নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

((((এক দিন আমি চলে গেলে- ছেড়ে এ গ্রহ,যদি আর কোন দিন কোন খানে নাহয় জনম, কেমনে ভাবিব আমি এইখানে শতেক বছর, একশত কোটিবার নিয়েছিনু দম!! ছিলো ঝিনুকের মত গোল নদীটার তিরে মোর ঘর।)))) **ধর্ম বিশ্বাস মানুষকে সুখ দেয়, কারণ ধর্ম মানুষকে আশাবাদী করে, মানুষ বুঝতে পারে

প্রথম বাংলা

দুপেয়ের পরিচয়ে এসেছি মাটির ধামে, মানুষের রূপ পেতে হৃদয়ে কামনা করি রোজ। পরিচয় নেই কিছু আর, এর ভালো যদি খুজে পাই! এই আশাটাই মন সম্বোঝ।

প্রথম বাংলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সভ্যতা কোন একক সময়ের নয়

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৭

স্থান বড় বঙ্কিল, ঢেউ ঢেউ। সময় হলো কুঁচকানো। আমরা এই কুঁচকানো সময়ের বাসিন্দা। আইনস্টাইন এই কথা বলেছিলো ১০০ বছর আগের। আরো বলেছিলো , সময হলো ভাঙ্গা ভঙ্গা, মানে নীরবিচ্ছিন্ন নয়।
১ শত বছর পরে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সনাক্ত করেছে বৃটিশ বিজ্ঞানীরা। আমরা নাকি বদির ছিলাম আগে কেবল মহাকাশ দেখতাম, কিন্তু শুনতে পেতামনা, এখন শুন্তেও পাবো। দারুন ব্যপার।


-------------------মহাকর্ষীয় তরঙ্গ


ধরুন স্থান বাঁকা, তার মানে আমরা ও বাঁকা। আমরা সবাই আপেক্ষিক ভাবে একি মাত্রায় বাঁকা, কিন্তু আলো চলে সোজা পথে । তাহলে আমরা পরস্পরকে কেমন দেখবো? আমরা নিজেকে সোজা দেখতে হলে আমাদের মত ঠিক একি মাত্রায় আলোও বাঁকা পথে চলতে হবে।
একটি লাঠিকে আমরা সোজা দেখছি, তার মানে আলোও মহাকর্ষীয় সেই বক্র ঢেউ খেলানো পথে বাঁকা হয়ে ঢেউ ঢেউ করেই চলছে!! ধরে নিলাম এমনটিই।
বিজ্ঞান কিন্তু এমনই। আজকে যা খাপ ছাড়া বেঢপ ভাবে অবিশ্বাস্য, আগামী দিনে কিন্তু এটিই হয় প্রামাণ্য সত্য।

কোয়ান্টাম পদার্থ বিদ্যা কিংবা মহাকাশীয় পদার্থ বিজ্ঞান সম্পর্কে আমার তেমন কোন ধারণা নাই। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন বিজ্ঞান নিবন্ধ পড়ে পড়ে অল্প কিছু জেনেছি। কিছু জানা ছিলো আগেই, তবে বৈজ্ঞানিক তত্ব হিসাবে না, জানা ছিলো কুসংস্কার হিসাবে। শুধু আবিষ্কারের পর আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে মিলে গেছে মাত্র।

যদি প্রশ্ন করা হয় কারা সবচাইতে বিজ্ঞান জানে?
এক কথায় উত্তর দেয়া যায়, শিক্ষিত সমাজ। বর্তমানে শিক্ষা মানে আমরা বুঝি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। অশিক্ষিত মানুষ মানেই সে বিজ্ঞান জানেনা। কথা সত্য, বিজ্ঞান জানার জন্য শিক্ষার দরকার।

এর ব্যতিক্রমও ঘটে কিন্তু। প্রথম বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার হলো আগুন, সেটা আবিষ্কার করতে মানুষের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার দরকার হয়নি, দরকার ছিলো অনুসন্ধান এবং প্রয়োজন।
ইলেক্ট্রা গাছের পাতা যে অন্য বস্তুকে আকর্ষণে করে সেটি প্রথম বুঝেছিলো বাগানের মালি। চুম্বক পদার্থ প্রথম যে আবিষ্কার কলো সে ছিলো রাখাল বাল। এ যাবত কালে সবচেয়ে বেশি বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারে প্যাটেন্ট টমাস আলভা এডিসনের, প্রায় ২৩০০। কিন্তু তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা খুব বেশি ছিলোনা । সে ছিলো সশিক্ষায় শিক্ষিত।

যাক, প্রসঙ্গে চলে আসি, মানবজাতি যুগে যুগে কালে কালে পুরাতন ফ্যাশনকে সামনে নিয়ে আসে। আবার চলমান ফ্যাশন হয়েযায় সেকেলে । এটিই আবার একদিন নতুন হয়ে আসবে। বিজ্ঞানও অনেক বড় বড় আবিষ্কার করে যা আমাদের প্রাচীন উপকতার সাথে হুবহু মিলে যায়। একটি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে।

