নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্যক্তিগত ব্লগসাইট : www.akterRhossain.blogspot.com \n \nফেসবুক আইডি : Akter R Hossain \n\n\nফেসবুক আইডি লিংক: www.facebook.com/ARH100

আকতার আর হোসাইন

খেলাধুলো করতে ও বই পড়তে প্রচন্ড ভালবাসি। আর মাঝেমধ্যে শখের বসে লেখার ক্ষুদ্র চেষ্টা করি।

আকতার আর হোসাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বায়স্কোপ: সামু ব্লগের জন্লপ্রিয় বগার কাওসার চৌধুরীর প্রথম গল্পগ্রন্থ

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪০



"জানেন আফা, কোনদিন বোনটির কোন স্বাদ-আহ্লাদ বাদ রাখিনি। কোন অভাব বুঝতে দেইনি। এই রিক্সায় প্যাডেল দিয়েই তাকে স্কুল-কলেজ-ভার্সিটিতে পড়াইছি। এখন ওর বয়সি কোন মেয়ে রিক্সায় উঠলে কথা বলি, ভালমন্দ খবর নেই। তবে অনেক সময় কেউ কেউ মাইন্ড করে। কোনদিন বিষয়টি কারো সাথে শেয়ার করিনি, আজই প্রথম আপনাকে বললাম।

কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না মোনা; আচমকা একটা ধাক্কা খেলো, হার্টবিট হঠাৎ বেড়ে গেল আর চোখ দু'টি ঝাপসা হয়ে উঠলো। মনে হচ্ছে জড়িয়ে ধরে লোকটিকে সান্তনা দিতে। লোকটির চোখের পানি মুছে দিতে। কিন্তু কিছুই করতে পারে নাই নিজে মেয়ে মানুষ বলে। অনেক আলাপ চারিতায় মানুষটার সাথে একটু মায়াও জন্মেছে তার। কোন মতে ভাড়া মিটিয়ে সস্তা শান্তনা দিয়ে ঘরের সদর দরজার দিকে পা বাড়ালো।

ঘরে যেতে যেতে খেয়াল হলো লোকটির বোনের সাথে তারও অনেকটা মিল আছে। সে এবার ঢাকার একটি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে অনার্স পাশ করেছে, পাশাপাশি বিসিএস কোচিং করছে। তাহলে কী লোকটি জানে আমিও বিসিএস কোচিং করছি? আরো মিল আছে! লোকটার মতো তারও বাবা-মা কেউ জীবিত নেই। এছাড়া মোনার একমাত্র বড় ভাইটিও ড্রাইভার। তবে রিক্সার নয়, বিমানের।"


যে গল্পটির ছোট্ট একটি অংশ পড়েছেন সেই গল্পটির নাম হল 'তিন চাকার চক্র'


লেখক সম্পর্কে এবার একটু জানা যাক।

কাওসার চৌধুরীর জন্ম ও বেড়ে উঠা সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার এওলাসার গ্রামে।লেখালেখির প্রতি তার প্রচণ্ড টান থাকলে তাঁকে লেখালেখি থেকে দূরে থাকতে হয়েছে উচ্চশিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে কয়েক বছর কাটানোয়।

মূলতঃ প্রবন্ধ লেখতেই তিনি বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, ফিচার ও রম্য লেখেন।


কাওসার চৌধুরী একজন আশাবাদী মানুষ। সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ই আমার অঙ্গীকার। তিনি স্বপ্ন দেখেন সত্যিকারের স্বাধীনতার চেতনায় দেশ একদিন পরিচালিত হবে। তিনি বিশ্বাস করেন, একমাত্র ভালবাসা দিয়েই পৃথিবীটাকে বসবাসযোগ্য, নিরাপদ আর ক্ষুধামুক্ত করা সম্ভব; হিংসা, ঘৃণা, যুদ্ধ আর বৈষম্য দিয়ে নয়।

বইটি সম্পর্কে লেখকের দুটি কথা:

অবশেষে কিছু অনুভূতি আর কাঁচা মস্তিষ্কের ভাবনা ফ্রেমবন্ধী হলো। জীবনে অনেক কিছু হতে চেয়েছি কিন্তু লেখক হওয়ার দুঃসাহস কখনো হয়নি। নিজের ভাবনাগুলো মলাটবন্দী হবে তা গত দুই বছর আগেও ছিল অবিশ্বাস্য।'


কৃতজ্ঞতা জানাই যারা দীর্ঘদিন থেকে ব্লগে আমার লেখা পড়ে পরামর্শ, সাহস ও উৎসাহ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তাদের সবাইকে। আপনাদের আশীর্বাদ ও সহযোগিতা না পেলে আমি এ পর্যন্ত আসতে পারতাম না। সম্মানিত সহ ব্লগার ও পাঠকদের গঠনমূলক কমেন্ট আমার লেখার দূর্বলতা কাটিয়ে উঠতে দারুণভাবে সহায়ক ছিল। এজন্য প্রিয় সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষের কাছেও কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।"


লেখকের কি সহজ সরল স্বীকারোক্তি! সহজ সরলভাবেই লেখক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সামহোয়ারইনব্লগ এর সহ ব্লগারদের কাছে।

কারণ?

