নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবুজ সংকেত

সবুজ সংকেত › বিস্তারিত পোস্টঃ

জানুয়ারি মাসে ৫৮৬ জন মুসলিম হত্যার শিকার! হিন্দু একজনও নেই! এরপরও মুসলমানরা সাম্প্রদায়িক? এদেশে হিন্দুরাই কি সংখ্যাগুরু!

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৪৮

হিন্দুদের গায়ে ফুলের টোকাটা পড়লেই বুদ্ধিজীবী নামক বুদ্ধিবিক্রি করে জীবিকা নির্বাহকারী হতে শুরু করে একশ্রেণীর ভারতের দালাল "সাম্প্রদায়িক " সাম্প্রদায়িক " রবে গোটা দেশ কাঁপিয়ে তোলে ৷ কিন্তু সেই সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশে মুসলমানরা গণহত্যার শিকার হচ্ছে সে নিয়ে তাদের কোন দুশ্চিন্তা নেই!

যশোর সাতক্ষীরায় দু’দিনের সফর

শেষে নাগরিক তদন্ত কমিটি :

মালোপাড়ার ঘটনা সাম্প্রদায়িক

নয়, রাজনৈতিক সন্ত্রাস

যশোর অফিস

« আগের সংবাদ পরের সংবাদ»

যশোরের অভয়নগরে নির্বচন-

পরবর্তী সহিংসতা সাম্প্রদায়িক নয়,

রাজনৈতিক সন্ত্রাস। যশোর-সাতক্ষীরার

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো ঘুরে এসে নাগরিক

তদন্ত কমিটি শুক্রবার বিকালে যশোরের

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ

অভিমত দেন।

তারা বলেন, সাতক্ষীরায়

যৌথবাহিনী ‘ক্রসফায়ার’, ‘বন্দুকযুদ্ধের’

নামে নিরপরাধ বহু মানুষকে ঠাণ্ডা মাথায়

খুন করেছে। গোটা সাতক্ষীরা এখন

যুদ্ধবিধ্বস্ত আতঙ্কের জনপদ। গ্রামের পর গ্রাম

পুরুষশূন্য।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বিএফইউজের

সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, যশোরের

অভয়নগর মালোপাড়ার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ প্রকৃত

ঘটনা বলতে চায়, কিন্তু তারা ভয়ে মুখ

খুলতে পারছে না। কেউ কোনো সত্য

কথা বলে ফেললেই প্রভাবশালীরা ধমক

দিয়ে তাদের থামিয়ে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘আমি পাকিস্তান আর্মির

বর্বরতা দেখেছি, কিন্তু স্বাধীন

দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে এমন

বর্বরতা চালাতে পারে,

সাতক্ষীরা না গেলে তা বোঝা যাবে না।

সেখানে যৌথবাহিনীর নামে প্রায়

প্রতিদিনই মানুষ খুন করা হচ্ছে। খুনের শিকার

মানুষ বিরোধী রাজনৈতিক দলের

নেতা বা কর্মী। সন্ত্রাসের অভিযোগ

তাদের নামে নেই। প্রায় সবাই নিরীহ। এই

রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বন্ধ হওয়া দরকার

বলে অভিমত দিয়ে

রুহুল আমিন গাজী বলেন,

না হলে পরিণতি বিপজ্জনক হতে পারে।

রুহুল আমিন গাজী অবিলম্বে আমার দেশ,

দৈনিক ইনকিলাব, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক

টিভিসহ বন্ধ সব

মিডিয়া খুলে দেয়া এবং নির্যাতনের

শিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ

বিনাবিচারে আটক সব

সাংবাদিককে মুক্তি দিয়ে ভিন্নমত

প্রকাশের পরিবেশ সৃষ্টির দাবি জানান।

তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব কাদের

গনি চৌধুরী সাতক্ষীরার

পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত

হয়ে পড়েন। তিনি বলেন,

গোটা সাতক্ষীরা এখন যেন এক মৃত্যুউপত্যকা।

চারদিকে কান্নার রোল, স্বজনহারাদের

আহাজারি। গ্রামে গ্রামে বহু কবর,

যারা যৌথবাহিনীর গুলিতে প্রাণ

হারিয়েছেন। তাদের স্বজনরা জানেন না,

কী কারণে অস্ত্রধারী বাহিনী এভাবে হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে।

তালায় যৌথবাহিনীর গুলিতে নিহত

আজহারুল ইসলামের স্ত্রীর বরাত

দিয়ে কাদের গনি চৌধুরী বলেন,

তারা জানতে চেয়েছেন, পুলিশ কি মানুষ

হত্যার জন্য, নাকি মানুষের

নিরাপত্তা বিধানের জন্য? এই রাষ্ট্র কার

জন্য? রাষ্ট্রের কি দায়িত্ব নেই, সাধারণ

মানুষের জীবনের নিরাপত্তা বিধানের?

