![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।
বাড়ির পেছনে একটা বড় আম গাছ আছে সেখানেই সুরুজ আলী জীবনের শেষ কটা দিন কিভাবে কাটাবে তাই ভেবে উদাস দাড়িয়ে আছে। রুহিতপুর গ্রামে সবাই একনামে চেনে সুরুজ বাউল কে। যে কোন অনুষ্ঠানে তার ডাক পরে গান গাওয়ার জন্য। কিন্তু আজ প্রায় বছর পাঁচ হল সে গান গাওয়া ছেড়ে দিয়েছে । টুকটাক ভিক্ষা করে যাও চলে যেত কিন্তু অসুখের কারনে আজ সে ভরসাও গেছে। গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে গান গাইতে গাইতে তার স্ত্রীর প্রতি খেয়াল রাখা হতনা। কখন যে সময়ের নির্মম কষা ঘাত তার কাছ থেকে তার স্ত্রীকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে বহু দুরের আঁধার সেই শোঁক আজো পীড়া দেয় তাকে। স্ত্রীর প্রতি ছিল অগাধ ভালোবাসা কিন্তু সেটা কখন সে বুঝাতে পারেনি। এখন শুধুই তার মৃত্যুর অপেক্ষা। সুরুজ আলীর এক ছেলে আছে । কিন্তু সে বহু আগেই তার বাবাকে ত্যাগ করে চলে গেছে। তার বাবা যে একজন বাউল এটা সে কোন ভাবেই মেনে নিতে পারত না ।খুব অল্প বয়সেই অভাবে তার স্বভাব নষ্ট হয়। মাথার ভিতর শুধু কাজ করতে থাকে কি করে টাকা পয়সা রোজগার করা যায়। কিন্তু এইসব নিয়ে সুরুজ আলীর আজ কোন দুঃখ নাই। শুধু মনে মনে সে দোয়া করে তার ছেলে যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক।
বস্তীতে আজ বিয়ের ধূম লেগেছে। একদিকে উচ্চ স্বরে হিন্দি গান চলছে ও মেরা বাবু ছ্যেল ছাবিলা মেত নাচুঙ্গি...... আর সেই গানের সাথে তাল মিলিয়ে নাচছে বস্তীর কিছু উঠতি বয়সি ছেলে মেয়ে। রুবার আজ বিয়ে । বউ সেজে বসে আছে। আর কিছুক্ষনের মধ্যে বর পক্ষ হয়ত চলে আসবে। বউ সাঁজে রুবাকে মনে হচ্ছে স্বর্গ থেকে নেমে আসা কোন এক পরী যেন। একবার সপন তাকে দেখতে গিয়েছিল। তারও বিয়েতে নিমন্ত্রন রয়েছে। কিন্তু যাকে সে এতকাল ভালোবেসে এসেছে , যাকে নিয়ে দেখেছে সংসার করার স্বপ্ন সেই রুবার আজ বিয়ে হবে, তারই চোখের সামনে দিয়ে অন্যের হাত ধরে চলে যাবে তার কলিজার টুকরা এটা কোন ভাবেই যেন মেনে নিতে পারছিলনা সপন। বস্তী থেকে বেড়িয়ে এসে কাওরান বাজারের ভিতর দিয়ে হেটে বিল্লাল এর আড্ডায় এসে বসল সপন।
কিরে সপন এত উদাস লাগতাছে কেন তরে ?
আইজ রুবার বিয়া।
ভাল কথা, তা তোর এত মন খারাপের কি আছে !
বিল্লাল ভাই তুমি বুঝবানা। এক কাজ কর আমারে একটা সুই দাও দেহি।
দেখ সুই আমি দিতে পারি কিন্তু তুইত কখনো সুই নেস নাই। তোর সহ্য হইব না।
আইজ যদি বিল্লাল ভাই তুমি আমারে বিষ আইনা দাও হেইডাও সইয়া যাইব।
ঠিক আছে নে তোর মর্জি তয় এইডার লাইগা তোর থন আমি কোন টাকা নিমুনা। কারন জানি আইজকার পর থন তোর এইডা রোজ লাগব আর তহন তোর এই আমার কাছেই আইতে হইব।
বিল্লাল ভাই তুমি দেহি লোকটা ভীষণ খারাপ!
