নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরিফ আবেদিন

আমি জিলেপীর মত সহজ সরল প্রকৃতির একজন মানুষ

আরিফ আবেদিন

আরিফ আবেদিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেম ভালোবাসার উপর থিসিস

০১ লা মে, ২০১৪ রাত ৮:৩২

প্রেম ভালোবাসা বিষয়ে আমার আগ্রহ একটু বেশি। আগ্রহ না বলে এটাকে অবশ্য কৌতূহল বলা ভালো! যাই হোক, এই কৌতূহলের কারনে চেনা অচেনা সব মানুষের প্রেমে পড়ার কাহিনী আমি খুবই মনোযোগ দিয়ে শুনি। ব্রেক আপ হবার কাহিনীও শুনি! তারপর মনে মনে সেইসব কাহিনীর পোস্টমর্টেমও করি! তো এত গবেষনা করার পর আমি কিছু বিষয় উপলব্ধি করলাম।

সেগুলো নিয়েই একটু আলোচনা । আলোচনা শব্দটা দেখে বিভ্রান্ত হবেন না! ভয় নেই, জ্ঞানভান্ডার খুলে বসবো না।





শুরু করি একটা নাটকের কাহিনী দিয়ে। নাটকের নায়ক সজল, নায়িকা তিশা। এক বিশেষ রোমান্টিক দৃশ্যে নায়ক নায়িকাকে বলল, "আমি জীবনে অনেক মেয়ের সাথে মিশেছি। অনেকের সাথে প্রেমও করেছি। কিন্তু বিশ্বাস করো, একমাত্র তোমাকে দেখেই আমার বিয়ে করতে ইচ্ছা হয়েছে! তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে??"

এই কথা শুনে নায়িকা আনন্দে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ল! এক্সপ্রেশন দেখে মনে হলো, এমন চমৎকার কথা যেন সে জীবনেও শোনেনি! তার চোখ দিয়ে টপাটপ আনন্দ অশ্রু গড়াতে লাগল! আর মুখে হ্যা সূচক হাসি! তারপর আর কী... তাদের ভালোবাসা হয়ে গেল। কয়দিন পর বিয়েও হয়ে গেল।

আর আমি তো হতবাক! এইডা কি হইলো?? বিয়ে করার ইচ্ছা জাগলেই সাত খুন মাফ???

"আমি জীবনে অনেক মেয়ের সাথে মিশেছি। অনেকের সাথে প্রেমও করেছি।" এমন 'মধুর' বানী শুনেও নায়িকার চোখে আনন্দে জল আসে??



আজকাল বাস্তবেও এমনটা দেখা যায়। বিভিন্ন রঙের ঢঙের কথা বলে একটা ছেলে প্রোপোজ করে একটা মেয়েকে। আচ্ছা, প্রোপোজ করলে কী হয়?? ধরলাম, একটা ছেলে প্রথম দেখাতেই একটা মেয়েকে খুব "ভালোবেসে" ফেলল। তারপর ছেলেটা মেয়েটাকে প্রোপোজ করল। ছেলেটা অবশ্যই মেয়েটার কাছ থেকে "হ্যা" শুনতে চায়। তো এখন মেয়েটা যদি "হ্যা" বলে, তার মানে কি এই- যে মেয়েটাও ছেলেটাকে ভালোবাসে ফেলেছে?? কখনোই না। ভুলটা আসলে এখানেই হয়।

মেয়েটা হ্যা বললে ছেলেটা মনে করে, মেয়েটাও বুঝি তাকে ভালোবাসে। তখন শুরু হয়ে যায় প্রেম প্রেম খেলা। পার্কে যেয়ে বাদাম খাওয়া, ফেসবুকে ওয়াল-টু-ওয়াল প্রেমবার্তা আদানপ্রদান করা! কিন্তু দুইদিন পর দেখা যায় যে আসলে মেয়েটাও ভালোবাসে না, ছেলেটাও ভালোবাসে না। তখন ধুমধাম করে ব্রেক আপ! কান্নাকাটি... মেয়ে বলে ছেলেজাত খারাপ, ছেলে বলে সব মেয়ে রাক্ষসী!



কিন্তু এমন হয় কেন? একটা ছেলে যখন একটা মেয়েকে প্রোপোজ করে, এর আসল অর্থ কী? এর আসল অর্থ হওয়া উচিত- "আমি তোমাকে ভালোবাসতে চাই। আমরা কি কিছুটা ক্লোজ হতে পারি? বন্ধুত্ব করা যাক!"

আর যখন মেয়েটা হ্যা বলে, এর মানে হওয়া উচিত- "হ্যা, কাছে আসা যাক, বন্ধুত্ব করা যাক।"

তারপর আন্ডারস্ট্যান্ডিং, তারপর গভীরভাবে একে অপরকে জানা, তারপর যদি ভালোবাসা হয়, তো হবে, নাহলে নাও হতে পারে।



এই জন্য "প্রোপোজ" ব্যাপারটা আমার কাছে পছন্দ হয় না। ভালোবাসা এমনিতেই হয়ে যায়। এত আয়োজন করা লাগে না।



তাহলে ভালোবাসা কিভাবে হবে?? আমার মনে হয়, একটা সত্যিকারের ভালোবাসা শুরু হয় বন্ধুত্ব থেকে। হ্যা, বন্ধুত্বকে ভালোবাসার সিড়ি বলা যেতে পারে। বলাই বাহুল্য, আমি এখানে একটা ছেলে ও একটা মেয়ের বন্ধুত্বের কথা বলছি!

কিছু কিছু মানুষকে খুব ভাবের সাথে বলতে দেখি- প্রেমের চেয়ে বন্ধুত্ব বড়! এগুলো দেখে আমার খুব হাসি পায়। আবার তাদের জন্য দুঃখও হয়। আফসোস, তারা নিজের প্রেমিকাকে নিজের বন্ধু ভাবতে পারে না। তাদের কাছে প্রেম আর বন্ধুত্ব দুটো আলাদা বিষয়। কিন্তু আগেই বলেছি, এ দুটোর শুরু একই জায়গা থেকে। শুধু বিস্তৃতিটা ভিন্ন।



একটা ছেলে ও মেয়ে যখন একে অপরের বন্ধু হবে, তখন তারা গল্প করবে, আড্ডা দেবে। এই গল্প আর আড্ডায় উঠে আসবে জীবনের চাওয়া পাওয়া, প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির কথাগুলো। উঠে আসবে একান্ত কল্পনা আর লালিত স্বপ্নের কথাগুলো। এভাবেই দিনে দিনে সম্পর্কের ডালপালা গজাবে। দুজন একেঅপরের মাঝে মাঝে খুজে নিতে শুরু করবে সুখ আর হাসি। ভাগাভাগি করে নেবে কষ্টগুলো। তারপর উপলব্ধি করবে যে এই মানুষটাকেই সে এতদিন চেয়েছিল, এই মানুষটাকেই রূপকথার রাজ্যে দেখেছিল। আমার তো মনে হয় এটাই ভালোবাসা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.