![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আকাশ তো ছুঁইনি,কিন্তু আকাশের মাঝে তো মেঘ হয়ে ভেসে আছি...বেঁচে আছি,দিব্যি জেগে আছি। রোদ কে আমায় ভেদ করে স্পর্শ করতে দিছি...এই তো আমি....এই তো জীবন...আর বাঁচার সেকি আনন্দ...
আমার জন্ম হয়েছিল কোন এক হেমন্তের সকালে। সে সময় আমার মা খুব অসুস্থ ছিলেন। ভাইয়া আপুরা তখন স্কুল পড়ুয়া। সারাদিন তারা পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকতো, অফিস নিয়ে বাবাও ব্যস্ত। সেই সময় আমার মার সময় কাটত একা একা। তাই আমার জন্ম হল আমার মায়ের অসম্ভব নিঃসঙ্গ সময়ে। আমার সব ভাই-বোনদের সাথে আমার মূল তফাতটা ছিল এই যে আমি দেখতে তাদের মত ফর্শা বা সুন্দর ছিলাম না। খুব ছোটবেলা থেকেই আমাকে টুকটাক যে কথাগুলো শুনে আসতে হয়েছে গায়ের রঙ সংক্রান্ত কথা তার মাঝে ছিল অন্যতম। ছোটবেলায় এসব কথা শুনলে নাকি শিশুদের মনে অনেক প্রভাব পরে, কিন্তু না। আমার মনে কোন প্রভাব পড়েনি। সবাই বলে আমার মা নাকি দেখতে অভিনেত্রী কবরীর মতই সুন্দরি। আমার বড় বোনরা ছিল যথেষ্ট সুন্দর। সুন্দর নামক এই শব্দে আমাকেই শুধু কেউ ফেলতে পারেনি। ফেলতে পারুক বা না পারুক তা নিয়ে মাথাব্যথা হত না আমার। আমি ক্লাস টু থেকেই ছিলাম ভীষণ বই পড়ুয়া। মামাদের সাথে সাথে গান শুনতাম নচিকেতার আর আপুদের সাথে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতাম। সৌন্দর্য বা গুনাগুন কিছু নিয়েই কোন ভাবনা ছিল না আমার। তবে হুট করেই একদিন থমকে গেলাম। গায়ের রঙ নিয়ে প্রথম যেদিন আমার টনক নড়লো সেই দিনটা আমার আজও মনে আছে।
ক্লাস থ্রিতে পড়ার সময় আমার সবচেয়ে কাছের বান্ধুবী ছিল মৌরি। ওদের বাসায় আমাদের এবং আমাদের বাসায় ওদের বেশ আনাগোনা ছিল। দুজনে একসাথে ছবি আঁকতাম, ছড়া মুখস্ত করতাম, খেলতাম। একদিন হঠাৎ ওর দাদী আমাকে ডেকে বললেন- তুমি কি তোমার বাপ মায়ের আপন সন্তান? আমি ছোট মানুষ কয়েক মুহূর্ত্ব এই প্রশ্নের কিছুই বুঝলাম না। তারপর বললাম- কথাটা বুঝিনি দাদী। উনি পান চিবুতে চিবুতে বললেন- মানে হইল তোমার ভাই বোনেরা তো সবই ফর্শা, নাক-চোখ-মুখ খাড়া খাড়া। তোমার সাথে চেহারার কোনই মিলমিশ নাই। তাই জানতে চাইলাম তুমি কি তোমার বাপ মায়ের আপন সন্তান? আমার ছোট্ট মনটা এই কথা শুনে সেদিন এক মুহুর্তের মধ্যেই দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছিল। গলা ধরে এসেছিল সাথে সাথেই। কোনক্রমে বললাম- দাদী, আমার জন্মের সময় আমার আম্মু অনেক অসুস্থ ছিলেন। কোন খাবারই খেতে পারতেন না তাই আমি এমন। উনি বললেন- ও! আমি তো তাই ভাবি চেহারার, রঙে মিল নাই ক্যান? আমি এরপর উনার কোন কথা না শুনেই ছুটতে ছুটতে আমার বাসায় চলে আসলাম। সেদিন আমি কাঁদলাম। ভয়ংকর রকমের কান্না এলো সেদিন আমার। কাঁদতে কাঁদতে আম্মুর আলমিরা থেকে আমাদের ফ্যামিলি এ্যালবাম বের করে সবার ছবির সাথে আমার ছবি মিলিয়ে আবিস্কার করতে চেষ্টা করলাম আমার চেহারা বা রঙের সাথে সবার কি কি মিল বা অমিল। এরপর আস্তে আস্তে মৌরিদের বাসায় যাওয়া থামিয়ে দিলাম। মৌরি ডাকে, ওর মা ডাকে, আমার বাসা থেকে যেতে বলে তাও আমি যাইনি। আমার ছোট্ট মন সেদিন বিশাল বড় একটা পাথরের সমান কষ্ট মনে পুষে রেখেছিল। যা কোনভাবেই নিঃশেষ হবার নয়।
হাই স্কুলের গন্ডিতে রঙ নিয়ে নয় বরং পড়ালেখা বা সংস্কৃতি নিয়ে আমার আমার সময় বেশি কেটেছে। ক্লাস ফোর থেকে আমি ফোক ও ক্লাসিক্যাল নাচ শিখতে শুরু করি তাই স্কুলে আমার অল্প বিস্তর নামডাক ছিল। তবে কোন এক অনুষ্ঠানে নাচের আগে অসম্ভব সুন্দরী এক সিনিয়র আপু বলেছিলেন-“ "নাচ করে যেই মেয়েরা তাদের সুন্দরী হতে হয়। তুমি তো সুন্দর নও..."” আমি সেদিন তার কথার কোন উত্তর খুঁজে পাইনি। ফ্যালফ্যাল করে তার সুন্দর মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।
দেখতে দেখতে স্কুল জীবন শেষ হয়ে গেল। বিশেষ করে ক্লাস নাইন ও টেন আমি শেষ করলাম দাপটের সাথে। ক্লাশ ক্যাপটেইন ও স্কুলের কালচারাল ক্যাপটেইন হবার সুবাদে সবাই আমাকে চিনত। সেই সময় আমাদের ক্লাস টিচার ছিলেন শ্রদ্ধেয় আব্দুল রব স্যার। তিনি আমাকে বলেছিলেন- "“মানুষের সৌন্দর্য তার চেহারায় না তার মনে। দেখতে অসুন্দর এমন কেউ হতে পারে সর্বাধিক সুন্দর যদি তার মন সুন্দর হয়। তার মনের আলোতে চারপাশ দুত্যিময় হয়। একেই তো সৌন্দর্য বলে”"।