আরে বেডা খারাপের দেখছস কি ? আমি আমার বাবা মারে ছাইরা এই শহরে আইছি টাকা কামাইতে। এহন আমি জানিওনা হেরা কেমন আছে। জানার কোন ইচ্ছাও নাই । আমি দুই হাত ভইরা টাকা কামাই করি। ভালাইত আছি। তাইলে বোঝ আমি কত খারাপ ! হা হা হা হা ।
সপন এর হাতে বিল্লাল পেথেদ্রিন ইনজেকশন দিয়ে দেয় । অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই সপন সমস্ত শরীরে ক্লান্তি অনুভব করে । মনে হয় যেন স্বর্গের বহমান কোন নদীর স্রোতে সে সাঁতার কাটছে আর দূর থেকে বসে রুবা তাকে দেখছে আর হাসছে।
সুরুজ আলীর অসুখ দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাকে দেখা শোনা করার জন্য কেউ নাই। পাশের বাড়ির একটি মেয়ে আছে নাম জোসনা সেই এসে মাঝে মাঝে দেখে যায়। জোসনার বাবা – মা নাই। থাকে তার নানীর সাথে। নানীর গোয়ালে দুটি গাভী আছে। সে গাভীর দুধ বেঁচেই তাদের সংসার চলে। জোসনা কালো হলেও অদ্ভুত এক মায়া খেলা করে তার সেই কালো বর্ণের মাঝে। মাঝে মাঝে সুরুজ আলী তাকে নিয়ে ঠাট্টা করে কালো মাইয়ার নাম আবার জোসনা , তুই আমার সখি যেন কখনো হইসনা। কিন্তু এসব নিয়ে তার কোন আক্ষেপ নাই। রূপ সবারে আল্লাহ পাক দেন না আর এইটাই হইল রূপবতী আর রূপহীন মেয়ে মানুষের জন্য পরীক্ষা ।
জোসনা তোর জন্য দোয়া করি যেন তুই ভালো একটা জামাই পাস।
কি যে কও না চাচা । আমি একটা মাইয়া তার আবার ভালো একটা জামাই !
শোন আমার মনে হয় আর বেশী সময় নাই । তরে একটা কথা কই যদি কখনো আমার পোলার লগে তোর দেখা হয় বলবি তারে, তার বাবার তার প্রতি বিন্দু মাত্র ক্ষোভ ছিলনা । আর তার মায় মরার আগে তার লইগা স্বর্ণের দুইটা বালা রাইখা গেছে। ভাবছিল পোলার বউরে দিব । কিন্তু তারত আর সেই সাধ পুরন হয় নাই । আর আমিও তারে বিয়া দিয়া যাইতে পারলাম না । জানিও না সে কেমন আছে ? কোথায় আছে ? আমি খুব যত্ন কইরা সেই বালা দুইটা রাইখা দিছিলাম । আজ তোর কাছে দিয়া গেলাম তুই যদি পারস আমার পোলার কাছে বালা দুইটা দিয়া দিস।
চাচা ও চাচা ! তুমি কি ঘুমায় গেলা নাকি । আমারে তুমি এই বোঝা কেন দিতাস ? চাচা কথা কও , চোখ খোল !
