নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূণ্যতা থেকে শূণ্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

কান্ডারি অথর্ব

আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।

কান্ডারি অথর্ব › বিস্তারিত পোস্টঃ

"আমি মেজর জিয়া বলছি" - উত্তাল মার্চ - সপ্তম পর্ব

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১০





আমাকে মুক্তিযোদ্ধা হবার ব্যাঞ্জনা দেয়া হয়েছে; তবু চিত্তে তুমি আছো আজো হে মহান নেতা।



শহীদ রাষ্ট্রপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল মেজর জিয়াউর রহমান একটি নাম, বাংলাদেশের নব যুগের সূচনার একটি নব অধ্যায়; তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি, একজন সেনাপ্রধান এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আজ এই আমাদের প্রান প্রিয় স্বাধীনতা দিবসে আমি তাঁকে বিশেষ ভাবে স্মরন করে আমার হৃদয়ের অজস্র শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।







১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ পশ্চিম পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যখন পূর্ব পাকিস্তানের নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর বর্বরের মতো ঘৃণ্য হামলা চালায়। সে রাতে পশ্চিম পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে পূর্ব পাকিস্তানের জনপ্রিয় বাঙালি নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বন্দী হন। মার্চ এর ২৬ তারিখ দিনের প্রথম প্রহরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে। পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ চলে যান আত্মগোপনে। জনগণ তখন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে। এই সঙ্কটময় মুহূর্তে ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় পশ্চিম পাকিস্তানী বাহিনীর বর্বর আক্রমণের পর লেফটেন্যান্ট জেনারেল মেজর জিয়াউর রহমান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করে বিদ্রোহ করেন এবং ২৬শে মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসার মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেন। তারপর থেকে আজো ২৬শে মার্চ এই দিনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হিসাবে পালিত হয়। ঘোষণাটি নিম্নরুপ:







প্রিয় দেশবাসী,আমি মেজর জিয়া বলছি।...আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। আপনারা দুশমনদের প্রতিহত করুন। দলে দলে এসে যোগ দিন স্বাধীনতা যুদ্ধে। গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েট ইউনিয়ন, চীনসহ বিশ্বের সব স্বাধীনতাপ্রিয় দেশের উদ্দেশে আমাদের আহ্বান, আমাদের ন্যায়যুদ্ধের সমর্থন দিন এবং স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিন।...ইনশাআল্লাহ বিজয় আমাদের অবধারিত।







২৭শে মার্চ প্রত্যুষে কালুরঘাটে অবস্থিত চট্টগ্রাম বেতারের বিপ্লবী কর্মীরাও অদূরে বাঙালী সেনাদের অবস্থানের খবর পেয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করে। সেখানে তারা মেজর জিয়াকে বেতারে একটি ঘোষনা দিতে এবং ট্রান্সমিশন কেন্দ্র পাহারা দিতে কয়েকজন সৈনিক দেবার অনুরোধ করে। মজের জিয়া এতে রাগান্বিত হয়ে তাদের ফিরিয়ে দেন। অবশ্য কিছুক্ষন পরে তিনি কালুরঘাট ট্রান্সমিশন কেন্দ্র পাহারার জন্য ৮জন সৈনিক পাঠান। তারপর হঠাৎ করে নিজে সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন এবং ট্রান্সমিশন কেন্দ্র থেকে নিজেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ঘোষনা করে স্বাধীনতার ঘোষনা প্রদান করেন। তার এই ধরনের ঘোষনায় নেতৃবৃন্দ হতভম্ব হয়ে পড়েন। পরে সর্বজন শ্রদ্বেয় ব্যক্তিত্ব প্রাত্তন কেন্দ্রীয় শিল্পমন্ত্রী জনাব,এ.কে. খান সাহেবের বাসায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে নিজ হাতে মেজর জিয়ার মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে স্বাধীনতার ঘোষনা দেন যেটা আজ আমরা শুনে থাকি।



তার এই ঘোষণা পত্রটিতে যেহেতু বঙ্গবন্ধুর পক্ষথেকে ঘোষণা করছেন কথাটি উল্লেখ ছিলনা তাই তিনি পরবর্তীতে সেই ভাষণ সংশোধন করেন এবং পুনরায় ২৭ শে মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে সকাল ১১টায় স্বাধীনতার আরেকটি ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। ঘোষণাপত্রটির ভাষ্য নিম্নরুপ:







This is Swadhin Bangla Betar Kendra. I, Major Ziaur Rahman, at the direction of Bangobondhu Mujibur Rahman, hereby declare that Independent People's Republic of Bangladesh has been established. At his direction , I have taken the command as the temporary Head of the Republic. In the name of Sheikh Mujibur Rahman, I call upon all Bengalees to rise against the attack by the West Pakistani Army. We shall fight to the last to free our motherland. Victory is, by the Grace of Allah, ours. Joy Bangla.





অনুবাদ: আমি,মেজর জিয়া, বাংলাদেশ লিবারেশন আর্মির প্রাদেশিক কমাণ্ডার-ইন-চিফ, শেখ মুজিবর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। আমি আরো ঘোষণা করছি যে, আমরা শেখ মুজিবর রহমানের অধীনে একটি সার্বভৌম ও আইনসিদ্ধ সরকার গঠন করেছি যা আইন ও সংবিধান অনুযায়ী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের সরকার জোট-নিরপেক্ষ নীতি মেনে চলতে বদ্ধপরিকর। এ রাষ্ট্র সকল জাতীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে এবং বিশ্বশান্তির জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। আমি সকল দেশের সরকারকে তাদের নিজ নিজ দেশে বাংলাদেশের নৃশংস গণহত্যার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। শেখ মুজিবর রহমানের সরকার একটি সার্বভৌম ও আইনসম্মত সরকার এৰং বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পাবার দাবিদার।







১৯৭১ সালে এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা ঘটে যা নয় মাস স্থায়ী হয়। মেজর জিয়া এবং তাঁর বাহিনী সামনের সারি থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন। তাঁরা বেশ কয়েকদিন চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী অঞ্চল নিজেদের নিয়নত্রণে রাখতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর অভিযানের মুখে কৌশলগতভাবে তাঁরা সীমান্ত অতিক্রম করেন। ১৭ই এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হলে তিনি ১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার নিযুক্ত হন। তিনি সেনা সদস্যদের সংগঠিত করে পরবর্তীতে তিনটি সেক্টরের সমন্বয়ে জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে যুদ্ধপরিচালনা করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমান, যুদ্ধ পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। ১৯৭১ সালের জুন পর্যন্ত ১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ও তারপর জেড-ফোর্সের প্রধান হিসেবে তিনি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বের জন্য তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করা হয়।







জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯শে জানুয়ারি বাংলাদেশের বগুড়া জেলার বাগবাড়ী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ছিল মনসুর রহমান এবং মাতার নাম ছিল জাহানারা খাতুন ওরফে রানী। পাঁচ ভাইদের মধ্যে জিয়াউর রহমান ছিলেন দ্বিতীয়। তাঁর পিতা কলকাতা শহরে এক সরকারি দপ্তরে রসায়নবিদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর শৈশবের কিছুকাল বগুড়ার গ্রামে ও কিছুকাল কলকাতা শহরে অতিবাহিত হয়। ভারতবর্ষ বিভাগের পর ১৯৪৭ তাঁর জন্মস্থান পূর্ব পাকিস্তানের অংশে চলে আসে এবং তাঁর পিতা পশ্চিম পাকিস্তানের করাচি শহরে চলে যান। তখন জিয়া কলকাতার হেয়ার স্কুল ত্যাগ করেন এবং করাচি একাডেমী স্কুলে ভর্তি হন। ঐ স্কুল থেকে তিনি ১৯৫২ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন এবং তারপর ১৯৫৩ সালে করাচিতে ডি.জে. কলেজে ভর্তি হন। একই বছর তিনি কাকুল মিলিটারি একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন।







অযাচিত একটি বিতর্ক সৃষ্টির সুযোগের জন্ম



১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট প্রত্যূষে একদল তরুণ সেনা কর্মকর্তা ট্যাঙ্ক দিয়ে রাষ্ট্রপতির ধানমণ্ডিস্থ বাসভবন ঘিরে ফেলে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, তাঁর পরিবার এবং তাঁর ব্যক্তিগত কর্মচারীদের হত্যা করে। কেবল তাঁর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করার কারণে বেঁচে যান। তাদের বাংলাদেশে ফিরে আসার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সেনা অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করেন বিক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সামরিক কর্মকর্তারা। এদের মধ্যে ছিলেন শেখ মুজিবের প্রাক্তন সহকর্মী খন্দকার মোশতাক আহমেদ, যিনি তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। সংবাদ মাধ্যমে এ ঘটনার ইন্ধনদাতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সেণ্ট্রাল ইণ্টেলিজেন্স এজেন্সি সিআইএ-কে দায়ী করা হয়। বাংলাদেশে অবস্থিত তৎকালীন রাষ্ট্রদুত ইউজিন দিয়ে লরেন্স লিফসুল্জ সিআইএ-কে অভ্যুত্থান ও গণহত্যার জন্য দোষারোপ করেন। তাঁর মরদেহ তাঁর জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়ায় হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সামরিক তত্ত্বাবধানে দাফন করা হয়। অন্যান্যদের ঢাকার বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।



বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু বাংলাদেশকে বহু বছরের রাজনৈতিক সংঘাতের দিকে টেনে নেয়। সেনাঅভ্যুত্থানের নেতারা অল্পদিনের মধ্যেই উচ্ছেদ হয়ে যান এবং অভ্যুত্থান, পাল্টা অভ্যুত্থান আর রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে দেশ অচল হয়ে পড়ে। ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর আরেকটি সেনা অভ্যুত্থানের ফলশ্রতিতে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতা আসীন হওয়ার পর শৃঙ্খলা অনেকাংশে ফিরে আসে। ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করার পাশাপাশি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে মুজিবের হত্যার সাথে জড়িতদের বিচার বন্ধ করার নির্দেশ দেন। সেনাঅভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান নেতা কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমানসহ ১৪ জন সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিরা বিদেশে পালিয়ে গিয়েছিলেন।







১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট চাকরিরত ও অবসরপ্রাপ্ত কিছু সামরিক কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে। খন্দকার মোশতাক আহমদ ও লে. কর্নেল আবদুর রশীদ বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্বে ছিলেন। খন্দকার মোশতাকের এলাকার একজন বাসিন্দা ও তাঁর খুবই ঘনিষ্ঠজন ছিলেন রশীদ। ওই সময় মেজর জেনারেল সফিউল্লাহ সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর সেনাবাহিনীর চাকরি শেষ হয়। এ অবস্থায় সামরিক বাহিনীর নিয়ম অনুসারে ডেপুটি চিফ অব আর্মি স্টাফ মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বীরউত্তমকে সেনাবাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু আওয়ামীপন্থী সেনা কর্মকর্তারা জিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। এই ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ বীরউত্তম। তাঁকে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেন ঢাকা সেনানিবাসের ৪৬ ব্রিগেডের কিছু অফিসার। রংপুর সেনানিবাসে অবস্থানরত ব্রিগেড কমান্ডার কর্নেল হুদা ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদসহ কিছু কর্মকর্তাও খালেদকে সহযোগিতা করেন।







১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ষড়যন্ত্রকারীরা খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে বিদ্রোহ শুরু করেন। তাঁরা জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দি করেন এবং তাঁকে অবসরে যেতে বাধ্য করেন। ব্রিগেডিয়ার খালেদ নিজেকে সেনাবাহিনীর প্রধান ঘোষণা করেন। কিন্তু সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা খালেদ ও অন্য অফিসারদের কর্মকাণ্ড মেনে নিতে পারেননি। ৩ নভেম্বরের ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সিপাহি-জনতার সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ৭ নভেম্বর বিপ্লব সংঘটিত হয়। সিপাহিরা জিয়াকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করেন এবং আবার সেনাবাহিনী ও দেশের শাসনভার গ্রহণের অনুরোধ জানান। তাঁদের অনুরোধে জিয়া সেনাপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তখন সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খল অবস্থা ছিল। উল্লসিত সিপাহিরা ট্যাংক ও গাড়ি নিয়ে শহরে বের হয়ে পড়েন। লাখ লাখ জনতা তাঁদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানায়। এ কারণে ৭ নভেম্বরকে বিপ্লব ও সংহতি দিবস আখ্যায়িত করা হয়। সশস্ত্র বাহিনীর সর্বস্তরের সদস্যদের পক্ষ থেকে ৭ নভেম্বরকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করার দাবি ওঠে। চাকরিরত সেনাসদস্যদের ৭ নভেম্বরের ঘটনা উপলক্ষে 'মেডেল' দেওয়া হয়েছিল।







৭ নভেম্বরের পাঁচ-ছয় মাসের ব্যবধানে সেনাবাহিনীতে একাধিক ক্যু সংঘটিত হয়। কিন্তু মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান তাঁর সততা, বিচক্ষণতা ও মেধা দিয়ে সশস্ত্র বাহিনীতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন এবং দেশবাসীর কাছে অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এর পেছনের মূল কারণ ১৯৭১ সালে দেশ যখন নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ে, তখন রাজনৈতিক দলের কোনো নেতা স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে পারেননি। ওই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন জিয়া। তিনি ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন। তিনি ছিলেন ক্ষণজন্মা নেতা, একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক, একজন সফল সমরবীর ও সফল সেনাপতি। তাঁর সঙ্গে অন্য কারো তুলনা হয় না।

ওই সময় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) চেয়েছিল জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে সমাজতন্ত্র কায়েম করতে। দেশে গণতন্ত্র কায়েম করা জাসদের লক্ষ্য ছিল না। সেনাবাহিনীতে কর্নেল তাহেরের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠলে সিপাহিদের হস্তক্ষেপে জনগণ সমাজতন্ত্র কায়েমের চেষ্টা থেকে মুক্তি পায়। তাহেরের ফাঁসির ব্যাপারে জিয়াউর রহমানের কোনো ভূমিকা ছিল না। স্বাভাবিক নিয়মে কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে তাঁর বিচার হয়। কোর্ট মার্শালের চেয়ারম্যান ও বিচারকরা তাহেরকে ফাঁসির আদেশ দেন। তখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ আবু সায়েম। তিনি কোর্ট মার্শালের সাজা বহাল রাখেন।







তখন আওয়ামী লীগ চেয়েছিল খালেদ মোশাররফের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করতে। আর জাসদ চেয়েছিল তাহেরের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করতে। জাসদ ওই সময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র করেছিল। দুটি দলই পৃথকভাবে ক্ষমতার জন্য ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি; সিপাহিদের হস্তক্ষেপের কারণে ব্যর্থ হয়। এ জন্যই ৭ নভেম্বরকে তারা ভিন্নভাবে পালন করে।







রাষ্ট্রপতি জিয়া




১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর সিপাহি জনতা বিপ্লবের পর তিনি রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। ১৯শে নভেম্বর ১৯৭৬ সালে তাঁকে পুনরায় সেনাবাহিনীর চীফ অফ আর্মী স্টাফ পদে দায়িত্বে প্রত্যাবর্তন করা হয় এবং উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব দেয়া হয়। জিয়াউর রহমান ১৯৭৬ সালের ৮ই মার্চ মহিলা পুলিশ গঠন করেন, ১৯৭৬ সালে কলম্বোতে জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন সম্মেলনে যোগদান করেন এবং বাংলাদেশ ৭ জাতি গ্রুপের চেয়ারম্যান পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ১৯৭৬ সালেই তিনি উলশি যদুনাথপুর থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খনন উদ্বোধন করেন। ১৯৭৬ সালের ২৯শে নভেম্বর তিনি প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হন। ১৯৭৬ সালে গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠন করেন, ১৯৭৭ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি একুশের পদক প্রবর্তন করেন এবং রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত সায়েমকে কৌশলে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে ফেলার পর ২১শে এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন।







রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন জিয়া দেশে আবার গণতন্ত্রায়ণের উদ্যোগ নেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র চালুর সিদ্ধান্ত নেন। দেশের রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা সৃষ্টির আভাস দিয়ে তিনি বলেন,



I will make politics difficult for the politicians.








১৯৭৮ সালের ৩রা জুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জিয়াউর রহমান জয়লাভ করেন। এই নির্বাচনে মোট ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল। এখানে উল্লেখ্য যে, এ নির্বাচনে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন। ২ জনের মনোনয়নপত্র বাছাই –এ বাদ পড়ায় বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থীর সংখ্যা ৯ জন। ১ জন আপীল দাখিল করায় ও তাঁর আপীল গৃহীত হওয়ায় এবং কোন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করায় সর্বশেষ প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যা ১০ জন ছিল। এরপর জিয়াউর রহমান মে মাসে ১৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা এবং আস্থা যাচাইয়ের জন্য ৩০শে মে গণভোট অনুষ্ঠান ও হাঁ-সূচক ভোটে বিপুল জনসমর্থন লাভ করেন।







বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ



জিয়াউর রহমান বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের তত্ত্ব প্রদান করে তা জনপ্রিয় করে তোলেন। বাংলাদেশে বহু সংখ্যক বিভিন্ন ধরনের মতের ও ধর্মের নানা জাতিগোষ্ঠী বাস করে। তাদের সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার মাত্রা ও ধরন একে অপরের থেকে ভিন্ন। তাই জিয়া মনে করেন যে, ভাষা বা সংস্কৃতির ভিত্তিতে নয়, ভূখণ্ডের ভিত্তিতেই জাতীয়তাবাদকে গ্রহণ করা উচিত। তিনি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ-সংস্কৃতি নির্বিশেষে সকল নাগরিকের ঐক্য ও সংহতির ওপর গুরুত্ত্ব আরোপ করেন এবং এই ধারণা জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার শক্তি হিসেবে বাংলাদেশে শক্তিশালী ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াস চালান।







আইন শৃঙ্খলা



রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই জিয়াউর রহমান দেশে শান্তি শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে আত্মনিয়োগ করেন। এতদুদ্দেশ্যে তিনি পুলিশ বাহিনীকে শক্তিশালী করেন। পুলিশ বাহিনীর সংখ্যা আগের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ করে তিনি তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যাবস্থা গ্রহণ করেন। ‍সশস্ত্র বাহিনীতেও তিনি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন। এতদুদ্দেশ্যে তিনি কঠোর প্রশিক্ষণ ব্যাবস্থার মাধ্যমে ‍সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে পেশাগত শৃঙ্খলা উন্নয়নের কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং তাদের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ করেন। ‍সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে যথেষ্ট সফল হলেও জিয়াউর রহমানকে বেশ কয়েকটি সেনা-বিদ্রোহ ও সামরিক অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার মোকাবেলা করতে হয়। এসব বিদ্রোহ দমনে বাধ্য হয়ে তাঁকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়।







বহুদলীয় গণতন্ত্র




নির্বাচন ব্যবস্থা পুনর্বহাল এবং অবাধ রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সুযোগ প্রদানের লক্ষ্যে জিয়াউর রহমান যত দ্রুত সম্ভব রাজনীতির গণতন্ত্রায়নে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে তিনিবাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগের আমলে নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক দলগুলিকে তাদের কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এইভাবে, তিনি সংবাদপত্রের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন, সংবাদপত্রের মাধ্যমে তথ্যের অবাধ প্রবাহ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদান করেন। ১৯৭৮ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে তিনি উপরাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে প্রধান করে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) প্রতিষ্ঠা করেন। ছয়টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় ফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই নির্বাচনে তিনি ৭৬.৬৭% ভোট পেয়ে বিজয়ী হন এবং রাষ্ট্রপতির পদে নিয়োজিত থাকেন।







বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)



১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর জেনারেল জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়া এই দলের চেয়ারপারসন (Chairperson)। রাষ্ট্রপতি জিয়া এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন এবং এই দলের প্রথম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। অধ্যাপক এ. কিউ. এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এর প্রথম মহাসচিব ছিলেন। জিয়ার এই দলে বাম, ডান ও মধ্যপন্থীসহ সকল স্তরের লোক ছিলেন। বিএনপির সব থেকে প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল এর নিয়োগ পদ্ধতি। প্রায় ৪৫% সদস্য শুধুমাত্র রাজনীতিতে নতুন ছিলেন তাই নয়, তারা ছিলেন তরুণ। ১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় রমনা রেস্তোরাঁয় রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের যাত্রা শুরু করেন।







জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণাপত্র পাঠ ছাড়াও প্রায় দুই ঘণ্টা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সংবাদ সম্মেলনে নতুন দলের আহবায়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি প্রথমে ১৮ জন সদস্যদের নাম এবং ১৯শে সেপ্টেম্বর ওই ১৮ জনসহ ৭৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। এখানে উল্লেখ্য যে, বিএনপি গঠন করার আগে ১৯৭৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) নামে আরেকটি দল উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে সভাপতি করে গঠিত হয়েছিল।







২৮শে আগস্ট ১৯৭৮ সালে নতুন দল গঠন করার লক্ষ্যে জাগদলের বর্ধিত সভায় ওই দলটি বিলুপ্ত ঘোষণার মাধ্যমে দলের এবং এর অঙ্গ সংগঠনের সকল সদস্য জিয়াউর রহমান ঘোষিত নতুন দলে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তিনি রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২৯৮টি আসনের মধ্যে ২০৭টিতে জয়লাভ করে। নির্বাচনে অংশ নিয়ে আব্দুল মালেক উকিল এর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ৩৯টি ওমিজানুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ২টি আসনে জয়লাভ করে। এছাড়া জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ৮টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ১টি ও মুসলিম ডেমোক্রেটিক লীগ ২০টি আসনে জয়লাভ করে।







আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন



জিয়া প্রবর্তিত উন্নয়নের রাজনীতির কতিপয় সাফল্য:

• সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান।

• জাতীয় সংসদের ক্ষমতা বৃদ্ধি।

• বিচার বিভাগ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়া।

• দেশে কৃষি বিপ্লব, গণশিক্ষা বিপ্লব ও শিল্প উৎপাদনে বিপ্লব।

• সেচ ব্যবস্থা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে স্বেচ্ছাশ্রম ও সরকারী সহায়তার সমন্বয় ঘটিয়ে ১৪০০ খাল খনন ও পুনর্খনন।

• গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রবর্তন করে অতি অল্প সময়ে ৪০ লক্ষ মানুষকে অক্ষরজ্ঞান দান।

• গ্রামাঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা প্রদান ও গ্রামোন্নয়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (ভিডিপি) গঠন।

• গ্রামাঞ্চলে চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি বন্ধ করা।

• হাজার হাজার মাইল রাস্তা-ঘাট নির্মাণ।

• ২৭৫০০ পল্লী চিকিৎসক নিয়োগ করে গ্রামীণ জনগণের চিকিৎসার সুযোগ বৃদ্ধিকরণ।







• নতুন নতুন শিল্প কলকারখানা স্থাপনের ভেতর দিয়ে অর্থনৈতিক বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণ।

• কলকারখানায় তিন শিফট চালু করে শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি।

• কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও দেশকে খাদ্য রপ্তানীর পর্যায়ে উন্নীতকরণ।

• যুব উন্নয়ন মন্ত্রাণালয় ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে যুব ও নারী সমাজকে সম্পৃক্তকরণ।

• ধর্ম মন্ত্রণালয় প্রতিষ্টা করে সকল মানুষের স্ব স্ব ধর্ম পালনের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিকরণ।

• বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রগতি সাধন।

• তৃণমূল পর্যায়ে গ্রামের জনগণকে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করণ এবং সর্বনিম্ন পর্যায় থেকে দেশ গড়ার কাজে নেতৃত্ব সৃষ্টি করার লক্ষ্যে গ্রাম সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন।







• জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের আসনলাভ।

• তিন সদস্যবিশিষ্ট আল-কুদস কমিটিতে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি।

• দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে 'সার্ক' প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ গ্রহণ।

• বেসরকারিখাত ও উদ্যোগকে উৎসাহিতকরণ।

• জনশক্তি রপ্তানি, তৈরি পোশাক, হিমায়িত খাদ্য, হস্তশিল্পসহ সকল অপ্রচলিত পণ্যোর রপ্তানীর দ্বার উন্মোচন।

• শিল্পখাতে বেসরকারি বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রের সম্প্রসারণ।







জিয়াউর রহমানের ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি



বিএনপি প্রতিষ্ঠার পরপরই জিয়াউর রহমান দলের কর্মীদের রাজনৈতিক প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে কর্মশালা আয়োজনের উদ্যোগ নেন, যার মাধ্যমে দলের কর্মীদের বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, দলের আদর্শ, সাংগঠনিক নিয়ম-কানুন ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করা হত।







১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বরে এরকম একটি কর্মশালা উদ্বোধনকালে তিনি দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন,



“কোন রাজনৈতিক আদর্শ ধর্মকে ভিত্তি করে হতে পারে না। একটা অবদান থাকতে পারে। কিন্তু ধর্মকে কেন্দ্র করে কখনওই রাজনীতি করা যেতে পারে না। অতীতে আমাদের অভিজ্ঞতা হয়েছে যে ধর্মকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান সময়ে যখনই রাজনীতি করা হয়েছিল সেটা বিফল হয়েছে। কারণ ধর্ম ধর্মই। আমাদের অনেকে আছে যারা আমাদের দেশে যে বিভিন্ন ধর্ম রয়েছে, সেগুলোকে কেন্দ্র করে রাজনীতির পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেষ্টা করেন। রাজনীতির রূপরেখা বানাতে চেষ্টা করেন, আমরা বারবার দেখেছি তারা বিফল হয়েছে। ধর্মের অবদান থাকতে পারে রাজনীতিতে, কিন্তু রাজনৈতিক দল ধর্মকে কেন্দ্র করে হতে পারে না। এটা মনে রাখবেন, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ”







আন্তর্জাতিক সম্পর্ক



রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর জিয়া বাংলাদেশের কূটনৈতিক নীতিমালায় বিশেষ পরিবর্তন আনেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশের প্রতি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তির দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে বিশেষ একটি কূটনৈতিক অবস্থানের সৃষ্টি হয়, যার ফলে বাংলাদেশের সাথে প্রতিবেশী ভারত সহ সোভিয়েত ইউনিয়নের বন্ধুতা অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক নৈকট্য গড়ে তুলেছিল। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান আন্তর্জাতিক স্নায়ু যুদ্ধের তৎকালীন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির উল্লেখযোগ্য সংস্কার করেন যার দুটি মূল দিক ছিল সোভিয়েত ব্লক থেকে বাংলাদেশের সরে আসা ও মুসলিম বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক স্থাপন করা। জিয়াউর রহমান সোভিয়েত ইউনিয়ন ব্যাতীত প্রাচ্যের আরেক পারমাণবিক শক্তি চীনের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপনে উদ্যোগী হন।







তাঁর পররাষ্ট্রনীতি সংস্কার প্রক্রিয়ার আওতায় আরও ছিল বাংলাদেশের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও আরব বিশ্বের সাথে সম্পর্কের স্বাভাবিকীকরণ, যে সম্পর্কে স্বাধীনতার পর থেকেই শৈতল্য বিরাজ করছিল। মধ্যপ্রাচ্যের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের সুবিধা ও উপকারিতা বাংলাদেশ আজও পুরোমাত্রায় উপভোগ করছে, কেননা বর্তমানে সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো যে বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশী প্রবাসী শ্রমিকদের কর্মস্থলে পরিণত হয়েছে তার রূপরেখা জিয়াই রচনা করে গিয়েছিলেন। এক্ষেত্রে সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের সাথে স্থাপিত সম্পর্ক অনেকটা অর্থনৈতিক হলেও যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সাথে স্থাপিত সম্পর্কে সামরিক ও নিরাপত্তা বিষয়ক ইস্যুগুলোও প্রাসঙ্গিক ছিল। বিশেষ করে চীনের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করার মাধ্যমে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর পূণর্গঠনের কাজ অনেকটা তরান্বিত করেছিলেন। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অস্ত্রাগারের দিকে তাকালে সেই সত্যই প্রতিফলিত হয়। সামরিক পূণর্গঠনের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর সাথে উন্নত কূটনৈতিক সম্পর্কের কারণে জিয়া রাষ্ট্রীয় বিমান পরিবহন সংস্থা বিমানের আধুনিকীকরণও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছিলেন।







প্রাথমিক ভাবে এসব সংস্কার বৃহত্তর প্রতিবেশী ভারতের সাথে সামান্য দূরত্ব সৃষ্টির ইঙ্গিত বহন করলেও জিয়াউর রহমান যে আঞ্চলিক সহায়তাকে গুরুত্ব দিতেন সেই সত্যের প্রতিফলন ঘটে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহায়তা সংস্থা (সার্ক) গঠনে তাঁর উদ্যোগ ও অবদানের মধ্য দিয়ে। যেহেতু ভারত সে সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের অত্যন্ত বন্ধুভাবাপন্ন ছিল, স্নায়ুযুদ্ধের অপরপক্ষ অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশ কূটনৈতিক নৈকট্য ভারতের সাথে দূরত্ব সৃষ্টির একটি কারণ হতে পারত।







চীনের সাথে বাংলাদেশের তৎকালীন সদ্যস্থাপিত সুসম্পর্কও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।কিন্তু জিয়াউর রহমান উপলব্ধি করেছিলেন যে আঞ্চলিক প্রতিযোগীতার বদলে সহযোগীতা স্থাপিত হলে বিশ্ব অর্থনীতি ও রাজনীতিতে দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে যার ফলে বাংলাদেশ সহ এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলো উপকৃত হবে। এই লক্ষ্যে তিনি সার্কের রূপরেখা রচনা করেন যা পরে ১৯৮৫ সালে বাস্তবে রূপ নেয় ও প্রতিষ্ঠিত হয় সার্ক।







