নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গাংচীল

রংধনু সাদাকালো

রংধনু সাদাকালো › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসাবাসির শৃংখল

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬

একা একটা মেয়ে ভালোবাসাবাসির শৃংখলে জড়াবার আগে খেয়াল খুশিতে ঘুরে বেড়ায় প্রজাপতির মত। তার বন্ধু থাকে, বান্ধবি থাকে- কোন পার্থক্য করে না সে, সবার সাথে প্রাণখুলে আড্ডা দেয়। ইচ্ছে হলে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে কখনো দল-বেঁধে কখনও একাই চলে যায় একা একা দূরে কোথাও। মন ভালো না থাকলে ফোন টা অফ করে আইডি টা ডিএক্টিভ করে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে পারে বাইরের দুনিয়া থেকে। যখন খুশি যতদিন খুশি পরিবারের সাথে বেড়িয়ে আসলো গ্রামের বাড়িতে, মন চাইলে পুরো একটা বিকেল কাটিয়ে দিলো শপিং মলে একা একা ঘুরাঘুরি করে। সময় মতো বাসায় ফিরলেই হলো। কিংবা মোটেও ঘুরে বেড়ানো, আড্ডা টাড্ডা দেয়া পছন্দ না করা মেয়েটাও চাইলে নিজের মত করেই সময়গুলো কাটিয়ে দিতে পারে নিজের গুছানো ছোট্ট ঘরটায়। সারাদিন বই কিংবা নিজের কল্পনার জগতে বুঁদ হয়ে। কাউকে কিছু বলার নেই, নেই জবাব দিহিতা। বোঝা-পড়া যা করার নিজের সাথেই করে মেয়েটা।
.
কিন্তু মেয়েটার জগৎটা বদলে যেতে থাকে একবার কারো বাঁধনে জড়িয়ে গেলে। একটা সময় যখন ছেলেটা বুঝে ফেলে, মেয়েটা শুধুই তার, ভালোবাসার অধিকার থেকেই তার মনে একটা খুঁতখুঁতে ভাব চলে আসে। সে যেনো জেদি একটা বাচ্চা, মেয়েটা তার হাতের দামি খেলনা। কাউকে সে ছুঁতেও দিবেনা। মেয়েটা কেন ঐ ছেলেটার সাথে হেসে হেসে কথা বলে? কেনই বা তাকে কিছু না বলে মেয়েটা একা একা ঘুরতে গেলো? ফোন বন্ধ থাকবে কেন এই সময়ে? এই সুন্দর বিকেলে ঘরে বসে থাকবে কেন সে? তার সাথে ঘুরতে হবে। শুরু হয় প্রেমিকের অধিকার খাটানো আর নিজের পারসোনাল প্লেসের মাঝে এক অস্বস্তিকর টানাপোড়েন। যার ফলাফল কখনই খুব একটা ভালো হয় না।
.
মুক্ত পাখির মত মেয়েটা হঠাৎ খুব ভয়ের ভেতর থাকতে শুরু করে। "ওকে না জানিয়ে এটা করে ফেলেছি, এখন জেনে ফেললে কি হবে?" "অমুকের সাথে দেখা করাটা জরুরি, ওকে বলে যাবো? পরে অন্য কারো কাছ থেকে জানতে পারলে যদি আরো বেশি মাইন্ড করে?" এসব প্রশ্নে নিজেই নিজেকে জর্জরিত করে ফেলে। একটা চাপা আতংক কাজ করে তার ভেতর।
.
কিন্তু এমন যদি হয়, ভালোবাসার মানুষটিকে না জানিয়ে করে ফেলা কোন কাজের কথা মেয়েটি পরে ভয়ে ভয়ে বলার পর, সে মানুষটা যদি না রেগে খুব নরমালি ব্যাপারটা নেয়, তার ফ্রেন্ড সার্কেলের ভেতর নাক না গলায়, তার পার্সোনাল প্রবলেম গুলো তার মত করেই দেখে তাকে অযাচিত অভিবাকের শাসন করার চেষ্টা না করে তাকে বন্ধুর মত সাপোর্ট দেয়, কোন ভুল হয়ে গেলে দুর্ব্যবহার না করে কোমল ভাবে তাকে শুধরে দেয়- মেয়েটাকে উড়তে দেয় আপন রংগে তার নিজের মত করে - মেয়েটার ভেতর তখন ছেলেটার জন্য ভালোবাসা প্রতিদিন জ্যামিতিক হারে বাড়তেই থাকবে- নিজেকে মনে হবে দুনিয়ার সবচেয়ে ভাগ্যবতী মেয়েটা বুঝি সে!!
.
কেউ লাইফে অশান্তি ডাকার জন্য ভালোবাসায় জড়ায় না, খুঁতখুঁতে এক অভিভাবক হবার জন্য কাউকে মনটুকু তুলে দেয় না, জাজমেন্টাল মানুষজনকে কেউই নিজেদের লাইফে চায় না। একটা প্রজাপতিকে শেকল পরাতে যেওনা, বরং নিজেই প্রজাপতি হয়ে তার পাশে উড়ে বেড়াও, নিজেরা নিজেদের জগৎটাকে রংগিন একটা বাগান বানাতে পারবে কেবল তখনই

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.