বুকের মাঝে খুব কষ্ট নিয়ে জোসনা কেঁদে উঠল। সুরুজ আলী আর বেঁচে নাই। এভাবেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে হল একজন বাউল কে যে কিনা জীবনে প্রায় পুরোটা সময় শুধু মানুষের মাঝেই মায়ার পরশ বিলিয়ে দিয়ে গেছে তার গানের মাঝে দিয়ে। বালা দুটি হাতে নিয়ে জোসনা এই নীরব নিথর দেহের পাশে বসে রইল । একটি মৃত্যু তাকে দিয়ে গেল বেঁচে থাকার প্রেরনা । এই বালা দুটি যেভাবেই হোক তার সঠিক গন্তব্যে পউছে দিতে হবে।
সপন ধীরে ধীরে নেশায় এমন ভাবে আসক্ত হল যে বেঁচে থাকার কোন অর্থই তার কাছে আর রইল না। কদিন যাবত কাজেও যাওয়া হয়না তার । রিক্সার মালিক বলে দিয়েছে এভাবে যদি সে আর কিছু দিন রিক্সা না চালায় তাহলে রিক্সা অন্য কাউকে দিয়ে দিবে । কিন্তু সপনের সেই সব কথার কোন গুরুত্তই যেন আজ আর নাই। অন্ধকার ঘরের ভেতর বসে আছে সে। একটু আগেই একবার সুই নিয়েছে। এখন আর বিল্লাল কে সুই দিয়ে দিতে হয়না । নিজেই নিতে শেখা হয়ে গেছে তার । কোথায় যেন একটা গান শুনেছিল সেটাই মনে মনে গেয়ে উঠল সে
তোমায় ভাবি উদাস হলেই
আধেক রুহের ঘোরে
উদাস চোখে মদির মায়া
জ্বলে পুড়ে মরে।
পুড়ছো তুমি কোন্ ভুবনে
উনুন নীচে খড়ি হয়ে,
বাতাস মাঝে ভাসছো সুখে
আগুন শিখা লকলকিয়ে।
আমি তবে বাতাস হলাম
তোমার বুকের অতল ছুলাম।
রুহ’র ভেতর রুহ ফুঁকে
আধেক নিয়ে আধেক দিলাম।
পাশের ঘরে একটি মেয়ে নতুন ভাড়া এসেছে গ্রাম থেকে। সপন কে দেখে তার মনে ভীষণ মায়া হল । অনেক চেষ্টা করেছে কথা বলতে কিন্তু সপন তেমন পাত্তা দেয়নি । আজ নিজেই সাহস করে সপনের ঘরে এসেছে মেয়েটি।
আপনি এই অন্ধকার ঘরের ভিতর বইসা কি করেন ?
তুমি কে ?
জী আমার নাম জোসনা। আপনার পাশের ঘরে নতুন ভাড়া আইছি।
আমার ঘরে কি ?
আপনে একটা গান গাইতাছিলেন গানটা আমাগর গ্রামের বাউল চাচার গান। সেইটা শুইনাই আইলাম। মনে হইল আপনি আমাগর গ্রামেরই কেউ মনে হয়।
আসছ যখন বস । আমি তমাগর গ্রামের কেউ না। আমার এক ভাই আছে বিল্লাল হের কাছ থাইকা এই গান শুনছি। শুনছি এই গান হের বাবায় গাইত। আমার মনে হয় বিল্লাল ভাই তাইলে তমাগর গ্রামের কেউ হইব।
আমারে আপনার বিল্লাল ভাইয়ের কাছে নিয়া যাইবেন ?
কেন হের লগে তোমার কি কাম ?
আমার বাউল চাচা হের পোলার লাইগা মরার আগে একটা জিনিষ আমার কাছে দিয়া গেছে । তার পোলারে খুঁজতে আমি আর আমার নানী শহরে আইছি। শুনছি হের পোলায় নাকি এই শহরেই থাকে। আপনার কথা সুইনা মনে হইল আপনার বিল্লাল ই হেয় যারে আমি খুজতাছি। চাচার পোলার নামও বিল্লাল আছিল ।
একটা জিনিষ দিতে গ্রাম থাইকা শহরে আইছ তাইলে এই বস্তীতে কেন ভাড়া উঠস ?
আসলে আমাগর গ্রামে বন্যায় সব ভিটা মাটি ভাসায়া লইয়া গেছে । আমাগর মত অনেকেই এহন কামের সন্ধানে এই শহরে আইছে । আমিও তহন চিন্তা করলাম যেহেতু আমার এই শহরে একটা কাম আছে একজনরে খোঁজা লাগব তাই বুদ্ধি কইরা আমি আমার নানীরে বুঝাইয়া এইহানে লইয়া আইছি।
শহরে আইলেই কি কাম পাইবা ভাবস ? এহন তুমি আর তোমার নানী চল্বা কেমনে ?
আমি আর নানী বাজারে ঠোঙ্গা বানানির একটা কাম পাইছি । আপাতত হেইডা দিয়াই চলব । আর কিছু না হইলে ভিক্ষা করুম। এ ছাড়া আর আমাগর মানুষের কিবা করার আছে !
