![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাত বাড়িয়ে দিলাম...। ধরো, নয়তো ফিরিয়ে দাও। অপেক্ষায় রেখনা...।
আপনার কি মনে হয় ইসলামিক পশু জবাই পদ্ধতিটি খুব নিষ্ঠুর?
আসুন দেখা যাক, বিজ্ঞান কি বলে :
western world এ পশু জবাইয়ের প্রচলিত নিয়ম(CPB Method):
Captive bolt pistol(CPB ) নামের এক ধরনের যন্ত্র দ্বারা পশুর কপালে প্রচন্ড আঘাত করা হয়......ধারনা করা হয় এতে পশু unconcious হয়ে পড়ে এবং জবাইয়ের পর ব্যথা অনুভব করে না ......
Captive bolt pistol(CPB )
গবেষণা :
জার্মানির Hanover University এর প্রফেসর Wilhelm Schulze এবং তার সহযোগী Dr. Hazim এর নেতৃত্বে একটি গবেষণা পরিচালিত হয় ...গবেষনার বিষয়বস্তু ছিল :
১.western world এ প্রচলিত নিয়মে(CPB Method) এবং
২.ইসলামিক নিয়মে পশু জবাইয়ে পশুর যন্ত্রণা এবং চেতনাকে চিহ্নিত করা।
Experimental Setup:
brain এর surface কে touch করে পশুর মাথার খুলির বিভিন্ন জায়গায় surgically কিছু electrode ঢুকিয়ে দেয়া হয় ...... পশুকে এরপর সুস্থ হওয়ার জন্য কিছু সময় দেয়া হয়......তারপর পশুগুলোকে জবাই করা হয়......কিছু পশুকে ইসলামিক নিয়মে আর কিছু পশুকে western world এর নিয়মে...... জবাই করার সময় electroencephalograph (EEG) এবং electrocardiogram (ECG) করে পশুগুলোর brain এবং heart এর condition দেখা হয়......
Result:
ইসলামিক পদ্ধতিতে জবাইয়ের ফলাফলঃ
১. জবাইয়ের প্রথম ৩ সেকেন্ড EEG graph এ কোন change দেখা যায় না ......তারমানে পশু কোন উল্লেখযোগ্য ব্যথা অনুভব করে না ...
২. পরের ৩ সেকেন্ডের EEG record এ দেখা যায় , পশু গভীর ঘুম এ নিমগ্ন থাকার মত অচেতন অবস্থায় থাকে...... হঠাৎ প্রচুর পরিমানে রক্ত শরীর থেকে বের হয়ে যাবার কারনে brain এর vital center গুলোতে রক্তসরবরাহ হয়না.........ফলে এই অচেতন অবস্থার সৃষ্টি হয়......
৩. উপরিউল্লিখিত ৬ সেকেন্ড এর পর EEG graph এ zero level দেখায় ...... তারমানে পশু কোন ব্যথাই অনুভব করেনা ......
৪. যদিও brain থেকে কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না , তবুও heart স্পন্দিত হচ্ছিল এবং তীব্র খিঁচুনি হচ্ছিল (spinal cord এর একটা reflex action) । এভাবে শরীর থেকে প্রচুর পরিমানে রক্ত বের হয়ে যাচ্ছিল এবং এর ফলে ভোক্তার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত মাংস নিশ্চিত হচ্ছিল ।
western world এ প্রচলিত পদ্ধতিতে(CPB Method) জবাইয়ের ফলাফলঃ
১. মাথায় প্রচন্ড আঘাত করার পরের মুহূর্তে পশুটিকে দৃশ্যত অচেতন মনে হচ্ছিল
২. কিন্তু EEG এর দ্বারা বোঝা যাচ্ছিল পশুটি খুব কষ্ট পাচ্ছে ।
৩. ইসলামিক পদ্ধতিতে জবাই করা পশুর তুলনায় CBP দিয়ে আঘাত করা পশুটির heart স্পন্দন আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল । যার ফলে পশুটির শরীর থেকে সব রক্ত বের হতে পারে নি । এবং ফলশ্রুতিতে, পশুটির মাংস ভোক্তার জন্য অস্বাস্থ্যকর হয়ে যাচ্ছিল ।
western world এর পদ্ধতি(CPB Method) এবং MAD COW রোগঃ
Texas A & M University এবং Canada এর Food Inspection Agency একটা পদ্ধতি(Pneumatic Stunning) আবিষ্কার করেছে যেটাতে একটা metal bolt পশুর brain এ fire করা হয় এবং এর ফলে brain এর টিস্যু পশুর সারা শরীরে ছড়িয়ে পরে । brain tissue এবং spinal cord হল Mad Cow আক্রান্ত গরুর সবচেয়ে সংক্রামক অংশ ।
এছাড়াও brain এবং heart এ electric shock এর মাধ্যমে পশুকে অচেতন করেও কিছু কিছু জায়গায় পশু জবাই করা হয় যেটা মাংসের quality এর উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে ।
ভারতীয় পদ্ধতিঃ
ভারতে পশুর মাথা এক কোপে আলাদা করে ফেলা হয় । এতে করে ঐচ্ছিক পেশীগুলো হঠাৎ করে সঙ্কুচিত হয়ে পরে যা অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ তরল বের করে দেয় এবং heart হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শরীর থেকে রক্ত বের হতে পারে না , যা বের হওয়া স্বাস্থ্যকর মাংসের জন্য দরকার ।
এছাড়া ইসলামে spinal cord না কেটে শ্বাসনালী , এবং jugular vein দুটো কাটার
