নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্যক্তিগত ব্লগসাইট : www.akterRhossain.blogspot.com \n \nফেসবুক আইডি : Akter R Hossain \n\n\nফেসবুক আইডি লিংক: www.facebook.com/ARH100

আকতার আর হোসাইন

খেলাধুলো করতে ও বই পড়তে প্রচন্ড ভালবাসি। আর মাঝেমধ্যে শখের বসে লেখার ক্ষুদ্র চেষ্টা করি।

আকতার আর হোসাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৈশাখী পোস্ট :মাসুদ রানা রিরিজের \'অগ্নিপুরুষ\' আর হুমায়ূন আহমেদ এর \'অমানুষ\' বই এর রিভিউ

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৪৩


মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা। প্রথমেই সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।


"এক সময় থেমে যাবে সমস্ত কোলাহল,
ঘুমিয়ে পড়বে ধরণী।
আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল তারাটা মিটমিট করলে
বুঝবে আমি তোমায় ডাকছি।
সে-রাতে তুমি জেগে থেকো, বন্ধু, ঘুমিয়ে পড়ো না।

আর, হ্যাঁ, ফুলের গন্ধ পেলে,
বুঝে নিয়ো আমি আসছি।
আর যদি কোকিল ডাকে,
ভেবআমি আর বেশী দূরে নেই।

তারপর হঠাৎ ফুরফুরে বাতাস এসে তোমার গায়ে লুটিয়ে পড়লে,
বুঝবে আমি এসেছি।
সে রাতে তুমি জেগে থেকো, বন্ধু, ঘুমিয়ে পড়ো না।”
...
মাসুদ রানার জন্মদিনে লুবনা তাঁকে একটি ইংরেজি অনুবাদের কুরআন শরীফ এর পাশাপাশি এই গানটিও উপহার দেয়। মাসুদ রানার আসল পরিচয় লুবনা জানেনা। মাসুদ রানা তার বডিগার্ড। সে মাসুদ রানাকে ইমরুল হাসান নামে জানে। সিআইএ এর হাত থেকে বাঁচার জন্যই জন্যই মাসুদ রানার এই ছদ্মবেশী জীবন যাপন। কিন্তু বডিগার্ড মাসুদ রানা ধীরে ধীরে লুবনার বন্ধু হয়ে যায়।

আর এখান থেকেই এই গল্পের শুরু। গল্পটা বন্ধুত্বের, গল্পটা প্রগাঢ় ভালবাসার। গল্পটা প্রিয়জন হারানোর কষ্টের। গল্পটা ঘৃণা ও নির্মম প্রতিশোধের।

আনন্দ খুশিতেই মাসুদ রানা ও লুবনার দিনকাল কাটছিল। কিন্তু একদিন লুবনাকে কিডন্যাপাররা কিডন্যাপড করতে আসে। মাসুদ রানা প্রাণপণ চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত লুবনাকে বাঁচাতে পারেনি। উল্টো তাঁদের গুলিতে সে গুরুতর আহত হয়।

মাসুদ রানা এতটা আহত হন যে চিকিৎসকরা তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা দেখতে পায়নি। হাসপাতালের বেডে শুয়ে মাসুদ রানা লুবনার মৃত্যুসংবাদ পায়। বারো বছরের কিশোরীকে হত্যা করার আগে কয়েকবার রেপ করা হয়। এ খবর শুনেই প্রতিশোধের আগুনে জ্বলে উঠে মাসুদ রানা। প্রতিশোধ নিতেই তার বেঁচে থাকার তীব্র আকুতি। ডাক্তারদের ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে বেঁচে থাকার এ আকুতিতেই যেন তিনি বেঁচে গেলেন।