এটি একটি উপকথামূলক গল্প--
সে অনেককাল আগের কথা, তখন নাকি আকাশ পৃথিবীর অনেক কাছে ছিলো। সারা পৃথিবীতে মানুষ বলতে একজন বুড়ি মানুষ ছিলো, আর কেউ ছিলোনা। বুড়ি সারাদিন একা একা পৃথিবী ঝাট দিতো, আর আসমান রোদ থেকে বুড়িকে ছায়াদিতো। ত বুড়ি একদিন পৃথিবী ঝাট দিতে দিতে এক পাহাড়ের উপর উঠে পড়লো।
এক পর্যায়ে অনেক্ষণ ঝাট দিতে দিতে সে ক্লান্ত । বুড়িমা পিঠ সুজা করে দাড়াতে গেলো, কিন্তু পিঠ তার সোজা হচ্ছেনা, লেগে গেছে আসমানে। বড়ই সমস্যা..
বুড়িমা বিরক্ত হয়ে ধুরজা আসমান বলে ঝাটা দিয়ে দিল এক বাড়ি ” ।
অভিমানি আকাশ ঝারুর বাড়িতে মনের পেলো গভীর বেদনা, রঙ হলো নীল। এক পর্যায়ে সে পৃথিবীর প্রতিবেশ ত্যগ করে রোয়ানা দিলো দূরের অনন্তে, বাড়তে থাকলো আকাশ আর পৃথিবীর দূরত্ব। সেই ব্যথায় আকাশ এখনো কাঁদে, আকাশের কান্না বৃষ্টির হয়ে ঝরে পড়ে পৃথিবীতে। পৃথিবী সেই বৃষ্টির জলে বুক ভাষায় পরম বিরহে।”

আমরা ছোটবেলায় অসংখ্যবার এই গল্প শুনেছি। আপনি শোনেছেন কিনা জানিনা। হয়তো শুনে তাকবেন, হয়তো না। তখনো হাবেল নামের কোন মানুষকেই চিনিনা, বিজ্ঞানীতো পরের কথা।
বিজ্ঞানী হবেল আমাদেরকে একটি চমৎকার তথ্য দিলেন, যে মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল। এটি ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে, পৃথিবী থেকে দূরে চলে যাচ্ছে প্রথম আকাশ, দ্বিতীয় আকাশ তার থেকেও দূরে। তারা গুলো আরো দ্রুত দূরে চলে যাচ্ছে।

মূল কথা হচ্ছে আকাশ ও পৃথিবীর দূরত্ব বাড়ছে। উপরে উল্লিখিত গল্পটিতে লক্ষ করোন, সেখানেও মূল বিষয় হচ্ছে আকাশ এবং পৃথিবীর দূরত্ব বৃদ্ধি।

হাবেলের আবিষ্কার ঠিক এই কথাটিই বলছে ।

সাত আসমান সাত জমিন এর কথা যাদের কাছে ছোটবেলা শুনেছি তারা বিজ্ঞান জানেনা। ভুমিকম্প হলে তারা বলতো বইশার, পৃথিবী গোল এটা বলা তাদের কাছে অধর্ম। পৃথিবী শূন্যে ভাসমান এই কথা তাদের কাছে পাগলের প্রলাপ, এতই অবেজ্ঞানিক লোক তারা ছিলো। বড় হয়ে ভূগোল পড়ে জানলাম তাদের সাত আসমান সাত জমিন তত্ব একটি উচুঁ মানের বিজ্ঞান। বিষয়টা ক্লিয়ার হচ্ছেনা? আমাদের এই পৃথিবীটা ৭ খন্ড মাটির সংযোগ, মানে সাতটি ভূমি খন্ড পরস্পর সেঁটে আছে একে অপরের সাথে।

কেউ যদি খাবার খেতে খেতে ভিমড়ি খায়, আমরা বলি “ কেউ তোমারে বকা দিতেছে”। কোথায বকা দেয়, কোন যায়গায় তার অবস্থান, কেউ যানেনা। এর আসলে কোন ভিত্তি নাই। ভিমড়ি খাওয়ার সাথে কারো স্মরণ করার কোন সংযোগ নাই।
তবে বিষয়টাকে আরেক ভাবে ভাবা যায়, একজনের ভাবনা চিন্তা অন্য জনের উপর প্রভাব বিস্তার করে এই জিনিসটা একটা উচুঁমানের বিজ্ঞান। আমরা যখন চিন্তা করি বা যাই করি আমাদের মাথার ভিতর অতি অল্প পরিমারে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। এই প্রবাহের মান চিন্তার গভীরতার উপর নির্ভর করে। চিন্তার উত্তান পতন এর সাথে প্রবাহের পরিমান ও বাড়ে কমে । আর আমাদের মস্তিষ্কের মাঝে অনেক প্যাচানো নার্ভ রয়েছে।