স্কুল জীবন থেকেই প্রেম ভালবাসার ব্যাপার নিয়ে কখনো খুব মাথা ব্যাথা ছিল না। আমার আশে পাশের বান্ধবীরা যখন ভুরি ভুরি প্রেমের প্রস্তাব পেতো তখন তাদের কথা শুনে মনে হত হয় আমি অন্য জগতের মানুষ নয়ত ওরা। আমাদের স্কুলে সাত জনের একটা গ্রুপ ছিল যাদের মূল লক্ষ্য ছিল তারা কখনো প্রেম করবে না। কারণ সেই সময় প্রেমের ব্যাপারে বাসায় শক্ত মার বা স্কুলে টিচারদের শাসনের কাহিনীগুলোও আমাদের মনে একটা ধারনার সৃষ্টি করেছিল যে প্রেম মানে- “সামথিং ভয়ংকর”।
কিন্তু কলেজে উঠে দেখা গেলো আমি ও আমার একটি বান্ধবী বাদে বাকি সবাই প্রেম করছে। তারপর কলেজে উঠেই আমার চারপাশের জগৎ বদলে গেলো। দেখলাম আমার প্রায় বেশিরভাগ সহপাঠির ধারণা যারা অসুন্দর এবং যারা অদ্ভুত তাদেরই কেবল প্রেম হয়নি। ফেসিয়াল, ফেয়ার পলিশ, টোনিং, ময়শ্চারায়জিং এর ভিড়ে মনে হয় এই পৃথিবীতে ফর্শা বা সুন্দরী বা হাল ফ্যাশনের না হওয়া ভীষন বড় অপরাধ। আমরা হাতে গোনা কিছু অপরাধী তখন একসাথে হলাম। এর মাঝে আমাদের ক্লাসের সবচেয়ে সিম্পল মেয়েটার সাথে আমার বেশি সময় কাটত। ও ছিল ফর্শা তবে নিজেকে তথাকথিত সৌন্দর্যের উপমায় সাজাতে ও বরাবরই ছিল উদাসীন। আমার এই বান্ধবির নাম ছিল পূজা। আমি ও পূজা দীর্ঘক্ষন বসে বসে নিজেদের গল্প করতাম। রোজ ক্লাস শেষ যখন মেয়েরা ফাস্ট ফুড শপে বা ডেটিং এ যেত। তখন আমরা ফাঁকা ক্লাসের লাস্ট বেঞ্চে বসে বসে গান গাইতাম।
“সুখে আছি, সুখে আছি সখা, আপন মনে।কিছু চেয়ো না, দূরে যেয়ো না,.শুধু চেয়ে দেখো, শুধু ঘিরে থাকো কাছাকাছি।“সুখে আছি, সুখে আছি সখা, আপন মনে”
মূলত কলেজ জীবনের সেই চোখ ধাঁধানো জগৎ দেখে একটা সময় আমি উপলব্ধি করলাম, আমি নিজেই নিজের ভেতরের দেয়ালগুলো ভেঙে বের হয়ে আসতে চাইছি। বিহ্বলতা, নিজেকে গুটিয়ে রাখা বা চারপাশের তথাকথিত চিন্তা ভাবনাগুলো দেখতে দেখতে আমি ক্লান্ত হয়ে গেলাম। সেই ক্লান্তি এক সময় আমাকে একগুঁয়ে করে তুলল। নিজেকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা কিংবা নিজেকে নতুন করে আবিস্কার করার টার্নিং পয়েন্টটা শুরু হল ঠিক তখন থেকেই।
এরপরের কাহিনী বড্ড লম্বা, তবে রঙ বিষয়ক বা সৌন্দর্য নিয়ে যা দেখেছি, বা যা ভেবেছি সেগুলোকে আজ সাজিয়ে লিখতে চেষ্টা করছি কতটুকু পেরেছি জানিনা-
# "কালো যদি মন্দ তবে কেশ পাকিলে কান্দ ক্যানে?" "“জাতের মেয়ে কালও ভাল”"। "“কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি..." ”এত সব বিখ্যাত কথার মাঝেও আমি দেখেছি গায়ের রঙ ব্যাপারটা নিয়ে ছেলে মেয়ে কম বেশি সবাই খুব প্রভাবিত। বিশেষ করে আমাদের সমাজ বা দেশের বেশিরভাগ মানুষের মাঝে সহজ সরল মানুষিকতা কাজ করে যে গায়ের রঙ সাদা মানেই সে সুন্দর। আমার নানু চাইতেন টকটকে লালচে ফর্শা আর অসম্ভব সুন্দর কোন মেয়েকে তার ছোট ছেলের বৌ বানাবেন। শেষ পর্যন্ত আমার মামার পছন্দের যে মানুষটি আমাদের মামী হলেন, তিনি গায়ের রঙে শ্যামলা হলেও মনের রঙে ছিলেন অসম্ভব উজ্জ্বল। কিন্তু তারপরেও আমার নানুকে আফসোস করতে দেখেছি।
# সৌন্দর্য ব্যাপারটা মূলত আপেক্ষিক। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এর “কবি”র "ঠাকুরঝি " বা “সপ্তপদী”র "রীনা ব্রাউন" চরিত্রের তীক্ষ্ণতা আমাকে খুব মুগ্ধ করেছিল। কালো রঙেই যেন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় অসম্ভব শৈল্পিক চরিত্র এঁকে ফেলেছিলেন সুনিপুন দক্ষতায়। আমি বলবো না যে সৌন্দর্যের দরকার নেই। তবে এতটুকু জানি, কেউ শারিরীক ভাবে একটু বেশি সুন্দর। কেউ একটু কম। কারো চুল সুন্দর তো কারো নাক সুন্দর। সৃষ্টির সবার মাঝেই সৌন্দর্যের কিছু না কিছু আছে। যে মানুষটির শারীরিক কোন ত্রুটি নেই, চোখের জায়গায় চোখ আছে, হাতের জায়গায় হাত আছে সেই মানুষটি শুধু মাত্র গায়ের রঙে বা তথাকথিত সুন্দরের সংজ্ঞার বাইরে বলেই অসুন্দর হতে পারেনা।
# কিছু কিছু ক্ষেত্রে সৌন্দর্য ব্যাপারটা আসলে কিছুটা কনফিউজিং। অনেক মেয়ে এমনকি ছেলেও নিজেকে অসুন্দর মনে করে মানুষের মাঝে নিজেকে প্রকাশ না করে গুটিয়ে রাখে। হয়ত মানুষ মাত্রই সৌন্দর্যের প্রতি দুর্বল তবে শারিরীক সৌন্দর্যকে যেমন গুরুত্বপুর্ন ধরা হয় তেমনি অনেক সময় ব্যক্তিত্ব শারিরীক সৌন্দর্য্যকে ছাপিয়ে উঠতে পারে প্রায়শই...