কারণ সহ ব্লগাররদের মন্তব্য একদিকে নিজের ভুলগুলো সংশোধন করতে পেরেছেন, অন্যদিকে পেয়েছেন ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা।

সবাই আগে যেভাবে কাওসার ভাইকে উৎসাহ উদ্দীপনা দিয়েছেন, এখনো যেন দেন সেই অনুরোধ করব।

লেখকের বই সংগ্রহে রাখুন, বই সম্পর্কে রিভিউ লিখুন। রিভিউ মানে এই না যে চোখ বুঝে লেখক বা বইয়ের প্রশংসা করা।

রিভিউ মানে, বইটি পড়ে আপনি ফিল করেছেন সেই প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করা। এখানে লেখকের লেখা যদি ভালো না লাগে সেটাও অকপটে বলে ফেলবেন। ভুলগুলো নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনা করবেন। তবেই না লেখক ভুল শুধরাতে সক্ষম হবেন।

কাজেই সহ ব্লগারদের বলব, সামুর যে ব্লগারদের বই প্রকাশ হচ্ছে তাঁদের বই সংগ্রহে রাখার চেষ্টা করবেন, বিশেষত নতুনদের বই।

লেখক সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত অভিমত: সামহোয়ারইনব্লগের ব্লগারদের আমি সম্মানের চোখে দেখি তাঁদের প্রতি আমার অন্য রকম একটা শ্রদ্ধা আছে। কিন্তু যে কজনের প্রতি আমার শ্রদ্ধা অধিক থেকে অধিকতর তাদের মধ্যে একজন হলেন কাওসার ভাই।

একদিন তিনি ব্লগে একজন ব্লগারের পোস্টে তার ভুল ধরিয়ে দেন। যাকে ভুল ধরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি তখন এস এস সি পাশ করেছিলেন মাত্র। অথচ সে কাওসার ভাইয়ের সাথে রীতিমতো রেগে কথা বলে। মারাত্মক উলটা পালটা মন্তব্য করে। কাওসার ভাই কিন্তু তারপরও কাওসার ভাই তাকে কোন বিরূপ মন্তব্য করেননি। আমি ওই ব্লগারের নাম বলতে চাচ্ছি না। হয়তো সে তার ভুল বুঝতে পেরেছে।

মূলত সেদিন থেকেই কাওসার ভাইয়ের প্রতি আমার শ্রদ্ধাটা খুব করে বেড়ে যায়। ওনার বই প্রকাশিত হচ্ছে আর আমি যদি রিভিউ না লিখি নিজের প্রতি নিজেরই ঘৃণা হবে। তাই লিখে ফেললাম।

প্রিয় ব্লগার ও পাঠক। আপনার রিভিউ লিখুন। ভালোলাগা বই নিয়ে পোস্ট করুন, প্রচারণা করুন। এতে পাঠকেরও উপকার হবে, লেখকেরও উপকার হবে।

বই হোক পৃথিবীর, পৃথিবী হোক বইয়ের।

বই (গল্পগ্রন্থ): বায়স্কোপ
লেখক: কাওসার চৌধুরী
মোট গল্প : ১১ টি
পৃষ্ঠাসংখ্যা: ১১২
মুদ্রিত মূল্য

লেখাটি আমার ব্যক্তিগত সাইটে

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৭

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ রাত্রী,
উনি আমার খুব পছন্দের একজন প্রিয় মানুষ। উনি বই বের করছেন সেজন্য আপনার মাধ্যমে উনাকে অভিনন্দন জানাতে চাই। উনার লেখার হাত দিন দিন আরও ভাল হোক। আজকে ঘুমানোর আগে খুব ভাল একটা সুসংবাদ শুনলাম।
এই বিষয় নিয়ে লেখার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ আর শুভ কামনা রইল!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:১৭

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: ভালবাসা জানবেন...।

ওনার প্রতি আমার এমনিতেও শ্রদ্ধা ছিল। একটু আগে ওনার সাথে এই প্রথম ফোনে কথা বললাম। কি যে ভাল লেগেছে না আমার। বইমেলা থেকে ৪ বা ৫ টার বেশি বই কিনবনা। যতটাই কিনি না কেন, ওনার বইটা সংগ্রহে রাখবো।

