নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নতুনেরই জয়গান।

একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার

অিপ পোদ্‌দার

নতুন সূর্য, নতুন দিন, নতুন স্বপ্ন, নতুন আশা, নতুনের সূচনা।

অিপ পোদ্‌দার › বিস্তারিত পোস্টঃ

চর্যাপদ --- ৪ (শেষ অংশ)

২২ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩

হরপ্রসাদ শাস্ত্রী তাঁর সম্পাদিত হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা বৌদ্ধ গান ও দোহা গ্রন্থের ভূমিকায় চর্যাচর্যবিনিশ্চয়, সরহপাদ ও কৃষ্ণাচার্যের দোহা এবং ডাকার্ণব-কে সম্পূর্ণ প্রাচীন বাংলার নিদর্শন বলে দাবি করেছেন। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের আবিষ্কর্তা ও সম্পাদক বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভও তাঁর দাবিকে সমর্থন করেন। ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে বিজয়চন্দ্র মজুমদার তাঁদের দাবি অস্বীকার করে চর্যা ও অন্যান্য কবিতাগুলির সঙ্গে বাংলা ভাষার সম্বন্ধের দাবি নস্যাৎ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় তাঁর The Origin and Development of the Bengali Language গ্রন্থে চর্যাগান ও দোহাগুলির ধ্বনিতত্ত্ব, ব্যাকরণ ও ছন্দ বিশ্লেষণ করে শুধুমাত্র এইগুলিকেই প্রাচীন বাংলার নিদর্শন হিসাবে গ্রহণ করেন। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্যারিস থেকে প্রকাশিত Les Chants Mystique de Saraha et de Kanha গ্রন্থে সুনীতিকুমারের মত গ্রহণ করেন।



যেসকল ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য চর্যার সঙ্গে বাংলার সম্পর্ককে প্রমাণ করে সেগুলি হলোঃ



সম্বন্ধ পদে – অর বিভক্তি, সম্প্রদানে –কে, সম্প্রদানবাচক অনুসর্গ –অন্তরে (মধ্যযুগীয় ও আধুনিক রূপ –তরে), অধিকরণে –অন্ত, -ত, অধিকরণবাচক অনুসর্গ –মাঝে, অতীত ক্রিয়ায় –ইল এবং ভবিষ্যত ক্রিয়ায় -ইব। চর্যা মৈথিলী বা পূরবীয়া হিন্দিতে রচিত হলে অতীত ক্রিয়ায় –অল ও ভবিষ্যতে –অব যুক্ত হত।

গুনিয়া, লেহঁ, দিল, ভণিআঁ, সড়ি, পড়িআঁ, উঠি গেল, আখি বুজিঅ, ধরণ ন জাঅ, কহন না জাই, পার করেই, নিদ গেলা, আপনা মাংসে হরিণা বৈরী, হাড়ীত ভাত নাহি ইত্যাদি বাগভঙ্গিমা ও শব্দযোজনা বাংলা ভাষায় পরবর্তীকালেও সুলভ। এর সঙ্গে অবশ্য তসু, জৈসন, জিস, কাঁহি, পুছমি প্রভৃতি পশ্চিমা অপভ্রংশের শব্দও আছে। তবে সেগুলি মূলত কৃতঋণ শব্দ হিসাবেই চর্যায় ব্যবহৃত হয়েছে।

সম্প্রদানে – ক এবং –সাথ, -লাগ, -লগ-এর বদলে সঙ্গে, সম অনুসর্গের ব্যবহার এবং নাসিক্যধ্বনির বাহুল্যের জন্য চর্যার ভাষাকে রাঢ় অঞ্চলের ভাষা বলে মনে করা হয়।



অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছেন, “চর্যার আচার্যেরা কামরূপ, সোমপুরী, বিক্রমপুর – যেখান থেকেই আসুন না কেন, আশ্চর্যের বিষয়, এঁরা সকলেই রাঢ় অঞ্চলের ভাষানীতি গ্রহণ করেছিলেন।”



রাহুল সাংকৃত্যায়ন বা অন্যান্য ভাষার বিদ্বজ্জনেরা যাঁরা চর্যাকে নিজ নিজ ভাষার প্রাচীন নিদর্শন বলে দাবি করেছিলেন, তাঁরা এই রকম সুস্পষ্ট ও সুসংহত বৈজ্ঞানিক প্রমাণের দ্বারা নিজেদের দাবি প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হননি।



চর্যাপদের ভাষা অস্পষ্ট ও দুর্বোধ্য। সেই কারণে চর্যায় ব্যবহৃত ভাষাকে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বলেছেন সন্ধ্যাভাষা। তাঁর মতে,