মুক্তিযুদ্ধের পর জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের ২১শে এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন এবং ১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠা করেন।







জিয়াউর রহমান বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের তত্ত্ব প্রদান করে তা জনপ্রিয় করে তোলেন। বাংলাদেশে বহু সংখ্যক বিভিন্ন ধরনের মতের ও ধর্মের নানা জাতিগোষ্ঠী বাস করে। তাদের সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার মাত্রা ও ধরন একে অপরের থেকে ভিন্ন। তাই জিয়া মনে করেন যে, ভাষা বা সংস্কৃতির ভিত্তিতে নয়, ভূখণ্ডের ভিত্তিতেই জাতীয়তাবাদকে গ্রহণ করা উচিত। তিনি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ-সংস্কৃতি নির্বিশেষে সকল নাগরিকের ঐক্য ও সংহতির ওপর গুরুত্ত্ব আরোপ করেন এবং এই ধারণা জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার শক্তি হিসেবে বাংলাদেশে শক্তিশালী ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াস চালান।







মৃত্যু



জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সামরিক বাহিনীর মধ্যে যারা জিয়ার বিরোধীতা করত তাদের সাথে জিয়ার নির্মম ব্যবহারের কারণে জিয়ার অনেক সমালোচনা করা হত। যদিও জিয়া অনেক জনপ্রিয় ছিলেন, জিয়ার পুনর্বাসনে কয়েকজন আওয়ামী লীগের লোক তার প্রচুর বিরোধীতা করে। এসব বিক্ষোভের দূরকল্পনা থাকার পরেও জিয়া তার দলের স্থানীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে এক ঘঠিত কলহ থামানোর জন্য ১৯৮১ সালের ২৯শে মে চট্টগ্রামে আসেন এবং সেখানে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে থাকেন। তারপর ৩০শে মে গভীর রাতে সার্কিট হাউসে বীর উত্তম মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুরের নেতৃত্বে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে জিয়া নিহত হন। জিয়াউর রহমানকে ঢাকার শেরে বাংলা নগরে দাফন করা হয়। জেনারেল জিয়ার জানাজায় বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ জনসমাগম ঘটে ।







হে আমার প্রান প্রিয় নেতা বাংলাদেশের সব অঞ্চল যে আজ আবারো রক্তে স্নাত। আরেকটি বার যদি শোনা যেত সেই বজ্রকন্ঠে আমি মেজর জিয়া বলছি......... তবে হয়ত আমরা আমাদের হারানো স্বাধীনতা আবার খুঁজে পেতাম কিন্তু আফসোস জাগে মনে যে আপনার সেই আদর্শের পথে কি আদৌ চলছে আপনার গঠিত স্বপ্নের দল আজকের বি এন পি নাকি জাতীয়তাবাদের আদর্শ থেকে তারা অনেক দূরে ছিটকে পরেছে !!! তাই এই মুহূর্তে বড় বেশী প্রয়োজন ছিল আপনাকে হে মহান, আমাদের প্রাণপ্রিয় জননেতা। তাইত আপনাকে আজো বার বার জানাই আমার হৃদয়ের গহীন হতে লাল সালাম।







আমার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক অন্যান্য পোষ্ট সমূহ



দ্রোহের আগুন জ্বলছে হৃদয়ে ২৫ শে মার্চ কাল রাতের বিভীষিকা ময় সেই স্মৃতি বারবার ফিরে আসে চেতনায়

অপারেশন জ্যাকপট - উত্তাল মার্চ - ষষ্ঠ পর্ব

"এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম " – উত্তাল মার্চ – পঞ্চম পর্ব

“কালানুক্রম” – উত্তাল মার্চ – চতুর্থ পর্ব

“ভিনদেশী মুক্তিবাহিনী” আমরা তোমাদের ভুলব না – উত্তাল মার্চ – তৃতীয় পর্ব

“ভিনদেশী মুক্তিবাহিনী” আমরা তোমাদের ভুলব না – উত্তাল মার্চ – দ্বিতীয় পর্ব

“ওয়ালাকুমুসসালাম” - উত্তাল মার্চ – প্রথম পর্ব

STOP GENOCIDE

দারুণ ক্রোধের আগুনে আবার জ্বালবো একুশে ফেব্রুয়ারি।।

মন্তব্য ৩৩৩ টি রেটিং +৫৪/-০

মন্তব্য (৩৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২০

নষ্ট শয়তান বলেছেন: অসাধারন লেখা কিন্তু ভয় হয় আপনার মত লেখককে এই লেখার জন্য না আবার ছাগু ট্যাগ দেয়া হয়।

আবারো বলি অসাধারন আপনার লেখা। রাজনীতি নিয়ে আমারো কিছু লেখা আছে পারলে দেখবেন আর আমার ভূল শুধরে দেবেন।

গ্রেট।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাই আমি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ দৃষ্টি কোন থেকে আমার এই মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক এবং আমাদের জাতীয় নেতাদের নিয়ে শুধু একটি সিরিজ লিখছি আর এর জন্য আমি ছাগু ট্যাগ খেতে পারি সেটা ভাবতে একটু কষ্ট হচ্ছে। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে এইসব ক্যাচাল পছন্দ করিনা। কারন আমি সুস্থ ধারার ব্লগিং এবং নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করি সেই সাথে এও চাই যে যতদিন আমরা একই ঐক্যে নিজেদের এক না করতে পারব ততদিন আমাদের দেশের উন্নতি সম্ভব নয় তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই আমি ছাগুদের সাথে ঐক্যের কথা বলছিনা। কারন এই ছাগুদের ব্যাপারে আমি কঠোর ভাবে বিদ্বেষী।

আপনার মন্তব্যের জন্য আমার অজস্র ভালবাসা জানবেন। আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভ কামনা।

২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২৭

মৃন্ময় বলেছেন: পিকচার গুলা অনেক কষ্ট কইর্রা কালকশন করছেন......।
ধন্যবাধ.....

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই সত্যি ছবিগুলো পেতে আমাকে একটু বেশী পরিশ্রম করতে হয়েছে।

৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২৯

খালিদ মুহাম্মদ ইফতেখার আবেদীন বলেছেন: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের জন্য অবদান রেখে গেছেন । তাদের কেউই অতিমানব নয়, ভাল-মন্দ মিলিয়েই তাঁরা মানুষ । সত্যিকার অর্থেই তাঁরা দেশকে ভালবাসতেন । তাঁদের সেই আদর্শকে নিজেদের ভেতর ধারণ করে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবার ভেতরেই প্রকৃত উন্নতি নিহিত । বর্তমানে যেভাবে দেশবাসীকে নানা ইসু্তে ক্রমাগত বিভক্ত করা হচ্ছে সেই ধারা থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন । সকলে মিলেই আমাদের এই দেশ । ঐক্যেই জয় ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সহমত ভাই


ঐক্যের জয় হোক

জয় বাংলা ! জয় বাংলা !!

৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩২

ইয়েন বলেছেন: জিয়া একজন সেক্তর কমান্ডার একজন মুক্তিযোদ্ধা তাকে আমি উনার প্রাপ্য সন্মান দিয়েই বলছি উনি ৭৫ এর পর কিছু মানবিয়/রাজনৈতিক ভুল করেছেন যার খেসারত আমরা এখন ও দিচ্ছি :( (গু.আ. কে নাগরিকত্ব + জামাতকে রাজনিতী করার বৈধতা ) আর আপনি বলেছেন "তাহেরের ফাঁসির ব্যাপারে জিয়াউর রহমানের কোনো ভূমিকা ছিল না। স্বাভাবিক নিয়মে কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে তাঁর বিচার হয়।" এখানে আপনি যে মিথ্যা বলেছেন তা আপনিও আশা করি জানেন ....অন্য সব কিছু ভালই লেগেছে কিন্তু আশা করি আপনি তাহের এর ব্যাপারে এই মিথ্যাটা মুছে দিবেন /:) এটা ভুলে যাবেন না তাহের ও কিন্তু একজন সেক্তর কমান্ডার!!

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

অনেক ধন্যবাদ ভাই আমি কিন্তু এই অংশটুকুর উপরে হেডিং দিয়েছি যে

" অযাচিত একটি বিতর্ক সৃষ্টির সুযোগের জন্ম "

নিশ্চয় এই একটি কথাই যথেষ্ট বোঝার জন্য।

৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৩

সরোজ রিক্ত বলেছেন: দারুন পোষ্ট। এইরকম একটা পোষ্ট ষ্টিকি হওয়া উচিৎ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


না ভাই আমাকে ক্ষমা করবেন আমার পোষ্ট ষ্টিকি হোক সেটা আমি চাই না। আমাকে আমার মতই থাকতে দিন।

৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৫

বাংলার হাসান বলেছেন: অসাধারন, +++++++ লন ব্রো।

তবে যদি কিছু মনে না করেন তবে একটা যায়গাতে দ্বিমত আছে, এবং সেটা ফোনে বা সামনা সামনি বলবো।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ধন্যবাদ হাসান ভাই , আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৯

করাত বলেছেন: ভাল লাগল

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকবেন।

৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪১

াহো বলেছেন:
২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনার বিষয়ে ১৯৭১ সালের অনেক আন্তর্জাতিক নিউজ-মিডিয়া, আমেরিকান বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের নানা রিপোর্ট রয়েছে। যা রিপোর্ট করা হয়েছিল সেটা অবিকৃতভাবে দেয়া হলো
এখানে ।

লিস্টের কয়েকটি নাম উল্লেখ করা হল রিপোর্টিং ডেইটসহ:

১. আমেরিকান ডিফেন্স ইনটেলিজেন্স এজেন্সী (২৬শে মার্চ, ১৯৭১)

২. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট টেলিগ্রাম (৩১শে মার্চ, ১৯৭১)

৩. আমেরিকান সিনেট রিপোর্ট (জুলাই ২৭, ১৯৭১)

৪. নিউ ইয়র্ক টাইমস (২৭শে মার্চ, ১৯৭১)

৫. ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল (২৯শে মার্চ, ১৯৭১)

৬. টাইম, নিউজউইক (৫ই এপ্রিল, ১৯৭১)

৭. বাল্টিমোর সান (৪ই এপ্রিল, ১৯৭১)

৮. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট- রিসার্চ স্টাডি (ফেব্রুয়ারী ২,১৯৭২)


--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
প্রথম আলোর এপ্রিল ১, ২০০৯
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা বিভাগের গোপন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন।

এপ্রিল ১, ২০০৯

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা বিভাগের গোপন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। গোয়েন্দা প্রতিবেদনটি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মহাফেজখানা থেকে প্রকাশিত হয়। ফলে দেশের বাইরেও ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার দালিলিক প্রমাণ পাওয়া গেল।

গোয়েন্দা প্রতিবেদনে তারিখ ও সময় লেখা আছে, ২৬ মার্চ ১৯৭১, সময় ১৪টা ৩০। বিষয়: পাকিস্তানে গৃহযুদ্ধ। এতে বলা হয়েছে, ‘এই দিনে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানকে একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ হিসেবে ঘোষণা দিলে পাকিস্তান প্রবলভাবেই গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘ঢাকা ও পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য শহরে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। বেসামরিক নাগরিক ও পুলিশসহ পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের ১০ হাজার সদস্য পশ্চিম পাকিস্তানের নিয়মিত প্রায় ২৩ হাজার সদস্যের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে নৌ ও বিমানে করে নিয়মিত সেনা এনে শক্তি বাড়ানো হয়। কঠোর সামরিক শাসন জারি করে ইসলামাবাদ যেকোনো উপায়ে দেশরক্ষার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। অনেক লোকের প্রাণহানির আগ পর্যন্ত সম্ভবত এ পদক্ষেপ যৌক্তিক কারণে ব্যর্থ হবে।’

প্রতিবেদনটিতে প্রকাশক হিসেবে জন পাভেলস ও প্রস্তুতকারক হিসেবে জন বি হান্টের নাম লেখা আছে। আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক নূহ উল আলম লেনিন প্রতিবেদনটি এই প্রতিবেদকের কাছে দেন।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকা ত্যাগের আগে বাংলার মাটি রক্তে রাঙিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে যান। বঙ্গবন্ধু ইয়াহিয়ার ঢাকা ত্যাগের খবর পান উইং কমান্ডার এ কে খন্দকার ও লে. কর্নেল এ আর চৌধুরীর মাধ্যমে। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে বঙ্গবন্ধু ইপিআরের ওয়্যারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পাঠিয়ে দেন। পরদিন ২৬ মার্চ এই ঘোষণা সব থানা ও ইপিআর ক্যাম্পগুলোতে পৌঁছে যায়। শাহজাদপুর থানার তৎকালীন ওসি আবদুল হামিদ ওই বার্তাটি পান।

এ ছাড়া স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র যা ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গৃহীত হয়, তাতে বলা আছে, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান, এবং .........’

ঘোষণাপত্রে বলা আছে, ‘এতদ্বারা আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করিতেছি যে, শাসনতন্ত্র প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপরাষ্ট্রপ্রধান পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন, এবং ...’
------------------------------------------------------------------------------------------------------
২৫শে মার্চ মাঝরাতে ইয়াহিয়া খান তার রক্তলোলুপ সাঁজোয়া বাহিনীকে বাংলাদেশের নিরস্থ মানুষের ওপর লেলিয়ে দিয়ে যে নরহত্যাযজ্ঞের শুরু করেন তা প্রতিরোধ করবার আহ্বান জানিয়ে আমাদের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।


১১ই এপ্রিল ১৯৭১ বাংলাদেশবাসীর উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীন আহমদের বেতার ভাষণ।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

৩ মার্চ, ১৯৭১: পল্টনের জনসভায় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের ঘোষনা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক :
স্বাধীন সার্বভৌম বাঙলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে 'আমার সোনার বাঙলা আমি তোমায় ভালবাসি......' গানটি ব্যবহৃত হবে।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন,

যেহেতু উল্লিখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্য উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান; এবং
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
মুজিবনগর, বাংলাদেশ
তারিখ: ১০ এপ্রিল ১৯৭১
Click This Link
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
জনাব স্পীকার : এই হাউসের সামনে যে প্রস্তাব ছিল তা সংশোধনের পরে যে আকারের হয়েছে, আমি তা পড়ে শোনাচ্ছি। সংশোধিত প্রস্তাব হচ্ছে :
“বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ঐতিহাসিক স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশের যে বিপ্লবী জনতা, কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, যুবক, বুদ্ধিজীবী, বীরাঙ্গনা, প্রতিরক্ষা বিভাগের বাঙ্গালীরা, সাবেক ই. পি. আর পুলিশ, আনসার, মুজাহিদ ও রাজনৈতিক নেতা ও কর্মী ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের রক্ত দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করেছেন। আজকের দিনে বাংলাদেশর জনগণের ভোটে যথাযথভাবে নির্বাচিত বাংলাদেশ গণপরিষদের সশ্রদ্ধচিত্তে তাঁদের স্মরণ করছে।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার যে ঘোষণা করেছিলেন এবং যে ঘোষণা মুজিব নগর থেকে ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল স্বীকৃত ও সমর্থিত হয়েছিল এই সঙ্গে এই গণপরিষদ তাতে একাত্মতা প্রকাশ করছে।
স্বাধীনতা সনদের মাধ্যমে যে গণপরিষদ গঠিত হয়েছিল আজ সে সনদের সঙ্গেও এ পরিষদ একাত্মতা ঘোষণা করছে।
এক্ষণে এই পরিষদ বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার সেই সব মূর্ত আদর্শ, যথা, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা, যা শহীদান ও বীরদের স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ করেছিল, তার ভিত্তিতে দেশের জন্য একটি উপযুক্ত সংবিধান প্রণয়নের দায়িত্ব গ্রহণ করছে।”
বাংলাদেশ গণপরিষদ [১০ এপ্রিল, ১৯৭২]
--------------------------------------------------------------------------------------------------
Sheikh Mujibur Rahman's action of starting his non-co-operation movement is an act of treason. He and his party have defied the lawful authority for over three weeks. They have insulted Pakistan's flag and defiled the photograph of the Father of the Nation. They have tried to run a parallel Government. They have created turmoil, terror and insecurity.
TEXT OF YAHYA'S BROADCAST on March 26, 1971
Click This Link
শেখ মুজিব রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ-সংগঠিত করেছেন এবং নেতৃত্ব দিয়েছেন...। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা এবং সেনাবাহিনীর অনুগত্য বিনষ্টের অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ইয়াহিয়া খান
নভেম্বর ১৯৭১
Click This Link
----------------------------------------------------------------------------
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী নয়াদিলি্লতে এক অনুষ্ঠানে বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের নেতা। বাংলাদেশ প্রশ্নে রাজনৈতিক মীমাংসার জন্য অন্য কোনো পক্ষের সঙ্গে নয়, তাঁর সঙ্গেই আলোচনা করা উচিত। শ্রীমতী গান্ধী এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগপ্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খানের প্রতি আহ্বান জানান।
একাত্তরের এই দিনে ২৩ জুন
Click This Link
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনার বিষয়ে ১৯৭১ সালের আন্তর্জাতিক নিউজ-মিডিয়া
LEADER OF REBELS IN EAST PAKISTAN REPORTED SEIZED; Sheik Mijib Arrested After a Broadcast Proclaiming Region's Independence DACCA CURFEW EASED Troops Said to Be Gaining in Fighting in Cities -Heavy Losses Seen

The Pakistan radio announced today that Sheik Mujibur Rahman, the nationalist leader of East Pakistan, had been arrested only hours after he had proclaimed his region independent and after open rebellion was reported in several cities in the East.
New York Times - Mar 27, 1971
Click This Link


“The rebel leader Sheikh Mujib arrested.” The paper also added—“The radio Pakistan has declared that, Sheikh Mujib was arrested from his residence, within one hour after he declared the independence of Bangladesh.” (The Evening News, March 26, 1971: Headline news)

“The independence war has begun in East Pakistan. Pakistani soldiers started to crush Bangalee’s independence movement under the leadership of Sheikh Mujib. President Yahya Khan declared Sheikh Mujib the traitor of Pakistan. The declaration of the independent Bangladesh, in the name of Sheikh Mujib, came from a radio station named: “Voice of Bangladesh”. The radio also has issues an order to all Bangalees to follow orders only from the Sheikh Mujib, the leader of the independence.” (The Guardian- March 27, 1971)

“The leader of independence Sheikh Mujib has declared independence of Bangladesh and severe battle is in progress in the eastern part of Pakistan. President Yahya Khan has banned Awami League political party, declared Sheikh Mujib as the traitor of Pakistan and vowed to punish Sheikh Mujib for his crime. ” (The Times of London, March 27, 1971)
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


এই ক্ষেত্রে খোদ টিক্কা খানের বয়ানটারে আমার বেশী অথেনটিক লাগে। কেনো মুজিব সইরা যান নাই তার যথার্থ উত্তরটা আছে এইখানে :

“I knew very well that a leader of his stature would never go away leaving behind his countrymen. I would have made a thorough search in every house and road in Dhaka to find out Sheikh Mujib. I had no intention to arrest leaders like Tajuddin and others. That is why they could leave Dhaka so easily.”
Then Tikka Khan said more in a very firm voice, “in case we failed to arrest Sheik Mujib on that very night, my force would have inflicted a mortal blow at each home in Dhaka and elsewhere in Bangladesh. We probably would have killed crores of Bangalees in revenge on that night alone.” (Interview by Musa Sadik, which took place in 1976 when Gen. Tikka Khan was the then Governor of Punjab, Published in the ‘News From Bangladesh’ on march 28, 2000)



http://omipial.amarblog.com/posts/47540



---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

পাকিস্তানি জেল থেকে মুক্ত হয়ে ঢাকায় ফেরার পর প্রথম যে বিদেশি সাংবাদিকের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু খোলামেলা সাক্ষাত্কার দেন, তিনি হলেন নিউইয়র্ক টাইমস-এর দিল্লি ব্যুরোর প্রধান সিডনি শ্যানবার্গ। ১৮ জানুয়ারি ১৯৭২ টাইমস-এর প্রথম পাতায় বেশ গুরুত্বের সঙ্গে সে সাক্ষাত্কার ছাপা হয়। আমি টাইমস-এর সে প্রতিবেদন থেকে হুবহু উদ্ধৃতি দিচ্ছি:
‘তাঁর (অর্থাত্ বঙ্গবন্ধুর) সামনে কফি, টেবিলে ছিল ধূমপানের পাইপ ও তামাক। তিনি বললেন, তিনি জানতে পেরেছিলেন যে পাকিস্তানি সামরিক কর্তৃপক্ষ পরিকল্পনা করছিল তাঁকে হত্যা করে সব দোষ বাঙালির (চরমপন্থীদের) ওপর চাপাতে। তাদের পরিকল্পনা ছিল আমার গাড়ি লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়ে মারা, তারপর বলা বাঙালি চরমপন্থীরা এ কাজ করেছে। আর সে জন্যই (পাকিস্তানের) সামরিক বাহিনীকে আমার দেশের মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পথে নামতে হয়েছে। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, নিজ গৃহেই থাকব, নিজের ঘরেই ওরা আমাকে হত্যা করুক। তাহলে সারা পৃথিবী জানবে ওরা (অর্থাত্ পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী) আমাকে হত্যা করেছে। তারপর আমার রক্তে পরিশুদ্ধ হবে আমার মানুষ ও দেশ।’
বঙ্গবন্ধু যেভাবে ধরা পড়লেন, ব্রিগেডিয়ার (অব.) জহির আলম খানের গ্রন্থ দ্য ওয়ে ইট ওয়াজ-এর ভিত্তিতে তার একটি বিবরণ গোলাম মুরশিদ দিয়েছেন। সম্প্রতি ওয়েবভিত্তিক ফোরাম ‘পাকিস্তান ডিফেন্স’-এর সঙ্গে এক দীর্ঘ সাক্ষাত্কারে জহির খান সে গ্রেপ্তারের যে বিবরণ নতুন করে দিয়েছেন, এর সঙ্গে গ্রন্থভুক্ত বিবরণের কিঞ্চিত্ ফারাক রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাত্কারের ভিত্তিতে শ্যানবার্গ যে বিবরণ দিয়েছেন, তা এই দুই বর্ণনা থেকেই আলাদা। তাতে নানা নতুন তথ্য রয়েছে, যা অন্য কোথাও নেই। শ্যানবার্গ লিখেছেন, ২৫ মার্চ সামরিক অভিযান আসন্ন জেনে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র কামাল ও তাঁর স্ত্রী এবং তাঁর দুই মেয়ে হাসিনা ও রেহানাকে আত্মগোপনের নির্দেশ দেন। কিন্তু তাঁর স্ত্রী কনিষ্ঠ পুত্র রাসেলকে নিয়ে ধানমন্ডির বাড়ি ছেড়ে যেতে অস্বীকার করেন। তাঁদের দ্বিতীয় সন্তান শেখ জামালও যে সে বাড়িতে তাঁর নিজের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন, সে কথা তাঁরা কেউই জানতেন না। রাত ১০টা নাগাদ শেখ মুজিব জেনে যান যে পাকিস্তানি সেনারা নাগরিক কেন্দ্রসমূহ আক্রমণের লক্ষ্যে অবস্থান গ্রহণ করেছে। কয়েক মিনিট পরই সেনারা তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলে এবং (বাড়ি লক্ষ্য করে) মর্টারের গোলা ছুড়ে মারে। এমন এক আক্রমণের কথা ভেবে তিনি আগেভাগেই কিছু প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন। সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি চট্টগ্রামে এক গোপন ঠিকানায় যোগাযোগ করে দেশের মানুষের জন্য একটি বার্তা রেকর্ড করেন। পরে এই বার্তাটিই একটি গোপন বেতার সম্প্রচারযন্ত্রের মাধ্যমে প্রচার করা হয়। সে বার্তার মোদ্দাকথা ছিল, তাদের নেতার কী হয়েছে সে কথা চিন্তা না করে যেভাবে সম্ভব তারা যেন প্রতিরোধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তিনি সাড়ে সাত কোটি বাঙালির মুক্তির কথাও সে বার্তায় ঘোষণা করেন। শেখ মুজিব জানালেন, বার্তাটি প্রেরণের পর তিনি বিডিআর ও তাঁর দলের সদস্যরা, যারা তাঁর পাহারায় নিযুক্ত ছিল, তাদের সরে যেতে নির্দেশ দেন।
রাত ১১টা। শহরে সেনা হামলা শুরু হয়। খুব দ্রুত তা তীব্র আকার ধারণ করে। মধ্যরাত ও রাত একটার মধ্যে শেখ মুজিবের বাড়ি লক্ষ্য করে সেনারা গোলা ছুড়তে আরম্ভ করে। মুজিব তাঁর স্ত্রী ও কনিষ্ঠ পুত্রকে ঠেলে দোতলার পোশাক বদলের ঘরে পাঠিয়ে দেন। এই সময় তাদের মাথার ওপর দিয়ে শোঁ শোঁ করে গোলা উড়ে যেতে থাকে, তাঁরা সবাই মাটিতে বসে পড়েন। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই পাকিস্তানি সেনারা তাঁর বাসায় ঢুকে পড়ে। একজন দ্বাররক্ষী তাদের ঢুকতে দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে তারা হত্যা করে। মুজিব পোশাকঘরের দরজা খুলে বাইরে এসে সেনাদের মুখোমুখি হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘গুলি থামাও, গুলি থামাও, গোলাগুলি কেন করছ? আমাকে যদি গুলি করতে চাও তো করো গুলি। আমি তোমাদের সামনে আছি। কিন্তু আমার দেশের মানুষের ওপর, আমার ছেলেমেয়েদের ওপর গুলি ছুড়ছ কেন?’
আরেক পশলা গোলাগুলির পর একজন মেজর তাঁর সেনাসদস্যদের থামার নির্দেশ দেন। তিনি শেখ মুজিবকে জানান, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। (অতঃপর) মুজিবের অনুরোধে তাঁকে বিদায় নেওয়ার জন্য কয়েক মুহূর্ত সময় দেওয়া হয়। পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে তিনি চুম্বন করে বলেন, ‘শোনো, ওরা আমাকে মেরে ফেলতে পারে। তোমাদের সঙ্গে আমার হয়তো আর দেখা হবে না। কিন্তু (মনে রেখো), আমার দেশের মানুষ মুক্ত হবে, আমার আত্মা তা দেখে শান্তি পাবে।’
এরপর তাঁকে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় জাতীয় সংসদ ভবনে। সেখানে ‘আমাকে একটি চেয়ার দেওয়া হয় বসতে’। ‘তারপর তারা আমাকে চা খেতে দেয়,’ পরিহাসের গলায় বললেন মুজিব। ‘আমি বললাম, বাহ্, কী চমত্কার! আমার জীবনের এই তো সবচেয়ে সেরা সময়।’

Click This Link

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আপনার চমৎকার গঠন মূলক মন্তব্যের জন্য ভাল লাগছে তবে ভাই আমার পোস্টে দেখুন আমি এই স্বাধীনতার ঘোষণার ব্যাপারে আমার মনে হয় সত্য ইতিহাস টুকুই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আর বঙ্গবন্ধু যে আমাদের স্বাধীনতার এক মাত্র জনক কিংবা জাতির পিতা সেই বিষয়ে আমি মনে হয় কোথাও দ্বিমত করিনি। কারন আমি উনাকে আমার মা বাবার মতই সন্মান করি এবং উনি না থাকলে আজ আমরা স্বাধীন হতে পারতাম না।আমি এই পোস্টে শুধু আমাদের আরেকজন জাতীয় নেতা যার মুক্তিযুদ্ধ এবং পরে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে যে অবদান যা আমরা জাতি হিসেবে কখনো ভুলতে পারবনা শুধু সেই ইতিহাস টুকু তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমি বিশ্বাস করি এই দুই মহান নেতা কেউ কারো সমতুল্য নয় তাঁদের অবস্থান এবং কর্ম ভিন্ন দিক থেকে স্মরণীয়, তাই তাঁদের নিয়ে কোন রূপ বিতর্ক হতে পারেনা এবং হওয়া উচিৎ নয়। শুধু আফসোস আমাদের প্রধান দুটি দল বাংলাদেশের জনগনের নেতাকে তাঁদের আঁচল তলে কুক্ষিগত করে রেখে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করছেন যেটা আমাদের মতন সাধারন জনগনের পক্ষে মেনে নিতে কষ্ট হয়। আর আমি আমার পোস্টে মেজর জিয়ার যে স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রের উল্লেখ করেছি সেটা আরেকবার একটু দৃষ্টিপাত করার অনুরোধ করছি। আমি এও বলিনি আমার পোস্টে যে জিয়া নিজেই নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক কোথাও বলেছেন। আমি শুধু মাত্র উনি যে ঘোষণা পত্র পাঠ করেছেন সেটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪৪

যেড ফ্রম এ বলেছেন: চমৎকার গোছানো পোস্ট। প্রেসিডেন্ট, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াকে সুন্দরভাবে তুলে এনেছেন; যদিও একদম নির্মোহ নয়, হওয়ার প্রয়োজনও নেই।

স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। জয় বাংলা :)

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অজস্র ধন্যবাদ ভাই। আমার পক্ষ থেকে নিন


স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। জয় বাংলা।

১০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪৪

নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: অসাধারণ ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ নিয়েল হিমু

জয় বাংলা।

১১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫০

নষ্ট শয়তান বলেছেন: াহো@ দোস্ত এই লোকের ব্লগেও তুমি ল্যাদাইতে আইচ। তুমি কি জান এই লোক কে? প্লিজ দোস্ত এই লোকের ব্লগে তুমি জ্ঞান দিওনা। তুমার মত দশটা াহো এর একটা পোষ্টে। দোস্ত আমার পোষ্টে আস। তুমার সাথে কথা আছে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ ভাই। আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫১

যেড ফ্রম এ বলেছেন: @ রাহো- স্বাধীনতার ঘোষক বিষয়ে এই তর্কটি বহুৎ পুরাতন। বঙবন্ধু স্বাধীনতার অবিসংবাদিত নেতা, তার '৭ই মার্চের ভাষণই অনেক বড় অনুপ্রেরণা ছিল মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনের। তারপরও একটা এলোমেলো অবস্থায় একটা আনুষ্ঠানিক ঘোষণার প্রয়োজন ছিল। এবং মেজর জিয়া স্পষ্ট বলেছিলেন- বঙবন্ধুর পক্ষে... ।। এখানে জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক মেনে নিতে বাঁধা কোথায়রে ভাই?

