নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূণ্যতা থেকে শূণ্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

কান্ডারি অথর্ব

আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।

কান্ডারি অথর্ব › বিস্তারিত পোস্টঃ

কান্ডারী অথর্ব ও রেশমির প্রেমের উপাখ্যান - পঞ্চম পর্ব

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৩৩









আগের পর্বগুলো যারা ধারাবাহিক ভাবে পড়ে আসছেন তারা হয়ত ধরেই নিয়েছেন আহারে আমি হয়ত প্রেমের এক মহান সৎ আদর্শবান মানুষ। না ঠিক সেইরকম কিছুই নয়। আমিও অন্যান্যদের মতই খুব সাধারন একজন প্রেমিক। আমারও রক্ত মাংসের শরীর। জীবনে দুঃখ নিয়ে বেঁচে থাকার মত বোকা আমি নই। যখন দেখলাম যাকে এত ভালোবাসি সেই কিনা আমার ভালোবাসাকে অবজ্ঞা করে অন্যের হাত ধরে চলে গেছে দূরে আমি তখন শিল্পী আসিফের মত গাইতে পারিনা ও প্রিয়া, ও প্রিয়া তুমি কোথায় ?............ অনেক নষ্ট করেছি জীবনটাকে মাদকদ্রব্যের মতন জীবন নাশক ভয়াবহ সব কিছু সেবন করে; কিন্তু আর না আমাকেও জীবন গড়তে হবে। আমি নেশার জগত থেকে ফিরে এলাম। এই স্বপ্ন থেকে জীবনে প্রেমের স্বরূপ বদলে ফেলার চেষ্টা করলাম। আর কবি জীবনানন্দর কাছে ক্ষমা চাইলাম। কবি লিখেছিলেন;



সুরঞ্জনা ওইখানে যেওনাকো

বোল নাগো কথা ওই যুবকের সাথে

কি কথা তাহার সাথে ?




আমি এমন ভাবে ভাবতে আর পারবনা হে কবি। আমি সব কিছু ভুলে নতুন রঙে জীবন সাঁজাতে চাই। আর তাই ঠিক করলাম এখন আমি ভার্সিটিতে পড়ছি আর এখানে নিশ্চয় মেয়ের অভাব হবে না। খুব আধুনিক এবং সেক্সি দেখে একজন মেয়েকে খুঁজে নিয়ে প্রেম করব কিন্তু তার জন্য নিজেকে বিলীন করে দেয়া যাবেনা। হায়রে আমার পোড়া কপাল যখন একদিকে রেশমি একজনকে ভালোবেসে সুখি হয়েছে অন্যদিকে এই অথর্ব প্রেমের সন্ধানে কেবল কাঙ্গালই হয়ে ঘুরে ফিরেছে। যাই হোক যেমন কর্ম তেমন ফল পেলাম।



আমি তখন ভার্সিটিতে প্রথম বর্ষের একজন দুর্দান্ত ছাত্র। পুরোপুরি অন্যরকম একটা ভাব ধরলাম। যেন আমি মেয়েদের পাত্তাই দেইনা কিন্তু কেউ হাসি মুখে কাছে এলে আবার ফিরিয়েও দেই না। আমার কয়েকজন খুব ভাল বন্ধু জুটে গেলো। তারমধ্যে বেশ কিছু মেয়ে বন্ধু ছিল। তাদেরই একজনের নাম শিমুল। আধুনিক যুগের মেয়েদের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ঠিক যেন সেই আদি কালের শকুন্তলা। আহারে কি ভাবলাম আর কি হল ! ভাবলাম খুব আধুনিক সেক্সি দেখে একজন মেয়ের সাথে প্রেম করব শেষে কিনা জীবনে এলো শকুন্তলা। যাই হোক বিধির বিধান না যায় খণ্ডন। আমার প্রথম বর্ষের রেজাল্ট ছিল সেইরকম আলোড়ন জাগান। ব্যাস আমার পেছনে মেয়েদের লাইন লেগে গেলো। আমাকে একটু ওই নোট, সেই নোট কিংবা আরও কত যে নোট করে দেয়ার জন্য মিনতি আহারে ! কেউ ফাস্ট ফুডের দোকানে নিয়ে গিয়ে কিছু খেতে না চাইলেও খাওয়াত ভর পেট, আবার কেউ নিয়ে যেত এখানে সেখানে কত জায়গায় ঘুরতে এসি গাড়িতে করে। একদিনত একজন আমাকে তার হোস্টেলে নিয়ে গেলো। মহিলা হোস্টেল সেইরকম অভিজ্ঞতা হয়ে গেলো ওইদিন। তবে অন্যকিছু ভাবার কোন অবকাশ নেই। আমাকে নিয়ে গিয়েছিলো তার নিজের হাতের রান্না করা ভুনা খিচুড়ি আর বেসম্ভব ঝাল ডিম ফ্রাই খাওয়াতে। পরে অবশ্য ওর সাথে আমার খুব ভাল বন্ধুত্ত হয়ে যায় যা এখনো অটুট রয়েছে। ওর কাছেই জানতে পারি যে শিমুল নাকি আমার প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে পুরোপুরি অতলে তলিয়ে গেছে। এখন আমাকে সেই অতলে ডুবুরী হয়ে ডুব দিয়ে তাকে উদ্ধার করতে হবে। আমিও আর কালবিলম্ব না করে উদ্ধার কাজে মনোনিবেশ করলাম। আহারে কি মায়া কি মমতা ! কি আঁচল বিছিয়ে দিল বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে ! কথায় আছে যে প্রেম করতে দুই দিন ভাঙ্গতে একদিন এমন প্রেম করোনা; আমিও কি অবুঝ এমন প্রেমই কিনা করে ফেললাম !



