নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূণ্যতা থেকে শূণ্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

কান্ডারি অথর্ব

আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।

কান্ডারি অথর্ব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা ফুল তুলিতে যাই

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫২





কোন ভূমিকা নাদিয়ে চলুন বাংলাদেশের কিছু অতি পরিচিত গ্রামীণ খেলা নিয়ে খানিক স্মৃতি রোমন্থন করা যাক ।







ইচিং বিচিং বাংলাদেশের গ্রামীন খেলাধুলার মধ্যে অন্যতম। সাধারণত এই খেলার জন্য শিশু ও কিশোরীরা গ্রাম সংলগ্ন সবুজ মাঠকে নির্বাচন করে। উচ্চতা অতিক্রম এই খেলার একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য।



ইচিং বিচিং চিচিং ছা

প্রজাপতি উড়ে যা




দু'জন খেলোয়াড় পাশাপাশি বসে খেলোয়াড়দের অতিক্রম করার জন্য উচ্চতা নির্মাণ করে দেয়। প্রথমে তারা দু'পায়ের গোড়ালি দিয়ে উচ্চতা নির্মাণ করে। খেলোয়াড়রা উচ্চতা অতিক্রম করার পর তারা পায়ের উপর আরেক পা তু্লে দিয়ে উচ্চতা বাড়িয়ে দেয়। এইভাবে পায়ের উপর প্রসারিত করতল স্থাপন করে উচ্চতা বাড়িয়ে তোলা হয়। উচ্চতা অতিক্রম করার পর বসে থাকা খেলোয়াড়রা দুই পা মুক্ত করে ত্রিকোণাকার একটি সীমানা তৈরি করে। এই পায়ে ঘেরা স্থানটি পা তুলে দম দিতে দিতে বা ছড়া আওড়াতে আওড়াতে তিনবার অতিক্রম করে লাফ দিয়ে পার হতে হয়। এই সীমানা অতিক্রম করার পর বসে থাকা খেলোয়াড়দের যুক্ত পাকে প্রতিটি খেলোয়াড় শূন্যে লাফিয়ে ইচিং বিচিং ছড়া বলতে বলতে দুইবার করে অতিক্রম করে নেয়। এটিই খেলার শেষ পর্ব।







ওপেন টু বাইস্কোপ বাংলাদেশের গ্রামীন খেলাধুলার মধ্যে অন্যতম। এর সরলতার কারণে মেয়েদের কাছে ওপেন টু বাইস্কোপ খেলাটি আজ পর্যন্ত জনপ্রিয়তা পেয়ে আসছে। এটি একটি সহায়ক খেলা। দল গঠন করার জন্য এই খেলাটি খেলা হয়। এই খেলাটির সাথে জড়িত ছড়া-গানটি ব্রিট্রিশ যুগের ইংরেজ সাহেবদের বিনোদনের প্রতি ইঙ্গিত করে।



ওপেন টু বাইস্কোপ

নাইন টেন তেইশ কোপ

সুলতানা বিবিয়ানা

সাহেব বাবুর বৈঠকখানা

সাহেব বলেছে যেতে

পান সুপারি খেতে

পানের আগায় মরিচ বাটা

স্প্রিংএর চাবি আঁটা

যার নাম মনিমালা

তাকে দেবো মুক্তার মালা।




দু'জন দলপতি ফুল অথবা ফলের নামে নিজেদের দলের নাম নির্বাচন করে। তারা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দু'হাত দিয়ে একটি তোরণ নির্মাণ করে। খেলায় অংশগ্রহনকারী খেলোয়াড়রা পরস্পরের কাঁধে হাত রেখে রেলগাড়ির মতো সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ছড়া বলতে বলতে এই তোরণের নীচ দিয়ে যাতায়াত করতে থাকে। ছড়া শেষ হবার মূহুর্তে যে খেলোয়াড় তোড়নের মধ্যে অবস্থান করে তাকে দলপতিরা হাতের মধ্যে বন্দী করে। তারা তাকে জিজ্ঞাসা করে সে কোন দলে যোগ দেবে। তখন সে তার পছন্দের দলে যোগ দেয়। এই ভাবে প্রতিটি খেলোয়াড় দুই দলে বিভক্ত হয়ে মূল খেলা শুরু করে। কখনো কখনো মূল খেলা হিসেবেই ওপেন টু বাইস্কোপ খেলাটি খেলা হয়ে থাকে।







কড়ি বাংলাদেশের একটি গ্রামীণ খেলা। যে সব কৈশোর উত্তীর্ণ মেয়েদের চলাফেরা নিয়ন্ত্রিত সাধারণত তারাই কড়ি বেশী খেলে থাকে। কড়ি পাঁচ গুটির মতই সমান জনপ্রিয় একটি খেলা। কড়ি হিসাবে পাটখড়ি বা খেজুরের বিচি দিয়ে কড়ি বানিয়ে গ্রামে খেলা হয়ে থাকে।



খুশুর খুশুর দুর্গা মাসুর

তিন তালিয়া মার কেলিয়া

কুমড়ার চাক ধাপ্পা দিয়া

হাতের কড়ি হাতে থাক




কড়ি খুবই সহজ ও সরল একটি খেলা। চারটি কড়ি কোনো মসৃণ স্থানে হাত থেকে গড়িয়ে দিয়ে জোড়ায় জোড়ায় টোকা দিয়ে আঘাত করে পয়েন্ট সংগ্রহ করা হয়। আঘাত করতে ব্যর্থ হলে বা কড়ি চালার পর এক সাথে লেগে থাকলে ঐ খেলোয়াড়ের দান নষ্ট হয়ে যায় এবং অন্য জন খেলা শুরু করে। নিজের মাথার চুল দিয়ে গ্রামের মেয়েরা প্রায়ই আপাত স্পর্শ করে থাকা গুটিকে পৃথক প্রমাণ করে থাকে। কড়ি চালার পর যদি তিনটি গুটির বুক উপড়ে থাকে তবে ঐ দান নষ্ট হয় আর যদি চারটি গুটিই বুক উপড়ে থাকা অবস্থায় পড়ে তবে প্রতি গুটির জন্য চারটি করে পয়েন্ট পাওয়া যায় এবং এই গুটি সংগ্রহ করা নিয়ে খেলোয়াড়দের মাঝে কাড়াকাড়ি পড়ে যায়।







হাডুডু বা কাবাডি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। বর্তমানে কাবাডি আন্তর্জাতিক ভাবেও খেলা হয়। এই খেলা সাধারণত কিশোর থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক সব ধরনের ছেলেরা খেলে থাকে। সাধারণত বিশেষ উৎসব বা পালা-পার্বনে বেশ আড়ম্বরপূর্ণ ভাবে হা-ডু-ডু খেলার আয়োজন করা হয়। কাবাডি বাংলাদেশের জাতীয় খেলা। বাংলাদেশ সাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশে কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়েছে। পূর্বে কেবল মাত্র গ্রামে এই কাবাডি খেলার প্রচলন দেখা গেলেও বর্তমানে সব জায়গায় কাবাডি খেলা প্রচলিত হয়েছে।