এবার প্রতিশোধ নেয়ার পালা। নিজেকে আগের ফর্মে ফেরানোর জন্যে মাসুদ রানা তার বন্ধু রেমারিকের শ্বশুর বাড়ি গুজোয় চলে যায়। কিন্তু লুবনার দেয়া উপহার সেই গানটি তাঁকে ঘুমাতে দেয় না। গভীর রাত। ধরণী যখন ঘুমিয়ে তখন একা জেগে তাঁকে মাসুদ রানা। আকাশে একটা তারা যেন অন্যরকম। মিটিমিটি জ্বলে। পাহার গা থেকে ফুরফুরে বাতাস আসে। বাতাসে ফুলের গন্ধ। মাসুদ রানা তখন আপন মনে বলে, "জেগে আছি বন্ধু, আমি জেগে আছি"।

মাসুদ রানা প্রতিশোধ নিতে শুরু করল।

একে একে বেরলিংগার, এলি, ফনটেলাকে খুন করল। । যত খুন করতে থাকল, ততই তার মৃত্যুঝুঁকি বাড়তে থাককে মাফিয়া তাঁকে পাগল হয়ে খুঁজে বেড়ায়।



প্রতিটি দৈনিক পত্রিকায় তার নামে খবর ছাপায় মাফিয়া।

ইতালীর জনগণ তার জন্য গীর্জায় প্রার্থণা করে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিশাল আকৃতির তোরণ নির্মাণ করে। একটা তোরণে পাড়ার ছেলেরা লিখল, "বাঙ্গালী বীর, লহ সালাম"।

এক সময় মাসুদদ রানার প্রতিশোধ পর্ব শেষ হয়। তারপর সে আপন মনে বলে, "এবার আমি ঘুমাব, লুবনা, এবার আমি ঘুমাব।”

একদিন একটি পত্রিকার সম্পাদকীয়তে লেখা হল,

"এদেশের মিষ্টি এক মেয়ে একটা গান উপহার দিয়েছিল বাংলাদেশের দুঃসাহসী এক যুবককে। বলেছিল, একদিন ছাড়াছাড়ি হবে, তখন যেনো আমার কথা ভুলে যেয়ো না। এক সময় থেমে যাবে সমস্ত কোলাহল, ঘুমিয়ে পড়বে ধরণী।
আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল তারাটা মিটমিট করলে বুঝবে আমি তোমায় ডাকছি। সে-রাতে তুমি জেগে থেকো, বন্ধু, ঘু লুটিয়ে পড়লে, বুঝবে আমি এ মিয়ে পড়ো না। আর, হ্যাঁ, ফুলের গন্ধ পেলে, বুঝে নিয়ো আমি আসছি। আর যদি কোকিল ডাকে, ভেবআমি আর বেশী দূরে নেই। তারপর হঠাৎ ফুরফুরে বাতাস এসে তোমার গায়ে সেছি। সে রাতে তুমি জেগে থেকো, বন্ধু, ঘুমিয়ে পড়ো না। ”

এই পবিত্র ভালবাসার মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে সেই যুবক।"



পাঠ প্রতিক্রিয়া ও দুটি কথা:

হুমায়ূন আহমেদ এর অমানুষ বইটি পড়েছি তিন চার দিন হল। ফেসবুক গ্রুপ 'বইপোকাদের আড্ডাখানা' গ্রুপে দুই বা তিন লাইনে বইটি পড়ার অনুভূতি প্রকাশ করি। সেখানে অনেকেই আমাকে মাসুদ রানা সিরিজের 'অগ্নিপুরুষ' বইটি পড়ার জন্য বলেন। দুটি বই-ই এ.জে কুইনালের বিখ্যাত 'ম্যান অন ফায়ার' এর ছায়া অবলম্বনে লেখা। ক তারপরই পড়ে ফেলি অগ্নিপুরুষ। উপরের রিভিউটা আসলে অগ্নিপুরুষ বইয়েরই। এর আগে মাসুদ রানা পড়ার ইচ্ছা কোন সময়ই ছিল না। বুঝতেই পারছেন এই প্রথম মাসুদ রানা পড়েছি।