যশোরের মালোপাড়া সম্পর্কে জাতীয়

প্রেস ক্লাবের এই যুগ্ম সম্পাদক বলেন,

সেখানে হিন্দু-মুসলিম চমত্কার সম্পর্ক

রয়েছে বলে দাবি করেছেন চাপাতলার

মানুষ। ৫ জানুয়ারির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড

কোনো সাম্প্রদায়িক ঘটনা ছিল না।

ক্ষতিগ্রস্ত সুনীতি বিশ্বাস তদন্ত

কমিটিকে জানিয়েছেন, গফফার নামে এক

যুবলীগ নেতা তার বাড়িতে আগুন

দিয়েছে। যৌথবাহিনীর বিরুদ্ধে যে খুন-

খারাবির অভিযোগ উঠছে তা যেন আর

না হয়, সে দাবি জানান তদন্ত কমিটির সদস্য

সচিব।

প্রেস ক্লাব যশোর মিলনায়তনে আয়োজিত

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত

ছিলেন নাগরিক কমিটির সদস্য এবং সুপ্রিম

কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ-

সভাপতি এবিএম ওয়ালিউর রহমান খান,

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন

আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক

সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক

এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, সদস্য জয়ন্তকুমার কুণ্ড

প্রমুখ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৫২

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: সাতক্ষীরা থেকে জামাতী ও শিবির বাহিনী বাংলাদেশের উপর আক্রমণ চালয়েছে রাজাকারদর হয়ে; তারা সাতক্ষীরা দখল করেছে, তাই জামাতী ও শিবিরের রাজাকারদের তাড়ায়ে পাকিস্তানে পৌছায়ে দেয়া হচ্ছে।

২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০৩

হরিসূধন বলেছেন: পাঠক১৯৭১@ জামাত শিবির কইয়া ভারত কে দিয়া দেশ কে চেতনার ধর্ষন করাচ্ছো!
তারপরে ও তোমাদের লজ্জা করে না?

৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২০

পাতি মাস্তান বলেছেন: চেতনার ধর্ষনের স্বীকার হচ্ছে দেশ

৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৫

সবুজ সংকেত বলেছেন: ৭১ এ বাংলাদেশকে ৩ দিনের সহযোগিতা দিয়ে আজীবনের জন্য কলোনীতে পরিণত করেছে ভারত ৷ দেশকে তাদের একটা প্রদেশ ছাড়া আর কিছুই ভাবে না তারা ৷ কৃষ্টি কালচার, ব্যবসা বানিজ্য সর্বগ্রাসী হতে দেশকে ঠেলে দিচ্ছে পঙ্গুত্বের দিকে ৷ আর তাদের হীন স্বার্থ হাসিলের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে স্বাধীনতার সবচেয়ে বড় দুশমন আওয়ামী লীগকে ৷ আর স্থুলদৃষ্টিসম্পন্ন কিছু মানুষ তাদের পা চাটা গোলামী করে যাচ্ছে ৷ এক মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার করতে গিয়ে ঐ নরপশুরা হাজারও মানবতাবিরোধী অপরাধ করে যাচ্ছে! এই পশুগুলোর বুঝ কবে হবে!?

৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০০

সবুজ সংকেত বলেছেন: পাঠক ১৯৭১ @ এ সব বলে বিবেককে আর কত ধোঁকা দিবেন? এ পর্যন্ত যৌথবাহিনীর কতজন মারা গেছে? অপরাধীকে ধরুক কিন্তু সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট করছে কোন অধিকারে?
আর ৫৮৬ জন যে মেরেছে সেটা সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদের ভিত্তিতে? জামাত করলেই মারতে হবে? বিএনপি করলেই মারতে হবে এটা কোন বিধান?

৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৩

মৃত মানব বলেছেন: হরিসূধন বলেছেন: পাঠক১৯৭১@ জামাত শিবির কইয়া ভারত কে দিয়া দেশ কে চেতনার ধর্ষন করাচ্ছো!
তারপরে ও তোমাদের লজ্জা করে না?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.