ব্যাপারে জোর দেয়া হয়েছে । এর ফলে রক্ত দ্রুত শরীর থেকে বের হয়ে যেতে পারে । spinal cord কাটলে cardiac arrest এর সম্ভাবনা থাকে যার ফলে রক্ত শরীরে আটকে যাবে যা রোগজীবানু এর উৎস ।
এখানে রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর একটি হাদীস মনে করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন অনুভব করছিঃ "আল্লাহ সবাইকে দয়া করার হুকুম দেন । তাই যখন জবাই কর তখন দয়া কর । জবাই করার পূর্বে ছুরিতে ধার দিয়ে নাও যাতে পশুর কষ্ট কম হয়" । তিনি পশুর সামনে ছুরিতে শান দিতে বা এক পশুর সামনে আরেক পশুকে জবাই করতেও নিষেধ করেছেন । এই জিনিস্টা কুরবানীর সময় আমারা ভুলে যাই ।
সবশেষে , আমরা কি এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে পশু জবাই করার ইসলামিক পদ্ধতিটিই সবচেয়ে বিজ্ঞানসম্মত এবং পশু এবং পশুর মালিক উভয়ের জন্যই উপকারী?
অতএব আর দেরি না করে করবানি পশুর হাট থেকে ঘুরে আসি !!! সবাইকে আগাম ঈদ উল আযহার মোবারাকবাদ...
তথ্য সূত্র: ফেসবুক থেকে
লিঙ্ক
০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৬
একান্ত কথা বলেছেন:
আসলেই ইসলামী জবেহ পদ্ধতি একটি বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতি । ধন্যবাদ আপনাকে...
২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৩
বেঙ্গলেনসিস বলেছেন: তোকে এই পদ্ধতিতে জবেহ্ দিতে মন চাচ্ছেরে হতভাগা।
খুবই মানবিক পদ্ধতি আর যাই হোক।
০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৯
একান্ত কথা বলেছেন:
আমরা যেন পশু কুরবানির সাথে সাথে নিজের পশুত্ব স্বভাবকে (বেঙ্গলেনসিস ভাইয়ের) ও যেন কুরবানি করতে পারি।
খুবই মানবিক তো বটেই...
৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৩
রাহীম বলেছেন: আমরা যেন পশু কুরবানির সাথে সাথে নিজের পশুত্ব স্বভাবকে ও যেন কুরবানি করতে পারি। আর কুরবানি যেন হয় শুধু মাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্য। ধন্যবাদ এমনভালো তথ্য শেয়ার করার জন্য ।
০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪০
একান্ত কথা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও রাহীম ভাই...
৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৩
রবিনের প্রান "বাংলাদেশ" বলেছেন: একটা জলজ্যান্ত নিরিহ প্রানিকে যেভাবেই হত্যা করার হোক না কেন , তা নির্মমতা বহন করে । মানুশের মাঝে থাকেন প্রভু । সমগ্র সৃস্টি কে লালন পালন করা , ভালবাসা মানুসেরি দায়িত্ব ।
০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪১
একান্ত কথা বলেছেন:
ব্যাপারটা খুবই মানবিক তো বটেই...
৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪৩
হু-কেয়ারস বলেছেন: এই লিন্কে দেখেন। কুরবানি করার উপায়।
০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৫০
একান্ত কথা বলেছেন:
ভাল লিঙ্ক দিছেন ভাই...ধন্যবাদ
৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৫৩
জুনাইদ মাহমুদ রক্তিম বলেছেন: ভাই দৃশ্যত জবাই করাটা দেখলে অনেক মর্মান্তিক লাগে, কিন্তু আপনার পোস্ট পরে আমার মনে হচ্ছে বিজ্ঞান ঠিকই বলছে।
০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৫৫
একান্ত কথা বলেছেন:
আমারও এখন তাই মনে হচ্ছে বিজ্ঞান ঠিকই বলছে।...ধন্যবাদ আপনাকে
৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৫৬
রবিনের প্রান "বাংলাদেশ" বলেছেন: পাশবিক আবার মানবিক হয় কেমন করে ? ভন্ডামির গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে
০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৫
একান্ত কথা বলেছেন:
ভন্ডামির গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে !!!! এখানে ভন্ডামির কি আছে ???
৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১৬
শিপু ভাই বলেছেন: চমতকার পোস্টে।
অনেক ধইন্যা।
++++++++++++++++++++++
০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২১
একান্ত কথা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও...