খেলার নিয়মাবলী

· মাঠঃ কাবাডি খেলার বালকদের মাঠ লম্বায় ১২.৫০ মিটার চওড়ায় ১০ মিটার হয়। এবং বালিকাদের কাবাডি খেলার মাঠ লম্বায় ১১ মিটার এবং চওড়ায় ৮ মিটার হয়। খেলার মাঠের ঠিক মাঝখানে একটি লাইন টানা থাকে যাকে মধ্যরেখা বা চড়াই লাইন বলে। এই মধ্য রেখার দুই দিকে দুই অর্ধে দুটি লাইন টানা হয় যাকে কোল লাইন বলে। মৃত বা আউট খেলোয়াড়দের জন্য মাঠের দুই পাশে ১ মিটার দূরে দুটি লাইন থাকে যাকে লবি বলা হয়।

· সদস্যঃ প্রতি দলে ১২ জন খেলোয়াড় অংশ নেয়। কিন্তু প্রতি দলের ৭ জন খেলোয়াড় একসাথে মাঠে নামে। বাকি ৫ জন অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে থাকে। খেলা চলাকালীন সর্বাধিক তিন জন খেলোয়াড় পরিব্রর্তন করা যাবে।

· সময়ঃ ৫ মিনিট বিরতি সহ দুই অর্ধে পুরুষদের ২৫ মিনিট করে এবং মেয়েদের ২০ মিনিট করে খেলা হবে। খেলা শেষে যেই দল বেশী পয়েন্ট পাবে সাই দলই জয়ী হবে। দুদলের পয়েন্ট সমান হলে দুঅর্ধে আরও ৫ মিনিট করে খেলা হবে। এরপরেও যদি পয়েন্ট সমান থাকে তবে যে দল প্রথম পয়েন্ট অর্জন করেছিল সে দলই জয়ী হবে।

· পয়েন্টঃ যদি কোন খেলোয়াড় মাঠের বাহিরে চলে যায় তাহলে সে আউট হবে। এভাবে একটি দলের সবাই আউট হলে বিপক্ষ দল একটি লোনা(অতিরিক্ত ২ পয়েন্ট) পাবে। মধ্যরেখা থেকে দম নিয়ে বিপক্ষ দলের কোন খেলোয়াড়কে(একাধিক হতে পারে)স্পর্শ করে এক নিঃশাসে নিরাপদে নিজেদের কোর্টে ফিরে আসতে পারলে, যাদের কে স্পর্শ করবে সে বা তারা কয় জনই আউট হবে। এভাবে যতজন আউট হবে তাদের প্রত্যেকের জন্য এক পয়েন্ট পাওয়া যাবে।

· সতর্কতাঃ এক নিঃশাসে স্পষ্ট ভাবে পুণঃপুণঃ কাবাডি বলে ডাক দেওয়াকে "দম নেওয়া" বলে। এই দম মধ্যরেখা থেকে শুরু করতে হবে।বিপক্ষ কোর্টে একসাথে একাধিক আক্রমণকারী যেতে পারবে না। কোন আক্রমণকারী বিপক্ষ দলের কোর্টে দম হারালে এবং বিপক্ষ দলের খেলোয়াড় তাকে স্পর্শ করতে পারলে সে আক্রমণকারী আউট বলে গণ্য হবে।







কুতকুত গ্রামীন কিশোরী-তরুণীদের অন্যতম প্রধান খেলা| উঠানে শস্য শুকাতে দেবার ফাঁকে কিংবা বিকালের নরম আলোয় গৃহের আঙ্গিনায় কৈশর পেরোনো তরুণীরা কুতকুত খেলায় মেতে ওঠে। বর্ষার পরের নরম মাটিতে মাটির ভাঙ্গা তৈজসপত্রের অংশ দিয়ে দাগ কেটে কুতকুতের জন্য ঘর বানানো হয়। বাংলার গ্রামীণ মেয়েরা যে কোনো ঋতুতেই এই খেলা খেলে থাকে। কুতকুত খেলায় ঘর বেচাকেনার বিষয়টি বাণিজ্যের প্রতি গ্রামীণ নারীদের সচেতনতাকে তুলে ধরে।



লাইলি লুইলি বাঁশের চোঙ

বাঁশ কাটলে টাকা থোং

এত টাকা নেবো না

লাইলির বিয়া দিব না

লাইলির আম্মা কাঁন্দে

গলায় রশি বান্দে







আয়তক্ষেত্রাকার মোট ৭/৮টি ঘর আঁকা হয় এবং এই ঘরগুলোর শেষ মাথায় অর্ধচন্দ্রাকৃতির আর একটি ঘর বানানো হয়। প্রথম ঘরে গুটি ফেলে এক পা শূন্যে রেখে এবং দম দিতে দিতে গুটিকে সবগুলো ঘর অতিক্রম করে অর্ধচন্দ্রাকৃতির ঘরে এনে পা নামিয়ে দম ফেলা যায়। তার পর এই ঘর থেকে গুটিকে পা দিয়ে আঘাত করে সব ঘর অতিক্রম করানোর চেষ্টা করা হয়। গুটিটি সব ঘর অতিক্রম না করলে অর্ধচন্দ্রাকৃতির ঘর থেকে বের হয়ে শূন্যে পা তুলে দম নিতে নিতে তাকে আবার আগের নিয়মে ঘর থেকে বের করে আনতে হয়। খেলোয়াড়রা কপালে গুটি রেখে উপর দিকে তাকিয়ে ৮টা ঘরের দাগে পা না ফেলে অর্ধচন্দ্রাকৃতির ঘরে যেয়ে আবার প্রথম ঘরে ফেরত আসতে পারলে সে ঘর কেনার যোগ্যতা অর্জন করে। কুতকুত খেলায় যে ঘর কেনা হবে সেই ঘরে পা বা গুটি ফেলা যাবেনা। ঘর কেনার প্রক্রিয়াকালীন সময় খেলোয়াড়ের দাঁত দেখা গেলে ঐ খেলোয়াড়ের খেলা ঐ অবস্থায় মারা যায়। ক্রমান্বয়ে ঘর কিনে শেষ ঘরটি দখল করার মাধ্যমে খেলার নিস্পত্তি হয়।





ডাংগুলি বাংলাদেশ অন্যতম জনপ্রিয় গ্রামীণ খেলা। সাধারণত কিশোর বয়সী ছেলেরা এই খেলা খেলে। ক্রিকেট আসার পর এর জনপ্রিয়তা অনেকটাই ম্রীয়মান হয়ে এসেছে। বাংলাদেশে অঞ্চলভেদে খেলাটি ড্যাংবাড়ি, গুটবাড়ি, ট্যামডাং, ভ্যাটাডান্ডা ইত্যাদি নামে পরিচিত।

খেলার উপকরণ দু'টি- একটি দেড় থেকে দুই ফুট লম্বা লাঠি (ডাং বা ডাণ্ডা), অপরটি গুলি যা নামে গোল মনে হলেও গোল নয়, আসলে প্রায় দুই ইঞ্চি লম্বা আরেকটি ছোট লাঠি যার দুই প্রান্ত কিছুটা সূঁচালো করা থাকে।