“ সহজিয়া ধর্মের সকল বই-ই সন্ধ্যা ভাষায় লেখা। সন্ধ্যা ভাষার মানে আলো-আঁধারি ভাষা, কতক আলো, কতক অন্ধকার, খানিক বুঝা যায়, খানিকটা বুঝা যায় না। অর্থাৎ, এই সকল উঁচু অঙ্গের ধর্মকথার ভিতরে একটা অন্য ভাবের কথাও আছে। সেটা খুলিয়া ব্যাখ্যা করিবার নয়। যাঁহারা সাধনভজন করেন তাঁহারাই সে কথা বুঝিবেন, আমাদের বুঝিয়া কাজ নাই। ”



বজ্রযানী ও সহজযানী গ্রন্থকারগণ প্রায়শ ‘সন্ধ্যাভাষয়া বোদ্ধব্যম্’ বলে এক রহস্যের ইঙ্গিত দিতেন। বজ্রযানী গ্রন্থগুলিতে ‘সন্ধ্যাভাষা’ শব্দটি বহুল-ব্যবহৃত। তিব্বতি ভাষায় ‘সন্ধ্যাভাষা’র অর্থ ‘প্রহেলিকাচ্ছলে উক্ত দুরুহ তত্ত্বের ব্যাখ্যা’। যদিও মহামহোপাধ্যায় বিধুশেখর শাস্ত্রী ও ডক্টর প্রবোধচন্দ্র বাগচী ‘সন্ধ্যা’র বদলে সন্-ধা ধাতু থেকে নিষ্পন্ন ‘সন্ধা’ শব্দটি ব্যবহারের পক্ষপাতী। তাঁদের মতে, ‘সন্ধ্যা’ লিপিকরদের প্রমাদ। ‘সন্ধা’ শব্দের অর্থ ‘অভিপ্রেত, উদ্দিষ্ট, আভিপ্রায়িক বচন’। ম্যাক্সমুলার ‘সন্ধা’র অর্থ করেছেন ‘প্রচ্ছন্ন উক্তি’ (‘hidden saying’)। চর্যার ধর্মীয় প্রসঙ্গের সঙ্গে ‘সন্ধা’ এ-দিক দিয়ে যুক্তিগ্রাহ্য হলেও, যেহেতু অধিকাংশ পুঁথিতেই ‘সন্ধ্যা’ শব্দটি রয়েছে সেই কারণে হরপ্রসাদের অর্থেই আধুনিক গবেষকগণ এই শব্দটি গ্রহণ করেছেন। চর্যাপদের গুপ্ত ভাষার বৌদ্ধ - তান্ত্রিক ব্যাখ্যার চেষ্টা করা হয়েছে।







চর্যাপদ একাধিক চরণবিশিষ্ট, অন্ত্যমিলযুক্ত ও গীতিধর্মী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সংস্কৃত সাহিত্যের চিত্রধর্মী শ্লোক বাংলা সাহিত্যের উপর কোনও স্থায়ী প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। বরং চর্যার গীতিকবিতাগুলিই পরবর্তী বাংলা কাব্যসঙ্গীতের আঙ্গিকের ক্ষেত্রে আদর্শ হয়ে ওঠে। অন্যদিকে চর্যার কবিরা যে তাঁদের ধর্মদর্শন ও সাধনপদ্ধতি রূপকের আড়ালে ব্যক্ত করে গান বেঁধেছিলেন, পরবর্তীকালের হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের সাধককবিরা সেই আদর্শেই তাঁদের স্ব স্ব ধর্মীয় সাধনসঙ্গীত রচনায় প্রবৃত্ত হন। বৈষ্ণব পদাবলি, বাউল গান, সুফি মুর্শিদি গান, নাথপন্থী দেহযোগী গান বা শাক্তপদাবলি– সবই চর্যাসংগীতের উত্তরসূরী। চর্যার পদগুলিতে পদকর্তাদের নামের সঙ্গে বিভিন্ন রাগ-রাগিনীর নামও পাওয়া যায়। এথেকে সহজেই অনুমিত হয় যে, এই পদগুলি সুরসহযোগে গাওয়া হতো। পটমঞ্জরী রাগে চর্যার ১১টি পদ (পদ- ১, ৬, ৭, ৯, ১১, ১৭, ২০, ২৯, ৩১, ৩৩ ও ৩৬) নিবদ্ধ। এই রাগে গাওয়া পদের সংখ্যাই সর্বাধিক। এরপরেই মল্লারী রাগে ৫টি পদ (পদ- ৩০, ৩৫, ৪৪, ৪৫ ও ৪৯) নিবদ্ধ রয়েছে। ৪টি করে পদ ভৈরবী (পদ-১২, ১৬, ১৯ ও ৩৮), কামোদ (পদ- ১৩, ২৭, ৩৭ ও ৪২), বরাড়ী (চর্যায় অপর নাম বলাড্ডি, পদ- ২১, ২৩, ২৮ ও ৩৪) এবং গুঞ্জরী (চর্যায় অপর নাম গুঁজরী বা কহূ গুংজরী, পদ- ৫, ২২, ৪১ ও ৪৭) রাগে নিবদ্ধ। গৌড় (চর্যায় নাম গবড়া বা গউড়া, পদ- ২, ৩, ১৮) রাগে ৩টি পদ নিবদ্ধ। দেশাখ (চর্যায় অপর নাম দ্বেশাখ, পদ- ১০ ও ৩২), রামকেলি (চর্যায় অপর নাম রামক্রী, পদ- ১৫ ও ৫০), আশাবরী (চর্যায় অপর নাম শিবরী বা শবরী, পদ- ২৬ ও ৪৬) ও মালসী (চর্যায় অপর নাম মালসী গবুড়া, পদ- ৩৯ ও ৪০) রাগে ২টি করে এবং অরু (পদ ৪), দেবগিরি (চর্যায় অপর নাম দেবক্রী, পদ ৮), ধানশী (চর্যায় অপর নাম ধনসী,পদ ১৪) ও বঙ্গাল (পদ ৩৩) রাগে একটি করে পদ নিবদ্ধ। ২৫তম পদটি খণ্ডিত ও এর রাগনির্দেশ জানা যায় না।





সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ ॥



চর্যা-১



লুই



শরীরের গাছে পাঁচখানি ডাল–

চঞ্চল মনে ঢুকে পড়ে কাল।

দৃঢ় ক’রে মন মহাসুখ পাও,

কী-উপায়ে পাবে গুরুকে শুধাও।

যে সবসময় তপস্যা করে

দুঃখে ও সুখে সেও তো মরে।

ফেলে দাও পারিপাট্যের ভার,

পাখা ভর করো শূন্যতার–

লুই বলে, ক’রে অনেক ধ্যান

দেখেছি, লভেছি দিব্যজ্ঞান।



চর্যা-১৫



শান্তি



স্বয়ং-সংবেদন-স্বরূপ বিচারে

অলখ হয় না লক্ষণ;

সোজা পথে গেল যে-যে, আর হয় না রে

তাদের প্রত্যাবর্তন!

কূলে-কূলে ঘুরে ঘুরে বেড়িয়ো না, মূঢ়,

সোজা পথ এই সংসার–

ভুল পথে তিলার্ধ না যেন রে ঘুরো,

কানাত-মোড়ানো রাজ-দ্বার।

মোহের মায়ার এই মহাসিন্ধুর

না-বুঝিস কূল আর থৈ,

নাও নাই, ভেলা নাই, দেখ যত দূর,

নাথে না শুধাও, পাবে কই।

শূন্য এ পাথারের পরিসীমা নেই,

তথাপি রেখো না মনে দ্বিধা–

অষ্টসিদ্ধিলাভ হবে এখানেই

হামেশা চলিস যদি সিধা।

শান্তি বলেন, বৃথা মরিস না খুঁজে,

তাকাস নে বামে দক্ষিণে;

সোজা পথে অবিরত চল্ চোখ বুজে,

সহজিয়া পথ নে রে চিনে।



চর্যা-৪২



কানু



শূন্যে পূর্ণ চিত্ত সহজে,

কাঁধ ভেঙে গেলে দুঃখ নেই;

কানু ম’রে গেছে, তোমরা কহ যে–

সে আছে ত্রিলোকে সবখানেই।

দৃশ্যলোপে যে বুক-দুরুদুরু,

ঢেউ কি কখনও শোষে সাগর?

