![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুধু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম বা আতসবাজি নয়, খাবারের বাজারও ছেয়ে গিয়েছে চিনা দ্রব্যে৷ জানা যাচ্ছে, বাজার ছেয়ে গিয়েছে নকল চিনা ডিমে৷ এই ধরনের কৃত্রিম ডিম কেবল চিনেই তৈরি হয়৷ সে দেশেও এই ডিমের ব্যাপারে সতর্ক হয়েছে মানুষ৷ কিন্তু অন্যান্য নানা দেশে অসতর্কতার সুযোগ নিয়ে এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের হাত ধরে ঢুকে পড়েছে এই ডিম৷ ভারতের বাজারও এর ব্যতিক্রম নয়৷
কৃত্রিম এই ডিমের খোলস তৈরি করা হয় ক্যালসিয়াম কার্বনেট দিয়ে৷ ডিমের কুসুম ও সাদা অংশ তৈরি হয়েছে সোডিয়ামজাত রাসায়নিক, খাবার সোডা, জিলেটিন প্রভৃতি রাসায়নিক দিয়ে৷ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে যে রাসায়নিক পদার্থ থাকে না, তা নয়৷ তবে কোন খাবারে কী পরিমাণে রাসায়নিক থাকবে তার নির্দিষ্ট মাপকাঠি আছে৷ সরকারের তরফে তা পরখ করে দেখার ব্যবস্থাও আছে৷ সেই ছাড়পত্র নিয়েই বাজারে খাবার বিক্রি হয়৷ কিন্তু কৃত্রিম এই ডিমের ক্ষেত্রে তার বালাই নেই৷ ফলে না জেনেই এই ডিম কিনে ফেলছেন সাধারণ মানুষ৷ আর তাতে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে শরীরের৷
সাধারণত আসল ডিমের সঙ্গে এই কৃত্রিম ডিমের তফাত প্রায় নেই বললেই চলে৷ তবে কিছু সূক্ষ্ম ফারাক আছে৷ বড়সড় ক্ষতি হওয়ার আগে জেনে নিন, কোন উপায়ে চিনবেন নকল চিনা ডিম-
নকল ডিমের খোলস সাধারণ ডিমের থেকে একটু বেশি উজ্জ্বল হয়৷ খালি চোখে ফারাকটা তেমন বোঝা যায় না৷ তবে খেয়াল করলে বোঝা যায় বাড়তি উজ্জ্বল নকল ডিমের খোলা৷
সাধারণ ডিমে সাধারণত মাংস জাতীয় গন্ধ থাকে, যা এই কৃত্রিম ডিমে থাকে না৷
নকল ডিম ঝাঁকালে ভিতরে তরলের নড়াচড়ার শব্দ পাওয়া যায়৷ সাধারণ ডিমের ক্ষেত্রে যা হয় না৷
ডিম ভাঙার ক্ষেত্রে সাধারণ ডিমের ক্ষেত্রে যে আওয়াজ হয়, তা কৃত্রিম ডিম ভাঙার সময় হয় না৷
কৃত্রিম ডিম ভেঙে রাখলে ডিমের কুসুম ও সাদা অংশ মিশে যায়৷ রাসায়নিক কারণেই একই জাতীয় পদার্থ মিলেমিশে যায়৷ সাধারণ ডিমের ক্ষেত্রে তা হয় না৷
ভাজার জন্য কৃত্রিম ডিমের কুসুম কড়াইতে দেওয়া মাত্র তা ছড়িয়ে পড়ে৷ কিন্তু সাধারণ ডিমের ক্ষেত্রে তা ছড়িয়ে দিতে হয়৷
এই তফাতগুলো খেয়াল করে তবেই ডিম কেনা উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ ইতিমধ্যেই নানা ক্ষেত্রে ভারতের বাজারের দখলদারি নিয়েছে চিন৷ তবে উরি হামলার পরে জৈশ নেতা মাসুদ আজহারকে জঙ্গি ঘোষণার ক্ষেত্রে চিনের বাধা দেওয়ায় ভারতের প্রতি চিনের বিরাগ প্রকাশ হয়ে পড়েছে৷ আর তারপরই চিনা বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশবাসী৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে লাগাতার প্রচার চালানোয় দীপাবলির মুখে চিনা আলোর বিক্রি কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ৷ সেই পথ ধরে চিনা ডিম বয়কটেরও ডাক শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন মহলে৷
২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৫
এএন অনু বলেছেন: বিষয়টি গুজব নয়। এরকম কৃত্রিম ডিম আমিও পেয়েছি। আর এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকা উচিত।
৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫
অন্তু নীল বলেছেন:
ডিম নকল হচ্ছে নাকি চাইনিজরা নতুন প্রজাতির মুরগী আবিষ্কার করেছে ?
৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১
সুমন কর বলেছেন: এখনো পাইনি, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৫৮
আহা রুবন বলেছেন: এটা যদি সম্ভব হত, ডিমে কুসুম না ঢুকায়া ইয়াবা, হেরোইন ঢুকাত।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪
নতুন বলেছেন: দাদা ডিম নকল করে বানিজিক ভাবে বিক্রি কি লাভজনক হতে পারে?
এটা আমার কাছে গুজব বলেই মনে হয়।
আমি একটা নকল ডিম ১০০০টাকা দিয়ে কিনতে রাজি আছি... যদি কারুর কাছে থাকে তবে আমাকে পাঠাতে বলুন... দেখতে ইচ্ছে করছে খুব।