নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বাঙালী পরে আগে আমি ভারতীয়

অরিন্দম চক্রবত্রী

কলকাতায় থাকি

অরিন্দম চক্রবত্রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সবুজ পথের রোমাঞ্চঃ বসন্তবিহার

২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬



হরিদ্বার বা হৃষীকেশ থেকে বদ্রীর পথে ২৫৭ কিমি দূরে যোশিমঠ হয়ে সড়কপথে আরও ১৬ কিমি দূরে আউলির প্রধান আকর্ষণ শীতকালে বরফে মোড়া এক স্কি–‌গ্রাউন্ড। হিমালয়ের ঢালে ৩ কিমি ব্যাপ্ত ২–‌৩ মিটার পুরু বরফের চাদরের ওপর বসে স্কি–শিক্ষার আসর। বছরের অন্যান্য সময়ে বরফ না থাকলেও আউলির রূপের কোনও ঘাটতি হয় না। ওক, খরসু, পাইন আর দেওদারে ছাওয়া আউলি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নিরিখে সমসময়েই অনন্য। যোশিমঠ থেকে আউলি যাওয়ার পথটিও কম আকর্ষণীয় নয়। এশিয়ার দীর্ঘতম (‌সওয়া ৪ কিমি)‌ এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ১০ টাওয়ারের কেব্‌ল কার বসেছে যোশিমঠ থেকে আউলি। সময় লাগে মাত্র ১৫ মিনিট। ভাড়া যাতায়াত মিলিয়ে ৩০০ টাকা। এছাড়াও ৫ কিমি দীর্ঘ পাকদণ্ডী আড়াই/‌তিন ঘণ্টায় ট্রেক করে পৌঁছনো যায় আউলি। পথশোভা অসাধারণ। সড়কপথে গেলেও পথের রোমাঞ্চ আর সবুজ গাছপালায় ঘেরা সৌন্দর্য মন ভরিয়ে দেবে।
আউলি সীমান্তবর্তী গ্রাম। অপরপ্রান্তে তিব্বত। ১৯৬২–‌র ইন্দো–‌চীন যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ঘাঁটি হয়েছিল এখানে। তার আগে স্থানটি গবাদি পশুর চারণক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হত। কেব্‌ল কারে ৮ পিলার পেরিয়ে এসে নামুন গড়সন!‌ ঘুরে দেখে নিন গড়সন বুগিয়াল। গড়সন থেকে ১ কিমি দূরে আছে ছত্র জলাশয় আর ২১ কিমি দূরে কুঁয়ারি বুগিয়াল বা কুঁয়ারি পাস। অত্যুৎসাহীরা ট্রেকিং করে ঘুরে আসতে পারেন কুঁয়ারি পাস থেকে। আর যদি কোথাও যেতে ইচ্ছে না করে, তবে হোটেলের ঘরে বসে গড়িমসি করে কিংবা খেয়াল–‌খুশি মতো এদিক–‌ওদিক পায়চারি করেই কাটিয়ে দিতে পারেন দুটি দিন। আউলি থেকেই দেখতে পারেন অর্ধচন্দ্রাকারে (‌১৮০°‌)‌ পরপর দাঁড়িয়ে থাকা হিমালয়ের বিখ্যাত সব তুষারধবল শৃঙ্গরাজি। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ত্রিশূল, নন্দাদেবী, দুনাগিরি, নর, কামেট, নীলকণ্ঠ ছাড়াও আরও অসংখ্য শৃঙ্গ। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তে গিরিশৃঙ্গের রঙবদল আপনাকে করে তুলবে পাগলপারা।

কীভাবে যাবেন
হরিদ্বার কিংবা হৃষীকেষ থেকে বদ্রীগামী বাসে সারাদিনের জার্নিতে, বদ্রী থেকে ৫২ কিমি আগে যোশিমঠ নেমে, সেখান থেকে সড়কপথে, ট্রেকিং করে কিংবা কেব্‌লকারে আউলি পৌঁছতে হবে।
কোথায় থাকবেন?‌ থাকার জন্যে আছে জি এম ভি এন‌–‌এর ১০৬ বেডের ট্যুরিস্ট রেস্ট হাউস। এছাড়াও বেশ কিছু বেসরকারি হোটেল ও লজ আছে।
কখন যাবেন?‌ বর্ষাকাল বাদে যে কোনও সময়। ঋতুভেদে রূপভেদ ঘটে আউলির। শীতে বরফের চাদরে ঢেকে যায়, গ্রীষ্মে ঢেকে যায় ফুলের কার্পেটে।
বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন:‌ জেনারেল ম্যানেজার (‌টি)‌, জি এম ভি এন, মুনি-কি-রেতি, হৃষীকেষ- ২৪৯২০১, উত্তরাঞ্চল। ফোন‌- (‌০‌১৩৫)‌ ২৪৩০৭৯৯ ‌অথবা কলকাতায় উত্তরাঞ্চলের পর্যটন কার্যালয়ে। ফোন–‌ ‌(০৩৩) ২২৬১-০৫৫৪‌।‌‌ অারও জানতে ‘‌সফর’‌ ক্রোড়পত্রে নজর রাখুন।‌

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৫২

বিজন রয় বলেছেন: বেশতো।
সুযোগ হলে যাবো নিশ্চয়ই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.