নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি জিনিসটা একটা নেশার মতোন। এই নেশা যার আছে, সে ভাগ্যবান মানুষদের দলে।

অনূসুয়া

পরিচয় দেবার মতোন কেউ আমি নই। কোনদিন হবে, সেদিন লিখবো কিংবা লিখবো না।

অনূসুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

অস্তিত্বে নিজের বাড়ী

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৫৮

"খোকা,তুই পারবি? সত্যিই পারবি তো?"

মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি,উৎকন্ঠা নিয়ে চেয়ে আছে আর দুচোখ।

সেই বয়সে আর কিছুই থাকুক না থাকুক,সাহস ছিলো বুকে।হেসে বললাম,পারবো মা,দেখো তুমি।আমি এখন বুঝতে পারি,সেদিন মা সুখের কান্না কেদেছিলেন।

আমার চাকরীর টাকায় আমি একটা মাথা গোজবার ঠাই বানাতে চলেছি।সেই চাকরি,যা আমার কষ্টের ফল।বেতন নামমাত্র।তাও চলে।পাকা ঘর উঠবে বাড়ীতে, ইটের দালান।

ঘরের ভিত উঠে, আর আশা আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পায়।আর একটু।এইতো একটু...এভাবে চলতে থাকে।

ঘরের কাজ শেষ হয় না।আমার ছুটি শেষ হয়।টাকা ফুরিয়ে যায়।ছুটে যাই চাকরীতে,প্রতিমাসে আমার পাঠানো টাকায় আব্বার মুখের হাসি কিনি,ভাইবোনের শান্তি কিনি,মায়ের সুখের চোখের পানি কিনি।

এভাবেই কাটাই।বাড়ী হয়।টিউবওয়েল বসে।নীল রঙের।সবাই বলে, আছাফুরের মা,তোর কি শান্তি!! তোর তো ইটের দালান। লাল রঙের ইট।উপরে খোলার চাল।আহা নিজের ঘর!

নিজের বাড়ী। দিন যায়,মাস যায়,বছর যায়,আমার বাড়ী পুরানো হয়।এই বাড়ী কেউ নাই এখন।
মা, আব্বা,কেউ নাই।এখন আর পথে আসার সময় গলা ফাটিয়ে চিৎকার দিতে দিতে আসিনা,কারন আমার মা আমার ডাক শোনার অপেক্ষায় নাই।এখন আর টাকা দিয়া আব্বার মুখের হাসি ফুটাইতে হয় না।আব্বা পরম শান্তিতে ঘুমায়ে আছেন।

আমার বাড়ী,সেই নিজের বাড়ী,আমার থাকার সময় নাই।শহরে বড় বাড়ী আমার!দুই সন্তান ডাক্তার।যে বাড়ী আমার পরম যত্নের ধন,তার মায়া আমার কাটে না।আমি যাই,দেখি আমার মায়ের মুখ।আব্বার হাসি।সেই বাড়ী আমি দেখতে আসি একাকী।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১৯

ভাইয়ু বলেছেন: সময় সবকিছুই বদলে দেয়৷ বদলাতে পারে না শুধু মস্তিস্কে আটকে পড়া স্মৃতিগুলো৷আপনি ব্লগিংয়ে আমার সাড়ে পনেরো ঘন্টার সিনিয়র৷ লেখাটা দারুন ছিলো৷ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.