নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যারা কোনোকিছুর অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝেনা তারাই সরাসরি একটা অর্থ বের করে নেন। ২০১৮ সালে যখন কোটা আন্দোলন শুরু হয় তখন আমিও একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের একজন শিক্ষার্থী ছিলাম। আন্দোলনে আর সবার মতো আমিও সরাসরি অংশ নিয়েছিলাম। এই আন্দোলনের যুক্তি গুলো তখনো সরকার বুঝেনি, এখনো বুঝতে পারছে বলে মনে হয়না। অথবা বুঝতে চাইছেন না। কোটা আন্দোলনের মূল লক্ষ্য একটাই ছিল, কোটা সংস্কার করা। কোটা বাতিল নই। আমাদের সরকার প্রধানের মতো আমরাও চাই আমাদের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এগিয়ে আসুক। তাদের জন্যে বরাদ্দ কোটা থাকুক। কিন্তু আমাদের দাদা নানা রা যা করে গেছেন সেইটার সুবিধা না নিয়ে বাকিরা যেন নিজের মেধা ও যোগ্যতায় এগিয়ে যেতে পারে। এই আন্দোলন তখন থেকেই শুধু নিজেদের চাকরীর জন্যে না, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্যে করা। যেমন মুক্তিযুদ্ধ যারা করেছিল তারা শুধু নিজের ব্যক্তিস্বাধীনতার জন্যে করেনি, বরং পরবর্তী প্রজন্মের স্বাধীনতার জন্যেও করেছিল।
২০১৮ সালেও জাতীয় সংসদে সবার সামনে দাঁড়িয়েছ তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন যে "কোটার সুবিধাগুলো যারা নিজের জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীন করেছিল তাদের ছেলেমেয়েরা পাবেনা তো কি পাবে ঐ রাজাকারের বাচ্চারা?!" উনি কোন অর্থে বলেছিলেন সেইটা অনেকেই বুঝতে পারলেও একটি সেনসিটিভ সময়ে কোন কথা কোন জায়গা থেকে কিভাবে বলা উচিত সেইটা একজন মন্ত্রীর বুঝা উচিত ছিল। তখনো উত্তেজিত ছাত্র জনতা শুধুমাত্র ক্ষোভ থেকেই স্লোগান দিয়েছিল যে, "হ্যাঁ আমি গর্বিত আমি রাজাকার!" কিন্তু যারা কথার অন্তর্নিহিত অর্থ তাৎপর্য ইচ্ছা করেই বুঝতে চায়না তারাই এই স্লোগানকে কেন্দ্র করে দেশদ্রোহী তকমা লাগিয়ে দিয়েছিল।
এইবারো এর ব্যতিক্রম হয়নি। এই ২০২৪ এ এসে যখন দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের একজন অভিভাবকের মুখ থেকে একই ধরণের কথা বের হয় তখন আসলে ভরসা করার মতো কাউকে পাওয়া যায়না। সেই ক্ষোভ এবং আফসোস থেকেই "আমি কে তুমি কে? রাজাকার! রাজাকার!" স্লোগানে দেশ ভারী হয়ে উঠেছে। ব্যাপারটা অনেকটা এমন যে আম্মু আব্বু আমার দোষ না থাকা সত্ত্বেও একটা গালি দিয়ে বেয়াদব বললেন, আর আমিও মনের একটা ক্ষোভ আর আফসোস থেকে বললাম যে হ্যাঁ আমি তো বেয়াদব! আমার কথা হল যেখানে কথা হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থী আর কোটা সংস্কারকরণ নিয়ে সেখানে রাজাকার শব্দটা আনার দরকার টাই বা কোথায়? আন্দোলনকারীরা কেউ কি বলেছিল মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান নাতি নাতনীদের কোটা না দিয়ে রাজাকারের নাতিদের দিতে হবে?
ছাত্র আন্দোলন কে কেন্দ্র করে রাজনীতি করার জন্যে সবসময়েই কেউ না কেউ থাকে। তাদের উদ্দেশ্যও থাকে সবকিছু ধরে ধরে এক্সপ্লোয়েট করা। আমাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা মানুষদের যেমন উচিত নিজের জায়গা থেকে বুঝে শুনে কথা বলা, তেমনি দেশের মানুষদেরও উচিত কেন কি কারণে আন্দোলনকারীরা এমন স্লোগান দেয়। অনেকেই বুঝে। কিন্তু কিছু অংশ আছে যারা সব বুঝেও ইচ্ছা করে না বুঝার ভান করে থাকে।
২| ১৫ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:০৬
বাউন্ডেলে বলেছেন: কোটা বিরোধীদের সকল সরকারী নিয়োগে নিষিদ্ধ করা হোক। আমরা আমাদের বাপ-দাদার অর্জিত সফলতা রাজাকার ছানা-পুনাদের আর দিতে রাজী না।
১৫ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৭
মোঃ আরিফুজ্জামান আরিফ বলেছেন: আপনার উগ্র আচরণ আর কথা বার্তা দেখলে আপনার পরিবারের কারো মুক্তিযোদ্ধা হওয়া নিয়ে সন্দেহ জাগে। আর আপনি আমার পুরো পোস্ট পড়েছেন কিনা সেটাও সন্দেহ হয়। এবং আপনার এইসব বুঝার মতো বয়স বা সেন্স কোনোটাই হয়েছে কিনা সেটার একটা ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।
৩| ১৫ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৩
সামরিন হক বলেছেন: সুন্দর বলেছেন।
কোটা আন্দোলনের সাথেই আছি।
শুভেচ্ছা রইলো।
১৫ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:২৩
মোঃ আরিফুজ্জামান আরিফ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ১৫ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:১৪
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়েও কোটা সংস্কারের দাবীর প্রতি সমর্থন জানাই।
১৬ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:৩০
মোঃ আরিফুজ্জামান আরিফ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। বিচক্ষণ মানুষ মাত্রই ন্যায় এর পক্ষে থাকবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫
বাউন্ডেলে বলেছেন: হে সুবিধাবাদীর ছানাপুনা- আমার বাপ-দাদার সফলতার ফসল এর ভাগ চাইতে লজ্বা করেনা ? তোমরা কেমন মেধাবী ?