![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা কম বেশি সবাইই ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযানগুলো দেখি, পর্যবেক্ষণ করি, এমনকি অভিযোগও করি। এই সেদিন আমি ফেইসবুকভিত্তিক মার্কেটপ্লেসের নামে অভিযোগ করেছিলাম। তার আগে চামড়ার দাম অস্বাভাবিকরকম কম কেন, সেটা নিয়ে করেছিলাম।
ইদানীং পাকিস্তানী বা ভারতীয় কাপড়ের নামে বাংলাদেশে তৈরী করা পোশাক চড়ামূল্যে বিক্রি করে ক্রেতাদের ঠকাচ্ছেন, এ নিয়ে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযান। আমার অনেক ভাল লাগলো এটা দেখে, কারণ আমি বেশ ক’বছর ধরে এটা লক্ষ্য করে আসছি। দোকানের লোকেরা বলে, ভারতীয়, পাকিস্তানী না বললে ক্রেতারা এগুলো কিনতে চায় না।
এখন আবার অনলাইনে দেখছি জাপানী সিল্ক, দুবাই সিল্ক। অনেকেই বলছে এগুলোর গল্পও একই। যদিও একসময়ে অরিজিনাল জাপানী সিল্কের জামা আমি পরেছিলাম, একটু ভারী ধরণের। কিন্তু এখন নাকি নকলই বেশি!
দেশি পণ্য! আমাদের গর্বিত হবার কথা ছিল। কিন্তু হচ্ছি বিরক্ত! নকল লেবেলিং এর কারনে! গাউছিয়া নিউমার্কেট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে শ্যম্পু কিনে ঠকেছি, নকল বোঝাই যাচ্ছিল। একসময়ে আলমাসকে সবাই বিশ্বাস করতো। সেই বিশ্বাসও অনেকটা টুটে গেছে!
একসময়ে হেলভেশিয়া, পিৎজা হাট আমাদের বিশ্বাস ভেঙ্গে দিয়েছিল। ফি বছরই এই মোবাইল কোর্ট বা ভেজাল বিরোধী অভিযানের নামে বা ভোক্তা অধিকার এর নামে নানারকম নজরদারী হচ্ছে। সেমাই ঘি এ ভাজা, নাকি রঙ মেশানো হচ্ছে, কিচেনের পরিস্থিতি কি? নানারকম নজরদারী। মাছের ফুলকা কি রঙ দিয়ে লাল নাকি ফরমালিন, আম কি ফরমালিন দেয়া নাকি ফ্রেশ! বোতলজাত পানি বিশুদ্ধ কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি নানা সতর্কতা জনগণের বৃদ্ধি পেয়েছিল!
অনেক প্রশংসাই কুড়িয়েছে এ অভিযানগুলো। বর্তমানে একটা কথা সব জায়গায় উচ্চারিত হয়। টেকসই পরিবর্তন বা উন্নয়ন। উন্নয়নের জোয়ারে গা ভাসালেই হবে না, সেটা হতে হবে পরিবেশবান্ধব, স্থায়ী বা দীর্ঘস্থায়ী, সুলভ মূল্যে।
আমরা বুডিগঙ্গার কালো পানি নিয়ে আন্দোলন করে করে ক্লান্ত। অবস্থার পরিবর্তন খুবই যৎসামান্য। ওয়াসার পানির অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নত। সেদিন মুগদা খালপাড়ের পানির একই হাল দেখলাম। নিজের মনকে সান্তনা দেই, এখন বৃষ্টি নেই, তাই হয়তো পানির স্তর কমে গেছে, নোংরাটাই বেশি দেখা যাচ্ছে। উপরে কাল্ভার্ট বা ছাদ ঢালাই-এর মতো করে দিয়ে রাস্তা করে দিলে হয়তো এই দূষণ চোখের সামনে আসতো না।
এই বছরসহ গেল কয়েক বছরে বায়ুদূষণে ঢাকা প্রায়শঃই চ্যাম্পিয়ান, না হলে দ্বিতীয় বা তৃতীয়। একসময়ে প্রচুর কালো ধোঁয়া নির্গত হওয়া গাড়ি ধরা হয়েছিল, শাস্তির আওতায় আনা হয়েছিল। গতকালই এরকম একটা গাড়ি দেখলাম শা করে পার হয়ে গেল আমার চোখের সামনে দিয়ে। মনে আতংক তৈরি হলো আবারো বায়ু দূষণের চ্যাম্পিয়ান হতে যাচ্ছি!
