নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপরাজিত এয়ারবোর্ন

অপরাজিত এয়ারবোর্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দারুস সালাম ঢাকা

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪২

দারুস সালাম হচ্ছে ঢাকার একটি থানা। বৃহত্তর মিরপুর ভেঙ্গে যে কটি থানা গঠন করা হয়েছে এটি তার একটি। দারুস সালাম শব্দটি নেয়া হয়েছে মারকাজে এশায়াতে ইসলাম দারুস সালাম ফুরফুরা দরবার শরীফ এর নাম থেকে। যদিও এ দরবার শরীফটি পরেছে আদাবর থানায়।
সীমানাঃ এ থানার পশ্চিম দিকে তুরাগ নদী, দক্ষিণ দিকে আমিনবাজার ব্রিজ থেকে নিয়ে বাংলাদেশ কোরিয়ান টেকনিক্যাল সেন্টারের সামনে অবস্হিত টেকনিক্যালের মোড় পর্যন্ত গাবতলী গরুর হাট ও বাস টার্মিনাল সহ, পূর্ব দিকে টেকনিক্যালের মোড় হয়ে মিরপুর রোড ধরে মিরপুর-১ মুক্তবাংলা মার্কেট পর্যন্ত, উত্তর দিকে মুক্তবাংলা মার্কেট থেকে মিরপুর মাজার হয়ে কোনাবাড়ি বাসস্ট্যান্ড হয়ে দিয়াবাড়ি মোড় পর্যন্ত।
প্রশাসনিকভাবে এর পশ্চিমে কাউন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ, দক্ষিণে আদাবর থানা, পূর্বে শেরে বাংলানগর ও মিরপুর থানা, উত্তরে শাহ্‌ আলী থানা। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৯,১০ ও ১১(আংশিক)নং ওয়ার্ড এখানে অবস্হিত। এখানে থাকা এলাকাগুলো হচ্ছে দক্ষিণ বিশিল, টোলারবাগ, জমিদারবাড়ি, কোটবাড়ি, গাবতলী, বাগবাড়ি, ১ম কলোনি, ২য় কলোনি, ৩য় কলোনি, বড়বাজার, হরিরামপুর, ঋষিপাড়া, আনন্দপাড়া, বর্ধনবাড়ি, গোলারটেক, পালপাড়া, জাহানাবাদ, জহুরাবাদ, দিয়াবাড়ি ও প্রিয়াংগণ আবাসিক এলাকা। অত্র এলাকার পোস্ট কোড হচ্ছে ১২১৬, তবে পুরাতন কাগজপত্র থেকে জানা যায় আগে ছিল ১২১৮, পোস্ট অফিস হচ্ছে মাদ্রাসা-ই-আলিয়া মিরপুর-১।
নির্বাচনী এলাকা হিসেবে এই থানা পুরোটাই ঢাকা-১৪ আসনের অন্তর্ভুক্ত। সংসদ সদস্য হচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতা জনাব আসলামুল হক আসলাম।
শিক্ষাঃ এখানে অনেক ভালো ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার একটি হচ্ছে মিরপুর সিদ্ধান্ত হাই স্কুল (যা গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে তার শতবার্ষিকী উদযাপন করেছে) ও মিরপুর বাংলা কলেজ। ধর্মীয় শিক্ষার জন্য রয়েছে ভালো ভালো মাদরাসা। এর একটি হচ্ছে জামেয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদ, যার মধ্যে প্রায় সাড়ে ১২০০ ছাত্র অধ্যয়ন করে। মেথডিস্ট খ্রিস্টানদের পরিচালিত মেথডিস্ট স্কুল নামে একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল।
ধর্মীয় অবস্থাঃ এই এলাকায় বিভিন্ন ধর্মের লোক বসবাস করে। অনেক সুন্দর সুন্দর মসজিদ রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ও সুন্দর হচ্ছে মিরপুর রোডে অবস্থিত কুয়েতি মসজিদটি ( সম্ভবত এবং নিশ্চিতভাবে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও সুন্দর কুয়েতি মসজিদ )। বড়বাজারে নদীর পাশে একটি মন্দির রয়েছে ও মাজার রোডে একটি মেথডিস্ট খ্রিস্টানদের গির্জা আছে। এ এলাকার প্রধান ঈদগাহ হচ্ছে গোলারটেক ঈদগাহ মাঠ, যা ধুপখোলা মাঠ থেকে সামান্য ছোট।
এ এলাকার একটি উল্লেখযোগ্য স্থাপনা হচ্ছে বুদ্ধিজীবী শহিদ মিনার। যেখানে প্রতি বছর ১৪ই ডিসেম্বর ভোরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ফুল দিতে আসেন। এর পাশেই শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান।
ক্রীড়া ও বিনোদনঃ নদীর পাড়ে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে রয়েছে। খেলাধুলার জন্য গোলারটেক ঈদগাহ মাঠ রয়েছে। তবে দুটি ক্লাবঘর, ওয়াকওয়ে, এবং থানা কর্তৃক জব্দকৃত ভাঙ্গাচোরা গাড়ি মাঠে রাখার ফলে মাঠের পরিবেশ অনেকাংশে নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া বুদ্ধিজীবী শহীদ মিনারেও বিকেলে মানুষ ঘুরতে যায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.