হুমায়ূন আহমেদ এর বইটা এক কথায় অসাধারণ। খুবই টুইস্টেস্ট একটা গল্প। অসম্ভব ভালো লেগেছে। তার বইয়ের শেষ লাইন

এখানে একজন মানুষ ঘুমিয়ে আছে। তাঁকে শান্তিতে ঘুমুতে

দাও'
মাথায় একদম ঢুকে গেছে। অনেকদিন, অনেকদিন কথাটা মনে থাকবে।

আগে থেকে মূল কাহিনী জেনেও অগ্নিপুরুষ পড়ে বিরক্ত হয়নি। পার্ট পড়ে মনে হয়েছে হুমায়ূন আহমেদ এরটাই সেরা। কিন্তু দ্বিতীয় পার্ট পড়ে মনে হয়েছে অগ্নিপুরুষ সেরা। আসলে দ্বিতীয় পার্টে অসাধারণ সব টুইস্ট পেয়েছি।

বই দুটির তুলনা করতে চাই না। তুলনা করতে চাই না এই কারণে যে দুটি বই দুই রকমের স্বাদ পেয়েছি। অমানুষ পড়ে কষ্ট খুব বেশি পেয়েছি। জামশেদ চরিত্রটাকে একদম ভালবেসে ফেলেছি। অন্যদিকে অগ্নিপুরুষ পড়ে অনেক বেশি থ্রিল পেয়েছি। যারা বই দুটি পড়তে চান তাঁদের বলব আগে অমানুষ পড়েন। পরে অগ্নিপুরুষ পড়লে সমস্যা নেই। কিন্তু আগে অগ্নিপুরুষ পড়ে পরে অমানুষ পড়লে বেশি মজা পাবেন না।

আমার মাথায় দুটি বইয়ের দুটি লেখা ঘুরছে।


অমানুষ এর

'এখানে একজন মানুষ ঘুমিয়ে আছে। তাঁকে সান্তিতে ঘুমুতে দাও।

অগ্নিপুরুষ এর



এক সময় থেমে যাবে সমস্ত কোলাহল, ঘুমিয়ে পড়বে ধরণী।
আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল তারাটা মিটমিট করলে বুঝবে আমি তোমায় ডাকছি। সে-রাতে তুমি জেগে থেকো, বন্ধু, ঘু লুটিয়ে পড়লে, বুঝবে আমি এ মিয়ে পড়ো না। আর, হ্যাঁ, ফুলের গন্ধ পেলে, বুঝে নিয়ো আমি আসছি। আর যদি কোকিল ডাকে, ভেবআমি আর বেশী দূরে নেই। তারপর হঠাৎ ফুরফুরে বাতাস এসে তোমার গায়ে সেছি। সে রাতে তুমি জেগে থেকো, বন্ধু, ঘুমিয়ে পড়ো না।


বই সম্পর্কে কিছু তথ্য:
বই: অগ্নিপুরুষ
লেখক: কাজী আনোয়ার হোসেন
প্রচ্ছদ: আলীম আজিজ
প্রকাশন: সেবা প্রকাশনী
মূল্য : ৮৫ টাকা (রকমারি ডট কম]
.
বই : অমানুষ
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
প্রচ্ছদ:
প্রকাশন: অন্বেষা প্রকাশন
মূল্য : ১৭৬ [রকমারি ডট কম]

অগ্নিপুরুষ এর পিডিএফ লিংক (দুই খন্ড একত্রে) - http://www.amarbooks.com/download.php?id=17974

অমানুষ এর পিডিএফ লিংক: http://www.amarbooks.com/download.php?id=19396

এত দিন ছবি আপলোড দিতে পারতাম না। আজ পারলাম। আলহামদুলিল্লাহ।
আজ পহেলা বৈশাখ। সবাই আবারো বৈশাখের লাল গোলাপ শুভেচ্ছা জানবেন

মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:৪১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ওভারঅল চোখ বুলিয়ে গেলাম। আগামীকাল আবার সময় নিয়ে আসবো।
শুভ কামনা প্রিয় হোসাইন ভাইকে।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:০৭

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: আপনাদের মতো গুনী মানুষের মন্তব্যে একই সাথে খুশি ও অনুপ্রাণিত হই। চোখ বুলিয়ে গেলেন জেনে ভালো লাগলো খুব।

সময় নিয়ে আগামীকাল আরেকবার আসবেন জেনে একই সাথে প্রীত ও ভয়ার্ত হলাম। আনন্দের কারণ তো আর বলতে হবে না। ভয়ের কারণ এই যে, কি জানি ভুল ধরেন।

তবে আসলেই যে ভয়ের কিছু নেই তা জানি। ভয় না আসলে, ভয় কথাটা ডাহা মিথ্যা কথা। একে বোধ হয় বলে মনের খচখচানি। আপনার আসার অপেক্ষায় রইলাম।


বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানবেন।

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:৩০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ডেঞ্জেল ওয়াশিংটনের অসাধারণ অভিনয় সমৃদ্ধ "ম্যান অন ফায়ার" মুভিটি দেখতে পারেন | বিশেষত মুভির শেষে গাড়িতে তার দীর্ঘ ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পাড়ার দৃশ্যটি মনে রাখার মতো |

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:১২

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: হ্যাঁ মুভির সাজেস্টও বইপোকা গ্রুপে প্রচুর পেয়েছি। তারপর ইন্টারনেট অনেক খুঁজেছি। কিন্তু মুভিটির কোন ডাওনলোড লিংক পাইনি। যেগুলো পাই সেগুলো কাজ করে না। আর কিছু আছে ডাওনলোড হবে কিন্তু সাইজ অনেক বড়। ১.৫ জিবির উপরে।

তারপরও খোঁজ করছি। দুজন বন্ধুকে বলেছি ডাওনলোড করতে অথবা আমাকে লিংক পাঠাতে।

আপনি আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন। এভাবেই আমাদেরকে ভাল ভাল বই আর মুভি সাজেস্ট করবেন।

বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানবেন। মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা।

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:১০

বলেছেন: তাকে শান্তিতে ঘুমোতে দাও!!

অসম্ভব ভালোলাগা রিভিউয়ে +++



শুভ নববর্ষ।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৩

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ভাই.....

আপনাদের প্রশংসা, আপনাদের সমালোচনা আমার আগামীর পথচলায় অনুপ্রেরণা।

বৈশাখী শুভেচ্ছা জানববেন।

মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা।

৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৬:০২

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: Good reviews! Omanush was one of my favorites. Sorry for typing in English from mobile. Take care:)

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৬

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: ইটস ওকে।

রিভিউটি ভালো হয়েছে জেনে ভীষণ আনন্দিত হলাম।

বৈশাখের শুভেচ্ছা জানবেন। আগামীর দিনগুলো হোক শুভ্র ও সুন্দর....

মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১২

হাবিব বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের এই বইটি পড়ে দেখার ইচ্ছা জাগলো আপনার রিভিউ পড়ে। শুভ কামনা আকতার ভাই

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৮

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: আমার রিভিউ পড়ে আপনার আগ্রহ জাগলো হুমায়ূন আহমেদ এর বইটি পড়ার।

তার মানে হল স্যার, রিভিউ আপনার কাছে ভালো লেগেছে।

খুব আনন্দিত হলাম স্যার। বইটি পড়ে ফেলুন। ভালো লাগবে গ্যারান্টি দিচ্ছি।

বৈসাখের শুভেচ্ছা নিবেন। আগামীর পথচলা হোক সুগম ও সুন্দর।

৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৫৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: বইগুলো পড়বো
রিভিউ পড়লাম, ভাল লাগলো

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৪২

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: বইগুলো পড়বেন জেনে আনন্দিত বোধ করলাম। আপনি আর হাবিব স্যার বইটি পড়তে আগ্রহী হলেন। কাজেই রিভিউ লেখা স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করি।

ধন্যবাদ জাননেন প্রিয় ক্ষুদে ব্লগার ভাই....

