নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বাঙালী পরে আগে আমি ভারতীয়

অরিন্দম চক্রবত্রী

কলকাতায় থাকি

অরিন্দম চক্রবত্রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

খাজুরাহো

২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯


গল্প আছে চন্দ্র দেবতা এবং এক রূপসী ব্রাহ্মণকন্যা হেমবতীর মিলনে এক পুত্র জন্মায়৷ নাম দেওয়া হয় চন্দ্রবর্মন৷ এই চন্দ্রবর্মনের হাতে চান্দেলা রাজবংশের জন্ম৷ খাজুরাহো ছিল চান্দেলা রাজপুত রাজাদের রাজধানী৷ চন্দ্রবর্মনের হাতে শুরু হয়ে শতাধিক (৯৫০-১০৫০ থ্রি) বছর ধরে বংশের নানা রাজারকালে বেলেপাথরের ৮৫টি মন্দির গড়ে ওঠে খাজুরাহোয়৷ তৈরি হয়েছে সৃষ্টিরক্ষার দেবতা বিষ্ণু ও সৃষ্টি ধ্বংসের দেবতা শিবের এইসব মন্দির৷

কী কী দেখবেন –

বেলেপাথরে গড়া খাজুরাহোর মন্দিরগুলি৷ অবস্থান হিসাবে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে খাজুরাহোর মন্দিররাজি–ওয়েস্টার্ন, ইস্টার্ন ও সাদার্ন৷

অনবদ্য লক্ষ্মণ- পশ্চিমের মন্দিররাজি ১২টি মন্দির নিয়ে৷ সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত খোলা থাকে এই মন্দির৷ মিথুন মূর্তির আধিক্য ঘটেছে লক্ষ্মণ মন্দিরের নিম্নভাগে৷
যুদ্ধ জয়ের স্মারক- রয়েছে ৩১ মিঃ উঁচু শিখরওয়ালা কাণ্ডারীয় মহাদেব মন্দির৷ খাজুরাহোর বৃহত্তম আর উচ্চতমও বটে মামুদ অব গজনির সাথে যুদ্ধজয়ের স্মারক রূপে ১০৩০-এ মহারাজা বিদ্যাধরের তৈরি কান্ডারীয় মন্দির৷
পান্নার শিব- জগদম্বা থেকে সামান্য উত্তরে পুবমুখী চিত্রগুপ্ত অর্থাৎ সূর্য মন্দির৷ অর্ধমণ্ডপ, মহামণ্ডপ, অন্তরাল ও সভাগৃহ–চার স্তরে তৈরি মন্দিরের ভাস্কর্য সুন্দর৷ সিলিং-এর অলঙ্করণে অভিনবত্ব আছে৷
দুলাদেও- দুলাদেও অর্থাৎ নববধূ৷ দুলাদেও আর চতুর্ভুজ এই দুই মন্দির নিয়ে দক্ষিণমন্দির গোষ্ঠী৷ মেইন স্কোয়ার থেকে দেড় কিমি দক্ষিণে দুলাদেও মন্দির৷

কীভাবে যাবেন –

খাজুরাহো যেতে হলে নামতে হবে এলাহাবাদ-মুম্বই রেলপথে সাতনা স্টেশন৷ এলাহাবাদ থেকে মুম্বইগামী প্রতিটি ট্রেন সাতনা হয়ে যায়৷ সাতনা থেকে খাজুরাহো ১১৭ কিমি৷ বাসে সময় লাগে ৪ ঘণ্টা৷ শ’পাঁচেক টাকায় ট্যাক্সিও যায় সাতনা থেকে খাজুরাহোয়৷ এছাড়াও রাজ্য ও প্রতিবেশী রাজ্যের থেকে বাস যায় খাজুরাহোয়৷

কোথায় থাকবেন –

খাজুরাহোতে থাকার জন্য সরকারি ও বেসরকারি প্রচুর হোটেল রয়েছে৷ খাজুরাহোর এসটিডি কোড ০৭৬৮৬৷

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬

মোঃ আবু হেনা সাজ্জাদ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। ভাল থাকবেন।

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪

অরিন্দম চক্রবত্রী বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২

শোভন শামস বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। ভাল থাকবেন
আরও লিখে ফেলুন

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:১২

লাডল্লা পোলা বলেছেন: খাজুরাহোর মন্দিরগুলি, তাদের প্রেমমূলক কামদ শিল্পকর্মের জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। মন্দিরের অভ্যন্তরীণ ও বর্হিভাগ, উভয় দেওয়ালগুলিতেই পরীদের সুসজ্জিত ও যৌন ক্রিয়ায় লিপ্ত ভাস্কর্য্য দেখা যায়। মন্দিরের এই এরোটিক আর্ট মানব শরীরের সৌন্দর্য বড় নিপুণতার সঙ্গে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নারী দেহের সৌন্দর্য প্রকাশ পেয়েছে। কেউ যৌনরত অবস্থায়, কারোর চুলখোলা আবার কেউ নৃত্যরত অবস্থায়। একাধিক নারী-পুরুষ একে অন্যের সঙ্গে লিপ্ত। এছাড়াও মন্দিরের দেওয়ালে সাধারণ মানুষ থেকে পশুপাখি ও অন্যান্য আরও চিত্র খোদাই করা আছে। অনেক দিন পর খাজুরাহো নিয়ে লিখা সামনে পড়লো। দ্যা টেম্পল অফ লাভ নিয়ে আরো লিখবেন আশা রইল ।


৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:০৪

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: চালিয়ে যান শুভ কামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.