কত যে নদীতে নৌকা করে ঘুরেছি শিমুলের সাথে, কত যে বৃষ্টিতে ভিজেছি দুজনে একসাথে সেই সব রোম্যান্টিক স্মৃতি কি আজো ভোলা যায় ! শিমুল চোখে খুব কাজল পরত আর বৃষ্টিতে ভিজলেই সেই কাজল ধুয়ে ওর সুন্দর গোলাপি গাল দুটো বেয়ে পরত সেই কাজল আর আমার মনের মাঝে জন্ম নিত হাজারো গান সেই করুন চেহারার দিকে তাকিয়ে থেকে। একদিন ওকে বাসায় এনে হাজির করলাম। আমার মা তাকে পুত্র বধু মনে করে রিমান্ডে নিয়ে নিল। আর একটু হলে হয়ত ওর জান ফানা ফানা করে ফেলত। শেষে বাইরে এসে কেঁদেই ফেলল বলল তোমার মা আমার চৌদ্দ গুষ্টির খবর নিয়ে ছেড়েছেন কেন বলত ? আমি শুধু হাসলাম। কাহিনীর এখানেই শেষ নয় আমার সুখের দিনে আরও এক বড় রকমের সুখ এসে হাজির হল। আল্লাহ যখন দেন তখন নাকি ছাপ্পার ফাড়কে দেন ! আর হোলও তাই। আমি একবার আমার এক বন্ধুর সাথে ওদের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ গিয়েছিলাম এক সপ্তাহের জন্য বেড়াতে। সেখানে আমার বন্ধুর এক ভাগ্নির সাথে পরিচয় হয় আমার। মেয়েটির নাম রুক্সি। দেখতে ঠিক যেন আমার মনের সেই অদ্ভুত বাসনার প্রতিফলন এই যুগের আধুনিক সেক্সি মেয়ে। আমি প্রথম দেখাতেই প্রেমে পরে গেলাম। আসলে প্রেম না খুব সম্ভব মোহ হবে হয়তবা। আসার সময় আমার ফোন নাম্বার দিয়ে এসেছিলাম। ততদিনে আমার হাতেও মোবাইল ফোন চলে এসেছিলো। তারপর কত রাত জেগে জেগে কথা হয়েছে রুক্সির সাথে এখন মনে হলে ভাবি সেইসময় বেকার থাকা কালীন এত মোবাইল বিল দিতাম কি করে ? ওহ মনে পরেছে আমি তখন অনেক গুলো ছাত্র পড়াতাম। বেশ ভালই রোজগার ছিল আমার সেই সময়। একদিকে দিনের বেলাতে শিমুলের সাথে প্রেম চলত অন্যদিকে রাতে ফোনে প্রেম চলত রুক্সির সাথে। এমন অস্থির পাগল প্রায় প্রেমের অভিনয় করতে করতে আমি যখন মাতাল প্রায় ঠিক সেই সময় আমার জীবনে এসে জুটল আরও এক কঠিন প্রেমলীলা।



আমার বড় খালার বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম একবার প্রায় পনের দিনের জন্য। সেখানে এসেছিলো আমার আর এক খালার মেয়ে নিপা। মানে আমার খালাত বোন। তার রূপের বর্ণনা দিতে হলে শুধু বলতে হবে ভারতীয় চলচিত্রের নায়িকা মাধুরী দীক্ষিতের সাথেই তার রূপের তুলনা চলে। অবিকল দেখতেও মাধুরীর মতই। বয়সে আমার এক বছরের বড়। এক রাতের কাহিনী মনে হলে আজো আমি বেশ পুলকিত হয়ে উঠি। সেই রাতে ভীষণ ঝড় হচ্ছিল বাইরে। খুব সম্ভবত কালবৈশাখী ঝড় ছিল। আমার খালার বাড়িটি ছয় তলা পুরো ছাদে মোজাইক করা। নিপা বলল চল ছাদে যেয়ে ভেজা যাক। আমি বললাম এত রাতে ছাদে ভিজবি। আরে তাতে কি হয়েছে ভেজার জন্য দিন কি আর রাত কি ? আমিও ওর কথায় শ্বায় দিলাম। ছাদে যেয়ে দুজনে ভিজলাম প্রায় অনেক ক্ষণ। দুটি ভিন্ন লিঙ্গের মানুষ যখন রাতের বেলা এইভাবে বৃষ্টির শীতল পরশের মাঝে একাকার হয়ে যায় তখন পৃথিবীর কোন শক্তি আছে যে তাদেরকে একটু উষ্ণতা এনে দেবার জন্য ব্যাকুল না হয়ে উঠে ! আমার জানা নেই। আর হোলও তাই। ঠোঁটের সাথে ঠোঁটের স্পর্শ আর আকাশে বার বার বজ্রপাতের আলোক বিস্ফোরণ; কেউ যদি হেরোইন সেবন করে থাকেন তবে যেরূপ মাতাল লাগবে আমিও যেন তেমনি মাতাল হয়ে রইলাম সেই রাতে। সকালে ঘটল আসল বিপত্তিটি। আমরা দুইজন আর দুইজনের সামনে লজ্জায় যেতে পারিনা। কথা সেত হিরোশিমায় ফেলা সেই পারমানবিক বোমা ফেললেও বের হবার মতন অবস্থা রইল না। নিপা দুপুরে চলে গেলো আমাকে খুব খুব অবাক করে দিয়ে বিদায় বেলায় শুধু বলে গেলো, “তুই যদি বয়সে আমার বড় হতি অথবা সমানও হতি তবে তোকে আমি আমার জীবনের সবটা দিয়ে ভালোবেসে সুখি করতাম, ভালো থাকিস আমাকে ভুল না বুঝে যদি পারিস তবে ক্ষমা করে দিস” আমার তখন কেবলই মনে হল আরেকটি কালবৈশাখী ঝড় আমার সেই মুহূর্তে বড় বেশী প্রয়োজন ছিল। আমি সেই ঝড়ে ভিজে ভিজে খুব চিৎকার করে যদি কাঁদতে পারতাম!