আগামীর পথচলা হোক কাঁটামুক্ত মসৃণ সেই কামনা করি।

বৈশাখী শুভেচ্ছা লহ।

৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: অমানুষ তো হুমায়ূন আহমেদ লিখেন নি।
তিনি অনুবাদ করেছেন।
তিনি নিজেই বলেছেন এক্সময় টাকার সমস্যায় পরেছিলাম। তখন অনুবাদ করেছি।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৭

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: হ্যাঁ ভাই বইটি হুমায়ূন আহমেদ এর মৌলিক কোন গ্রন্থ না। শিরোনামে উল্লেখ না করলেও পোস্টে সেটা বলে দিয়েছি।

অমানুষ আসলে অনুবাদ বই না। হুমায়ূন আহমেদ বইয়ের শুরুতেই বলে দিয়েছেন। বইটির কাঠামো এ.জে কুইনালের বিখ্যাত 'ম্যান অন ফায়ার' থেকে নেয়া হয়েছে। বইয়ে কাঠামোগত গত মিল থাকলেও অন্য কিছু বইয়ের সাথে মিল নেই।

সো এটা অনুবাদ বই না।


আর হ্যাঁ, মাসুদ রানা সিরিজের অগ্নিপুরুষ আর হুমায়ায়ূন আহমেদ এর অমানুষ দুটি বই-ই ম্যান অন ফায়ারের ছায়া অবলম্বনে লেখা।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৮

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: প্রিয় রাজীব ভাই। বৈশাখের লাল গোলাপ শুভেচ্ছা জানবেন।

মুছে যাক গ্লানি


ঘুচে যাক জরা।


শুভ বাংলা নববর্ষ।

৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:১১

আখেনাটেন বলেছেন: কলেজ জীবনে দুটো বই-ই বেশ কবার পড়েছি। অগ্নিপুরুষের যে লেখাটা কোট করেছেন, সেটা আমার সেই সময়ের ডায়েরীতে আমিও লিখে রেখেছিলাম। অসাধারণ লেগেছিল। :D

আর হুমায়ুন আহমেদের 'জামশেদ' সত্যিই মনে রাখার মতো চরিত্র। উনার স্পেশাল লেখার গুণে জামশেদ জীবন্ত হয়ে উঠে।

রিভিউ পড়ে পুরনো অনেক কথা মনে পড়ে গেল। রাত-দিন একাকার করে এসব বই পড়েছি, এখন ভাবলেই মুখে মুচকি এক টুকরো হাসির দোলা দিয়ে যায়। পুরোনো স্মৃতিরা ভুস করে ভেসে উঠে মনের মনিকোঠায় অগোচরে। :D

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৫৩

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: আপনার মন্তব্যে পুলকিত হলাম।


অগ্নিপুরুষ এর লেখাটা আমিও ডায়েরিতে লিখে রাখব ভাবছি। আরেকটা লেখাও এখানে আনব



লেখাটা হল,

[ক্ষুধা আর অভাব যেখানে সর্বগ্রাসী, নৈতিকতা সেখানে পরাজিত সৈনিক]

জামশেদ চরিত্রটা আসলেই মনে রাখার মতো। হুমায়ূন আহমেদ এর লেখার গুণে চরিতটা সব পাঠকের মনেই ঠাঁই করে নেয়।
[
রিভিউ পড়ে পুরনো অনেক কথা মনে পড়ে
গেল। রাত-দিন একাকার করে এসব বই
পড়েছি, এখন ভাবলেই মুখে মুচকি এক টুকরো
হাসির দোলা দিয়ে যায়। পুরোনো
স্মৃতিরা ভুস করে ভেসে উঠে মনের
মনিকোঠায় অগোচরে।
]

