![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন গার্মেন্টস শ্রমিক। প্রতিদিন সকাল বেলা সূর্য ওঠার আগে আগের দিনের পান্তা খেয়ে কারখানায় আমার প্রবেশ। সকাল থেকেই হাড়ভাঙ্গা খাটুনি করে সুপারভাইজারের অবিরাম গালি খেয়ে কোনোরকমে কাজ করি। কি করব? পেট তো চালাতে হবে। দুপুরে খুব অল্প সময়ে বাসা থেকে নিয়ে আসা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া খাবার খেয়ে আবার কাজে নেমে পড়তে হয়। প্রায় সবদিনই ওভার-টাইম করিয়ে নেয় আমাদের মালিকেরা। রাতে যখন বাড়িতে ফিরি তখন আর শরীর চলে না। কোনোরকমে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি কারণ সকাবেলা তো আবার সেই জীবন। সাত বছর ধরে কাজ করছি, এখনো চাকুরী নিশ্চয়তা বা এপয়েনমেন্ট কার্ড পাইনি। আমার চাকুরীর কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই সবসময় ভয়ে থাকি, সুপারভাইজারের অকথ্য গালিগুলো হজম করে যাই। কারণ চাকুরীটা চলে গেলে সংসার চালাবে কে। পড়াশুনা করা হয়নি, মাত্র ইন্টার পাশ। এই যোগ্যতায় অন্য কোথাও চাকুরী পাব বলে মনে হয় না। এর আগে একবার চাকুরী চলে যাওয়ায় প্রায় তিন মাস বসে কাটাতে। এরপর থেকে চাকুরী নিয়ে খুব চিন্তায় থাকি।
সবসময় সাবধানে থাকার চেষ্টা করি।
প্রায়ই দেখি কিছু শ্রমিক আলাদা হয়ে কি নিয়ে যেন কথা বলে। একজনকে জিজ্ঞেসও করেছিলাম ওরা কি করে। ধমক দিয়ে বলেছিল "ওদের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়ে চাকুরীটা হারাতে চাও। ওরা কমিউনিস্ট। মালিকের বিরোধী পক্ষ। খালি আন্দোলন করে বেড়ায়।ওদের সাথে মিললে চাকুরী যাবে নিশ্চিত। "
এরপর থেকে আমিও আর ওদের পথে পড়িনি আর কখনো। কে জানে কে কোথা থেকে মালিকপক্ষকে বলে দেবে। পরে চাকুরীটাও যাবে সাথে মুফতে মারও খেতে হবে। আমারই এক সহকর্মীকে একবার মার খেতে দেখেছিলাম ওর বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়ার প্রতিবাদ করেছিল, চাকুরীতো গেলই সাথে মালিকপক্ষের সন্ত্রাসীদের মার। উফফফ, সেকি মার। একটা কুকুরকেও মানুষ এভাবে মারতে পারে না। ওরা মারল। কেউ কোন প্রতিবাদও করেনি। আমি খুব ভীতু প্রকৃতির। আমিও কিছু বলিনি তখন। যদিও সে আমার খুব কাছের লোক ছিল। আমরা নিজেদের তরকারী ভাগাভাগি করতাম, তারপরও প্রতিবাদ করতে গিয়ে চাকরী হারানোর মানে হয় না ভেবে আমার আর প্রতিবাদ করা হয় না।
কয়েকমাস আগে নূন্যতম মজুরীর দাবিতে ঢাকাসহ সারাদেশের শ্রমিকরা যখন আন্দোলন করছে রাস্তায়, তখনো আমি ঘরে বসেছিলাম। ভেবেছিলাম কি হবে রাস্তায় নেমে, সরকার তো মালিকপক্ষের কথাই শুনবে, কখনো কি শুনেছে শ্রমিকদের কথা। শুধু শুধূ মার খাওয়ার কি কোনো মানে হয়। পুলিশ খুব জোড়ে মারে, হয়তো জানে এদেরকে এমনভাবেই শোষন করা হয় যে এই মারের প্রতিউত্তর দেয়ার শক্তি এদের নেই। খুব যে একটা ভুল ভাবে তাও না। মালিকপক্ষের দালাল শ্রমিকরা বাদে আমরা যারা সাধারণ শ্রমিক তাদের অবস্থা খুবই খারাপ। তাই পুলিশ আমাদের পেটায়, বুটের তলায় পিষ্ট করে, নারী শ্রমিকদের লাঞ্ছিত করে। আমরা কিছুই করিনা, কিছুই করার থাকেনা। বকেয়া বেতন আদায় করতে গিয়ে একবার আঙ্গুল ভেঙ্গে গিয়েছিল। তাই বকেয়া বেতন না দিলেও কিছু করার থাকে না। মুখ বুজে পড়ে থাকি। কেউ আন্দোলন করলে করুক আমি ভাই এর মধ্যে থাকি না সেই তখন থেকেই।
বলছিলাম নূন্যতম মজুরী আদায়ের সেই আন্দোলনের কথা। সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলা সেই শ্রমিক আন্দোলনে প্রায় সব শ্রমিক অংশগ্রহন করে, আমার মত কিছু কাপুরুষ আর মালিকের দালাল, সরকা্রদলীয় শ্রমিক ছাড়া। সে সময় প্রচুর হাংগামা, কথা চালাচালি করে সে সময় নূন্যতম মজুরী নির্ধারণ হয় ৩০০০ টাকা। সরকারের সাজানো ৪২টা পকেট শ্রমিক সংগঠনকে দিয়ে এই মজুরী তারা পাশও করিয়ে নেয়। যদিও শ্রমিকদের দাবী ছিল ৫০০০ টাকা। তারাতো শ্রমিকদের দাবী মেনে নেয়নি ঊপর দিয়ে শ্রমিকদের নামে নেতাদের নামে মামলা করে দেয়। সে সময় শ্রমিকরা ভেবেছিল হোক না ৩০০০ টাকা তারপরও তো সামনে দু’টো ঈদ আছে, বেতন বোনাস মিলিয়ে আগের ধার-দেনা শোধ করা যাবে। যেদিন বেতন বাড়ানোর খবর দেখায় সেদিনই বাড়িওয়ালা নোটিশ পাঠায় বাড়িভাড়া বাড়ানোর। দোকানদার তাগাদা দেয় আগের বাকী পরিশোধের। সবাইকে হাসিমুখে হ্যাও বলি। কিন্তু পরদিন কারখানায় গিয়ে শুনতে পাই এখন বেতন বাড়ছে না। বেতন বাড়বে ডিসেম্বরে, শুনে মাথায় বাজ পড়ে। সন্ধ্যায় যখন বাড়িতে গিয়ে বাড়িওয়ালাকে বলি সে শুনতে নারাজ, এমনকি দোকানদারও।
