![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের আইটি ডিপার্টমেন্টএর কলিগরা কলিগ এর চাইতে অনেক বেশি কিছু, বন্ধু এবং আত্মার আত্মীয়। কোরবানী ঈদের পর গত ১১-১০-২০১৪ শনিবার কলিগ হাবিবের বাসায় দাওয়াত ছিল। আমি ফারুক, রাজু, এবং ফারুক এর ফ্রেন্ড সামদানী এবং রাজুর ফ্রেন্ড রুমি মিলে হাবিবের বাসায় জম্পেস খেলাম। খাওয়ার পর সবাই মিলে ঠিক করলাম কোথাও বেরাতে যাব কেউ বলল সি-বীচ, কেউ বলল ভাটিয়ারী, কেউ বলল সিআরবি, আমি বলেছিলাম ঠান্ডাছড়ি। আমার লেখা চট্টগ্রামের দর্শনীয় স্থানের তালিকাতে ঠান্ডাছড়ি আছে কিন্তু আমার কখনও যাওয়া হয়নি।
কেউ ঠান্ডাছড়ি চেনে না তাই অনেকেই নতুন স্পটে যেতেও চাচ্ছিল না। এর মধ্যে রাজুর ফ্রেন্ড রুমি লোকেশানটা চিনতে পারল, সে বলল হাবিবের বাসা থেকে ওই স্পটটা হয়ত ৩০মিনিট এর পথ হতে পারে, হয়ত এই কারনে রুমিও নিজেও কখন যায়নি। এর মধ্যে সোনায় সোহাগা রুমির প্রাইভেট কার নিয়ে এসেছে, রুমিসহ আমারা ৬ জন খুব সহজেই যায়গা হয়ে যাবে। সো নো চিন্তা ডু জার্নি।
সিদ্ধান্ত হওয়ার কিছুক্ষনের মধ্যেই আমরা যাত্রা করলাম অজানা অখ্যাত স্পট ঠান্ডাছড়ির উদ্দেশ্যে। আমরা ১৫ মিনিটের মধ্যেই অক্সিজেন থেকে চোধুরি হাট পৌছে গেলাম। চোধুরি হাট থেকে পশ্চিম দিকে একটা রাস্তা গেছে আমাদের ধারনা ওই রাস্তাটিই হবে তবু রাস্তায় মানুষকে জিজ্ঞেস করে নিশ্চিত হলাম ওইটিই ঠান্ডাছড়ির রাস্তা। ওই গ্রাম্য পথে যেতেই রাস্তার দুইপাশে সবুজ আর পাহাড় দেখে মন ভালো হয়ে গেলো। কিছুক্ষন মাটির রাস্তা পেরিয়ে পোছে গেলাম পিকনিক স্পট ঠান্ডাছড়িতে।
পৌছেই সবাই হুড়মুড় করে গাড়ি থেকে নেমে পরলাম, পাহাড়, সবুজ আর লেকের পানির স্নিগ্ধতা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আরো একটা জিনিস খুব ভালো লাগলো পর্যটকের ভীড় একদম নেই। প্রবেশ পথের দুইপাশে সুন্দর গাছের সারি আর সবুজের সমারোহ, আর দুইপাশে লেক। সোজা রাস্তা গিয়ে একটি পাহাড়ে উঠেছে আমরা এক দৌড়ে পাহাড়ে উঠে পরলাম, পাহাড়ের উপর কিছু পর্যটকের দেখে পেলাম। তাদের কথা বার্তা শুনে বুঝতে পারলাম তাদের বেশিরভাগই আশেপাশের এলাকা থেকে এসেছেন। পাহাড়ের উপরের অংশ পুরা সমতল যেটা দেখে বুঝতে পারলাম মালভূমি কেমন হয়। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য একটি মঞ্চ আছে।
পাহাড়ের আরেক পাশ দিয়ে নেমে লেকের পাড়ে আসলাম, লেকের পানির স্বচ্ছতা আর স্নিগ্ধতা দেখে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পরলাম আর আমাদের ছবি তোলা শুরু হয়ে গেল। ফারুকের ফটোগ্রাফীর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সুন্দর কিছু ছবি তুলে দিল।
আমাদের ২ ঘন্টার সংক্ষিপ্ত সফর শেষে খুব সুন্দর কিছু ছবি আর স্মরণীয় কিছু মুহর্ত নিয়ে ফিরে আসলাম। এমন স্নিগ্ধ পানিতে গোসল করতে না পারার আফসোস নিয়ে ফিরে আসলাম। পরের বার পিকনিক এবং পানিতে জলকেলির প্রস্তুতি নিয়ে যাব।
কিভাবে যেতে হবেঃ চট্টগ্রাম শহর থেকে ঠান্ডাছড়ির দূরত্ব খুব বেশি নয়, ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার বড়জোর ঘন্টাখানেকের পথ। নিউমার্কেট বা মুরাদপুর থেকে তরী বা রেঞ্জার সার্ভিস এবং অক্সিজেন বাসস্টেশন থেকে নাজিরহাট বা রাউজান বাসযোগে চৌধুরীহাট নেমে সিটি কর্পোরেশনের ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ফতেয়াবাদ কলেজ দিয়ে সোজা পশ্চিমে সিএনজিযোগে ঠান্ডাছড়িতে যাওয়া যায়।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২৫
প্রশান্ত মন বলেছেন: মবীন ভাই চট্টগ্রামে দাওয়াত রইল ।
২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:১৬
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: স্নিগ্ধ এলাকা । ভালো লাগলো ।
শুভেচ্ছা নিবেন
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২৬
প্রশান্ত মন বলেছেন: আসলেই স্নিগ্ধ এলাকা, আপনাকেও শুভেচ্ছা ।
৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২৪
আমিনুর রহমান বলেছেন:
নতুন একটা ঘুরার জায়গা সম্পর্কে জানতে পারলাম। ধন্যবাদ
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২৭
প্রশান্ত মন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭
সুমন কর বলেছেন: জানিয়ে যাবার জন্য ধন্যবাদ।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২৭
প্রশান্ত মন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩
মামুন রশিদ বলেছেন: জেনে রাখলাম । শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:২০
প্রশান্ত মন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:১৭
ফয়সাল নুর বলেছেন: আমি গিয়েছিলাম আমার স্টুডেন্টদেরকে নিয়ে কিন্তু ওখানের স্থানীয় কিছু বখাটের কারণে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। ভাল নিরাপত্তা থাকলে খুব দ্রুতই বিখ্যাত হয়ে যাবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:১৫
জাফরুল মবীন বলেছেন: আমার নিরিবিলি প্রকৃতি খুব পছন্দের!ছবিগুলো দেখে মনে হলো জায়গাটা সেরকম হতে পারে।মাথায় থাকল;সময় সুযোগমত কাজে লাগানো হবে
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ তথ্যগুলো শেয়ার করার জন্য।