![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুপেয়ের পরিচয়ে এসেছি মাটির ধামে, মানুষের রূপ পেতে হৃদয়ে কামনা করি রোজ। পরিচয় নেই কিছু আর, এর ভালো যদি খুজে পাই! এই আশাটাই মন সম্বোঝ।
বাংলাদেশে যত সাম্প্রদায়ীক সহিংসতা হয়েছে সে গুলোর প্রায় সব গুলোতেই শেষমেশ রাজনীতির একটা ছোঁয়া খুজে পাওয়া যায়।
ক্ষীণ স্বার্থে মানুষ সম্পুর্ণ নিজের চেষ্টাতে উসকানিমূলক বিভিন্ন বিষয় আবিষ্কার করে।
আর ঘুলা জলে মাছ শিকার করতে গিয়ে নষ্ট করে সমাজ। নষ্ট করে শান্তি।
রামু এবং নাসিরনগরের ঘটনা অনেকটা এমনি। কিছু একটা ঘটনা সেখানে ঘটেছে হয়তো।
পবিত্র কাবাশরিফকে অপমান করে একটা ছবি কে বা কারা নেটে ছড়ায়ে দিলো। এ কাজটা খুব জঘন্য হয়েছে, যা আসলেই মানা যায়না। আমার বিশ্বাসে আমার অনুভূতি অন্য কেউ আঘাত দিলে তা আমি কেনো মানবো?
কথা সত্য , এটি মানা যায়না। কিন্তু আমাদের যেটা ভাবতে হবে তা হলো, দেশে একটি আইন নয়, অনেকগুলো আইন আছে যেখানে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া এটি বড় ধরণের শাস্থিযোগ্য অপরাধ।
সরকার একটা আইন করেছে “তথ্যপ্রযুক্তি আইন” নামে। সেখানেও বলা হয়েছে যে, কেউ যদি কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয় তা হলে তার সেই অপরাধে সর্বোচ্চ যাবৎজীবন কারাবাস এবং ২কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
যেখানে বিচারের ব্যবস্থা আছে সেখানে আমি কেনো প্রথমেই অন্যের বাড়িঘরে ভাঙ্চুর চালাবো। আর একজনের পাপে অসহায় নির্বিশেষে সকলকেই সাজা দিতে হবে?
আদালত যদি বিচার না করে তা হলে হয়তো বিকল্প বিষয় ভাবা যাইতে পারে।
নাসিরনগরের ঘটনাটা শেষমেশ রাজনৈতিক ছুঁয়ার এত বড় হয়েছে। আওয়ামিলিগ নেতা ফারুক মিয়া ঘটনাটিকে তার ব্যক্তিগত প্রতিশোধের হাতিয়ার হিসাবে নিয়েছে বলেই ঘটনাটি এত বড় হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রথেকে প্রমানিত। যে জেলেপাড়ার লোকসকল তাকে ভোট দেয়নি তারাই হয়েছে নির্যাতনের শিকার।
ইসলামতো প্রথমে সহনশীল, তারপর ধর্যশৗল, তারপরও ধর্যশিল থাকবে। নিরুপায় হলে সংঘাতের পথ বেঁচেনেবে।
কিন্তু আমরা প্রথমেই কেনো সহিংসতায় এবং সংঘাতে চলে যাচ্চি? আমাদেরকি ভূল পথে পরিচালিত করা হচ্ছে?
রসরাজ দাস একজন পেশাদার মৎসজীবি। লেখাপড়া নাই বললেই চলে। তার এখন মাছ ধরার সময়। সারা বছরের ব্যবসার ফলাফল এখন তার ঘরে উঠবে। এখন নিশ্চয় তার এমনটা ইচ্ছা হবার কথানয় যে মুসলমানের দেশে বাস করে মুসলমানদের কাবাকে অপমান করে একটি পোষ্ট দিয়েদিই!!? এটা তার সহজে পাড়াও কথা নয়। যদি একটি বেকার ভবঘুরে ছেলের উপর অভিযুগ উঠতো তা হলে হয়তো বলা যেতো তার মাথায় এমন দুষ্ট তিন্তা আসতেই পারে। কিন্তু কোন পেশাধার মানুষরা এত আজাইরা হয়না। আর বিলের ব্যবসায় ঠিকমত ভাত খাবার সময় পাওয়া যায়না। হয়তো এটি কোন সাইড পোষ্টিং।
এই কথা এখন নাসিরনগরের নেত্রিস্থানীয় সকল মানুষই বলছে।
কিন্তু ততক্ষণে অনেক মানুষের স্বপ্ন ভেঙ্গে খানখান।
©somewhere in net ltd.