দেখে না চক্ষু-বিহীন মূঢ়

দুধে-মিশে-থাকা দুধের সর।

আসে না যায় না কেউ এ-ঠাঁই,

এই বুঝে কানু আছে তোফাই।



সিদ্ধাচার্যগণ অসামান্য কবিত্বশক্তির অধিকারী হলেও তাঁরা মূলত ছিলেন সাধক। বৌদ্ধ সহজযানী চিন্তা, দর্শন ও সাধনপদ্ধতিই তাই চর্যাপদের উপজীব্য হয়ে ওঠে। এই সহজযানী দর্শন একান্তই ভাববাদী। সিদ্ধাচার্যগণ সহজমার্গের পথিক ছিলেন। শুষ্ক তত্ত্বকথা নিয়ে তাঁরা সন্তুষ্ট থাকতেন না। সেজন্য প্রথাগত সংস্কারের ধারও তাঁরা ধরতেন না। মায়াপ্রপঞ্চ ও দ্বৈতবোধের উর্ধ্বে স্থিত যে ‘বোধিচিত্ত’, সকল প্রকার দ্বৈতবোধ পরিহার করে সাধনযোগে অবধূতিকামার্গের পথে সেই ‘বোধিচিত্ত’কে ‘মহাসুখকমল’-এ স্থিত করাই সিদ্ধাচার্যদের সাধনার লক্ষ্য ছিল। এই ‘মহাসুখ’ সহজযান মতে একটি বিশেষ তত্ত্ব। সাধক ‘মহাসুখ’ লাভ করলে মায়াময় পৃথিবী সম্পর্কে জ্ঞানরহিত হন। এখানে হিন্দুদর্শনের সমাধিতত্ত্বের সঙ্গে ‘মহাসুখ’ দর্শনের সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়। চর্যাকারগণ গুরুবাদকে স্বীকার করেছেন। কুক্কুরীপাদের মতে, এক কোটি লোকের মধ্যে একজন চর্যার গূহ্যার্থ অনুধাবনে সক্ষম। সেক্ষেত্রে গুরুভিন্ন গতি নেই। বাস্তবিকই চর্যার কথা লৌকিক অর্থের বদলে সংকেতে আবৃত হওয়ায় তা সর্বসাধারণের বুদ্ধিতে ঠিক ধরে না। এই দ্বৈতার্থের কয়েকটি নিদর্শন হলো: নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস অর্থে 'চন্দ্র', চিত্ত অর্থে 'হরিণ', জ্ঞানমুদ্রা অর্থে 'হরিণী', মহাসুখকায় অর্থে 'নৌকা', শবরী অর্থে 'দেবী নৈরাত্মা' ইত্যাদি।



চর্যার বিষয় ধর্মকেন্দ্রিক ও তত্ত্ববহুল হলেও তার বাহ্যিক রূপটি লৌকিক ও সামাজিক জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত হওয়ায় তার সাহিত্যিক মূল্যটিকে অস্বীকার করা যায় না। চর্যার কোনও কোনও পদে তত্ত্ব তার কাব্যের রূপটিকে ছাপিয়ে গেছে। সেইসব পদের সাহিত্যমূল্য নগন্য। কিন্তু অনেক পদেই যেসকল রূপকের আড়ালে ধর্মকথা ব্যাখ্যাত হয়েছে তার সজীবতা ও পার্থিব সুবাস তাকে একটি সর্বাঙ্গসুন্দর কাব্যচিত্ররূপে তুলে ধরেছে। এইসব পদের সাহিত্যমূল্য অপরিসীম।







অধ্যাপক নীহাররঞ্জন রায় মন্তব্য করেছেন, “যত গূহ্য অধ্যাত্মসাধনার গূহ্যতর তত্ত্বই ইহাদের মধ্যে নিহিত থাকুক না কেন, স্থানে স্থানে এমন পদ দু’চারটি আছে যাহার ধ্বনি, ব্যঞ্জনা ও চিত্রগৌরব এক মুহূর্তে মন ও কল্পনাকে অধিকার করে। অথচ, এ-কথাও সত্য যে, সাহিত্যসৃষ্টির উদ্দেশ্যে এই গীতগুলি রচিত হয় নাই, হইয়াছিল বৌদ্ধ সহজসাধনার গূঢ় ইঙ্গিত ও তদনুযায়ী জীবনাচরণের (চর্যার) আনন্দকে ব্যক্ত করিবার জন্য। সহজ সাধনার এই গীতিগুলি কর্তৃক প্রবর্তিত খাতেই পরবর্তীকালের বৈষ্ণব সহজিয়া গান, বৈষ্ণব ও শাক্ত-পদাবলী, আউল-বাউল-মারফতী-মুর্শিদা গানের প্রবাহ বহিয়া চলিয়াছে।”



চর্যাপদ



প্রাচীন যুগ ও চর্যাপদ



চর্যাপদ বিষয়ে কিছু মৌলিক প্রশ্নোত্তর



সবচেয়ে পুরনো বাংলা বই : চর্যাপদ



চর্যাপদ থেকে অনুবাদ

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

সরদার হারুন বলেছেন: চর্যাপদের উপরে আপনার নতুন কোন কথা নেই কেন ?আপনিতো পুরাতন পাত্রে শুধু পুরাতন মদই
রেখে দিয়েছেন ।কেন ???????

