![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তিরুবনন্তপুরম–ভারকালা–কোল্লাম–আলেপ্পি–কোট্টায়াম–পেরিয়ার–কোচি–মুন্নার
সফর কোচি দিয়েও শুরু করতে পারেন। কোচিতে পৌঁছে পরদিনটাও ভাল করে ঘুরে নিয়ে পেরিয়ার যেতে পারেন। পেরিয়ার সেদিনটা কাটিয়ে তার পরে অপরূপ মুন্নার। মুন্নারের নিসর্গের জন্য দুইদিন থাক। তারপর সেখান থেকে কোট্টায়াম বা আলেপ্পির মধ্যে যে কোনও একটা বেছে নিতে পারেন। এরপর ক্রমে ভারকালা ও কোল্লামে একদিন করে কাটিয়ে শেষমেশ তিরুবনন্তপুরম হয়ে ঘরে ফেরা।
তিরুবনন্তপুরম: এখানে পৌঁছনোর পর জায়গাটা সুন্দরভাবে ঘুরে দেখতে অতিরিক্ত একটা দিন হাতে রাখতেই হবে, অর্থাৎ তিরুবনন্তপুরমের জন্য দাঁড়াল দুই দিন। ত্রিবান্দ্রম বা তিরুবনন্তপুরম ঘুরতে এসে দেখবেন শ্রী পদ্মনাভস্বামী মন্দির, কাছেই আছে সি ভি এন কালরি সঙ্গম। বড় মাপের জায়গা–সহ মেমরি কার্ড ভরে ক্যামেরা নিয়ে চলে আসুন কোভালাম সৈকত, সঙ্কুমুঘাম সৈকত, কোভালাম সৈকতের কাছেই চোওয়ারা সৈকত। দেখবেন ছবির মতো পোনমুড়ি। শিল্প, ঐতিহ্য আর ইতিহাসকে ছুঁতে ঘুরে নেবেন নেপিয়ার মিউজিয়াম, কুঠিরামালিকা প্যালেস মিউজিয়াম বা পুথেনমালিকা প্যালেস মিউজিয়াম। তালিকায় থাক নেপিয়ার মিউজিয়ামের কাছেই অবস্থিত কানাকাক্কুন্নু প্যালেস। দেখবেন প্রিয়দর্শিনী প্লানেটোরিয়াম, ম্যাজিক প্ল্যানেট। আদি স্থাপত্যের ছোঁয়া পেতে ভিঝিনজাম রক কাট কেভ মন্দির।
ভারকালা: ভারকালার জন্য একদিন থাক। ভারকালার সৈকতে আয়েশি খানিকটা সময় ধরে রাখতেই হবে। দেখবেন ভারকালা টানেল, ইতিহাসের গন্ধমাখা আনজেঙ্গো দুর্গ। শান্ত জলরাজ্যে মুহূর্তকে বাঁধতে পারাভুর হ্রদ, কপ্পিল সৈকত। দেখবেন প্রাচীন জনার্দনস্বামী মন্দির, শিবগিরি। সাগরপারের ছোট্ট গ্রাম এডাভাকেও তালিকায় রাখতে পারেন।
কোল্লাম: পরের দিনটা কোল্লাম সফরের জন্য। দ্রষ্টব্য ভূরি ভূরি। দেখবেন অষ্টমুড়ি হ্রদ, হ্রদের তীরে থেভাল্লি প্যালেস। তালিকায় থাকবে মাতা অমৃতানন্দময়ী দেবীর অমৃতাপুরী আশ্রম, জনবহুল থাঙ্গাস্যেরি সৈকত। সময় ধরা থাক কোল্লাম জেলার ছোট্ট গ্রাম মায়ানাড়ের জন্য, সেখানেই পুল্লিচিড়া চার্চটাও ঘুরে নেবেন। এছাড়াও গ্রামের তালিকায় আছে চাভারা, কুন্নিকোড, পাঠানপুরম। সৈকত সফর দীর্ঘ করতে ঘুরে আসুন থিরুমুল্লাভরম সৈকত। কোল্লাম সৈকত বা মহাত্মা গান্ধী সৈকতের কথা আলাদা করে বলা দরকার। এর কাছেই অবস্থিত মহাত্মা গান্ধী পার্ক-ও দেখতে হবে। কোল্লাম থেকে আলাপ্পুজার জলপথ ধরে আলুমকাডাভুর পথে। ভারতের প্রথম হাউজবোট এখানেই তৈরি হয়। ঘুরে দেখতে পারেন করুণাগাপ্পাল্লি, এখানে শিবমন্দির, দুটি প্রাচীন মসজিদ ও এখানকার চার্চটিও ঘুরে দিতে পারেন। নিসর্গে মন ভরাতে চোখ ভরে দেখে নিন পালারুভি জলপ্রপাত। রোমাঞ্চকে সঙ্গে করতে পথ বাঁকুক থেনমালা, মনরো আইল্যান্ডেও।
আলেপ্পি: একদিনে মন ভরা মুশকিল, তবু বাকি সফরটা নির্দিষ্ট সময়ে সারতে একদিন রাখাই যথাযথ। আলেপ্পি বা আলাপুজা সৈকত সফর তালিকার সবার আগেই থাকবে। দেখবেন ভারতের সবচেয়ে বড় হ্রদ ভেম্বানাদ। আলাপুজার কাছে কুট্টানাড় এলাকার পুন্নামাডা হ্রদে ঐতিহ্যবাহী স্নেক বোট রেস (নেহরু ট্রফি বোট রেস) সকলের পরিচিত। হাউজবোটে রাজকীয় জলসফরটাও আপনি এখানেই ব্যাকওয়াটারে সারতে পারেন। এ ছাড়াও আছে আম্বালাপুজায় শ্রীকৃষ্ণ মন্দির, মান্নারাসালা মন্দির। তালিকায় থাক জলরঙে আঁকার মতো সুন্দর পাথিরামানাল।