ঠিক আছে এহন তাইলে তুমি যাও আমি পরে একদিন সময় পাইলে তোমারে নিয়া জামুনে ।
জোসনা যেন মুহূর্তের মধ্যে তার বুকের ভেতর জমে থাকা সব বোঝা হালকা হয়ে যাবার আনন্দে নেচে উঠল । এতদিন যে বোঝা সাথে করে বয়ে বেড়াচ্ছে আজ তার থেকে সে মুক্ত হবে।
সপনের চোখে রাজ্যের ভয় এবং ক্ষোভ । আজ সকালে র্যা বের ক্রসফায়ারে পরে মৃত্যু হয় বিল্লাল এর । বহু দিন থেকেই র্যা বের তালিকায় তার নাম ছিল। কিন্তু প্রমানের অভাবে কিছু করা যাচ্ছিলোনা । একটা বড় চালান সহ ধরা পরে যায় বিল্লাল । কিন্তু পালাতে যাবার সময় র্যা ব তাকে গুলি করে । গুলিটা এসে তার বুকে লাগে । মুহূর্তের মধ্যে মাটিতে লুটিয়ে পরে বিল্লালের রক্তাত্ত দেহ। সব শুনে জোসনা কিছুতেই নিজেকে মেনে নিতে পারল না । বুকের ভেতর একটা অতৃপ্ত বেদনা আবার নতুন করে বাসা বাঁধল।
দেখ এইটা নিয়া দুঃখ করার কিছু নাই । এই মানুষটার সাথে এমন টা হওয়াই স্বাভাবিক ছিল।
আমি ওই লোকটার জন্য দুঃখ করতাছিনা। আমি ভাবতাছি এই বালা দুইটা দিয়া এহন আমি কি করমু!
তোমার কাছেই রাইখা দাও। যখন তুমি বিয়া করবা তখন কাজে লাগাইও।
না তা কেমনে হয়! এইটা অন্য জনের আমানত।
যার আমানত সেই যখন দুনিয়াতে নাই তখন আর সেইটা আমানতের ভঙ্গ হয়না । এইটা এখন তোমার সম্পদ।
সপনের এই কথায় জোসনা কিছুটা ভরসা পায়। সপনের প্রতি সে ক্রমেই দুর্বল হতে শুরু করেছে । কেন যেন অদ্ভুত এক মায়া লাগে সপনের জন্য। সপন একবার তাকে তার প্রেমের কথা বলেছিল । সেই থেকে তার সপনের প্রতি মায়া বেড়ে যায় । বুঝতে পারে সপন কে সে ভালোবেসে ফেলেছে। কিন্তু সপন যে পথে চলেছে সেখান থেকে তাকে ফিরিয়ে নেবার পথ যে খুব কঠিন হবে সেটা ভালো করেই সে বুঝতে পারল । হঠাৎ বস্তীতে চিৎকার চ্যাচামেচি শুরু হল। ঘর থেকে বাইরে বেড়িয়ে এসে মনে হল জীবনটা বুঝি মাটির সাথে মিশে গেলেই ভালো হত। উঠানে পরে আছে রুবার নিথর দেহ। যৌতুকের বিভীষিকা কেড়ে নিয়েছে রুবার জীবন । এমনটা কথা ছিল না। কথা ছিল সপন কে বিয়ে না করে যার সাথে বিয়ে হয়েছে সে স্বামী রুবাকে অনেক সুখী করবে। সেই ছেলের অনেক টাকা আছে। কিন্তু এরই নাম কি তাহলে সুখ ! কোন কিছুই সপনের মাথায় আসছেনা । সব কিছু কেমন যেন অন্ধকার হয়ে আসছে তার চারদিকে যেন বাতাস আর বাতাস । সেই বাতাসে তার রুহ যেন বাতাস হয়ে মিশে যেতে চাইছে রুবার বাতাসের সাথে। পেছন থেকে জোসনা এসে তার কাঁধে হাত রাখল। কিন্তু সেই মায়াবী স্পর্শ সপনের বাতাসকে আজ আর থামাতে পারলনা ।
গল্পের মাঝে যে গান লেখা হয়েছে আসলে এটা একটা কবিতা যা আমি শুধু একবার মাত্র চাইলেই উনি আমাকে তার কবিতা আমার গল্পে ব্যাবহার করার অনুমতি দিয়ে দেন। আমি উনার মত লেখা এত ভালো কবিতা সমগ্র খুব কমই পড়েছি। এবং আমি উনার কাছে কৃতজ্ঞ। উনি আর কেউ নন উনি আমাদের সকলের প্রিয় ব্লগার ফারাহ দিবা জামান আপু । কবিতাটি নেয়া হয়েছে তার লেখা ( আমি তবে বাতাস হলাম, তোমার বুকের অতল ছুলাম। রুহ’র ভেতর রুহ ফুঁকে, আধেক নিয়ে আধেক দিলাম। ) এই কবিতাটি থেকে।
ব্লগে অনেক বড় গল্প দিলে হয়ত অনেকেই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে যেতে পারেন তাই এই গল্পটি খুব - খুবই সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করলাম।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমি কি দিয়া দেই সান্তনা পোড়া মনে দারুন জ্বালা সেত তা বুঝলনা
২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০২
রাইসুল নয়ন বলেছেন: পাগল তবে এতো পাগল হইনি যে আপনার লেখা পড়তে পড়তে ঘুমাব !!!
