![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নতুন সূর্য, নতুন দিন, নতুন স্বপ্ন, নতুন আশা, নতুনের সূচনা।
চর্যার সময়কাল নিয়েও গবেষকমহলে মতবিরোধ আছে। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ও প্রবোধচন্দ্র বাগচীর মতে চর্যার পদগুলি খ্রিস্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রচিত। কিন্তু ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও রাহুল সাংকৃত্যায়ন এই সময়কালকে আরও ২০০ বছর পিছিয়ে দিয়ে চর্যার রচনাকাল খ্রিস্টীয় অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী বলে মতপ্রকাশ করেছেন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতে অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান (৯৮০ – ১০৫৩ খ্রিস্টাব্দ) তিব্বত যাত্রার পূর্বে (১০৩০ খ্রিস্টাব্দ) লুইপাদের অভিসময়বিহঙ্গ রচনায় সাহায্য করেছিলেন। একথা সত্য হলে লুইপাদ দশম শতাব্দীর শেষভাগে বর্তমান থাকবেন। অপরদিকে তিব্বতি কিংবদন্তী অনুসারে তিনিই সিদ্ধাচার্যদের আদিগুরু; অর্থাৎ, চর্যার সময়কালও দশম শতাব্দীর পূর্বে হতে পারে না। অন্যদিকে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে হেবজ্রপঞ্জিকাযোগরত্নমালা নামে এক বৌদ্ধতান্ত্রিক পুঁথির সন্ধান মেলে, যেটির রচনাকাল শেষ পালরাজা গোবিন্দপালের (১১৫৫ খ্রিস্টাব্দ) শাসনকাল। বিশেষজ্ঞদের মতে এই পুঁথির রচয়িতা শ্রীকৃষ্ণাচার্যই প্রকৃতপক্ষে চর্যার কাহ্নপাদ বা চর্যা-টীকার কৃষ্ণাচার্য। নাথ সাহিত্য অনুযায়ী কাহ্নপাদের গুরু জালন্ধরিপাদ বা হাড়িপা, যিনি গোরক্ষনাথের শিষ্য ছিলেন। আবার মারাঠি গ্রন্থ জ্ঞানেশ্বরী (রচনাকাল আনুমানিক ১২৯০ খ্রিস্টাব্দ) থেকে জানা যায় উক্ত গ্রন্থের রচয়িতা জ্ঞানদেব দীক্ষালাভ করেন নিবৃত্তিনাথের কাছ থেকে, যিনি গোরক্ষনাথের শিষ্য গেইনীনাথ বা গোয়নীনাথের থেকে দীক্ষাপ্রাপ্ত। সেই হিসাবেও কাহ্নপাদকে দ্বাদশ শতাব্দীর মানুষ বলে মনে হয়।
এইসব তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে চর্যার পদগুলি খ্রিস্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রচিত বলেই অনুমিত হয়। তবে তার পরেও দু-তিনশো বছর ধরে গোপনে চর্যাগীতি রচিত হয়েছিল। শশিভূষণ দাশগুপ্ত নেপাল ও তরাই অঞ্চল থেকে এই ধরণের শতাধিক পদ উদ্ধার করেছেন। ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে এগুলি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় নব চর্যাপদ নামে সংকলিত ও প্রকাশিত হয়
চর্যাপদ --- ১
২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১:২১
অিপ পোদ্দার বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
আপনার পরামর্শে আগেরটার লিঙ্ক শেষে দিয়ে দিলাম। আশা করছি প্রতিদিন এই সিরিজটা দিব, আপনারা ভুলে যাওয়ার আগেই, যাতে পড়তে পারেন।
২| ২১ শে মে, ২০১৩ রাত ৩:৫৩
প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: হায়রে অবস্থা! একটা নির্বাচিত পোষ্টের এই হাল! কেউ দেখছে না, কমেন্ট করছে না!
অপিপু, আপনি দমবেন না, ভালো পোষ্টের কদর দেয়ার যোগ্যতা অনেকেরই নেই। সিরিজ ভালো হচ্ছে। তবে পোষ্টগুলো একটু শর্ট হয়ে যাচ্ছে মনে হয়। যদি প্রাসাঙ্গিক কয়েকটা ফটো দিতেন, বেশ হতো। লিখতে থাকেন।
লেখা কেমন হয়েছে সে বিষয়ে কি আর বলবো, সিরিজের প্রথম দুইটা পোষ্টই নির্বাচিত পাতায় গেছে। আমার কিছু না বললেও চলবে।
+
২১ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৩৮
অিপ পোদ্দার বলেছেন: সেই বিকাল থেকে চেষ্টা করছি, লগ ইন হচ্ছে না!!!!!
ছবি দেয়ার চিন্তা করেছি, সামনে দেয়ার চেষ্টা করবো। আপনি বলার জন্য ধন্যবাদ। ইচ্ছা করেই ছোট পোস্ট করেছি, বেশি বড় কোন পোস্ট হলে, আমি নিজেই পড়ি না, এর বিষয়বস্তুটাও কিছুটা জটিল, বিশেষ করে নামগুলো, তাই ছোট করে দিয়েছি যাতে পড়তে বিরক্তি না লাগে। আপনারা চাইলে বড় করে দেব।
আমি হিট হতে চাই না, কেউ না পড়লেও সমস্যা না, যার আগ্রহ হবে পড়বে। আমিও তো সবারটা পড়ি না। কিন্তু ফাও ফাও এসে নোংরা কমেন্ট করবে, বিষয়বস্তুর সাথে মিল নাই, যা তা বলে যাবে, আমার লেখা কিভাবে ভালো করা যায় তা নিয়ে কিছু বলা নাই, অমন পড়ুয়ার আমার দরকার নাই। তারা যত আমার ব্লগে না আসে মঙ্গল।
নির্বাচিত পাতায় গেছে দেখে :!> :#>
৩| ২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:২৫
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: সিরিজ লেখা আজকাল মানুষ পড়তে চায়না, কারন বেশিরভাগ সময়ই সিরিজের সব লেখাগুলো চোখে পড়েনা। অনেক লেখার ভীরে হারিয়ে যায়।
তার পরও আপনার লেখার শিরোনাম পরে আগ্রহী হয়ে দুটো লেখাই পড়লাম। একটা বিষয়ে হতাশ হতে হল, এত ছোট লেখা দুই খণ্ড করা উচিত হয়নি মোটেও।
২১ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৫১
অিপ পোদ্দার বলেছেন: ইচ্ছা করেই ছোট পোস্ট করেছি, বেশি বড় কোন পোস্ট হলে, আমি নিজেই পড়ি না, এর বিষয়বস্তুটাও কিছুটা জটিল, বিশেষ করে নামগুলো, তাই ছোট করে দিয়েছি যাতে পড়তে বিরক্তি না লাগে। আপনারা চাইলে বড় করে দেব।
সিরিজ লেখা ভালো লাগলে Bookmark করে রাখতে পারেন, এতে হারাবে না। লেখাটা অনেক বড়, বিষয়বস্তুটাও জটিল, তাই বাধ্য হয়ে সিরিজ করেছি। আশা করছি প্রতিদিন এই সিরিজটা দিব, যাতে হারিয়ে ও ভুলে যাওয়ার আগেই পড়তে পারেন। মতামত দেয়ার জন্য ধন্যবাদ, যেভাবে আপনারা পড়তে চান সেভাবে দেয়ার চেষ্টা করবো।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১:০৪
সুপারনোভা ০০৭ বলেছেন: পড়লাম..।
পরের গুলো চাই। আগের টার লিঙ্ক দিতে পারেন এটাতে।