কোট্টায়াম: এর জন্য একদিন থাক। দেখবেন ভেলিয়াপল্লীতে সেন্ট মেরি’জ নানায়া চার্চ, এট্টুমানুর মহাদেব মন্দির, প্রাচীন ভাইকম শ্রী মহাদেব মন্দির, থিরুনাক্কারা শ্রী মহাদেব মন্দির। ওয়াগামনে ছবির মতো কোট্টাথাভালমে চুটিয়ে পিকনিক করুন, কুমারাকম পক্ষী অভয়ারণ্যেও সফর হোক। দেখে নিন মাল্লিয়ুর শ্রী মহা গণপতি মন্দির, পানাচিকাড়ু গ্রামে সরস্বতী মন্দির, পাল্লিপুরাথু কাভু মন্দির।
পেরিয়ার: জাতীয় অভয়ারণ্যে বন্য সুন্দরদের জন্য একটা দিন রাখা থাক। এখানে আসার সবচেয়ে ভাল সময় অক্টোবর থেকে জুন। পেরিয়ার টাইগার রিজার্ভ ভারতের ২৭টি ব্যাঘ্র অভয়ারণ্যের একটি। প্রবেশমূল্য ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের জন্য ৫ টাকা, ১১ বছরের বেশি হলে ১০৫ টাকা। গাড়ি সঙ্গে থাকলে তার আলাদা ভাড়া লাগবে। থাকার জন্য কে টি ডি সি ও বনদপ্তরের ব্যবস্থা আছে। আরও জানতে এই ওয়েবসাইটে নজর রাখুন: http://www.periyarhousethekkady.com।
কোচি: আপনি যদি কোচি দিয়ে গোটা কেরল সফরটা শুরু করতে চান, তখন এর জন্য দুই দিন রাখা দরকার। তা না হলে আপনি ইচ্ছে হলে একদিনেও সেরে নিতে পারেন। কোচির ব্যাকওয়াটারে জলসফর তো থাকছেই, থাকছে কোচির ফুরফুরে মেরিন ড্রাইভ। এছাড়াও দেখবেন ফোর্ট কোচি, ত্রিপুনিথুরার হিল প্যালেস, মাট্টানচেরিতে জনপ্রিয় ডাচ প্যালেস, পল্লিপুরম ফোর্ট। দেখতে পারেন আন্তর্জাতিক জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম, ভারতে সবচেয়ে বড় মানুষের তৈরি দ্বীপ উইলিংডন আইল্যান্ড।
মুন্নার: শেষ দুটো দিন মুন্নারের জন্য। মানে মুন্নারে পৌঁছে ঘুরে-টুরে নিয়ে পরদিন ঘরের দিকে রওনা দেওয়া। নিসর্গের জাদুঘেরা মুন্নারের একে একে দ্রষ্টব্য– এর্নাভিকুলাম ন্যাশনাল পার্ক, কেরল ও তামিলনাড়ুর সীমান্তে টপ স্টেশন, ইকো পয়েন্ট, মুন্নার থেকে ৫ কিমি দূরত্বে দেবীকুলাম। ছবির অ্যালবামে ভরুক পোথামেরু, ব্লসম ইন্টারন্যাশনাল পার্ক, মাট্টুপেট্টি বাঁধ, ফ্লোরিকালচার সেন্টার, কুন্ডালা ড্যাম লেক, ফান ফরেস্ট অ্যাডভেঞ্চার পার্ক। মাট্টুপেট্টির পথেই আসবে ফটো পয়েন্ট। রয়েছে মন্ত্রমুগ্ধ করা আট্টুকাল জলপ্রপাত, লাক্কাম জলপ্রপাত, ন্যায়ামাকাড জলপ্রপাত, থুভানাম জলপ্রপাত।
২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০০
নাজ_সাদাত বলেছেন: সুন্দর বর্ণনা । কিন্তু এটা অন্য জনের লেখা
৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩
নাজ_সাদাত বলেছেন: আজকাল পত্রিকায় লিখেছেন মঞ্জরী গাঙ্গুলি
৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩০
অরিন্দম চক্রবত্রী বলেছেন: এটা একটা promotion.
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫
সঞ্জয় নিপু বলেছেন: ভ্রমণের আরো বিস্তারিত বর্ণনা থাকলে ভালো হত।
কলকাতা থেকে কিভাবে যাওয়া যাবে, খরচ কত ? থাকার ব্যবস্থা কি ? খাবার খরচ কেমন ইত্যাদি বিস্তারিত দিয়ে দিলে আনেক বেশী ভালো হতো এবং প্রতিটি স্থানের ছবি দেয়া দরকার ছিল ।
ধন্যবাদ আপনাকে।