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সহমত। এই দুই নেতার বিষয়ে কোন বিতর্ক হতে পারেনা।

১৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫৫

াহো বলেছেন: ১)রাষ্ট্রপতি জিয়া কোনোদিন নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলেননি। ২৬ তারিখও বলেননি, উনি সবসময় ২৭ তারিখই বলেছেন। এবং ৭ই মার্চের বক্তব্যকে তিনি একটা প্রবন্ধে একটা পত্রিকায়, সম্ভবত বিচিত্রায়, জাতির জনকের গ্রিন সিগন্যাল বলেছেন। পরবর্তী সময় যে ঘোষক-টোষক বলা হয়েছে এগুলো তৈরি করা। রাষ্ট্রপতি জিয়া এগুলো ক্লেইম করেননি।

স্বাধীনতার ঘোষণা: বেলাল মোহাম্মদের সাক্ষাৎকার
http://arts.bdnews24.com/?p=2769

২)
প্রথম আলো
জিয়া ২৭ তারিখই

কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা
তারিখ: ২৬-০৩-২০১২
প্রথম আলো
http://www.prothom-alo.com/detail/news/235578


৩)
প্রথম আলো
স্বাধীনতার চার দশক উপলক্ষে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ধারাবাহিক এই আয়োজন।
জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম
Click This Link

২৭ ও ২৮ মার্চ তিনি চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। এ ঘোষণায় বাংলাদেশের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন মুক্তিযোদ্ধাসহ সবার মনে দারুণ আলোড়ন সৃষ্টি করে।


প্রথম আলো

২৯-১২-২০১২


জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম

স্বাধীনতার চার দশক উপলক্ষে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ধারাবাহিক এই আয়োজন।

জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম
মুক্তিযুদ্ধে তাঁর ভূমিকা অসামান্য
জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড -ইন-কমান্ড ছিলেন। এর অবস্থান ছিল চট্টগ্রামের ষোলশহরে। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে ওই রাতেই তিনি বিদ্রোহ করে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।
২৭ ও ২৮ মার্চ তিনি চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। এ ঘোষণায় বাংলাদেশের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন মুক্তিযোদ্ধাসহ সবার মনে দারুণ আলোড়ন সৃষ্টি করে।
জিয়াউর রহমান প্রতিরোধযুদ্ধ শেষে প্রথমে ১ নম্বর সেক্টর, পরে ১১ নং সেক্টর এলাকার অধিনায়ক এবং পরবর্তীকালে ‘জেড’ ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর সার্বিক নেতৃত্ব ও পরিচালনায় বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি বড় বড় যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এর মধ্যে কামালপুর, ছাতক, ধলই বিওপি ও রাধানগরের যুদ্ধ অন্যতম। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে তিনি সিলেট এলাকায় ছিলেন।

Click This Link

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৫২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


প্রিয় ভাই আমার আপনার চমৎকার গঠন মূলক মন্তব্যের জন্য ভাল লাগছে তবে ভাই আমার পোস্টে দেখুন আমি এই স্বাধীনতার ঘোষণার ব্যাপারে আমার মনে হয় সত্য ইতিহাস টুকুই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আর বঙ্গবন্ধু যে আমাদের স্বাধীনতার এক মাত্র জনক কিংবা জাতির পিতা সেই বিষয়ে আমি মনে হয় কোথাও দ্বিমত করিনি। কারন আমি উনাকে আমার মা বাবার মতই সন্মান করি এবং উনি না থাকলে আজ আমরা স্বাধীন হতে পারতাম না।আমি এই পোস্টে শুধু আমাদের আরেকজন জাতীয় নেতা যার মুক্তিযুদ্ধ এবং পরে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে যে অবদান যা আমরা জাতি হিসেবে কখনো ভুলতে পারবনা শুধু সেই ইতিহাস টুকু তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমি বিশ্বাস করি এই দুই মহান নেতা কেউ কারো সমতুল্য নয় তাঁদের অবস্থান এবং কর্ম ভিন্ন দিক থেকে স্মরণীয়, তাই তাঁদের নিয়ে কোন রূপ বিতর্ক হতে পারেনা এবং হওয়া উচিৎ নয়। শুধু আফসোস আমাদের প্রধান দুটি দল বাংলাদেশের জনগনের নেতাকে তাঁদের আঁচল তলে কুক্ষিগত করে রেখে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করছেন যেটা আমাদের মতন সাধারন জনগনের পক্ষে মেনে নিতে কষ্ট হয়। আর আমি আমার পোস্টে মেজর জিয়ার যে স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রের উল্লেখ করেছি সেটা আরেকবার একটু দৃষ্টিপাত করার অনুরোধ করছি। আমি এও বলিনি আমার পোস্টে যে জিয়া নিজেই নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক কোথাও বলেছেন। আমি শুধু মাত্র উনি যে ঘোষণা পত্র পাঠ করেছেন সেটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

১৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫৮

সবুজ মেঘ বলেছেন: + সহ শোকেসে ...

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৫৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানবেন এবং আমার ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল অনেক।

১৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫৯

শিপন মোল্লা বলেছেন: চমৎকার একটা পোস্ট। কোন কথা না সুজা পিয়েতে নিলাম। ধন্যবাদ ভাই।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৫৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানবেন এবং আমার ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল অনেক।

১৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৬

তথই বলেছেন: অসাধারণ , অনেক পরিশ্রমী পোস্ট

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৫৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানবেন এবং আমার ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল অনেক।

১৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২১

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট ।
যদিও বেশ কিছু ব্যপারে আপনার সাথে একমত নই ।
কিন্তু আজকের দিনে কোন বিতর্কে যেতে চাচ্ছি না , সেটা না হয় আরেকদিন হবে ।

যাই হউক, স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধের এই বীরকে জানাই সশ্রদ্ধ সালাম ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

দেখুন আমার জানা ছিল না যে একজন বাংলাদেশের মহান নেতাকে নিয়ে এবং যিনি ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা তাঁকে নিয়ে পোষ্ট দিলে এমন বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে তবে আমি পোষ্ট টি দিতাম না কিন্তু একটা জিনিষ মাথায় আসছেনা যখন আমি মাওলানা ভাসানি কিংবা জাতির পিতাকে নিয়ে পোষ্ট দিলাম তখন কোন বিতর্ক কেন হল না। আমাদের মানসিকতা আজ কোথায় নেমে গেছে। অথচ পৃথিবীর কোথাও আমি এমন জাতীয় বীর নিয়ে দলীয় করন কিংবা বিতর্ক দেখি নাই। আমি যেমন বঙ্গবন্ধুকে আমার বাব - মা মনে করি তেমনি জিয়াকে আদর্শ নেতা মনে করি এতে বিতর্ক সৃষ্টি হবে কেন ?

১৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৫

মাইক-মজিদ বলেছেন: জিয়া অথবা মুজিব কারও সাথে কারও তুলনা করা মানায় না । আর জিয়া বা মুজিবের সমালোচনা কারিদের ব্যাক্তিগত বা পারিবারিক যোগ্যতা জানতে চাই ! আরও জানতে চাই দেশের প্রতি তাদের অবদান সমুহ ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



থাক ভাই বাদ দেন আমি পোষ্ট দিয়ে ভুল করে ফেলেছি এমন বিতর্ক হবে আমাদের দুই মহান আদর্শকে নিয়ে আগে জানলে এই সিরিজ লিখতাম না। এখন দেখি এই সিরিজ লিখে বিপদেই পরলাম।

১৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৬

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
ভাষনের বঙ্গানুবাদেও চিপাদিয়া 'জয়বাংলা' টা বাদ দিলেন।


১৯৭১ সালের মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগীয় সরকারি দলিলে এবং CIA এর নিজস্য classified information এ কোথাও পাকিস্তান ভাঙ্গার জন্য জিয়ার তথাকথিত ঘোষনার উল্লেখ নাই। আছে মুজিব কে একতর্ফা দায়ী করে একগাদা report.

অথচ আপনারা দাবি করেন এই ঘোষনার কারনেই পাকিস্তান ভাঙ্গার যুদ্ধ সুরু হয়েছিল। পুরো ১৯৭১ সালের মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগীয় এবং CIA এর রিপোর্ট তন্ন তন্ন করে জিয়ার কোন নামই পাওয়া যায় নাই। পাকিস্তানি তত্কালিন গোয়েন্দা রিপোর্ট গুলো এবং বহুল আলোচিত পাকিস্তানী হামিদুররহমান কমিশন রিপোর্টে কোথাও জিয়ার ঘোষনার উল্লেখ নাই। মুজিব এবং আওমিলিগকে কে একতর্ফা দায়ী করা হয়েছে।

কারন টা বুঝতে অসুবিধা হয়ার কথা না। ঘোষনা দিয়ে ছিলেন on behalf of Mujib. এম এ হান্নান বাংলায় দিয়েছিলেন, জিয়াকে ডাকা হয়েছিল ইংরেজিতে দেয়ার জন্য, তাই দিয়েছেন। ঘোষনার পাঠক কারা কারা এটা তাদের কাছে কোন তাৎপর্য বহন করে নাই।

তাই বিদেশী গনমাধ্যমগুলো মুজিব স্বাধীনতা ঘোষনা করেছে বলা হয়েছিল। (মানে অন্যান্নরা তার ঘোষনা রিলে করেছিল তার পক্ষে)

যারা দাবি করেন জিয়া একক ভাবে স্বাধীনতা ঘোষনা করেছেন, তাদের কে বলি -
তাহলে জিয়ার এই ঘোষনাটি বাংলায় হত।

কারন বাঙ্গালি জাতির উদ্দেস্যে ঘোষনা বাংলায় হয়।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনি দয়া করে আমার এই সিরিজের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এবং মাওলানা ভাসানির ভাষণ বিষয়ক পোস্টটি পড়ে দেখবেন তারপর আশা করি আমার এই সিরিজের মর্মার্থ বুঝবেন।

২০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৮

পথের পাঁচ . .. বলেছেন: একটা মানুষের যেমন ভালো দিক থাকে , তেমনি খারাপ দিকও থাকে
ভালো খারাপের সংমিশ্রণে জিয়া ছিলেন একজন অসাধারণ মানুষ সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ পথের পাঁচ।

জয় বাংলা।

২১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৯

আকাশপানে বলেছেন: অনেক গোছানো পোষ্ট।
অনেক ভাল লেগেছে। আমি নষ্ট শয়তান ভাই ও আপনাকে রিকোয়েস্ট করব স্বাধীনতার পরবর্তী ৭২-৮১ পর্যন্ত খোলামেলা আলোচনা করে পোস্ট দেয়ার জন্য।

পোস্টে ++++++

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাই হয়েছে আমাকে এইবার ক্ষমা করেন আমি আর এমন ইতিহাস নিয়ে পোষ্ট দিব না যেখানে ক্যাচাল সৃষ্টি হয়ে যায় আগে আমাদের মানসিকতার বদল হোক তারপর পোষ্ট দেব না হলে আর নয় এমন পোষ্ট।

২২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৫

নষ্ট শয়তান বলেছেন: যারা জিয়ার ঘোষনা নিয়া সন্দেহ করে কান্ডারী ভাইর লেখা নিয়া সেই সব ছুপা বদমাস গুলার জন্য পারলে এইটা নিয়া ডিফেন্ড কর।

গুতান
যত সব অশিক্ষিত মূর্খ আইসা উল্টা পালটা আলোচনা।

ভাই আপ্নে ভদ্র মানুষ এদের নিয়া চিন্তা কইরেন না।

সত্য উন্মোচিত হোক

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ধন্যবাদ ভাই।

সত্য উন্মোচিত হোক । সত্য প্রকাশে নির্ভীক।

২৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৯

াহো বলেছেন:

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষ ডেইলি স্টারে প্রকাশিত

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের শুরুতেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকা বেতার কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। পাকিস্তানিরা রেডিও স্টেশনটির নতুন নাম দেয় ‘রেডিও পাকিস্তান ঢাকা’। এ কেন্দ্র থেকেই তারা সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেয়। বাঙালিদের কণ্ঠ রোধ করতে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছিল। তবে বাঙালিরা ঠিকই প্রতিরোধ গড়েছিল এবং লড়াইয়ে ফিরে এসেছিল। শুরু হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ।

বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর রক্তক্ষয়ী তীব্র আক্রমণ অবজ্ঞা করে ওই দিনই সন্ধ্যায় একটি ছোট রেডিও স্টেশন সম্প্রচার শুরু করেছিল। চট্টগ্রামের উত্তরে কালুরঘাট নামক স্থান থেকে গোপন ওই রেডিও স্টেশনটি বিশ্ববাসীর কাছে ঘোষণা করেঃ ‘শেখ পূর্ব পাকিস্তানের সাড়ে সাত কোটি নাগরিককে সার্বভৌম স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।’ রেডিও স্টেশনটি নিজের নামকরণ করে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র।

পরবর্তী চার দিন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে রেডিও স্টেশনটির প্রচারণা যুদ্ধ চলে। যখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দাবি করে বাংলাদেশে সব কিছুই শান্ত, তখন গোপন রেডিও স্টেশনটি ঘোষণা করে, মুক্তি বাহিনীরা রাজধানীর দিকে এগিয়ে আসছে এবং পাকিস্তানি সেনারা আত্মসমর্পণ করছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দাবি করে, তারা বাঙালিদের ইচ্ছাকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আর গোপন রেডিও স্টেশনটি ঘোষণা করে, পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর গভর্নর জেনারেল টিক্কা খান গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দাবি করে, বাঙালিরা পরাজিত হয়েছে, অন্যদিকে গোপন রেডিও দাবি করে, বাংলাদেশের একটি প্রাদেশিক সরকার গঠন করা হয়েছে।
গণহত্যার শুরুর দিনগুলোতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র বিশ্বের কাছে ঘোষণা দেয়, বাঙালিরা ছাড় দেবে না, বাঙালিরা যুদ্ধ করবে এবং তাদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। বিশ্ব গোপন ওই রেডিওর ঘোষণা শুনেছিল। মার্চের সংকটময় ওই পাঁচ দিন কালুরঘাটের ছোট রেডিও স্টেশনটি কখনো নীরব হয়নি। রেডিও স্টেশনটি বাঙালিদের মনোবলকে পুনরুদ্ধার করেছিল এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে হতাশায় ডুবিয়েছিল।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের নারী ও পুরুষেরা এবং ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্যরা রেডিও স্টেশনটিকে আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করেছিল। পাশাপাশি বিশ্বের কাছে ঘোষণা করেছিল, সংগঠিত বাঙালি প্রতিরোধ নতুন উদ্যমে লড়াইয়ে ফিরে এসেছে। পাকিস্তানি ট্যাংক ও যুদ্ধবিমান বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের কণ্ঠকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না, বিষয়টি তারা নিশ্চিত করেছিল।

পরিবর্তিত ঐতিহাসিক দলিল
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ কীভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছিল, তার ইতিহাস সঠিকভাবে প্রতিফলনের লক্ষ্যে সম্প্রতি সরকার দেশের পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। গত তিন দশক ধরে আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রশি টানাটানির মধ্যে বাংলাদেশের ইতিহাস একাধিকবার নতুন করে লেখা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণায় শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানের ভূমিকার প্রতিফলন ঘটাতে গিয়ে বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকসমূহ একাধিকবার পুনর্লিখিত হয়েছে।

ইতিহাস বই সংশোধনের ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার নির্ভর করেছে স্বাধীনতাযুদ্ধের ব্যাপারে সরকারের আনুষ্ঠানিক ইতিহাসের ওপর, যা বাংলাদেশ সরকার কতৃêক ১৯৮২ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।
আনুষ্ঠানিক ইতিহাস থেকে নিচের কালক্রমটি পাওয়া যায়ঃ

* ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতের পর থেকে ২৬ মার্চ ভোরের কোনো এক সময়ের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার একটি ঘোষণাপত্র লিখেছিলেন।
* ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ঘোষণাপত্রটি সম্প্রচার করা হয়। তবে খুব কম মানুষই সম্প্রচারিত ঘোষণাটি শুনতে পেয়েছিল।
* ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ কালুরঘাট থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে একটি ঘোষণা পাঠ করেন। ওই ঘোষণা বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলো শুনতে পেয়েছিল এবং বিশ্ব বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণার ব্যাপারে জানতে পারে।

উপরোক্ত কালক্রম অনুযায়ী, ২৭ মার্চ মেজর জিয়াউর রহমানের ঘোষণা পাঠের আগ পর্যন্ত বহির্বিশ্ব বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা শুনতে পায়নি।
স্বাধীনতার ঘোষণার এই বিবরণটি ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়েছে এবং প্রথাগত বিচক্ষণতায় প্রতিফলন ঘটিয়েছে। এটা গত তিন দশক ধরে তৈরি হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে, জনপ্রিয় ইন্টারনেট বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ায় কালুরঘাট রেডিও ট্রান্সমিটার-বিষয়ক নিবন্ধে বলা হয়েছেঃ ‘১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ এম এ হান্নান স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণার একটি ইংরেজি অনুবাদ পাঠ করেছিলেন······ধারণা করা হয়, স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণা বিশ্ব গণমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ব্যাপকভাবে পৌঁছায়নি।’
মেজর জিয়াউর রহমানের শুরুর কথাগুলো ছিল বাংলায় ‘আমি মেজর জিয়া বলছি’। এরপর তিনি সার্বভৌম-স্বাধীন বাংলাদেশের ঘোষণা পাঠ করেন, যা বার্তা সংস্থাগুলো শুনতে পেয়েছিল এবং তারা তা সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে প্রচার করে।

জিয়াউর রহমানের ঘোষণা প্রথম শুনতে পায় চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করা একটি জাপানি জাহাজ। তারা তাৎক্ষণিকভাবে তা সারা বিশ্বের কাছে প্রচার করে। জিয়ার ঘোষণার সংবাদ প্রথম সম্প্রচার করে রেডিও অস্ট্রেলিয়া এবং বিশ্ব বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের কথা বিস্তারিত জানতে পারে।

তবে বাস্তবতা আর প্রামাণিক দলিলপত্রে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র ফুটে ওঠে।

মার্চ ২৬, ১৯৭১- কালুরঘাট থেকে ঘোষণা
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে সারা বিশ্বের ইংরেজি ভাষার শীর্ষস্থানীয় দৈনিকগুলোতে খবর প্রকাশিত হয়। এসব দৈনিকের ওপর একটি জরিপ চালানো হয়েছে। এতে দেখা যায়, ২৬ মার্চ সকালে কলকাতায় পৌঁছা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রকৃত বার্তা থেকে এবং ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সম্প্রচার থেকে সারা বিশ্ব বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা জানতে পারে।

১৯৭১ সালের মার্চে বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে কীভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণার খবর প্রকাশিত হয়েছিল, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নি্নলিখিত ইংরেজি দৈনিকগুলোতে জরিপ চালানো হয়েছিলঃ ভারতের দ্য স্টেটসম্যান এবং দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া; আর্জেন্টিনার বুয়েন্স এয়ার্স হেরাল্ড; অস্ট্রেলিয়ার দ্য এজ এবং দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড; মিয়ানমারের দ্য গার্ডিয়ান; কানাডার দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল; হংকংয়ের দ্য হংকং স্ট্যান্ডার্ড; ইন্দোনেশিয়ার দ্য জাকার্তা টাইমস; জাপানের আসাহি ইভিনিং নিউজ; নেপালের দ্য রাইজিং নেপাল; ফিলিপাইনের ম্যানিলা টাইমস; সিঙ্গাপুরের দ্য স্ট্রেইটস টাইমস; দক্ষিণ আফ্রিকার দ্য প্রিটোরিয়া নিউজ; থাইল্যান্ডের দ্য ব্যাংকক পোস্ট; যুক্তরাজ্যের দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ, দ্য গার্ডিয়ান, দ্য টাইমস অব লন্ডন; যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর সান, দ্য বোস্টন গ্লোব, শিকাগো টাইমস, ক্রিস্টিয়ান সায়েন্স মনিটর, লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, দ্য ফিলাডেলফিয়া ইনকুরিয়ার, সানফ্রান্সিসকো ক্রোনিকেল এবং দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট।

১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ নয়াদিল্লি থেকে প্রকাশিত দ্য স্টেটসম্যানে ২৬ মার্চ পাওয়া দুটি বার্তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়ঃ

পাকিস্তানি বাহিনী আন্দোলনকে চাপা দিতে অগ্রসর হওয়ার পর শুক্রবার শেখ মুজিবুর রহমান দুটি বার্তা সম্প্রচার করেছেন। ইউএনআই এ কথা জানায়।
একটি অজ্ঞাত রেডিও স্টেশন থেকে বিশ্বের কাছে পাঠানো এক বার্তায় আওয়ামী লীগ নেতা (শেখ মুজিব) ঘোষণা দিয়েছেন যে ‘শত্রু’ আঘাত হেনেছে এবং জনগণ বীরের মতো লড়াই করছে। বার্তাটি কলকাতা থেকে শোনা হয়েছে।

রেডিও স্টেশনটি নিজেকে ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। শিলং থেকে শোনা স্টেশনটির পরবর্তী সম্প্রচারে তিনি বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করেছেন।

২৭ মার্চ কলকাতা থেকে প্রকাশিত দ্য স্টেটসম্যান-এ আগের দিনের দুটি বার্তা তুলে ধরা হয় এভাবেঃ

একটি অজ্ঞাত রেডিও স্টেশনের মাধ্যমে আজ সকালে বিশ্বের কাছে পাঠানো এক বার্তায় জনাব রহমান (শেখ মুজিব) ঘোষণা দিয়েছেন যে শত্রু আঘাত হেনেছে এবং জনগণ বীরের মতো লড়াই করছে। বার্তাটি কলকাতা থেকে শোনা হয়েছে।

রেডিও স্টেশনটি নিজেকে ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। শিলং থেকে শোনা স্টেশনটির পরবর্তী সম্প্রচারে তিনি বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করেছেন।

২৭ মার্চ মুম্বাই থেকে প্রকাশিত দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া সকালের প্রথম সম্প্রচার থেকে পাওয়া বার্তার বিষয়বস্তু প্রকাশ করেঃ

আজ বিশ্বের কাছে পাঠানো এক বার্তায় শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ নিজেদের স্বাধীনতার জন্য বীরের মতো লড়াই করছে।
একটি অজ্ঞাত রেডিও স্টেশনের মাধ্যমে সম্প্রচারিত ওই বার্তা মুম্বাই থেকে শোনা গেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, রেডিও স্টেশনটি পূর্ব পাকিস্তানের চট্টগ্রাম অথবা চালনায় অবস্থিত।

বার্তায় জনাব রহমান বলেনঃ ‘আজ রাত ১২টার দিকে পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী হঠাৎ করে পিলখানা ও রাজারবাগে পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস ঘাঁটিতে হামলা চালায়। হামলায় অসংখ্য (নিরস্ত্র) মানুষ নিহত হয়।

‘ঢাকায় ইপিআর ও পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে কঠিন লড়াই চলছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জনগণ অকুতোভয়ে শত্রুর সঙ্গে লড়াই করছে।

‘বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ অবশ্যই যেকোনো মূল্যে দেশের প্রতিটি কোণে শত্রু বাহিনীকে প্রতিরোধ করবে।

‘আল্লাহ আপনাদের সহায় হোন এবং শত্রুর কাছ থেকে স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ে তিনি আপনাদের সাহায্য করবেন। জয় বাংলা।’

২৭ মার্চ নয়াদিল্লি থেকে প্রকাশিত দ্য স্টেটসম্যানও প্রথম বার্তার বিষয়বস্তু প্রকাশ করেঃ

জনাব রহমান (শেখ মুজিব) বলেছেন, ‘২৬ মার্চ রাত ১২টার দিকে পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী হঠাৎ করে পিলখানায় ও রাজারবাগে পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এতে অসংখ্য নিরস্ত্র মানুষ নিহত হয়। ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের সঙ্গে সশস্ত্র সংগ্রাম চলছে।

‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জনগণ বীরের মতো শত্রুর সঙ্গে লড়াই করছে। যেকোনো মূল্যে দেশের প্রতিটি কোনায় শত্রু বাহিনীকে প্রতিরোধের জন্য বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। আল্লাহ আপনাদের সহায় হোন এবং শত্রুর কাছ থেকে স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ে তিনি আপনাদের সাহায্য করবেন। জয় বাংলা।’

২৬ মার্চ সন্ধ্যায় কালুরঘাটে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রথম জীবন্ত হয়ে ওঠে এবং বেশ কিছু বার্তা সম্প্রচার করে। সম্প্রচারিত বার্তাগুলোর সবই ধারণ করা হয় এবং এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হলো, ওই দিন সন্ধ্যায় কালুরঘাটের একটি রিপোর্ট ভারতে ধারণ করা হয়। এতে বলা হয়, ‘শেখ পূর্ব পাকিস্তানের সাড়ে সাত কোটি নাগরিককে সার্বভৌম-স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করেছেন।’

এই ঘোষণা এবং এর আগের বার্তা ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় সারা বিশ্বে প্রচার করা হয়। এভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা বিশ্বের প্রায় সব সংবাদপত্রেই প্রথম পাতায় ছাপা হয়। বিশ্বের অনেক শীর্ষ সংবাদপত্র পরের দিন অর্থাৎ ২৭ মার্চ এ খবর প্রকাশ করে। উদাহরণ হিসেবে লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস ২৭ মার্চ এ ব্যাপারে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়ঃ

শেখ মুজিবুর রহমান শুক্রবার পূর্ব পাকিস্তানের জন্য স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। ইসলামী জাতিটির (পাকিস্তান) দুই অংশের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকা অসন্তোষ গৃহযুদ্ধে রূপ নেওয়ায় তিনি এ ঘোষণা দেন।

‘দ্য ভয়েস অব ইনডিপেনডেন্ট বাংলা দেশ’ নামে একটি গোপন রেডিও থেকে সম্প্রচারিত বার্তায় বলা হয়েছে, ‘শেখ মুজিব পূর্ব পাকিস্তানের সাড়ে সাত কোটি নাগরিককে সার্বভৌম-স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করেছেন।’

দালিলিক প্রমাণ নিশ্চিত করে, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ কালুরঘাটে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে সম্প্রচারিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা শোনা গিয়েছিল এবং পরের দিন সকালে এ নিয়ে বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল।

১৯৭২ সালের ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশ অবজারভার-এ প্রকাশিত একটি নিবন্ধ অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা প্রথম ইংরেজিতে পাঠ করেন ওয়াপদার প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম। আর প্রথম বাংলায় পাঠ করেন আবুশ কাশেম সন্দ্বীপ। সন্ধ্যায় এম এ হান্নানও একটি বক্তৃতায় ঘোষণাটি পাঠ করেন।

মার্চ ২৭, ১৯৭১- মেজর জিয়ার ঘোষণা
২৬ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র কালুরঘাট থেকে অব্যাহতভাবে সম্প্রচার চালিয়ে যায়। ৩০ মার্চ পাকিস্তানি বিমান হামলা করে বেতার কেন্দ্রটি গুঁড়িয়ে দেয়।

২৮ মার্চ ভারতীয় সংবাদপত্রগুলো খবর প্রকাশ করে, ‘জিয়া খান’ নামে এক মেজর ২৭ মার্চ একটি ঘোষণা পাঠ করেন। ঘোষক জিয়া খানকে ‘বাংলাদেশ মুক্তি সেনার প্রধান’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন।
২৮ মার্চ নয়াদিল্লি থেকে প্রকাশিত দ্য স্টেটসম্যান জানায়ঃ আরেকটি ঘোষণায় রেডিওটি দাবি করেছে, বাংলাদেশের পর পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ বেলুচিস্তানের স্বাধীনতাকামী জনগণ এবং পাখতুনিস্তান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে।

রেডিওতে কথা বলা ওই ব্যক্তিটি হলেন ‘বাংলাদেশ মুক্তি সেনার প্রধান মেজর জিয়া’।

২৮ মার্চ মুম্বাই থেকে প্রকাশিত দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়ঃ
বাংলাদেশ মুক্তি সেনার প্রধান মেজর জিয়া খান আজ রাতে স্বাধীন বাংলা রেডিওতে ঘোষণা দেন, দু-তিন দিনের মধ্যেই পাকিস্তানি সামরিক প্রশাসন থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হবে।

তিনি বলেন, আত্মসমর্পণ না করলে পশ্চিম পাঞ্জাবি সৈনিকেরা ‘নিশ্চিহ্ন হবে’।

ওই প্রতিবেদনে মেজর জিয়াউর রহমানকে ‘জিয়া খান’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে মেজর জিয়া কতৃêক ২৭ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার কোনো উল্লেখ করা হয়নি।

২৮ মার্চ ভারতীয় পত্রপত্রিকার এ দুটি প্রতিবেদন বিশ্ব সংবাদমাধ্যম প্রচার করেনি। ভারতীয় পত্রপত্রিকা ছাড়াও ২৮ মার্চ প্রকাশিত সারা বিশ্বের প্রধান ইংরেজি সংবাদপত্রগুলোর ওপর পরিচালিত জরিপেও ২৭ মার্চ মেজর জিয়ার সম্প্রচারের ব্যাপারে কোনো প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।

