![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন সাংবাদিক ও লেখালেখি করি
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারি এলাকায় চলন্ত ট্রেনে বাইরে থেকে ছোড়া পাথরের আঘাতে প্রীতি দাশ (২৪) নামের এক প্রকৌশলী নিহত হয়েছেন। প্রীতি তাঁর স্বামীসহ ট্রেনে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। শনিবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে তূর্ণা নিশিথা ট্রেনে এই ঘটনা ঘটে।
বাইরের সভ্য দেশে রেলগাড়িগুলাতে নিরাপত্তার কারণে জানালা আটকানো থাকে আর ভেতরে সার্বক্ষণিক এসি থাকে। আর আমাদের দেশে যেখানে বিভিন্ন জায়গায় অসভ্যরা থাকে, যারা চলন্ত রেল গাড়িতে ঘুমন্ত মানুষকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে আনন্দ করে, সে দেশে মনে হয় জানালা খোলা রাখাটাও অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।এদের কারনে চলন্ত ট্রেনেও জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। গত বছর একই কাহিনীতে এক ট্রেনের চালক জ্ঞান হারিয়েছেন। এর একটা সমাধান প্রয়োজন।খুবই দু:খজনক ঘটনা । বাংলাদেশ সরকারের উচিত রেল লাইনের পাশের সব বস্তি উচ্ছেদ করা, তাহলে হয়তো এধরনের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটবে না ।এটা কোন এক্সিডেন্ট নয়, ঠান্ডা মাথার হত্যাকান্ড। হত্যাকারী রেলে পাথর ছুড়েছে জেনে বুঝে, পরবর্তী ফলাফল জেনে। যে লোকেশনে এই কাজটি হয়েছে সেখানে দ্রুত তল্লাশী চালিয়ে মূল হত্যাকারীকে ধরা হোক। ছোড়া পাথরের আঙুলের ছাপ নিয়ে সমস্ত এলাকা তল্লাশী করা হোক। এদের যথাযথ শাস্তি না হলে এমন চলতেই থাকবে।মধ্যযুগীয় বর্বরতার সংজ্ঞা জানতে ইচ্ছা করছে। একজনের পৈশাচিক আনন্দ অন্যের মৃত্যুর কারন। এরা রাত জেগে ওৎ পেতে অন্ধকারে বসে থাকে ট্রেনের যাত্রীদের ঢিল মারার জন্য ! ঢিল মেরে মানুষ হত্যা করে এরা মহা সুখে ঘুম যায় ! বুঝুন তাহলে এরা কোন জাতের সন্ত্রাসী !
এ দেশে নতুন করে 'বর্বরতার যুগ' আমরা এর থেকে মুক্তি চাই। আশা-নিরাশার কুয়াশাচ্ছন্ন ঘোরের মধ্যে এই বিভৎস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ এবং জড়িত দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের কাছে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের অনুতি বিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দাবী করছি। সভ্য দেশ জাতি বা সমাজ সম্বন্ধে কোন পরিস্কার ধারনায় পৌছানো একেবারেই সম্ভব নয়। সভ্য জাতি বা সমাজ সম্বন্ধে আমার ধারনা 'নিজের প্রহরী নিজেকেই হওয়া' সভ্য দেশ জাতি বা সমাজ আমি তাকেই বলি যেখানে প্রতিটি নাগরিকের চিন্তা - চেতনার মধ্যে অটুটভাবে গাঁথা থাকবে সেই অমুল্য বোধটি। প্রতিটি নাগরিকের যদি এইটুকু সামাজিক দায়িত্ববোধ না সৃষ্টি হয় নিজের বিবেকের মধ্যে তাহলে হাজার পুলিশ পাহারা মোতায়েন করেও মানুষের চরিত্র শুধরানো যাবে না। অনেক কিছু শেখার আছে আমাদের। নৈতিকতা এবং সামাজিক মূল্যবোধ বিরোধী কাজ থেকে সবাই সতর্ক ও দূরে থাকুন।
২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:১৯
সবুজ-ভাই বলেছেন: আ্যামাটার ভাই দেখা যায় ট্রেনে ঢিল ছুড়ে মারা ব্যাপারে মোটামোটি ডিপ্লোমা করে ফেলেছেন দেখা যায়।
যাইহোক এভাবে অযাচিত মৃত্যু খুবই দুঃখ জনক। সমবেদনা রইল।
৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৪৮