এরপর আরো তিনমাস কেঁটে গেছে, মাঝখানে দু'টো ঈদ চলে গেছে। আমার ঘরে ঈদ হয়নি। আমার ছোট বোনের খুব শখ ছিল একটা শাড়ি কিনবে, দিতে পারিনি। মায়ের খুব ইচ্ছে ছিল মৃত্যুর আগে একবার আমাদের গ্রামটা দেখে আসবেন, যদিও সেখানে কিছুই নেই, নদী-ভাঙ্গনে ভিটেমাটি, জমির সাথে বাবার কবরটাও চলে গেছে অনেক আগেই। তারপরও মায়ের খুব ইচ্ছে একবার যাবেন। মাকে নিয়ে যাওয়া হয়নি। টাকায় কুলালো না। ভেবেছিলাম ডিসেম্বরে যাব মাকে নিয়ে।
গত শনিবার রাতে কারখানা থেকে ফিরতে ফিরতে জ্বর চলে আসে। এমাসের বেতন তখনো দেয়নি মালিকপক্ষ। এদিকে বাড়িওয়ালা বাড়ি ভাড়ার জন্যে তাগাদা দেয়। কোনোরকমে বুঝিয়ে শুনিয়ে পাঠাই।
রবিবার সকালে উঠে খবর পাই, আমাদের নাকি এমাসেও আগের কাঠামোতে বেতন দেবে মালিকেরা। শুনে রক্ত উঠে যায় মাথায়। একটা বাশ হাতে নিয়ে লুংগী পড়া অবস্থায় বেড়িয়ে পড়ি। আজকে যাকে সামনে পাব তারই খবর আছে। মালিকের দালাল কিংবা খোদ পুলিশ হোক। আজকে আর পিছু হটার রাস্তা নেই। পিছু হটার কোনো রাস্তা রাখেনি ওরা। ওরা আমাদের গাধা বানিয়ে আমাদের সামনে নূন্যতম মজুরীর মূলা ঝুলিয়েছে। আমাদের বারবার বোকা বানিয়ে ধোকা দিয়ে মুনাফার রক্তে গোসল করেছে এই পিশাচগুলো। আর তাদের রক্ষা করছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার। যাদের মধ্যে আছে এক সময়কার নামকরা শ্রমিক নেতারা। যাদের শিল্পমন্ত্রী একসময়কার আন্ডারগ্রাউন্ড কমিউনিস্ট নেতা, নামকরা বামনেতা। আজ কাউকে ছাড়ব না আমরা, সবাইকে জবাব দিতে হবে। কেন আমদের বোকা বানানো হল, কেন আমাদের ঘোরান হল, সবাইকে কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে।
বাসা থেকে বেড়িয়ে সিইপিজেড এ ঢুকেই দেখি শ্রমিকের জনস্রোত। মিছিলের প্রবাহ এগিয়ে চলছে। সামনে যে বাধাই আসুক না কেন, আজকে তাদের রুখবার কেউ নেই। কোথায় পুলিশ, কোথায় মালিকের দালালেরা। কোথায় সরকারি শ্রমিক সংগঠন। কারোও কোনো অধিকার নেই, কোনো শক্তি নেই আজকে এই মিছিলের স্রোতকে ঠেকায়। মিছিলের স্রোত আরেক স্রোতের সাথে মিশে যায়, মিছিল ক্রমেই বড় হয়। এগিয়ে যায় অভিষ্ট লক্ষ্যে। এর মধ্যেই সামনে চিৎকার। টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ। ছত্রভঙ্গ হয়ে যাই আমরা। আস্তে আস্তে আবার যখন জড়ো হই তখন অন্য কোনো দিক থেকে চিৎকার ভেসে আসে, গুলি করেছে পুলিশ, শ্রমিকদের মিছিলে গুলি করেছে পুলিশ, শেখ হাসিনার পুলিশ। দৌড়ে যাই সেদিকে, একটা মেয়ে পড়ে আছে, আমাদের কারখানারই মেয়ে বলে মনে হল নাম খুব সম্ভবত “রুহি”। কয়েকজন শ্রমিক ভাই গিয়ে বোনের লাশটা টেনে নিয়ে আসে।
এভাবে চলতে থাকে পুলিশে সাথে আমাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পুলিশ গুলি চালিয়ে নিহত করে আরো অনেককে। পুলিশ নিজেই বলেছে ওরা আমাদের ৪ জন ভাইকে হত্যা করেছে। আমি শুনেছি আরো বেশি, কেউ বলেছে ৭ কেউ বলেছে ১০ জন। র্যাব-পুলিশ এসে লাশগুলোকে টেনে-হিঁচরে পিকআপে তুলে নিয়ে গেছে। কয়েকদিন আগে আমি যেখানে থাকি সেই এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি এসেছিল, তখন দেখেছিলাম মৃত কুকুরগুলোকে ওদের গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। মনে পড়ে গেল সেই কথা। ওরা আমাদের কুকুর ভাবে। অন্তত শহীদ শ্রমিকদের লাশগুলো ওদের পরিবার পেতে পারত। দেশ কি আসলে স্বাধীন হয়েছে?
স্বাধীনতার আগে আন্দোলনকারীদের লাশ চুরি করত তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী। স্বাধীনতার পরেও ন্যায্য বেতনের দাবীতে রাজপথে নামা শ্রমিকদের লাশ চুরি করল মালিকপক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী শাসকেরা। শ্রমমন্ত্রী কথা বলেছে ওদের সাথে, আমাদের কেন ডাকল না? আমরা কি দেশের নাগরিক না? দেশটা কি কারো বাপের?