ডাংগুলি বাংলার সর্বাঞ্চলীয় একটি জনপ্রিয় খেলা। প্রধানত কম বয়সের ছেলেরা এটি খেলে থাকে; মেয়েরা সাধারণত ডাংগুলি খেলে না। দুই থেকে পাঁচ-ছয়জন করে দুই দলে বিভক্ত হয়ে এটি খেলতে পারে। দেড় হাত লম্বা একটি লাঠি এবং এক বিঘত পরিমাণ একটি শক্ত কাঠি খেলার উপকরণ। প্রথমটিকে ডান্ডা ও দ্বিতীয়টিকে গুলি বা ফুত্তি বলা হয়। প্রথমে খোররলা মাঠে একটি ছোট গর্ত করা হয়। যারা দান পায় তাদের একজন গর্তের ওপর গুলি রেখে ডান্ডা মেরে সেটিকে দূরে ফেলার চেষ্টা করে। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়েরা চারিদিকে দাঁড়িয়ে থেকে সেটিকে লুফে নিতে চায়। তারা সফল হলে ঐ খেলোয়াড় আউট হয়, আর ধরতে না পারলে গর্তের ওপর রাখা ডান্ডা লক্ষ করে ছুড়ে মারতে হয়। ছোঁয়া গেলে সে দান হারায়, আর তা না হলে সে ডান্ডা দিয়ে তুলে গুলিকে আবার দূরে পাঠায়। তারপর গুলি থেকে গর্ত পর্যন্ত ডান্ডা দিয়ে মাপতে থাকে। সাত পর্যন্ত মাপের আঞ্চলিক নাম হলো: বাড়ি, দুড়ি, তেড়ি, চাঘল, চাম্পা, ঝেঁক, মেক। এরূপ সাত মাপে এক ফুল বা গুট এবং সাত ফুলে এক লাল হয়। ভাঙা ফুলের ক্ষেত্রে যেখানে শেষ হয়, পরের খেলা সেখান থেকে শুরু হয়। বাড়ি, দুড়ি ইত্যাদি প্রতিটি মারের পৃথক পৃথক পদ্ধতি আছে। আউট না হওয়া পর্যন্ত একজন খেলোয়াড় খেলতে পারে, আউট হলে দ্বিতীয় একজন একই পদ্ধতিতে খেলবে। এভাবে সবাই আউট হয়ে গেলে বিপক্ষ দল দান পেয়ে খেলা শুরু করে। বস্তুত এ খেলাটি বর্তমান যুগের ক্রিকেটের গ্রাম্য সংস্করণ এবং ব্যাট ও বল ডান্ডা ও গুলির সমতুল্য। এক্ষেত্রেও ক্যাচ হলে অথবা ডান্ডার আঘাত করে আউট করার বিধান আছে।

ডাণ্ডা দিয়ে গুলির সূচালো প্রান্তে মারলে তা লাফিয়ে ওঠে। তার পর সেই লাফানো অবস্থায় তাকে দ্বিতীয় বার ডাণ্ডা দিয়ে মেরে অনেক দূরে পাঠাতে হয়।

গুলিটি চোখে লেগে অনেক সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে। দ্বিতীয়বার মারার পর এর তীব্র বেগ ও সূচালো প্রান্তের চোট এই খেলাকে দুর্ঘটনাপ্রবণ করেছে।







বাংলাদেশের গ্রামীণ খেলাধুলার মধ্যে দাড়িয়াবান্ধা একটি চমৎকার খেলা। এ দেশের সর্বত্র স্থানীয় নিয়ম কানুন অনুযায়ী এ খেলা হয়ে থাকে। জাতীয় রিক্রিয়েশন এ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের জন্য এ খেলার গ্রহণ যোগ্য আইন কানুন প্রণয়ন করেছে।



এ খেলার মাঠটি ৫০ ফুট লম্বা ও ২০ ফুট প্রস্থে, মাঝখানে সমান্তরাল ৫০ ফুট লম্বা ও ১ ফুট চওড়া একটি লাইন থাকবে। ১ ফুট অন্তর আড়াআড়ি ৪টি লাইনে সমগ্র কোর্টটি ১০ইঞ্চি/১০টি খোপে ভাগ করা থাকবে। আড়াআড়ি ৬টি লাইন ১ ফুট চওড়া হবে।



প্রত্যেক দলে ৬ জন করে খেলোয়াড় থাকে। টস করে আক্রমণকারী ও প্রতিরক্ষাকারী স্থির করা হয়। ২৫ মিনিট খেলা, ৫ মিনিট বিশ্রাম, পুনরায় ২৫ মিনিট খেলা-এই নিয়মে খেলা চলে। খেলার সময় একজন মারা পড়লে অন্যদলের অর্ধাংশ আক্রমণ করার সুযোগ পাবে। খেলায় একজন রেফারী ৬ বা ১২ জন দাড়িয়া জজ ও ২ জন স্কোরার থাকে। খেলার ফলাফল অমীমাংসিত থাকলে ১০-১-১০ মিনিট পুনরায় খেলে খেলার ফলাফল নির্ধারিত করা যায়।

এই খেলায় কোন খরচ লাগে না এবং বেগ, তেজ প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের দরুণ এটি দেশের ছোট-বড় সবার জনপ্রিয় খেলা।









নৌকাবাইচ হলো নদীতে নৌকা চালনার প্রতিযোগিতা। "বাইচ" শব্দটি ফারসি "বাজি" শব্দজাত যার বিবর্তন এরূপ: বাজি>বাইজ>বাইচ। এর অর্থ খেলা। তবে এখানে দাঁড় টানার কসরত ও নৌকা চালনার কৌশল দ্বারা বিজয় লাভের লক্ষ্যে আমোদ-প্রমোদমূলক প্রতিযোগিতা বোঝায়।



নদীমাতৃক বাংলাদেশে নৌকাবাইচ লোকায়ত বাংলার লোকসংস্কৃতির একটি অংশ। তবে কবে এদেশে গণবিনোদন হিসেবে নৌকাবাইচের প্রচলন হযেছির তার সঠিক ইতিহাস পাওয়া যায় না। "বাইচ" শব্দটির ব্যুৎপত্তি বিবেচনা করে অনুমিত হয়েছে যে মধ্যযুগের মুসলমান নবাব, সুবেদার, ভূস্বামীরা, যাদের নৌবাহিনী, তারা এই প্রতিযোগিতামূলক বিনোদনের সূত্রপাত করেছিলেন। তবে এ বিষয়ে দুটি জনশ্রুতি আছে। একটি জনশ্রুতি জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রাকে কেন্দ্র করে। জগন্নাথ দেবের স্নান যাত্রার সময় স্নানার্থীদের নিয়ে বহু নৌকার ছড়াছড়ি ও দৌড়াদৌড়ি পড়ে যায়। এতেই মাঝি-মাল্লা-যাত্রীরা প্রতিযোগিতার আনন্দ পায়। এ থেকে কালক্রমে নৌকাবাইচের শুরু। দ্বিতীয় জনশ্রুতি পীরগাজীকে কেন্দ্র করে। গাজী নদীর ওপারে বসে এ পারের ভক্তকে তার কাছে ডাকছেন। গাজীর আদেশ প্রতিপালন করতে পারছে না ভক্ত, নদীর ভীষণা মূর্তি তাকে নদী পার হতে দিচ্ছে না। তবুও গাজীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ভক্ত ছোটে কিন্তু কোনো নৌকা নেই। কে তাকে ওপারে নিয়ে যাবে? অনেক খোঁজ করে একখানা ডিঙ্গি জোগাড় করল ভক্ত। সে নৌকা যতই ওপারের দিকে যেতে চেষ্টা করে ততই স্ফীতদোর হয়ে ওঠে নদী। একপর্যায়ে নৌকা ডুবে যায়। নৌকার দুর্দশা দেখে একে একে অনেক লোক ছুটে বিপদগ্রস্ত ডিঙ্গির মাঝি, যাত্রী ও নৌকাকে সাহায্য করতে। সবাই গাজীর চরণে প্রণাম করে, গাজীর নাম নিতে নিতে এগিয়ে চলল। নদী ক্রমেই শান্ত হয়ে এলো। ভক্ত নদীর ওপারে পৌঁছাল। শান্ত নদীতে নৌকার সারি মনের প্রশান্তিতে তখন একে অপরের সাথে পাল্লা দিয়ে চলল। এই পাল্লার নেশা থেকেই নাকি নৌকা দৌড়ের বা বাইচের উৎপত্তি।







বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের নৌকা দেখা যায়। বাইচের নৌকার গঠন কিছুটা বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। এই নৌকা হয় সরু ও লম্বাটে। লম্বায় যেমন অনেক দঘল ; ঠিক তেমনই চওড়ায় খুবই সরু। কারণ সরু ও লম্বাটে হওয়ার দরুন নদীর পানি কেটে দরতরিয়ে দ্রুত চলতে সক্ষম এবং প্রতিযোগিতার উপযোগী। নৌকার সামনের গলুইটাকে খুব সুন্দর করে সাজানো হয়। তাতে কখনো করা হয় ময়ূরের মুখ, কখনো রাজহাঁস বা অন্য কোনো পাখীর মুখাবয়ব। নৌকাটিতে উজ্জ্বল রঙের কারুকাজ করে বিভিন্ন নকশা তৈরি করা হয়। সর্বোপরি নৌকাটিকে দর্শকের সামনে যথাসম্ভব আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা থাকে।



উপযুক্ত নৌকায় দু’পাশে মাঝিরা সার বেধে বসে পড়ে বৈঠা হাতে। মাঝিদের বৈঠা টানাকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য একজন পরিচালক থাকে যাকে বলা হয় গায়েন। সে বসবে নৌকার গলুই-এ।। মাঝিরা একত্রে জয়ধ্বনি সহকারে নৌকা ছেড়ে দিয়েই এক সাথে কোনো একটি গান গাইতে আরম্ভ করে এবং সেই গানের তালের ঝোঁকে ঝোঁকে বৈঠা টানে ; যার ফলে কারও বৈঠা ঠোকাঠুকি না-লেগে এক সাথে পানিতে অভিঘাত সৃষ্টি করতে থাকে। গায়েন বা পরিচালক কাঁসির শব্দে এই বৈঠার এবং গানের গতি বজায় রাখতে সাহায্য করে। অন্য সব নৌকাকে পেছনে ফেলে নিজেদের নৌকাকে সবার আগে যাওয়ার চেষ্টায় প্রয়োজন বোধে কাঁসির শব্দে বৈঠার গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয় এবং সেই সাথে গানের গতিও বেড়ে চলে। এ ছাড়া এই সময় দেহ ও মনের উত্তেজনার বশেই গানের মধ্যে 'হৈ, হৈয়া" এই ধরনের শব্দের ব্যবহার দেখা যায়। এটি সারি গানের বিশেষ বৈশিষ্ট্য।



নৌকাবাইচের সময় মাল্লারা সমবেত কণ্ঠে যে গান গায় তা সারি গান নামে অভিহিত। একটি জনপ্রিয় সারিগান নিম্নরূপ:





আল্লায় বলিয়া নাও খোল রে

ভাই সক্কলি।

আল্লাহ বলিয়া খোল।।

ওরে আল্লা বল নাও খোল

শয়তান যাবে দূরে।।

ওরে যে কলমা পইড়া দেছে

মোহাম্মদ রাসূলরে

ভাই সক্কল।...








ফুল টোক বাংলাদেশের গ্রামীন শিশু কিশোরদের অন্যতম খেলা। বাড়ির আঙ্গিনাতে কিংবা স্কুলের মাঠে মেয়েরা ফুল টোকা খেলে থাকে। শিশু বয়স থেকে কৈশোর পর্যন্ত এই খেলায় অংশ নেয় গ্রামের মেয়েরা। এই খেলায় কোনো উপকরণ লাগে না।



সাইকেল বাজে ক্রিং ক্রিং

বাবুর দোকানে

রাজার বেটির বিয়ে হইছে পাক্কা দালানে

মা দেবে খোঁপা বান্ধে

বাবা দিবে বিয়ে

ফুলের আগায় কড়ি

দশমনকা ভরি




দলপতি সহ দুই দলে ভাগ হয়ে কিছুটা দূরত্বে মুখোমুখি বসে এই খেলা শুরু করতে হয়। দুই দল নিজেদের খেলোয়াড়দের নাম ফুল অথবা ফলের নামে রেখে থাকে। দলপতি অপর পক্ষের যে কোনো খেলোয়াড়ের চোখ দুইহাতে চেপে ধরে সাংকেতিক নামে তার যে কোনো একজন খেলোয়াড়কে ডাকে। সে খেলোয়াড় এসে চোখ ধরে রাখা খেলোয়াড়টির কপালে আলতো করে টোকা দিয়ে নিজের জায়গায় গিয়ে বসে। চোখ খোলার পর ঐ খেলোয়াড়কে যে টোকা দিয়েছে তাকে সনাক্ত করতে হয়। সফল হলে সে সামনের দিকে লাফ দেবার সুযোগ পায়। এইভাবে যে দলের খেলোয়াড় লাফ দিয়ে প্রথমে সীমানা অতিক্রম করে সেই দলই জয়ী হয়।









বলীখেলা এক বিশেষ ধরনের কুস্তি খেলা। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিশেষ উৎসব, উপলক্ষে এই খেলার আয়োজন করা হয়। এই খেলায় অংশগ্রহনকারীদেরকে বলা হয় বলী। প্রতিবছর চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে অনুষ্ঠিত জব্বারের বলীখেলা একটি জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যমন্ডিত প্রতিযোগিতা হিসেবে বিবেচিত।

ভারতবর্ষের স্বাধীন নবাব টিপু সুলতানের পতনের পর এই দেশে বৃটিশ শাসন শুরু হয়। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনকে বেগবান করার লক্ষ্যে দেশের যুবসমাজকে উদ্বুদ্ধ করার জন্যে চট্টগ্রাম শহরের বদরপতি এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মরহুম আবদুল জব্বার সওদাগর বলী খেলা বা কুস্তি প্রতিযোগিতার প্রবর্তন করেন। তখনকার সময়ে এই প্রতিযোগিতা সমগ্র বৃহত্তর চট্টগ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবছর বাংলা সনের ১২ বৈশাখ জব্বারের বলী খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

জব্বারের বলী খেলার পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন স্থানে যেমন কক্সবাজারে ডিসি সাহেবের বলী খেলা, সাতকানিয়ায় মক্কার বলী খেলা, আনোয়ারায় সরকারের বলী খেলা, রাউজানে দোস্ত মোহাম্মদের বলী খেলা, হাটহাজারীতে চুরখাঁর বলী খেলা, চান্দগাঁওতে মৌলভীর বলী খেলা এখনও কোনরকমে বিদ্যমান।









বাংলাদেশের গ্রামীন কিশোর ছেলেদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় খেলা মার্বেল। কোন কোন অঞ্চলে মার্বেল খেলাকে বিঘত খেলাও বলে। সম্ভবত অভিভাবকদের নিষেধাজ্ঞাই এই খেলার প্রতি কিশোরদের অদম্য আকর্ষণ সৃষ্টি করে। এই খেলার নিস্পত্তি হয় অন্যের মার্বেল খেলে জিতে নিজের করে নেবার মাধ্যমে।



মার্বেল খেলার জন্য কমপক্ষে দুইজন খেলোয়াড় দরকার হয়। তিন, চার, পাঁচ, বা সাতজন মিলেও খেলা যায়। পরিষ্কার সমতল ভুমি এই খেলার জন্য উপযোগী।

