![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাশের বাড়ীর বড়আম্মাকে একবার (আয়নাল বুড়া) নামের এক #_জিনে_ধরেছিলো। পরে তো হুলুস্তুর ঝাড়-ফুঁক, বাকাবকি। পরিশেষে জিনকে তো কাঁচের শিশিতে বন্দি করে রেখেছিলো ফকির দাদা; তখন আমি ছোট। কিন্তু সবই মনে আছে।
ওঝা বা ঝাড়-ফুঁকের ফকির-কবিরাজদের জিন তাড়ানোর কথা বলে নারীর শ্লীলতা হানিরও খবর শুনেছি কয়েকবার।
তাই, জিন নিয়ে অনেক কৌতুহল আমার। জিন নিয়ে একটু পড়া শুরু করেছি। দেখি এর সত্যতা কতটুকু? নাকি এসব অভিনয়? নাকি অন্যকিছু? আর এসবের প্রতিকারই বা কি?
.
হ্যাঁ, জিন সত্য। কুরআনের অনেক জায়াগাতেই এর উল্লেখ আছে। যদিও জিন শব্দটি ভুল। সঠিক উচ্চারন (الجن) জিন্না, যার অর্থ "লুকায়িত বা গুপ্ত"। কুরআনে এটিই আছে। হাদিসে পাই, এরা মানুষের মতোই আরেক শ্রেণীর বুদ্ধিমান প্রাণী, অতি উত্তপ্ত আগুন দিয়ে তৈরী, এরা শূন্যে উড়ে বেড়ায়, সাপ-কুকুরের আকৃতি ধারন করে, কিছু আছে যাযাবর, হাড়-গোবর-কয়লা তাদের খাদ্যের অন্তর্ভুক্ত, তাদের সমাজ-পরিবার-সন্তান-সন্ততি সবই আছে, মানুষের মতো তাদের মধ্যেও মুসলিম-অমুসলিম-বিভিন্ন ধর্মের-পাপাচারী - সৎ সব ধরনের জিনই আছে, তারা আমাদের আশে পাশেই বসবাস করেন, তবে বন-জঙ্গল-বিরান প্রান্তর তাদের পছন্দের, শয়তান জিনগণ যেমন পাপচার কেন্দ্রিক মন্দির গীর্জায়-মলমুত্র ত্যাগের স্থানে থাকতে পছন্দ করে তেমনি সৎ ও নেককার জিনগণ মসজিদ বা ইবাদত গাহে থাকতে পছন্দ করে। তারা রাত্রে চলাচল পছন্দ করে; তাদের আকৃতি রয়েছে তবে এরা মানুষের দৃষ্টির বাহিরে থাকতে পারে।
মু'মিনদের প্রকাশ্য শত্রু শয়তানও কিন্তু জিন।
.
উল্লেখ্য যে, মৃত মানুষের আত্না ভূত-প্রেত হয়ে ঘুরে বেড়ায় বলে যে বিশ্বাস সমাজে প্রচলিত রয়েছে তা সম্পূর্ণই মিথ্যা ও ইসলাম বিরোধী। তবে, শয়তান জিনগণ অনেক সময় মৃত মানুষের রূপ ধারন করে মানুষকে প্রতারিত করতে পারে।
.
শাব্দিক বিশ্লেষণ আমার উদ্দেশ্য না। তবুও বোঝার সুবিধের জন্যে সংক্ষেপে কিছু বলে রাখলাম। পরবর্তীতে জিনে ধরার বাস্তব কথা, সঠিক কারণ ও প্রতিকারের উপায় বিষয়ে লিখবো ইং শাাা আল্লাহ্।
©somewhere in net ltd.