আমাদের কি দোষ? আমাদের যখন ওরা জানালো, “নতুন বেতন কাঠামোর প্রণয়নের শর্ত হিসেবে শ্রমিকদের সপ্তাহব্যাপী কাজ করার দক্ষতাসূচক উৎসাহ বোনাস, যাতায়ত ভাড়া, টিফিন খরচ সহ কয়েকটি খাতের টাকা আর দেয়া হবে না” তখন কি করে চুপ থাকি? যখন ওরা বলল, নতুন কাঠামোতে বেতন দেয়া হবে না, তখন কি করে চুপ থাকি? পত্রিকায় দেখলাম সরকার বলেছে একটি মহল ষড়যন্ত্র করে গার্মেন্টস শিল্প খাতকে ধ্বংস করার পায়তারা করছে। ওদের কেউ কেউ বলল, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি মহল এই ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। কি কৌতুক !!!! এই যে হাজার হাজার শ্রমিক রাস্তায় নামল, এই যে ওরা আন্দোলন করল তা কিছুই না??? সব ষড়যন্ত্র !!! খুব হাসি পেয়েছিল সকালে খবরগুলো পড়তে পড়তে।
আমাদেরকে যে কুকুরের মত মারা হল তা ওদের পত্রিকায় গুরুত্ব পেল না। এমনভাবে খবর প্রকাশ হল যেন দোষটা আমাদের। যেন আমরা আমাদের রুজির দাবীতে রাস্তায় নেমে ভুল করেছি। হাসি পেয়েছিল খুব। হাসতে গেলে ঠোটে টান পড়ে, ব্যাথা করে খুব। গতকাল পুলিশ আমাকেও মেরেছে। লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে, বুট দিয়ে পিষেছে। অনেককে আবার ধরে নিয়ে লাইনে দাড় করিয়েছে পাকিস্তান আর্মি যেভাবে দাড় করিয়েছিল ১৯৭১ এ।
আমাদের যারা কুকুর ভাবো, কুকুরের মত গুলি করে মারার কথা ভাবছো তাদের জন্য বলছি, আমি শ্রমিক, আমি সর্বহারা। আমার তো হারাবার কিছু নেই, শুধু তোমাদের দেয়া শেকলটা ছাড়া। ইতিহাস আমার পক্ষে। তোমরা চিন্তা কর, তোমাদের মসনদ কিভাবে টিকিয়ে রাখবে। কারণ আমরা আসছি। তোমাদের রাষ্ট্রের সকল গুলি শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু আমাদের সংখ্যা শেষ হবে না। আমরা আসছি, হাজারে হাজারে, লাখে লাখে, তোমরা তৈরী থাক।
বাইরে প্রচন্ড ধর-পাকড় হচ্ছে শুনেছি। মালিকপক্ষের মামলায় আসামী ধরতে এসেছে রাষ্ট্রের পুলিশ। আমাকেও ধরবে শুনেছি। গায়ে প্রচন্ড জ্বর, সকাল থেকে কিছুই খাওয়া হয়নি। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের কি খেতে দেয় মালিকপক্ষের জেল?
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৭:১৫
আরিফ রুবেল বলেছেন: ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্যে, আপনার মন্তব্য অনুপ্রেরনা হিসেবে কাজ করবে।
২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০০
হুতুম পেঁচার নকশা বলেছেন: তোমাদের রাষ্ট্রের সকল গুলি শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু আমাদের সংখ্যা শেষ হবে না। আমরা আসছি, হাজারে হাজারে, লাখে লাখে, তোমরা তৈরী থাক।
তোমার আছে বন্দুক আমার আছে ক্ষুধা............................
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৭:২১
আরিফ রুবেল বলেছেন: আমি শ্রমিক, আমি সর্বহারা। আমার তো হারাবার কিছু নেই, শুধু তোমাদের দেয়া শেকলটা ছাড়া। ইতিহাস আমার পক্ষে
ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্যে, আপনার মন্তব্য অনুপ্রেরনা হিসেবে কাজ করবে।
৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:২১
কনফ্লিক্ট বলেছেন: কষ্টটা এখানে-ই যে, তিনটা কুত্তা মইরা পড়ে থাকলেও এক পাড়ার লোকজন চিন্তিত হয়ে উঠে। কারণ কি? কুত্তার মড়ক লাগলো নাকি? এই সেই! কিন্তু গত ২ দিন যাবৎ খেয়াল কর্তাছি শ্রমিক মরলে এখানে কোন বিকার নাই। মধ্যবিত্তের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সন্তান মরলেও কিছুটা হাউকাউ রব উঠে, শহীদ মিনারে দাড়িয়ে নাগরিক সুশীলরা উত্তেজক ভাষণ টাষণ দেয়। কিন্তু শ্রমিক মরলে? এই মরার দেশে কিছুই হয় না। শ্রমিকরা মালিকের সেবাদাস আর কামলামজুর হয়ে কারখানায় আসে আর উপলক্ষ আসলে মরে গিয়ে সংবাদপত্রের পাতায় লাশ হয়ে চিৎ- কাইত করে ফটোগ্রাফারদের পোজ দেয়। এই রাষ্ট্র হারামীর বাচ্চাদের। এই রাষ্ট্র বেজন্মাদের দখলে চলে গেছে।
আপনাকে ধন্যবাদ।
এই লেখায় মানবিক আবেদন আছে। সাথে থাকুন। নিয়মিত ব্লগিং করুন।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৭:৩০
আরিফ রুবেল বলেছেন: মালিকপক্ষের মিডিয়ায় সেই খবরটাও আসে কই? দেশের টাকা নিয়ে চলে যাওয়া নগ্ন নৃত্য প্রদর্শনকারী শাহরুখ খানের খবর যেভাবে আসে প্ত্রপত্রিকায়, মৃত শ্রমিকের খবর কি সেভাবে আসে? ভাব দেখে মনে হয় এটা খুব স্বাভাবিক ঘটনা, এমনটা হতেই পারে। শ্রমিকরা আন্দোলন করলে পুলিশ গুলি করে মারতেই পারে কুকুরের মত। সুশীল সমাজ আমার কাছে গালি মনে হয়, "কুত্তার বাচ্চার" চাইতেও খারাপ গালি।
ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্যে, আপনার মন্তব্য অনুপ্রেরনা হিসেবে কাজ করবে। চেষ্টা করব নিয়মিত ব্লগিং করার।
৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৪৯
মাহিন মাজেদ বলেছেন: শৃঙ্খল ভাঙ্গার সময় হয়ে এসেছে।শুধু মানবিক আবেদন নয়, গর্জে উঠতে হবে।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:০৫
আরিফ রুবেল বলেছেন: শেকল ভাঙ্গার ডাক এসেছে আয় ছুটে সব আয়।
গার্মেন্টস শ্রমিক নেত্রী মোশারেফা মিশু গত রাতে গ্রেফতার হয়েছে, এখনো পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখায়নি।
অবিলম্বে সকল বন্দীর মুক্তি চাই, সকল প্রকার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:২৭
আউটসাইডার_আউটসাইডার বলেছেন: ভাল হইছে রুবেল
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:০৬
আরিফ রুবেল বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৫৪
শয়তান বলেছেন: আশ্চর্জ হৈলাম লেখাটার এত কম পাঠক সংখ্যার কারনে
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:৩৯
আরিফ রুবেল বলেছেন: নতুন ব্লগার, তাই বোধ হয়।
৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৩৭
ফাইরুজ বলেছেন: বাহ এত চমত্কার গল্পটা আমি এত দিন পর পড়ালাম।খুউব ভালো লাগলো।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৪৪
আরিফ রুবেল বলেছেন: কিছু মনে করবেন না ফাইরুজ আপু, এই গল্পটা লিখতে আমার মোটেও ভালো লাগেনি।
নূন্যতম মজুরীর আন্দোলনের সাথে যুক্ত থাকার কারণে জানি শ্রমিকরা কত কষ্ট করেছে এই সময়। অনেকের চা্করী চলে গেছে। অনেক নারী শ্রমিক নানা বিরম্বনার শিকার হয়েছে। সরকার মালিক-পক্ষ শেষমেশ ৩০০০ টাকার একটা মজুরী মেনে নেয় যদিও শ্রমিকদের দাবী ছিল ৫০০০ টাকা।
সেই টাকাটাও যখন ওরা দিতে চায় না, উল্টা গুলি করে শ্রমিকদের হত্যা করে তখন ওই মালিক আর মালিকের দালাল তথাকথিত জনগনের সরকারের প্রতি আমার ঘেন্না হয়।
৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:২৩
সাগ৪২০ বলেছেন: আপনা লেখাটা আসাধারন লাগলো। আপনা লেখাটা আমার সাইটে আপনি যদি দিতেন তা হলে আনকে ভাল হত। আমার সাইট টা শ্রমিক দের জন্য।View this link
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:২২
আরিফ রুবেল বলেছেন: আপনার সাইটটা দেখলাম। ভালো লাগল, খুব ভালো উ্দ্যোগ।
৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৪৬
কিছুক্ষণ বলেছেন: স্টিকি করা হোক...