মার্চ ২৮, ১৯৭১ঃ মেজর জিয়া এবং বাংলাদেশের ‘প্রাদেশিক সরকার’
২৮ মার্চ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ঘোষণা দেওয়া হয় বাংলাদেশের একটি প্রাদেশিক সরকার গঠন করা হয়েছে এবং মেজর জিয়াকে প্রাদেশিক সরকারের অস্থায়ী প্রধান ঘোষণা করা হয়েছে। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র ঘোষণা করে, প্রাদেশিক সরকারের দিকনির্দেশনা দেবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ঘোষণাটি ভারতে শোনা যায় এবং এবারও ভারত মেজর জিয়াউর রহমানকে শুধু মেজর জিয়া খান হিসেবে উল্লেখ করে।

নিজেকে প্রাদেশিক প্রধান হিসেবে ঘোষণা দেওয়া মেজর জিয়ার একটি বক্তৃতা ২৯ মার্চ নয়াদিল্লি থেকে প্রকাশিত দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়ঃ

স্বাধীন বাংলা বেতারের এক সম্প্রচারে ‘মুক্তি সেনা’র কমান্ডার ইন চিফ মেজর জিয়া খান বলেছেন, ‘আমি এতদ্‌দ্বারা স্বাধীন বাংলাদেশের মুক্তি বাহনীর প্রাদেশিক প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করছি।

প্রাদেশিক প্রধান হিসেবে আমি বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আদেশ দিচ্ছি। জয় বাংলা।’
তিনি বলেন, ‘শত্রুরা আকাশ ও সমুদ্রপথে অতিরিক্ত সৈন্য নিয়ে এসেছে।’ বাংলাদেশের যুদ্ধরত গণতন্ত্রমনা জনগণের সাহায্যে এগিয়ে আসতে তিনি বিশ্বের সব শান্তিকামী জনগণের প্রতি আবেদন জানান।
মেজর জিয়া দাবি করেন, ‘মুক্তি সেনারা’ কুমিল্লায় পাঞ্জাব রেজিমেন্টের ৩০০ জনকে হত্যা করেছে। যুদ্ধের শেষে রেজিমেন্টের অন্যরা পালিয়ে গেছে।
মেজর জিয়া খানকে অস্থায়ী প্রধান করে প্রাদেশিক সরকার গঠনের খবর ২৯ মার্চ বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার পায়। উদাহরণ হিসেবে, ২৯ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার দ্য এজ জানায়ঃ

পূর্ব পাকিস্তানের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সমর্থকেরা মেজর জিয়া খানের অস্থায়ী নেতৃত্বের অধীনে আজ একটি প্রাদেশিক সরকার গঠন করেছে।
একটি বিদ্রোহী রেডিও নতুন সরকার গঠনের ঘোষণা দেয়। রেডিওটি মেজর জিয়াকে শেখ মুজিবের আওয়ামী লীগের মুক্তি সেনার প্রধান হিসেবে পরিচয় দেয়। তবে শেখ মুজিবকে কেন সরকারের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি, সে ব্যাপারে রেডিওটি কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।

২৯ মার্চও বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে কোথাও মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার কথা বলা হয়নি।

মার্চ ৩০, ১৯৭১- দলিলপত্র এবং সংবাদ প্রতিবেদন
১৯৮২ সালে ১৫ খণ্ডে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক দলিলকে বলা হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধঃ দলিলপত্র। পাঠ্যপুস্তক সংশোধনে বর্তমান সরকার এটি ব্যবহার করছে। এর তৃতীয় খণ্ডে মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার বিষয়বস্তু সন্নিবেশিত আছে। সেটা এ রকমঃ

বাংলাদেশ মুক্তি সেনার প্রাদেশিক কমান্ডার ইন চিফ মেজর জিয়া এতদ্‌দ্বারা শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করছি।
আমি আরও ঘোষণা করছি, আমরা ইতিমধ্যেই শেখ মুজিবুর রহমানের অধীনে একটি সার্বভৌম, বৈধ সরকার গঠন করেছি, যা আইন ও সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নতুন গণতান্ত্রিক সরকার আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নন-অ্যালাইনমেন্ট নীতির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। বাংলাদেশ সব জাতির সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে আগ্রহী হবে এবং আন্তর্জাতিক শান্তির জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করবে। বাংলাদেশে বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টির জন্য আমি সব সরকারের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি।
শেখ মুজিবুর রহমানের অধীনে এই সরকার বাংলাদেশের সার্বভৌম বৈধ সরকার এবং বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক জাতির কাছ থেকে এ সরকারের স্বীকৃতি পাওয়ার অধিকার আছে।’

দলিলপত্র অনুযায়ী জিয়াউর রহমান এই বক্তৃতা দিয়েছিলেন ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ। দলিলপত্রে এর সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে একই দিন নয়াদিল্লি থেকে প্রকাশিত দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকার। তবে স্টেটসম্যান পত্রিকায় ২৭ মার্চ সংখ্যায় এই বক্তৃতা ধারণ করা নেই।

দলিলপত্রে উল্লেখিত মেজর জিয়ার বক্তৃতার প্রথম রিপোর্ট ভারতীয় পত্রপত্রিকায় পাওয়া যায় ১৯৭১ সালের ৩১ মার্চ। ভারতীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই বক্তৃতা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ৩০ মার্চ সকালে সম্প্রচারিত হয়েছিল।

৩১ মার্চ নয়াদিল্লি থেকে প্রকাশিত স্টেটসম্যান পত্রিকার ৯ নম্বর পৃষ্ঠায় একটি প্রতিবেদন আছে এ রকমঃ

কলকাতা, মার্চ ৩০- শেখ মুজিবুর রহমানের অধীনে গঠিত সরকার বাংলাদেশের সার্বভৌম বৈধ সরকার এবং বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক দেশের কাছ থেকে এর স্বীকৃতি পাওয়ার অধিকার আছে। মুক্তি সেনার প্রাদেশিক কমান্ডার ইন চিফ মেজর জিয়া খান আজ সকালে এ ঘোষণা দেন। ইউএনআই এ কথা জানিয়েছে।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে সম্প্রচারিত বার্তায় শেখের পক্ষে মেজর জিয়া খান বলেন, ‘নতুন গণতান্ত্রিক সরকার আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নন-অ্যালাইনমেন্ট নীতির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। বাংলাদেশ সব জাতির সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে আগ্রহী হবে এবং আন্তর্জাতিক শান্তির জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করবে।
‘আমরা ইতিমধ্যেই শেখ মুজিবুর রহমানের অধীনে একটি সার্বভৌম, বৈধ সরকার গঠন করেছি, যা আইন ও সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

‘বাংলাদেশের বৈধ গণতান্ত্রিক সরকারকে দ্রুত স্বীকৃতি দিতে আমরা বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক ও শান্তিকামী দেশের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।’ বাংলাদেশে ‘বর্বর গণহত্যা’র বিরুদ্ধে নিজ নিজ দেশে জনমত সৃষ্টির জন্য তিনি সব সরকারের প্রতি আবেদন জানান।

‘মেজর জিয়া খান বলেন, পাকিস্তান সরকার পরস্পরবিরোধী বিবৃতির মাধ্যমে বিশ্বের জনগণকে বিভ্রান্ত ও ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
‘তবে ইয়াহিয়া খান ও তাঁর সহযোগীদের দ্বারা কেউ বিভ্রান্ত হবে না।
৩১ মার্চ মুম্বাই থেকে প্রকাশিত টাইমস অব ইন্ডিয়া ১৫ নম্বর পৃষ্ঠার একটি খবরে বলা হয়েছেঃ

কলকাতা, মার্চ ৩০ঃ শেখ মুজিবুর রহমানের অধীনে গঠিত সরকার বাংলাদেশের সার্বভৌম বৈধ সরকার এবং ‘বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক দেশের কাছ থেকে এর স্বীকৃতি’ পাওয়ার অধিকার আছে। মুক্তি সেনার প্রাদেশিক কমান্ডার ইন চিফ মেজর জিয়া খান আজ সকালে এ ঘোষণা দেন।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে সম্প্রচারিত বার্তায় শেখের পক্ষে মেজর জিয়া খান বলেন, ‘নতুন গণতান্ত্রিক সরকার আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নন-অ্যালাইনমেন্ট নীতির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। বাংলাদেশ সব জাতির সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে আগ্রহী হবে এবং আন্তর্জাতিক শান্তির জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করবে।’

মেজর জিয়া সম্প্রচার শুরু করেন এ কথাগুলো দিয়েঃ ‘আমি, মেজর জিয়া, বাংলা মুক্তিবাহিনীর প্রাদেশিক কমান্ডার ইন চিফ এতদ্‌দ্বারা শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি।
‘আমি আরও ঘোষণা করছি,’ তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই শেখ মুজিবুর রহমানের অধীনে একটি সার্বভৌম, বৈধ সরকার গঠন করেছি। যা আইন ও সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’

৩০ মার্চ মেজর জিয়ার দেওয়া বক্তৃতার ব্যাপারে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল ৩১ মার্চ, যা বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার পায়নি। জরিপ অনুযায়ী ৩০ মার্চ সকালে মেজর জিয়ার দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণা ভারতের বাইরে বিশ্বের ইংরেজি ভাষার কোনো পত্রিকাতেই প্রকাশিত হয়নি।

উপসংহার
৩০ মার্চ বিকেলে কালুরঘাট থেকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সম্প্রচার বন্ধ হওয়ার পর মেজর জিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া যান এবং ৩ এপ্রিল তিনি মেজর খালেদ মোশাররফ ও মেজর সফিউল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর তিনি মুক্তি বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ কর্নেল এম এ জি ওসমানীর অধীনে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ শুরু করেন।

গত তিন দশক ধরে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক ইতিহাস একাধিকবার নতুন করে লেখার কারণে প্রথাগত বিচক্ষণতার সঙ্গে দ্বন্দ্বের সৃষ্ট হয়েছিল। ১৯৭১ সালের শেষ দিকে বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনসমূহ বিষয়টি স্পষ্ট করেছে যে ২৬ মার্চ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে সম্প্রচারিত ঘোষণার ভিত্তিতেই সারা বিশ্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা ব্যাপক প্রচার পেয়েছিল। এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই যে মধ্যরাতে ঢাকায় ইপিআর ও পুলিশ ব্যারাকের ওপর হামলার ব্যাপারে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রকৃত বার্তা বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার পেয়েছিল। যদিও প্রাদেশিক সরকার গঠনের ব্যাপারে ২৮ মার্চ কালুরঘাট থেকে মেজর জিয়ার ঘোষণাও বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে প্রচার পেয়েছিল। তবে স্বাধীনতার ঘোষণার জন্য বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে মেজর জিয়াকে কোনো কৃতিত্ব দেওয়া হয়নি।

**************************
মাশুকুর রহমানঃ ফ্রিল্যান্স লেখক
মাহবুবুর রহমান জালালঃ ‘বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার ডকুমেন্টস’-এর কর্মী
ডেইলি স্টারে প্রকাশিত
অনুবাদঃ মোহাম্মদ রকিবুল ইসলাম
দৈনিক প্রথম আলো, ২৬ মার্চ ২০০৮



Swadhin Bangla Betar Kendro and Bangladesh's Declaration of Independence

Click This Link

Mashuqur Rahman and Mahbubur Rahman Jalal present new research

Soon after the Pakistan army took over Dacca Betar Kendro in the early hours of March 26, 1971. The Pakistanis renamed the radio station "Radio Pakistan Dacca" and used it to announce martial law orders. The Pakistan army's attempt at silencing the voice of the Bengalis had begun. Bengalis, however, fought back. The war of Bangladesh's Liberation had begun.

On the evening of that same day a small radio station started broadcasting defiantly in the face of the Pakistan military's bloody onslaught on the Bengalis. The clandestine radio station, located in Kalurghat, north of the city of Chittagong, declared to the world: "The Sheikh has declared the 75 million people of East Pakistan as citizens of the sovereign independent Bangla Desh." The station called itself Swadhin Bangla Betar Kendro.

For the next four days the radio station engaged in a propaganda battle with the Pakistan army. While the Pakistan army claimed all was calm in Bangladesh, the clandestine radio station declared liberation forces were marching on the capital and Pakistani soldiers were surrendering. While the Pakistan army claimed it had crushed the will of the Bengalis, the clandestine radio station declared that the Pakistani military governor General Tikka Khan had been assassinated. While the Pakistan army claimed the Bengalis had been defeated, the clandestine radio station claimed that a provisional government of Bangladesh had been formed.

In those early days of the genocide, Swadhin Bangla Betar Kendro declared to the world that Bengalis would not give up, that Bengalis would fight, and that the sacrifice would not go in vain. And the world listened. The small radio station in Kalurghat during those five crucial days in March refused to be silenced. It rallied the morale of the Bengalis and it frustrated the Pakistani army.
The last message from Dacca Betar Kendro was delivered by announcer Nazma Akhtar: "The 75 million people of Bangla Desh, freedom-loving as they are, have been subjected to brutal genocide by the army. The people of Bangla Desh will shed more blood rather than forget the injury. We will never allow the sacrifice to go in vain."

The men and women of Swadhin Bangla Betar Kendro and the men of the East Bengal Regiment who defended the station from attack, and announced to the world that an organised Bengali resistance was fighting back, ensured that Pakistani tanks and airplanes could not silence the voice of the 75 million people of Bangladesh.

The changing historical record
Recently, the Bangladesh government undertook an effort to revise the history textbooks in Bangladesh to more accurately reflect the history of how the independence of Bangladesh was declared on March 26, 1971. In the tug of war between the Awami League and the Bangladesh Nationalist Party, the history of Bangladesh has been rewritten several times over the past three decades. School textbooks have been written and rewritten to reflect varying narratives of the role of Sheikh Mujibur Rahman and Ziaur Rahman in the declaration of Bangladesh's independence.

In revising the history books, the current government relied on the government's official history of the war of independence published in 1982 by the Bangladesh government.

The official history has given rise to the following timeline:
-Sheikh Mujibur Rahman wrote down an independence declaration sometime after midnight on the morning of March 26,1971
-Sheikh Mujibur Rahman's declaration was broadcast on the day of March 26, 1971 from Kalurghat in Chittagong. However, very few people heard that broadcast.
-Ziaur Rahman, then a major in the East Bengal Regiment, broadcast a declaration from Kalurghat on behalf of Sheikh Mujibur Rahman on March 27, 1971, that was picked up by the foreign press, and the world came to know about Bangladesh's declaration of independence.

The above timeline suggests that until Major Ziaur Rahman broadcast his speech on March 27, the outside world did not hear about Bangladesh's independence.

This version of events is widely accepted and reflects the conventional wisdom that has developed over the last three decades. For example, the article on the Kalurghat radio transmitter on Wikipedia, the popular Internet encyclopedia, states:

"An English translation of the first declaration of independence by M A Hannan on 26th March 1971 ... It is believed that the first declaration of independence was not widely noticed by international media and the international community."

Major Ziaur Rahman's opening words in Bangla, "Ami Major Zia Bolchi," that is, "I am Major Zia speaking," were picked up by news agencies and given wide publicity across the globe. "Ami Major Zia Bolchi" was followed by a declaration of a sovereign and independent Bangladesh.

These words were first picked up by a Japanese ship anchored in Chittagong harbour, and flashed to the world. News of Zia's declaration was first broadcast by Radio Australia, and the world at large came to know of birth of Bangladesh.

The facts and the available documentary evidence however paint a starkly different picture.

March 26, 1971: The Declaration from Kalurghat
A survey of leading English lan-guage newspapers from around the flashed around the world on news wires on the evening of March 26, 1971. world shows that the world came to know about the independence of Bangladesh from Sheikh Mujibur Rahman's original message received in Calcutta on the morning of March 26 and from broadcasts from Swadhin Bangla Betar Kendro on the evening of March 26.

The following English newspapers were surveyed to examine how Bangladesh's declaration of independence was reported in the world press in March, 1971: The Statesman and The Times of India from India; Buenos Aires Herald from Argentina; The Age, The Sydney Morning Herald from Australia; The Guardian from Burma; The Globe and Mail from Canada; Hong Kong Standard from Hong Kong; The Jakarta Times from Indonesia; Asahi Evening News from Japan; The Rising Nepal from Nepal; The Manila Times from the Philippines; The Straits Times from Singapore; The Pretoria News from South Africa; The Bangkok Post from Thailand; The Daily Telegraph, The Guardian, The Times of London from the United Kingdom; and, Baltimore Sun, The Boston Globe, Chicago Tribune, Christian Science Monitor, Los Angeles Times, The New York Times, The Philadelphia Inquirer, San Francisco Chronicle and The Washington Post from the United States.

The Statesman published from New Delhi on March 27, 1971 and explained the two messages received on March 26:
Sheikh Mujibur Rahman made two broadcasts on Friday following the Pakistani troops move to crush his movement, says UNI.

In a message to the world broadcast by an unidentified wireless station monitored in Calcutta, the Awami League leader declared that "the enemy" had struck and that the people were fighting gallantly.

In a subsequent broadcast over a radio station, describing itself as "Swadhin Bangla Betar Kendra" (Free Bengal Wireless Station), monitored in Shillong, he proclaimed Bangla Desh an independent republic.

The Statesman published from Calcutta on March 27, 1971, lays out the timeline of the two messages from the previous day:
Mr. Rahman, in a message to the world broadcast by an unidentified wireless station monitored in Calcutta this morning declared that the enemy had struck and that the people were fighting gallantly.

In a subsequent broadcast over a radio station, describing itself as "Swadhin Bangla Betar Kendra" (Free Bengal Wireless Station) monitored in Shillong, Mr. Rahman proclaimed Bangla Desh an independent republic.

The Times of India published from Bombay on March 27, 1971, provides the text of the message received from the first broadcast in the morning:
Sheikh Mujibur Rahman said in a message to the world today that the people of Bangla Desh were fighting gallantly for their freedom.

The message, broadcast by an unidentified wireless station, was picked up here.

It was believed that the station was located at Chittagong or Chalna in East Pakistan.

Mr. Rahman said in the message: "Pakistani armed forces suddenly attacked the East Pakistan Rifles base at Bilkhana and Rajarbagh near here at zero hours today, killing a lot of [unarmed people].

"Stern fighting is going on with the EPR in Dacca and the police force. The people are fighting the enemy gallantly for the cause of the freedom of Bangla Desh.

"Every section of the people of Bangla Desh must resist the enemy forces at all costs in every corner of Bangla Desh.

"May Allah bless you and help you in the struggle for freedom from the enemy. Jai Bangla."

The Statesman from New Delhi on March 27, 1971, also provides the text of the first message:
Mr. Rahman said: "Pakistan armed forces suddenly attacked the East Pakistan Rifle base at Pielkhana and Rajabag police station in Dacca at zero hours on March 26, killing a number of unarmed people. Fierce fighting is going on with East Pakistan Rifles at Dacca.

"People are fighting gallantly with the enemy for the cause of freedom of Bangla Desh. Every section of the people of Bangla Desh are asked to resist the enemy forces at any cost in every corner of Bangla Desh. May Allah bless you and help in your struggle for freedom from the enemy. Jai Bangla."

In the evening on March 26, 1971, Swadhin Bangla Betar Kendro at Kalurghat came alive for the first time and broadcast multiple messages. These broadcasts were all monitored and reported on. Most significantly, one report from Kalurghat on that evening was monitored in India as saying: "The Sheikh has declared the 75 million people of East Pakistan as citizens of the sovereign independent Bangla Desh."

This announcement as well as the previous message was flashed around the world on news wires on the evening of March, 26, 1971. Bangladesh's declaration of independence thus became front page news on nearly all, if not all, major newspapers around the world published the following day on March 27, 1971. For example, The Los Angeles Times reported on its front page on March 27:

Sheikh Mujibur Rahman declared independence for East Pakistan Friday as the long smoldering feud between the two wings of the Islamic nation flamed into open civil war.

A clandestine radio broadcast monitored here from a station identifying itself as "The Voice of Independent Bangla Desh (Bengali homeland)," said, "The sheik has declared the 75 million people of East Pakistan as citizens of the sovereign independent Bangla Desh."

The documentary evidence confirms that Bangladesh's declaration of independence was heard on March 26, 1971, from Swadhin Bangla Betar Kendro at Kalurghat and reported on in world newspapers the following morning.

According to an article in the Bangladesh Observer published on April 23, 1972, the first persons to broadcast Sheikh Mujibur Rahman's declaration of independence in the evening on March 26, 1971, from Swadhin Bangla Betar Kendro in English were Ashikul Islam, a WAPDA engineer, and in Bengali, Abul Kashem Sandwip. Later in the evening M. A. Hannan also broadcast the declaration in a speech.

March 27, 1971: Major Zia's announcement
Swadhin Bangla Betar Kendro continued to broadcast from Kalurghat from March 26 till March 30, when Kalurghat was abandoned due to Pakistani air attacks.

On March 28, 1971, Indian newspapers reported that a Major "Jia Khan", or "Zia Khan", had also broadcast an announcement on March 27. Zia Khan was identified by the announcer as "Chief of the Liberation Army of Bangla Desh."

The Statesman published from New Delhi on March 28, 1971, reported:
In another broadcast the radio claimed that freedom-loving people of Baluchistan, the North West Frontier Province and Pakhtoonistan had declared independence, following the example of Bangla Desh.

The person who spoke on the radio was identified as "Major Jia, Chief of the Liberation Army of Bangla Desh."

The Times of India published from Bombay on March 28, 1971, reported:
Major Zia Khan, chief of the Bangla Desh liberation army, declared over the free Bangla Radio tonight that Bangla Desh would be rid of the Pakistani military administration in two or three days.

The West Punjabi soldiers "will be annihilated" if they did not surrender, he said.

The reports misidentified Major Ziaur Rahman as "Zia Khan" or "Jia Khan." The reports did not make any mention of a declaration of independence by Major Zia on March 27, 1971.

These two reports in the Indian newspapers on March 28 were not picked up by the world press. Beyond the Indian newspapers, a survey of major English language newspapers around the world on March 28, 1971, found no reports on Major Zia's broadcast on March 27.

March 28, 1971: Major Zia and the "provisional government" of Bangla Desh
On March 28, 1971, broadcasts from Swadhin Bangla Betar Kendro monitored in India announced that a provisional government of Bangla Desh had been formed and that Major Zia Khan, or Major Jia Khan (again misidentifying Major Ziaur Rahman) had been declared the temporary head of the provisional government. The Kalurghat broadcasts announced that the provisional government "would be guided by Banga Bandhu Mujibur Rahman."

The Statesman published from New Delhi on March 29, 1971 reported a speech by Major Zia declaring himself the provisional head:

In a broadcast over the Free Bangla Radio Major Jia Khan, commander-in-chief of the "liberation army" said: "I hereby assume the powers of the provisional head of the liberation army of Swadhin Bangla Desh.

"As provisional head I order the freedom fighters of Bangla Desh to continue the struggle till ultimate victory. Jai Bangla." He said the enemy was bringing additional troops both by the sea and by the air."

He appealed to all peace-loving peoples of the world to come to help of "the democratic minded fighting people of Bangla Desh."

Major Jia claimed that the "liberation army" had killed 300 men of the Punjab Regiment at Comilla. Other men of the regiment fled at the end of the fighting.

This report of the formation of a "provisional government" with "Major Zia Khan" as its temporary head was picked up and widely reported in the world press on March 29, 1971. For example, The Age from Australia reported on March 29:

Supporters of the East Pakistani leader, Sheik Mujibur Rahman, today formed a provisional Government under the temporary leadership of Major Zia Khan.

A rebel radio, announcing the new Government, identified Major Zia as head of the liberation army of Sheik Mujib's Awami League. The radio did not explain why Sheik Mujib had not been appointed leader of the Government.

There is however no report of Major Zia's declaration of independence in the world press on March 29, 1971.

March 30, 1971: The Dalil Potro and news reports
The official Bangladesh government document on the Liberation War, published in 1982 as 15 volumes is called Bangladesh Swadhinata Juddho: Dalil Potro, used by the current government to revise the textbooks, contains the text of Major Ziaur Rahman's Declaration of Independence in Volume 3. It reads as follows:

"Major Zia, Provisional Commander-in-Chief of the Bangladesh Liberation Army, hereby proclaims, on behalf of Sheikh Mujibur Rahman, the independence of Bangladesh.

"I also declare, we have already framed a sovereign, legal Government under Sheikh Mujibur Rahman which pledges to function as per law and the constitution. The new democratic Government is committed to a policy of non-alignment in international relations. It will seek friendship with all nations and strive for international peace. I appeal to all Government to mobilige public opinion in their respective countries against the brutal genocide in Bangladesh.

"The Governm

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ভাই যাই হোক স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া এবং বন্ধবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নয়।এই নিয়ে কোন বিতর্ক চাইই না। এটা স্রেফ মুক্তিযুদ্ধ দলীয়করণের নগ্ন প্রচেষ্টা।

আমরা আশা করি এমন ধারা থেকে একদিন বের হয়ে আসতে পারব।

২৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪১

ইয়েন বলেছেন: " অযাচিত একটি বিতর্ক সৃষ্টির সুযোগের জন্ম " আপনি যা বুজিয়েছেন সেটা আমি বুঝতে পারিনি :( ,,,,,,আমি মনে করেছি আপনি এই লাইন দিয়ে বলতে চেয়েছেন যে "এই বিতর্ক ঠিক না"/এ জাতিয় কিছু .....

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ধন্যবাদ ইয়েন আমি সত্য প্রকাশে নির্ভীক এই নীতিতে বিশ্বাসী।

২৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪৩

বাংলার হাসান বলেছেন: কান্ডারী অথর্ব ভাই গ্যালারিতে আছি দেখি নয়া নয়া ইতিহাসবিদগনের চেহারা দেখি, তারপর উত্তর দিমু তাদের নয়া নয়া ইতিহাস বিকৃতির। ব্রো পোষ্টে ভাল লাগা নিবেন।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন আবারো।

২৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪৫

মাইক-মজিদ বলেছেন: কান্ডারী অথর্ব এর মতো একজন শান্ত ভদ্র লেখকের পোষ্টে মুখটা খারাপ করলাম না !

কয়টা আবাল আইছে ল্যাদাইতে ! কে বড় ? জিয়া নাকি মুজিব ?

হেই পুরানা আবলামি, পোষ্ট না পইড়াই কমেন্ট মারায় । আমার আগের কমেন্ট খান পইড়া তারপর সব আবালেরা কমেন্ট মারাও , এরা প্রতিদিন জিয়া আর মুজিবরে অনেকবার হত্যা করে ! এরা নিজেরা বুঝে না ! হতাশ কতোগুলা ব্লগার নামের কলংকের সাথে ব্লগিং কইরা ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ধন্যবাদ ভ্রাতা, আমিও নিজেও কিছুটা আজ বিস্মিত হলাম যে এমন পোষ্ট দিলে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে অথচ আফসোস যখন মাওলানা ভাসানি কিংবা জাতির পিতাকে নিয়ে পোষ্ট দিলাম তখন এমন বিতর্ক পাইনি বরং যারা বিতর্ক করছে তাঁদের কোন মন্তব্যও সেখানে দেখতে পাইনি। তবে এর অর্থ কি দাড়াতে পারে সেটাই ভাবছি। !!!!!!!!!

২৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৫২

বাংলার হাসান বলেছেন: ৥াহো ব্রো হুদাই আজাইরা এসব দিয়ে কোন লাভ নাই, স্বাধীন বাংলার রুপকার “স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াস” এর ইতিহাস আগে পড়ে আসুন তারপরে মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাস নিয়ে আলোচনায় যোগ দিলে কাজে আসবে।

৥াহো ব্রো আপনি জানেন ১৮ই ফেব্রুয়ারী ১৯৭১ এ বঙ্গবন্ধুর সাথে “নিউক্লিয়াস” এর একটি চুক্তি হয় দেশ স্বাধনি হবার পর দেশের শাসন কাঠামো কি হবে?

যেই দুইটা বিষয় লিখলাম আগে তা জেনে আসুন তাপরে কথা হবে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




হে আল্লাহ আমাকে তুমি জ্ঞান দাও।

২৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৫৪

রবি_জল বলেছেন: অসাধারণ ভাবে গুছিয়ে লিখেছেন । ধন্যবাদ এবং প্রিয়তে । আর +++




২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

রবি_জল আপনাকে অজস্র্য ধন্যবাদ ভাই।

২৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৫৬

ধ্রুব মহাকাল বলেছেন: অসাধারণ এক মহামানবকে নিয়ে অসাধারণ এক পোস্ট ।লাল সেলাম ।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ ।
পোস্ট স্টিকি করা হোক ।
প্রিয়তে নিলাম ।++++

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমিও লাল সালাম জানাই এই মহান নেতাকে।

৩০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০৪

আশিক মাসুম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে , অনেক সুন্দর পোষ্ট


++++++++

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ধন্যবাদ আশিক মাসুম, স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা রইল ভাই।

৩১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০৪

একজন আরমান বলেছেন:
সেই রকম একটা পোস্ট।

এই পোস্ট পড়লে আশা করি অনেকের ভেতরের জমে থাকা সন্দেহ দূর হবে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


হুম দেখা যাক আরমান শেষে কি হয় :( :( :( :( :(

৩২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০৬

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: আমার মনে হয় রবি জলের এই মন্তব্যের পরেও রহো এর এরকম অজাচিত মন্তব্য কাম্য নয়।


আর পোস্ট প্লাস সহ প্রিয়তে থাকবে, তবে আপনি বেশ কিছু জায়গায় উইকি থেকে সরাসরি তুলে দিয়েছেন। সেখানে অনেক কিছুই মিসিং এবং ওখানে অনেক কিছুই হালকাভাবে দেখিয়েছে।


এই সেইম কারনে আমি লিওর পোস্টেও বলেছি যে আরো পড়ে পোস্ট দাও।

যাই হোক স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া এবং বন্ধবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নয়।


এই নিয়ে কোন বিতর্ক চাইই না। এটা স্রেফ মুক্তিযুদ্ধ দলীয়করণের নগ্ন প্রচেষ্টা।


আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




সহমত ভাই, আপাতত আমার পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানবেন।

৩৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১১

এস আর সজল বলেছেন: কয়েকটা প্রশ্ন।
১. অনুবাদে জয় বাংলাটা বাদ দিলেন কেন?
২. খন্দকার মোশতাক, ফারুক, রশিদ উসমানী কার বাসায় বসে মুজিব হত্যার পরিকল্পনা করেছিল?
৩. সায়েম কি ঐচ্ছিক ভাবে জিয়ার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল?
৪. উনি গোলাম আজমকে কেন বাংলাদেশে এনে নাগরিকত্ব দিয়েছিলেন?
৫. ২১ এপ্রিল-৯ অক্টোবর পর্যন্ত ১১৪৩ জন (সরকারি নথি অনুসারে) মারা হয় কি জন্য?
৬. কর্নেল ফারুককে কেন তিনি বাংলাদেশে সসম্মানে এনে দেশ থেকে সসম্মানে বিদায় করলেন অথচ তার অনুসারিদের ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলেন?
৭. তিনি কেন তার বন্ধু (যে কিনা জিয়াকে মুক্তি করেছিল) তাহেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলেন??? ১০০০০ এর অধিক নিখোঁজ জাসদ কর্মীর কি হয়েছিল???

