![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খেলাধুলো করতে ও বই পড়তে প্রচন্ড ভালবাসি। আর মাঝেমধ্যে শখের বসে লেখার ক্ষুদ্র চেষ্টা করি।
আমার বন্ধু রাশেদ, দিপু নাম্বার টু, আমি তপু - এই বইগুলো স্রষ্টা জাফর ইকবালের জন্মদিন গেল গতকাল।
তার ভক্ত সংখ্যা যেমন প্রচুর, হেটার্সের সংখ্যাও তেমন। আমার কাছে মনে হয় হেটার্সের সংখ্যাটাই বেশি। সে যাইহোক, ওনার সম্পর্কে আমি আমার ব্যক্তিগত অভিমত জানাচ্ছি এই পোস্টে। এর বেশি কিছু নয়।
.
আমি ওনাকে ভালবাসতে চাইলেও ভালবাসতে পারি না আসলে ।
আনিসুল হকের ক্ষেত্রেও এই কথা প্রযোজ্য। ওনি নিঃসন্দেহে অনেক জ্ঞানী লোক। ওনিআমাদের জ্ঞানকে বিকশিত করেছেন। আমাদের কিশোর জিবনকে তিনি আনন্দে মাতিয়ে রেখেছেন, জাগিয়ে রেখেছেন চেতনা। রাশেদ চরিত্ত দ্বারা আমাদের শিখিয়েছেন মৃত্যুভয়কে জয় করে কিভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হয়। দেশপ্রেমের বলে বলীয়ান হয়ে কিভাবে বুক চিতিয়ে দিয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হয়, তিনি আমাদের শিখিয়েছেন। এর জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।
কিন্তু জানেন কি?
দিনশেষে ওনারা নিজেরাই সুবিধাবাদী...
এতদিন সেটা একটু একটু আঁচ করা গেলেও স্পষ্ট ছিল না, কিন্তু যখন কৌটা আন্দোলন রাশেদরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে মার খেয়েছেন তখন আমাদের জাফর ইকবাল, আনিসুল হকদের কলম থেমে যায়।
ছাত্র আন্দোলন যখন চলে, কচি কচি বাচ্চারাও যখন অন্যায়ের শিকার তখনো জাফর ইকবালের কলম নিশ্চুপ। তিনি প্রথমে দেখেছিলেন জনগণ কোন পক্ষে বেশি অবস্থান নিচ্ছে। তারপর তিনি অবশ্য একটা কলাম লিখেছেন।
তিনি আমাদেরকে চেতনাকে জাগিয়ে তুলেন কল্পিত রাশেদ দ্বারা কিন্তু কল্পনার রাশেদ যখন বাস্তবে আসে তখন তারা ঘুমিয়ে থাকে, ঘুমিয়ে থাকে তাঁদের কলম।
এমন সুবিধাবাদী লোকদের ভালবাসতে চাইলেও বাসা যায় না আসলে.. আবার এমনও হতে পারে, নিজের অবচেতন মন তাকে ভালবাসতেই চায়না।
ওনার লেখাকে নিঃসন্দেহে ভালবাসি। কিন্তু দিনশেষে ওনাকে ঘৃণাই করি।
তবে হ্যাঁ, একটি কথা। ওনার জন্মদিনে ওনাকে নিয়ে যেই পোস্ট করেছে সব পোস্টেই হাহা রিয়েক্টের বন্যা বয়ে গেছে। আর কমেন্ট এর কথা নাই বললাম।
আমার কথা হল কাউকে ঘৃণা করা কিংবা ভালবাসা, সেটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি যাকে ভালবাসি সে অন্যজের ঘৃণার পাত্র হতেই পারে। আমাকে সেটা মেনে নিতে হবে।
আবার আমি যাকে ঘৃণা করি সে অন্যা কারো কাছে ভালবাসার মানুষ হতেই পারে। তাই বলে ট্রল করা নয়। এগুলো মেনে নিতে হবে। মানুষের মতামত, পছন্দ অপছন্দকে সম্মান করতে হবে। তবেই না আমরা মানুষ।
আমরা যাকে ঘৃণা করি। তাঁকে ঘৃণা করার কারণ আমরা ভদ্রভাবে ও মার্জিত ভাষায় আলোচনা করতে পারি। কিন্তু কোন অশ্লীল ভাষার ব্যবাহার বা তাঁকে আমরা গালাগালি করতে পারি না, বিদ্রূপ করতে পারিনা। যদি গালাগালিই করি তবে আমরা মানুষ রইলাম কই?