০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:২৬
আরিফ রুবেল বলেছেন: এটা স্টিকি করার মত পোস্ট কিনা সেটা দেখার বিষয় মডারেটরদের।
গল্পটা পড়বার জন্য ধন্যবাদ।
১০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৫
উণ্মাদ তন্ময় বলেছেন: আপনার অনুভুতিগুলো ভালো লাগলো।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:২৭
আরিফ রুবেল বলেছেন: অনুভূতিগুলো ভালো লাগার নয়, অনুভূতিগুলো কষ্টের।
গল্পটা পড়বার জন্য ধন্যবাদ।
১১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৪৫
সুহানি বলেছেন: ভালো লিখেছেন। প্রিয়তে।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:২৯
আরিফ রুবেল বলেছেন: ধন্যবাদ, আমার লেখা যে প্রিয়তে রাখার মত বুঝিনি।
গল্পটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
১২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৪৫
অনন্ত অন্তর বলেছেন: পোষ্টটি স্টিকি করা হোক...
০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:৩১
আরিফ রুবেল বলেছেন: এটা স্টিকি করার মত পোস্ট কিনা সেটা দেখার বিষয় মডারেটরদের।
গল্পটা পড়বার জন্য ধন্যবাদ।
১৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৫৪
বনলতাসেন বলেছেন: পোষ্টটি স্টিকি করা হোক...
০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:৩১
আরিফ রুবেল বলেছেন: এটা স্টিকি করার মত পোস্ট কিনা সেটা দেখার বিষয় মডারেটরদের।
গল্পটা পড়বার জন্য ধন্যবাদ।
১৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৫৪
সাইফুল ইসলাম নিপু বলেছেন: কিছু করার নাই
ক্ষমতায় যাওয়ার আগে বিবেক বিসর্জন আর অভিনয় শিল্পে চরিত্র বিসর্জন আবশ্যক হয়ে পরেছে
০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:৩২
আরিফ রুবেল বলেছেন: আসলেই কি করার কিছু নেই ???
১৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৫৫
মনজুরুল হক বলেছেন:
ভালো লিখেছেন। কৃতজ্ঞতা, অভিনন্দন, আশাবাদ রইল। লেখা চলতে থাকুক। গার্মেন্ট শ্রমিকদের নিয়ে লেখালেখি করার সময় মনে হতো-একা বুঝি। এবার আর তা মনে হবে না।
আবারো অভিনন্দন।
"আমরা সব সময় সত্যের কাছাকাছি যাই, কখনো খুব কাছে যেতে পারি না, কেননা সত্যেরা সব সময় নির্মোহ, রূঢ় আর নিরাভারণ হয়, কদর্য হয়। "
০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:৩৫
আরিফ রুবেল বলেছেন: মনজুরুল হক ভাই, আমি বরং আপনার কাছে কৃতজ্ঞ। যে কজনের লেখা পড়ে ব্লগে নিয়মিত হয়েছি লেখার সাহস পেয়েছি তাদের মধ্যে আপনি একজন।
আপনার অভিনন্দন মাথা পেতে নিলাম।
১৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:১১
তানভির আহমদ বাপ্পী বলেছেন: পুলিশতো খারাপ পেশার খারাপ লোক, একথা নতুন আর কি?
ওই মেয়েটা আমার-আপনারই বোন, কিন্তু আমরা এতো কুলাঙ্গার যে আমাদের বোনের ইজ্জত রক্ষা করতে পারি না।
ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:৪১
আরিফ রুবেল বলেছেন: ভাই পুলিশকে খারাপ বানায় রাষ্ট্র, যাদের আমরা ঘুষখোর বলে গালি দেই তাদের সমাজে অবস্থান কোথায়। যে পুলিশ সদস্যরা আন্দোলনরত শ্রমিক কিংবা ছাত্র পেটায় তারাও তো আমাদের মত মধ্যবিত্ত নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা। রাষ্ট্র তাদেরকে আমাদের মুখোমুখি দাড় করিয়েছে।
দাড়াতে হবে আমাদের নিজেদেরই এবং আমার বিশ্বাস শ্রমিকশ্রেণী দাড়াবেই।
ইতিহাসের যত দেনা আছে ইতিহাসকে তা শোধ করতেই হবে।
১৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৩৬
মাতব্বর০১ বলেছেন: পোষ্টটি স্টিকি করা হোক..ভাই অনেক ভাল লিখছেন । এই দেশ আর মানুষের কপালে কি আছে কেও জানেনা। রবিবার সকালে উঠে খবর পাই, আমাদের নাকি এমাসেও আগের কাঠামোতে বেতন দেবে মালিকেরা। শুনে রক্ত উঠে যায় মাথায়। একটা বাশ হাতে নিয়ে লুংগী পড়া অবস্থায় বেড়িয়ে পড়ি। আজকে যাকে সামনে পাব তারই খবর আছে। মালিকের দালাল কিংবা খোদ পুলিশ হোক। আজকে আর পিছু হটার রাস্তা নেই। পিছু হটার কোনো রাস্তা রাখেনি ওরা। ওরা আমাদের গাধা বানিয়ে আমাদের সামনে নূন্যতম মজুরীর মূলা ঝুলিয়েছে। আমাদের বারবার বোকা বানিয়ে ধোকা দিয়ে মুনাফার রক্তে গোসল করেছে এই পিশাচগুলো।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:৪১
আরিফ রুবেল বলেছেন: এটা স্টিকি করার মত পোস্ট কিনা সেটা দেখার বিষয় মডারেটরদের।
গল্পটা পড়বার জন্য ধন্যবাদ।
১৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৮:৪৬
ফিরোজ-২ বলেছেন: পোষ্টটি স্টিকি করা হোক
০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:০২
আরিফ রুবেল বলেছেন: এটা স্টিকি করার মত পোস্ট কিনা সেটা দেখার বিষয় মডারেটরদের।
গল্পটা পড়বার জন্য ধন্যবাদ।
১৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:১৯
মিজোরাম বলেছেন: তথাকথিত শ্রমিকদরদী ইনু, মেনন-রা এখন তাদের ব্যাংক ব্যালেন্স গড়তে ব্যাস্ত।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:০০
আরিফ রুবেল বলেছেন: "তথাকথিত শ্রমিকদরদী ইনু, মেনন-জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
রা এখন তাদের ব্যাংক ব্যালেন্স গড়তে ব্যাস্ত।"
ভালোই বলেছেন।
২০| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:৩০
ম.শরীফ বলেছেন: গল্পটা স্টিকি করা হোক ফিরোজ-২ বলেছেন: পোষ্টটি স্টিকি করা হোক, মাতব্বর০১ বলেছেন: পোষ্টটি স্টিকি করা হোক..ভাই অনেক ভাল লিখছেন । বনলতাসেন বলেছেন: পোষ্টটি স্টিকি করা হোক..অনন্ত অন্তর বলেছেন: পোষ্টটি স্টিকি করা হোক..