প্রথমে দুইটি একটি রেখা টানতে হয়। রেখা থেকে চার-পাঁচ হাত দূরে একটি গর্ত করতে হয় যেন একটি মার্বেল সেই গর্তে বসতে পারে। আঞ্চলিক ভাষায় রেখাটিকে ‘জল্লা’(কোথাও ‘জই’ নামে পরিচিত) এবং গর্তটিকে ‘কেপ’ বলে। জল্লার বাইরে পা রেখে প্রত্যেকে একটি করে মার্বেল কেপ এ ফেলার চেষ্টা করে। যার মার্বেল কেপ এ পড়ে বা সবচেয়ে কাছে যায় সে প্রথম দান পায়। সবাই প্রথম যে দান পায় তার হাতে ২/৩/৪টি করে মার্বেল জমা দেয়।

সে মার্বেলগুলো ছকের বাইরে বসে সামনের দিকে ওই গর্তের আশপাশে আলতো করে ছড়িয়ে দেয়। এরপর অন্য খেলোয়াড়রা একটা নির্দিষ্ট মার্বেলকে বলে ‘বাদ’। অর্থাৎ ওই মার্বেল ছাড়া বাকি যে কোন একটি মার্বেলকে অন্য একটি মার্বেল ছেড়ে দিয়ে স্পর্শ করতে হবে। যদি এমনটা পারে তাহলে ওই দান সে জিতে যায়। আর না পারলে পরবর্তী জন একইভাবে খেলার সুযোগ পায়।

তবে ‘বাদ’ দেয়া মার্বেল কিংবা অন্য একাধিক মার্বেলকে ছুড়ে দেয়া মার্বেল স্পর্শ করলে ওই খেলোয়াড়কে ফাইন দিতে হয়। এবং দান জেতার জন্য পরবর্তী খেলোয়াড় ফাইন হওয়া মার্বেলসহ সেগুলো ছড়িয়ে দিয়ে খেলতে থাকে।

যে কেউ দান জিতলে আবার পুনরায় খেলা শুরু হয়। এভাবেই চলতে থাকে যতক্ষণ না প্রতিপক্ষ আত্মসমর্পণ করে কিংবা তার কাছের মার্বেল শেষ না হয়ে যায়।







লাটিম বা লাড্ডু বাংলাদেশের অন্যতম একটি গ্রামীন খেলা| আগে সুতার মিস্ত্রিরাই গ্রামের কিশোরদেরকে লাটিম বানিয়ে দিতো। তারা সাধারণত পেয়ারা ও গাব গাছের ডাল দিয়ে এই লাটিম তৈরি করতো। নির্বাচিত পাট থেকে লাটিমের জন্য লতি বা ফিতা বানানো হতো। বর্তমানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তুলাজাতীয় নরম কাঠ দিয়ে লাটিম এবং গেঞ্জির কাপড় দিয়ে লাটিমের ফিতা বানানো হয়।

সাধারণত দুই ধরনের লাটিম খেলা হয়। ১। বেল্লাপার এবং ২। ঘরকোপ

বেল্লাপার

বেল্লাপারে একটি দাগ কেটে সীমানা চিহ্নিত করা হয়। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় নির্ধারণী খেলায় যে লাটিম পরাজিত হয় তাকে ঘর থেকে নিজেদের লাটিম দিয়ে আঘাত করে করে প্রতিযোগীরা সীমানা পার করে দেয়। ঘুর্ণায়মান লাটিম হাতে নিয়েও প্রতিযোগী লাটিমকে আঘাত করা যায়। মাটিতে রাখা লাটিমকে আঘাত করতে ব্যর্থ হলে ঐ লাটিমের স্থানে ব্যর্থ লাটিমকে রাখা হয় এবং তাকে বেল্লা পার করা হয়। শর্ত অনুযায়ী সীমানা পার করা লাটিমকে নিজের লাটিম বা দা দিয়ে কোপ দেওয়া হয়।

ঘরকোপ

লাটিমের ফিতা ও লাটিম দিয়ে একটি বৃত্ত আঁকার পর বৃত্তের ভিতর বন্দী লাটিমগুলোকে রাখা হয়। বৃত্তের ভিতরের লাটিমগুলিকে বাইরের মুক্ত প্রতিযোগীদের লাটিম দিয়ে আঘাত বা কোপ মেরে ক্ষত করাই এই লাটিম খেলার উদ্দেশ্য।







লুডু খেলা বাংলাদেশে অন্যতম বিনোদন হিসেবে বিবেচিত। ঘরের বিছানায় অথবা মাটিতে মাদুর পেতে কৈশোর অতিক্রান্ত ছেলে মেয়েরা এ খেলাটি খেলে থাকে। এই খেলাটির সরঞ্জাম বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উত্পাদন করা হয়। গ্রামের বিবাহিত মহিলারাও অবসর সময়ে এই খেলাটি খেলে থাকে।





এই খেলায় প্রতিটি প্রতিযোগীর চারটা করে গুটি থাকে, প্রতিটি খেলোয়াড় একটি নির্দিষ্ট ঘর দখল করে। যে প্রতিযোগী ডাই চেলে প্রথম ছক্কা ফেলতে পারে সে'ই তার ঘর থেকে গুটি বের করে যাত্রা শুরু করতে পারে। প্রতিটি প্রতিযোগীকে এভাবে ঘর থেকে বের হয়ে পুরো ছক অতিক্রম করে নিজের ঘরে ফিরে এসে গুটি পাকাতে হয়। সবশেষে যার সবগুলো গুটি নির্দিষ্ট ঘরে পৌছায় সে বিজয়ী হয়।



লুডু খেলার ছকের পেছনে সাপ খেলার ঘর আঁকা থাকে। এই খেলায় যে প্রতিযোগী ডাই চেলে প্রথমে ১ (এক) ফেলতে পারে সে ঘর থেকে বের হবার সুযোগ পায়। এক থেকে একশ পর্যন্ত যে প্রতিযোগী যেতে পারে সে'ই জয়ী হয়। যে গুটি সাপের মুখে এসে পড়ে সাপ তাকে কেটে দেয় অর্থাৎ সাপের মুখ থেকে লেজ অঙ্কিত ঘরে পিছিয়ে আসে এবং যে গুটি মই এর গোড়া অংকিত ঘরে আসে সেটি মই বেয়ে মই এর উপরের ঘরটিতে পৌঁছে যায়।







ষোল গুটি বাংলাদেশের গ্রামীন পুরুষদের অন্যতম প্রধান খেলা। অলস অবসরে গ্রামের যুবক ও মধ্যবয়সী পুরুষেরা ষোলগুটি খেলে। মাটিতে দাগ কেটে শুকনো ডাল ভেঙ্গে গুটি বানিয়ে চলে এই দীর্ঘমেয়াদি খেলা। খেলার এত সহজ সরঞ্জাম গ্রামবাসীর উত্সব মুখর মনের বহিঃপ্রকাশকেই প্রমাণ করে।



