![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খেলাধুলো করতে ও বই পড়তে প্রচন্ড ভালবাসি। আর মাঝেমধ্যে শখের বসে লেখার ক্ষুদ্র চেষ্টা করি।
হয়তো একটি প্রেমের উপন্যাস নামটার মধ্যেই কেমন জানি একটা রহস্য রহস্য লাগে। আর এই রহস্য রহস্য রহস্য লাগার কারণেই বইটি কিনেছিলাম।
বইটা কিনেছিলাম, ২০১৭ এর বই মেলাতে। কিন্তু তখন আমার দরজায় এইচ এস সি পরীক্ষা কড়া নাড়ছিল বলে বইটি আর পড়া হয়নি। পরে পড়ার কথা ভুলে গেছি। এই বই মেলাতে আবার বইয়ের রিভিউটা ফেসবুকে আসলে বইটার কথা মনে পড়ে।
তারপরে এক ভোরে ঘুম থেকে উঠেই পড়ে ফেললাম বইটা। এক নিশ্বাসে পড়ার মতো একটা বই যদিও মাঝখানটাতে এসে একটু বিরক্তবোধ হয়েছিল।
বই এর চরিত্রগুলো লেখক খুব সুন্দর করে এনেছেন। গল্পটাকেও খুব সুন্দরভাবেই এগিয়ে নিয়েছেন। আমি ছোট্ট একটি রিভিউ লেখার চেষ্টা করছি। ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টে দেখবেন।
.......
পুরো গল্পটা আবর্তিত হয় কবরস্থানের একটি কবরে লেখা একটি এপিটাফকে ঘিরে। কবরস্থান নিয়ে জিতুর দিনদিন পাগলামি বাড়ছে। প্রায়ই সে এখন রিপাদের বাসার সামনে কবরস্থানে সময় কাটায়। কবরস্থানের সামনে একটা মসজিদ আছে। জিতু এখন সেখানেও নামাজ পড়ে। এমনিতে আগে নামাজের নামও মুখে আনতনা।
হঠাৎ নামাজি হবার কারণটা কি...?
রিপা জিতুর হাত ধরে আছে। জিতু সেই হাতের উপরে অন্য হাতটা রাখল। রিপার দিকে তাকিয়ে বলল, " আমি আসলে কবরস্থানে কেন যাই, কার জন্য অপেক্ষা সেটা এখানে বসে বুঝানো যাবে না..
তারমানে জিতু কোন একজনের জন্য কবরস্থানে গিয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে..?
কার জন্য, কিসের টানে জিতু কবরস্থানে যায় রিপাকে সেটা জানার জিন্য রিপা উন্মুখ হয়ে আছে। তাকে জানতেই হবে।
সেটা জানার জন্য রিপাও নিজেও কবরস্থানে যায়।
কবরের সামনে শ্বেতপাথরের একটা ফলক। সেখানে কিছু কথা লেখা আছে। জিতু বলল, " লেখাটা পড়ার পর থেকে আমি কবরের মালিককে খুঁজছি। নিশ্চয় এই কবরের কাছে তার পরিবারের কেউ না কেউ আসে।তাই দিনের পর দিন আমি কবরের সামনে দাঁড়িয়ে থেকেছি। আমি আসলে জানতে চাই লেখাটা কে লিখেছে এবং কেন লিখেছে...?"
জিতু আরো বলে, " রিপা আমি জানতে চাই।দরকার হলে আমজ প্রতিদিন কবরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকব। আমি কথা যে লিখতে পারে সে অবশ্যই কবরের সামনে আসবে। আমি তার সাথে দেখা করতে চাই।"
ওই এপিটাফটিতে কি এমন লেখা ছিল, লেখার পেছনের স্টোরিটাই বা কি ছিল..?
জানতে হলে পড়তে হবে মারুফ রেহমানের 'হয়তো একটি প্রেমের উপন্যাস' যে বইটি ছিল রকমারি বেস্ট সেলার লিস্টে। কথা দিচ্ছি বইটি পড়ে হতাস হবেন না।
.........
'হয়তো একটি প্রেমের উপন্যাস'-র গল্পটা আসলেই সুন্দর। গল্পের চরিত্রগুলোকে নায়ক মনে হবে না। আবার কাহিনীর একটু গভীরে গেলেই বুঝা যায় চরিত্রগুলো খলনায়কেরও না।
তাহলে কি..?
মানে হল জোর করে লেখক চরিত্রের উপরে কাহিনী সৃষ্টি করেন নি। যতটা পেরেছেন বাস্তবতার সাথে মিল রাখার চেষ্টা করেছেন।
বই এর মাঝখাটাতে, এসে আমি প্রথম ধাক্কা খায়। কিছুটা অশ্লীল স্টোরি পেয়ে আমি একেবারেই হতাশ হয়। ইচ্ছে হয়েছিল বইটা রেখে দিতে।
কিন্তু বিরক্তবোধ থাকার পরেও জোর করে সামনে এগোলাম।
না, সামনে এগিয়ে হতাশ হয়নি। বরং মনে হয়েছে কাহিনীগুলো তো এরকমই হওয়া উচিৎ ছিল।।
সব মিলিয়ে বইটা খুবি ভালো লেগেছে আমার কাছে। লেখার শেষ অংশে
তবে গল্পের শেষ অংশটা আরেকটু বড় করে আরেকটু সুন্দরভাবে রহস্যের জটটা ক্লিয়ার করা যেতো।
যাইহোক, লেখার শেষ অংশে যখম এপিটাফ লেখার পেছনে স্টোরিটা শেষ হয় তখন চোখ দিয়ে আপনা আপানি পানি চলে এসেছে।
আমার মনে হয়, লেখক ইচ্ছে করেই অদ্ভুত ভাবে গল্পটা শেষ করেছেন যেমনটা করতেন হুমায়ুন স্যার।
২| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইজান..
৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইজান..
৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩
চাঁনমিয়া বলেছেন: এত পরিশ্রমের পোস্ট অথচ প্রথম পাতায় যায় না।
২২ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: এখানেই দুঃখটা ভাই.. যদি প্রথম পাতায় প্রকাশ হতো তাহলে প্রচুর লেখা লিখতাম। কিছু না পারলে অন্তত রিভিউ হলেও অনেকগুলো লিখতাম।
যাইহোক, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই..
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: পড়লাম ভালই লিখেছেন রিভিউ।