আপনার অনেক পুরনো কথা পড়ে গেল রিভিউ পড়াতে। হয়তো মুছকি হেসেছেনও। বলা যায়, রিভিউটা স্বার্থক।

ভালবাসার মিশেল ধন্যবাদ জানবেন। বৈশাখী শুভেচ্ছা নিন।

দূরে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা।

৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১১

নীল আকাশ বলেছেন: অমানুষ একটা মাস্টারপীস বই। এই বইটা আমি যতবার পড়েছি ততবারই মুগ্ধ হয়েছি।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩২

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে পাঠ ও মন্তব্যের জন্য।

অগ্নিপুরুষ কি পড়েছেন...? পড়ে না থাকলে দ্রুত পড়ে ফেলুন। অসাধারণ একটা বই এটা। দারুণ থ্রিল পাবেন।

নববর্ষের শুভেচ্ছা।

১০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: শুভ নববর্ষ :)

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:১০

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: তোরা সব জয়ধ্বনি কর!
ঐ নূতনের কেতন ওড়ে
কালবোশেখির ঝড়
তোরা সব জয়ধ্বনি কর!


শুভ নববর্ষ। আগামীর দিনগুলো হোক শুভ্র ও সুন্দর...

১১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: উফ, দুর্দান্ত! এক্ষুনি অমানুষ শেষ করলাম। সত্য ন্যায়ের প্রতীক জামশেদকে স্যালুট। জামশেদ চরিত্রটির সঙ্গে এক কেন জানি না ব্লগে গাজী সাহেবের অদ্ভুত মিল পেলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর একটি উপন্যাস পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

বৈশাখী শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৩৬

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: আপনার আসার অপেক্ষায় ছিলাম।

অবশেষে এসেছেন, কৃতজ্ঞতা জানবেন।

তাও আবার, বইটি পড়ে এসেছেন। খুশি হলাম খুব। আরো দুজন বইটি পড়তে আগ্রহী হয়েছে। হাবীব স্যার, আর ক্ষুধে ব্লগার প্রান্ত। বলতে পারি আমার রিভিউ কাজে লেগেছে। আলহামদুলিল্লাহ।

জামশেদ চরিত্রটা আসলেই স্যালুট পাবার যৌগ্য।।

ব্লগার চাঁদগাজী সাহেবের সাথে জামশেদের মিল পেলেন। হাহাহা... ওরা তো বিপরীত। যদিও চাঁদগাজী সাহেব সম্পর্কে বেশি জানিনা। তবু মন্তব্যটা করছি। জানিনা এই কারণে ওনার লেখা জটিল ধরণের। বেশিরভাগ রাজনীতি নিয়ে। ওসব জটিল জটিল কথা মাথায় ঢুকে না ।

এই যেমন জামশেদ কথা কম বলে। আর চাঁদগাজী সাহেব শুধু প্যাঁচাল পারেন।

যাইহোক, ভালবাসা মিশেল ধন্যবাদ জানবেন। অফুরন্ত ভালবাসা।

আর হ্যাঁ, এখন অগ্নিপুরুষ পড়তে পারেন। অগ্নিপুরুষ দুই খন্ডে লেখা। দ্বিতীয় খন্ডে দারুণ দারুণ থ্রিল পাবেন। ভাল না লেগে উপায় নেই।

১২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:০৬

বাংলার মেলা বলেছেন: মাসুদ রানার চেয়ে জামশেদ অনেকে নির্মম ও নৃশংস, তার খুন করার পদ্ধতি খুব ভয়াবহ। তবে যখন টর্চার করা হয়, তখন ভাবতে ভাল লাগে যে অত্যাচারিত ব্যক্তিটি ১২ বছরের নিষ্পাপ এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত - তখন খুব আনন্দ লাগে। মনে হয় জীবনের সব মায়া তুচ্ছ করে একজন জামশেদ বা রানা হতে পারতাম, তাহলে ধর্ষণ করার আগে ধর্ষক চিন্তা করবে যে আইন তাকে ছুঁতে না পারলেও জামশেদের হাত থেকে সে পার পাবেনা। তখন খুব থ্রিল লাগে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:০০

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: লেখা পাঠ ও মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ....