সাধারণত মাটিতে দাগ কেটে ষোল গুটির ঘর বানানো হয়। প্রতি পক্ষেই ১৬টি করে গুটি থাকে। শুধু ঘরের মাঝখানের দাগটি দান চালার জন্য খালি থাকে। কোনাকুনি দাগের গুটিগুলো সারা ঘর জুড়ে এক ঘর করে কোনাকুনি খেতে পারে। উলম্ব দাগ কাটা ঘরের গুটিগুলো লম্বভাবে এক ঘর করে খেতে পারে। অপর পক্ষের গুটিকে ডিঙ্গাতে পারলেই সে গুটি কাটা পড়ে। এই ভাবে প্রতিপক্ষের গুটির সংখ্যা কমিয়ে শূন্য করে ফেলতে পারলেই খেলা শেষ হয়ে যায়। ষোল গুটির আর একটি রূপান্তর হলো বাঘ ছাগল খেলা। এক পক্ষ ষোলটি গুটি নেয় এবং অন্য পক্ষ একটি গুটি নিয়ে বাঘ ছাগল খেলা খেলে। একটি গুটিকে বাঘ এবং ষোলটি গুটিকে ছাগল বলে। বাঘের কোনাকুনি এবং লম্বালম্বি সব ধরনের গতিই বৈধ। ছাগল বা ষোল গুটির চাল অন্য খেলার মতই। ১৬ গুটি দিয়ে বাঘের চাল বন্ধ করে দিতে পারলেই খেলা শেষ হয়ে যায়। আর বাঘ চেষ্টা করে প্রতিপক্ষের সবগুলো গুটিকে খেয়ে নিতে।









সবশেষে বলেন দেখি এটা কি খেলা ? ;)





মন্তব্য ১০০ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (১০০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫৮

আসাদুজ্জামান ইব্রাহি২২১১ বলেছেন: শহরের ল্যাপটপ ,কম্পিউটার এর যুগে কৃত্রিমতার থেকে নাড়ীর টান আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে আমরা যখন ভুলে যাচ্ছি ,তখন ভিন্ন আয়োজনে পুরনোকে(নিজেকে) মনে করিয়ে দেয়ার জন্য এক ডালা অভিনন্দন ।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:০২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন: আপনার দেয়া ডালা ভরা অভিনন্দন আমার হৃদয়ের আল্মিরাতে রেখে দিলাম অনেক অনেক ধন্যবাদ

২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:০১

বলেই ফেলি বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট মনে হয় গ্রামে ফিরে গেছি।
++++++++++

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:০৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন: ধন্যবাদ চলুন তাহলে ফিরে যাই গ্রামে

৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:০৪

সামাজিক জোছনা বলেছেন: অনেকে অনেক অনেক সুন্দর পোস্ট ভাই। একেবারে ছোডকালে ফিরা গেছি!

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন: আমারও মাঝে মাঝে খুব ফিরা যাইতে মন চায় সেই ছোট বেলায়

৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:০৯

s r jony বলেছেন: কানা মাছি ভো ভো,
যারে পাবি তারে ছো।

হই চই সারাদিন আর আনন্দ।।


পোস্টে ভাল লাগা ও প্লাস
+++++++++++্

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আর আপনি ধাঁ ধাঁর সঠিক উত্তর দিতে পেরেছেন তাই আপনার জন্য উপহার হিসাবে থাকবে এই খেলায় আপনার চোখ বেঁধে দেয়া হবে ........... ;)

৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:১০

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: ইশরে...কই গেল আমার সব খেলার সাথীরা...!!আমিও খেলবো :((

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন: চলুননা আমরা আবার ফিরে যাই সেই ছোট বেলায় একসাথে কিছু খেলা খেলতে

৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:১২

লাবনী আক্তার বলেছেন: ইচিং বিচিং, ওপেন টু বাইস্কোপ , কুতকুত কত খেলেছি ছোট বেলায়! কি মজার না ছিল সেই সময়। মধুর ছিল শৈশবের দিনগুলো। ইস! আবার যদি ফিরে পেতাম সেই দিনগুলো!
সুন্দর পোস্ট। ধন্যবাদ ।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন: ওপেন টু বাইস্কোপ
নাইন টেন তেইশ কোপ
সুলতানা বিবিয়ানা
সাহেব বাবুর বৈঠকখানা
সাহেব বলেছে যেতে
পান সুপারি খেতে
পানের আগায় মরিচ বাটা
স্প্রিংএর চাবি আঁটা
যার নাম মনিমালা
তাকে দেবো মুক্তার মালা।

৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:১৮

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি।আহারে!

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন: আহারে যদি আবার সেই দিনগুলি ফিরে পাওয়া যেত

৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:১৯

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: খেলার সাথীদেরকে মিস করছি,,,,,,,মনে পড়ে গেল কত খেলার কথা,,,,,,,,,,,প্রিয়তে নিলাম

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ অনেক আপু আপনাকে

মনে পরে যায় আমার শৈশব .........

৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২৫

বার্ডস ফ্রম দ্যা সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড বলেছেন: আমি বাংলায় গান গাই, আমি বাংলার গান গাই
আমি আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুজে পাই।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমি যেন এই বাংলার মাটিতেই মিশে যেতে পারি চিরতরে

১০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৫৬

মঈনউদ্দিন বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট +++++++++

আমি এই বাংলার মায়া ভরা পথে, হেঁটেছি এতটা দূর
বাংলা আমার জীবনানন্দ, বাংলা প্রাণের সুখ
আমি একবার দেখি, বার বার দেখি, দেখি বাংলার মুখ

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৪৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন: আমি যেন এই বাংলার মাটিতেই মিশে যেতে পারি চিরতরে

১১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০২

সঞ্জয় নিপু বলেছেন: আসলে আমরা যারা শহর কেন্দ্রিক তারা আসলে এই খেলা ধুলা গুলোর অনেক গুলোই জানে না এবং বোঝে না ।

ধন্যবাদ। সুন্দর পোষ্ট । ++ পেয়েছেন ।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৪৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন: বুঝবে কি করে সঞ্জয় ভাই অরাত সারাদিন কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ দিয়ে আজগুবি সব গেমস খেলে কিন্তু এই খেলাগুলো আমরা যারা ছোট বেলায় খেলেছি তারাই জানি এর আনন্দ অথবা মর্ম বেদনা কতটুকু

প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ

১২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০৩

একজন আরমান বলেছেন:
আমি নৌকা বাইচ আর বলি খেলা বাদে বাকি সবগুলো খেলাই খেলেছি। যখন ছোট ছিলাম ডাংগুলি, লাটিম আর মারবেল আর ক্রিকেট বেশী খেলতাম। ছেলেবেলা মিস করি।

অঃ টঃ

আপনার পিচ্চির কি অবস্থা? ড্রেসিং করিয়েছেন?

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন: আমিও নৌকা বাইচ আর বলি খেলা বাদে বাকি সবগুলো খেলাই খেলেছি।ছেলেবেলা খুব মিস করি।


ছেলের অবস্থা এখন পুরোপুরি ভালো ধন্যবাদ আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা রইল

১৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:১৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আহ ! ছোট্ট বেলায় ফিরে গেলাম ।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
:( :( :( :( :( :( :( ছেলেবেলা খুব মিস করি।

১৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:১৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার, অনেক দারুন একটা পোষ্ট!। প্রিয় না রেখে যাই কোথায়।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চলুন তাহলে গ্রামে ফিরে যাই শহরের সব কোলাহল আর ক্যাচাল থেকে আমাদের সেই শৈশবে যেখানে আমরা খেলতে পারব আবার এইসব খেলা

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই

১৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: পোষ্ট পড়ে ও ছবিগুলো দেখে বিমোহিত হলাম। দারুন এই পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনি বিমোহিত হয়েছেন জেনে আমিও আবেগে আপ্লুত হলাম

ধন্যবাদ

১৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫৯

যুবায়ের বলেছেন: অসাধারন একটি পোষ্ট!!..
গ্রামের সেই ছোট্টবেলার দিনগুলি ভেসে উঠলো সামৃতির পাতায়...
শিতকালে লাটিম খেলতাম! আহা!!..