# আমাদের এক দূর সম্পর্কের আত্নীয় প্রায়ই হা হুতাশ করতে এই বলে- তার মেয়ের রুপ বা রুপা কিছুই নেই। কীভাবে উনি উনার মেয়েকে ভাল বিয়ে দিবেন? এই দুটোর একটা না থাকলে নাকি চলেই না।
আবার অনেক বিত্তশালী এক পরিবারের এক মেয়ের কাছ থেকে শুনেছি- “আমি নিজে দেখতে সুন্দর নই তাই অসম্ভব সুন্দর আর স্মার্ট একটা ছেলেকে বিয়ে করতে চাই। যাকে দেখলেই আমার আশে পাশের সবাই জেলাস হবে। আবার ছেলেদের মধ্যেও বউ সুন্দরী হতে হবে এমন একটা প্রবনতা প্রকটভাবে দেখা যায়।
# কলেজে আমাদের বাংলা ১ম পত্র ক্লাস নিতেন যেই ম্যাডাম, তিনি দেখতে ছিলেন কালো কিন্তু তার সাহিত্য জ্ঞান আর অসম্ভব সুন্দর করে বলা কথা শুনে পুরো ক্লাস আচ্ছন্ন হয়ে থাকত। এলো খোঁপা আর সাধারণ তাঁতের শাড়ী পরা সেই ম্যাডামের দিকে আমরা এমন ভাবে তাকাতাম যেন পুরো ক্লাসকে উনি মোহচ্ছন্ন করে রেখেছেন। অথচ ফিটফাট আর বার্বি ডলের মত দেখতে আমাদের ইংলিশ ম্যাডাম ক্লাসে আসলেই আমরা ঝিমাতাম। তার নাম দেওয়া হয়েছিল- “ঘুম পাড়ানি মাসি”
# আমার চোখের সামনেই আমার খুব কাছের এক বন্ধু তার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ভেঙে দিল। ছেলেটি দারুন ছবি আঁকে, ফটোগ্রাফিও করে। আমার চোখে দেখা অন্যরকম কিছু ছেলের মধ্যে ছিল ও। মেয়েটিও ছিল আমার পরিচিত। জানতে পারলাম, সম্পর্কটা টেকেনি কারণ ছেলেটির ধারণা ছিল সে জীবনে মেয়েটির চেয়ে দেখতে আরও সুন্দরী মেয়ে পেতে পারে। টিন এজের ভুল আবেগের কারণেই এই সম্পর্কর শুরু হয় নয়ত তার গার্লফ্রেন্ডটি নাকি দেখতে হত কোন প্রতিমার মতই সুন্দর। আমাদের সোসাইটিতে সুন্দর গার্লফ্রেন্ড এবং বৌএর নাকি আলাদা স্ট্যান্ডার্ড আছে।
# আমার কস্ট ম্যানেজমেন্টের ম্যাডাম আমাকে একদিন কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন-বাহ্যিক দিক দিয়ে সুন্দর ছেলে বা মেয়েকে কখনো জীবন সঙ্গি করবেনা। এরা বড্ড আত্নকেন্দ্রিক হয়। আমি সেদিন প্রশ্ন করেছিলাম- কেন এই কথা বলছেন? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন- কারণ আমাদের সমাজে বাহ্যিক সৌন্দর্যের কদর বড্ড বেশি। তাই যারা তথাকথিত সুন্দরের লিস্টে আছে তারা ভেবেই নেয় সবাই তাদেরকে অতিরিক্ত মূলায়্যন করতে বাধ্য। তাদের অহঙ্কার বা আত্ন বিশ্বাসের মূলেই থাকে তাদের বাহ্যিক সৌন্দর্য। অথচ ভেতরে ফাঁকা। কোন রান্নায় মসলার রঙ দেখতে খুব ভাল লাগছে তার মানেই এই নয় যে তা খেতে সুস্বাদু হবে।
# এক ব্লগার বন্ধু একদিন লিখেছিল- আমি খুব সাধারণ একটা মেয়েকে বিয়ে করতে চাই। চেহারা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যথা নেই। একজন সুন্দর মানুষের চেয়ে বরং আমি একজন সুন্দর মনের মানুষের সাথে জীবন কাটাতে বেশি শান্তি অনুভব করবো। কোন কৃত্রিমতার প্রলেপ আমার ভাল লাগেনা।
#যুগ যুগ ধরে বইয়ে পড়ে এসেছি কন্যা সুন্দর না হলে তার বিয়ে হয়না। কিছুদিন আগে একজন আপুর সাথে পরিচয় হল। তিনি বেশ নামকরা বুটিক ও পার্লারের প্রতিষ্ঠাতা। তার ভাষ্যমতে, তিনি প্রথম পার্লার দিয়েছিলেন কারণ দেখতে ভাল না বা ফ্যাশনেবল না বলে আপুকে বিয়ে দিতে তার পরিবারে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। এরেঞ্জ ম্যারেজের শর্তের লম্বা লিস্টিতে তিনি কোনভাবেই নিজেকে ফিট করাতে পারেননি। তারপর থেকে তিনি ঠিক করেছেন নারীর সৌন্দর্যের নিয়েই তিনি কাজ করবেন।
#আমার এক কলেজ ফ্রেন্ডকে দেখতাম সেই সময়ে প্রতি মাসে তিনশ টাকা দিয়ে ঢাকার বাইরে থেকে রঙ ফর্শাকারী একটা ক্রিম কিনে ব্যবহার করত। সেই সময়ে আমাদের কাছে মাসে তিনশ টাকা মানে অনেক টাকা। এত টাকা খরচ করতো কেন প্রশ্ন করলেই ও বলত- “ও যেই ছেলেটিকে পছন্দ করে সেই ছেলেটি ওকে পাত্তা দেয়না। ও ফর্শা হয়ে গেলেই নাকি কোন ফ্লিমের সিনের মত ছেলেটা ওর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যাবে”।
#আমার এক কাজিন কখনোই কালো বা গাঢ় রঙের কোন পোষাক পড়েনা। ওর ধারণা ও ফর্সা না তাই নাকি ওকে গাঢ় রঙ মানায় না।
#শুধু গায়ের রঙ নয় আজকাল মেয়েদের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ডায়েট করার প্রবনতাও দেখা যায়, নিজেকে কষ্ট দিয়ে বা অভুক্ত রেখে হলেও তাদের স্বপ্নের হালকা শরীরটুকু চাই। কারণ সমাজ চায়। আর এইটাই যেন তাদের সৌন্দর্যের আরেক চাবিকাঠি।
#বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরু হবার পরে আমার সাথে একটা মেয়ে পড়ত। সে দেখতে বেশ কালো , লম্বা আর আটপৌড়ে চেহারার ছিল। কিন্তু তাকে কখনো নিজেকে নিয়ে ভাবতে দেখিনি, বিকার দেখাতে দেখিনি। সবার সাথে ও মিশে যেত নিজস্ব এক দক্ষতায়। খুব নির্বিকার আর আত্নবিশ্বাসি ছিল ও। আমি মুগ্ধ হয়ে ওকে দেখতাম। ও খুব গর্ব করে বলতো-"আমার বাবা আমাকে ব্ল্যাক বিউটি/ ব্ল্যাক ডায়মন্ড বলেন। Complexion!! Doesn't Really Matter...!!! "
# শুনেছি অস্ট্রেলিয়ার সমাজে নাকি'ডার্ক'ডাকা রীতিমত কমপ্লি্লমেন্ট। অটো ট্যান মানেই অন্যরকম কিছু। আমাদের বাঙালীদেরই শুধু শ্যামলা বা কালো হওয়া মানে বর্ণহীন, ফ্যাকাশে হওয়া।
সে যাই হোক- সৌন্দর্যের ব্যাপারটা আসলে হয়ত একেজনের কাছে একেক রকম। আমি খুব ছোটকালে নিজের গায়ের রঙ আর সৌন্দর্য নিয়ে ভেবে ভেবে অনেক নির্ঘুম রাত কাটিয়েছি। তাই আমার মনে হয় পারিবারিক পরিবেশ থেকে আসলে বেশিরভাগ সন্তানদের মানুষিক পরিপক্কতা শুরু হয়। মা-বাবা সন্তানের প্রথম শিক্ষক বা বন্ধু । তাঁরা চাইলেই, সচেতনভাবে চাইলেই সন্তানের ভেতর আন্তবিশ্বাসের বীজটা বুনে দিতে পারেন। তাকে উপলব্ধি করাতে পারেন তার রাজ্যের রাজা সেই। আর আমি বাহ্যিক সৌন্দর্যকেও ছোট করে দেখবো না। মানুষের বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ উভয় সৌন্দর্যেরই দরকার আছে। তবে তথাকথিত সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে মানুষকে বিচার করার বিপক্ষে আমি। আমার কাছে মনে হয় একেক মানুষ একেক রকম সুন্দর। একেক মানুষ একেক কারণে সুন্দর। আমি এখন আর কখনো ভাবি না কোন রঙে আমাকে মানাবে। আমি ইচ্ছেমত নানান রঙে নিজেকে সাজাই। আমার ভাবনার স্বাধীনতাই আমার উচ্ছলতা হয়ে ফুটে উঠে আমার মাঝে। আমি এখন নিজের জন্যে সাজি। ঝিকমিক করা ছোট্ট কোন সাদা পাথরের নাকফুলও আমার মন ভাল করতে পারে। আমার রাজ্যে আমি পাখা উড়িয়ে ঘুরে বেড়াই। আর খুঁজে খুঁজে দেখি অনেক বছর আগের “একু”র মত কেউ ভাবছে না তো? একা এক কোনে মন খারাপ করে বসে নেই তো? আর ভাবি কৃষ্ণকলিদের যেই নাম বা রুপই থাকুক না কেন তারা কি জানে এই অসম্ভব সুন্দর পৃথিবীর কৃষ্ণচূড়া থেকে শুরু করে কচুরিপানা ফুল যেমন সুন্দর ঠিক তেমনি তারাও ভীষণ সুন্দর!
“Life is full of beauty. Notice it. Notice the bumble bee, the small child, and the smiling faces. Smell the rain, and feel the wind. Live your life to the fullest potential, and fight for your dreams.”
Ashley Smith quotes
২| ০৯ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:২৪
এস এম ফারুক হোসেন বলেছেন: +++
৩| ০৯ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:২৫
কালো পতাকার খোঁজে বলেছেন: উফ অসাধারণ । +++
৪| ০৯ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:২৯
মেইই বলেছেন: বেশ কদিন আগে এই লেখাটা পড়েও একই অনুভূতি হয়েছিলো।
View this link
এমন বোধহয় কেবল বাংলাদেশেই সম্ভব!!
৫| ০৯ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:৩৭
চিরতার রস বলেছেন: আমার কাছে মনে হয় একেক মানুষ একেক রকম সুন্দর। একেক মানুষ একেক কারণে সুন্দর। আমি এখন আর কখনো ভাবি না কোন রঙে আমাকে মানাবে। আমি ইচ্ছেমত নানান রঙে নিজেকে সাজাই। আমার ভাবনার স্বাধীনতাই আমার উচ্ছলতা হয়ে ফুটে উঠে আমার মাঝে।
এই যে এমন সুন্দর করে একটা লেখা রচনা করলেন, এটাই কয়টা সুন্দরী মেয়ে পারে ????? ব্যাক্তিগত ভাবে আমার স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় লাইফের যে কয়টা মেয়ে বান্ধবী পেয়েছি তাদের মধ্যে আমি সবচাইতে যে মেয়েটিকে বেশি পছন্দ করি সে দেখতে অন্যদের তুলনায় কালো। কিন্তু তার মন যথেষ্টই উজ্জল অন্যদের তুলনায়। কিন্তু এটা সত্যি সে যদি আবার সুন্দরী হতো, তাহলে তার মনটা এমন উজ্জল নাও হতে পারতো। কেননা মানুষের প্রশংসা, গুনকীর্তন, গর্ব ইত্যাদি তাকে তার পথ থেকে বিচ্যুত করে দেয়। সে তখন ব্যতিক্রম কিছু চিন্তা করে সবসময়। কেননা তার ভক্তের সংখ্যাতো অনেক। একজন গেলে আর একজন আসবে।
৬| ০৯ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:৩৮
শিরনামহীন বলেছেন: অসাধারণ +++++++
৭| ০৯ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:৩৯
তূর্য হাসান বলেছেন: অসাধারণ আপনি এবং আপনার লেখা।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
৮| ০৯ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:৪০
amit_07 বলেছেন: ভাল হয়েছে...
একেবারেই কি জীবন থেকে নেয়া? নাকি কিছুটা কল্পনার মিশেল?