আমিও সেই দুপুরে চলে এলাম খালার বাসা থেকে। পরদিন ভার্সিটিতে গেলাম এবং সেখানেও আমার জন্য অপেক্ষা করছিল আরও একটি ঝড়। আমাকে চমকে দিয়ে শিমুল তার বিয়ের একটি নিমন্ত্রন পত্র ধরিয়ে দিয়ে বলল আমাকে ওর বিয়েতে যেতেই হবে। কারন ওর সব বন্ধুরা নাকি বিয়েতে আসছে তাই আমি না গেলে একজন খুব ভাল বন্ধুর দোয়া সে কম পাবে। আমি এবার আর কাঁদলাম না শুধু হাসলাম খুব উচ্চ স্বরেই হাসলাম আর আমার হাতের মোবাইল ফোনটিকে খুব জড়ে মাটিতে ছুড়ে ফেলে দিলাম যেন ভেঙে কয়েক টুকরো হয়ে যায়।





কেন এত ! কষ্ট দিতে শিখেছ ?

কেন এত ! কাঁদাতে শিখেছ ?

কাছে এসো,

কথা দিও,

বুঝে নিও,

তোমাকে আমি ভালোবাসি,

শুধু তোমাকেই ভালোবাসি।

মধুর স্মৃতিগুলো কেন বিধুর বিস্মৃতি হয়ে যায়;

বুঝেছে সেই,

যে ভালোবেসেছে কাউকে জীবনে একবার,

তারপর বহুবার।

ভালোবাসা যায় কি আমাকে ?

ভালোবাসা যায় কি তোমাকে ?

বলবে কি সময় করে এসে

আজকের এই সাঁঝের লগনে ।



কেন এত ! কষ্ট দিতে শিখিয়েছ ?

কেন এত ! কাঁদাতে শিখিয়েছ ?

স্রষ্টা তুমি,

বলবে কি আমাকে

স্বপ্নের মধুর ধূসরতায় এসে;

কাকে ভালোবাসা যায় ?

কাকেইবা ভালোবাসব আর কে আমাকে ?

যদি নাইবা কাঁদালে সুখের স্মৃতি দিয়ে

চোখের মায়াকে পূর্ণ করে,

ভালোবাসার বর্ণালীতে এঁকে সিক্ত ঠোঁটকে

যদি নাইবা হাসালে মধুর স্মৃতি দিয়ে;

তবে – তবে !

কেন এত ! কষ্ট দাও ?

কেন এত ! কাঁদাও ?

ভালোবাসার মাঝেও কেন কর এত ! সাম্যের ব্যবধান ?

কেন এত ! নীতি খোঁজো ?

কেন এত ! পৃথিবীর জঞ্জাল বাঁধো ভালোবাসার দেহে ?



তুমি কি পারনা আমার মত হৃদয় নিয়ে,

আমাকে ভালোবাসতে ?

তুমি কি পারনা আমার মত মন নিয়ে,

আমাকে ভালোবাসতে ?

অথচ ! তোমাকে আমি ভালোবাসি,

ঘুমের মত,

ঘুমের মত মায়াবী অলিক স্বপ্নে হারিয়ে।

তবু – তবু !

কেন এত ! কষ্ট দিতে শিখেছ ?

কেন এত ! কাঁদাতে শিখেছ ?

অথচ !

আমার এই দুচোখ শিখেছে,

শুধু তোমাকেই ভালোবেসে কাঁদতে।

আমার এই দুঠোঁট শিখেছে,

শুধু তোমাকেই ভালোবেসে হাসতে।






তবে হে প্রেম ভিখারি এবার তোমার প্রেমের ভিক্ষার স্বরূপ বদলে ফেল। তোমাকে দিয়ে আর প্রেম করা হবে না। এই সব ভাবছিলাম আর বার বার নচিকেতার সেই বিখ্যাত গানটি গাইছিলাম; হাজার কবিতা বেকার সবিতা, তার কথা কেউ বলেনা; সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা............। আমিও আমার জীবনের সেই প্রথম প্রেম ভুলতে পারি নাই। আমি সব কিছু ছেড়ে দিয়ে দীনের পথে অগ্রসর হলাম। দাঁড়ি রাখলাম বেশ বড় করে। পরিধান করা শুরু করলাম পাঞ্জাবী। শুরু করলাম পেন্টের নীচের অংশ টাকনুর উপরে গুটিয়ে পরা, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে মসজিদে যেয়ে আদায় করা শুরু হল। তবে তাবলীগে যাই নাই। মসজিদে অনেকেই আমাকে বলেছিল চিল্লায় যাবার জন্য কিন্তু আমি যাই নাই কখনো। বাবা – মা, বন্ধুবান্ধব সবাই দেখি খুব অবাক হল আমার এই রূপ দেখে। কিন্তু আমি অবিচল থেকেছি। দেখা যেত নামাজ শেষ হলেও অনেক সময় মসজিদে বসে থেকেছি রাতে জেগে থেকে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করেছি। এই সময় আমার প্রচুর ধর্ম বিষয়ক পড়াশোনার কারনে ধর্ম নিয়ে অনেক জ্ঞান অর্জন হয়েছিলো। এভাবে আরও দুটি বছর কেটে গেল আমার জীবনের। আমি তখন ভার্সিটিতে শেষ বর্ষের ছাত্র। এই সময় আকস্মিক ভাবে পুনরায় আমার মাথার তার সব ছিঁড়ে গেল। আমি দীনের মহিমান্বিত আলোকের পথ থেকে আবারো ফিরে এলাম নেশার অন্ধকার জগতে। আমার রেজাল্ট খুব খারাপ হতে থাকল। আগে যাও ছাত্র পড়িয়ে বেশ রোজগার হত কিন্তু আমি আর কেন যেন পড়ানোর জন্য ছাত্র পেলাম না। কিন্তু আমার তখন নেশার চাহিদা পূরণের জন্য প্রয়োজন হয়ে পরল টাকার। টাকার প্রয়োজনে কিছুদিন খারাপ সঙ্গের সাথে মিশে গেলাম। আমার এক বন্ধুর সাথে পরিচয় হয়। সে তখন একটি রাজনৈতিক দলের একনিষ্ঠ কর্মী। আমিও ওর সাথে সেই দলে যোগ দিলাম। শুরু হল আমার রাজনৈতিক জীবনের। মাঝে মাঝে মিছিলে যেতাম। দারুন লাগত শ্লোগান দিতে। হরতালে পিকেটিং করার স্মৃতি ভোলার মতন নয়। হাতে উপহার হিসেবে নেতার কাছ থেকে একটি পিস্তল পেয়েছিলাম। তাই দিয়ে কিছুদিন আমার বন্ধুটির সাথে চাঁদাবাজি করেছি। একবার বিপক্ষ দলের সাথে চরম মারামারি বেঁধে গেলে ডান পায়ে রডের আঘাতে শেষে হাসপাতালে ভর্তি হলাম। হাসপাতালে একরাত ছিলাম। আর চোখ বন্ধ করে সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমি যা করছি আসলে সেটাকে রাজনীতি বলে না সেটাকে বলে রাজনীতি নিয়ে যারা ব্যাবসা করে তাদের দ্বারা ব্যবহৃত হয়ে বিপথগামী পথে কিছু টাকা উপার্জন করার নষ্ট খেলা ছাড়া আর কিছুই না। আমি আমার বাংলাদেশটাকে বড় বেশী ভালোবাসি। তাই আমার দ্বারা দেশের কোন ক্ষতি হোক সেটা হতে পারেনা। আমি ফিরে এলাম সেই সব তথাকথিত রাজনীতি থেকে। আমার এই বিপথগামী হবার পেছনে যে কারন ছিল সেটাও রেশমি। একসময় আমি জানতে পারলাম রেশমিও আমারই মতন ভীষণ অভাগী। সে যাকে ভালোবাসা ভেবেছিলো সেটা ছিল মিছে মরীচিকা। ব্যাস আর যাই কোথায় আমার মাথার সব তার ছিঁড়ে গেল। রেশমির দুঃখে আমিও দুঃখী হলাম। কারন তার সুখেই আমার সুখ তার দুঃখেই আমার দুঃখ।



আমি আমার বাম হাতে লিখে নিলাম আমার প্রিয়া রেশমির নামের আদ্যক্ষরটি। দিয়াশলাইয়ের কাঠির মাথা থেকে বারুদগুলো চেঁছে নিলাম প্রথমে। তারপর হাতে সেগুলো হালকা আঠা দিয়ে এমন ভাবে লাগিয়ে দিলাম যেন সেই আদ্যক্ষরটির রূপ নেয়। তারপর দিয়াশলাইয়ের একটি কাঠিতে আগুন জ্বালিয়ে সেই হাতে লাগানো বারুদে আগুন ধরিয়ে দিলাম। খুব জ্বলছিল কিন্তু আমার হৃদয়ের ভেতরটার জ্বালা করা ক্ষতের কাছে সেটা কোন জ্বালাই তখন আর মনে হচ্ছিল না। আজো আমার বাম হাতে সেই ক্ষত রয়ে গেছে হয়ত আজীবন তেমনই থাকবে প্রিয়তমা রেশমি তোমার প্রতি আমার ভালোবাসার স্মৃতি হয়ে।



(চলবে.....................)







কান্ডারী অথর্ব ও রেশমির প্রেমের উপাখ্যান - চতুর্থ পর্ব

কান্ডারী অথর্ব ও রেশমির প্রেমের উপাখ্যান - ৩ য় পর্ব

কান্ডারী অথর্ব ও রেশমির প্রেমের উপাখ্যান - ২য় পর্ব

কান্ডারী অথর্ব ও রেশমির প্রেমের উপাখ্যান - ১ম পর্ব

কান্ডারী অথর্ব ও রেশমির প্রেমের উপাখ্যান

মন্তব্য ৮৮ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৮৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৫৪

আশিক মাসুম বলেছেন: ১ম :P =p~


এ গল্প জীবনী হোক, সারা জীবন চলুক :)

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:২৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সারা জীবন চললে অন্য কিছু লিখে পোষ্ট দিব কখন মাসুম ভাই :D

২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৪৩

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: ভালবাসা অর্জন করতে জান দিয়ে দিতে প্রস্তুত কিন্তু অর্জিত ভালবাসা চলে গেলে পিছন থেকে ডাকতেও প্রস্তুত নই



কবিতা অপুর্ব।
চালিয়ে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
পরের পর্বের অপেক্ষায়....

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আপনার অনুপ্রেরনা না পেলে হয়ত পর্বগুলো আর চালানো সম্ভব হত না।

৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:২৯

আশিক মাসুম বলেছেন: অন্য কিছু লিখা লাগবেনা।

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


B:-) B:-) B:-)

৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:১৬

শের শায়রী বলেছেন: ভাই আমার যে খিলাড়ী নাম্বার ২..................এক নাম্বার খিলাড়ী কে বলেন তো ভাই?

লিখা+++++++++++

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



এক নাম্বার খিলাড়ী আমার বড় ভাই।

৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:০৭

এ্যাপোলো৯০ বলেছেন: এখন পর্যন্ত এ পর্ব টা বেস্ট। মনে হয় জীবনের সব কিছুর এক্সপেরিএন্স করেছো।
হ্যাটস অফ ভাইয়া।

++++++

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


হুম কিছু আর বাদ রাখিনি । তবে একটা জিনিষ কিন্তু এখনো বাদ রয়ে গেছে।

৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২৪

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: এই সিরিজের প্রথম থেকে আছি। অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া!

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


যাদের অনুপ্রেরনায় এই সিরিজটি চালিয়ে যাচ্ছি তাদের মধ্যে আপনি অন্যতম একজন। শুভ কামনা রইল।

৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯

যুবায়ের বলেছেন: আবারতো কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিলেন ভাই??..
আইসেন দুইজনে একলগে কান্দি :( :(
যখন দেখলাম যাকে এত ভালোবাসি সেই কিনা আমার ভালোবাসাকে অবজ্ঞা করে অন্যের হাত ধরে চলে গেছে দূরে আমি তখন শিল্পী আসিফের মত গাইতে পারিনা ও প্রিয়া, ও প্রিয়া তুমি কোথায় ?............
পিলাচ++

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


চলেন দুই ভাই মিল্লা কান্দি আর সিগারেট খাই।

৮| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯

s r jony বলেছেন: এ্যাপোলো৯০ বলেছেন: এখন পর্যন্ত এ পর্ব টা বেস্ট। মনে হয় জীবনের সব কিছুর এক্সপেরিএন্স করেছো।
হ্যাটস অফ ভাইয়া।

++++++

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


হুম কিছু আর বাদ রাখিনি । তবে একটা জিনিষ কিন্তু এখনো বাদ রয়ে গেছে।

৯| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ওরে আল্লাহ ...
এত উঠা নামা জীবনের :-* :-* :-* :-* :-*

আপনাদের জন্য শুভকামনা

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এত উঠানামা হয়েছে বিধায় এই সিরিজের আয়োজন আপু। শুভকামনা আপনার জন্যও রইল। ভালো থাকবেন নিরন্তর।

১০| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: আমি আমার বাম হাতে লিখে নিলাম আমার প্রিয়া রেশমির নামের আদ্যক্ষরটি। দিয়াশলাইয়ের কাঠির মাথা থেকে বারুদগুলো চেঁছে নিলাম প্রথমে। তারপর হাতে সেগুলো হালকা আঠা দিয়ে এমন ভাবে লাগিয়ে দিলাম যেন সেই আদ্যক্ষরটির রূপ নেয়। তারপর দিয়াশলাইয়ের একটি কাঠিতে আগুন জ্বালিয়ে সেই হাতে লাগানো বারুদে আগুন ধরিয়ে দিলাম। খুব জ্বলছিল কিন্তু আমার হৃদয়ের ভেতরটার জ্বালা করা ক্ষতের কাছে সেটা কোন জ্বালাই তখন আর মনে হচ্ছিল না। আজো আমার বাম হাতে সেই ক্ষত রয়ে গেছে হয়ত আজীবন তেমনই থাকবে প্রিয়তমা রেশমি তোমার প্রতি আমার ভালোবাসার স্মৃতি হয়ে।


B:-) B:-) B:-)

কখুনো কারও নাম এমতে লেকি নাই ।

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



পাইলট ভাই মাথা পুরাই নষ্ট হলে যা হয় আরকি !

১১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭

অয়োময় বলেছেন: দারুন এডভেঞ্চার লাইফ ফর লাভ................................ :)

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


নো আদার ড্রাগস ফর লাইফ :)

১২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯

না পারভীন বলেছেন: উপরের সবাই যে যা মন্তব্য দিয়েছে সবার সাথে একমত ।

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আপনিও বাকীদের দলে ভিরেছেন। :(

১৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪

মামুন রশিদ বলেছেন: আধুনিক সেক্সি মেয়ে, শকুন্তলা, শিমুল, রুক্সী, নিপা :| :|


ভাই এক জীবনে, একই সময়ে !! কেম্নে কি /:) :-0 :P


পার্মানেন্ট টিকেট কাইটা বইলাম, সামনে নিশ্চয়ই আরো :!> :#> =p~

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:





শুধু আপনার জন্য রইল।

১৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬

একজন আরমান বলেছেন:
এ্যাপোলো৯০ বলেছেন: এখন পর্যন্ত এ পর্ব টা বেস্ট। মনে হয় জীবনের সব কিছুর এক্সপেরিএন্স করেছো।
হ্যাটস অফ ভাইয়া।

আমার আর বেশি কিছু বলার নাই।

আপনার জীবন থেকে আমার অনেক কিছু শেখার বাকি আছে মনে হচ্ছে এখনও। আপনার মতো এতোটা দুর্গম পথ পাড়ি না দিলেও অনেক টা মিল আছে আপনার সাথে।

একটা অনুরোধ। এই পোস্টগুলো প্লিজ ড্রাফট করবেন না। আর যদি করেনও তবে করার আগে আমাকে জানিয়ে নিবেন।

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


তথাস্তু আরমান ভাইয়া তাই হবে।

১৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন:
প্রতিটা পর্ব টাচ করে যাচ্ছে এই সিরিজের।

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ভাই অন্তরের দহন থেকে লেখা তাই হবে হয়ত।

১৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২০

তারছেড়া লিমন বলেছেন: কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিলেন ভাই??.. একসময় আমি ও এমনটা করেছিলাম তবে নাম লিখে নি কিন্তু দুই দুইটা দেয়াশলাই এর সমত্ত কাঠি আমার দুই হাতের উপর পুড়িয়েছিলাম ........ফলাফল টা ও দারুন হয়েছে আজ সে এক বাচ্চার মা আর আমি এখন ও অবিবাহীত... :( :( :( :( :( :( :( :( :( :( :( :(

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাই এই কাহিনী থেকে জাতিকে বঞ্চিত করবেন না দয়া করে, শীঘ্রই পোষ্ট দেন।

১৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

স্পাইসিস্পাই001 বলেছেন: কান্ডারী ভাই .... আপনার তো দেখি অনেকগুলো সম্ভাব্য প্রেম ছিলো....

তবে প্রথম প্রেম ভোলা যায় না ....

ধন্যবাদ ...... চলবে না, দৌড়াবে......

সিরিজটা ফলো করছি কিন্তু... সো খেয়াল কৈরা.....

ভাল থাকবেন ... :)

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সেত ছিলই বটে :)

খেয়াল আছেরে ভাই। :)

১৮| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫

একজন আরমান বলেছেন:
ড্রাফ্‌ট করলেও সমস্যা নেই।
আমি সব কপি করে এমএস ওয়ার্ডে সেভ করে রেখেছি। B-) B-) B-)

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

তোমার এমএস ওয়ার্ডে ভাইরাস ধরুক। ;)

১৯| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮

নূর আদনান বলেছেন: vaiya ami pulokit sihorito o nirbak hoye gelam...
sotti akta life apnar bote... sob dhoroner experience hoyese. apnar jibon theke kisu sekhar sekhar ase.
ar apnar kobita to boraborer motoi osadharon...
tobe apni o resmi apa dujoner jonnoi khub kosto lagtese.
chaliye jan...amar bissas apni chaliyei jaben

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আমার একটা দোষ আছে আগে মনে যা আসে করে ফেলি পরে কি হবে সেটা আর ভেবে দেখিনা কারন আমি বিশ্বাস করি যাই হোক দেখা যাবে পরে কোন না কোন ভাবে সমাধান করতে পারব আর না হলে মরব এর বেশী কি আছে তাই করতে আপত্তি কোথায় ?

২০| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০

শিপু ভাই বলেছেন:
দারুন বৈচিত্রময় আপনার জীবন!!!
অবাক হচ্ছি, মুগ্ধ হচ্ছি, দুঃখ পাচ্ছি!!!
তবে আমি ওগুলোকে বয়সের ব্যাপার বলবো। এখন হলে নিশ্চই অমনটা করতেন না!!!

বরাবরের মতই প্রাঞ্জল বর্ণনা!!!+++++++++++


পরের পর্বের অপেক্ষায়!!!

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাইয়া সত্যি সবই বয়সের দোষ তবে সব বয়সেই হয়ত নতুন নতুন ভুলের জন্ম হয় এটাও সত্যি।

ভাইয়া আপনার মন্তব্য খুব অনুপ্রেরনা দেয় আমাকে বিশেষ করে লেখার মানের জন্য। ভালো থাকবেন শুভ কামনা রইল।

২১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০

আরজু পনি বলেছেন:

হায় হায়, পড়তে পড়তে সেদিনের চুপচাপ থাকা কান্ডারী অর্থবের কথা ভাবছিলাম, আর মনে মনে বলছিলাম এই তবে...!!!!!

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমি অনেক বদলে গেছি আগে এত চুপচাপ ছিলাম না, অনেক আড্ডা বাজ ছিলাম কিন্তু সময় সব কিছু বদলে দিয়েছে এখন শুধু চুপচাপ সব শুনে যাই।

আপনাকে অনেক দিন পর ব্লগে পেয়ে খুসি হয়েছি। আসলে প্রিয় মুখগুলো জীবনের আনন্দের জন্য বড় বেশী প্রয়োজন।

২২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫০

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: ফাটাইয়া ফেলছেন পুড়া ...

ব্লগের নিক দেখে একটা মানুষ সম্বন্ধে কোন কিছু আন্দাজ করা যে ঠিক না সেটা আপনাকে দেখেই আরো একবার বুঝলাম ।

হায়রে আপ্নারে আমি কি রকম ভাবছিলাম,আর আপনি কি রকম হইলেন ? :-*

চালাইয়া যান পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় ।

আর এই লন এক বস্তা প্লাস ...+++++++++++++++++++++

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আগে বলেন আপনি আমাকে কি রকম ভাবছিলেন ? ভাই আমি আমার ব্লগ নিকের মতই একজন হুবুহ মানুষ।

২৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪৫

একজন আরমান বলেছেন:
ভালো কথা মনে করেছেন তো। এইটার ব্যাকআপ এখন গুগল ড্রাইভে আর স্কাই ড্রাইভে রেখে দিতে হবে। B-)) B-)) :P

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


গুগল আর স্কাই সব যেন মহা ভাইরাসে ক্র্যাশ করে।

২৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

একজন আরমান বলেছেন:
হা হা। হবে না। B-) B-) B-)

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আরমান ভাল হয়ে যাও ভাই।

২৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২২

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: জীবন সেতো পদ্ম পাতায় শিশির বিন্দু
মরুভুমির বুকে যেন বিষাদসিন্ধু
মনরে সে জীবন নিয়ে কেন এত কান্না
জীবনের পায়ে দিলি কেন এত ধর্না।।

আলোকের রূপ ধরে আলেয়া ছোটে
জোনাকির জ্বালা যেন ফুল হয়ে ফোটে

আহারে রাজার কুমার সোনার হরিণীতে মরে মাথা কুটে।
সোনার কাঠি রূপার যাদু আর নারে আর না।।

জলের লিখন যদি কপালের লিখা
প্রেমের আগুনে পুড়ে মরনে দেখা
অবুঝ হিয়া তবু প্রেমের দোসর খুজে ফেরে হাটে হাটে
ভালবাসা পুতুল খেলা আর নারে আর না।


ভাইয়া গান টা আপনার জন্য । অনেক ভাল লাগা লেখায় ।+++++

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আমি এই গানটি আমার ব্যাক্তিগত সংগ্রহে রেখে দিলাম। আপনাকে জানাই আমার চিরদিনের কৃতজ্ঞতা। আর আপনি আমার চোখে দেখি পানি এনে ছাড়বেন।

২৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩১

এম হুসাইন বলেছেন: পড়ে গেলাম এক নাগাড়ে......... শিহরিত, পুলকিত হইলাম......
+++++


কত যে নদীতে নৌকা করে ঘুরেছি শিমুলের সাথে, কত যে বৃষ্টিতে ভিজেছি দুজনে একসাথে সেই সব রোম্যান্টিক স্মৃতি কি আজো ভোলা যায় !

ভাবির মোবাইল নাম্বার টা জানি কি... ;) B-)) ;)

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এর মধ্যে আবার ভাবিরে টানার কি দরকার ভাই !!!

২৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১০

স্বপনবাজ বলেছেন: যাপোলো৯০ বলেছেন: এখন পর্যন্ত এ পর্ব টা বেস্ট। মনে হয় জীবনের সব কিছুর এক্সপেরিএন্স করেছো।
হ্যাটস অফ ভাইয়া।

++++++

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কিরে ভাই আপনিও দেখি একই কথা বলছেন !!!

২৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪১

এ্যাপোলো৯০ বলেছেন: ওরে আল্লাহ আমার কমেন্ট দেখি ধুমায় কপি মারতেছে সবাই !!!! আমার পারমিশন নিছে??? এইবার পেনাল্টি দেওয়া হইবে।প্রত্যেকে প্রথমবার বলে ১০০০ টাকা জরিমানা !:#P !:#P !:#P !:#P

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমারও সেই জরিমানা থেকে ভাগ চাই কিন্তু।

২৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫৪

বাংলার হাসান বলেছেন: এই পর্বটা অনেক বেশি ভাল লাগল। অপেক্ষায় রইলাম পরের পর্বের ++++++ রইল

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

পরের পর্ব আসতে একটু দেরী হতে পারে। আপাতত আমার উত্তাল মার্চের পর্বটি শেষ করার ইচ্ছা আছে।

৩০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৫৮

স্বপনবাজ বলেছেন: জরিপানা দিমুনা , মোবাইল দিমু উইথ ফ্রি টক টাইম !:#P

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

হা হা তাহলেই চলবে।

৩১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০০

মুনসী১৬১২ বলেছেন: আগে প্রথম পর্ব পড়া ছিল.. আজ তিন টা পড়লাম....

জীবনে অনেক উত্থানপতনের মধ্য দিয়ে এগিয়েছেন.....

লেখার হাত ভালো...

পাঠকদেরর জন্য তো লিখবেন.. তবে একটা কথা মনে রাখবেন.... লেখক সত্বা একটা অনন্য দান....অনেকটা স্রষ্টার মতো.... নিজের সৃষ্টিকে ভালো না বাসলে সৃষ্টি প্রাণ পায় না....তাই নিজের জন্য লিখবেন..... কষ্ট পাবেন লিখতে গিয়ে... কিন্তু লিখার পর যে আনন্দ পাবেন, তা কোটি টাকা দিয়েও কিনতে পারবেন না। সঙ্গে এতো লোকের কমপ্লিমেন্ট সোনায় সোহাগা......

লিখা কখনো বন্ধ করবেন না কারণ মানুষ চাইলেই লিখতে পারে না....না লিখতে পারা যে কত কষ্টের যারা শব্দ নিয়ে খেলতে পারে না তারা বোঝে এই অক্ষমতার কষ্ট।

খোদার এই অমূল্য দান থেকে নিজেও বঞ্চিত হবেন না... আমাদেরকেও করবেন না।



সিরিজ চলুক -----পাঠকদের চাপ তো থাকবে ...... তবে লিখবেন নিজের জন্য.....




ব্লগে আমার একটা খারাপ অভ্যাস আছে.... পোস্ট পড়ে সেটা মনে দাগ কাটলে... কিছু অপলাপ করা...................



২৪ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ব্লগের আপনার এই খারাপ অভ্যাসটির জন্য আপনাকে আমি আজ অনুসরণ করছি। এমন খারাপ অভ্যাস যদি অন্য সকলের হত তবে মন্দ হত না।

৩২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:০৪

মুনসী১৬১২ বলেছেন: ওপরে অনেক ফ্রি উপদেশ দিছি ক্ষমা কইরেন..বড় ভাই হিসেবে....


########

হঠাৎ আলো পরশ বুলায়
গর্বিত ভূমিকায়
কেঁপে ওঠে কচি কিশলয়
সবুজ মন হয় উচাটন
স্বপ্ন আঁকে প্রথম বালুকায়

ঘোরের ঘরে সময় উড়ে
ইচ্ছে ঘুড়ির রঙিনপুরে
প্রজাপতির রাঙা পাখা
বিষাদ মেঘও ছিল মাখা


পিছল পথের উল্টো রথে
যায় তলিয়ে উষার আলো
আঁধার ঘেরা ধূসর চরে
কিসের কালো মন্দভালো

বিজলি রেখায় চকিত হুশে
হারা নাবিক পায় যে দিশে

অকূল পাথার নেই কিনারা
চিত্ত আবার পাগল পারা
নীলের নেশায় ভুল ঠিকানায়
স্বর্গ খুঁজে অলিক মায়ায়