পোষ্টে প্লাস++++

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:০৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন: আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা ফুল তুলিতে যাই
ফুলের মালা গলায় দিয়ে গ্রামে ফিরে যাই


প্লাসের জন্য ধন্যবাদ

১৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:০০

যুবায়ের বলেছেন: **স্মৃতির পাতায়..

সরি মিসটেক!!

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:০৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন: :)

১৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:১৭

মুসাব্বির৬৬৬ বলেছেন: আহারে ! গ্রামে যে কি মনে পড়ে ! মিস করি খুব।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন: চলুন তাহলে গ্রামে ফিরে যাই শহরের সব কোলাহল আর ক্যাচাল থেকে আমাদের সেই শৈশবে

১৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২৪

সািহদা বলেছেন: "কানা মাছি ভো ভো,
যারে পাবি তারে ছো"


আহা ছোট্টবেলার সেকথা .......

ছোট্ট বেলায় ফিরে গেলাম ।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন: "কানা মাছি ভো ভো,
যারে পাবি তারে ছো"

:) :) :)

২০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩১

Sohelhossen বলেছেন: আর কিছু দিন পর এই খেলা গুলো রূপকখার গল্গে থাকবে :(
উপরে উল্লেক্ষিত সব গুলো খেলাই খেলেছি , শুধু বলি খেলা টা বাদ দিয়ে ।
সোনালী অতীত মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন: আর কিছু দিন পর এই খেলা গুলো রূপকখার গল্গে থাকবে


সহমত

ধন্যবাদ ।

২১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:০০

নস্টালজিক বলেছেন: বাহ, দারুণ পোস্ট!

শৈশবের নিখাদ নস্টালজিয়া!


শুভেচ্ছা, কান্ডারী!

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই নস্টালজিক

২২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:০৭

নেক্সাস বলেছেন: ওরে আল্লাহ রে করছেন কি? একদম নষ্টালজিক হয়ে গেলাম..

এরি---দুরি---তেরি--চুরি---চাম্পা ---জেক---জান


প্রিয়তে নিলাম

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এরি---দুরি---তেরি--চুরি---চাম্পা ---জেক---জান

=p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই

২৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১০

রুদ্র মানব বলেছেন: দারুন লিখেছেন ,
এসকল খেলাগুলার নামটাই ভুলে গেছিলাম,
আপনার পোস্ট পড়ে আবার মনে পড়ল B-)

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ইচিং বিচিং চিচিং ছা
প্রজাপতি উড়ে যা

২৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১৯

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আহ ভুলেই গিয়েছিলাম
এমন সব খেলায় কাটাইতাম বেলা
কি হত আনন্দ
জমত ভারি মেলা :-P :>

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ওপেন টু বাইস্কোপ
নাইন টেন তেইশ কোপ
সুলতানা বিবিয়ানা
সাহেব বাবুর বৈঠকখানা
সাহেব বলেছে যেতে
পান সুপারি খেতে
পানের আগায় মরিচ বাটা
স্প্রিংএর চাবি আঁটা
যার নাম মনিমালা
তাকে দেবো মুক্তার মালা।

২৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:০৯

সবুজ মহান বলেছেন: বাংলাদেশে যত প্রকারের খেলাধুলা আছে সব নিয়ে একটা পিডিএফ বই বানিয়ে ছিলাম বাংলাপিডিয়ার সহায়তা নিয়ে ।

কপিরাইটের ঝামেলা না থাকলে আপলোড করে দিতাম ।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:২৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন: অতি উত্তম কাজ ভালো থাকবেন সবসময়

২৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৪৮

দূর্যোধন বলেছেন: বলী খেলা আর নৌকাবাইচ বাদে সবই তো খেলছি দেখি । তবে হাডুডু খেলতে গিয়া ভালোই ব্যাথা পাইছিলাম,এখনো মনে পড়লে ব্যথা ওঠে :(

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
:( :( :(
আপনার ব্যাথা পাওয়ার কাহিনী পড়ে আমারও মনে পরে গেল আমার এমনই এক ব্যাথার ঘটনা । আমি একবার লাটিম খেলতেগিয়ে আমার পায়ের পাতা ফুটো করে ফেলেছিলাম । লাটিমটা একদম আমার পায়ের পাতার উপর এসে পরেছিল । :( :( :(

অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে :) :) :)
আমার ব্লগে স্বাগতম এবং অনেক শুভকামনা আপনার জন্য

২৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:১৪

শের শায়রী বলেছেন: ভাই কয়েক দিন আগে আমিও ওই রক ম একটা পোষ্ট দিছিলাম,
Click This Link
আজকে আপনার টা পড়লাম। চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিছেন ভাল লেখা কাকে বলে?
একই বিষয়ে আপনি আমি লিখলাম। কি অসাধারন আপনার লেখাটা। অসাধারন আপনার উপাস্থপনা। অভিনন্দন

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন: ভাইত দেখি আমারে লজ্জায় ফেলে দিলেন আপনার লেখা আমার লেখার চেয়ে কয়েক গুন বেশী ভালো হয়েছে চালিয়ে জান আর অনেক ধন্যবাদ পাশে থাকবেন সবসময় আশা করি । আপনার পোস্ট এই মাত্র দেখলাম আমিও অনেক কিছু জানতে পারলাম খুবি চমৎকার হয়েছে আপনার পোস্ট টি ।

২৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৫২

মশিউর .রহমান বলেছেন: আগে কি সুন্দর খেল খেলাইতাম।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আগে কি সুন্দর খেল খেলাইতাম।

আমরা আগে কি সুন্দর খেল খেলাইতাম।

!:#P !:#P !:#P !:#P !:#P !:#P !:#P

২৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১০

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: এ জন্যই সামুকে এত ভালবাসি। এত দারুন দারুন লেখা পাওয়া যায় !!!

+++++++++++++++++

অনেক অনেক ভাললাগা।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনার সাথে পূর্ণ সহমত এবং আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই । ভালো থাকবেন ।

৩০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৯

স্বপনবাজ বলেছেন: ++++

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাই স্বপনবাজ আমারে কিছু স্বপ্ন ধাঁর দিবেন আমার এখন আর স্বপ্ন দেখা হয়ে উঠে না কেন আর স্বপ্ন দেখতে পারিনা সেটা বলা যাবেনা শুধু আপনার কাছ থেকে কিছু স্বপ্ন ধাঁর দিলেই আমার চলবে ।

৩১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৩৫

স্বপনবাজ বলেছেন: আপনার আর স্বপ্ন দেখার কি দরকার ! মেলা বয়স হইছে ! তাও চাইছেন , দিবানি !