০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:০৪
আরিফ রুবেল বলেছেন: এটা স্টিকি করার মত পোস্ট কিনা সেটা দেখার বিষয় মডারেটরদের।
গল্পটা পড়বার জন্য ধন্যবাদ।
২১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:৩০
জারনো বলেছেন:
লেখক বলেছেন: আমার ঘরে ঈদ হয়নি। আমার ছোট বোনের খুব শখ ছিল একটা শাড়ি কিনবে, দিতে পারিনি।
কিছু কিছু মানুষ থাকে সমাজে যাদের বিবেক মরে গেছে, তাদের সেই মৃত বিবেক জাগিয়ে তুলতে আপনার এই লেখা কোরামিনের কাজ করবে বলে আমার বিশ্বাস।
আপনার জন্য সহমর্মিতা
০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:০৮
আরিফ রুবেল বলেছেন: "কিছু কিছু মানুষ থাকে সমাজে যাদের বিবেক মরে গেছে" একমত হতে পারলাম না। মৃত্যু মানে তো শেষ, বিবেক যদি মরেই যায় তাহলে তাকে জাগাতে যাবার চেষ্টা বৃথা।
গল্পটা পড়বার জন্য ধন্যবাদ।
২২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:৪২
প্রমিথিউস22 বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন! খুউব ভাল লাগল। আশা করছি, জেগে ওঠার এই ডাক ছড়িয়ে পড়বে সবখানে, সব হৃদয়ে। ন্যায্য দাবির জয় হোক, অত্যাচারীরা ধ্বংস হোক।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:১৩
আরিফ রুবেল বলেছেন: "আশা করছি, জেগে ওঠার এই ডাক ছড়িয়ে পড়বে সবখানে, সব
হৃদয়ে। ন্যায্য দাবির জয় হোক, অত্যাচারীরা ধ্বংস হোক।"
গল্পটা পড়বার জন্য ধন্যবাদ।
২৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:১৫
েমাঃ মাহফুজূল হক বলেছেন: এত কিছুর পরও শাসক গোষ্টির বিবেক খুলবে কবে, স্বাধীনতা নিয়ে আমরা এত গর্ব করি, এই কি আমাদের স্বাধীনতার প্রাপ্তি।
পোস্টিটি স্টিকি করা হোক।
ধন্যবাদ, মর্মস্পর্শী লেখার জন্য
০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:২০
আরিফ রুবেল বলেছেন: শাসক গোষ্ঠী যাদের প্রতিনিধিত্ব করে তাদের স্বার্থই দেখবে সেটাই তো স্বাভাবিক। যতদিন না শ্রমিক শ্রেণী ক্ষমতা দখল করতে পারবে। ততদিন বিভিন্ন মাত্রায় তাকে শোষন সহ্য করে যেতেই হবে। স্বাধীনতা আদায় করে নেবার বিষয়, দান-খয়রাতে স্বাধীনতা পাওয়া যায় না। শ্রমিকদেরও স্বাধীনতা আদায় করে নিতে হবে।
এটা স্টিকি করার মত পোস্ট কিনা সেটা দেখার বিষয় মডারেটরদের।
গল্পটা পড়বার জন্য ধন্যবাদ।
২৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:১৪
জারনো বলেছেন: লেখক বলেছেন: "কিছু কিছু মানুষ থাকে সমাজে যাদের বিবেক মরে গেছে" একমত হতে পারলাম না। মৃত্যু মানে তো শেষ, বিবেক যদি মরেই যায় তাহলে তাকে জাগাতে যাবার চেষ্টা বৃথা।
বিবেক মরে যাওয়ার মানে আশার শেষ নয়। বিবেককে জাগ্রত করা যায়,
যদি তার মানসিকতার পরিবর্তন করা যায়। বিবেক সাময়িক ভাবে অশুভ শক্তির কাছে পরাজিত হলেও তার থেকে উৎরণ ঘটানো সম্ভব।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:২৯
আরিফ রুবেল বলেছেন: আমিও একই কথা বলেছিলাম, খালি একটু ঘুরিয়ে।
২৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৪২
অপ০০৭০০৭ বলেছেন: ভাল......................জটিল
০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৫৬
আরিফ রুবেল বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৪৬
রিফাত ইকবাল বলেছেন: পোস্টিটি স্টিকি করা হোক।
ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:০৪
আরিফ রুবেল বলেছেন: এটা স্টিকি করার মত পোস্ট কিনা সেটা দেখার বিষয় মডারেটরদের।
গল্পটা পড়বার জন্য ধন্যবাদ।
২৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৩৯
চশমখোর বলেছেন: গরীবের কোন সরকার নেই। গরীবের জন্য কোন আইন নেই।
ভাইয়া অনেক ভালো লিখছেন। পোষ্টটি স্টিকি করা হোক।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৫
আরিফ রুবেল বলেছেন: ধন্যবাদ চশমখোর ভাই।
২৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:৪৮
চিকন আলি বলেছেন: দেশটা তো আসলেই ওনার(শে. হা.) বাপের.।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:৫৫
আরিফ রুবেল বলেছেন: কারও বাপের কারো স্বামীর, আপনি আমি কই ?