একটা নির্ভেজাল বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব হলো পেচানো পথে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে এই প্রবাহ পথের চার পাশে এক ধরণের চুম্বক তরঙ্গ তৈরি হয়। এ ধরণের তরঙ্গের আর একটি ধর্ম হলো এটি যদি আবার কোন কুন্ডলিত তড়িৎ পথ অতিক্রম করে তবে সেখানে ঠিক সম মাত্রার বিদ্যুৎ প্রবাহ তৈরি করে। একে বলে তড়িৎ চুম্বক আবেশ।
ঠিক এই প্রকৃয়াটা আমাদের মস্তিষ্কে ঘটে যখন আমরা কোন চিন্তা করি। আমাদের মস্তিষ্ক থেকে এক ধরণের সূক্ষ তরঙ্গ বের হয়। তরঙ্গটা যখন অনেক দূর ছড়িয়ে যায় তখন এর মান কমে কিন্তু এটি বিলুপ্ত হয়না। অনেক দূরের কোন মানুষ যদি তার মস্তিষ্ক একটু পাওয়ার ফুল হয় কিংবা অজানা কোন শারিরিক প্রক্রীয়ার কারণে সেই চিন্তা ধারণ করতে পারে। যদি ব্যক্তি পরিচিত হয় তবে এই চিন্তাটাও পরিচিত মনে হয় এবং এভাবে চিন্তার বিট মিলে গেলে অনেক দূরের কারো কথা সহসাই আমাদের মনে পড়েযায়।

বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় টেলিপ্যাথি, হয়তো শুনে তাকবেন। এর আর একটা উদাহরণ হলো এরকম-- ধরেন আপনি কারো কথা ভাবছেন, ঠিক এই সময় দেখলে সে আপনার সামনে এসে হাজির। আমরা বলি তুমি অনেক দিন বাচঁবে, অথবা আপনি কোন একটা নিষিদ্ধ কাজ করছেন অনেক্ষণ ধরে। আপনার মনে কোন দূর্ভাবনা আসেনাই। কিন্তু হঠাতই আপনার মনে হলো কেউনা আবার দেখে ফেলে, আপনি উকি মেরে দেখলেন এবং সামনা সামনি ধরা খেলেন। ছোটবেলায় অনেকবার লুকিয়ে সিগারেটা খাবার কালে এমন হয়েছে। কোন কোন দিন নির্ভাবনায় বিড়ি ফুকছি কিছুই হয়নি আবার যেদিন ভাবছি হয়তো কেউ এসে পড়ছে, দেখাগেলো কেউ না কেউ এসেই পড়েছে।

এইখানে কি ঘটে? আপনি বা আমি ভাবছি বলে আগন্তুক চলে এসেছে, নাকি আগন্তুক এসেছে বলে আপনি আমি ভেবেছি? ঘটনাটা হলো, কাছা কাছি কেউ এসেছে বলেই আপনার আমার অবচেতন মস্তিষ্ক ধরে নিতে পারে কেউ আসছে হয়তো।

এখন প্রশ্ন হলো ভিমড়ি খেলে যারা বলতো, হয়তো কেউ স্মরণ করছে তাদের কাছে কোন প্রমাণ ছিলোনা এই টেলিপ্যাথির, তর পরও তারা কী করে এই টেলিপ্যাথির ব্যবহার করে আসছে প্রাচীণকাল থেকে, অথচ তারা জানেইনা!!!

লিখার মতো আরো আছে কিন্তু পড়ার মতো সময়ের তো দরকার! পাঠকের সময়ের একটা দাম আছে।

তবে প্রশ্ন হলো আগের যুগের অশিক্ষিত অল্পশিক্ষিত মানুষরা কী করে এবং কোথা হতে এই সব কথা আবিষ্কার করেছিলো ? এর কোন সু নির্দিষ্ট উত্তর আমার জানা নাই। তবে এটি নিশ্চিত করে বলাযায যে, কোন এক সময় এই পৃথিবীর মানুষ বর্তমানে আবিষ্কৃত বৈজ্ঞানিক বিষযগোলোর অনেকগুলোই জানত।

হতে পারে সেটা ধর্মীয় ভাবে, অথবা হতেপারে সভ্যতা কেবল আমাদেরই একক কৃতিত্ত নয়। আগেও মানুষ যুগে যুগে সভ্য হয়েছে, উন্নত হয়েছে। হয়তো কোন অজানা কারণে ধ্বংস হয়েছে সেই সব সভ্যতা।


সভ্যতা, জ্ঞান বিজ্ঞান, মস্তিষ্ক তরঙ্গ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.