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ব্যপারটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:২৫
ভিটামিন সি বলেছেন: আমার আরও একটি হাসি-খুশি প্রাণোচ্ছল বোন হারিয়ে গেল দুর্বৃত্তদের কারণে।
৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৩৬
মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: গত বৎসর এক সন্দ্ধায় কমলাপুর হতে ট্রেনে করে বিমানবন্দার ষ্টেশনে আসছিলাম। যখন কাওরানবাজারের বস্তির ভেতর দিয়ে অতিক্রম করছিলাম হটাৎ দেখলাম ১০/১২ বৎসরের কয়েকটা পোলা ট্রেনের জানালা ও দরজা লক্ষ করে ঢিল মারছিল। দরজার পাশে আমরা কয়েকজন দাড়িয়েছিলম। একজনের পায়ে একটা লাগল। একই ঘটনার সম্মুখিন হলাম আরকেবার তেজগাও বস্তি থেকেও। তবে কাওরানবাজারের বস্তি থেকে ঢিল মারার ঘটনা আমি একাধিকবার দেখেছি, এবং যারা নিয়মিত ট্রেনে যাতায়াত করেন তাদের কাছে এটা একটা আতংকের স্থান।
৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০০
রবিউল ৮১ বলেছেন: রেললাইনের আশ পাশ থেকে বস্তি উচ্ছেদ করতে পারলে এর প্রকোপ অনেক কমে যাবে।ট্রেনে নিয়মিত পাথর ছুড়ে লাইনের আশে পাশে থাকা বস্তির ছেলরা।যে খানে ব স্তি নেই সেখানে পাথর ছোড়ার ঘটনাও ঘটে না।
৭| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২৭
চাকমা বলেছেন: ওদের কঠিন শাস্তি দেওয়া উচিত। আমাদের কাছের কেউ মারা গেলে, বুঝতাম এটা কত বড় অপরাধ।
৮| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪০
আসিফুর রহমান বলেছেন: ঢাকা এয়ার পোর্ট স্টেশন থেকে টংগি ব্রিজ পর্যন্ত যায়গাটায় প্রায় সবসময় ট্রেনে ঢিল ছুড়ে মারে, এ সময় সাবধান থাকবেন....
৯| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪৪
ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: বস্তি উচ্ছেদ সহ ট্রেনের সকল নন এসি জানালায় অতি সত্বর এক ইঞ্চি খোপ এর এক সুতা রড বা লোহা দিয়ে স্থায়ী গৃল এখনই লাগানো শুরু করা উচিত।
এতে করে কোন পাথরের ঢিল ভেতরে ঢুকবে না, বেকে হালকা ভাবে গায়ে লাগতে পারে।
১০| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:০০
শিক্ষানবিস বলেছেন: ১৯৯৯ সালে আমি এ রকম এক হামলার শিকার হয়েছিলাম। মহানগর প্রভাতীতে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলাম একটি অফিসিয়াল কাজে। অফিসের নির্দেশনা ছিল বাসে ভ্রমনের। পাহাড়তলী অত্রিক্রম করছিল ট্রেনটি দুপুর বেলায়। জানালার গ্লাস লাগানো ছিল। মনে হল, আমাকে টার্গেট করে শক্তিশালী একটি বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। আমি মরে গেছি। কিছুক্ষণ পর যখন হুশ ফিরে আসল, দেখলাম আমি ট্রেনের করিডোরে পড়ে আছি। একজন যাত্রী আমাকে ধরে ওয়াশ রুমে নিয়ে গেল। লুকিং গ্লাসে নিজের চেহারা দেখে আতকে উঠেছিলাম। জানালার গ্লাস আর আমার চশমার কাচ ভেঙে অসংখ টুকরো চোখে ও মুখমন্ডলে ঢুকেছিল। অবিরাম রক্ত ঝড়ছিল।
পরে জানলাম এ রকম ঘটনা নাকি প্রায়ই ঘটে।
সরকার তার বিরোধীদের পাখির মত গুলি করে হত্যা করে মজা পায়। এই সব দুর্বিত্তদের দমনে তাদের কোন আগ্রহ নেই।
এদের দমন করা কি খুব কষ্টের? খুব অসম্ভব? আমি বলব, এই সকল বস্তি দুর্বিত্তরা সরকারের চরিত্রে চরিত্রবান। তারা মানুষের রক্ত ঝড়িয়ে মজা পায়। সৃষ্টিকর্তার কাছে বিচার চাওয়া ছাড়া আর কিছু করার আছে বলে মনে হয় না।
যুগ যগ ধরে বিদ্যমান এ সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে না কেন?