এভাবেই লিখতে থাকুন সহস্র শতাব্দী ধরে, আমরা বিবেকের গায়ে পানি ঢালি দেখি ক্যামনে ঘুমায় বিবেকহীন বিবেক!!!
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমরা বিবেকের গায়ে পানি ঢালি দেখি ক্যামনে ঘুমায় বিবেকহীন বিবেক!!!
সহমত ভাই
৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯
s r jony বলেছেন:
জটিল হইছে ভাই,
আমি তবে বাতাস হলাম
তোমার বুকের অতল ছুলাম।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
রুহ’র ভেতর রুহ ফুঁকে
আধেক নিয়ে আধেক দিলাম।
৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভালও লাগল। +++
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্য হলাম ভাইয়া ।
৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮
যুবায়ের বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন.....
গল্পে ফুটিয়ে তুলেছেন সমাজের বাস্তব চিত্র।
পোষ্টে ভালোলাগা রইলো..
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাইরে মনের মাঝে এগুলা ছাড়া আর কোন গল্প আসেনা যে বলেন কি করি !
৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩২
ফারাহ দিবা জামান বলেছেন: দুবার পড়লাম,
এক টানে।
নিজের এক ফালি লেখাকে এত চমৎকার করে গল্পের ভেতর ঢুকিয়ে দিয়েছ তুমি,
এইখানে নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পেলাম না।
মনে হল,
এই গল্পের সাথে এটা এমন করে মানিয়েছে, স্বপন, জোছনা আর রুবার জন্যই লেখা হয়েছে কবিতাটি।
আর আমি যেটা লিখেছিলাম, সেটা পুরোই ভিন্ন।
অসাধারণ করে সাধারনের কষ্ট লেখনীতে ফুটে উঠেছে।
লেখালেখি করো।
গল্প লেখা একটা কঠিন বিষয়।
লিখতে লিখতে অনেক জড়তা দূর হয়ে যায়।
অনুশীলনের বিষয়ও বটে।
আমি যেন কেন পারি না।
একবার চেষ্টা করে দেখব তো!
হা হা!
হাতের যত্ন করো, সাবলীল লেখা তোমার।
আর নীচে এগুলো কি লিখেছ,
তুমি!!!!
আমিই তোমার কাছে অশেষ কৃতজ্ঞ,
আমার সামান্য সৃষ্টিকে তোমার সৃষ্টির মাঝে স্থান দেবার জন্য।
অনেক দোয়া রইল ভাই,
তোমার জন্য।
গল্পের চারাগুলো বেগবান হোক তোমার হাতে।
ভালো থেকো।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ঘুমহীন রাত কাটায়েছে অনেকে,
শয্যায় জেগে থেকেছে পুরোটা রাত
মিছে ঘুমের অভিনয় করে।
জেগে – জেগেই শুনেছে অনেকে,
বাহিরে কুকুরের কান্না –
কুকুরের অবিরাম চিৎকার।
গতিশীল সময়ের চক্রাকার পরিক্রমায়
তারা সৃষ্টি করেনি মহাকালের
স্মরণীয় ধ্রুপদী ইতিহাস।
আর এভাবেই একদিন সৃষ্টি হবে তাদের
এসব সমীকরনিক অবিস্মরণীয়
চিরধারার বহুপদী ইতিহাস।
বুকের পাঁজরে সমাধিস্ত হয় কত – শত
বর্ণালী বসন্তের কবর বারংবার,
মনকনায় বিরহের ধুলো হয়ে
সৌখিন প্রলেপ আঁকে স্মৃতিরা;
শৈশব – কৈশোর – যৌবন – বৃদ্ধ বয়সের
বিস্তর সময় অতিক্রম করে,
অথবা তার অনেক বছর পরে;
কোন এক অদমনীয় সময়ের শোঁক ছায়ায়
মৃত্যুরে চির আপন করে অবশেষে তারা
মানুষের বাস্তব পদচালনায়
চিরকালের মত কবরে ঘুমাতে যায়।
এই কবিতাটি আমার ২০০০ সনে লেখা একটি কবিতার অংশ বিশেষ যা ব্লগে এখনো পোষ্ট করা হয়নি তবে পোষ্ট করার আগেই আজ আপনাকে উৎসর্গ করলাম।
আপনার জন্য অনেক দোয়া করি জীবনের সবকটা পথ সাফল্যের সাথে এগিয়ে জান আর অনেক শুভ কামনা রইল।
৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২
একজনা বলেছেন: না, ঘুমাইনি! ঘুমানোর কোন অবকাশ রাখেননি তো! খুব ভালো লাগল। সমাজের বাস্তবচিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন।