২২ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩

অিপ পোদ্‌দার বলেছেন: আমি এটা নিয়ে পড়াশুনা করেছি আমার আগ্রহ থেকে, আমি গবেষক না, তাই নিজের কথা দিতে পারি না, আমি তো নতুন কিছু আবিষ্কার করি নাই। ভাষাবিদরা আবিষ্কার করুন, আমি তথ্য পেলে আপনার জন্য দিয়ে দেব, তখন নতুন পাত্রে নতুন মদ পাবেন।

২| ২২ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: এত তাড়াতাড়ি শেষ করে দিলেন যে?

@সরদার হারুন, আপনার সমস্যা কি তাতে? ইদানিং বড় খোচাখুচি শুরু করলেন যে? আর কোন কাজ নাই নাকি?

২২ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

অিপ পোদ্‌দার বলেছেন: বলেন কি!!!! আরো বড়!!! B:-) B:-) B:-) বিভিন্ন স্থান থেকে পড়ে কিছু তথ্য এক জায়গায় করার চেষ্টা করেছি & আপনাদের সাথে share করেছি। ক্ষুদ্র প্রয়াস।

:P

৩| ২২ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৩২

সুপারনোভা ০০৭ বলেছেন: অনেক কিছু জানিলাম.। :) :) :) :) :)

আরও পোস্ট চাই.।

২২ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯

অিপ পোদ্‌দার বলেছেন: ধন্যবাদ। আবার পড়াশুনা করি, তথ্যসমৃদ্ধ লেখা দেয়ার চেষ্টা করবো, যাতে আপনাদের কাজে লাগে। :)

কিছুদিন অপেক্ষা করেন, দেব।

৪| ২২ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

বিধুভূষণ ভট্টাচার্য বলেছেন: "অথচ, এ-কথাও সত্য যে, সাহিত্যসৃষ্টির উদ্দেশ্যে এই গীতগুলি রচিত হয় নাই, হইয়াছিল বৌদ্ধ সহজসাধনার গূঢ় ইঙ্গিত ও তদনুযায়ী জীবনাচরণের (চর্যার) আনন্দকে ব্যক্ত করিবার জন্য। সহজ সাধনার এই গীতিগুলি কর্তৃক প্রবর্তিত খাতেই পরবর্তীকালের বৈষ্ণব সহজিয়া গান, বৈষ্ণব ও শাক্ত-পদাবলী, আউল-বাউল-মারফতী-মুর্শিদা গানের প্রবাহ বহিয়া চলিয়াছে।”--- তথ্যবহুল পোস্ট। অনেক কিছু জানা হল।
ধন্যবাদ।

২২ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১

অিপ পোদ্‌দার বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার ও মন্তব্যের জন্য।

৫| ২৪ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

সরদার হারুন বলেছেন: আমার কোন সমস্যা নেই ।বাংলা সাহিত্যের একটি অন্যতম শাখা হলো চর্যাপদ ।এটা পাঠ্যতালিকায়ও আছে ।তাই আমি বলতে চাইছি যে নতুন কিছু যদি লেখক দিতে পারেন তা হলে আমরা উপকৃত হতাম।
তার উত্তরও লেখক সুন্দর ভাবে দিয়েছেন

কিন্তু আপনার আভমানের কারণতো বুঝলামনা মি. হেক্টর ।আপনাকে কিছু বলেছি বলেতো মনে হয়না ।

২৪ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬

অিপ পোদ্‌দার বলেছেন: নিজের মত জানানোর জন্য ধন্যবাদ।

সমস্যা এখানকার কিছু ব্লগারের, যারা নারী ব্লগারদের কোন পোস্ট দেখলেই ঝামেলা করে। নোংরা মন্তব্য করে। আমিও এর ভুক্তভুগি, যার জন্য দীর্ঘদিন পর পোস্ট দিয়েছি। আমি গঠনমূলক সমালোচনা পছন্দ করি, ফালতু কথা না। আমার আগের মন্তব্যগুলো আপনি আপনার প্রশ্নের উতর এর জন্য দেখতে পারেন।

যে ব্লগার এর অভিমান নিয়ে আপনার চিন্তা সেই ব্লগার এর বর্তমান পোস্টটা আপনি পড়তে পারেন, মন্তব্যগুলোও। আশা করি আপনার সব প্রশ্নের উতর পেয়ে যাবেন, অভিমান এর কারণও। তার পরও আপনার যদি কোন কথা থাকে সরাসরি সেই ব্লগার এর ব্লগে যেয়ে কথা বলেন, এখানে শুধু শুধু পোস্টের সাথে অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করবেন না, মুছে দিতে বাধ্য হবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.