"অন্ধকারের (কালোর) সৌন্দর্য বুঝার জন্য শুধু চর্ম চক্ষুই যথেষ্ট নয় অর্ন্তচক্ষুও প্রয়োজন"
অপেক্ষা করেন অন্তর চক্ষুওয়ালা কাউকে পেয়ে যাবেন। সবুরে মেউয়া ফলে...।
৯| ০৯ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:৪৭
ডেভিড বলেছেন: আমাদের দেশে বাহ্যিক সৌন্দর্যের কদর সব সময়ই থাকবে। যদিও ফর্সা ত্বকের যে আবহমান চাহিদা তাতে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। ছেলে হওয়াতে কালো ত্বক খুব একটা সমস্যা করেনি, তারপরও অসুখকর অভিজ্ঞতা একেবারে কম নয়, তবে থোড়াই কেয়ার করতাম সবকিছু।
খারাপ লাগে যখন অতি উচ্চ শিক্ষিতদের মধ্যে এই একবিংশ শতাব্দিতেও ত্বকের রঙ নিয়ে উদ্বীগ্ন হতে দেখি
অনেক সুন্দর লেখা
ভালো থাকুন
শুভ বিকেল
১০| ০৯ ই মে, ২০১২ বিকাল ৫:০৯
যোবায়ের মোমিন বলেছেন: খুব মনোযোগ দিয়ে লেখাটা পড়লাম। এককথায় অসাধারণ লিখেছেন। "শুধু গায়ের রঙ নয় আজকাল মেয়েদের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ডায়েট করার প্রবনতাও দেখা যায়, নিজেকে কষ্ট দিয়ে বা অভুক্ত রেখে হলেও তাদের স্বপ্নের হালকা শরীরটুকু চাই। কারণ সমাজ চায়। আর এইটাই যেন তাদের সৌন্দর্যের আরেক চাবিকাঠি।" এই কথাটা মনে হয় সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। অতিরিক্ত মেদ নারী পুরুষ উভয়ের জন্য ক্ষতিকর। আমার খুব কাছের একজন কেবল স্থুলদেহী হবার কারণে মাতৃত্তের স্বাদ গ্রহন করতে পারছেন না। এমন সুন্দর একটি লেখার জন্য আপনায় সাধুবাদ।:-)
১১| ০৯ ই মে, ২০১২ বিকাল ৫:১৭
শায়মা বলেছেন: সখা নয়নে শুধু জানাবে প্রেম
নীরবে দেবে প্রাণ
রচিয়া ললিত মধুর বাণী আড়ালে গাবে গান.......
গোপনে তুলিয়া কুসুম গাঁথিয়া রেখে যাবে মালাগাছি .......
কিছু চেওনা দূরে যেওনা শুধু চেয়ে দেখো শুধু ঘিরে থাকো কাছাকাছি ......
সুখে আছি , সুখে আছি সখা আপনমনে.......
আমার অনেক অনেক প্রিয় একটা গান আপুনি।
আর লেখাটাও অনেক ভালো লাগলো......
গায়ের রঙ টঙ এসব আর এই আধুনিককালে কিছুই না......
১২| ০৯ ই মে, ২০১২ বিকাল ৫:৪৮
বাউন্ডুলে শিকু বলেছেন: আমার মা দেখতে কালো । তার মুখে একটা কালো জটা ছিল । ডাক্তার বলেছিলো এটা কেটে ফেলা দরকার । না হলে পরে ক্যান্সারে রুপ নিতে পারে । তাই অপেরাশন করে এটা কেটে ফেলা হয় । আমি জানতাম না । কিছুদিন পর ছুটিতে আমি বাড়ি গিয়ে এটা দেখি ।
তার মুখের দাগটা হয়তো দেখতে খারাপ ছিল, কিন্তু বিশ্বাস করুন । অপারেশানের পর তার চেহারা দেখে আমার খুব খারাপ লেগেছিল । যেটা দেখে দেখে আমি বড় হয়েছি, তা যতি কুতসিত হোক আমার কাছে ছিল অনেক বেশি সুন্দর ।
কি জানি, ছোট বেলায় হয়তো আমি এটা দিয়েই তাকে অন্যান্যদের থেকে আলাদা করতাম ।
আপনার লেখায় ++++
১৩| ০৯ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১০
বড় বিলাই বলেছেন: এই দৃষ্টিভঙ্গী আগের চেয়ে কিছুটা কমলেও এখনও আছে। হয়তো কোনদিন গায়ের রঙের উর্ধ্বে যেতে পারবে মানুষের মানসিকতা।
১৪| ০৯ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১০
আঁখি খান বলেছেন: আমার মনের কথা। আমিও ছোটবেলা থেকে এই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি অসংখ্য বার। এখন ও মাঝে মাঝে হই। মানুষের চিন্তা-ভাবনা আমাকে অবাক করে। কারণ নিজের সৌন্দর্যের উপর মানুষের নিজের কোন হাত নাই। কেউ ইচ্ছা করলেই সুন্দর হতে পারেনা। মেয়ে-ছেলে, ফর্সা-কালো, ধনী-গরিব এত ভেদাভেদ ভালো লাগে না। সবাই মানুষ। প্রতিটা মানুষকে তার প্রাপ্য সম্মান দেওয়া উচিত।
১৫| ০৯ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৭
দূরদ্বীপবাসিনী_ বলেছেন: চেহারাটা দুইদিনের কিন্তু মনটা সারাজীবনের- এই সহজ কথাটাই কেন মানুষ বুঝতে চায় না, বুঝি না।
আমার আত্নীয়ের ঘটনা বলি- খুব শখ,ছেলের জন্য ফরসা বউ আনবেন। ফরসা এক মেয়ের খোঁজ পাওয়া গেল। কিন্তু মেয়েটার সাথে কথা বলে ছেলের খুব একটা পছন্দ হয়েছিল না। তবু মায়ের জোড়াজুরিতেই বিয়েটা করতে হলো। বিয়ের পর এবার মেয়ের মনের রূপটা প্রকাশ পেল। শাশুড়িকে অবহেলা, অসম্মান বউটার প্রাত্যহিক রুটিনের মধ্যে একটা কাজ। এখন সেই ভদ্রমহিলা প্রতিবেলা আফসোস করে, " কি বউ ঘরে আনলাম!" বলে।
আরেকজন মানুষকে চিনি, খুব ভুল একটা বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরে আছেন- কালো মানুষের মনটাও নাকি কালো।
কোনভাবেই তার এই বিশ্বাস ভাঙানো যায়নি। তার পরিবারের সবাই ফরসা এনিয়ে ভীষণ অহংকার ছিল তার।
এসব মানুষের ধ্যান-ধারণা যে কবে পাল্টাবে!
১৬| ০৯ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৪
সাঈদ০০৭ বলেছেন: আপু আলোময় সুন্দর লিখা লিখেছেন।
শেষ অংশে চোখে পানি চলে এসেছে।
পোষ্টে+++
১৭| ০৯ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৩
আহাদিল বলেছেন: খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম তোমার লেখাটা- ছোট্টবেলা-র মিশু'কে একটু খোঁজার চেষ্টা করলাম! গায়ের ময়লা রঙ তো আছেই- সেই সাথে আমার আরো দুটো জিনিস ছিল- নাক থ্যাবড়া আর চোখ ট্যারা! বাবা বলতেন, লক্ষ্মী ট্যারা! কিন্তু সত্যি বলতে কি, এ নিয়ে কখনো কোন দিন আমার মনে একটুখানি ভালো না লাগা বা দুঃখ ছিল না, এখনো নেই- খুব ছোটবেলা থেকেই আমি এটুকু বুঝেছিলাম- যা আমার হাতে নেই, যা প্রকৃতি-প্রদত্ত তা দিয়ে আমার বিচার করতে যাওয়া মিথ্যে- আমি নিজেকে কেমন করে গড়ে তুলছি সেটা-ই মুখ্য! মূল কারণ হয় তো আমার পরিবার- তারা-ই আমার অনুভূতি-তে এসব ঢোকাতে দেয় নি! ওই যে তুমি বললে না-
মা-বাবা সন্তানের প্রথম শিক্ষক বা বন্ধু । তাঁরা চাইলেই, সচেতনভাবে চাইলেই সন্তানের ভেতর আন্তবিশ্বাসের বীজটা বুনে দিতে পারেন। তাকে উপলব্ধি করাতে পারেন তার রাজ্যের রাজা সেই।
সত্যিই তাই! আমার ছোট থেকে-ই অলঙ্কার বা সাজগোজের প্রতি আগ্রহ হয় নি- কারণ বোধ হয় বাবা-ই বলতেন, আলাদা অলংকার যোগ করে আল্লাহর দেওয়া সৌন্দর্য'কে বাড়ানো যায় না! আমি না কিএমনিতেই সুন্দর!
