![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮০-র বোফর্স কেলেঙ্কারির ঘটনা আজ অনেকটাই ফিকে৷ অতীতের ছায়া মুছে ফেলে সেই আমেরিকারই কাছ থেকে ১৫৫ এমএম হাউৎজার কামান কিনতে চলেছে ভারত৷ এই চুক্তি বাস্তবায়িত করতে ভারতীয় মুদ্রায় খরচ পড়ছে ৫০০০ কোটি টাকা৷ বৃহস্পতিবার, ভারতের তরফে এই কামান কেনার চুক্তি স্বাক্ষরিত হল, জানিয়েছে সংবাদসংস্থা৷ দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ১৫-তম ‘ভারত-মার্কিন কো-অপারেশন গ্রুপের’ বা এমসিজি-র দুদিনের বৈঠক শেষে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়৷ চিনের আগ্রাসন ঠেকানোই এই হাউৎজার কামান কেনা হল বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর৷
সামরিক ক্ষেত্রে শক্তিশালী হতেই ভারত ও আমেরিকার মধ্যে এই এমসিজি ফোরাম তৈরি করা হয়েছে৷ এমসিজির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডেভিড এইচ বারগার, ইউএস মেরিন কর্পস ফোর্সেস-এর কমান্ডার সহ অন্যন্য বেশকয়েকজন উচ্চপদস্থ মার্কিন সেনা আধিকারিক৷ ভারতের তরফে প্রতিনিধিত্ব করেন এয়ার মার্শাল এএস বনশালল (ডিসিআইডিএস)অপারেশন৷ এছাড়াও ছিলেন মার্কিন সামরিক বিভাগে ২৬০ জন সদস্য৷ এছাড়াও এই দ্বিপাক্ষিক চুক্তি রূপায়িত করতে ছিলেন দুই দেশের সামরিক বিভাগের একাধিক আধিকারিকরা৷
সূত্রের খবর, এই কামান কেনার জন্য ভারতের তরফে যে চিঠি আমেরিকাকে দেওয়া হয়েছে তাতে লেখা হয়েছে, নতুন হাউৎজার কামান ভারত-চিন সীমান্তবর্তী রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের লাদাখে মোতায়েন করবে ভারত৷ মার্কিন প্রশাসনের তরফেও গত জুন মাসে এই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করে কামান বিক্রির জন্য সম্মতি দেওয়া হয়৷
যে ২৫ টি কামন কেনা হচ্ছে সেগুলি আকাশপথে এদেশে এসে পৌঁছবে৷ যদিও সেগুলো একত্রিত হয়ে আসছে না৷ পরে এদেশে সেগুলি পরীক্ষামূলক ব্যবহারের পর সেগুলি ‘অ্যাসেম্বল’ করা হবে৷১৫৫ এমএম, ৩৯ ক্যালিবারের এই কামানের রেঞ্জ ২৫ কিলোমিটার৷ টাইটেনিয়ামে মোড়া এই কামান বিমানে চাপিয়ে উঁচু জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাবে৷ আপাতত ২৫টি কামান আমদানি করা হবে, বাকি ১২০টি কামান এদেশেই তৈরি হবে৷ ১৭ মাউন্টেন স্ট্রাইক কর্পস-এর হাতে প্রথম দফার কামানগুলি তুলে দেওয়া হবে৷ এই এম-৭৭৭ হাউৎজার কামান তৈরি করছে বিএই সিস্টেমস, যারা সুইডিশ সংস্থা বোফর্স অধিগ্রহণ করেছে৷ এ দেশে বিএই-র সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে মাহিন্দ্রা৷ এই দুই সংস্থা যৌথ উদ্যোগে ১৪৫টির মধ্যে ১২০টি কামান এ দেশেই তৈরি ও পরীক্ষা করবে৷
২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৫৫
রিফাত হোসেন বলেছেন: আমার বাঙালী সাহেব ভারতের কলকাতা যদি বাংলাদেশের হত
তাহলে আসলেই বাঙালীদের দেশ বাংলাদেশ হত ।
তবে বাঙালীকে ভালবাসি ।
মজা করলাম,
বুঝলাম মাতৃভূমির প্রতি আপনার টান ।
এত কষ্ট করার দরকার কি কয়েকটা পরমানু ছেড়ে দেন । শুধু ৫০০০ খরচ না করলেও চলে ... হাহাাহহা
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৬
সত্যের ছায়া (সংস্করণ) বলেছেন: এমরিকার কামান ফ্যামানের ভয়ে এখন আর বিশ্ব চলে না। যদি চলত তাহলে সিরিয়ায় তারা সব উল্টে ফেলত। সেখানে এমরিকান সাহায্য প্রাপ্ত বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা।
আর একটা কথা মনে রাখবা, আজ অমরিকা যার বন্ধু আগামীকাল সে তার শত্রু।
১৪০-১৫০ টি কামান এমন কিছু না যা একটি লকহিড জঙ্গী বিমান একবার অপরেশন করেই শেষ করে দিতে পারে।
ভারতের এই ৫০০০ কোটি টাকা গচ্ছা যাবে। এই টাকা গরীব ভারতবাসীর উন্নয়নে ব্যয় করলে আরো লাভবান হত।