নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খেলাধুলো করতে ও বই পড়তে প্রচন্ড ভালবাসি। আর মাঝেমধ্যে শখের বসে লেখার ক্ষুদ্র চেষ্টা করি।
সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি এড়িয়ে যাবেন না।
"আমার নতুন বাবা রাতের বেলায় শরীরে হাত দিতে চায়। আমার ভালো লাগে না। আমি বাঁধা দেই বলে দিনের বেলায় কাজের উছিলায় প্রচন্ড মারে। স্যার, আমাকে আবার এতিমখানায় নিয়ে যান, দরকার হলে দিনে এক বেলা খাবো।
মোবাইলে এটা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে ষষ্ঠ শ্রেণীর এতিম মেয়েটা। আমাদেরই মেয়ে, আদরেই ছিলো ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই বছরে দাতা ম্যানেজ না হওয়ায় ঘরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
এমন ডজন ডজন কেইস হাতে। নিচে যার ছবি দিলাম, তাঁর মা অভাবে পড়ে অন্ধকার জগতে পা বাড়িয়েছে অনেক আগেই, সন্ধ্যা হলেই ঘরে আনাগোনা হয় অচেনা পুরুষের। সে ঘরেই ফেরত পাঠাতে হচ্ছে এই মেয়েকে।
এমন অনেক মেয়েই স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলও সম্প্রীতি অনাথালয়ে, আজ চোখের জলে তাঁদের বিদায় দিচ্ছি।
এঁদের আগে দাতা ছিলো। কিন্তু তাঁদের চাহিদা অনুযায়ী ভালো ফলাফল এঁরা দিতে পারে নি ভাষাগত কারণে। তাই আমিই খড়গ তুলেছি এঁদের উপর।
এঁদের অনেককে হয়তো আমরা খুঁজে পাবো না আগামী কয়েক বছর পরে, কেউ হয়তো জঙ্গলে গাছ কাটতে হারিয়ে যাবে, কেউ হয়তো লুকিয়ে যাবে সময়ের কোলে
মাসিক মাত্র ২০০০ টাকায় এঁদের একেকটিকে বাঁচাতে পারতাম। কেউ কি আছে কয়েকটি শিশুর দায়িত্ব নিতে? উৎসাহীদের পেজের ইনবক্সে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা যাচ্ছে।"
.
বিদ্যানন্দের ফেসবুক পেইজ থেকে সংগৃহীত
.
প্রিয় ব্লগার এবং পাঠকবৃন্দ আপনারা কেউ যদি পারেন এগিয়ে আসুন মানবতার সেবায়।
"জীবে প্রেম করে যেইজন
সেইজন সেবিছে ঈশ্বর"
অতএব সামর্থ্যানুযায়ী এগিয়ে আসুন মানবতার কল্যাণের জন্য। কে জানে হয়তো এই ভালো কাজগুলোর জন্যই আপনি আমাকে সৃষ্টিকর্তা ক্ষমা করে দিবেন।
নীচে বিদ্যানন্দ পেজের লিংক দিলাম। সাহায্য করতে চাইলে পেজে গিয়ে মেসেজ দিন। লিংল কাজ না করলে
বিদ্যানন্দ লিখে ফেসবুকে সার্চ দিন, পেয়ে যাবেন।
পেইজ লিংক: http://www.facebook.com/bidyanondo
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৬
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: খুবই দুঃখজনক। ক্ষমতা থাকলে আমিও তাই করতাম ভাই। সব পতীতা পল্লী উঠিয়ে দিয়ে সবার কাজের ব্যবস্থা করতাম।
২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০৬
প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: আমি কি কোন হেল্প করতে পারি? টাকা পাঠাতে পারবো না কিন্তু একটা বাচ্চা দত্তক দিলে বা পোষ্য দিলে নিতে পারি।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০০
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: খুশি হলাম। হয়তো ওরা দিতে পারে, আবার নাও দিতে পারে। আপনি ওদের ফেসবুক আইডিতে মেসেজ দিন।
ফেসবুক পেইজ লিংক: http://www.facebook.com/bidyanondo
৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখজনক।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৩
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: খুবই দুঃখজনক ভাই। সন্তানের সামনেই মায়ের কাছে বাইরের লোকজন আসে। আর কত কি.।
৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১০
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন:
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৫৮
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: খুবই দুঃখজনক।
৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২৩
নতুন নকিব বলেছেন:
রাষ্ট্র এদের দায়িত্ব নিচ্ছে না কেন?