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আরে ভাই তর্কের খাতিরে যদি তর্ক করেন তবে বলি যদি কোন অসৎ উদ্দেশ্য থাকত তাহলে কি ইংরেজি টা থেকেও জয় বাংলা মুছে দিতাম না !! আগে পোষ্ট বুঝে পড়েন কোথায় কি লেখা হয়েছে কোথায় কি হেডিং দেয়া হয়েছে খেয়াল করেন তারপর এই সব প্রশ্ন করবেন। আর আপনে যেইসব প্রশ্ন করেছেন এইগুলোর উত্তর আপনি যদি ইতিহাসের লিঙ্ক দিয়ে নিজে জবাব দিতে পারেন তবে মন্তব্য করবেন আমি যা লিখেছি তার লিঙ্ক আমি চাইলেই দিতে পারব অনর্থক বিতর্ক সৃষ্টি করবেন না। আমি বিতর্ক সৃষ্টির জন্য এই পোষ্ট দেই নি। ভাল থাকবেন।

৩৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১২

রুদ্র মানব বলেছেন: অসাধারণ ও গোছালো পোস্ট ।


কিন্তু রবি জল নিজেই পোস্টে আইসা প্যচাল শুরু করলেন । বিতর্ক ছাড়া আসলে কিছু মানুষের পেটের ভাত হজম হয় না ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

খুব খারাপ লাগছে ভাই। আমার এই পোষ্ট দেয়া দেখছি মহা ভুল হয়ে গেছে। আমি কি পোষ্ট দিলাম আর লোকে কি বুঝল সেটাই বুঝলাম না।

৩৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৩

াহো বলেছেন:

নিজের প্রাণের বিনিময়ে দেশরক্ষা করতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম



Click This Link

১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাস। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চোখে বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর বিবিসির তৎকালীন সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্ট মুখোমুখি হন বঙ্গবন্ধুর। সেবছরের ১৭ জানুয়ারি সাক্ষাৎকারের পুরোটা সময়ই বঙ্গবন্ধু তাঁর দৈনন্দিন কাজে ব্যস্ত ছিলেন, কখনও অফিসে, কখনও উনার ছোট্ট নীল সরকারি গাড়িতে, ৩২ নাম্বারে নিজের শোবার ঘরে, বারান্দায়, লনে। কাজ করতে করতে উত্তর দিয়েছেন প্রশ্নের। ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটির অনুবাদ তুলে ধরা হলো।

ডেভিড ফ্রস্টঃ সেই রাতের কথা বলুন। যে রাতে একদিকে আপনার সাথে যখন আলোচনা চলছিল আর সেই আলোচনার আড়ালে পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ার উদ্যোগ নিচ্ছিল। সেই রাতের কথা বলুন, ২৫শে মার্চ, রাত ৮টা, আপনি আপনার বাড়িতে ছিলেন, সেই বাড়ি থেকেই আপনাকে গ্রেফতার করা হলো। শুনেছিলাম টেলিফোনে আপনাকে সাবধান করা হয়েছিল যে সামরিক বাহিনী অগ্রসর হতে শুরু করেছে। কেন আপনি নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও না যেয়ে গ্রেফতার বরণ করলেন? এই সিদ্ধান্ত কেন? সেই কথা বলুন।

বঙ্গবন্ধুঃ সে এক গল্প...সে সন্ধ্যায় পাকিস্তান সামরিক জান্তার কমান্ডো বাহিনী আমার বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছিল। ওরা আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। ওরা প্রথমে ভেবেছিল, আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলে আমাকে হত্যা করে প্রচার করে দেবে যে, আমার সাথে রাজনৈতিক আপস আলোচনার মাঝখানে বাংলাদেশের চরমপন্থীরাই আমাকে হত্যা করেছে। আমি বেরুনো-না বেরুনো নিয়ে চিন্তা করলাম। আমি জানতাম, পাকিস্তানি বাহিনী বর্বর। আমি জানতাম, আমি আত্মগোপন করলে ওরা দেশের সমস্ত মানুষকেই হত্যা করবে। তাই স্থির করলাম, আমি মরি ভালো, তবু আমার প্রিয় দেশবাসী রক্ষা পাক।

ডেভিড ফ্রস্টঃ আপনি তো কলকাতা চলে যেতে পারতেন।

বঙ্গবন্ধুঃ কলকাতা শুধু নয়, ইচ্ছা করলে আমি যে কোনো জায়গায় যেতে পারতাম, কিন্তু আমার দেশবাসীকে পরিত্যাগ করে আমি কেমন করে যাব? আমি তাদের নেতা, আমি সংগ্রাম করব, মৃত্যুবরণ করব, পালিয়ে কেন যাব? দেশবাসীর কাছে আমার আহবান ছিল, তোমরা প্রতিরোধ গড়ে তোলো।

ডেভিড ফ্রস্টঃ আপনার সিদ্ধান্ত অবশ্যই সঠিক ছিল। কারণ, এই ঘটনাই বিগত নয়মাস ধরে বাংলাদেশের মানুষের কাছে আপনাকে তাদের বিশ্বাসের প্রতীকে পরিণত করেছে। তাদের কাছে এখন আপনি প্রায় ঈশ্বরসম।

বঙ্গবন্ধুঃ আমি সেটা বলি না। কিন্তু এটা সত্য তারা আমাকে ভালোবাসে। আমি আমার বাংলার মানুষকে ভালোবেসেছিলাম, তাদের জীবন রক্ষা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু হানাদার বর্বররা আমাকে সে রাতে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করল। ওরা আমার নিজের বাড়ি ধ্বংস করে দিলো।

আমার গ্রামের বাড়ি, যেখানে আমার ৯০ বছর বয়সী পিতা আর ৮০ বছরের মাতা ছিলেন, সে বাড়িও ধ্বংস করে দিলো। সৈন্য পাঠিয়ে বাবা-মাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে তাদের চোখের সামনে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিলো, বাবা-মার আর কোনো আশ্রয় ছিল না। ওরা সব কিছুই জ্বালিয়ে দিয়েছিল।

ভেবেছিলাম, আমাকে পেলে ওরা আমার হতভাগ্য মানুষদের হত্যা করবে না। আমি জানতাম, আমাদের সংগঠনের শক্তি আছে, জীবনব্যাপী একটি শক্তিশালী সংগঠন আমি গড়ে তুলেছিলাম, জনগণ যার ভিত্তি। আমি জানতাম, তারা শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে। আমি তাদের বলেছিলাম, প্রতি ইঞ্চিতে তোমরা লড়াই করবে। আমি বলেছিলাম, হয়ত এটাই আমার শেষ নির্দেশ, কিন্তু মুক্তি অর্জন না করা পর্যন্ত তাদের লড়াই করতে হবে, লড়াই তাদের চালিয়ে যেতে হবে।

ডেভিড ফ্রস্টঃ আপনাকে ঠিক কীভাবে ওরা গ্রেফতার করেছিল? তখন তো রাত দেড়টা, তাই না? তখন কী ঘটল?

বঙ্গবন্ধুঃ প্রথমে ওরা আমার বাড়ির উপর মেশিগানের গুলি চালিয়েছিল।

ডেভিড ফ্রস্টঃ ওরা যখন এলো আপনি সেসময় বাড়ির কোন জায়গাটাতে ছিলেন?

বঙ্গবন্ধুঃ এখানে, এটা আমার শোবার ঘর, আমি এই ঘরেই তখন বসেছিলাম। (আঙুল তুলে দেখিয়ে) এদিক থেকেই ওরা মেশিনগান চালাতে আরম্ভ করে, তারপর এদিক ওদিক সবদিক থেকেই গুলি ছুঁড়তে থাকে, জানালার উপর।

ডেভিড ফ্রস্টঃ এসব তখন ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল?

বঙ্গবন্ধুঃ হ্যাঁ, সব ধ্বংস করেছিল, আমি আমার পরিবার-পরিজন এখানেই ছিলাম, ৬ বছরের ছোট ছেলেটি বিছানায় শোয়া ছিল, আমার স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে বসেছিলেন।

ডেভিড ফ্রস্টঃ পাকিস্তান বাহিনী কোনদিক দিয়ে ঢুকেছিল?

বঙ্গবন্ধুঃ সব দিক দিয়ে, ওরা এবার জানালার মধ্য দিয়ে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। আমি আমার স্ত্রীকে সন্তান দুটিকে নিয়ে বসে থাকতে বলি, তারপর সেখান থেকে উঠে বাইরে বেরিয়ে আসি।

ডেভিড ফ্রস্টঃ আপনার স্ত্রী সেসময় কিছু বলেছিলেন?

বঙ্গবন্ধুঃ না, তখন কোনো শব্দ উচ্চারণের অবস্থা ছিল না, আমি তাকে শুধু বিদায় সম্বোধন জানিয়েছিলাম। দরোজা খুলে বাইরে এসে ওদের গুলি বন্ধ করতে বলেছিলাম। আমি বললাম, তোমরা গুলি বন্ধ করো। আমি তো এখানেই দাঁড়িয়ে আছি, গুলি করছো কেন? তোমরা কী চাও? তখন চারদিক থেকে ওরা বেয়নেট উঁচিয়ে ছুটে এলো, এক অফিসার আমাকে ধরে বলল: এই, ওকে মেরে ফেলো না।

ডেভিড ফ্রস্টঃ একজন অফিসারই ওদের থামিয়েছিল?

বঙ্গবন্ধুঃ হ্যাঁ, ঐ অফিসারই ওদের থামিয়েছিল। ওরা তখন আমাকে এখান থেকে টেনে নামাল, পেছন থেকে আমার গায়ে, পায়ে, বন্দুকের কুঁদো দিয়ে মারতে লাগল, অফিসারটা আমাকে ধরে রেখেছিল, তবু ওরা আমাকে ধাক্কা দিয়ে, টেনে নামাতে লাগল। আমি বললামঃ তোমরা আমাকে টানছ কেন? আমি তো যাচ্ছি। বললাম, আমার তামাকের পাইপটা নিতে দাও। ওরা থামল। আমি উপরে যেয়ে তামাকের পাইপটা নিয়ে এলাম; আমার স্ত্রী তখন ছেলে দুটিকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন, আমাকে কিছু কাপড়-চোপড়সহ ছোট একটি সুটকেস ধরিয়ে দিলে সেটা নিয়ে নেমে এলাম। চারদিকে দেখলাম আগুন জ্বলছে। আজ এখন যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, ঠিক এখান থেকে ওরা আমাকে তুলে নিয়ে গেলো।

ডেভিড ফ্রস্টঃ সেদিন যখন ৩২ নাম্বারের আপনার বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলেন তখন কি ভেবেছিলেন আর কোনদিন আপনি এখানে ফিরে আসতে পারবেন?

বঙ্গবন্ধুঃ না, আমি সেটা কল্পনাও করিনি, মনে মনে ভেবেছি, এই আমার শেষ। আর আজ যদি আমার দেশের নেতা হিসেবে মাথা উঁচু রেখে মরতে পারি, তাহলে আমার দেশের মানুষের অন্তত লজ্জার কোনো কারণ থাকবে না। কিন্তু আমি আত্মসমর্পণ করলে আমার দেশবাসী পৃথিবীর সামনে আর মুখ তুলে তাকাতে পারবে না। আমি মরি, সেটাও ভালো, তবু আমার দেশবাসীর মর্যাদার যেন কোনো হানি না ঘটে।

ডেভিড ফ্রস্টঃ শেখ সাহেব, আপনি একবার বলেছিলেন ‘যে মানুষ একবার মরতে রাজি, তুমি তাকে মারতে পারো না। কথাটা কি এমন ছিল না?

বঙ্গবন্ধুঃ হ্যাঁ, আমি তাই মনে করি। যে মানুষ মরতে রাজি, তাকে কেউ মারতে পারে না। আপনি একজন মানুষকে হত্যা করতে পারেন, সেটা তার দেহ, কিন্তু তার আত্মাকে কি আপনি হত্যা করতে পারেন? না, কেউ তা পারে না। এটা আমার বিশ্বাস। আমি মুসলমান, মুসলমান একবারই মাত্র মরে, দুবার নয়। আমি মানুষ, আমি মনুষ্যত্বকে ভালোবাসি। আমি আমার জাতির নেতা। আমি আমার দেশের মানুষকে ভালোবাসি। আজ তাদের কাছে আমার আর কোনো দাবি নেই। তারা আমাকে ভালোবেসে সবকিছু বিসর্জন দিয়েছে। কারণ, আমি আমার সব কিছু তাদের দেবার অঙ্গীকার করেছি, আজ তাদের মুখে হাসি দেখতে চাই। যখন আমার প্রতি আমার দেশবাসীর স্নেহ ভালোবাসার কথা ভাবি, তখন আমি আবেগে আপ্লুত হয়ে যাই।

ডেভিড ফ্রস্টঃ পাকিস্তানি বাহিনী আপনার বাড়ির সবকিছুই লুট করে নিয়েছিল?

বঙ্গবন্ধুঃ হ্যাঁ, সবকিছুই ওরা লুট করেছে, বিছানা পত্র, আলমারি, কাপড় চোপড় সবকিছুই লুট করেছে। মিঃ ফ্রস্ট, আপনি দেখতে পাচ্ছেন এ বাড়ির কোনো কিছুই আজ নেই।
ডেভিড ফ্রস্টঃ আপনার বাড়ি যখন মেরামত হয়, তখন এসব লুট হয়েছে না পাকিস্তানীরা করেছে?

বঙ্গবন্ধুঃ পাকিস্তানি ফৌজ সবকিছুই লুট করেছে। কিন্তু, এই বর্বর বাহিনী আমার আসবাব-পত্র, কাপড়-চোপড়, আমার সন্তানদের দ্রব্য সামগ্রী লুট করেছে তাতে আমার দুঃখ নেই, আমার দুঃখ ওরা আমার জীবনের ইতিহাসকে লুন্ঠন করেছে। আমার ৩৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনের দিনলিপি ছিল, একটা সুন্দর লাইব্রেরি ছিল, বর্বররা আমার প্রত্যেকটি বই আর এই মূল্যবান দলিলপত্র লুণ্ঠন করেছে। সব কিছুই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিয়ে গেছে।

ডেভিড ফ্রস্টঃ আবার তাই একই প্রশ্ন চলে আসে, কেন ওরা লুঠতরাজ চালিয়েছিল?

বঙ্গবন্ধুঃ এর কী জবাব দেওয়া যায়? ওরা তো মানুষ নয়, কতগুলো ঠগ, দস্যূ, উন্মাদ, অমানুষ আর অসভ্য জানোয়ার। আমার নিজের কথা ছেড়ে দিন, তা নিয়ে আমার কোনো ক্ষোভ নেই। কিন্তু ভেবে দেখুন, দুই বছর, পাঁচ বছরের শিশু, মেয়েরা, কেউ রেহাই পেলো না, সব নিরীহ মানুষদের ওরা হত্যা করেছে। আমি আপনাকে জ্বালিয়ে দেয়া পোড়া বাড়ি, বস্তি দেখিয়েছি, একেবারে গরিব খেটে খাওয়া মানুষের বাস ছিল এখানে, এসব মানুষ জীবন নিয়ে পালাতে চেয়েছে, আর, ওরা চারদিক থেকে ঘেরাও করে মেশিনগান চালিয়েছে। ভুট্টো সেসময় বলেছিল, মিস্টার ইয়াহিয়া, এমন অবস্থায় আপনি যদি শেখ মুজিবকে হত্যা করেন আর আমি ক্ষমতা গ্রহণ করি তাহলে, একটি লোকও আর জীবিত অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে ফেরত আসতে পারবে না। এর প্রতিক্রিয়া পশ্চিম পাকিস্তানেও ঘটবে, তখন আমার অবস্থা হবে সংকটজনক। ভুট্টো আমাকে একথা জানিয়েছিল, ভুট্টোর নিকট আমি অবশ্যই এই জন্য কৃতজ্ঞ।

ডেভিড ফ্রস্টঃ শেখ সাহেব, আজ যদি ইয়াহিয়া খানের সাথে আপনার সাক্ষাৎ ঘটে তাহলে তাকে আপনি কী বলবেন?

বঙ্গবন্ধুঃ ইয়াহিয়া খান একটা জঘন্য খুনী, তার ছবি দেখতেও আমি রাজি নই, তার বর্বর ফৌজ দিয়ে সে আমার ৩০লাখ বাঙালিকে হত্যা করেছে।

ডেভিড ফ্রস্টঃ ভুট্টো এখন তাকে গৃহবন্দী রেখেছে, তাকে নিয়ে ভুট্টো এখন কী করতে পারে? আপনার ধারণা কী?

বঙ্গবন্ধুঃ মিস্টার ফ্রস্ট, আপনি জানেন আমার বাংলাদেশে কী ঘটছে? শিশু, মেয়ে, বুদ্ধিজীবী, কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র সকলকে ওরা হত্যা করেছে। ৩০ লাখ বাঙালিকে ওরা হত্যা করেছে। কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ ভাগ ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে এবং লুটপাট চালিয়েছে। খাদ্যের গুদামগুলো পর্যন্ত ধ্বংস করে দিয়েছে।

ডেভিড ফ্রস্টঃ নিহতের সংখ্যা ৩০ লাখ এ কথা সঠিক জানেন?

বঙ্গবন্ধুঃ এখনো আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসিনি, আমার লোকজন তথ্য সংগ্রহ চালিয়ে যাচ্ছে, সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।

ডেভিড ফ্রস্টঃ কিন্তু এমন হত্যাকাণ্ড তো নিরর্থক, মানুষকে ঘর থেকে টেনে এনে হত্যা করা।

বঙ্গবন্ধুঃ হ্যাঁ, ওরা কাদের হত্যা করেছে? একেবারে নিরীহ শান্তিপ্রিয় মানুষকে, গ্রামের মানুষকে, যে মানুষ পৃথিবীর কথাই হয়ত শোনেনি, সেই গ্রামে পাখি মারার মতো গুলি করে পাকিস্তানিরা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।

ডেভিড ফ্রস্টঃ আমার মনেও প্রশ্ন, আহ্ কেন এমন হলো?

বঙ্গবন্ধুঃ না, আমিও জানি না, আমিও বুঝি না, পৃথিবীতে এমন ঘটেছে বলে আমার জানা নেই।

ডেভিড ফ্রস্টঃ এটা তো মুসলমানের হাতেই মুসলমান হত্যা ছিল?

বঙ্গবন্ধুঃ ওরা নিজেদের মুসলমান বলে? অথচ হত্যা করেছে মুসলমান মেয়েদের, আমরা অনেককে উদ্ধার করার চেষ্টা করেছি, আমাদের ত্রাণ শিবিরে এখনও অনেকেই আছে, এদের স্বামী, পিতা সকলকে হত্যা করা হয়েছে। মা আর বাবার সামনে ওরা মেয়েকে ধর্ষণ করেছে, পুত্রের সামনে মাকে। আপনি চিন্তা করুন? আমি একথা কল্পনা করে চোখের পানি ধরে রাখতে পারি না, এরা নিজেদের মুসলমান বলে দাবি করে কীভাবে? এরা তো পশুরও নীচে। মনে করুন আমার বন্ধু মশিয়ুর রহমানের কথা। আমাদের দলের একজন শীর্ষপর্যায়ের নেতা ছিলেন তিনি, সরকারের একজন প্রাক্তন মন্ত্রীও ছিলেন, তাঁকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। ২৪ দিন ধরে তাঁর উপর নির্যাতন চলেছে, প্রথমে তাঁর এক হাত কেটেছে, তারপর আরেকটা, এরপর কেটেছে কান, তার পা কেটেছে, ২৪ দিন ব্যাপী তারঁ উপর নির্যাতন চলেছে (এ পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু কেঁদে দেন)। কিন্তু এটা একটা মাত্র ঘটনা নয়, আমাদের কত নেতা আর কর্মী, বুদ্ধিজীবী আর সরকারি কর্মচারীকে জেলখানায় আটক করে দিনের পর দিন অত্যাচার করে হত্যা করেছে। এমন অমানুষিক নির্যাতনের কাহিনী আমি ইতিহাসে কোথাও শুনিনি। একটা পশু, একটা বাঘও তো মানুষকে হত্যা করলে এমন ভাবে করে না।

ডেভিড ফ্রস্টঃ ওরা আসলে কী চেয়েছিল?

বঙ্গবন্ধুঃ ওরা চেয়েছিল আমাদের বাংলাদেশকে উপনিবেশ করে রাখতে। আপনি তো জানেন মিস্টার ফ্রস্ট, ওরা বাঙালি পুলিশ, বাঙালি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করেছে। ওরা বাঙালি শিক্ষক, অধ্যাপক, প্রকৌশলী, ডাক্তার, যুবক, ছাত্র সবাইকে হত্যা করেছে।

ডেভিড ফ্রস্টঃ আমি শুনেছি যুদ্ধের শেষ দিকেও ঢাকাতে ওরা ১৩০ জন বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করেছে।

বঙ্গবন্ধুঃ হ্যাঁ, আত্মসমর্পণের মাত্র একদিন আগে। কেবল ঢাকাতেই ১৩০ নয়, ৩০০ জনকে ওরা হত্যা করেছে। ঢাকা ইউনিভার্সিটি, মেডিক্যাল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটিতে। কারফিউ দিয়ে মানুষকে ঘরে আটকে রেখেছে, এরপর বাড়ি বাড়ি হানা দিয়ে খুঁজে বের করে হত্যা করেছে।

ডেভিড ফ্রস্টঃ তার মানে, কারফিউ জারি করে সকল ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে এসকল হত্যাকান্ড চালানো হয়েছে?

বঙ্গবন্ধুঃ হ্যাঁ, তাই করেছে।

ডেভিড ফ্রস্টঃ শেখ সাহেব, আপনার কি মনে হয় ইয়াহিয়া দুর্বল চরিত্রের লোক যাকে অন্যরা খারাপ করেছে না সে নিজেই একটা খারাপ লোক?

বঙ্গবন্ধুঃ আমি মনে করি সে একটা নরাধম। ও একটা সাংঘাতিক মানুষ। ইয়াহিয়া যখন প্রেসিডেন্ট, তখন আমার জনসাধারণের নেতা হিসাবে, সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসাবে ইয়াহিয়া খানের সাথে আলোচনার সময়ই তা দেখেছি।

ডেভিড ফ্রস্টঃ আমাদের আজকের এই আলাপে আপনি নেতা এবং নেতৃত্বের কথা তুলেছেন, আপনার কাছে যথার্থ নেতৃত্বের সংজ্ঞা কী?

বঙ্গবন্ধুঃ আমি বলব একটি সংগ্রামের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যথার্থ নেতৃত্ব তৈরি হয়, কেউ হঠাৎ একদিনে নেতা হতে পারে না, তাকে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আসতে হবে, মানুষের মঙ্গলের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে হবে, তার আদর্শ থাকতে হবে, নীতি থাকতে হবে। এই সব গুণ যার ভেতর থাকে সেই কেবল নেতা হতে পারে।

ডেভিড ফ্রস্টঃ ইতিহাসের কোন নেতাদের আপনি স্মরণ করেন, প্রসংসা করেন?

বঙ্গবন্ধুঃ স্মরণীয় অনেকেই, বর্তমানের কারো কথা বলছি না।

ডেভিড ফ্রস্টঃ না, বর্তমানের কেউ নয়, কিন্তু ইতিহাসের কারা আপনাকে অনুপ্রাণিত করেছেন?

বঙ্গবন্ধুঃ আমি আব্রাহাম লিংকনকে স্মরণ করি। স্মরণ করি মাও সে তুং, লেনিন, চার্চিলকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জন কেনেডিকেও আমি শ্রদ্ধা করতাম।

ডেভিড ফ্রস্টঃ মহাত্মা গান্ধী?

বঙ্গবন্ধুঃ মহাত্মা গান্ধী, পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু, নেতাজী সুভাষ বসু, সহরাওয়ার্দী, ফজলুল হক, কামাল আতাতুর্ক এদের জন্য আমার মনে গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। আমি ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে সংগ্রামী নেতা ডঃ সুকর্ণকে শ্রদ্ধা করতাম। এরা সবাই তো সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এসেছিলেন।

ডেভিড ফ্রস্টঃ আজ এই মুহূর্তে, অতীতের দিকে তাকিয়ে আপনি কোন দিনটিকে আপনার জীবনের সবচেয়ে সুখের দিন বলে মনে করেন? কোন মুহূর্তটি আপনাকে সবচাইতে সুখী করেছিল?

বঙ্গবন্ধুঃ যেদিন শুনলাম আমার বাংলাদেশ স্বাধীন, সেই দিনটিই ছিল সবচাইতে সুখের।

ডেভিড ফ্রস্টঃ এই দিনের স্বপ্ন কবে থেকে দেখতে শুরু করেন?

বঙ্গবন্ধুঃ অনেকদিন যাবৎ আমি এই স্বপ্ন দেখে এসেছি।

ডেভিড ফ্রস্টঃ স্বাধীনতার সংগ্রামে আপনি কবে প্রথম কারাগারে যান?

বঙ্গবন্ধুঃ জেল গমণ শুরু হয় সম্ভবত ১৯৪৮ সালে। এরপর ১৯৪৯ সালে গ্রেফতার হয়ে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত জেলে থাকি। ১৯৫৪ সালে মন্ত্রী হই আবার ১৯৫৪তেই গ্রেফতার হয়ে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত জেলে থাকি। আবার ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান আমাকে জেলে পাঠায়, তখন পাঁচ বছর আটক থাকি। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা সহ নানা মামলায় সরকার আমার বিচার করেছে। ১৯৬৬ সালে আবার আমাকে গ্রেফতার করা হয় এবং তিন বছর আটক রাখা হয়। এরপর ইয়াহিয়া খান গ্রেফতার করে। এমন দীর্ঘ সংগ্রাম শুধু আমার নয়, আমার বহু সহকর্মীর জীবনে একই ইতিহাস।

ডেভিড ফ্রস্টঃ মিস্টার প্রাইম মিনিস্টার, পৃথিবীর মানুষের জন্য আপনার কাছ থেকে কোনো বাণী আমি বহন করে নিয়ে যেতে পারি?