ভালো থাকবেন সবসময়।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
হায় চাঁদ আঁধারে তুমি আলো দিতে আস বলে আমি ঘুমাতে যেতে পারিনা
আমি সূর্য চাইনা , চাই শুধু চাঁদ তোমার একটু সঙ্গ পেতে তাইত
বুঝি আমার এই রাতের বেলা জেগে থাকার নিরন্তর কষ্ট ।
৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮
নেক্সাস বলেছেন: খুব সুন্দর
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ এবং আপনার জন্য শুভকামনা আমার সাথে থাকার জন্য।
৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২
স্বপনবাজ বলেছেন: সেই রকম একটা গল্প পড়লাম অনেক দিন পর ! আছেন কেমন ?
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
গল্প পড়েই নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কিছুতেই ভালো থাকতে পারছিনা
১০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৪
আমি বাঁধনহারা বলেছেন:
অসাধারণ গল্প।
ভালো লাগল++++
ভালো থাকবেন
মনে রাখবেন!!!
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অসাধারন মোটেও না কারন এই ধরনের গল্প থেকে আমাদের বিবেক হয়ত কখন জাগবেনা ।
১১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৬
একজন আরমান বলেছেন:
আপনার সব গল্পের মধ্যে আজকের এই গল্পটা আমার খুব বেশীই ভালো লেগেছে। কারণটা বোধ হয় গল্পের বাস্তবিক প্লট এবং আপনার লেখনী।
অসাধারণ। চালিয়ে যান।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাই আমি চেষ্টা করি সবসময় সমাজের অসঙ্গতিগুলো এভাবে ছোট গল্পের মাঝে দিয়ে তুলে ধরতে তবে লেখা অসাধারন হয়েছে এই কথা বললে ভুল হবে।
১২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৬
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন:
খুব সুন্দর হইছে ।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সালাম পাইলট ভাই , আছেন কেমন ?
১৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৬
একজন আরমান বলেছেন:
না। আমার বলাতে ভুল নেই। কারন আমার মনে হয়েছে অসাধারণ তাই বলেছি। এটা আমার মত।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
দৃষ্টির আড়ালে অসীমতার মাঝে
যেখানে গ্রহদের সমাজ।
হতে পারে পৃথিবীর সমাজের মতন সে সমাজ নয়।
আমি জীবনের গোলাবারুদের সামনে পরাজয়
বরন করে নিয়েছিলাম বলেই
পারিনি বৈচিত্র্যতা আনতে
সেদিনের সেই সে সন্ধিক্ষণে।
১৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৮
বাবুরাম সাপুড়ে বলেছেন: এককথায় অসাধারণ হয়েছে রে ভাই । আমি তবে বাতাস হলাম, তোমার বুকের অতল ছুলাম। এই লাইনটা মনে গেথে গেল ক্যান বুঝলাম না
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এই ছন্দের যাদুকর যিনি তার লেখার যাদুতে হবে হয়ত
১৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৩০
একজন নিশাচর বলেছেন: আবারো একটা sad ending
গোলাপ ভাই এর ও এই sad ending
কাইন্দা দিমু কইলাম।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমাদের এই দেশে আজ কোথাও সুখি সমাচার দেখি না যেখানেই দেখি শুধু দুঃখ আর দুঃখ তাই আমিও আমার গল্পে সুখের অনুভূতি আনতে পারিনা । যেদিন এই দেশে আবার সুখ ফিরে আসবে সেদিন হয়ত আমার লেখায় প্রেম ফিরে আসবে । ভালথাকুন সুখে থাকুন সবসময় ।
১৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮
এস এম লুৎফুল্লাহ মাহমুদ বলেছেন: গল্প ও গান, দুটোই বেশ!