আমার মনে হয় এই শুষ্ক মৌসুমে যেহেতু বৃষ্টি কম হয়। তাই বাতাসে বিষাক্ত পদার্থের পরিমাণ বেড়ে যায়। কি করলে যে এই দুষণ কমবে জানে না কোন বিজ্ঞজন।
এই ঢাকা শহর সাক্ষাৎ মৃত্যুপুরীতে রূপান্তরিত হয়েছে। নানা কারণেই এখানে মৃত্যু খুঁকি বেশি। রাজনৈতিক তো বটেই, এই বাংলাদেশের নানান অঞ্চলে সড়ক ও লঞ্চ দুর্ঘটনায় প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ মারা গেছে বিগত বছরগুলোতে। এই তো শুরু হয়েছে ঈদে বাড়ি ফেরা। ঢাকায় সুস্থ দেহে না ফেরা পর্যন্ত আতংক, হঠাৎ কোন দুর্ঘটনা কোথায় ঘটে? নাকি লঞ্চ ডুবে?!
এ বছর আরেক আতংকের নাম হলো চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, রামদার ঝনঝনানি। যে কোন মুহূর্তে এক কোপে জীবন চলে যাচ্ছে, যেতে পারে যে কোন মুহূর্তে। ঈদে ঢাকা ফাঁকা হলে খালি বাড়ি বা ব্যাংকের ভল্ট বা এটিএম বুথ ভাঙতে পারে, ডাকাতি হতে পারে, এই আতংক ফিবছর! এ বছর যেন আরো বেশি! স্বর্ণের দোকানিরা তো নিত্য আতংকে আছে, না জানি কোনদিন বেঘোরে কোপ খাওয়া লাগে! স্বর্ণ তো যায়-ই, সাধের প্রাণও যায়!
এই যে এখন পর্যন্ত বেঁচে আছি আর দু লাইন লিখছি, আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া!
এক সময়ে বেশ আলোচনায় এসেছিল, খাবারের বা বিভিন্ন পণ্যের মানদন্ড নির্ণয়ে বিএসটিআই তাদের ফরেনসিক ল্যাবে যে পরীক্ষা নিরীক্ষগুলো করে, সেখানে আরো অনেক ক্যাপাসিটি বাড়াতে হবে। আরো উন্নয়ন দরকার ল্যাবগুলোর। জানি না তা আর হয়েছে কিনা! মানে বিএসটিআই-এর মানদন্ডই এখন পর্যাপ্ত নয়। এ ব্যাপারে সরকারের আশু পদক্ষেপ আশা করছি। আমরা সাধারণেরা অন্ততঃ দুটো ভাল খেয়ে পরে বাঁচি, যে ক’দিন বেঁচে থাকা!
২| ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৯
রিফাত হোসেন বলেছেন: সঠিক কথা বললে চাকরি থাকবে না। বিএসটিআই নিয়ে যদি বলেন তাহলে অনেক ভেজাল আছে সম্ভবত। আমার মন বলছে অধিকাংশ ভোগ্য পণ্যে ভেজাল আছে। নামীদামী প্রতিষ্ঠানকে নিয়েই বলছি। স্বাদ-গন্ধে পূর্বের মত নয়। quality এর সাথে compromised হয়েছে। দাম ধরে রাখতে গিয়ে এই অবস্থা। এত মুদ্রাস্ফীতির মধ্যেও সব শ্রেণীর ভোক্তাকে ধরে রাখার প্রয়াস।
৩| ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৯
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: সভ্য দেশে খাবার ও প্রসাধন সামগ্রী বিনা টেস্টিং এ বাজারে ছাড়া যায় না। হাইজিন সার্টিফিকেট পাওয়ার পরই কেবল পন্য বাজারে ছাড়া যায়। এ কারনেই আমাদের দেশী পন্য তাই প্রবাসে আমরা নির্দ্বিধায় খাই। কারন সেগুলো ১০০% ভেজালমুক্ত।
৪| ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:১৫
ঈশান মাহমুদ বলেছেন: বাংলাদেশে 'সৎ ব্যবসায়ী'তো দূরের কথা আসলে 'ব্যবসায়ী' বলেও কেউ নেই। আছে অত্যন্ত শঠ, লোভী, প্রতারক, মিথ্যুক কিছু এবং আমদানীকারক এবং দোকানদার। এরা বিভিন্ন ভাবে মানুষের রক্ত চুষে ফুলে ফেঁপে উঠছে। এদের ঠেকানোর যেন কেউ নেই।
৫| ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ ভোর ৬:১৯
বাকপ্রবাস বলেছেন: এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবেনাতো তুমি.......................
৬| ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ কাউকে ঠকাতে পারলেই ভাবে, জিতে গেলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৯
শায়মা বলেছেন: আমাদের দেশে মানুষ কত কিছুই না কিনে যে জীবনে ঠকেছে!!!

এমন কাউকেই মনে হয় পাওয়া যাবেনা যে কিছু না কিছু কিনে ঠকেনি।
আমি প্রথমে ছবির মেয়েটাকে তুমি ভেবেছিলাম!