নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরিফিন১২৩

কিছুই বলার নেই

আরিফিন১২৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাগল...

১৩ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ২:৫৭

আচ্ছা আমি কি মানসিকভাবে সুস্থ?



বেশ কিছুদিন ধরেই আমার আশেপাশের বেশিরভাগ মানুষের মানসিক সুস্থতা নিয়ে আমার মনে সন্দেহ দেখা দিচ্ছে। এখন মনে হচ্ছে এত অসুস্থ মানুষ তো সভ্যসমাজে বসবাস করার কথা না। তাহলে কি আমি অসুস্থ? লোকে বলে, পাগলের কাছে সে বাদে সমস্ত দুনিয়া পাগল। সে হিসেবে আমি পুরোপুরি পাগল না। আমার কাছে সমস্ত দুনিয়া পাগল না, কিন্তু এর বেশিরভাগ পাগল।



আচ্ছা কেউ পাগল কি না তা কিভাবে বোঝা যায়? মানসিক রোগের ডাক্তার আছে তারা নাকি মানুষের মানসিক অসুস্থতা ধরতে পারে। কিন্তু তাদের চিন্তার যে ধরন তাতে তারা আমাকে পাগল বলে প্রমাণ করতে পারবে না বলেই আমার ধারনা। তার কারন তারা তাদের কাজ করে যুক্তি দিয়ে। মজার ব্যাপার হচ্ছে আমার চিন্তাভাবনায় এবং কাজে আমি যুক্তিকে যথেষ্ঠ গুরুত্ব দেই। শুধু যে গুরুত্ব দেই তা না, কেউ যদি যুক্তি দিয়ে আমাকে কোন কিছু বোঝাতে পারে, আমি তা মেনে নেই, গোঁয়ারের মত তর্ক করি না। সুতরাং ডাক্তারিভাবে আমাকে পাগল বলা যাবে না। এটা একধরনের স্বস্তি; এর মানে আমি হেমায়েতপুরে যাচ্ছি না। আহা কি আনন্দ আমার চারপাশে।



এটা তো গেল ডাক্তারদের কথা। সাধারন মানুষ কোন ভিত্তিতে একটা মানুষকে পাগল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়? তাদের স্বীকৃতির ভিত্তি হল আচরণ, চালচলন। কিন্তু এ ব্যাপারে দ্বিমত আছে। এরকম অনেক মহান মনীষী আছেন যাদের সাধারণ মানুষ পাগল বলে আখ্যায়িত করেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের দেয়া তত্ত্বই পৃথিবীর মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের সাধারন একটা মানুষ যে আইনস্টাইনকে চেনে না তাকে আইনস্টাইনের ছবি দেখালে ভাববে এ কোন পাগল যে আরেক পাগলের ছবি আমাকে দেখাচ্ছে।



আমি কোন মনীষী নই। কোনদিন হতেও পারব বলে মনে হয় না। তাই আপাতত নিজেকে মানসিকভাবে অসুস্থ একজন মানুষ বলেই মনে হচ্ছে। একবার মনে হয়েছিল এই পাগলের দুনিয়া ছেড়ে জঙ্গলে চলে যাই। গিয়ে পশুপাখিদের সাথে জীবনযাপন করি। পশুপাখিরা আর যাই হোক, পাগল না। মানসিক অসুস্থতা কোনদিন কোন পশুর ছিল বলেও শুনিনি। কিন্তু আজকাল মানুষের যন্ত্রনায় জংগলে পশুপাখিদের থাকাই দায় হয়ে পড়েছে, আমি কিভাবে থাকব। আগে মানুষ জঙ্গলে ফলমূল খেয়ে দিব্যি জীবনযাপন করতে পারত, কিন্তু এখন পশুপাখিরাই জঙ্গলে না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে, আমি গেলে আমাকেই ধরে খেয়ে ফেলার সম্ভাবনাটাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। এসব কারনে বনবাসের চিন্তাটা একরকম বাদই দিতে হয়েছে। আর যাই হোক বনে যাওয়া যাবে না।



তাই আপাতত কচ্ছপের জীবনধারা অনুসরণ করছি। নিজের চারিদিকে একটা খোলস গড়ে তুলেছি। সেই খোলসের থেকে মাথাটা অল্প একটু বের করে আমি চারিদিক দেখি। সামান্য বিপত্তি দেখলেই খোলসে মাথা ঢুকিয়ে ফেলি। সহজে আর মাথা বের করি না। শক্ত, দুর্ভেদ্য আদৃশ্য একটা খোলস।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.