হ্যা, এটা ঠিক যে মানুষের উচিত যত্ন করে নিজেকে সবার সামনে উপস্থাপন করা- সেই উপস্থাপন হয় তো তার ব্যক্তিত্ব'কেই ফুটিয়ে তোলে কিন্তু তার সাথে দুধে আলতা রঙ আর চোখা চেহারা-র কোন সম্পর্ক নেই!
কেন যেন ছোটবেলায় রং-বেরং এর কাপড়ের প্রতি আমার আগ্রহ ছিল না একদমই! বাহ্যিক সৌন্দর্যের প্রশংসাও সহ্য করতে পারতাম না, কাউকে বলতাম না সে দেখতে ভালো বা আমাকেও যদি কেউ বলত- আজ তোমাকে দেখতে ভালো লাগছে শোনামাত্র কপাল কুঁচকে যেত! হা হা, একটা মজার কথা মনে পড়ে গেল- ক্লাশ এইটে পড়ি তখন, বেশীর ভাগ পোষাক আমার ধূসর বা মেটে রঙ এর- একবার সেজপা আমায় লাল রং এর জামা বানিয়ে দিল, খুব সুন্দর! সেদিন স্কুলে যেতেই সবাই এতবার করে বলল যে আমায় ভালো লাগছে দেখতে - আমি ওই জামা আর দ্বিতীয় দিন পরি নি! এখন খুব মনে হয়, আহারে এত সুন্দর জামা'টা আমি কেন পড়লাম না!
আমি ভেবেছিলাম- এই রঙ এর ব্যাপারটা এই সমাজে উঠে গেছে- ছেলেদের ধ্যান-ধারণা বদলেছে, তারা আর ফর্সা মেয়ে খোঁজে না আর গুরুজনেরাও যুগের হাওয়ায় নিজেদের বদলে নিয়েছেন, কিন্তু তোমার ব্লগে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের মন্তব্য দেখে মনে হলো- আমরা শুধু নামেই ডিজিটাল হয়েছি, আমার মন-মানসিকতার পরিবর্তন হয় নি!
তবে আমি আজকাল আশাবাদী! এমন একটা বিশ্বের স্বপ্ন দেখি- যেখানে বর্ণ-ধর্ম-জাত বা লিংগ দিয়ে মানুষের বিচার হবে না! শুধু মানবতা'র পরিচয়েই 'মানুষ' হবে মানুষ!
১৮| ০৯ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৪
তিক্তভাষী বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন। মা-বাবা চাইলেই সচেতনভাবে চাইলেই সন্তানের ভেতর আন্তবিশ্বাসের বীজটা বুনে দিতে পারেন। একদম সঠিক।
১৯| ০৯ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩১
জেমস বন্ড বলেছেন:
কি বলব বুঝে উঠতে পারছি না হৃদয় ছুয়ে গেল নাকি দাগ কেটে গেল
২০| ০৯ ই মে, ২০১২ রাত ৮:০৫
সাধারণমানুষ বলেছেন: একু অসাধারন একটা পোষ্ট। স্টিকি কইরা ঝুলানের কাম এই পোষ্ট । তবে একটা জিনিস মজা পাইছি তা হইলো
আমার কস্ট ম্যানেজমেন্টের ম্যাডাম আমাকে একদিন কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন-বাহ্যিক দিক দিয়ে সুন্দর ছেলে বা মেয়েকে কখনো জীবন সঙ্গি করবেনা। এরা বড্ড আত্নকেন্দ্রিক হয়...........................................
ইয়ে মানে সুন্দরি গুলার কিন্তু কষ্টিং ও বেশিই পরে
আপনার এডুকেশন ব্যকগ্রাউন্ড কিতা ? আমি তো ভাবতাম আপনি গুল্লি বন্দুকের ডিলার
ব্যক্তিগত ভাবে আমি নিজেও সাদা প্রেমি গুলারে ভালা পাই নাহ।
২১| ০৯ ই মে, ২০১২ রাত ৮:২৪
Esshan বলেছেন: "কালো যদি মন্দ তবে কেশ পাকিলে কান্দ ক্যানে?" "“জাতের মেয়ে কালও ভাল”"। "“কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি..."
আমি বলবো না যে সৌন্দর্যের দরকার নেই। তবে এতটুকু জানি, কেউ শারিরীক ভাবে একটু বেশি সুন্দর। কেউ একটু কম। কারো চুল সুন্দর তো কারো নাক সুন্দর। সৃষ্টির সবার মাঝেই সৌন্দর্যের কিছু না কিছু আছে। যে মানুষটির শারীরিক কোন ত্রুটি নেই, চোখের জায়গায় চোখ আছে, হাতের জায়গায় হাত আছে সেই মানুষটি শুধু মাত্র গায়ের রঙে বা তথাকথিত সুন্দরের সংজ্ঞার বাইরে বলেই অসুন্দর হতে পারেনা।
++++
২২| ০৯ ই মে, ২০১২ রাত ৯:২১
সুরঞ্জনা বলেছেন: গায়ের রঙ নিয়ে ছোটবেলায় আমিও অনেক বিব্রত কথা শুনে মন খারাপ করেছি। কিন্তু আমার বাবা তখন বলেছিলেন, " রঙ, চেহারা, সৌন্দর্য্য নিয়ে যারা বড়াই করে তারা বোকা। কারন মানুষের সৌন্দর্য্য তার নিজস্ব অর্জন নয়। এটা তো ঈশ্বর প্রদত্ত। সুতরাং এটা নিয়ে গর্ব কেনো? গর্ব করতে হলে নিজের মেধাকে কাজে লাগিয়ে এমন কিছু করো যা একান্তই তোমার নিজের সৃষ্টি।
এখনো এসমাজে রঙ দিয়ে সৌন্দর্য্য বিচার হয়।
আফসোস!!!!