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০২
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: রাষ্ট্রের কথা কি আর বলব। দেশে এত পতীতা পল্লী .। কিন্তু কোন দিন শুনলাম না পতীতা পল্লী উঠয়ে তাদের চাকরী ব্যবস্থা করার সংবাদ।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আমি প্রথমবারের মতো ঢাকা যাই একজনকে রক্ত দিতে। রাত দেড়টার মতো হবে। আমরা হেটে যাচ্ছি গুলিস্ত্যের রাস্তা ধরে। তখন কালো একটা ছেলে আমাদের আহবান করে।
অথচ এর আগে আমি বিশ্বাসই করতাম না যে বাস্তবে পতীতা পল্লী আছে। আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দান করুক
৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৪৫
রাফা বলেছেন: আশ্চর্য !! বেহেস্তের টিকেট পাওয়া যাবে এই আশায় লক্ষ লক্ষ দাতা পাওয়া যায় এই দেশে।না জেনে না বুঝে মাদ্রাসা মসজিদের নামে কত অপচয় আমরা করি।(হ্যা এটাকে আমি অপচয়ই বলবো)আথচ নিষ্পাপ এই শিশুগুলোকে সাহায্য করা তার চাইতে অধিক পূণ্যের কাজ বলেই মনে করি।অথচ এরা লেখাপড়া করে দেশের কাজে লাগতে পারে।এগুলো আমরা বিবেচনায় আনছিনা।
কি বলবো বুঝতে পারছিনা।এই ব্লগ থেকেই কেউ উদ্দ্যোগ নিয়ে সন্মিলিত চেষ্টা করা যেতে পারে।ঐ বিদ্যানন্দপিঠের আশে পাশে কোন বল্গার থাকলে একটু চেষ্টা করে দেখুন কিছু করা যায় কিনা।
ধন্যবাদ,বিষয়টি দৃষ্টিগোচরে আনার জন্য।আ.আ.হোসাইন।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০৮
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: ঐ টা অপচয় কিনা আল্লাহ ভাল জানেন। তবে এটা স্বীকার করি মসজিদ মাদ্রসাসা নির্মাণের পেছনে বর্তমানে এসব এসব শিশু কিশোরদের আলোর পথে আনতে পারলে, তাঁদেরকে একটা সুন্দর ও উজ্জ্বল আগামী উপহার দিতে পারলে সেটার চেয়ে হাজারগূণ পূণ্য হবে।
আর
রাষ্ট্রের কথা কি আর বলব। দেশে এত এত পতীতা পল্লী .। কিন্তু কোন দিন শুনলাম না পতীতা পল্লী উঠয়ে তাদের চাকরী ব্যবস্থা করার সংবাদ।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আমি প্রথমবারের মতো ঢাকা যাই একজনকে রক্ত দিতে। রাত দেড়টার মতো হবে। আমরা হেটে যাচ্ছি গুলিস্ত্যের রাস্তা ধরে। তখন কালো একটা ছেলে আমাদের আহবান করে।
অথচ এর আগে আমি বিশ্বাসই করতাম না যে বাস্তবে পতীতা পল্লী আছে। আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দান করুক।
৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৩৪
মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: বাংলাদেশের আনাচে কানাচে এরকম হাজারো পল্লী আছে। এদের কাজের ব্যবস্থা করে পল্লী গুলো বন্ধ করার দ্বায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:১২
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: হ্যাঁ ভাই। সরকারকে এসব পতীতা পল্লী বন্ধ করার দায়িত্ব নিতে হবে।
আমার কাছে দেশে রাস্তাঘাট, ব্রিজ নির্মাণ করা উন্নতি নয়। উন্নতি হলো সবাই পড়ালেখা করবে, সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে, দেশে অপরাধ মূলক কাজ থাকবে না লাইল এইসব পতীতা পল্লী।
যদি সরকার এসব পতীতা পল্লী দূর করে তাঁদের চাকরীর ব্যবস্থা করেন তাহলে তাঁকে হাজার স্যালুট দিব।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আসলেই খুব দুঃখজনক, সেই পল্লীতে এত ছোট মেয়েদের কখনোই কাম্য নয়, আমি তো সেই পল্লীই রাখতে রাজি নই। আমার ক্ষমতা থাকলে সব পল্লী উঠিয়ে দিয়ে তাদের কাজের ব্যবস্থা করে দিতাম।