৯| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৯
রাহীম বলেছেন: রবিনের প্রান "বাংলাদেশ"
আপনাকে একটা কথা বিনয়ের সাথে জিজ্ঞেস করি, আপনি - আমি সবাই কিছু না কিছু খাই তাই নয়? যদি গোস্ত না খাই এতে আমার সমস্যা থাকে তবে মাছ খাই । তবে একটা জলজ্যান্ত নিরিহ প্রানিকে যেভাবেই হত্যা করার হোক না কেন , তা নির্মমতা বহন করে । কেন আমরা জীবিত একটা মৎসকে খাওয়ার জন্য ধরে তাকে মৃত্যুর দিকে ঢেলে দেয় । ধরে নিলাম আমি মাছ খাই না মাছের মানবিকতার কারণে, তবে শাক -সবজি খাই আজ বৈজ্ঞানিকরা বলছে তাদের ও প্রাণ রয়েছে, তাকে খাওয়ার জন্য সংগ্রহ করা তাকে হত্যা করা। তবে আমরা কি খাব?
যদি বলেন আমরা প্রাণীকে মরার পর খাব, এমন প্রাণী খেলে আপনার ও মরে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি । এটা ডাক্তারদের কথা, যদি প্রাণীর শরীর হতে রক্ত বের করে দেওয়া হয়। এতে আপনার ক্ষতির সম্ভবনা খুব কম কেননা যত রোগ রয়েছে তার বেশিরভাগ রয়েছে রক্তে । কেননা আপনার যে কোন রোগ হোক না কেন রক্ত পরিক্ষা করলেই যথেষ্ট ।
আসলে ভাই পৃথিবীকে যিনি সৃষ্টি করেছেন, যিনি আসমান -যমিন সৃষ্টি করেছেন। তিনি পৃথিবীর সব প্রানীর জন্য বিধান রেখেছেন খাওয়ার: না খেলে কারো চলে না। সমুদ্রের মধো দেখুন বড় মৎসটা ছোট মৎস খেয়ে জীবন রক্ষা করে চলছে। আবার ছোট মৎসটা ছোট ছোট পোঁকা মাকড় বা সমুদ্রের সৈবাল খেয়ে নিজের জীবন রক্ষা করে চলছে। আসলে সময় মত না খাওয়া ও বড় অপচয়।
এখন আসুন এসব পশুগুলো একটা প্রাণী বা আল্লাহর সৃষ্ট মাখলুক। আমরা ও আল্লাহর সৃষ্ট একটা মাখলুক বা আশ্রাফুল মাখলুকাত (শেষ্ঠ জীব) আমাদের কোন অধিকার নেই কোন প্রাণিকূলকে খাওয়ার বা হত্যা করার । তবে যিনি সৃষ্টিকর্তা তিনি যদি অনুমতি দেন তবে কোন অসুবিধা নেই। যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনি আমাদের খাওয়ার জন্য তার নবীর মাধ্যমে অনুমতি দিয়েছেন । এবং এটার বিপুল জোগান ও তিনি দিয়েছেন । দেখুন কি পরিমাণ গরু দৈনিক জবাই হয় প্রতিটি গ্রামে প্রতিটি বাজারে! সারা বছর কি পরিমাণ গরু জবাই হয়! কুরবানির সময় বাজারে গিয়ে দেখুন অনুমাণ করতে পারবেন কি পরিমাণ গরু কুরবানির সময় জবেই হয়! কখন ও কি শুনেছেন গরুর সংকট? বরং সব সময় গরু বিক্রেতাদের কাছে শুনবেন গরু বাজারে খুব বেশি দাম কম। অথচ গরু বছরে শুধু একটা করে বাচ্চা দেয়! অথচ দেখুন কুকুর একসাথে ৬টা করে বাচ্চা দেয়। আমাদের দেশে এটা খাওয়ার লোক ও হাতে গোনা এতগুলো কুকুর কই যায়? বাস্তবতা হল যার যে পরিমাণ প্রয়োজন সে পরিমাণ সহজ লভ্য মহান আল্লাহ তায়ালাই করে দিয়েছেন। চিন্তা করুন যদি আমাদের অক্সিজেন ক্রয় করার প্রয়োজন হতো। লম্বা হয়ে যাবে না হলে এর অর্থনৈতিক ইতিবাচক দিক আলোচনা করতাম কৃষকরা কেমন লাভবান হচ্ছে আর চামড়া রপতানিতে দেশের কেমন উপকার হচ্ছে! আর যারা বছরে একবার ও গোস্ত কিনে খাওয়া সম্ভব হতো না তারা ও কুরবানির ওছিলায় তাদের ও গোস্ত খাওয়ার সে সুযোগটা হয়ে যাচ্ছে । আর সবচেয়ে বড় কথা হল এই কুরবানি করা হচ্ছে সৃষ্টকর্তার সন্তুষ্টি লাভের জন্য ।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২৯
সমাস বলেছেন: ইসলামী জবেহ পদ্ধতির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে আমি একটি পোস্ট দিয়েছিলাম Click This Link