বঙ্গবন্ধুঃ আমার একমাত্র প্রার্থনা, বিশ্ব আমার দেশের মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসুক। আমার হতভাগ্য দেশবাসীর পাশে এসে দাঁড়াক। আমার দেশের মানুষ স্বাধীনতা লাভের জন্য যেমন দুঃখ কষ্ট ভোগ করেছে তেমন আত্মত্যাগ খুব কম দেশের মানুষকেই করতে হয়েছে। মিস্টার ফ্রস্ট, আপনাকে আমি আমার একজন বন্ধু বলে গণ্য করি। আমি আপনাকে বলেছিলাম, আপনি এদেশে আসুন, নিজের চোখে দেখুন, আপনি নিজের চোখে অনেক কিছুই দেখেছেন, আরো দেখুন। আপনি এই বাণী বহন করুন যে সকলের জন্যই আমার শুভেচ্ছা। আমি বিশ্বাস করি, আমার দেশের কোটি কোটি ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে বিশ্ব এসে দাঁড়াবে। আপনি আমার দেশের বন্ধু, আপনাকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন। জয়বাংলা।

ডেভিড ফ্রস্টঃ জয়বাংলা। আমিও বিশ্বাস করি, বিশ্ববাসী আপনাদের পাশে এসে দাঁড়াবে, আপনার পাশে এসে আমাদের দাড়াঁতে হবে নয়তো সৃষ্টিকর্তা আমাদের কোনোদিন ক্ষমা করবেন না।

তথ্যসূত্র ও কৃতজ্ঞতা
১. টিভি ডট কম: দ্য ডেভিড ফ্রস্ট শো - লিংক Click This Link
২. বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রকাশনা ‘মাতৃভূমি’ ১৫ আগস্ট ২০০৬ শোকদিবস সংখ্যা।
৩. নিউইয়র্ক টেলিভিশনের ‘ডেভিড ফ্রস্ট প্রোগ্রাম ইন’ বাংলাদেশ শীর্ষক অনুষ্ঠান
অনুবাদ: অনিক মাহমুদ

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৪০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাই যত দূর মনে পরে আপনি আমার জাতির পিতার পোস্টের পর্বে কোন মন্তব্য করেন নি অবাক হচ্ছি।

আরও অবাক হচ্ছি জিয়ার পোস্টে এসে এভাবে বঙ্গবন্ধুর বিষয়কে নিয়ে এসে আপনি বঙ্গবন্ধুকেই হেও করছেন। আর যে কারনে আজ আমাদের জাতির মাঝে অনেকেই বঙ্গবন্ধুকে লেবুর সাথে তুলনা করার সাহস পায়। কারন নাকি লেবু বেশী কচলালে তিতা হয়ে যায়। তাই বলি জাতির পিতাকে নিয়ে এভাবে আর রাজনীতি না করে তাঁকে আমাদের অন্তরে ভালোবাসা নিয়ে অমর থাকতে দিন।

কারো সাথেই কারো তুলনা চলেনা। ভাল থাকবেন।

৩৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৪

শের শায়রী বলেছেন: ভাই কিছু ব্যাস্ত আছি তাই ব্লগে খুব একটা আসা হয় না। আর একটা অসাধারন কাজ।

আমি গর্ব করি আমার এই ভাই কে ব্যাক্তিগত ভাবে চিনি।

আর দয়া করে কেউ এই পোষ্টে অযাচিত কিছু লিখে কান্ডারী ভাইর পোষ্ট কে বিতর্কিত করবেন না।

ভাল থাকুন সবাই।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৪১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাই মনটা ভীষণ খারাপ হইছে এই পোস্টে বিতর্ক দেখে।

৩৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৭

াহো বলেছেন: সবাই এক জিনিস আজ ভুলে গেছে বলতে জিয়াউর রহমান ১৯৭৬-এর ২৯শে নভেম্বরে প্রধান সামরিক শাসক সায়েমের বিরুদ্ধে ক্যু করে নিজে প্রধান সামরিক প্রশাসক



জিয়াউর রহমান ১৯৭৬-এর ২৯শে নভেম্বরে প্রধান সামরিক শাসক সায়েমের বিরুদ্ধে ক্যু করে নিজে প্রধান সামরিক প্রশাসক

,১৯৭৫-এর ২৪শে অক্টোবরে সেনাপ্রধানকে পদচ্যুত করে উপসেনাপ্রধান থেকে সেনাপ্রধান।

বঙ্গবন্ধু হত্যার মাত্র ৪ মাস পর ,৭২এর ঘাতক দালাল আইন বাতিল।
১৯৭৬-এর ২৯শে নভেম্বরে প্রধান সামরিক শাসক সায়েমের বিরুদ্ধে ক্যু করে নিজে প্রধান সামরিক প্রশাসক

,১৯৭৭এর ২১ শে এপ্রিলে আবার সায়েমকে সম্পূর্ণ কিকআউট করে রাষ্ট্রপ্রধান

,৩০শে আগস্ট সকল রাজনীতি নিষিদ্ধ ,

৭৭ এ অবৈধ ঘোষিত ধর্মভিত্তিক রাজনীতির অনুমতি।

১৯৭৭-এর ২২ এপ্রিলে ১৯৭২ এর শাসনতন্ত্রের ৩৮ অনচ্ছেদের মূল পরিবর্তন এনে সংবিধানে সন্ত্রাস ,১৯৭৭-এর ৭ই মে তে খুনিদের ক'জনকে পদোন্নতি এবং পুনর্বহাল ,
১৯৭৮-এর ৫ই এপ্রিলে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে ১৯৭১-এর ঘাতক দালালদের নাগরিকত্ব দানের জন্য মন্ত্রনালয়কে আদেশ , ৭৭-এর হ্যা না ভোট ,

১৯৭৯-এর ৫ই এপ্রিল ৫ম সংশোধনীকে আইনে প্রণীত করে জেল ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দ্বার রুদ্ধ করতে বিষাক্ত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইন এবং নতুন নাগরিকত্ব আইনের আওতায় পাকিস্তানের পাসপোর্ট হাতে রাজাকার গোলাম কে দেশে ঢুকিয়ে এবং ইয়াহিয়ার মন্ত্রী গণহত্যার মাস্টার মাইন্ডার ,আব্বাসকে ৭৯তে জামাতের আমীর হতে দিয়ে ,দেশে মৌলবাদ এবং জামাতের স্বাধীনতা বিরোধী সকল কার্যকলাপকে সাংবিধানীক বৈধতা ,৭৫এর ৩১শে ডিসেম্বর ঘাতক দালাল আইন বাতিল করে ১১ হাজার যুদ্ধ অপরাধীর মুক্তি ,যাদের মধ্যে ৭৫২জন দন্ডপ্রাপ্ত।জেল ও বঙ্গবন্ধু হত্যার সব তদন্ত বন্ধ করে দিয়ে রাস্ট্রদ্রোহিতা মুলক কর্মকান্ড।ক্ষমতার এত জঘন্য দৃষ্টান্ত আর কার ?১৯৭২এর সংবিধানকে কেটে ছিরে নিজের ইচ্ছে মত সব
কিছুকে জায়েজ করার নগ্ন প্রচেষ্টা।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমাকে মুক্তিযোদ্ধা হবার ব্যাঞ্জনা দেয়া হয়েছে; তবু চিত্তে তুমি আছো আজো হে মহান নেতা।

৩৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২৬

এম আর সুমন বলেছেন: অসাধারন পোষ্ট। সবই অবশ্য জানা কথা। আপনি খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন।
আর এই পোষ্টটিতে াহো কে দেখলাম উল্টাপাল্টা করতে। আমি তাকে আহ্বান জানাচ্ছি Click This Link এখানে একটু গুতা মারতে। ওনার সব প্রশ্নের জবাব এখানে আছে। আমি নিশ্চয়তার সাথে কথাটি বলছি। আমার জানা মনে ২৬ মার্চের এত সুক্ষ বর্ননা এতে আছে যে আর বিতর্কের অবকাশ থাকবে না। তবে গোয়ার চিরকালই গোয়ার। এটা চিরন্তন সত্য।
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ একটি সুন্দর , সত্য ও সময়োপযোগী পোষ্ট দেয়ার জন্য। আজকের প্রথম প্রহরে আপনার এই পোষ্টটি মহান স্বাধীনতা দিবসকে অলংকৃত করবে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৪৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




আমার বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই আপনার জন্য রইল স্বাধীনতার শুভেচ্ছা।

৩৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২৭

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:

"আর বঙ্গবন্ধু যে আমাদের স্বাধীনতার এক মাত্র জনক কিংবা জাতির পিতা সেই বিষয়ে আমি মনে হয় কোথাও দ্বিমত করিনি। কারন আমি উনাকে আমার মা বাবার মতই সন্মান করি এবং উনি না থাকলে আজ আমরা স্বাধীন হতে পারতাম না।"

কান্ডারী অথর্ব ভাই , "You deserve the honor"

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৪৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ভাই জানেন আমি এখন বসে বসে কাঁদছি কিছু অযাচিত মন্তব্য আমার এই পোস্টে পেয়ে। আল্লাহ আমাদের হেদায়েত কবে দিবেরে ভাই।

৪০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২৯

াহো বলেছেন:
গোপন মার্কিন দলিল

স্বাধীনতা ঘোষণার চিন্তা ৩ মার্চেই ওয়াশিংটনকে জানানো হয়
একাত্তরের ৩ মার্চেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার চিন্তা এবং ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস খোলার পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়েছিল।
Comment No 5
Click This Link

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৪৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আপনাকে স্বাধীনতার শুভেচ্ছা জানাই।

জয় বাংলা।

৪১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩০

বুনো বলেছেন: পাঙ্খা পোস্ট, প্রেমে পড়ে গেছি। :P :P

অনেক ধন্যবাদ ভাই। নতুন প্রজন্ম সত্য ইতিহাসটা শুনতেই চায় না। অন্তত আপনার নিরপেক্ষ অবস্থান বিবেচনা করে পোস্টটা সকলেই গ্রহণ করবে বলে আশা রাখি।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৪৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

মনে হয় আমি একটি ভুল সময় ভুল পোষ্ট দিয়ে ফেলেছি।

৪২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩১

এস আর সজল বলেছেন: স্বাভাবিক নিয়মে কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে তাঁর বিচার হয়। কোর্ট মার্শালের চেয়ারম্যান ও বিচারকরা তাহেরকে ফাঁসির আদেশ দেন। তাই?????

মামলার প্রধান বিচারক ছিলেন কর্নেল ইউসুফ হায়দার যে কিনা মুক্তিযুদ্ধের সম্পূর্ণ সময় বাংলাদেশে ছিল এবং পাকিস্তানি বাহিনীতে কর্মরত ছিল এবং জিয়ার খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
মামলার অভিযোগ ছিল "১৯৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর একটি বৈধ সরকার উৎখাতের চেষ্টা চালান"।
মামলাটা হয়েছিল "রাষ্ট্র বনাম মেজর জলিল গং" এর নামে।
তাহেরসহ ৩৩ জন ছিলেন আসামি। অভিযুক্তকে আত্বপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগ দেয়া হয় নাই। ১৭ তারিখ ফাঁসি দেয়া হয় এবং ২১ তারিখ ফাঁসি দেয়া হয় তৎকালীন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সনদের অধিকারি যার সার্টিফিকেটে লেখা ছিল "এই যোদ্ধা পৃথিবীর যে-কোন সামরিক বাহিনির সাথে যে-কেন অবস্থায় যুদ্ধ করতে সক্ষম।"

সম্মানীকে সম্মান দিতে শিখুন...... ধন্যবাদ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৪৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



জী আমি সম্মানীকে সম্মান দিতে শিখেছি, এবার আপনিও সম্মানীকে সম্মান দেবেন এই আশা করি।

কারন পারস্পরিক সন্মান বোধ একটি সুন্দর রাষ্ট্র গঠনের প্রধান নেয়ামক।

৪৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩২

াহো বলেছেন:
রাষ্ট্রপতি পদ ছিনতাইয়ের পর জিয়াউর রহমান তার প্রতি সমর্থন দেখানোর জন্য প্রহসনের গণভোট করেন। সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পীড়াপীড়ি সত্ত্বেও গণভোটে শতকরা ৫ ভাগ ভোটারও উপস্থিত হননি। অথচ রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যমে বলা হলো গণভোটে শতকরা ৯৮ ভাগ লোক জিয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। এভাবেই স্বৈরশাসক জিয়া দেশে ভোট জালিয়াতির সংস্কৃতি চালু করেন। প্রকৃতপক্ষে সামরিক শাসনের মধ্যেও তথাকথিত গণভোটে শতকরা ৫ ভাগ ভোটার উপস্থিত না হয়ে জোরপূর্বক ক্ষমতা দখলকারী জেনারেল জিয়াকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এরপর ১৯৭৮ সালের ৩ জুন সেনাপ্রধানসহ সব লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থেকেই জিয়া রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেন। অর্থাৎ জেনারেল জিয়া রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী হিসেবে ছিলেন সম্পূর্ণ অবৈধ। এরপর জেনারেল জিয়া ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক দল বিএনপি গঠন করেন। দল গঠনের মাত্র ৫ মাস পর ১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ৩০০ আসনের মধ্যে ২ শতাধিক আসন লাভ করে। নির্বাচনের পর স্বাধীনতার প্রত্যক্ষ বিরোধী শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী এবং আরও কয়েকজন রাজাকার দালালকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন জিয়াউর রহমান।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

পারস্পরিক সন্মান বোধ একটি সুন্দর রাষ্ট্র গঠনের প্রধান নেয়ামক।আমরা কেন যেন এই সত্য টুকু ভুলে যাই। আর হানাহানির রাজনীতিতে জড়িয়ে দেশের ধ্বংস ডেকে আনি। এটাই কি আমাদের কাম্য ???

৪৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩৮

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: রহো সাবধান হয়ে যান, আপনি অনেক অনেক মনগড়া বাক্য বলেছেন এবং আওয়ামী পন্থি কিছু চুষিল বুদ্ধিজীবীর কথা হুবহু তুলে আন্তেছেন, কিন্তু এখানে আপনি হেয় করার অপচেষ্টা নিয়েই এসেছেন।


আপনি যদি সেই পথে হাটেন তাহলে আপনাকে চওড়া মুল্য দিতে হবে।

আওয়ামী বাকশালের কুকীর্তি সব কিছু ফাঁস করে দিবো, শুধু তাই না, সেটা দিলেই সবাই বুঝতে পারবে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে এমনি এমনি ক্যু হয় নাই। কারন ছিলো। আর জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে জনগনের কোনও অভিযোগ নাই।


আছে শুধু আপনাদের মতো জাসদ আর ওয়ামি পন্থিদের। তার কারন আপনারা ক্ষমতায় যেতে পারেন নাই বলা ভালো জনগন যেতে দেয় নাই।


আর গু অ্যা কে নাগরিকত্ব কেন দেয়া হয়েছিলো সামান্য সেন্স খাটিয়ে চিন্তা করেন।

কিন্তু জাশিকে এই দেশে দল হিসেবে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে কিন্তু এরশাদ আর তাদের সাথেই এখন আপনারা গলায় গলায়।

লজ্জা লাগে কিছু দিন আগেই আপনারা এই জাশির গলায় গলায় ছিলেন, তখন মনে পরে নাই যে গুয়া একটা রাজাকার।

স্বার্থপর এবং কূট আপনারা।


রাস্ট্রপতি হিসেবে শেখ মুজিব যোগ্য ছিলেন না। বুঝা গেছে?




লেখক এই রহো কিংবা কি হইল টাইপ যে কয়জন ব্লগার আছেন এরা আপনাকে ডাটার নিচে ফেলে সারেন্ডার করাবার ধান্দায় আছে, আপনি রিপ্লাই দিলেও সে চেক করবে না।


সো পাত্তা দিয়েন না।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৫৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


পাত্তা দিচ্ছিনা শুধু অবাক হচ্ছি আর আমার ব্লগিং জীবনের আজ একটা বড় শিক্ষা আজ আমি আমার এই পোষ্ট থেকে পাচ্ছি। সব কিছুর অভিজ্ঞতা দরকার আছে। তবে সত্য এমন একটা জিনিষ যেটা নিয়ে বিতর্ক করলেও সত্য সত্যই থাকে সেটা কখনো মিথ্যা হয়ে যায় না। ভাই তবে একটু মনে আঘাত পেয়েছি যে যখন আমার ভালোবাসার আরেক জন মানুষ বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে পোষ্ট দিয়েছি তখন অনেককেই সেখানে মন্তব্যে পাই নাই। অথচ আজ দেখছি বঙ্গবন্ধুর জন্য প্রান দিয়ে দিচ্ছে। আফসোস শুধুই আফসোস !!!

৪৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩৯

াহো বলেছেন: গোপন মার্কিন দলিল
স্বাধীনতা ঘোষণার চিন্তা ৩ মার্চেই ওয়াশিংটনকে জানানো হয়
একাত্তরের ৩ মার্চেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার চিন্তা এবং ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস খোলার পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়েছিল।
Comment No 5
Click This Link

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অবাক হচ্ছি আপনার এমন ধারাবাহিক মন্তব্য দেখে চালিয়ে জান যদি আমার তাতে করে কিছু জ্ঞান বাড়ে ক্ষতি কি ।

৪৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩৯

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: াহো , এস আর সজল এবং কি হইলো। এইগুলা মাল্টি নিক। প্রত্যাখ্যান করুন এদের।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অবাক হলামরে ভাই।

৪৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৪২

াহো বলেছেন: এদের চিনুন
মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি ও পাকিস্তানের দোসররা যা বলেছে ও করেছে


এপ্রিল ১৯৭১
ঢাকায় নাগরিক শান্তি কমিটি গঠিত – দৈনিক পাকিস্তান- এপ্রিল ১১, ১৯৭১
মিছিলে নেতৃত্ব দেন গোলাম আযম ও নিজামী – দৈনিক সংগ্রাম -এপ্রিল ১৩, ১৯৭১
পাকিস্তান রক্ষার জন্য গোলাম আযমের মোনাজাত – দৈনিক সংগ্রাম -এপ্রিল ১৩, ১৯৭১

নুরুল আমিনের নেতৃত্বে শান্তি কমিটির প্রতিনিধি দল পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর টিক্কা খানের সাথে দেখা করে নাগরিকদের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থা ও শান্তি প্রতিষ।ঠায় অগ্রগতির কথা অবহিত করেন এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি তাদের সমর্থন পুন:ব্যক্ত করেন। – ঢাকায় নাগরিক শান্তি কমিটি গঠিত – দৈনিক পাকিস্তান- এপ্রিল ১৭, ১৯৭১
ভারত মুসলমানদের হিন্দু বানাতে চাচ্ছে তাই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নৃশংসতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে গুজব ছড়াচ্ছে – মৌলবী ফরিদ আহমেদ - – দৈনিক সংগ্রাম -এপ্রিল ১৬, ১৯৭১
‘যেখানে তথাকথিত মুক্তিবাহিনী আলবদর সেখানেই’ এই স্লোগান নিয়ে কুখ্যাত বদর বাহিনী গঠিত হয় ২২ এপ্রিল, ১৯৭১ -দৈনিক পাকিস্তান, পূর্বদেশ -এপ্রিল ২২/২৩, ১৯৭১
সশস্ত্র বাহিনীকে সাহায্যে করার আহ্বান – আহ্বায়ক শান্তি কমিটি- দৈনিক পাকিস্তান -এপ্রিল ২৩, ১৯৭১

মে ১৯৭১
নয়া সাম্রাজ্যবাদ নস্যাত করার জন্য শাহ আজিজের আহ্বান- দৈনিক পূর্বদেশ ৫ মে, ১৯৭১
শান্তি কমিটির তৎপরতা, মুন্সিগন্জে পাক সেনাদের বিপুল সম্বর্ধনা – দৈনিক পূর্বদেশ ১২ মে, ১৯৭১
সামরিক সরকার ২৫ মার্চ রাত্রে পাকিস্তানকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেন; তিনি শ্রী তাজউদ্দিন হয়ে গেছেন – দৈনিক সংগ্রাম ৮ মে, ১৯৭১
আল্লাহু আকবরের জায়গায় জয় বাংলা দখল করে নিয়েছে – দৈনিক সংগ্রাম ১২ মে, ১৯৭১
শান্তি কমিটির আবেদন : দেশের শত্রুদের মোকাবেলা করুন – দৈনিক পূর্বদেশ ১৮ মে, ১৯৭১
শান্তি কমিটির আবেদন -পাকিস্তানের শত্রুদের ধরিয়ে দেয়ার জন্যে সামরিক বাহিনীকে সহায়তা করুন – দৈনিক আজাদ/পূর্বদেশ মে, ১৯৭১
যে কোন মূল্যে ভারতের চক্রান্ত নস্যাৎ করব -মওলানা আশরাফ আলী – দৈনিক আজাদ, ১৯ মে, ১৯৭১
জামাতে ইসলামী সেক্রেটারী জেনারেল রহমতে এলাহী বলেন- নতুন করে নির্বাচন চাই – দৈনিক পূর্বদেশ, ২৪ মে, ১৯৭১
অতি সম্প্রতি আমাদের দেশের একদল লোক হিন্দুদের সাথে যোগ দিয়েছে – পাকিস্তানের দুশমনদের নিশ্চিন্হ করার আহ্বান – মওলানা সিদ্দিক আহমেদ – দৈনিক আজাদ, ২৪ মে, ১৯৭১
জামাতের নেতা মওলানা ইউসুফ খুলনার শাহজাহান আলী রোডে অবস্থিত আনসার ক্যাম্পে ৯৬ জন জামাত কর্মী নিয়ে প্রথম রাজাকার বাহিনী গড়ে তোলেন – দৈনিক পাকিস্তান/আজাদ, ২৫-২৭ মে, ১৯৭১

জুন, ১৯৭১
বিশুদ্ধানন্দ মহাথেরো, হাফেজ্জী হুজুর ও মাওলানা মওদুদী বললেন মুজিব বিচ্ছন্নতাবাদী
মওদুদীর বক্তব্য -শেখ মুজিবের দল গুন্ডামী ও মারামারী করে নির্বাচনে জয়ী হয় -পাকিস্তানী বাহিনীর হস্তক্ষেপ যৌক্তিক- দৈনিক পাকিস্তান, জুন ৬, ১৯৭১
মুজিবের বিচ্ছন্নতাবাদী আন্দোলন জনতা সমর্থন করেনি – মাওলনা মওদুদী – দৈনিক সংগ্রাম ৭ জুন, ১৯৭১
মীর জাফর কারা? – সম্পাদকীয় – দৈনিক সংগ্রাম ৮/৯ জুন, ১৯৭১
তাজুদ্দিন ও তোফায়েলসহ অন্যান্যদের ফৌজদারী আদালতে বিচার করা হবে – দৈনিক সংগ্রাম ১০ জুন, ১৯৭১
শান্তি কমিটির দায়িত্ব ও কর্তব্য- দুস্কৃতিকারী গেরিলাদের গেরিলা স্টাইলে নির্মুল করা; ভারত ফেরত হিন্দুরা কড়া পাকিস্তান ভক্ত -সম্পাদকীয় – দৈনিক সংগ্রাম ১৩/১৪ জুন, ১৯৭১
সরকারী প্রেসনোটে পহেলা বৈশাখ নববর্ষের ছুটি বাতিল, ২৪০টি রাস্তার নামকরন হিন্দু থেকে মুসলিম করন, ৬৯টি বই নিষিদ্ধ- হিন্দুরা মুসলমানদের অস্তিত্ব বিলোপের কাজ করেছে – এই সংবাদে দৈনিক সংগ্রামের উপসম্পাদকীয় জুন, ১৯৭১
বিভিন্ন স্খানে শান্তি কমিটর সভা – ভারত ও তাবেদারদের বিরুদ্ভে প্রতিরোধের দৃঢ় সংকল্প – দৈনিক পাকিস্তান ১৭ জুন, ১৯৭১
পূর্ব পাকিস্তানীরা সর্বদাই পশ্চিম পাকিস্তানী ভাইদের সাথে একত্রে বসবাস করবে – গোলাম আযম দৈনিক সংগ্রাম -২৯শে জুন, ১৯৭১
লাহোরে সাংবাদিক সম্মেলনে অধ্যাপক গোলাম আজম:

“শেখ মুজিব প্রকাশ্যে কখনও স্বাধীনতার জন্যে চিৎকার করেন নি বরং মওলানা ভাষানীই বিচ্ছিন্নতাবাদের দাবী তোলেন। পূর্ব পাকিস্তানের অখন্ডতা বজায় রাখতে সামরিক হস্তক্ষেপ ছাড়া উপায় ছিল না।”

- দৈনিক সংগ্রাম -২৯শে জুন, ১৯৭১

জুলাই ১৯৭১
জয় বাংলা স্লোগানে পূর্ব পাকিস্তানের আকাশ বাতাস কলুষিত হয়েছে। ধর্ম নিরপেক্ষদের ধর্ম বিরোধী অত্যাচার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ময়দানে রাজাকারদের ক্ষূদ্র অস্ত্র দিয়ে গুলী চালানোর ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে – দৈনিক সংগ্রাম – ১-৫ জুলাই, ১৯৭১
জামাত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেকের আহ্বান- গ্রামে গ্রামে রক্ষীদল গঠন করুন – দৈনিক পাকিস্তান ৩রা জুলাই ১৯৭১
জনগণ এখন স্বেচ্ছায় রাজাকার ট্রেনিং নিচ্ছে – জামাত নেতা আব্দুল খালেক – দৈনিক সংগ্রাম ৯ জুলাই, ১৯৭১
৭০ এর নির্বাচন প্রত্যক্ষভাবে ঘর ভাঙার নির্লজ্জ চক্রান্ত – দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদকীয় ১২ জুলাই, ১৯৭১
পূর্ব পাকিস্তানের বাঙ্গালীদের জীবনের নিরাপত্তা নেই একথা ভিত্তিহীন – ড: সাজ্জাদ হোসেন – দৈনিক পাকিস্তান ৯ জুলাই, ১৯৭১
বরিশালের শান্তি কমিটির সভায় আব্দুর রহমান বিশ্বাসের বক্তৃতা – দৈনিক সংগ্রাম ১৮ জুলাই, ১৯৭১
সেনাবাহিনী কুখ্যাত শহীদ মিনারটি ধ্বংস করে মসজিদ গড়েছে – দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদকীয় ১৬ জুলাই, ১৯৭১
ফজলুল কাদের চৌধুরী – পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে - দৈনিক পাকিস্তান ১৮ জুলাই, ১৯৭১
ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রেসিডেন্টের ফর্মূলা বর্তমান সংকটের একমাত্র সমাধান, শেখ মুজিবের বিচার শূরুর আবেদন – জামাত অস্থায়ী আমীর মীর তোফায়েল মোহাম্মদ – দৈনিক পাকিস্তান ২৪ জুলাই, ১৯৭১
আলেমদের প্রতি সশস্ত্র বাহিনীর সাথে সহযোগিতার আহ্বান – দৈনিক পাকিস্তান ২৬ জুলাই, ১৯৭১
সামরিক আইনে রাজাকারদের যে কোন লোককে গ্রেফতার করার ক্ষমতা প্রদান- রাজাকারদের অত্যাচার বৃদ্ধি

আগস্ট ১৯৭১
পাক সেনারা আমাদের ভাই, তারা জেহাদী চেতনায় উজ্জীবিত – মতিউর রহমান নিজামী – দৈনিক সংগ্রাম ৩রা আগস্ট, ১৯৭১
সেনাবাহিনী আওয়ামী লীগের চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেয়- দৈনিক সংগ্রাম ৭ই আগস্ট, ১৯৭১
পাকিস্তান টিকলেই এদেশের মুসলমানরা টিকবে, দুনিয়ার কোন শক্তিই পাকিস্তানকে নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না। গ্রামে গন্জের প্রতিটি এলাকা থেকে শত্রুর চিন্হ মুছে ফেলার আহ্বান – নিজামী -দৈনিক সংগ্রাম ৫ই আগস্ট, ১৯৭১
পাকিস্তান অখন্ডতা ও সংহতি সংরক্ষণ এ্যাকশন কমিটি গঠন – দৈনিক সংগ্রাম ৯ই আগস্ট, ১৯৭১
তাদের এজেন্ডা:


× উর্দু একমাত্র রাষ্ট্রভাষা, বাংলা সাইনবোর্ড ইত্যাদি অপসারন, রোমান হরফে বাংলা লেখার আহ্বান।
× কাফের কবি কাজী নজরুল ইসলামের রচনা বর্জন।
× পূর্ব পাকিস্তানের রেডিও টিভিতে শতকরা ৫০% অনুষ্ঠান উর্দুতে হবে।
× জাতীয় স্বার্থে উচ্চপদ থেকে বাঙালী অফিসারদের অপসারন করতে হবে।
× রাজাকার বাহিণীর বেতন এবং শান্তি কমিটির ব্যয় নির্বাহের জন্যে হিন্দু সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
× তিনমাসের জন্যে বিদেশী সাংবাদিকদের বহিস্কার করতে হবে।
তথাকথিত বাংলাদেশ আন্দোলনের সমর্থকরা ইসলাম, পাকিস্তান ও মুসলমানদের দুশমন – গোলাম আযম – দৈনিক সংগ্রাম ১২ই আগস্ট, ১৯৭১
দুস্কৃতকারীদের এর পরিণাম ফল ভোগ করতে হবে – মতিউর রহমান নিজামী – দৈনিক সংগ্রাম ১২ই আগস্ট, ১৯৭১
পাকিস্তান ভূখন্ডের নাম নয় একটি আদর্শের নাম – মতিউর রহমান নিজামী – দৈনিক সংগ্রাম ১৬ই আগস্ট, ১৯৭১
পাকিস্তানের শত্রুর মোকাবেলার আহ্বান – নুরুল আমীন, গোলাম আযম, শফিকুল ইসলামদৈনিক সংগ্রাম
পাকিস্তান অর্থ পবিত্র স্থান – গোলাম আজম- দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদকীয় ১৬/১৮ই আগস্ট
জামাতের একজন সদস্যও পূর্ব পাকিস্তানে বাংলাদেশ আন্দোলনে নিজেদের কোন ক্রমেই জড়িত করেনি – মওলানা আব্দুর রহিম – দৈনিক সংগ্রাম ১৮-২১ আগস্ট
আনসার অর্ডিন্যান্স বিলুপ্ত করে রাজাকার অর্ডিন্যান্স জারিদৈনিক ইত্তেফাক, ২২শে আগস্ট, ১৯৭১
ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তান ছাড়া অন্য কোন সমাধান গ্রহণযোগ্য নয় – মাহমুদ আলীদৈনিক আজাদ, ২৪শে আগস্ট, ১৯৭১
পাকিস্তানকে যারা বিচ্ছিন্ন করতে চায়- তারা ইসলামকেই উৎখাত করতে চায় – নিজামী
সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান রক্ষা করেছে – গোলাম আজম- দৈনিক সংগ্রাম ২৭ আগস্ট, ১৯৭১
হিন্দু ভারতের নিরপেক্ষ আদর্শের প্রচারক আওয়ামী লীগ – দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদকীয় ৩০ আগস্ট, ১৯৭১
নোয়াখালীর পল্লীতে জনসভা পাকিস্তানের সংহতি রক্ষার আহ্বান- দৈনিক আজাদ, ২৯শে আগস্ট, ১৯৭১
অধ্যাপক আতিকুজ্জামানের বক্তৃতা: পাকিস্তান কেয়ামত পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ থাকবে -দৈনিক আজাদ, ৩০শে আগস্ট, ১৯৭১
দেশে পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্খা কায়েম না হওয়া পর্যন্ত ক্ষমতা হস্তান্তর অর্থহীন – আব্দুর রহিমদেনিক সংগ্রাম, ২৯শে আগস্ট, ১৯৭১
নিজামী ও গোলাম আজম – দৈনিক সংগ্রাম

সেপ্টেম্বর ১৯৭১
বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষনার দাবী – গোলাম আযম দেনিক পাকিস্তান, ২রা সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিশ্বাসঘাতক – মিনহাজ শহীদ – দেনিক সংগ্রাম, ১ম সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ভারতীয় এজেন্ট – দেনিক সংগ্রাম

রেজাকার ও বদর বাহিনীর মরনাঘাত
পাক সেনানায়করা রেজাকারদের কৃতিত্ব আনন্দিত ও গর্বিত
অপবাদ মূলত সামরিক সরকারকেই দেয়া হচ্ছে