শুভ রাত্রি

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০১

বলেছেন: জনন্প্রিয় বগার কাওসার চৌধুরীর প্রথম গল্পগ্রন্থর রিভিউ ভালো লাগলো।



বই দেহ ও মনকে সতেজ রাখে।বেশী বেশী করে পড়ুন -------

অভিনন্দন বায়স্কোপের কওছার ভাইকে

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:১৭

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: ছড়িয়ে পড়ুক বইয়ের কথা। ধন্যবাদ জানবেন পাঠ ও মন্তব্যের জন্য।।।

৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথমে অভিনন্দন জানাই বায়োস্কোপকে এবং অবশ্যই কাওসারভাইকে। হ্যাঁ! উনি একজন সুলেখক এবং একজন গুণী ব্লগারও। উনার লেখার গুণগতমান ,রসবোধ ,বাচনভঙ্গি, ভোকাবুলারি, পরিমিতবোধ, ব্লকের প্রতি ডেডিকেশন সব মিলিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে উনি আমার একজন আইকন (গুরুদেব) আরকি। এহেন গুরুদেবের বই রিভিউ মানে সেটি আমার কাছে বিশেষ আনন্দের বৈকি।
বইটির সার্বিক সাফল্য কামনা করি। ধন্যবাদ আপনাকে।।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা দুজনকে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:২০

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ...

আপনার ভালো লাগা বই নিয়ে রিভিউ লিখবেন, সেই অনুরোধ করি। ছড়িয়ে পড়ুক বইয়ের কথা।

শুভ রাত্রি

৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:৩৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



পোস্টটি চোখে পড়তে অনেক দেরী হয়ে গেল। এজন্য দুঃখিত। এরই মধ্যে তিনজন গুণীজন আমার পরম প্রিয় সম্মানিত সহ ব্লগার নিজেদের মতামত ও আশীর্বাদ করে দিলেন। এজন্য উনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। নিজের লেখাগুলো ছাপার অক্ষরের বের হবে; মলাটবন্দী হবে তা ভাবিনি কখনো। মনের আনন্দ আর লেখার প্রতি ভালবাসা থেকেই লেখতাম। সামহোয়্যারইন ব্লগের সম্মানিত ব্লগার, পাঠক ও মডারেটরদের পরামর্শ, গঠনমূলক কমেন্ট আমার লেখনিকে আরো পরিণত করতে সহযোগিতা করেছে। এজন্য এ কৃতজ্ঞতাবোধ সব সময় থাকবে।

প্রিয় আকতার ভাই; কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা রইলো পোস্টটা লিখার জন্য।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩২

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: লেখার প্রতি ভালবাসা থাকলেই লেখার গুণগত মান ঠিক থাকে আর লেখার প্রতি ভালবাসা না থেকে যদি কেবলই ব্যবসার জন্য, কিংবা জনপ্রিয় হওয়ার জন্য লিখে তাহলে সেই হয় অখাদ্য।।।

লেখার প্রতি আপনার টান অটুট থাকুক চিরকাল...

ভালবাসা অফুরান....

৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: এই বইই আমি সবার আগে সংগ্রহ করবো।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩৩

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় রাজীব ভাই...

আমিও এই বইটা সবার আগে সংগ্রহ করবো।

৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪১

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আমি মেলায় গেলেই কিনবো।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: কাওসার ভাইয়ের বই, না কিনলেই নয়। আমি ঢাকা রকমারি থেকে বা অন্যকোন শপিং সাইট থেকে কিনে নিব।

৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৬

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:

দু'দিনের সফরে সিলেট গেছিলাম, ব্লগার কাওসার ভাইয়ের সাথে দু'দিন ছিলাম বইমেলায়। এতো আন্তরিক ও আপ্পায়ন একজন মানুষ করতে পারে সেটা উনাকে না দেখলে বুঝতাম না। ঢাকা আসার পথে উনার বায়স্কোপ বইয়ের গল্পগুলো পড়লাম অনেক সুন্দর গাঁথুনি। আর কী রৌপ্যময় প্রকাশ। রহমান লতিফ ভাইয়ের জীবনের ব্যাকরণ কাব্যগ্রন্থটিও কেনা হল সেখান থেকে। ভালই লাগলো কবিতাগুলো। মুগ্ধতা আছে বটে। কিন্তু নীল দা'র এক রঙা এক ঘুড়িতে অনেক নতুন বই এখনো পৌঁছায়নি (!) অথচ সিলেটের ১০ দিনের বই মেলার ৪দিন শেষ রেখে এসেছি। আজ মনে হয় নীল দা ওখানে যাওয়ার কথা। জানি না, গেলেন কিনা! 



আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.