![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উঠল বাই তো কটক যাই।প্রায় ন’মাস পরে আমরা যাব ছোটা মাঙ্গুয়া। ইকো–ট্যুরিজম কমপ্লেক্স। রিসর্টে মোট ২৩টি বেড। দুই তিন চার বেডের রুম। পুরোটাই আমাদের জন্যে রিজার্ভ। দার্জিলিং মেলে রওনা হয়ে পরদিন সকালে নিউ জলপাইগুড়ি। সেখান থেকে রিসর্টের পাঠানো গাড়িতে চললাম প্রায় ৭০ কিমি দূরে ছোটা মাঙ্গুয়া। পথে লোহাপুলে একটি রেস্টুরেন্টে পুরি সবজি চা। তারপর তিস্তাবাজার থেকে রাস্তা ওপর দিকে উঠে গেছে। রাস্তা ভালই। বড়া মাঙ্গুয়ার পরে রাস্তা ভাল নয়। পিচ ওঠা এবড়োখেবড়ো। পথের দু’পাশে প্রায়ই কমলালেবুর বাগান ও সুন্দর লালফুলের গাছ। শেষে ছোটা মাঙ্গুয়ার বোর্ড লাগানো ডানদিকের রাস্তায় পড়লাম। এখান থেকে রাস্তা অতি খারাপ। উঁচুনিচু, কখনও গাড়ি নৌকোর মতো দুলছে, কখনও লাফাচ্ছে। কখনও আবার ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে সোজা ওপরের দিকে এগোচ্ছে। পেটের নাড়িভুঁড়ি তালগোল পাকাবার উপক্রম! কোথাও পাশে স্থানীয়দের বাড়ি ও ছোট ছোট খেত। শেষে খানিক গড়িয়ে নেমে ঢুকলাম আমাদের রিসর্টের গেটে। একেবারে ছবির মতো সুন্দর। কষ্ট করে যেন কেষ্ট মিলল। শেষের পথটুকু বেশি নয়। কিন্তু শ্লথগতিতে প্রায় দশ মিনিট সময় নিল।
জায়গাটি অপূর্ব। যেন একটা উপদ্বীপ। তিনদিকে খাদ। পরে পাহাড়শ্রেণী। কটেজগুলি খুবই সুন্দর। ঘরের আসবাব থেকে পর্দা সবই নয়নলোভন। আরও ৮ বেডের ডর্মিটরি রেডি। বেশ নিরিবিলি। রিসর্টে সোলার সিস্টেম। ঘরে টিভি নেই। উঠোন পেরিয়ে বেশ বড় ডাইনিং হলে একটি টিভি আছে। চাইলে স্নানের গরম জল ঘরে পৌঁছে দেবে। ঘর–বারান্দা ও উঠোনে বসেই সময় কাটিয়ে দেওয়া যায়। সামনেই যেন কাঞ্চনজঙ্ঘা। তারই নিচে পাহাড়ের গায়ে সাদা মন্দির দেখা যাচ্ছে। ওটা নাকি সিকিমে চারধাম। উল্টোদিকের পাহাড়ে কালিম্পংও নজরে আসে।
রিসর্টের আশপাশে কোনও হোটেল নেই। তাই রিসর্টেই খাওয়া। খাওয়াদাওয়া খুবই ভাল। পরিবেশনকারী স্থানীয় অল্পবয়স্কা মেয়েগুলি খুবই চটপটে ও খুবই ভাল তাদের ব্যবহার। মালিক–মালকিন প্রধান দম্পতিও একেবারে আত্মীয়ের মতোই।
তৃতীয় দিনে রিসর্টের গাড়িতেই সাইট সিয়িং। প্রথমেই কাছাকাছি টাকলিং গ্রামে একটি পুরনো মনাস্ট্রি। তারপর বড়া মাঙ্গুয়ায় একটি বাগানে বিভিন্ন ফুল–ফলের গাছ। অরেঞ্জ জুস ফ্যাক্টরি। তারপর তিস্তাবাজার পেরিয়ে বেশ দূরে তিস্তা ও রঙ্গিত নদীর সঙ্গম। লাভার্স মিট–ভিউ পয়েন্ট। অনেক নিচে সঙ্গম। তারপর কিছু দূরে লামাহাটায় একটি নতুন তৈরি সুন্দর পার্ক। ধাপে ধাপে প্রচুর ফুলগাছ। তারপর সুন্দর চা–বাগানের মধ্য দিয়ে অন্য রাস্তায় কিছুক্ষণের মধ্যেই রিসর্টে ফেরা।
পরদিন ফেরার সময় বিদায় সংবর্ধনাটিও মনে রাখার মতো। আমাদের প্রত্যেকের গলায় পাতলা রঙিন কাপড়ের মাফলারের মতো ‘খাদা’ দিয়ে সম্মানিত করা হল।
ব্যাকপ্যাক
হাওড়া থেকে ১২০৪১ শতাব্দী এক্সপ্রেস, ১২৩৪৫ সরাইঘাট এক্সপ্রেস ও শিয়ালদহ থেকে ১৩১৪৯ কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস, ১২৩৪৩ দার্জিলিং মেলে, ১৩১৪১ তিস্তা-তোর্সা, ১২৩৭৭ পদাতিক এক্সপ্রেসে নিউ জলপাইগুড়ি। ভাড়া: ১এ- ২,১৭০, ২এ- ১,২৯৫, ৩এ- ৯৭৫ ও স্লিপার- ৩৫০ টাকা। সেখান থেকে রিসর্টের গাড়িতে যাওয়াই ভাল। ফোন করলে গাড়ি পাঠিয়ে দেবে। ফোন: ৯৮০০০-৭২৬৩৯, ৮৯৭২৫-৪৯৮২৭ ও ৯৩৩২৯-০১০৪১। ই-মেল:[email protected]। নন-ভেজ ৬০০ ও ভেজ ৪৫০ টাকা প্রতিদিন। থাকা– ১,২০০– ২,৫০০ টাকা। জানুয়ারি’১৬ থেকে ভাড়া বাড়ল। যাওয়ার ভাল সময়: অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি
২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৫৪
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৩
নাজ_সাদাত বলেছেন: ছবি দেবে কি করে সবটাই তো টুকে দেওয়া। অন্যজনের লেখা।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:২৭
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: আরো কিছু ছবি দিলে ভাল লাগত। অপেক্ষায় রইলাম।