পাকিস্তানকে ধ্বংস করতে পারবে না
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা দিবসে গোলাম আজম ও মতিউর রহমান নিজামী
ছাত্রসংঘ কর্মীরা পাকিস্তানের প্রতি ইঞ্চি জায়গা রক্ষা করবে – মতিউর রহমান নিজামী
যশোহরে ছাত্রনেতা মতিউর রহমান নিজামীর মন্তব্য : পাতা ১, পাতা ২ – দৈনিক সংগ্রাম – ১৫ই সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
আল্লাহ তাদের লাঞ্জিত করেছেন- মতিউর রহমান নিজামী : পাতা ১, পাতা ২
পাকিস্তান হাসিলের লক্ষ্য বাস্তবায়িত না হওয়ায় বর্তমান সংকটের কারণ – আব্বাস আলী খান -দৈনিক সংগ্রাম – ২০শে সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
যশোহরের রাজাকার সদর দফতরে মতিউর রহামন নিজামী : পাতা ১, পাতা ২
জামাত বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ মেনে নিতে রাজী নয় : গোলাম আজম - দৈনিক পাকিস্তান ২৬শে সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
বিপদগামী তরুণদের সঠিক পথ দেখান : জেনারেল নিয়াজী -দৈনিক পাকিস্তান ২৮শে সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

গণতন্ত্র পুণ: প্রতিষ্ঠাই দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখার পূর্বশর্ত : নূরুল আমীন
সংবর্ধনা সভায় গোলাম আযমের ভাষণ – দৈনিক সংগ্রাম ২৬শে সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
নিউইয়র্কে এ.টি. সাদী – বাংলাদেশ আন্দোলন ইসলাম বিরোধী ষড়যন্ত্র -দৈনিক পাকিস্তান ২৭শে সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
আব্বাস আলী খান, মতিউর রহমান নিজামীর বক্তব্য

অক্টোবর ১৯৭১
শান্তি কমিটি সদস্যরা ব্যক্তিগত শত্রুতা ও রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করছে
রেজাকার বাহিনীর হাতে ভারী অস্ত্র দেবার আহ্বান

আব্বাস আলী খান, আখতার উদ্দীন আহমদ, ওবায়দুল্লাহ মজুমদার ও গোলাম আজম বলেন
স্বাধীন বাংলা জিগিরের উদ্দেশ্য মুসলমানদের হিন্দু বানানো - দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদকীয়, ১০ অক্টোবর, ১৯৭১
তথাকথিত মুক্তিবাহীনির শতকরা ৯০ জন হিন্দু – দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদকীয়, ১৩ অক্টোবর, ১৯৭১
আব্বাস আলী খান, ইউসুফ বলেন
জামাতে ইসলামী নিরলসভাবে শান্তি কমিটির সাথে কাজ করে যাচ্ছে – গোলাম আজম
দেশটা আল্লাহর ফজলে টিকে গেল
বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে গণজমায়েতে অধ্যাপক গোলাম আজম, ভুট্রো বিচ্ছিন্নতাবাদের পথ প্রশস্ত করছে
ভারতের প্রচারণা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে – শাহ আজিজ- দৈনিক পাকিস্তান ২৫শে অক্টোবর, ১৯৭১
জসীম উদ্দীন আহমেদ, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, মওলানা ইউসুফ, ড: মালেক প্রমুখ বলেন
৬ নেতার যুক্ত বিবৃতি- দৈনিক ইত্তেফাক, ২৭শে অক্টোবর, ১৯৭১
দুস্কৃতিকারীদের গুলিত শান্তি কমিটির সদস্য আহত : পাতা ১, পাতা ২, পাতা ৩

নভেম্বর ১৯৭১
রেজাকারদের হাতে ৪ ভারতীয় চর খতম- দৈনিক সংগ্রাম, ৫ নভেম্বর, ১৯৭১
প্রেসিডেন্ট সকাশে নূরুল আমীন : রাজাকারদের সংখ্যা বৃদ্ধি ও তাদের আরো অস্ত্র দেয়ার সুপারিশ পাতা ১, পাতা ২
হয় শহীদ নয় গাজী
আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও আব্দুল খালেক বলেন
প্রদেশব্যাপি বদর দিবস পালিত -দৈনিক সংগ্রাম ১০ নভেম্বর, ১৯৭১
ভারত আক্রমণ করলে কোলকাতা ও দিল্লীতে নামাজ পড়বো – আব্বাস আলী খান- দৈনিক সংগ্রাম ১০ নভেম্বর, ১৯৭১
আল বদর বাহিনীর অভিযান: ৪০ মুক্তিযোদ্ধা গ্রেফতার- দৈনিক সংগ্রাম ১১ নবেম্বর, ১৯৭১
বদর দিবসে বায়তুল মোকাররমে জনসভা: ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ মোকাবেলার আহ্বান
বদর দিবসের ডাক-দৈনিক সংগ্রাম ১২ নভেম্বর, ১৯৭১
রাজস্ব মন্ত্রীর সাতক্ষীরা রেজাকার শিবির পরিদর্শন- দৈনিক সংগ্রাম ১৩ নভেম্বর, ১৯৭১
বিভিন্ন স্খানে বদর দিবস পালিত -দৈনিক সংগ্রাম ১৪ নভেম্বর, ১৯৭১
পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন ধ্বংস করতে হবে – জাামাতে ইসলামী
সেনাবাহিনীর পরেই রাজাকারদের স্থান
৯৩ জন বাঙালী সিএসপি, ৪২ জন ইপিসিএস, এবং ৪ জন অধ্যাপকের ১৪ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত
কিছু রাষ্ট্রদ্রোহী কলকাতা থেকে বাবুদের ডেকে নিয়ে এসেছে
গোলাম আজম শেখ মুজিবের জায়গা দখল করতে সবই করে যাচ্ছেন
পাক সেনাবাহিনীর সহায়তায় বদর বাহিনী গঠিত হয়েছে – নিজামী
বদরবাহিনী হিন্দুস্তানকে খতম করবে -নিজামী
রাজাকারদের জাতীয় বীর বলা উচিৎ
দুস্কৃতিকারীদের চক্রান্ত বানচাল করার আহ্বান – জামায়াত
প্রধানমন্ত্রীর পদ পূর্ব পাকিস্তানকে দিতে হবে – গোলাম আজম
জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য – গোলাম আজম
পাকিস্তান আল্লাহর ঘর – মতিউর রহমান নিজামী
আওয়ামী লীগের যে পরিণতি হয়েছে ভুট্টোরও সে পরিণতি হবে – গোলাম আজম
আত্মরক্ষার জন্য আক্রমণাত্মক ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে – গোলাম আযম – দৈনিক সংগ্রাম, ২৪ নভেম্বর, ১৯৭১
দেশপ্রেমিক জনগণ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত – গোলাম আযম – দৈনিক সংগ্রাম, ২৮ নভেম্বর, ১৯৭১
নেতৃবৃন্দের বজন্সকঠোর ঘোষণা : পাতা ১, পাতা ২ – দৈনিক সংগ্রাম, ৩০ নভেম্বর, ১৯৭১
আক্রান্ত হলে জেহাদ ফরজ হয়ে যায় – মওদুদী
রবিন্দ্র মার্কা লারেলাপ্পা গান

ডিসেম্বর ১৯৭১

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:






বাপরে বিশাল অভিধান দেখছি।

৪৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৪৩

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: রহোর পোস্ট পড়েন সময় নিয়ে তারপর যেখানে যেখানে আপত্তি আছে ধরিয়ে দিয়ে আসেন, এই পোষ্টে এসব আলোচনা বাদ দেন।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আমি বাদ দিলেও কি বাকিরা বাদ দেবে !!!???

৪৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৪৪

াহো বলেছেন: সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ এ নাটকের মাধ্যমে বিচারের নামে ১১ জন কর্মকর্তাসহ এক হাজার ৪৫০ জন বিমানসেনাকে ফাঁসি দেন।

সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান১৯৭৭ এ নাটকের মাধ্যমে বিচারের নামে ১১ জন কর্মকর্তাসহ এক হাজার ৪৫০ জন বিমানসেনাকে ফাঁসি দেন।


১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ভোররাতে বিমানবাহিনীতে বিদ্রোহের ঘটনার পুনঃ তদন্ত দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত বিমানসেনা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।
গতকাল রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা এ দাবি জানান। তাঁরা বলেন, কথিত বিদ্রোহের পর ’৭৭ সালে সামরিক আদালতে সাজা দেওয়ার প্রতিটি ঘটনা দেশের সংবিধানের আলোকে পুনর্বিবেচনা করতে হবে।
ওই সময় সামরিক আদালতের রায়ে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, বিমানবাহিনীর এমন ২৩৮ জন সদস্যের একটি তালিকা সংবাদ সম্মেলনে বিতরণ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন: বিমানবাহিনীতে বিদ্রোহের পর সামরিক ট্রাইব্যুনালের বিচারের মাধ্যমে শাস্তি পাওয়া করপোরাল খায়রুল আনোয়ার, নূরুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, মনির শরীফ, সৈনিক কামরুজ্জামান, সার্জেন্ট মামুনসহ শতাধিক ব্যক্তি। এ ছাড়া ফাঁসি হওয়া ও নিখোঁজ বিমানসেনাদের কয়েকটি পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে করপোরাল খায়রুল আনোয়ার বলেন, ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর বিমানবাহিনীতে একটি অভ্যুত্থান-নাটক হয়। তৎকালীন সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান এ নাটকের মাধ্যমে বিচারের নামে ১১ জন কর্মকর্তাসহ এক হাজার ৪৫০ জন বিমানসেনাকে ফাঁসি দেন। বরখাস্ত ও চাকরিচ্যুত করা হয় আরও তিন হাজার ব্যক্তিকে। নিখোঁজ হন অনেকে। এক হাজারের বেশি মানুষকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ওই ঘটনার পর নিখোঁজ সার্জেন্ট দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী নুরের নাহার বলেন, ‘আমার স্বামীর লাশ ফিরে পেতে চাই। তাঁর কী অপরাধ ছিল, সেটা জানানো হোক। দেশের মানুষ হিসেবে সে অধিকার আমার আছে।’
নিখোঁজ করপোরাল মান্নানের স্ত্রী সুরাইয়া বলেন, ‘দুজন লোক আমার স্বামীকে টানাহেঁচড়া করে ধরে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাঁর কোনো হদিস নেই। অথচ বিদ্রোহের ঘটনার সময় তিনি গ্রামের বাড়িতে ছুটিতে ছিলেন।’
ফাঁসি হওয়া সার্জেন্ট আফাজ উদ্দিনের স্ত্রী রহিমা খাতুন বলেন, ‘পত্রিকায় খবর পড়ে জানতে পারি, আমার স্বামীর ফাঁসি হয়েছিল। কিন্তু সরকার কিছুই জানায়নি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি পেনশন দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কিছুই পাইনি।’
খায়রুল আনোয়ার বলেন, সামরিক আদালতে এক মিনিটের রায়ে অনেকের ফাঁসির আদেশ দিয়ে তা সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয়েছিল। এ ছাড়া কথিত বিদ্রোহের সময় নিহত ব্যক্তিদের আর খোঁজ মেলেনি। লাশগুলো হয় পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে, নয়তো মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল হওয়ার পর সুবিচার ও ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ব্যাপারে তাঁরা আশাবাদী হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ক্ষতিগ্রস্ত বিমানসেনাদের পূর্ণ পেনশন দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছিল। কিন্তু তা আর কার্যকর হয়নি। অথচ এখন অনেকের জীবন বিপন্ন হতে চলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া, পুনর্বাসিত করা এবং তাঁদের আজীবন পেনশনের দাবি করে বলা হয়, এটা কোনো রাজনৈতিক দাবি নয়, এটা মানবিক ও ন্যায়বিচার-সংক্রান্ত। এ ছাড়া সঠিক তদন্তের মাধ্যমে চক্রান্তকারীদের নাম, ক্ষতিগ্রস্ত সবার ছবিসহ তালিকা প্রকাশ ও বিমানবাহিনীর তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ব্যাপারে তদন্তের দাবি করা হয়।



বিমানবাহিনীতে বিদ্রোহের ঘটনার পুনঃ তদন্ত দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রথম আলো
http://www.prothom-alo.com/detail/news/190765

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



জয় বাংলা !! জয় হোক আমাদের চেতনার।

৫০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৪৫

এম আর সুমন বলেছেন: @ াহো জিয়া হাজার বছরে একজনই জন্মায়। আপনারা কয়েকজন তার বিরুদ্ধে যতই উল্টাপাল্টা লেখেন না কেন। আজো জিয়ার কোটি কোটি ভক্ত সমর্থক প্রমান করে যে তিনি কতটা জনপ্রিয় ছিলেন। আপনার দেয়া ইতিহাসের প্রতিটি পরতে পরতে ভুল। সুতরাং আলাদাভাবে বিশ্লেষনে গেলাম না। জিয়াই ইতিহাসের একমাত্র সামরিক শাসক যিনি অতি দ্রুত গনতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। এবং তা তার ঘোষিত এক বছরেরও পূর্বে।
আমাদের জাতির কলঙ্ক এটাই যে একজন নির্বাচিত গনতান্ত্রিক শাসক গনতন্ত্রকে হত্যা করেছিলেন । আর একজন সামরিক শাসক সেই গনতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। এদেশের গন মানুষের নেতা জিয়া। মাত্র পাঁচ বছরে দেশটিকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে ইমাজিং টাইগারে পরিনত করেন জিয়া। জিয়া একটি অধ্যায়ই শুধু নয় , জিয়া এক মহান বীর।
যার মৃত্যুতে ১৯৮১ 'র ৩১ শে মে / ১ লা জুন / ২রা জুন - টানা ৩ দিন নিউইয়র্ক টাইমসের প্রথম পাতার লীড নিউজ হয়েছিল। যা জন এফ কেনেডির মৃত্যুতেও হয় নি।
টাইমস লিখেছিলো.........৬ বছর আগে যখন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেন তিনি তখন একজন দৃঢ় নেতা হিসেবে অভিনন্দিত হয়েছিলেন যেমনটা সেসময় সংকটাপন্ন জাতিটির প্রয়োজন ছিলো
নিউইয়র্ক টাইমস আরো লিখেছিলো, কিন্তু তার প্রতিপক্ষরাও স্বীকার করে - পশ্চিমা দেশ এবং আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলো থেকে বরাদ্দ দেয়া টাকা জিয়া এমনভাবে ব্যবহার করছিলেন যে দেশটি অতি জনসংখ্যা আর দারিদ্রের মুখোমুখি জিতে যাচ্ছিলো..
http://pdfcast.org/pdf/1338366312
ভাইয়েরা সত্যি বলতে কি এমন একজন নেতাই আমাদের জাতির দরকার ছিল।তিনি কোন উপায়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন , আর কার কার কি বিচার করেছেন এসব দেখার সময় নাই। তিনি কম্বল চোরদের স্থান দেন নাই , এটাই আসল কথা।
এখানে দেখলাম অনেকেরই জিয়াকে নিয়ে জানায় অনেক ঘাটতি রয়ে গেছে। একপেশে ইতিহাস শেখার চেষ্টায় আছেন এনারা। খুব বড় পোষ্ট হবে, না হলে সব এখনই দেখিয়ে দিতাম। যদি সময় পাই তবে কাল একবার এই পোষ্টে আসবো।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অপেক্ষায় রইলাম ভাই।

৫১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৪৯

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: @এস আর সজল ভাই,

"সম্মানীকে সম্মান দিতে শিখুন." এই খানি শুধু একটু আপত্তি।
আমার মন্তব্য ৩৯ নং।
লেখক সম্মান দিতে জানেন।
আপনার সাথে আমিও একমত।
কান্ডারী অথর্ব ভাই কর্নেল তাহের এর বিষয় টা পরিষ্কার করে বলেন নি। ।

@কান্ডারী অথর্ব ভাই প্লিজ আপনার আবাসস্থান জানান।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কর্নেল তাহেরের বিষয় নিয়ে যদি বেঁচে থাকি তবে পরে কখনো বিস্তারিত পোষ্ট দেয়া যেতে পারে এখানে শুধু জিয়ার উপাখ্যান দেয়া হয়েছে তাও আংশিক ভাবে।

৫২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৫২

একজন আরমান বলেছেন:
শেষ বলে কিছু নেই। যদি কিছু ভালো হয় সেই অনেক।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:২২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সত্যি কি ভাই শেষ বোলে কিছু নাই !!!!!!!!!

৫৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৫২

নষ্ট শয়তান বলেছেন: াহো তুই তোর দলের চেহারা বের করে দিলি। আম্লীগের লোকজনের উচিত তরে ধইরা থাপ্রানো। তুই কার ব্লগে আইসা ক্যাচাল করস ছোটলোক। তরে আরো কিছু কইবার মন চায় কিন্তু আমি আম্লীগ না। কই কান্ডারী ভাই শেখ মুজিব লইয়া পোষ্টে তো আমরা যাইয়া কোন প্রশ্ন তুলি নাই। হারামজাদা ভব্যতা শিখোস নাই।

জাইন্না রাখ কান্ডারী ভাই কোন দলের না আমি জানা আপার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। দেখতে অনুরোধ করছি কারা কি করে।

নোংরা নরকের কীট

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:২৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


থাক ভাই গালি দিয়েন না । আল্লাহ নিশ্চয় আমাদের হেদায়েত করবেন।

৫৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৫৪

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: দরকার নাই ভাই। আপনি আর কোন মন্তব্য দিবেন না প্লিজ।

আমার যদি কিছু জানার থাকে আমি আপনার থেকে পরে জেনে নিব।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:২৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



দেখছি ভাই।

৫৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৫৫

াহো বলেছেন:

অবৈধ ৬ শাসক
১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট হইতে ১৯৭৯ সালের ৯ই এপ্রিল তারিখের (উভয় দিনসহ) মধ্যে প্রণীত সকল ফরমান, ফরমান আদেশ, সামরিক আইন প্রবিধান, সামরিক আইন আদেশ ও অন্যান্য আইন এবং উক্ত মেয়াদের মধ্যে অনুরূপ কোন ফরমান দ্বারা এই সংবিধানে যে সংশোধন, সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন ও বিলোপসাধন করা হইয়াছে তাহা এবং অনুরূপ কোন ফরমান, সামরিক আইন প্রবিধান, সামরিক আইন আদেশ বা অন্য কোন আইন হইতে আহরিত বা আহরিত বলিয়া বিবেচিত মতাবলে, অথবা অনুরূপ কোন মতা প্রয়োগ করিতে গিয়া বা অনুরূপ বিবেচনায় কোন আদালত, ট্রাইবু্যনাল বা কর্তৃপ কর্তৃক প্রণীত কোন আদেশ কিংবা প্রদত্ত কোন দণ্ডাদেশ কার্যকর বা পালন করিবার জন্য উক্ত মেয়াদের মধ্যে কোন ব্যক্তি বা কর্তৃপ কর্তৃক প্রণীত আদেশ, কৃত কাজকর্ম, গৃহীত ব্যবস্থা বা কার্যধারাসমূহ, অথবা প্রণীত, কৃত, বা গৃহীত বলিয়া বিবেচিত আদেশ, কাজকর্ম, ব্যবস্থা বা কার্যধারাসমূহ এতদ্দ্বারা অনুমোদিত ও সমর্থিত হইল এবং ঐ সকল আদেশ, কাজকর্ম, ব্যবস্থা বা কার্যধারাসমূহ বৈধভাবে প্রণীত, কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া ঘোষিত হইল এবং তৎসম্পর্কে কেন আদালত, ট্রাইবু্যনাল বা কর্তৃপরে নিকট কোন কারণেই কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।

খন্দকার মোশতাক আহমেদ : ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সামরিক বাহিনীর কিছুসংখ্যক সদস্যের হাতে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হলে খন্দকার মোশতাক আহমেদ নিজেকে দেশের রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। তিনি মোট ৮৩ দিন এ বিতর্কিত পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান 'জয় বাংলা'র পরিবর্তে 'বাংলাদেশ জিন্দাবাদ' চালু করেন এবং 'বাংলাদেশ বেতার'-এর নামকরণ করেন রেডিও বাংলাদেশ। তার সময়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামান নির্মমভাবে নিহত হন। ১৯৭৫ সালের ৬ নবেম্বর তিনি মতাচু্যত হন।

বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম : ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সামরিক বাহিনীর কতিপয় সদস্যের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃতু্য এবং নবেম্বর মাসে পরবতর্ী প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাকের উৎখাতের পর ১৯৭৫ সালের ৬ নবেম্বর বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণের পরই তিনি সংসদ ও মন্ত্রিপরিষদ ভেঙ্গে দিয়ে সারাদেশে সামরিক আইন জারি করেন এবং নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ঘোষণা করেন। ১৯৭৬ সালের ২৯ নবেম্বর তিনি প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করেন। ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল তিনি সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের হাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব দিয়ে অবসর গ্রহণ করেন।

মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান : ১৯৭৫ সালের ৭ নবেম্বর জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ঘোষণা করা হয়। অধিকন্তু ওইদিন সেনাসদরে এক বৈঠকে অন্তর্বতর্ীকালীন সরকার পরিচালনার জন্য একটি প্রশাসনিক কাঠামো গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সায়েমকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এবং তিন বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান এয়ার ভাইস মার্শাল এমজি তাওয়াব ও রিয়ার এ্যাডমিরাল এমএইচ খানকে উপ-প্রধান করে সামরিক আইন প্রশাসক করা হয়। ১৯৭৬ সালের ১৯ নবেম্বর বিচারপতি সায়েম প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালে জিয়াউর রহমান এই দায়িত্ববার গ্রহণ করেন। অবশেষে ১৯৭৭ সালর ২১ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি সায়েম পদত্যাগ করলে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হন।
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে সংঘটিত এক ব্যর্থ সামরিক অভু্যত্থানে তিনি নিহত হন।

বিচারপতি আবদুস সাত্তার : ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমান নিহত হলে বিচারপতি আবদুস সাত্তার দেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৮১ সালে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এক সামরিক অভু্যত্থানে আবদুস সাত্তার মতাচু্যত হন।

বিচারপতি আহসান উদ্দিন চৌধুরী : ১৯৮২ সালে দেশে এক সামরিক অভু্যত্থান ঘটিয়ে সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে রাষ্ট্রীয় মতা গ্রহণ করেন। জেনারেল এরশাদ ২৭ মার্চ বিচারপতি আহসান উদ্দিন চৌধুরীকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে অভিষিক্ত করেন। ১৯৮৩ সালের ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি ওই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

জেনারেল এরশাদ : ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের অব্যবহিত পর থেকেই রাজনীতিতে এরশাদের আগ্রহ প্রকাশ পেতে থাকে। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে জেনারেল এরশাদ রাষ্ট্রমতা দখল করেন। ১৯৮৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে দেশ শাসন করেন।
এরপর তিনি রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আহসান উদ্দিন চৌধুরীকে অপসারণ করে ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
প্রবল গণঅভু্যত্থানের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমার এই সিরিজের শেষ পোষ্ট কাল দেব আশা করি আপনাকে এবং আপনার মূল্যবান মন্তব্য পাব সেখানেও।

৫৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৫৭

এস আর সজল বলেছেন: আমি তর্কের খাতিরে তর্ক করছি না। আমি আপনাকে লিঙ্ক দিতে পারবো না। তবে যে বইগুলা আমি পড়ছি সে বইগুলার নাম আমি দিতে পারি। যে কয়েকটা আমার সামনে আছে আর মনে আসছে সেগুলর নাম দিচ্ছিঃ
বাংলাদেশ ও রক্তের ঋণ, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু, পাকিস্তানের ভাঙ্গন, একাত্তরের ঢাকা, মুক্তিযুদ্ধ ও তারপর, একাত্তরের ডায়েরি, আমার একাত্তর, পূর্ব-পশ্চিম, মিডনাইট চিলড্রেন, দ্যা লিবারেশন অফ বাংলাদেশ, মাতাল হাওয়া, জোছনা ও জননীর গল্প, মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে, স্মৃতি শহর, বঙ্গবন্ধু হত্যার দলিলপত্র(অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, পড়া শেষ হয়নি), রক্তে ঝরা নভেম্বর, সশস্র বাহিনীতে গণহত্যাঃ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ (গতকাল শেষ করেছি। চরম একটা বই), মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ৭ই নভেম্বর(ড. আনোয়ার, তাহেরের ভাই। এবারের বই মেলার সংগ্রহ) আরও অনেক...... ও আচ্ছা হুমায়ূন স্যারের "দেয়াল", যেটা থেকে অনেক গুলা বইয়ের রেফারেঞ্চ পেয়ে ওই বইগুলা কিনে পড়া হয়েছে।

ভাই, দাদা ছিলেন ডাক্তার, বাপও ডাক্তার। দুইজনই মুক্তিযোদ্ধা। বাসায় আল্লাহর রহমতে বইয়ের অভাব নাই। পারিবারিক পাঠাগারে হাজার পাঁচেকের উপর বই আছে এবং আল্লাহর রহমতে সব গুলা বই অন্তত একবার করেও পড়া আছে। তর্কের খাতিরে তর্ক করার মত মনোভাব নিয়ে ব্লগে আসি না। ধন্যবাদ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আপনার পরিবারের প্রতি আমার লাল সালাম জানবেন। একদিন আপনার বাসায় আসব এসে কিছু বই নিয়ে পড়ব কি আসতে দেবেন ?

৫৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৫৯

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: মুজিব আমার অহংকার জিয়া আমার আদর্শ। জয় বাংলা। বাংলাদেশ চির জীবিহোক ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


জয় বাংলা।

৫৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০০

এম আর সুমন বলেছেন: জুন ১৫ / ১৯৮১ / আন্তর্জাতিক পাতা , নিউজউইক

কিছুটা অনুবাদ,
রিকশার গায়ে ঝোলানো ছিলো নিহত ব্যক্তিটির কালো বর্ডারের ছবি।
শোকার্ত কৃষকরা রোজা রেখেছিলো।
প্রায় ২০ লক্ষের মত ভারাক্রান্ত মানুষ ঢাকার রাস্তায় নেমে এসেছিলো দেশটির ২য় প্রেসিডেন্ট এবং দুর্ভাগ্য জর্জরিত জাতিটির আত্নসম্মান অর্জনের প্রতীক হয়ে ওঠা জিয়াউর রহমানের জন্য শোক জানাতে।
সেনাবিদ্রোহীদের হাতে জিয়াউর রহমানের মৃত্যু অনেকের কাছে দেশটির ভবিষ্যত ধূলিস্মাৎ হয়ে যাওয়ার মত......
" এখন উন্নতি থেমে যাবে , দেশ আবার দুর্দশার দিকে যাবে " এমনটাই বলছিলেন রেলওয়ের ৫০ বছর বয়সী করনীক তাজুল ইসলাম - "এখন আর কোন ভালো নেতা নেই"....
জিয়া ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিশীল নেতা যিনি অনাড়ম্বর জীবন যাপন পছন্দ করতেন যেখানে অন্যরা দুর্নীতি প্রিয় ছিল এবং বিরামহীনভাবে দেশটির অতি দারিদ্রের সমাধান খুঁজে বেড়িয়েছেন...
কথাগুলো @ াহোর কোনো বক্তব্যের সাথে কি মেলে? এরা কেন যে জিয়ার নাম শুনলেই ঘুম হারাম করে বসে থাকে কে জানে!