গল্পটা পড়বার জন্য ধন্যবাদ।
২৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:০১
চিকন আলি বলেছেন: মাঝখানে.... চিপায় পড়ছি।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:০৩
আরিফ রুবেল বলেছেন: কাইন্দা কাইট্টা কি হবে, চিপাত্তে বাইর হওয়ার চেষ্টা করি আসেন।
৩০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৮:৩৪
জানপাখি বলেছেন: খঃুব ভাল লেখা।
২১ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:৩৭
আরিফ রুবেল বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:০৭
চতুষ্কোণ বলেছেন: ক'মাস আগে (খুব সম্ভবত গত বছরের শেষ দিকে) মজুরি নিয়ে সিইপিজেডে শ্রমিকের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ খুব কাছ থেকে না দেখলেও আঁচ করতেভ পেরেছি। কেননা ঐ সময় ঐ এলাকা দিয়ে আমাকে বাসায় আসতে হয়েছিল। সেই ভয়াবহ পরিস্হিতি লিখে বুঝানো সম্ভব নয়। আপনার মতো আমারও খুব আশ্চার্য লাগে যখন দেখি সরকার এটাকে বিপক্ষ দলের দুরভিসন্ধি বা রাজাকারের বিচার বানচালের চেষ্টা বলে এড়িয়ে যেতে চায়। আপনি শ্রমমন্ত্রীর কথা বলেছেন। ক্ষমতায় বসলে সব শালা এক। সব রক্তচোষা হয়ে যায়।
ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটির জন্য। ভালো থাকুন।
২২ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৩৭
আরিফ রুবেল বলেছেন: স্বাধীনতার পর এখন পর্যন্ত যারাই ক্ষমতায় গিয়েছে তাদের সবার শ্রেণীচরিত্র এক। সবাই ধনীক শ্রেণীর প্রতিনিধিত্বকারী তাদের কাছ থেকে শ্রমিক স্বার্থ রক্ষার আশা করা ভূল।
মানুষ এই সরকারকে ভোট দিয়েছিল আগের সরকারের প্রতি আস্থা হারিয়ে। অথচ এই সরকার তাদের যেকোন ব্যর্থতা ঢাকতে আগের সরকারের দোষ দেয়। অদ্ভূত !!!
লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
৩২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:১৭
অনিরূদ্ধ বলেছেন:
পড়তে পড়তে হাতের মুঠি আর চোয়াল শক্ত হয়ে এলো, মাথায় রক্ত চড়ে উঠতে লাগলো, হঠাৎ সম্বিত ফিরে পেলাম- আমিতো শ্রমিক নই। আমিতো কুত্তার বাচ্চা নই। আমিতো ধনীর ছেলে, তাপানুকুল রুমে বসে কফির মগ হাতে ল্যাপটপে দুনিয়া চষে বেড়াচ্ছি, রাজ্যের সব জ্ঞান লাভ করছি। যাই ভাই, আমার কাজ আমি করে যাই- ঠান্ডা বাতাসে, ঠান্ডা শরীরে!
২২ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৩১
আরিফ রুবেল বলেছেন: যাই ভাই, আমার কাজ আমি করে যাই- ঠান্ডা বাতাসে, ঠান্ডা শরীরে!
আমরা কি বা করতে পারি হাতের মুঠি আর চোয়াল শক্ত করা ছাড়া ?
লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৩৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৩৩
অন্ধ তীরোন্দাজ বলেছেন: অসম্ভব ভালো লিখেছেন। অনেকেই অনেক বিষয়ে লেখে যেগুলো সত্যিই আমলে নেবার মত, কিন্তু তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে। ওরা বিষয়গুলো পচিয়ে ফেলে।
আপনি পচাননি। ধন্যবাদ..
২২ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৩৯
আরিফ রুবেল বলেছেন: আমিও রাজনৈতিক অবস্থান থেকেই লিখেছি ভাই।
৩৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৯
নীলাবেশ বলেছেন: 'র্যাব-পুলিশ এসে লাশগুলোকে টেনে-হিঁচরে পিকআপে তুলে নিয়ে গেছে। কয়েকদিন আগে আমি যেখানে থাকি সেই এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি এসেছিল, তখন দেখেছিলাম মৃত কুকুরগুলোকে ওদের গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। মনে পড়ে গেল সেই কথা। ওরা আমাদের কুকুর ভাবে। অন্তত শহীদ শ্রমিকদের লাশগুলো ওদের পরিবার পেতে পারত। দেশ কি আসলে স্বাধীন হয়েছে?'
মর্মাহত। আর কিছুই বলতে চাই না।
(
২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১০
আরিফ রুবেল বলেছেন: এই ঘটনার সাথে আরেকটা ঘটনা মনে করিয়ে দিতে চাই সেটি হচ্ছে হা-মীম হত্যাকান্ড। মিডিয়া এটিকে দুর্ঘটনা হিসেবেই দেখানোর চেষ্টা করলেও আমার কাছে এটি সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এই ঘটনায়ও অনেক শ্রমিকের লাশ তাদের পরিবার পায়নি।
এই ঘটনা নিয়ে ব্লগার দিনমজুরের একটা লেখা পড়তে পারেনঃ
হামীম গার্মেন্টস এ আগুন: গার্মেন্টস না লাশের কারখানা?
৩৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৯
মোঃ আবদুর রহিম বলেছেন: বর্তমান প্রেক্ষাপট যথেষ্ট উপস্থাপন করেছেন।
ভালো লাগলো।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৪
আরিফ রুবেল বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৯
ইহতিশাম আহমদ বলেছেন: আমাকেও ধরবে শুনেছি। গায়ে প্রচন্ড জ্বর, সকাল থেকে কিছুই খাওয়া হয়নি। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের কি খেতে দেয় মালিকপক্ষের জেল?