আরো গল্প চাই,
আরো অনেক।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
তোমায় ভাবি উদাস হলেই
আধেক রুহের ঘোরে
উদাস চোখে মদির মায়া
জ্বলে পুড়ে মরে।
পুড়ছো তুমি কোন্ ভুবনে
উনুন নীচে খড়ি হয়ে,
বাতাস মাঝে ভাসছো সুখে
আগুন শিখা লকলকিয়ে।
আমি তবে বাতাস হলাম
তোমার বুকের অতল ছুলাম।
রুহ’র ভেতর রুহ ফুঁকে
আধেক নিয়ে আধেক দিলাম।
১৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬
ফারাহ দিবা জামান বলেছেন: বুকের পাঁজরে সমাধিস্ত হয় কত – শত
বর্ণালী বসন্তের কবর বারংবার,
মনকনায় বিরহের ধুলো হয়ে
সৌখিন প্রলেপ আঁকে স্মৃতিরা;
শৈশব – কৈশোর – যৌবন – বৃদ্ধ বয়সের
বিস্তর সময় অতিক্রম করে,
অথবা তার অনেক বছর পরে;
কোন এক অদমনীয় সময়ের শোঁক ছায়ায়
মৃত্যুরে চির আপন করে অবশেষে তারা
মানুষের বাস্তব পদচালনায়
চিরকালের মত কবরে ঘুমাতে যায়।
===========================
একবার নয়, বেশ কবার পড়লাম।
তুমি তো কবিতাও লিখো খুব সুন্দর।
যদিও কত ব্যথায় মানুষ কবিতা লেখে--
জীবন বোধের দর্শনে কুঁজো হতে হতে--
তা তারাই জানেন,
যারা জীবনের ভেতর ডুবে তাকে খুঁজে ছেনেছুনে বের করে আনেন,
আমরা বলি কবিতা--
বাহবা দেই,
কত যন্ত্রণায় লোক কবি হয়,
তা কি জেনেছে মানুষ!
যদি জানত, তবে চোখের জল ফেলত।
কেউ হাত তালি দিতো না।
আর আসলেই আমার মানবজনম সার্থক তোমাদের ভালবাসা পেয়ে।
আর কিছু বলার নেই আমার।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
যদিও কত ব্যথায় মানুষ কবিতা লেখে--
জীবন বোধের দর্শনে কুঁজো হতে হতে--
তা তারাই জানেন,
যারা জীবনের ভেতর ডুবে তাকে খুঁজে ছেনেছুনে বের করে আনেন,
আমরা বলি কবিতা--
বাহবা দেই,
কত যন্ত্রণায় লোক কবি হয়,
তা কি জেনেছে মানুষ!
যদি জানত, তবে চোখের জল ফেলত।
কেউ হাত তালি দিতো না।
আপনার সাথে সহমত । আমি আমার জীবনের সাথে মিল খুঁজে পেলাম।
চেতনারা ধুলো হয়ে বিবর্ণতার প্রলেপ আঁকে
জীবনের সবুজ পাতার ত্বকে ।
আবদ্ধ গৃহকোণে ঘুমিয়ে আছে যত কবি,
দেখেনি তারা কভু অজস্র অশ্রু রবি।
১৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৮
একজন নিশাচর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
আমাদের এই দেশে আজ কোথাও সুখি সমাচার দেখি না যেখানেই দেখি শুধু দুঃখ আর দুঃখ
সহমত
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
দুঃখ গুলো এখন এমনভাবে আপন মনে হয় যে তাই আমি দুঃখগুলোকেই বড় বেশী ভালোবাসি।
১৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭
অনীনদিতা বলেছেন: এককথায় অসাধারণ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
তাহলে বেশী কথায় কি হতে পারে ?
২০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১১
অনীনদিতা বলেছেন:
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
২১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১৪
ফারজানা শিরিন বলেছেন: ভালোবাসার সুন্দর এক লেখা ।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপু
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০০
শের শায়রী বলেছেন: ঘুমাইনি ভাই, আর ও সজাগ করে দিলেন। এ ভাবেই যেন সজাগ করে রাখতে পারেন। ভাললাগা জানিয়ে গেলাম