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২০
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: হ্যাঁ, এটা সত্য। যারা সত্যিকারের বুদ্ধিজীবী তাদের কেউ সম্মান করে না। শহিদুল আলমেএ কথায় ধরুন না। লোকটা কি ভাল মানুষ। সত্য কথা বলার অপরাধে দরজাত তাঁকে কি একটা শাস্তি দিল।
২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:৫১
এম এ কাশেম বলেছেন: অন্যায়কে দেখার আগে এরা অন্যায়কারী কে তাহাই দেখে আগে ।
পক্ষের লোক হলে চুপচাপ ঘুমায় আর বিপক্ষের লোক হলে তার
চোদ্দগুষ্ঠিকে দেয় কলম দোলায়।
যতই জ্ঞানের কথাই বলুক না কেন
দিন শেষে এরা শয়তানের পূজারী।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২১
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: অন্যায়কে দেখার আগে এরা
অন্যায়কারী কে তাহাই দেখে
আগে । এটা ভাল বলেছেন।
৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০২
নজসু বলেছেন:
উনারা উচুঁদরের লোক।
সন্মান শ্রদ্ধার পাশাপাশি ঘৃণারও বসবাস।
আপনি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার অবস্থানটা নিজেই সুন্দর করে আলোকপাত করেছেন।
এটা যারযার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
মানুষের ভালো মন্দ দুটো দিকই থাকবে। স্বাভাবিক।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৫
আকতার আর হোসাইন বলেছেন:
ঘৃণা ও ভালবায়ায়া যারা যারা ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমাদের মানুষের পছন্দ, অপছন্দ, সর্বোপরি তাঁদের রুচিককে সম্মানের চোখে দেখা উচিৎ।
পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সুবিধাবাদী চরিত্রের মানুষ।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৬
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: হ্যাঁ, মারাত্মক সুবিধাবাদী মানুষ। মন্তব্যের এজন্যেই ধন্যবাদ জানবেন।
৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৭
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সেই গণজাগরণ মঞ্চের পর থেকে জাফর ইকবালের হেটার্সের সংখ্যা বেড়েছে, এইদেশে দুটো রাজনৈতিক দলের বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই আর যে পক্ষেই যান অন্য পক্ষ গালি দিবেই।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩২
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: যথার্থ বলেছেন ভাইজান। আমাদের দেশের দুটি দল। যে দলেই যাই না কেন। গালি আকি খাবই। আমার কাজ দেখবে না মানুষ, মানুষ দেখবে আমি কোন দিল করি।।।
নিরপেক্ষ থেকেও শান্তি নেই। নিরপেক্ষরা একটা দলকে অন্ধভাবে সাপোর্ট করে না। সময়ে সময়ে নিজের দলেএ বিপক্ষেই তাদের কথা বলতে হয়।
তখম নিজ দিল থেকেই বিতাড়িত হতে হয়।
৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭
নীল আকাশ বলেছেন: এরা হলো সবাই বুদ্ধিজীবি নামধারী ধান্ধাবাজ। পেটের ধান্ধায় এরা পারলে নিজের শরীরও মেয়ে হলে বিক্রি করে দিত.......
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: এরা সুবিধাদি লেখক। সুবিধাবাদীরা কখন কি করে ভলা যায় না। তাই বলে আগাম মন্তব্য করাও উচিৎ না।
৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোন সুনির্দিষ্ট কারন ছাড়া কয়েকজন কমেন্টার সুবিধাবাদী সুবিধাবাদী বলে যাচ্ছেন।
উনি কোন সুবিধাটা নিয়েছেন শুনি?
উনি কি এতিমের ফান্ড মেরেছেন? নাকি পুকুরের মাছ সহ জমি বরাদ্দ নিয়েছেন?
গণজাগরণ মঞ্চে ঘাতকদের ফাঁসি দাবি করা কি ধরনের অন্যায়?