শেষ লাইনগুলো মনে নাড়া দিয়ে গেল। চমৎকার লেখা।
আরিফ ভাই এবার আপনকে আমার ব্যক্তিগত কিছু অভিজ্ঞার কথা বলি। হয়ত আপনার গল্প লেখার আরেকটা প্লট পেয়ে যেতে পারেন। আমি এবং আমার স্ত্রী মিলে একটা বুটিক শপ চালাই। আজিজ সুপার মার্কেটে ৮৯ নম্বর দোকান। নাম "ত্রিকোন"। মিরপুর ১০এর পূর্ব মনিপুর পাড়ায় আমার কারখানা। আগে পা মেশিনে সেলাই হত। সম্প্রতি গার্মেন্সের সেলাই মেশিন কিনেছি দুটো। উদ্দেশ্য প্রোডাকশনের পরিমান ও গতি বাড়ানো।সেই সাথে গার্মেন্সে কাজ করে এমন দুই মেয়েকে নিয়োগ দেই।
আমার বউ একসময় ছাত্র মৈত্রীর দিনাজপুর জেলা শাখার সহসভাপতি ছিল। আমি কোনদিন রাজনীতির সাথে ছিলাম না। তবে মানুষের যে কোন অমানবিকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম সাধ্যমত। তাই দুজনে মিলে তাদের বেতন ঠিক করি প্রথম মাসে ৪০০০ (তারা গেঞ্জি সেলাই করত, ফতুয়া কামিজ এইসব সেলাই তাদের শিখবার জন্যে একমাস সময় বরাদ্দ করা হয়) ২য় মাস থেকে তাদের বেতন ৫০০০। ওভার টাইম করালে তার হিসাব আলাদা। তারা কাজ শিখল, বেতনও বাড়ল। এবং বলা হল ১লা বৈশাখের পর থেকে তাদের বেতন ৬০০০ হবে। এক কারিগর একদিন বলে বসল সে তার সুবিধা মত গতিতে কাজ করবে। স্বাভাবিক ভাবেই তাকে ধমক দিয়ে, চাকরী যাবার ভয় দেখিয়ে সেই সময়রে জন্যে ব্যাপারটাকে ম্যানেজ করা হল।বৈশাখের পোষাক নামানোর জন্যে আমার তখন হন্যে হয়ে কাজ করছি।ইসলামপুরের এক দোকান থেকে বেশ কিছু পাজ্ঞাবী কাপড় বাকিতে আনা হল। আমার দোকানে আগে কোন পাঞ্জাবী ছিল না। প্রথম বারের মত নামাবো। ৭/৮ ডিজাইনের পাঞ্জাবী নামানোর ইচ্ছা। দুই অপারেটর দিনে জনপ্রতি ১২টা করে মোট ২৪টা ফতুয়া নামাতে পারে।ভাবলাম পাঞ্জাবী তাহলে দিনে অন্ততঃ ৯ দুগুনে ১৮টা করে নামবে। হঠাৎ কারখানার পরিবেশ পাল্টে গেল। ৫ দিন চেষ্ট করে আমি মোটে ২ ডিজাইনে ১২টা করে ২৪টা পাঞ্জাবী নামাতে পারলাম। তাদের কথা হল নুতন কাজ, না পারলে কি করব। শুধু সেলাই নয় এ্যমব্রোডারীর কারিগরদেরও গতি কমে গেল।এই প্রথম উপলদ্ধি করলাম শ্রমিকরা কি ভাবে এক জোট হতে পারে। দুই ছেলে এ্যমব্রোডরী করিগরের সাথে দুই মেয়ে সেলাই কারিগর প্রেম করছে। তাই আমার র্নিভরযোগ্য দুই এ্যামব্রোডারীও কারিগরও আমার কথা শুনছে না। ১লা বৈশাখের তখন আর দুইদিন বাকি। অনেক চেষ্টা করে আমি মোট ৩ ডিজাইনের মাত্র ৩৬টা পাঞ্জাবী নামাতে পেরেছিলাম এই বৈশাখে। বাকিতে কেনা লাল কাপড় এখনও কারখানায় পড়ে আছে।লাল রংএর পাঞ্জাবী বৈশাখ ছাড়া কেউ পরে না। আজ কিছুক্ষণ আগে তার দাম পরিশোধ করে আসা হল। ব্যাবসার শুরুতে বেশ কিছু ব্যাংক লোন নিতে হয়েছিল। যার সুদ মাসে মাসে গুনতে হয়।
যে মেয়েটি বলেছিল সে তার নিজের গতিতে কাজ করবে, তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অন্য সবাইকে সর্তক করে দেয়া হয়েছে। এবং অন্য মেয়েটির বেতন আগামী মাস থেকে ৬০০০ হচ্ছে না। তবে ছাটাই করা মেয়েটির বেতন দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জেনে হয়ত অবাক হবেন এমন ঘটনা গত ঈদের সময়ও ঘটেছিল। খোঁজ নিলে দেখবেন প্রায় কারখানাতেই ঈদ বা এই জাতীয় কোন মৌসুমে কারিগররা এমন ঝামেলা পাকায়। আমরা এখন শ্রমিকদের প্রতি সহানুভুতিশীল এবং আমাদের কারখানার বেতন স্কেল এখনও আগের মতই আছে।তবে তাদের প্রতি আমাদের এখন আর কোন শ্রদ্ধা বা আস্থা নেই।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫০
আরিফ রুবেল বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার ঘটনাটা পড়লাম। তবে এখানে শ্রমিকের দিক থেকে দেখলে শ্রমিক নিজের সুবিধা আদায় করে নেয়ার চেষ্টা করেছে। বড় মালিকেরা শ্রমিকদের জিম্মি করে। আর আপনি ছোট বিনিয়োগকারী শ্রমিকদের জিম্মি হয়েছেন। আপনার দোকানে আসব একদিন।
সমাজটার দিকে তাকালে আপনার ঘটনারই পুনরাবৃত্তি দেখি। দূর্বলের উপর সবলের অত্যাচার। আপনার পক্ষে পুলিশ দিয়ে শ্রমিক পেটানোর ক্ষমতা নেই। আপনাদের বিজিএমইএ নাই। আপনাদেরটা শিল্প কারখানা না। আর জায়গাটা আজিজ সুপার মার্কেট।
এখানে শ্রমিকেরা আপনাকে জিম্মি করেছে। গতির যে ব্যাপারটা বললেন, সেটা সে কেন বলল? সে এখন কোথায় কাজ করে সেটা খোঁজ নিয়ে দেখেছেন? বাজারটা তো একটা প্রতিযোগীতা সেটা মাথায় রেখেছেন তো?
আরেকটা বিষয় খেয়াল করলাম, আপনার শপে দু'জন নারী শ্রমিক দু'জন পুরুষ শ্রমিক। এদের জোট বাধা তো খুব সহজ। তার উপর অবিবাহিত !!!
