ওই কিডা ? ? কিডারে? রাত ২টা, উদয়ন স্কুল এর চিপায়

১৫ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১২:০৬

সেদিন ছিল সম্ভবত ৫ জানুয়ারী ২০১২। ক্যাম্পাস থেকে দোস্ত মিচকা ফোন দিল। তো ক্যাম্পাস এ গিয়ে দেখি দোস্ত ফকাত মাইঙ্কা (মানিক) আসছে ক্যাম্পাস এ। তো সভাবসুলভ হাসি ঠাট্টা , পচানি, টয়া কালি এইসব চলছিল। বিরি বুরি খাওয়ার পর দেখি মাইঙ্কা হালায় অর ব্যাগ থেইকা একটা ২৫০ মিঃলিঃ সেভেন আপ এর বোতল বাইর করল। জিগাইল খাবি নাকি?

জিগাইলামঃ কি?

হালায় কয় সেভেন আপ।



বাট আমার মনে একটা সন্দেহ ছিল যে , এইটা হার্ড ড্রিঙ্কস হইবার পারে। যাই হোক ওইটা ছিল লিওনারি (রাশান ভদকা)। অরা থার্টি ফার্স্ট এ মারচে। আমি ছিলাম না বলে আমার জন্য নিয়া আসছে।



রেভেনাস থেকে এরপর মল চত্তর গিয়া আমি আর মিচকা হালায় দুইজনে মাইরা দিলাম পুরো বোতল। তারপর লোকমান এর দোকান থেকে খিচুড়ি খাইয়া সবগুলা মিলে চরম এক খান আড্ডা দিতে দিতে দেখি রাত হইয়া গেছে বেশ। ফকাত হালায় অর হল এ যাইব। এখানে উল্লেখ করা দরকার , ফকাত বুয়েট এ পড়ে। আর আমরা পাপীরা ঢাবি হল ছাড়ছি ঘটনার মাস খানেক আগে।



যাই হোক, তখন শীত পড়ছে খুব।

ফকাত কইলঃ মামা তোরা থাক তাইলে, আমি গেলাম।

রাইত হইয়া গেছিল তাই আমরা ও কইলামঃ যা হালায়।



ফকাত মল চত্তর থেকে শহীদ স্মৃতি হলের দিকে রওনা দিল, আর আমি, মাইঙ্কা আর মিচকা হালায় খারাইয়া খারাইয়া গল্প করতাসিলাম। ফকাত যখন ভিসি চত্তর পর্যন্ত গেলো, আমার মাথায় তখন একটা বুদ্ধি আইল। আমি মাইঙ্কা রে কইলামঃ

ল , ফকাত হালারে ভয় খাওয়াই।

ওই হালায় ও অম্নি কইল ল যাই।

মিচকা হালায় চুপচাপ রইল।



ও কইতে ভুইল্লা গেসিলাম। এখন মনে পরছে, আমগো লগে সবজি হালায় ও আচিল।( হালায় এখন নতুন বিয়া করচে, কিন্তু বিলাই মারতে পারচে কিনা সন্দেহ।)



চিন্তা করলাম রাস্তার আলোয় তো হালায় আমাগো রে চিনে ফেলব।আর চিনে ফেললে তো প্লান মাইর। কি করা যায়? দেখলাম একখান রিশকা জাইতাচে, অরে ডাক দিয়া উইঠা পরলাম । কইলাম মামু ফুলার রোড দিয়া আগাও।

দেখি ফকাত মামায় জোরসে হাঁটতাছে, ফুলার রোড দিয়া পলাশি হয়ে হল এ যাইব।

আমরা রিকশার হুড উঠাইয়া দিলাম , আর প্লান করলাম যে, উদয়ন স্কুল এর সামনে তেতুল গাছের নিছে খারামু। আর অইখানেই মালরে ভয় খাওয়ামু। ওই খানেই একটু অন্ধকার আর চিপা মতন জায়গা। যাই হোক রিকশা থেকে নাইমা খারাইলাম তেতুল গাছের চিপায়। আমি ব্লেজার খুইলা মাথায় দিলাম, আর মাইঙ্কা হালায় অর জ্যাকেট ও খুইলা মাথায় দিল। উঁকি দিয়া দেখি মাল ব্রিটিশ কাউঞ্চিল এর সামনে। মাইঙ্কা হালায় কত্থেকে একখান ইটা খুইজা নিল।



দুই জনে খারাইয়া আছি অন্ধকারে, আর হাস্তেছি।

মাল যখনি উদয়ন এর সামনের গেট পার হচ্ছে, আমরা গাছের আড়াল হতে ইটা খানি ছুঁড়ে মারলাম। শালা তখনি পিছন ফিরা তাকাইল, আর আমরা দুইজন মাথা ঢাকা দিয়া বাইর হইলাম গাছের আড়াল হইতে। আমগো রে দেইখাই মালের অবস্থা তো তখন ক্যোঁৎঃ ক্যোঁৎ

কইলাম ওই খারা, খারা,

হালায় কয়ঃ ওই কিডা? কিডারে?

( এই কথা কইতাসে আর হালার দেখি মুখ চোখ শুকনা হইয়া যাইতাছে। আর খালি পিছনে যাইতাছে। হালায় নিশ্চিত মনে মনে ক্যোঁৎ ক্যোঁৎ)



বিশ্বাস হইবনা আপনাগো , সত্যি কইতাসি হালায় তখন পুরা ধান্দায় আচিল হয় দৌড় দিবে, নয় মুইতা দিবে। আমার তখন ফকাত হালার ওই অবস্থা দেইখা তারাতারি মুখ মাথা থেকে কাপর চোপড় সরাইলাম।

কিন্ত দেখি হালায় তা ও চিনবার পারতেছেনা। দেহেন ত কি অবস্থা? তারপর আমরা যখন হাসি শুরু করলাম তখন শালা চিনবার পারচে যে আমরা। তার পর তিন জনের সে কি হাসি।

অইদিকে মিচকা হালায় ও সব্জি হালায় হাইটা হাইটা আইতেসিল, এবং এরপর পাচজনের সে কি হাসি ওই রাত ২টার দিকে ফুলার রোডে।

তার পর থেকে আমরা ফকাত হালারে দেখলেই ঃ ওই কিডা? কিডারে?

( এইসব বন্ধু গুলো আমার আত্মার আত্মীয় হয়ে গিয়েছে। দোস্তরা মাপ কইরা দিস। তগরে পাব্লিক প্লেসে নিয়া আইস্লাম )

বিঃ দ্রঃ ঃ অনেক দিন গদ্য লিখিনা। শুধু গদ্য না কিছুই লিখা হয়না। তাই আমি জানি হয়ত অনেকেরই ভালো লাগবেনা। খেই হারিয়ে ফেলেছি লিখতে গিয়ে। সুতরাং বলা যেতে পারে যে ঃ লেখার অপচেষ্টা করলাম।

৩ টি +১/-০