যারা অকারনে সুবিধাবাদী সুবিধাবাদী বলে কা কা করছেন, এদেরই একজন বা তাদের চ্যালারাই তার ঘাড়ে কোপ দিয়েছিল।
লেখক নিজেও 'ঘাড়ে কোপ' ঘটনাটি এড়িয়ে গেলেন।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: সুবিধাবাদী কেন?
এরকম অনেক যুক্তিই দেয়া যেতে পারে। আমি এখানে যুক্তি দেয়ার চেষ্টা করছি না। সুবিধাবাদী বলি বা ঘৃণা করি বলেই যে তাঁকে আঘাত করতে হবে সে রকম চিন্তাধারা কে সমর্থন তো দূরের কথা, বরং এর ধিক্কার জানাই।
জাফর ইকবালকে যখন হত্যা করা চেষ্টা করা হয়েছিল তখন এর প্রতিবাদ জানিয়ে লেখেছিলামও। আর একটা অনলাইন নিউজপেপারে এক বড় ভাইয়ের লেখা দিয়েছিলাম। গ্রাম্য ভাষা ব্যবহার করার কারণে সেটা প্রকাশিত হয়নি।
যাইহোক..
যারা ওনাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছেন তারা উগ্রপন্থী মুসলিম। সেটা ভিন্নজনদের কাজ। তারা সব সময় নাস্তিকদের মার। নাস্তিকদের মার বলে চিল্লায়।
৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: জাফস স্যার একজন সহজ সরল ভালো মানুষ।
আমি সিলেট গিয়ে তার সাথে দেখা করে আসছি।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: হতে পারে। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন ভাই।
৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫
গরল বলেছেন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার কতৃক উনাকে BTRC এর চেয়ারম্যান করা হয়েছিল কিন্তু উনি তা প্রত্যাখান করেছিলেন যেখানে নিয়োগ পাওয়ার জন্য লবিং করতে হলেও কয়েকশত কোটি টাকা লাগে এবং মোবাইল অপারেটর কোম্পানীগুলো সরাসরি সেই লবিং এ টাকা ঢালে। এজন্যই আমরা আসলে এখনও তৃতীয় বিশ্বের তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক রয়ে গেলাম কারণ আমরা আসলে জানিই না যে কিভাবে কাকে মূল্যায়ণ করতে হয়। যেমন আমরা ড: ইউনুসকে নিয়ে কত হাসাহাসি আর উপহাস করি অথচ পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোর সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাকে ঠিকই ডেকে নিয়ে যায় জ্ঞান দান করার জন্য। আর এজন্যই তারা আজ উন্নত।
১০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৪০
অনল চৌধুরী বলেছেন: নাব জাফর ইকবাল এ্যামেরিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরী ও বিলাসবহুল জীবন-যাপন করতে পারতেন।কিন্ত দেশে ফিরে এসে একটা জেলার চাকরী করছেন।এব্যাপারটা অনুকরণীয় ও বিরল দৃষ্টান্ত। তিনি টাকালোভীও না।
যেমন আমরা ড: ইউনুসকে নিয়ে কত হাসাহাসি আর উপহাস করি অথচ পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোর সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাকে ঠিকই ডেকে নিয়ে যায় জ্ঞান দান করার জন্য। আর এজন্যই তারা আজ উন্নত।
-ইউনুস পৃথিবীর সেরা সুদখোর।তার গ্রামীণ ফোনের কলরেট পৃথিবীতে সর্বোচ্চ ছিলো।গ্রামীণ ব্যাংক দারিদ্র নিরসনের নামে সুদখোরীর ব্যাবসা করে।এটা প্রমাণিত।
তার তার বিদেশে পরিচিতি আছে কিন্ত দেশের প্রতি কোন অবদান নাই।
এ পা কবরে গেলেও টাকার লোভ প্রচন্ড।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:১৫
অনল চৌধুরী বলেছেন: প্রকৃত বুদ্ধিজীবিরা ছিলেন ১৯৭১ পর্যন্ত।
এখন যারা অাছে তাদের প্রায় সবাই বুদ্ধিজীবি নামধারী ধান্ধাবাজ।দলের লেজুড়বৃত্তি করে স্বার্থ উদ্ধারে ব্যাস্ত।
অার সত্যিই যারা দেশপ্রেমিক বুদ্ধিজীবি,তাদের কেউ সন্মান করে না।