৩৪ নং কমেন্টে একটা লেখার লিঙ্ক দিয়েছি সময় থাকলে পড়বেন।
৩৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:৫২
ইহতিশাম আহমদ বলেছেন: আমার কারখানায় এই চারজন ছাড়াও আরো ৩ জন রয়েছে। একজন কাপড় কাটার জন্যে, একজন আয়রন করবার জন্যে এবং একটি ছোট ছেলে তার নির্ধারিত কোন কাজ নেই।
যে শ্রমিকটি কাজের গতি নিয়ে কথা বলেছে, আগের গার্মেন্স থেকে সে তার পাওনা এখনও পুরোটা পায়নি বলে শুনেছি।কাছে ফাঁকি দেবার কিছু দূর্নাম তার রয়েছে। যে মেয়েটি এখনও কাজ করছে এসব তার কাছে শোনা।তবে কথাগুলো আগে জানতে পারলে সুবিধা হত। শ্রমিকদের জোট বাঁধতে যেমন সময় লাগে না তেমনি তাদের জোট ভাংতেও সময় লাগে না।এতদিন যারা একজোট ছিল এখন সবাই চাকরীচ্যুত মেয়েটির বিপক্ষে কথা বলছে।হয়ত নিজেদের চাকরী বাঁচাতে।
না, মেয়েটি এখন কোথায় কাজ করে খোঁজ নেইনি। অন্য কারিগর নিয়োগের চেষ্টা চলছে। বুটিক জগতে প্রত্যেক ঈদ বা বৈশাখ জাতীয় অকেশনের পরপর ক্রিকেটারদের দলবদলের মত কারখানা বদল চলে। আরো চলে এক কারখানা থেকে অগ্রিম নিয়ে অন্য কারখানায় জয়েন করার নোংরা অনুশীলন। প্রথম দিকে কয়েকবারই এই নোংরামীর স্বীকার হয়েছি, বেশ কিছু টাকাও গেছে। আমার বউ এই নিয়ে কিছুদিন তাদের ধরবার জন্যে থানাতে দৌড়াদৌড়িও করেছে। সে আরেক যন্ত্রনা। তবে কোন লাভ হয়নি। থানা থেকে বরং বলেছে, গরীব মানুষ ছেড়ে দেন। আপনার মাত্র ৫০০০ টাকাই তো গেছে।
বিষয়টা কিন্তু পুরোটা টাকা নয়। বিষয়টা বিশ্বাস ভঙ্গের এবং কারখানার কাজ বন্ধ হয়ে থাকার। এখন আর এ্যডভান্স দেই না।আগে সপ্তাহে সপ্তাহে টাকা দিতাম। এখন অন্য কারখানা মালিকদের মত মাসে দেই তাও ১০ তারিখের পর। নয়ত ১ তারিখে আমার কারখানা চলবে কি চলবে না এসবের তোয়াক্কা না করে বেতনটা হাতে পেয়েই অন্য কারখানায় চলে যায়। কখনও কিছুটা বেশী বেতনের জন্যে, কখনও বা একই বেতনে কিন্তু তার কোন বন্ধু হয়ত ঐ কারখানায় কাজ করছে তাই।
তারপরও আমি এখনও বিশ্বাস করি অভাব মানুষের স্বভাব নষ্ট করে।তাছাড়া মার খেতে খেতে মার খাওয়া মানুষগুলো আর অন্য কোন ভাবে যে জীবনকে দেখা যায় এটা ভাবতে ভুলে যায়। তারা তখন সবাইকেই সন্দেহের চোখে দেখতে থাকে। তাই মাঝে মধ্যে দুই একজন মালিক যদি তাদের ভাল চেয়েও থাকে। তাদের তারা চিনতে না পেরে বরং ভাবে এবার সুযোগ পেয়েছি আমাদের উপর করা মালিক পক্ষের অত্যাচারের শোধ তুলবার।
আমার কারখানা থেকে চলে যাওয়া এক কারিগরকে আমি তৃপ্তি নিয়ে বলতে শুনেছি,"প্রোডাকশন ঝুলাই দিয়ে আসছি।" আরেকবার আরেক জন হুমকি দিয়ে বলেছিল, '১৮ মেশিনের এক কারখানা আমি একদিনে বন্ধ করে দিয়ে আসছিলাম। আপনার তো মাত্র ৪ টা মেশিন।" এসবের পর টিকে থাকবার তাগিদেই সেই মালিকটিকেও তখন অন্যদের মত কৌশল করা শুরু করতে হয়।
আসলে এটা একটা চক্র। তবে এটা কিসে ভাংবে আমার জানা নেই।আমি কোনদিন রাজনীতিতে ছিলাম না। হয়ত আপনি বলতে পারবেন।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:২২
আরিফ রুবেল বলেছেন: শ্রমিকরা দেখি আপনাকে সত্যিই প্রচন্ড বিব্রত করেছে। বড় বড় শিল্প কারখানাতেও এরকম শ্রমিক দেখা যায়। এরা না শ্রমিকদের পক্ষে থাকে না, মালিকদের পক্ষে থাকে। এরা শ্রমিকদের ক্ষোভকে পুঁজী করে মালিকের ক্ষতি করে।
কিন্তু শ্রমিক আন্দোলন বলতে আমরা যা বুঝি সেটা কিন্তু আপনার এখানে দেখা যাচ্ছে না। দাবী-দাওয়াই নেই এখানে। ইস্যু হচ্ছে কাজের গতি, অদ্ভুত !!! এটা দিয়ে নিশ্চয়ই সামগ্রিক শ্রমিক আন্দোলনকে বিশ্লেষন করবেন না।
অঃটঃ শ্রমিক রাজনীতি করলেই যে সবার নীতিবান হতে হবে এমন কিন্তু না। ধরেন এখন যেসব বাম দলের নেতারা মহাজো্টে আছেন তারা বেশির ভাগই আজীবন বূর্জোয়া রাজনীতির বিরোধীতা করে এসে শেষে পা দিলেন নৌকায়। নৌকা মার্কা নিয়ে, আল্লাহু সর্বশক্তিমান লিখে ভোটে দাড়ালেন। এখন ওনারা এবং ওনাদের সাথে যারা আছেন কিংবা একসময় ছিলে্, তারা বলতে পারবেন তিনি অথবা তারা 'কি ভুল করলেন না ঠিক করলেন?' কিন্তু তাদের কাজের মধ্য দিয়ে সমগ্র বাম রাজনীতি এবং সব বাম সংগঠনের মূল্যায়ন করাটা কি ঠিক হবে?
৩৮| ০১ লা মে, ২০১১ দুপুর ১২:০৪
রাসেল মাহ্মুদ বলেছেন: ভাল লাগল আপনি প্রতিটি মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন। লেখাটি ভাল লাগলো। শুভকামনা।
০১ লা মে, ২০১১ দুপুর ১২:০৯
আরিফ রুবেল বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ব্লগার মনজুরুল হকের একটি লেখা পড়ে দেখতে পারেন।
সারা বিশ্বের কত কি বদলে গেল! বদলালো না শ্রমিকের হাতের সেই সনাতনী কাস্তে-হাতুড়ি আর জন্ম জন্মান্তরের শ্রম শোষণ!
৩৯| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪১
বাবু_আহমেদ বলেছেন: ভালো লিখছো।খুব ভালোব লিখছো।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৪
আরিফ রুবেল বলেছেন: ধন্যবাদ বাবু ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৫৬
দিনমজুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ।