নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্যক্তিগত ব্লগসাইট : www.akterRhossain.blogspot.com \n \nফেসবুক আইডি : Akter R Hossain \n\n\nফেসবুক আইডি লিংক: www.facebook.com/ARH100

আকতার আর হোসাইন

খেলাধুলো করতে ও বই পড়তে প্রচন্ড ভালবাসি। আর মাঝেমধ্যে শখের বসে লেখার ক্ষুদ্র চেষ্টা করি।

আকতার আর হোসাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফুটপাতে ঘুমানো মানুষজনদের কষ্ট, ক্ষুধার জ্বালা, মধ্যবিত্ত পরিবারের কষ্ট- কোনটা হাইলাইটস করা দরকার?

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:২৩




মধ্যবিত্তদের নিয়ে লেখা গল্পগুলো আলোড়ন সৃষ্টি করে ফেলে। এই বিষয়টা নিয়ে লেখকরা লিখেনও বেশি। হ্যাঁ, মধ্যবিত্ত পরিবারের কিছু কিছু কষ্ট আছে যা একজন বিত্তবান পরিবারের কারোরই থাকে না। আবার সে কষ্টের চেয়ে বহুগুণ কষ্ট করতে হয় নিম্নবিত্ত বা গরিবদের। কিন্তু লেখকদের লেখায় বুঝা যায়, ওরা কষ্টগুলো উপলব্ধি করতে পারে না বা তারা এগুলোর সাথে মানিয়ে নিয়েছে। হ্যাঁ, আমি স্বীকার করি যে, শুধুমাত্র মাত্র কয়েকটা যন্ত্রণা আছে যা কেবলি মধ্যবিত্ত পরিবারের থাকে।

তাই বলে তারা গরিব, নিম্নবিত্তদের চেয়ে দুঃখী হয়ে গেল?

এদের নিয়ে ছবি বানালে, নাটক বানালে হিট হয়। পরিচালক, প্রযোজক, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিবর্গের মোটা অংকের টাকা হয়, তাই তারা এটা নিয়ে ছবি বানায়, নাটক বানায়। আবেগী কিছু দৃশ্য থাকে যা দেখে দর্শকরা চোখের জলে মোবাইলের স্ক্রিন ভাসিয়ে ফেলে, ভিজিয়ে ফেলে বালিস।

লেখকদের কথা অবশ্য ভিন্ন। যারা সত্যিকারের সাহিত্যপ্রেমী তারা মানুষের জীবন জীবিকা নিয়ে লিখেন। সত্যিকারের সাহিত্যপ্রেমীরা তাঁদের লেখনী দিয়ে মানুষের কাছে বার্তা পৌছে দিতে চায়। যাতে করে মানুষেরা কল্যাণকর জিবনের সন্ধান পেতে পারে। হতে পারে মানুষের মতো মানুষ।



আর সিনেমা নাটক নির্মাতারা কি করে?

সস্তা আবেগী গল্প দিয়ে মানুষজনদের শুধু কাঁদাতেই জানে। জানে না দর্শকের কাছে মেসেজ পাঠাতে, জানে না মানুষের মতো মানুষ হবার প্রেরণা যোগাতে।

রাস্তার রাস্তায় বেড়ে উঠা নিষ্পাপ শিশুদের ক্ষুধার জ্বালা নিয়ে তারা ছবি বানাবে না নাটক বানাবে না। কারণ এগুলো দর্শক গিলবে না। যার ধরুন তাঁদের আয় উপার্জন হবে না।

একটা শিশুর ক্ষুধার জ্বালার চেয়েও কি মধ্যবিত্ত পরিবারের বেশি কষ্ট?
হাঁড় কাঁপা শীতে আমি আপনি যখন লেপ কম্বলের উষ্ণতায় শীত কি বুঝিনা তখন খোলা আকাশের নীচে ফুটপাতে ঘুমুতে হয় যাদের, যারা একটুখানি উষ্ণতার জন্য ভিখ মাগে দুয়ারে দুয়ারে তাঁদের থেকেও কি বেশি কষ্ট মধ্যবিত্ত পরিবারের?

প্রশ্ন রেখে গেলাম। উত্তর যার যার নিজের কাছে।


আমি স্বীকার করি, বারবার স্বীকার করি, মমধ্যবিত্ত পরিবারের কিছু গোপন কষ্ট থাকে যা প্রকাশ করা কখনো সম্ভব না অথচ যা বুকে নিয়ে মানুষের সামনে অভিনয় করতে হয় সবচেয়ে সুখী মানুষের মতো।


কিন্তু তাই বলে এটাকে এত হাইলাইটস করার কিছু নেই। হাইলাইটস করতে হবে নিষ্পাপ শিশুদের ক্ষুধার জ্বালা, খোলা আকাশের নীচে ঘুমানো মানুষজনদের যাতে করে মানুষেরা পরোপকারে এগিয়ে আসে। আর নিজেকে সবচেয়ে দুঃখী ভাবা লোকগুলো যেন বুঝে যে না তারা আসলে সুখে আছে, শান্তিতে আছে।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:০১

বলেছেন: বিবেকের দরজায় কড়া নেড়ে দেওয়ার মতো পোস্ট


মধ্যবিওদের বাস হয় জীবনের মধ্য বিন্দুতে - ছেদ পড়ে কত শত সহস্র ভাবনার অলিতে গলিতে কে জানে হায় কক জানে --


দারুণ পোস্ট ভালোলাগা!!
এত কম সময়ে এত বার পঠিত পোস্টে ++++

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩৯

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: ২:২৩ মিনিটে আমি পোস্ট করি.... কিন্তু
৩:৬ মিনিটে গিয়ে দেখি আমার পোস্টের
ভিউ সংখ্যা ১৮৫৯!!
এটা কিভাবে সম্ভব
আপনি একটা পোস্টে মন্তব্য করলে আপনি প্রতিউত্তর দেয়ায় বুঝেছিলাম আপনি অনলাইনে আছে।
একবার ভেবেছি আপনাকে অথবা
কাওসার চৌধুরী ভাইকে জিজ্ঞাসা করি
এই বিষয়ে।
কিন্তু পরে জিজ্ঞাসা করি নি আর.... ধরে
নিয়েছি কোন একটা সমস্যা হয়েছে অথবা
কোন ফেসবুক সেলিব্রেটি বা কোন প্রচুর
লাইকওয়ালা পেজে লেখাটা শেয়ার
করেছে যার ধরুন এত এত এত ভিউ হয়েছে
যদিও আমি নিশ্চিত না।

যাইহোক। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। আপনাদের একটু প্রশংসা আমাদের অনুপ্রেরণা ..।

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি অনেক আগের কথা বলছেন। এখন আমাদের দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪১

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: হ্যাঁ ভাই। উন্নয়নের মহাসড়কে, সে মহাসড়কের ধারে কাঁচুমাচু হয়ে মানুষজন লাইন ধরে খোলা আকাশের নীচে এখনো ঘুমিয়ে থাকে। সেই দিকে কারো খেয়াল নাই। পদ্মাসেতু আর স্যাটেলাইট মানুষ উন্নয়ন খোঁজে..

৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



বাহ! দারুন হৃদয়স্পর্শী কিছু কথা বলেছেন আপনি। সিনেমা-নাটকওয়ালারা মানুষের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে পকেট ভারী করেন। কিন্তু সত্যিকারের সাহিত্যিকরা এই জীবগুলোর বায়স্কোপ আঁকেন। তাঁরা টাকার জন্য লিখেন না। এখানেই মূল পার্থক্য।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৪

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: হ্যাঁ ভাই .. সত্যিকারের সাহিত্যপ্রেমীরা মানুষের জীবন জীবিকার বায়স্কোপ আঁকেন। তারা বিশেষ কোন গোষ্ঠীকে নিয়ে লিখেন না। তারা তেলবাজি কি চিনে না। চিনেন শুধু নিজের কলম কলমে মানুষের বায়স্কোপ আঁকতে।

ধন্যবাদ ও ভালবাসা জানবেন প্রিয়....

মানুষের জীবন হোক শুভ্র ও সুন্দর..

৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৮

ওমেরা বলেছেন: উপরের ছবির বাচ্চাটাকে দেখে খুব মায়া লাগতেছে , ওকে পেলে আমি নিয়েই নিতাম।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: ওকে না নিলেও ওর মতো হাজারো শিশু আছে যারা একবেলা আহারের জন্য সকাল সন্ধ্যা ভিখ মাগে।

এদের থেকে পছন্দমতো কাউকে নিয়ে নিন। মহান আল্লাহ আপনার সৎ ও সুন্দর মনোবাসনাগুলো পূরণ করে দিক সেই দোয়া করি।

৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩৮

সনেট কবি বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.