২৩| ০৯ ই মে, ২০১২ রাত ৯:২২
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: মানুষের সৌন্দর্য তার চেহারায় না তার মনে। দেখতে অসুন্দর এমন কেউ হতে পারে সর্বাধিক সুন্দর যদি তার মন সুন্দর হয়।
কথা চরম সত্য !
আবার আমরা বাহ্যিক সৌন্দর্যটাকেই প্রথমে প্রাধান্য দেই, এইটাও চরম সত্য !!
+++++++++++++++++++++
২৪| ০৯ ই মে, ২০১২ রাত ৯:৪২
বেলাল হোসেন মিঠু বলেছেন: খুবই বাস্তব সম্মত লেখা।পড়ে খুবই ভালো লাগল।সুন্দর একটা লেখা উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
২৫| ০৯ ই মে, ২০১২ রাত ১০:৫২
নিশম বলেছেন: প্রথমে মেয়েদের ব্যাপারটাই বলি। আচ্ছা, তুমি নিজেই বলতো একুপু, কয়টা নাটকে কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে কালো গায়ের রঙ ওয়ালা মেয়ে অভিনয় করেছে? কয়টা এডভার্টাইজিং এ কর্পোরেট মেয়েদের ভূমিকায় কালো মেয়েদের দেখানো হয়েছে? হাজার বছর ধরে চলে আসা বর্ণবাদী আচরণে আগুনে ঘি ঢালার মতোন করে গত কয়েক দশক ধরে, ফেয়ার এন্ড লাভলী, একটা জিনিস ভালো মতো উসকে দিয়েছে। আর তা হলো, ” কালো মেয়েরা অভিশপ্ত। তাদের বিয়া শাদী তো হবেইনা, ইভেন তাদের কোনো অফিসে চাকরী করার ও যোগ্যতা নাই। তাদের কাউকে ভালোবাসার অধিকার নাই।”
এখন আসো ছেলেদের ব্যাপারে। টিভিতে দেখলাম, ছেলে সুন্দর না হলে তার মটোর সাইকেলে মেয়েরা উঠবেনা ! এখানে একই সাথে দুইটা জিনিস লক্ষ্যনীয় -
১) একটা ছেলে ফর্সা না হওয়া পাপ
২) তার মটোর সাইকেলে একটা মেয়ে না উঠা অপমান জনক
রঙ ফর্সা না হলে তো আজকাল ক্রিকেটারদেরও দাম নাই ! ব্যাট দিয়ে কি হবে যদি গায়ের রঙ্গই সাদা না হলো!
একুপু শুনো, জিকুবাই আছেনা? উনি একটা কথা বলছে, ভালো লাগছে -
গায়ের রঙ কেউ চেঞ্জ করতে পারেনা কিন্তু নিজের কোয়ালিটি কেউ চাইলেই বাড়াইতে পারে। সেটাই আসল।
তুমি একটা জিনিস চিন্তা করো তো ! কয়টা উপন্যাসের চোখ ট্যারা করে দেবার মতো সুন্দরী মেয়েদের বইমেলায় বই বের হয়? এতো সুন্দর করে চিন্তা করতে পারে? ছোটো ভাই-বোনগুলাকে এত্তো ভালবাসতে পারে? কিভাবে পারবে? তারা তো সৌন্দর্য ধরে রাখতে চৌদ্দশ রকমের ক্রীম, ডাল-মরিচ-আলু বাটা মাখাতে মাখাতেই অস্থির !
আমি প্রেমে পরেছি মেয়েটার ব্যবহারে, চরম দুঃখেও আমাকে আকড়ে ধরে রাখার কারণে। আর সে আমার প্রেমে কেনো পরেছে তা জানিনা, অন্তত সৌন্দর্য নিয়ে যে মাথা ঘামায়না, মোটামুটি শিওর, তা নাহলে আমার চান্স ছিলোনা
একুপু, ভালো থেকো অনেক। রঙ ছড়ালে শুধুই বাইরেয়া রঙ্গীন হয়, তোমার সৌন্দর্য ছড়াও সবার মাঝে, দৃষ্টিসীমার মাঝের দুনিয়াটা পুরোটাই সুন্দর হয়ে যাবে।
২৬| ১০ ই মে, ২০১২ রাত ২:১৩
মুনসী১৬১২ বলেছেন: লেখায় প্লাস দেয়া কি ঠিক হবে কিনা জানি না.............কারণ হয়তো আমি প্লাস দিলাম...কিন্তু আমি কি একজন কালো মেয়েকে সঙ্গি হিসেবে নিতে পারব...হয়তো হ্যাঁ ..হয়তো না...জানি না ...আমি দিধ্বান্বিত.....
কালো হলেও ক্লাসের গুণবতি মেয়েটার গুণে মুগ্ধ হতাম...ফর্সা মেয়েটার হালকা কথা বার্তায় বিরক্ত হতাম..কিন্তু রাস্তা ঘাটে রুপময়ীদের দিকে আবার এই আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি...
নিজে সুন্দর বলে ছোটো থেকে পরিবারের সবার আদর বেশি জুটেছে....ফুফু দাদী চাচী মা খালাদের কথা শুনতে শুনতে বড় হয়েছি যে...আমার জন্য লাল টুকটুকে রাজকণ্যা আনবে...
আমি কি চাই তা আজও বুঝে উঠতে পারলাম না................হয়তো পড়ুয়া মনটা সব সময় একজন বোদ্ধা সঙ্গি খুঁজে আবার পারিপার্শিকতায় অভ্যস্থ আমি রুপবতী রাজকণ্যাও খুঁজি..............