হ্যাঁ আমরা এমন জামশেদ হতে পারকে ধর্ষকরা ভাবতো আইন তাঁদের ছুঁতে না পারলেও জামশেদের হাত থেকে ঠিকই রক্ষা পাবে না।

বাংলাদেশ এ কিন্তু একটা টিম বেরিয়েছে....

ধর্ষকদের খুন করে গলায় নাম ঠিকানা ঝুলিয়ে দেয়...

জানিনা টিমটা আসলে ধর্ষকদের খুন করে নাকি অন্য কাউকে...

যদি ধর্ষকদের খুন করে থাকে তাহলে আমি সেটাকে সাপোর্ট করব... আইনের চোখে অবশ্য এই খুন করাটা অপরাধ।

অগ্নিপুরুষ বইয়ে একটা কথা আছে।

যে সমাজ জীবনের মৌল চাহিদা পূরণ করতে পারে না সে সমাজের আইনকে মানুষ বুড়ো আঙ্গুল দেখাবেই
[

এদেশে ধর্ষকরা ধর্ষণ করেই বেড়াচ্ছে। অথচ কোন বিচার নেই। দেশের মেয়েরা নিরাপদে নেই। দেশের মেয়েদের নিরাপত্তা আমাদের সমাজ দিতে পারছে না। ধর্ষকদের শাস্তি আমাদের সমাজ দিতে পারছে না। এগুলো আমাদের জীবনের মৌল চাহিদা। অতএব এই সমাজের আইনকে মানুষ বুড়ো আঙ্গুল দেখাবেই।

হারকিউলিক্স নামে টিমটা ধর্ষকদের খুন করে এই সমাজকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েছে। আমি এই বুড়ো আঙ্গুল দেখানোটাকে সমর্থন করছি। যৌক্তিকভাবেই সমর্থন করছি।

১৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৭

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: মাসুদ রানার আমি একটা বই -ই পড়েছি সেটা হচ্ছে অগ্নিপুরুষ।

০২ রা মে, ২০১৯ দুপুর ২:৩০

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: বাহ,জেনে খুব ভালো লাগলো। মন্তব্য এর উত্তর দিতে দেরি হবার কারণে দুঃখিত। এই পোস্টে আর মন্তব্য আসবে বলে ধারণা ছিল না। তাই পোস্টে এসে চেক করিনি। আর নোটিফিকেশন এ ডিস্টার্ব থাকে সব সময়।


এই বইটাই আমার পড়া মাসুদ রানার প্রথম বই। সামনে আরো পড়ার ইচ্ছা অবশ্য আছে।

ধন্যবাদ সহ ভালবাসা জানবেন প্রিয় সৌরভ ভাই.....

১৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:২০

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আপনার বৈশাখি পোস্ট অনেক দেরিতে চোখে পড়ল। রিভিউটা খুব সুন্দর হয়েছে। সেই ক্লাস ফাইভে থাকার সময় মাসুদ রানার সাথে পরিচয়। বলতে গেলে বই পড়ার হাতেখড়িই হয়েছিল মাসুদ রানা দিয়ে। তারপর সেবা আর সেবার একঝাঁক গুণী লেখকের সাথে পরিচয়। তারও পরে অন্যান্য লেখকের লেখা পড়ার আগ্রহ। একটা সময় ছিল যখন বই হাতে পেলে নাওয়া-খাওয়া ভুলে যেতাম। বিশেষ করে সেবা'র বই। আমার প্রথম প্রেম বলতে সেবা প্রকাশনীকেই বোঝানো যায়, যার আবেদন এখন পর্যন্ত বিন্দুমাত্র হ্রাস পায়নি। আমার সংগ্রহে হাজারখানেকের ওপর সেবার বই ছিল। এখন কতগুলো আছে আর গুনে দেখা হয় না। কিছু পোকায় খেয়েছে, কিছু ধার হিসেবে কারও হাতে পড়ে আর আমার কাছে ফেরত আসেনি। সেই সেবার বইয়ের মধ্যে সেরা বইয়ের তালিকা করা হলে অগ্নিপুরুষ তালিকার একেবারে উপরের দিকে থাকবে এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।

অনেক আগেই দুটো বই-ই পড়েছি। অমানুষ বইটি এ জে কুইনেলের ম্যান অন ফায়ারের অনুবাদ বলা যায়। কিন্তু অগ্নিপুরুষ অনেক বিস্তারিত আর থ্রিলে ভরপুর, যা অমানুষ এ পাওয়া যায় না। আমার কাছে অবশ্যই অগ্নিপুরুষ বেস্ট লেগেছে। এই কারণেই সম্ভবত আপনি বলেছেন, যারা অগ্নিপুরুষ আগে পড়ে ফেলবে তারা অমানুষ পড়ে আর মজা পাবে না। অপরদিকে যারা অমানুষ আগে পড়বে তারাও অগ্নিপুরুষ পড়ে পুরো মজাই পাবে। আমিও তাই বলতে চাই। দুটো বই-ই যারা পড়তে চান তারা অমানুষ আগে পড়ুন তারপর অগ্নিপুরুষ। অগ্নিপুরুষ ইজ বেস্ট।

০২ রা মে, ২০১৯ দুপুর ২:৪৩

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: খুবি দুঃখিত ভাই এত দেরিতে প্রতিউত্তর দেয়ায়। আসলে আমক একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আমার পোস্টের মন্তব্য চেক করি। তারপর আর করি না। পরে মন্তব্য আসেনা বলেই এমনটা করি। আর নোটিফিকেশন এ সব সময় ডিস্টার্ব দেয়। যাইহোক, দুঃখিত।



আপনার প্রথম প্রেম সেবা প্রকাশনী। এ থেকেই বুঝা যায় আপনি কি ধরণের বইপোকা। আমি আপনার শহরের মানুষ হলে অনেকগুলো বই ধার করে নিতাম। দুই একটা হয়তো মেরেও দিতাম। হাহা....


আমার ধারণা অগ্নিপুরুষ যারা পড়েছেন তাঁদের বেশির ভাগ মানুষই এই বইটিকে তালিকার উপরের দিকে রাখবে।




আমার কাছে অবশ্যই
অগ্নিপুরুষ বেস্ট লেগেছে। এই কারণেই
সম্ভবত আপনি বলেছেন, যারা অগ্নিপুরুষ
আগে পড়ে ফেলবে তারা অমানুষ পড়ে আর
মজা পাবে না। অপরদিকে যারা অমানুষ
আগে পড়বে তারাও অগ্নিপুরুষ পড়ে পুরো
মজাই পাবে। আমিও তাই বলতে চাই। দুটো
বই-ই যারা পড়তে চান তারা অমানুষ আগে
পড়ুন তারপর অগ্নিপুরুষ। অগ্নিপুরুষ ইজ বেস্ট।


সম্পূর্ণ সহমত। আর
ঠিক ধরেছেন। অগ্নিপুরুষ বেস্ট মনে হয়েছে।

ধন্যবাদ ও অফুরাম ভালবাসা জানবেন প্রিয় ব্লগার....

১৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১২

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
হুমায়ূন আহমেদের অমানুষ এর কোন তুলনা হয় না। ++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.