![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঢাকে কাঠি, ধূপের গন্ধ আর বাঙালির পরনের রংবেরঙের পোশাক জানান দিচ্ছে, পুজো এসে গিয়েছে৷ স্কুল, কলেজ, অফিসে চতুর্থীর বিকেলেই ছুটির ঘণ্টা বেজে গিয়েছে৷ আর তাই আজ থেকেই দেবীদর্শনে বেড়িয়ে পড়েছেন অনেকেই৷ সপ্তমী, অষ্টমীর দিনগুলোয় তো ভিড় বাড়বে৷ তাছাড়া, নতুন পোশাকটি আর কতদিনই বা আলমারিতে তুলে রাখা সম্ভব৷ তাই চতুর্থী থেকেই শুরু হয়ে গেল পুজো পরিক্রমা৷ সন্ধে যত গড়াচ্ছে মণ্ডপে দর্শনার্থীর সংখ্যাও বাড়ছে৷ আর সেই সঙ্গে ভিড় বাড়ছে মেট্রো আর বাসে৷ রাস্তার যানজটকে তোয়াক্কা না করে, বৃষ্টিমুক্ত সন্ধেতে তিলোত্তমায় মানুষের ঢল নেমেছে৷
চতুর্থীতে দক্ষিণের মতোই উত্তর কলকাতাতেও জনসমাগম ঘটেছে৷ শুধু শহরবাসীই নন, দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসছেন কলকাতার পুজো দেখতে৷ প্রতিবারের মতো এবারও সেজে উঠেছে হাতিবাগান নবীনপল্লির পুজো৷ মণ্ডপে রঙিন কাঠের আলমারির সমাহার সর্বত্র৷ এক একটি পাল্লার মধ্যে লুকনো রয়েছে অনেক গল্প৷ হিন্দু পুরাণ থেকে শুরু করে দেশের আদি-অনন্ত সংস্কৃতির কাহিনি৷
বিশেষ ধরনের পুতুল দিয়েই পুজোপ্রাঙ্গণ সাজাচ্ছে হাতিবাগানের নলিল সরকার স্ট্রিট সর্বজনীন৷ ৮৪ তম বর্ষে পা দিয়ে তাদের শারদ অর্ঘ্য সেই পুতুল৷ তাদের থিমের নাম ‘পুতুল ও প্রতিমা’৷ সেখানেও দর্শনার্থীদের ভিড় কম নয়৷ দেখে নিন কীভাবে সেজে উঠেছে মণ্ডপের আনাচে-কানাচে৷
শিল্পায়ন ও সবুজায়নের যুগলবন্দির সামনে দাঁড়িয়ে এক অনন্য সামাজিক বার্তা দিতে চলেছে কলকাতার হাতিবাগানের কাশী বোস লেন দুর্গাপুজো কমিটি৷ থিমমেকার প্রদীপ দাসের সৃজনে ৭৯ তম বর্ষে কাশী বোস লেনের নিবেদন ‘এসো মুক্ত করো’৷ কেমন হল তাদের এবারের পুজো, দেখে নিন ক্লিক করে৷
এদিকে আহিরীটোলা সার্বজনীনের মণ্ডপ একটা গোটা স্টুডিওয় পরিণত হয়েছে৷ সর্বত্র বিভিন্ন ছবি, ভাস্কর্য দিয়ে শিল্পীর শৈলিকে তুলে ধরা হয়েছে৷ তবে এখানে সবকিছুই অসম্পূর্ণ৷ অর্থাৎ শিল্পীর অসম্পূর্ণ শিল্পকর্মকেই রূপক হিসাবে এখানে সাধন ভূমির মধ্যে দেখানো হচ্ছে৷ তাদের এই অসম্পূর্ণতার সম্পূর্ণ ছবি ধরা পড়ল আমাদের ক্যামেরায়৷
অন্যান্য মণ্ডপের মতোই ভিড় জমতে শুরু করেছে হাতিবাগান সার্বজনীনেও৷ আজ যদি অন্যদিকে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন, তবে মোবাইলের এক ক্লিকেই এই মণ্ডপের দর্শন সেরে ফেলুন৷
সমাজের অন্তর্নিহিত সেই অশুভকেই দশে মিলে বিনাশ করার প্রয়াস করছে দমদম পার্ক তরুণ সংঘ৷ ৩১ তম বর্ষে পা দিয়ে এবারের শারদোৎসবে তাদের নিবেদন- ‘দশে ১০’৷ থিমমেকার অমর সরকারের সৃজনে দশে মিলে শুভশক্তির সূচনায় মেতেছে তরুণ সংঘ৷
বহু বছর আগে মিশরীয় সভ্যতায় এসেছিল ফিলিগ্রী শিল্পের ব্যবহার৷ সোনা ও রুপোর সরু তার দিয়ে গয়না বা কারুকার্য তৈরির শিল্পকেই বলা হয় ফিলিগ্রী৷এই ফিলিগ্রী শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছে মুসলিম সম্প্রদায়ের শিল্পীরা৷এবার এই ফিলিগ্রী শিল্পকে পুজোমণ্ডপে ফুটিয়ে তুলেছেন থিমশিল্পী সঞ্জীব সাহা৷ ষোড়শতম বর্ষে পা দিয়ে দমদম পার্কের ভারতচক্র ক্লাবের থিম ফিলিগ্রী৷
রাজস্থানের কথা ভাবলেই প্রথমেই যে যে জিনিসগুলি বাঙালির মাথায় ঘোরে সেগুলি হল, ধু ধু মরুপ্রান্তর, রাজস্থানি লোকশিল্প এবং অবশ্যই সোনার কেল্লা৷থিমমেকার দম্পতি শুভদীপ ও সুমি মজুমদারের যুগলবন্দিতে এবার একটুকরো রাজস্থানকে পাওয়া যাবে মুদিয়ালির পুজোপ্রাঙ্গণে৷
এবছর ৮০ বর্ষে পা দিয়েছে শিবমন্দিরের পুজো৷ আর এবার তাদের নিবেদন ‘চৌখুপি’৷ থিমশিল্পী বিমল সামন্তর সৃজনে চৌখুপিতে বাজিমাত করতে চায় শিবমন্দির৷
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪১
শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগা ভাইয়া!!