২৭| ১০ ই মে, ২০১২ রাত ১১:৩৫
সায়েম মুন বলেছেন: বেশ কিছুদিন অনুপস্থিত। আশা করি সময় করে লেখাটা পড়তে পারবো।
২৮| ১১ ই মে, ২০১২ রাত ১২:০১
রাতুল_শাহ বলেছেন: আমার দাদা ছিলেন ভীষণ রকমের ফর্সা। তার গায়ে হাত দিলে রক্তের মত হয়ে যেত। আর আমার দাদী ছিলেন ভীষণ কালো।
যাহোক আমার নানীর বাড়ির সবাই ফর্সা।
আমার গায়ের রং শ্যামলা হওয়ায় আমার নানী আমাকে পচ্ছন্দ করতেন না। এমনকি আমার নামও কেউ রাখেন নি। পরে মা ২মাসের মাথায় আমার নাম রাখলেন।
আমি এখন তাদের পচ্ছন্দ করি না। তাদের সাথে আমার ঠান্ডা যুদ্ধ চলে। আমার মন পাওয়ার জন্য তারা আপ্রাণ চেষ্টা করে। কিন্তু পারে না।
যাহোক.......সবার দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা।
ছেলেমেয়েদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তারা যখন একা মনে পথ চলে, তখন ভিতরের সৌন্দর্য্য দেখে।
২৯| ১১ ই মে, ২০১২ দুপুর ১:২১
সায়েম মুন বলেছেন: রব স্যার ঠিকই বলেছিলেন।
এই রঙের প্রচলন টা আস্তে আস্তে উঠে যাচ্ছে। একদিন আমাদের সমাজ থেকে একদম উঠে যাবে।
চকচকে হলেই তাকে
সোনা কয়না
আসল সোনার গুণ
সবেতে রয়না।
কি হবে খুঁজে
সাদা কালো
গুনের মাধুরী যখন
মনের আলো।
৩০| ১১ ই মে, ২০১২ দুপুর ১:৩৮
দীপান্বিতা বলেছেন: “মানুষের সৌন্দর্য তার চেহারায় না তার মনে। দেখতে অসুন্দর এমন কেউ হতে পারে সর্বাধিক সুন্দর যদি তার মন সুন্দর হয়। তার মনের আলোতে চারপাশ দুত্যিময় হয়। একেই তো সৌন্দর্য বলে”"
ঠিকই বলেছেন, পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষ তথা প্রাণী তার নিজের মত করে সুন্দর...মানুষ শ্রেষ্ঠ জীব, তার অন্তরের মানবতার বিকাশ তাকে আরো সৌন্দর্য দান করে বলে আমার বিশ্বাস
৩১| ১১ ই মে, ২০১২ রাত ৯:২৭
রেজোওয়ানা বলেছেন: মানুষের মনের প্রচ্ছায়া তার চেহারাতেও পরে, সুন্দর মনের একটা মানুষকে সব মিলেয়ই ভাল লাগে, তার সঙ্গ ভাল লাগে, এইতো সৌন্দর্য্য!
তবে আমাদের দেশে মেয়েরা হচ্ছে এমনই একটা প্রজাতি যাদের সুন্দর হলেও সমস্যা, না হলেও সমস্যা, কালো হলে সমস্যা, ফর্সাতেও তাই, চিকন মোটা, লম্বা খাটো.....কোন অবস্থাতেই স্বস্তি নেই ....
৩২| ১১ ই মে, ২০১২ রাত ১১:৫৩
পুচকে ফড়িং বলেছেন:
আমার একটা কাজিন আছে, নিগ্রোদের মতোন কালো। ছোটোবেলায় ওকে কতো যে কথা শুনতে হয়েছেতার জন্য। খুব চেষ্টা করতো ফরশা হবার জন্য। ওর ভাগ্য ভালো ছোটো থাকতেই ওরা সপরিবারে মালয়শিয়া চলে যায়। ওখানে তো এইরকম গায়ের রং নিয়ে কেউ কটাক্ষ করে না। সেখানে ও পড়াশোনা আর খেলাধুলায় অসাধারণ রেজাল্ট করে, কানাডায় গ্রাজুয়েশন শেষ করে এখন একটা ভালো জব করছে।
আপু, গায়ের রং মাঝে মাঝে কিছুটা সুবিধা দেয় সত্যি, কিন্তু মনের সৌন্দর্য, শিক্ষা আর যোগ্যতাই মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আর বাহ্যিক সৌন্দর্য তো ক্ষণস্হায়ী। অন্যগুলো চাইলেই ধরে রাখা যায়।
শুধু কখনো নিজের ওপর বিশ্বাস হারিয়েন না।
৩৩| ১৬ ই মে, ২০১২ সকাল ১১:০০
আরমিন বলেছেন: রেজোওয়ানা বলেছেন: মানুষের মনের প্রচ্ছায়া তার চেহারাতেও পরে, সুন্দর মনের একটা মানুষকে সব মিলেয়ই ভাল লাগে, তার সঙ্গ ভাল লাগে, এইতো সৌন্দর্য্য!
তবে আমাদের দেশে মেয়েরা হচ্ছে এমনই একটা প্রজাতি যাদের সুন্দর হলেও সমস্যা, না হলেও সমস্যা, কালো হলে সমস্যা, ফর্সাতেও তাই, চিকন মোটা, লম্বা খাটো.....কোন অবস্থাতেই স্বস্তি নেই ....
গায়ের রঙ নিয়ে আমাকেও ছোটবেলায় কথা শুনতে হয়েছে! পো্স্টে অনেক ভালোলাগা!
অ:ট: রেজু আপুকে খুব মিস করছি!
৩৪| ১৬ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৮
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: বলার কিছু খুঁজে পাচ্ছি না...
অসাধারণ লেখা।
৩৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫০
একুয়া রেজিয়া বলেছেন: অনেক দিন পর সামুতে এলাম।
ব্যস্ততার জন্যে কারো মন্তব্যেরই আলাদা ভাবে উত্তর দেওয়া হয়নি। আজ তাই একসাথে সবাইকে ধন্যবাদ দিতে চলে এলাম।
শুভকামনা।
৩৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৫
সানজিদা হোসেন বলেছেন: আমার নিজের গায়ের রং শ্যামলা। আমার জামাই মোটামুটি লাল্টু টাইপের ফর্সা।বেচারা আমাকে খুব পছন্দ করেই বিয়ে করেছে। আমাদের বিয়েটা এরেন্জ। তাই আমার শ্বশুড়বাড়ির কিছু আত্নীয়ের খুব মন খারাপ ছিল এত সুন্দর ছেলেটা একটা কালো মেয়েকে বিয়ে করছে। আমার সম্প্রতি একটা মেয়ে হয়েছে। সবাই জল্পনা কল্পনা চালাচ্ছে মেয়ের গায়ের রং কার মত হবে। এক আত্নীয় বলেই ফেললো গায়ের রঙ ভালো না হলে বিয়ের সময় অনেক টাকা লাগবে। আমি হাসতে হাসতে বললাম ওর মাও কালো। তার কিন্তু অনেক টাকা লাগেনি। খারাপ লাগছে এটা ভেবে যে খুব ছোটবেলাতেই তাকে আমার এই গায়ের রঙের ব্যপারটা বুঝাতে হবে। তানা হলে আমাদের চারপাশের কথা থেকে ওর হীনমন্যতা জন্মানোও বিচিত্র না।
৩৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৫
অভিমানী মুন্না বলেছেন: আসল সৌন্দর্য্য মানুষের মনে !
৩৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৫
একলা ফড়িং বলেছেন: জাতের মেয়ে কালও ভাল, কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি- এইসব গল্প কবিতাতেই পাওয়া যায় শুধু। বাস্তবে গৌর বর্ণের মাঝেই সকল সৌন্দর্য বিদ্যমান, বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে সেরকমই মনে হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:২০
ফাতিমা নিশাত বলেছেন: রুপে চক্ষু জুড়ায় কিন্তু গুণ হৃদয় জয় করে....ভাল থেকো আপু...