১১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
হোসেন মনসুর বলেছেন: আমি মিরপুর-১০ থেকে এয়ারপোর্ট যাচ্ছিলাম জাবালে নুর নামক বাসে ঈদের দুদিন আগে। কালশীর কাছাকাছি এসে হঠাত বাইরে থেকে এক টুকরো পাথর এসে আমার কপালে লাগে আমি বাইরে তাকিয়ে দেখি সেও সম্ভবত কোন এক বস্তির ছেলেই হবে। এবং আমি কপালে হাত দেওয়াতে সে হাসছে।
১২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:০০
তানি জী... বলেছেন: ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: বস্তি উচ্ছেদ সহ ট্রেনের সকল নন এসি জানালায় অতি সত্বর এক ইঞ্চি খোপ এর এক সুতা রড বা লোহা দিয়ে স্থায়ী গৃল এখনই লাগানো শুরু করা উচিত।
এতে করে কোন পাথরের ঢিল ভেতরে ঢুকবে না, বেকে হালকা ভাবে গায়ে লাগতে পারে।............. সহমত...
১৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১৮
েবনিটগ বলেছেন: অবিশ্বাস্য নৃশংসতা
১৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৫
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: ভয়াবহ !
১৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: এই নির্মম হত্যার নিন্দা জানাই। সবার সাজেশন ভাল। আমার সুপারিশটা এদেশের প্রশিক্ষনহীন অশিক্ষিত অকর্মন্য পুলিশ শোনে কিনা জানিনা। বিশেষ একটা এলাকা থেকে এই ঢিল মেরে খুনটা করা হয়। ঐ এলাকায় আসা মাত্র পুরো এরিয়া কাভার করে মানে এক মাইল যেতে যেতে রাইফেল দিয়ে গোটা একশ রাউন্ড গুলি করুন। দুএকটা মাটিতেও করুন। ১৫ দিনের মধ্যে ঠান্ডা হতে বাধ্য। এটা চ্যালেন্জ। তবে আমাদের পুলিশরা নিরীহ মানুষ পেটানো ছাড়া আর কিছু পারে বলে শুনিনি।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:৫৪
অ্যামাটার বলেছেন: এখানে একটা ট্রেনে বড়জোর ২/৩টা কম্পর্টমেন্ট এসি সার্ভিস থাকে। এর বেশী সম্ভব না। আপনি বিদেশের কথা বলছেন, সেখানে ভেতরের আসনে নির্ধারিত সংখ্যক যাত্রী ওঠে। আমাদের দেশে ঈদ বা অন্য কোনও ছুটির উপলক্ষ্যে তিন/চারগুন বেশী যাত্রী ওঠে। ট্রেন ছাদে, ভেতরে গাদাগাদি করে। সুতরাং জানালা বন্ধ এসি সার্ভিস সম্ভব না।
দ্বিতীয়ত বাইরে থেকে ইট/পাথরের টুকরা সাধরণত তিনটা কারনে ছুঁড়ে মারে।
১) স্রেফ মজা করার জন্য স্থানীয় বখাটে টোকাইয়ের দল।
২) ডাকাতি করে, জানালা দিয়ে ক্যামেরা, বাইনোকুলার, ঘড়ি বা এরকম কিছু সামগ্রী ছিনিয়ে নেবার উদ্দ্যেশ্যে, সাধারণত দিনের বেলা।
৩) হরতালের আগে নাশকতার উদ্দ্যেশ্যে,সাধারণত জামাত-শিবির এধরনের কাজ করে থাকে।
এখন সমাধান দেন, নিরাপদ থাকার কী উপায়, কী করা যেতে পারে?