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাই বুড়া বইলা কি আমার সখ আল্লাদ থাকতে পারেনা :P

যাক দেখা হইলে দিয়েন !:#P

৩২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৪৩

গ্রাম্যবালিকা বলেছেন: আমার একটু টমবয় স্বভাব। :#> :P এইবার বাড়ি যেয়ে দাড়িয়াবান্ধা খেলেছি ছেলে দের সাথে, বেশীরভাগ কাজিন। ছবিটার মতই ওই ছেলেদের বয়স।
খুব মজা হয়েছিল। :)

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এত বড় কষ্ট দিতে পারলেন আমি থাকতে ওই টমবয় রে নিয়া দাড়িয়াবান্ধা আপনে খেলতে পারলেন এহন আমি কার লগে দাড়িয়াবান্ধা খেলমু

X( X(( X(

৩৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২০

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন:
চরম হইছে ! কিছু দিন আগেও একজনের সাথে আলাপ হচ্ছিলো দেশীয় খেলার বিষয় নিয়ে। অবশ্য আমি এখনও দেশীয় খেলার সাথে জরিত আছি।


১৫তম ভালো লাগা।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাই এমন খেলার কোন ইভেন্ট পেলে আমাকেও ডাকবেন কিন্তু

৩৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২০

মেহেদী হাসান মানিক বলেছেন: অসংখ্য ভাল লাগা এইরকম একটি পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা ছিল। খুব ভাল হইছে ভাই।
++ এই খেলা গুলো এখনও টানে।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
জানেন মাঝে মাঝে যখন গ্রামে যাই তখন দেখি ছেলে মেয়েরা এখন আর এইসব খেলা খেলেনা ওরাও এখন অনেক আধুনিক হয়ে গেছে এই খেলাগুলো প্রায় উঠেই গেছে

৩৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ২:৫৯

বৈরাম খাঁ বলেছেন: ভাই দিলেন তো নষ্টালজিক কইরা X( ।গোললাছুট,কুমির,সাতচাড়া,বৌ চি,দাড়িয়াবান্ধা,চামচাম বুদবুদ আরও কত খেলা যে খেলছি :(( ।ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটা পোষ্ট দেয়ার জন্য।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আরও একটা খেলা ছিল তার নাম বোম বাস্তিং খেলেছেন নিশ্চয়ই :)

৩৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫০

এম এম ইসলাম বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। ছবির সংগ্রসমুহ আরো চমৎকার।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ছবিগুলো অনেক বাছাই করে সংগ্রহ করেছি ভাই অনেক ধন্যবাদ

৩৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৪৫

আবু সালেহ বলেছেন: মনে পড়ে যায় সেইসব দিন....স্বৃতির পাতায় যা অমলিন.......


কানামাছি বোঁ বোঁ...গোল্লাছুট......সাতচারা.....রুটি....আরো কত কি খেলা,.....

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
রুটি !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! নাকি মাংস চোর খেলার কথা বলছেন

৩৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৫

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ অনেক

৩৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৫

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অসাধারণ পোস্ট

৪০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩৮

আমি বাঁধনহারা বলেছেন:
আপনার লেখা পড়ে আবারও ইচ্ছে করছে
ফিরে যায় অতীতের তীরে।
কিন্তু যে সোনালি অতীত হারিয়ে যায়
তা কি আর আসে ফিরে!!
অতীতের কথা মনে করে মাঝে মাঝে
মন হয় আনমনা।
অতীতের রোমাঞ্চর স্মৃতি কেউ কখনো
ভুলতে পারে না!!

বাল্যকালে কাবাডি ও বৌচুরি আমার প্রিয় খেলা ছিল।

শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।


ভালো থাকবেন
মনে রাখবেন!!!

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমার খুব ইচ্ছা করে সেই দিন গুল ফিরে পেতে

৪১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:১৭

FREE THINKER বলেছেন: ছেলে বেলার মধুর স্মৃতি মনে পড়ে গেলো..........

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমার খুব ইচ্ছা করে সেই দিন গুল ফিরে পেতে

৪২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৮

আমিনুর রহমান বলেছেন: অনেক সুন্দর সুন্দর স্মৃতি মনে পরে গেলো।




আমি মার্বেল খেলতাম অনেক। আমার প্রায় দুটো কাসার কলস ভর্তি মার্বেল ছিলো। কুতকুত, কানামাছি, গোল্লাছুট, ডাংগুলি, দারিয়াবান্দনা ..................



অসাধারন পোষ্ট ++++

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার স্মৃতি গুলো অমর থাকুক

৪৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪৮

একজনা বলেছেন: ইশ! ছোট্টবেলায় এই খেলাগুলো যে কত খেলেছি। লাষ্ট বাড়ি গিয়েছি যেবার, আম পাতা, জাম পাতা খেলেছি পিচ্চি কাজিনগুলার সাথে। :) :) :) লুডু তো এখনও খেলা হয়।

স্মৃতিতে এখন ছোট্র বেলার মধুর সময়গুলো। পোষ্টে ++++++++++++

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৪১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
স্মৃতিতে এখন ছোট্র বেলার মধুর সময়গুলো। আরে লুডু আমিও খেলি ।

অনেক ধন্যবাদ একদিন আপনার সাথে লুডু খেলতে হবে, দেখি আপনি কেমন পারেন ?

৪৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৬

একজনা বলেছেন: লুডু অনেক ভাল খেলতে পারি আমি। অনিচ্ছাকৃতভাবে কখনই হারিনি। আপনি হেরে যাবেন নিশ্চিত থাকেন। B-) B-) B-)

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:২৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ঠিক আছে দেখা যাবে :) :) :)

৪৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০০

রাইসুল নয়ন বলেছেন: অনেক স্মৃতি মনে পরে গেল !!

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
স্মৃতি গুলো বড়ই রোমাঞ্চকর

ধন্যবাদ ভাই

৪৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৫৯

এস এম লুৎফুল্লাহ মাহমুদ বলেছেন: ভাইরে!!!!!
অস্থির পোস্ট।
সবগুলো খেলা খেলছি, নৌকা চালাইছি অনেক, এখনো চালাই, শুধু বলীখেলাটা আমরা অন্য নামে চিনতাম (পাছড়া-পাছড়ি খেলা)।
১০০+++

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
স্মৃতিতে এখন ছোট্র বেলার মধুর সময়গুলো।

ধন্যবাদ অনেক

৪৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫

শুভখান বলেছেন: ভালো লাগ নাই .।.।.।.।.।তমি কি গাজা খওয়া শুঁড় করালা.।.।.।.।.।.।হা হা হা

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাই উল্টা পাল্টা কমেন্ট করা বন্ধ করেন ।

৪৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮

শুভখান বলেছেন: ভাই আপনা কে বাজে মন্তব্য করাতে , আমাকে মাপ করে দিবেন.।.।.।.।।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আরে ভাই এইসব মাফ আবার কিরে ভাই ব্লগে আমরা সবাই ভাই ভাই তাই মাইন্ড করি নাই । ভালো থাকবেন অনেক শুভ কামনা রইল আপনার জন্য ।

৪৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বউচি আর গোল্লা ছুট :( :(
আপ্নে লুক ভাল না, খালি মন খারাপ করায়েয়া দেন ।।

পোস্ট এ +++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++দিলাম,
আজ না হয় ফিরে যাব স্বপ্নময় শৈশব এ আপনার পোস্ট ধরে





১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৩৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সত্যি কি আমি লোক ভাল না :(

সত্যি যদি আবার শৈশবে ফিরে যাওয়া যেত জীবনটাকে আবার নতুন করে সাজানো যেত :)

৫০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০২

তাসজিদ বলেছেন: এর অনেক গুলই খেলেছি। কি চমৎকার দিন ছিল।

আর আজকাল কার বাচ্চারা ত এসব খেলার নামও যানে না।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


খুব মিস করি ছোট বেলার সেই দিনগুলোকে। আর আমার ছেলেরা মাঠের অভাবে এইসব খেলার নামই শুনে না খেলবে সেতো আরও দূরের কথা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.