উড়ে যায় বালিহাঁস
কাঙ্খিত নীরে
পড়ে থাকে পালক
স্মৃতির চরে
একলা নির্জনে



বলে যায় শ্যাওলা স্রোত
থেমে থাকা জলে কষ্টের ফসিল জমে

নাবিক
লিলুয়া বাতাসে নতুন ভোরের চিঠি
আবার নোঙ্গর তোলো
মাস্তুলে লিখে দাও দারুচিনির বন্দরের ঠিকানা


ডুবে যায় শুক্ল পক্ষের তিথি
প্লাবিত চাঁদোয়ায় মাতাল অবারিত প্রান্তর
জলসার বেহালায় সুখি বাসরের মন্তর

সৈকতের ঝিনুক পথে হেঁটে যায় দুরন্ত পাঞ্জেরী
বেদুঈন তাঁবুর আয়োজনে
সঙ্গম মোহনার ছবি আঁকে দগ্ধ কান্ডারী




********আপনার জন্য

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

শুধু বলব আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছি আর আজ হতে অনুসরন করছি।

৩৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০৯

সিয়ন খান বলেছেন: কঠিন জীবনের কাহিনী। অনেক ভাল লাগলো +++
পরের পর্বের অপেক্ষায়

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

পরের পর্ব প্রকাশে কিছু বিল্মব হতে পারে তাই দুঃখিত আপাতত আমার মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সিরিজ শেষ করার ইচ্ছা আছে।

৩৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

একজন আরমান বলেছেন:
আমি খারাপ ছিলাম কবে? B:-) B:-) B:-)

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আরে ছেলে দেখি আদর বুঝে না।

৩৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪

এ্যাপোলো৯০ বলেছেন: লিখা কখনো বন্ধ করবেন না কারণ মানুষ চাইলেই লিখতে পারে না....না লিখতে পারা যে কত কষ্টের যারা শব্দ নিয়ে খেলতে পারে না তারা বোঝে এই অক্ষমতার কষ্ট।

আমি বুঝি :( :( :( :( :( :(

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

তুমি মন খারাপ করছ কেন? তুমিত খুব ভাল লিখ।

৩৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭

গ্রীনলাভার বলেছেন: জাষ্ট ওয়াও।

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ধন্যবাদ ব্রাদার।

৩৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৩

ফারজানা শিরিন বলেছেন: শিমুলের বিয়েটা আনন্দ দিছে ।

সত্যি স্বীকারোক্তি দিলাম ।

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আপনি এভাবে বলতে পারলেন।

৩৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০৫

এহসান সাবির বলেছেন: ভাই ভালো আছি। একটু ব্যাস্ত কাজ কর্ম নিয়ে, আর এখন ব্যাস্ত ''কান্ডারী অথর্ব ও রেশমির প্রেমের উপাখ্যান'' পড়া নিয়ে....

চলুক... আছি...

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্য সবসময় অনুপ্রেরনা দেয়।

৩৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:১১

ফারজানা শিরিন বলেছেন: ভাইয়া সত্যি কইলাম । মানে শিমুলের জন্য ত ভালোবাসা ছিলো না মোহ !

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ঠিক সেটাও নয় আসলে একরকম হতাশা থেকেই এমন ভালোবাসার জন্ম হয়েছিল।

৪০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬

ফারজানা শিরিন বলেছেন: hu .

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

:) :) :)

৪১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯

জনৈক গণ্ডমূর্খ বলেছেন: আহা!!! এক জীবনেতো প্রচুর বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়েছেন। দুই একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা আমাকেও নষ্টালজিক করে দিচ্ছে। বিশেষ করে দেয়াশলাইয়ের কাঠিতে নিজেকে দগ্ধ করে দেয়া।

যাই হোক কান্ডারী ভাই চালিয়ে যান। আপাতত কিছুদিন সামু থেকে অবসর নিচ্ছি। তারপরও আপনার পোস্ট এসে ঘুরে যাব।

ভালো হোক আপনার। সাথেই আছি।

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ভাই আমারও মনটা খুব খারাপ ভাবছি যদি অবসরে যেতে পারতাম তবে কতই না ভাল হত।

আপনার জন্য অপেক্ষায় থাকব।

৪২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫

লাবনী আক্তার বলেছেন: সব ভালোবাসা পূর্ণতা পায় না, সব প্রেম বাধে নাক বাসা। এই পর্বটা সত্যি মন ছুয়ে গেছে।

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সব ভালোবাসা পূর্ণতা পায় না, সব প্রেম বাধে নাক বাসা।

আমি এই কথাটির প্রেমে পড়ে গেছি।

৪৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:০৬

লাবনী আক্তার বলেছেন:
এই কাহিনী পড়ে একটা কথা বলতে ভুলেই গেছি " বস আপনি দেখা যায় বিশ্বপ্রেমিক ছিলেন" ;) ;) ;) ;) :P :P :P :P

২৫ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:১০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

তওবা অয়াস্তাগফিরুলাহ কি বলেন এই সব।

৪৪| ২৪ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪

আমি ইহতিব বলেছেন: ভাইয়া আপনাকে দেখা আমার স্বল্প সময়ের অভিজ্ঞতার সাথে এই লেখার বর্ণনা মেলাতে পারছিনা কিছুতেই। এতো বিচিত্র অভিজ্ঞতা আপনার আর এতো সাহস!!! কি বলবো আমি ঠিক বুঝতেও পারছিনা। মনের কথাগুলো গুছাতে পারলে আবার এসে বলে যাবো, সিরিজটা শেষ করে আসি।

আর হ্যাঁ ভাইয়া স্যালুট টু ইউ ।

২৫ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:১২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আমি আপনাকে স্যালুট দিচ্ছি এভাবে কষ্ট করে সবগুলো পর্ব পড়ছেন আর আমি খুবি সাধারন একজন মানুষ আমাকে স্যালুট দেয়ার কিছু নেই যে আপু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.