![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারনেই অসাধারণত্ব
ভাষা সৈনিকদের বেশ কয়েকজনের কথা শোনার সৌভাগ্য হয়েছিল আজ। জাতীয় প্রেস ক্লাব এর উদ্যোগে আজ ভাষা মতিন, রওশনারা বাচ্চু এবং আব্দুল গফুর সাহেব কে সম্বর্ধনা দেয়া হল।
সব সময় পুরুষ ভাষা সৈনিকদের কথাই শুনেছি । আমি আসলে জানতাম না সেই ১৯৫২ সালেও বাংলা দেশের নারীরা যে ঠিক এখনকার মতই তেজদিপ্ত ছিলেন। রওশনারা বাচ্চু এদের মধ্যে একজন। উত্তাল বাহান্নতে তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী । ৩০ জানুয়ারি তারা সমাবেত হন বড় কিছু করবার পরিকল্পনায়। দেশের প্রত্তন্ত অঞ্চলেও তারা গেছেন তাদের দাবির যৌক্তিকতা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঠিক করা হয় ১০ জনের এক এক টি মিছিল যাবে ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে। প্রতিটি দল কে নেত্রিত্ত দেবেন একজন করে নারী। সেই আতঙ্কজনক স্বদেশ পরিস্থিতিতে সেই যুগে নারীর নেত্রিত্ততে মিছিল করা হয়েছিল ভাবলেও বিস্ময় জাগে। রওশনারা বাচ্চু ছিলেন ৩য় দলের পুরোভাগে। ঢিল পাটকেল টিয়ার সেলের বাধা অতিক্রম করে মেডিকেলের সামনে যেতেই গুলি বর্ষণ হয় তাদের উপর।
তার বক্তব্য অনুসারে অনেক অনেক মেয়ে সেই সময় ভাষা আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। কিন্তু তাদের নাম ইতিহাসে উঠে আসে নি। ওই আন্দোলনে অংশ নেয়ার অপরাধে অনেক মেয়ে ১৩ দিন পর্যন্ত জেল খেটেছেন। একটি মেয়ের জন্য জেল খাটা কতটা ভয়াবহ তা বলার দরকার আছে বলে মনে হয় না।তার উপর সেটি ছিল ৬১ বছর আগের ঘটনা । কাজেই মেয়েগুলিকে সামাজিক ভাবে কি পর্যায়ের হেনস্থা হতে হয়েছে পাঠক এর আন্দাজ করতে পারবেন হয়ত। ১৯৫২ থেকে ২০১৩ অনেক সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। আমাদের কি উচিত নয় ভাষা আন্দলনের সেই সব নারী সাহসিকাদের ও সামনে নিয়ে আসা? নতুন প্রজন্মের সামনে দৃষ্টান্ত তুলে ধরা যে সেই জুগের নারীরা যদি পারেন এখনকার নারীরা কেন নন?
স্টেজ এ উঠবার আগে ভাষা মতিন সাহেবের সাথে কথা বলার সৌভাগ্য হয়েছিল। তিনি বললেন “ আমরা সুন্দরকে কখনই চিনতে পারি না।“ তিনি আমাকেই কেন কথাটি বললেন জানি না। তবে তার কথাটি আমি মনে রাখব। তার বক্তব্বে পরে তিনি খুব সুন্দর একটি কথা বলেছিলেন। ৮ই ফাল্গুন না বলে আমরা ২১ ফেব্রুয়ারি কেন বলি? সত্তিই আমরা সুন্দরকে চিনতে পারি নি।নইলে হয়ত ৮ ই ফাল্গুন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হত। ২১ ফেব্রুয়ারি নয়।
©somewhere in net ltd.