নদীর পাড়ে, জানলাটা একেবাড়ে নদীর লাগোয়া।
বৃষ্টি মানেই নদীর জলে রিম ঝিম কবিতা। অনেক চেষ্টা করে যাকে ভুলতে চাই তার কথাই প্রতিদিন এই নদীটা মনে করিয়ে দেয়। কারন এই নদীতে যে নবমীর চাঁদ হয়ে সে ডুবদিয়ে ছিলো। কথা ছিলোনা ঠিক, তবে, এ নদীর পূর্ণীমা হতে তার কোন আপত্তি ছিলোনা। বলে চিলো.....
বিশ্বাসের স্থিতিতে ভরা এ নদীর জল,
এতে নির্দিধায় অস্থনমিত হওয়া যায়
এর জলে আসে যদি জীবনের তিথি উজ্ঝ্বল
দক্ষিণে পাইলে কোন বুকখুলা জানালার গ্রীল
উত্তর হতে এসে খেলা করে গেলে পরদায়,
আকাশে প্রেমের রং দেখা দেবে সাদা আর নীল।
তার পর রং নীল হয়েছিলো আর কখনো সাদা হয়নি, মাঝে মাঝেই ঘোর কালো হয়, এর নাম নিরা, নিরা মানে চোখের জল, তার মানে নিরা হলো চোখ, আমাদের নদীটাও চোখের মতো। ঠিক যেনো একটানা একটা চোখ, তাই তাকে ভুলা যায়না। কারণ এ নদীর জল যতদিন থাকবে, নদীই তার কথা মনে করিয়ে দেবে।
তাই মাঝে মাঝেই নদীটাকে নিয়ে ছড়া লিখি। অনেক উন্নত মানের লিখা হবে সেটা আশা করে লিখিনা, লিখি নিজেকে জেনারেট করার জন্য। যেন যা ভুলে যেতে চাই তা যেনো ভুলে গেলে কী ভুলে গেলাম সেটা মনে থকে।
বসেছিলাম কবিতা লিখতে, লিখছি যত সব আজে বজে কথা। যত দূষ নন্দ ঘুষ। ঐ নন্দ ঘুষ নূহাই সব অনিষ্টির মূল।
সব বাদ, এবার কবিতা।
============
রিমঝিম রিম বৃষ্টি পড়ে টাপুর টাপুর, নদী
আঁকছে ছবি তোমার আমার সেই---- সে.. নীরবধি
অল্প হাওয়া গল্প বলে পূবের উদয় তটে
তোমার থেকে রং পেয়েছে সূর্য্য ললাট ঘটে।
একদিন এই নদীর জলে তোমার খোলা পিঠ
জ্বালিয়ে ছিলো সোনার আগুন ভেজা নদীর গায়
আমার চোখে সত্য এটি লোকের চোখে মিথ
পচিম তটে সূর্য তোমার সে রং খুজে পায়।
রাত ঘুরে ফের ধার করা রং, আমার মনের পূবে
নিত্য জাগে, হয়তো এ রং অনন্তরূপ হবে।
===========================================
আজকের মত সমাপন করিলাম। তবে যাইবার কালে পুনশ্চ রূপে আবার নূহার আবির্ভাব, এবার বন্দুক নিয়া হাজি। “ কাকা কেমন আছেন”
ভালো, কেনো এসেছিস।
বন্দুক নিয়া এসেছি, গুল্লি করোম।
কেনো গুল্লি করবি, উত্তরের টাইম নাই ততক্ষণে গুলি হয়ে গেছে, গুলি মানে খেলনা পিস্তল দিয়ে ল্যাপটপে “ইয়া.... ডিসুম ” করে এক গুতা। কোন মতে ল্যাপটপ সামলাইয়া উইটা দাড়াইতেই গায়েব!!!
২| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১১
প্রথম বাংলা বলেছেন: ধন্যবাদ, ভালো লাগলো জেনে। নূহা খুব জ্বালায় আমাদের সবাইকে। তাই নূহাকে আমরা সবাই শাসনও করি বেশি আদরও করি বেশি। কিন্তু কখনো রাগ করে বসে তাকেনা। এটা নূহার অসাধারণ একটা গুণ।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৩৮
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: রাত ঘুরে ফের ধার করা রং, আমার মনের পূবে
নিত্য জাগে, হয়তো এ রং অনন্তরূপ হবে।
লাইনগুলোতে ভালো লাগা।
নূহাকান্ড ও ভালো লাগল।