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আমিও রীতিমত অবাক হচ্ছি ভাই কি পোষ্ট দিলাম আর কি শুরু হল।

৫৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০০

াহো বলেছেন:

অবৈধ ৬ শাসক
১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট হইতে ১৯৭৯ সালের ৯ই এপ্রিল তারিখের (উভয় দিনসহ) মধ্যে প্রণীত সকল ফরমান, ফরমান আদেশ, সামরিক আইন প্রবিধান, সামরিক আইন আদেশ ও অন্যান্য আইন এবং উক্ত মেয়াদের মধ্যে অনুরূপ কোন ফরমান দ্বারা এই সংবিধানে যে সংশোধন, সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন ও বিলোপসাধন করা হইয়াছে তাহা এবং অনুরূপ কোন ফরমান, সামরিক আইন প্রবিধান, সামরিক আইন আদেশ বা অন্য কোন আইন হইতে আহরিত বা আহরিত বলিয়া বিবেচিত মতাবলে, অথবা অনুরূপ কোন মতা প্রয়োগ করিতে গিয়া বা অনুরূপ বিবেচনায় কোন আদালত, ট্রাইবু্যনাল বা কর্তৃপ কর্তৃক প্রণীত কোন আদেশ কিংবা প্রদত্ত কোন দণ্ডাদেশ কার্যকর বা পালন করিবার জন্য উক্ত মেয়াদের মধ্যে কোন ব্যক্তি বা কর্তৃপ কর্তৃক প্রণীত আদেশ, কৃত কাজকর্ম, গৃহীত ব্যবস্থা বা কার্যধারাসমূহ, অথবা প্রণীত, কৃত, বা গৃহীত বলিয়া বিবেচিত আদেশ, কাজকর্ম, ব্যবস্থা বা কার্যধারাসমূহ এতদ্দ্বারা অনুমোদিত ও সমর্থিত হইল এবং ঐ সকল আদেশ, কাজকর্ম, ব্যবস্থা বা কার্যধারাসমূহ বৈধভাবে প্রণীত, কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া ঘোষিত হইল এবং তৎসম্পর্কে কেন আদালত, ট্রাইবু্যনাল বা কর্তৃপরে নিকট কোন কারণেই কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।

খন্দকার মোশতাক আহমেদ : ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সামরিক বাহিনীর কিছুসংখ্যক সদস্যের হাতে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হলে খন্দকার মোশতাক আহমেদ নিজেকে দেশের রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। তিনি মোট ৮৩ দিন এ বিতর্কিত পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান 'জয় বাংলা'র পরিবর্তে 'বাংলাদেশ জিন্দাবাদ' চালু করেন এবং 'বাংলাদেশ বেতার'-এর নামকরণ করেন রেডিও বাংলাদেশ। তার সময়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামান নির্মমভাবে নিহত হন। ১৯৭৫ সালের ৬ নবেম্বর তিনি মতাচু্যত হন।

বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম : ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সামরিক বাহিনীর কতিপয় সদস্যের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃতু্য এবং নবেম্বর মাসে পরবতর্ী প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাকের উৎখাতের পর ১৯৭৫ সালের ৬ নবেম্বর বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণের পরই তিনি সংসদ ও মন্ত্রিপরিষদ ভেঙ্গে দিয়ে সারাদেশে সামরিক আইন জারি করেন এবং নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ঘোষণা করেন। ১৯৭৬ সালের ২৯ নবেম্বর তিনি প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করেন। ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল তিনি সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের হাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব দিয়ে অবসর গ্রহণ করেন।

মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান : ১৯৭৫ সালের ৭ নবেম্বর জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ঘোষণা করা হয়। অধিকন্তু ওইদিন সেনাসদরে এক বৈঠকে অন্তর্বতর্ীকালীন সরকার পরিচালনার জন্য একটি প্রশাসনিক কাঠামো গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সায়েমকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এবং তিন বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান এয়ার ভাইস মার্শাল এমজি তাওয়াব ও রিয়ার এ্যাডমিরাল এমএইচ খানকে উপ-প্রধান করে সামরিক আইন প্রশাসক করা হয়। ১৯৭৬ সালের ১৯ নবেম্বর বিচারপতি সায়েম প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালে জিয়াউর রহমান এই দায়িত্ববার গ্রহণ করেন। অবশেষে ১৯৭৭ সালর ২১ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি সায়েম পদত্যাগ করলে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হন।
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে সংঘটিত এক ব্যর্থ সামরিক অভু্যত্থানে তিনি নিহত হন।

বিচারপতি আবদুস সাত্তার : ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমান নিহত হলে বিচারপতি আবদুস সাত্তার দেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৮১ সালে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এক সামরিক অভু্যত্থানে আবদুস সাত্তার মতাচু্যত হন।

বিচারপতি আহসান উদ্দিন চৌধুরী : ১৯৮২ সালে দেশে এক সামরিক অভু্যত্থান ঘটিয়ে সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে রাষ্ট্রীয় মতা গ্রহণ করেন। জেনারেল এরশাদ ২৭ মার্চ বিচারপতি আহসান উদ্দিন চৌধুরীকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে অভিষিক্ত করেন। ১৯৮৩ সালের ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি ওই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

জেনারেল এরশাদ : ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের অব্যবহিত পর থেকেই রাজনীতিতে এরশাদের আগ্রহ প্রকাশ পেতে থাকে। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে জেনারেল এরশাদ রাষ্ট্রমতা দখল করেন। ১৯৮৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে দেশ শাসন করেন।
এরপর তিনি রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আহসান উদ্দিন চৌধুরীকে অপসারণ করে ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
প্রবল গণঅভু্যত্থানের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাই আমি আমার এই সিরিজের শেষ পর্ব কাল পোষ্ট দিব আশা করি সেখানে আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্য দিয়ে আমাকে ধন্য করবেন। আপনার মন্তব্য আমাকে ভীষণ অনুপ্রাণিত করছে। ধন্যবাদ ভাই।

৬০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০৯

এম আর সুমন বলেছেন: @ াহো , জিয়ার নামে উল্টাপাল্টা কমেন্ট দিয়ে কোনো লাভ নাই।
খুব সহজ কথায় বুঝি, মুজিব বাকশাল করেছিলেন, আর জিয়া সেটা বন্ধ করে দেশকে গনতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন। আপনি এখন যাই বলেন, প্রত্যেকটাই দীর্ঘ বিতর্কের বিষয়। যেমন তাহের নিয়া, সেনাবাহিনী নিয়া কতক্ষন কচলাইলেন। ভাই সেনাবাহিনীকে আপনি জিয়ার চাইতে বেশি ভালবাসেন না। তিনিই ভাল বুঝেছেন যে সেই সময়ে সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য যা যা করার দরকার তাই তাই করেছেন। আর জেনে রাখেন , জিয়ার মত একজন রাষ্ট্রপতি এই দেশে আরো শত শত বার আমরা চাই। আমরা কোনো চোরের দল , চাটার দল দেখতে চাই না।
জিয়ার সবথেকে বড় গুন ছিল , তিনি ছিলেন সততার এক পরাকাষ্ঠা। এটাই তার এত জনপ্রিয়তার কারন। এগুলো আপনাদের মাথায় ঢুকবে না।
ঢুকলে তো তর্ক না করে এতক্ষনে আবেগ নিয়ে গাইতেন, প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, জীবন বাংলাদেশ আমার মরন বাংলাদেশ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:২৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, জীবন বাংলাদেশ আমার মরন বাংলাদেশ। উফ ভাই কি মনে করিয়ে দিলেন। !!!!!!!!!!

৬১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১১

এস আর সজল বলেছেন: @বাংলাদেশী দালালঃ আমি কর্নেল তাহেরের ব্যাপারে বলেছি। উনি যেভাবে লিখেছেন তাতে পড়লে মনে হতে পারে তাহের নেগেটিভ চরিত্র ছিল। তাই বলেছি।

তাহের যদি না থাকতো তাহলে "সিপাহী সিপাহী ভাই ভাই, হাবিলদারের উপর অফিসার নাই, অফিসারদের রক্ত চাই" শ্লোগানও হত না আর জিয়া মুক্তিও পেত না। আমার একটাই প্রশ্ন "একটা মানুষ কি পরিমাণ ক্ষমতা লোভী না হলে নিজের উদ্ধারকর্তা এবং সবচে ভালো বন্ধুকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসি দিতে পারে????"

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৩৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাই আবারো পোষ্ট টি পুনরায় পাঠের জন্য অনুরোধ করছি আর যদি চান তবে অপেক্ষা করুন আমি হয়ত কখনো কর্নেল তাহের নিয়ে পোষ্ট দিতে পারি। আর এটা উনার উপর নিয়ে লেখা কোন পোষ্ট নয় এখানে শুধু জিয়ার কিছু অংশ তুলে ধরা হয়েছে তাই আপনার উদবিগ্ন হবার কোন কারন দেখছি না।

৬২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১২

অন্যসময় ঢাবি বলেছেন: A historian must be neutral..you are biased and revealed your weakness to major Jia.anyway i also appreciate him. Overall the post and comments are a massive source of history which is somewhat exaggerated in many history books. Thank you

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৩৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আমি আমার জাতির পিতা এবং রাষ্ট্রপতি মেজর জিয়া এই দুই আদর্শকে বুকে লালন করি যদি এতে কারো আপত্তি থাকে তবে আমার কোন আফসোস নেই। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।

৬৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১৩

আমিনুর রহমান বলেছেন: চমৎকার ও গোছানো পোষ্ট।


আপনার কাছে এমন একটি পোষ্ট আশা করছিলাম। স্বাধীনতার মাস মার্চ একের পর ধারাবাহিকভাবে ৭১ এর ইতিহাস যেভাবে তুলে ধরছেন সকলের সামনে তা জন্য আপনাকে স্যালুট। আমরা ৭১ দেখি নাই তাই কিছু ভুল ত্রুটি থাকতেই পারে।



@াহো

আপনার একটা লিঙ্কে দেখলাম মেজর জিয়া তার ঘোষনায় নিজেকে অস্থায়ী রাস্ট্রপ্রধান হিসেবেও নাকি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ঘোষনা করেছে। আপনার লিঙ্কে তো মিথ্যা কয় দেহি:P


যারা বঙ্গবন্ধু ও জিয়াকে নিয়ে কারনে ও অকারনে তর্ক করেন তাদের জন্য বলি তাদের নিয়ে হাজার রকমের কথা তৈরি করেছে আর ইতিহাস বিকৃত করে আমাদের প্রধান দুই দল নিজেদের সুবিধার্থে। আর তাদের যারা ভুল প্রমান এর চেষ্টা লিপ্ত তাদের আমার দল কানা ছাড়া আর কিছু বলার নাই।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সহমত আমিও ৭১ কিংবা তারপরের ৭১ থেকে ৭৭ দেখি নাই তাই কিছু ভুল ত্রুটি থাকতেই পারে যা পোস্টে লিখেছি সবই ইতিহাস ভিত্তিক রেফারেন্স থেকে সরাসরি তুলে দেয়া।


ধন্যবাদ ভাইয়া আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৬৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১৫

এস আর সজল বলেছেন: @লেখকঃ আমার বাসা নারায়ণগঞ্জ, আমরা তিন ভাই ঢাকা থাকি। দাওয়াত রইল। বাপদাদার বইয়ের সংগ্রহ দেখিয়ে দিব নে আর মায়ের হাতের আচার খাইয়ে দিব নে। দুইটার একটাও ইনশাল্লাহ ভুলবেন না......

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৪১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




ভাইরে ভাল লাগল আপনার বাপদাদার বইয়ের সংগ্রহের কথা শুনে এখন ভীষণ লোভ হচ্ছে আর আমি আচার পছন্দ করি না ধন্যবাদ।

৬৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১৬

াহো বলেছেন: রাষ্ট্রপতি পদ ছিনতাইয়ের পর জিয়াউর রহমান তার প্রতি সমর্থন দেখানোর জন্য প্রহসনের গণভোট করেন। সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পীড়াপীড়ি সত্ত্বেও গণভোটে শতকরা ৫ ভাগ ভোটারও উপস্থিত হননি। অথচ রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যমে বলা হলো গণভোটে শতকরা ৯৮ ভাগ লোক জিয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। এভাবেই স্বৈরশাসক জিয়া দেশে ভোট জালিয়াতির সংস্কৃতি চালু করেন। প্রকৃতপক্ষে সামরিক শাসনের মধ্যেও তথাকথিত গণভোটে শতকরা ৫ ভাগ ভোটার উপস্থিত না হয়ে জোরপূর্বক ক্ষমতা দখলকারী জেনারেল জিয়াকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এরপর ১৯৭৮ সালের ৩ জুন সেনাপ্রধানসহ সব লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থেকেই জিয়া রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেন। অর্থাৎ জেনারেল জিয়া রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী হিসেবে ছিলেন সম্পূর্ণ অবৈধ। এরপর জেনারেল জিয়া ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক দল বিএনপি গঠন করেন। দল গঠনের মাত্র ৫ মাস পর ১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ৩০০ আসনের মধ্যে ২ শতাধিক আসন লাভ করে। নির্বাচনের পর স্বাধীনতার প্রত্যক্ষ বিরোধী শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী এবং আরও কয়েকজন রাজাকার দালালকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন জিয়াউর রহমান।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৪৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

বাহ কি দারুন ইতিহাস !!!

৬৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১৭

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: @এস আর সজল, আপনার সাথে একমত।
আমি শুধু আপনার "সম্মান দিতে শিখুন" এই কথাটার বিপক্ষে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৪৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ধন্যবাদ।

৬৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১৮

এম আর সুমন বলেছেন: জিয়াউর রহমানের যারা চরিত্র হননের চেষ্টা করে, আমার ধারনা তারা কেউ এদেশের নয়, দাদাদের ঘরে জন্ম নেয়া নোংরা বিষ্ঠাবিশেষ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৪৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ধন্যবাদ।

৬৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:২১

এম আর সুমন বলেছেন: লেখক ভাই, প্লিজ াহো কে ব্লক করেন। এই লোক এখন ফালতু এই পোষ্টের ডিষ্টার্ব করছে। প্লিজ ভাই। আপনার এই পোষ্টটি একটি যুগোপযোগী পোষ্ট হয়েছে। এটা অনেকেই সাজিয়ে রাখবে। রেফারেন্স হিসেবে কাজে লাগাবে। আমরা চাই না এই লোকটির রাজনৈতিক ভুল ইতিহাসগুলোও এই পোষ্টের সাথে জড়িত থাক।
ভাই যে কোনো কিছুর তো একটা লিমিট থাকে। এই লোক যথেষ্ট উল্টাপাল্টা বলেছে।আমরা কেউ তাকে সেভাবে গালি দেই নি। এখন প্লিজ আপনার পোষ্টের স্বার্থে ব্লক মারেন।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৪৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




ভাই ব্লক করে দেয়া কি প্রকৃত সমাধান। আপনারা যুক্তির পেছনে যুক্তি দিচ্ছেন তাই আমার অনেক কিছু জানা হচ্ছে ভালই লাগছে। অনেকেই আমরা অনেক কিছু জানিনা তাই অন্তত এই পোস্টের খাতিরে কিছু জানা হচ্ছে খারাপ কি ।

৬৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:২১

এস আর সজল বলেছেন: এটা পড়ে দেখতে পারেন।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৪৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


দেখব সময় করে। ধন্যবাদ।

৭০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:২৫

আমিনুর রহমান বলেছেন: এস আর সজল বলেছেন: ভাই, দাদা ছিলেন ডাক্তার, বাপও ডাক্তার। দুইজনই মুক্তিযোদ্ধা। বাসায় আল্লাহর রহমতে বইয়ের অভাব নাই। পারিবারিক পাঠাগারে হাজার পাঁচেকের উপর বই আছে এবং আল্লাহর রহমতে সব গুলা বই অন্তত একবার করেও পড়া আছে। তর্কের খাতিরে তর্ক করার মত মনোভাব নিয়ে ব্লগে আসি না। ধন্যবাদ।

@এস আর সজল, লেখক নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, একজন বীরাঙ্গনার ভাতিজা।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৪৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাই থাক না। কিছু বিষয় অজানা। আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সেটা ভাঙ্গিয়ে খেতে চাই না। আমার গর্ব আমার বুকের ভেতরই থাক।

৭১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৩১

এস আর সজল বলেছেন: @আমিনুর রহমান আমি "একজন বীরাঙ্গনার ভাতিজা" না, আমি এদেশের প্রত্যেক বীরাঙ্গনার সন্তান শুধু এক বেঈমানের বাদে। কারো কোন সমস্যা???????

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৫০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সেটা ভাঙ্গিয়ে খেতে চাই না। আমার গর্ব আমার বুকের ভেতরই থাক।

৭২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৩২

এস আর সজল বলেছেন: এখানে আরও অনেক কিছু জানতে পারবেন।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সময় নিয়ে পড়ব পরে।

৭৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৩৪

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
মেজর জিয়া
১।দেশ প্রেমিক ছিলেন।
২।বীর মুক্তি যোদ্ধা ছিলেন।
৩।শত রাষ্ট্র নায়ক ছিলেন।
৪।আন্তর্জাতিক মহলে সুনাম কুড়িয়েছেন।
৪।মৃত্যুর পর তার কোন সম্পদের হদিস পাওয়া যায়নি।

একজন আদর্শ নেতা হতে আর কি কি গুনা বলি প্রয়োজন?

বাকি যে সকল ভুল আমাদের সাধারণের চোখে ধরা পরে আমি তা আমার জ্ঞানের অজ্ঞতা হিসেবেই মেনে নিতে চাই।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



বাকি যে সকল ভুল আমাদের সাধারণের চোখে ধরা পরে আমি তা আমার জ্ঞানের অজ্ঞতা হিসেবেই মেনে নিতে চাই।

৭৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৪৮

আমিনুর রহমান বলেছেন: এস আর সজল বলেছেন: @আমিনুর রহমান আমি "একজন বীরাঙ্গনার ভাতিজা" না, আমি এদেশের প্রত্যেক বীরাঙ্গনার সন্তান শুধু এক বেঈমানের বাদে। কারো কোন সমস্যা???????

আপনি রেগে গেলেন মনে হয়????? সরি ভাই নিজেকে জাহির কইরেন না এত। ৭১ এ ৯০% মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ছিলো। আমার বাবা মা কি ছিলো না ভেবে আপনি কি সেটা নিজের আইডেন্টিটি মনে করেন সবসময় কোটা খুইজেন না। আঙ্কেলকে আর দাদাকে আমার সালাম জানাবেন।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



সহমত।

৭৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:০৫

এস আর সজল বলেছেন: আমি নিজেকে জাহির করছি না। বাপ-দাদা মুক্তিযোদ্ধা তা নিয়ে আমি বড়াই করি না। ভাইয়া গ্রাজুয়েশন করে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কাজ করে, আমি একটা পাবলিক ভার্সিটিতে পড়ি আর ছোট ভাই ঢাকার সেরা একটা কলেজে পড়ে, আল্লাহর রহমতে এতটুকু করতে পেরেছি। ওই কোটা-ফোটায় আগ্রহ ছিলও না আর ইনশাল্লাহ কোন দিন চাবোও না। দেশের প্রয়োজনে উনারা লড়াই করেছেন, এখন তাদের উত্তরসুরি হিসাবে সেই লড়াইয়ের মানকে সমুন্নত রাখার চেষ্টা করছি মাত্র।
আর আমি রেগে যাই নি। প্রশ্নের জবাব দিয়েছি মাত্র।

আমার গর্ব আমার বুকেই থাকবে, কিন্তু যখন আমার গর্ব নিয়ে কেউ মিথ্যাচার করবে, ভুল বলবে আর নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থে ব্যাবহার করতে চেষ্টা করবে আমি প্রতিবাদ করবই।

আর লেখক আপনার জন্য আরও কিছু লিঙ্ক। আপনি চেয়েছিলেন কিনা......
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমাদের বড় সমস্যা বোধ হয় একটাই যে আমরা এঁকে অপরকে চিনতে বা বুঝতে ভুল করি। যাই হোক আমি আমার বুকের মাঝে আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসকে লালন করি এবং যতটা আমি দেশ নিয়ে ভাবি ততটাই দেখছি আপনিও ভাবেন তবে আমি কোন বিশেষ দল করিনা আর মন থেকে ঘৃণা করি রাজাকার তবে আপনার একটু বোঝার ভুল রয়েছে যে আমি কিন্তু পোস্টে দেখুন বঙ্গবন্ধুর কথাই বলেছি যে ভাষণটি ছিল উনার নামে। আপনি হয়ত পোষ্ট ঠিক মতন বুঝতে পারেন নি সেই সাথে বলেছি জিয়ার আদর্শের কথা। আমাদের এই দুজনকেই ভুললে চলবে না দুজনের অবদানের দিক থেকে কারন নিশ্চয় আমরা বেঈমান নই যেমনটা আজ তাঁদের উত্তরসূরিরা।

৭৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:১৪

আমিনুর রহমান বলেছেন: @এস আর সজল আমি কিন্তু আপনাকে জানাতে চেয়েছিলাম শুধু লেখক এর বাবা আর ফুপুর কথা। আমি আপনাকে প্রশ্ন করিনি। তাও যদি হার্ট করে থাকি সরি।

তবে সবাই আমরা একটা জিনিস সহজ জিনিসকে গোলা করছি তা হলো জিয়ার ঘোষনায় বলা আছে শেখ মুজিবর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি তারপর ও !!!!!!!!!!!

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অনেকেই হয়ত পোষ্ট না পড়েই ঝাপিয়ে পরেছে নিজের দেশ প্রেম জাহির করতে আর এটাই আমাদের বড় সমস্যা গোঁড়ামি।

৭৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:২৬

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
''তুমি বঙ্গবন্ধুর রক্তে আগুন ধরা জ্বালাময়ী সে ভাষন
তুমি ধানের শীষে লেগে থাকা শহীদ জিয়ার স্বপন

আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি
প্রাণের প্রিয় মা তোকে বড় বেশী ভালবাসি''

চমৎকার পোষ্টে +++++++++

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


তুমি বঙ্গবন্ধুর রক্তে আগুন ধরা জ্বালাময়ী সে ভাষন
তুমি ধানের শীষে লেগে থাকা শহীদ জিয়ার স্বপন

৭৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:২৯

এস আর সজল বলেছেন: জিয়ার ঘোষনায় বলা আছে শেখ মুজিবর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি এই কথাটাই তো অনেকে স্বীকার করতে চায় না, এরপরেরগুলা না হয় বাদই দিলাম।

@আমিনুর রহমানঃ দুঃখিত ভাই। তাড়াহুড়ায় বুঝতে পারি নি ব্যাপারটা। একা একা সব কিছু করতে হয় তো, সামুতে আমি আবার কোন পেইড গ্রুপের সদস্য না তো। যা কিছু করতে হচ্ছে সবই নিজের থেকে। ডাটা কালেকশন থেকে authentication সব কিছুই। কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী। by the way, আপনারা কি পরিচিত(লেখক আর আপনি)????

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


দ্দয়া করে তাড়াহুড়া করবেন না কিছু বলতে হলে আগে নিশ্চিত হয়ে বলুন লেখক সম্পর্কে। আর আমিও নিশ্চয় সামুতে আবার কোন পেইড গ্রুপের সদস্য না। তাই আমারও যা কিছু করতে হচ্ছে সবই নিজের থেকে। ডাটা কালেকশন থেকে authentication সব কিছুই। কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী।

তবে ভাই প্রত্যকের ভাল কাজগুলোকে এবং মন্দ দিকগুলোকে স্বীকার করতে সমস্যা কোথায় আমি বুঝিনা কারন না হলে সেটা গোঁড়ামি হয়ে যাবে আর একজন প্রকৃত দেশ প্রেমী কখনো গোঁড়ামি করবেনা বা বিশেষ কারো পক্ষপাতিত্ত করবেনা এটাই কাম্য। আসুন সবাই মিলে দেশটাকে ভালোবাসি নিরপেক্ষ ভাবে। তবে এখানে ছাগু ব্যতীত হবে কারন উহারা দেশের শত্রু।

৭৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৪৬

বিপ্লব06 বলেছেন: অসাধারন পোস্ট। পোস্টে প্লাস +++++++

এস আর সজল আর াহো আপনার পোস্ট নোংরা করতে এসেছে। এরা মানুষ না, এরা মাল্টি। আশা করছি, এদের কমেন্টগুলো মুছে দিয়ে আপনার পোস্টকে পরিস্কার করবেন। কমেন্টগুলো রিপোর্ট করলাম।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাইরে আমি এইসব মাল্টি বাজী বুঝিনা আমি শুধু বুঝি শুদ্ধ ব্লগিং এবং নিরপেক্ষতা। প্রথমে খুব মন খারাপ হয়েছিল কিন্তু এখন আর তেমন মনে হচ্ছেনা কারন প্রত্যেকের তার মত দেয়ার অধিকার রয়েছে তবে সেটা গালাগালি না করে অযথা ত্যানা না পেঁচিয়ে আর যারা এই কাজটি করছে ওরা নিরপেক্ষ নয় ওদের বোধের অভাব রয়েছে বলেই আমি মনে করি আর এমন মানুষের সাথে আর যাই হোক রাগ করা চলেনা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত ডান করুক আমিন।

৮০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:২৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: দৈনিক কপি পেষ্ট দেখি সুচারু রুপে তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।


আপনাকে একটা কথা বলি: দুধ ও ভাতের সাথে কলা মাখিয়ে বসে আছেন কখন আপনার সন্তান খেতে বসবে। সেই সময় যদি নিজের প্রীয় কুত্তাটা সেই দুধ ভাতে মুখ দেয় তবে সেটা আর নিজের সন্তানেকে খাওয়ানোর উপযোগী থাকে না। সেই এই কারনে না যে তাতে কু্ত্তা মুখ দিয়েছে; সেটা এই করনে যে কুত্তার মুখে যে লালা থাকে তা বিষাক্ত।

ঐ বিষাক্ত লালা দুধ ভাতের সাথে মিশে গিয়ে আপনার সন্তানের প্রাণ সংহার করতে পারে।

সুতরাং নিজের সন্তানের জীবন রক্ষার্থে আপনাকে কুকুরকে সেই দুধ ভাতের প্লেট থেকে সরিয়ে রাখতে হবে যে কোন ভাবেই।


অনকে কষ্ট করে দারুন সুন্দর একটা পোষ্ট দেবার জন্য অনেক ধন্যনাদ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


চরম সত্য কথা বলেছেন ভাই তবে আমি মনে করি যে যে কারনে আমি আমার সন্তানকে মুখে খাবার তুলে দিতে পারলাম না সেটা যেন লোকে জানতে পারে অন্যথায় পরে আবার আমাকে ভুল বুঝতে পারে যে আমি ইচ্ছে করেই খাবার দেই নি হয়ত তাই সব কিছুই যত্ন করে রেখে দেয়া উচিৎ বলেই আমি মনে করি।

৮১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৩৯

ঘুমকাতুর বলেছেন: পোষ্ট + সহ প্রিয়তে :)

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমার সৌভাগ্য ভাই।

৮২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৪০

বুনো বলেছেন: আপনি ভুল সময়ে পোস্ট দেননি, এটা হচ্ছে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গীর ব্যাপার। আপনি নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন জাতীয়তাবাদী ব্লগাররা এই সুন্দর কাজটির জন্য আপনার ছোট করে ধন্যবাদ দিয়ে মন্তব্য শেষ করছে। অনেক আওয়ামী লীগও তাই করেছে। বুদ্ধিমানরা কোন ধরণের তর্ক করে পোস্টটি নষ্ট করতে চাচ্ছে না, কারণ আপনি নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোন থেকেই লিখেছেন।

যারা কথা বেশী বলছে, তাদের আবেগটা খুব বেশী কিন্তু জ্ঞান কম। তারা শুধু কর্নেল তাহেরকে নিয়েই দাসত্বের বিস্তারিত পোস্ট থাকলেও সেখানে যাবেনা। এখানে পড়ে পড়ে গপ্পোবাজি করবে শুধু। /:)

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সেটা আমিও এখন বুঝতে পারছি। তবে আপনি খুব সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন বুনো আমাদের সমস্যা এখানেই কান নিয়ে গেছে চিলে আর না বুঝেই চিলের পেছনে ছুটতে হবে। ওখানে যাবে কি করে গেলেই যে কুলিয়ে উঠতে পারবেনা পারবে শুধু আমার মত নিরীহের সাথে। এমনটাই যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে নিরীহ মানুষ কষ্ট পায়।

৮৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৫৬

াহো বলেছেন:






















২৭ মার্চ ১৯৭১ প্রকাশিত কলকাতার ইংরেজি দৈনিক অমৃতবাজার পত্রিকায় বাংলাদেশের ঘটনাবলী নিয়ে প্রতিবেদন


ওয়ারলেস অপারেটর মাহতাব উদ্দীন
২৫ মার্চের সে রাতে একটা দশের দিকে চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদী অফিসের টেলিপ্রিন্টারে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার টেলেক্সটি পান অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ। একই মেসেজ রাত সোয়া বারোটায় ফৌজদারহাট ওয়ারলেস অফিসে রিসিভ করেন সুপারভাইজার নুরুল আমিন। মেসেজটি পাঠানো হয়েছিলো মগবাজার ওয়ারলেস অফিস থেকে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে তা পাঠিয়ে দেন নন্দনকানন ওয়ারলেস অফিসে ডিউটিতে থাকা অপারেটর মাহতাব উদ্দীনের কাছে। তার কাছ থেকেই আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহমেদসহ বাকিরা মেসেজটির অনুলিপি সংগ্রহ করেন এবং শহরে মাইকিং করে ছড়িয়ে দেন। সেদিন রাত থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত মেসেজটি কপি করা ও দেশের বাকি জেলাগুলোর ওয়ারলেস অফিসগুলোতে পাঠানোর দায়িত্বটি পালন করেন মাহতাব। ১৯টি ডিস্ট্রিক্ট ওয়ারলেস অফিসে মেসেজটি পাঠানোর আগ পর্যন্ত এক গ্লাস পানি পর্যন্ত মুখে তুলেননি তিনি। স্বাধীনতার পর মূল্যায়িত হননি এমন লাখো স্বাধীনতা সংগ্রামীর মধ্যে মাহতাবও একজন। তার সঙ্গে স্যালুট মেজবাহউদ্দিন আহমেদকে যিনি মগবাজার থেকে মূল মেসেজটি ট্রান্সমিট করেছিলেন।


নিউজউইকের সেই বিখ্যাত প্রতিবেদন যাতে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার কথা উল্লেখ করা হয়েছে শুরুতেই এবং তার নেতৃত্বগুণের প্রশংসা করা হয়েছে অকুন্ঠচিত্তেই


মগবাজার ভিএইচএফ ওয়ারল্যাস স্টেশন থেকে ২৬ মার্চ ভোরে সমগ্র বাংলাদেশের ওয়ারল্যাস ও এর রিপিটার স্টেশনে প্রেরিত স্বাধীনতা ঘোষণার বার্তা। গ্রেফতার হওয়ার আগেই বঙ্গবন্ধু টিএন্ডটি বিভাগের টেলিগ্রাফ ও ওয়ারল্যাস স্টেশনে তা পৌছানোর ব্যবস্থা করেন।


চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা এমএ হান্নান। ২৬ মার্চ দুপুর পৌনে দুটায় কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন তিনি

২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা পূর্ণতা দিয়েছিলেন টিএন্ডটির এই দুঃসাহসী কর্মচারীরা

বঙ্গবন্ধুর নামে এভাবেই প্রচারিত হয়েছিলো টেলিগ্রামটি

১৯৭২ সালে স্বাধীনতাঘোষণার টেলিগ্রামের একটি কপি সত্যায়িত করেন বঙ্গবন্ধু সঙ্গে ওয়ারল্যাসের স্টাফরা।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ধন্যবাদ।

৮৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:১২

একজন নিশাচর বলেছেন: ভাই, +++ দিয়া গেলাম গা। কিছু বলার নাই।
আবারো সেই ক্যাচাল দেখতেছি। :'(

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


হুম শুধুই ক্যাচাল।

৮৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:১৫

শিপু ভাই বলেছেন:
উপরে রাহো ভাইয়ের মন্তব্যের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

আমিও জানি যে, জিয়াউর রহমান ২৭শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষনা পাঠ করেন।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাই আপনি আমার পোস্টের স্বাধীনতা ঘোষণা পাঠের অংশটুকু আরেকবার কষ্ট করে পড়ে দেখুন প্লিজ যে কোথায় আপনার মতের সাথে বিরোধিতা রয়েছে। আমি কি কোথাও বলেছি যে উনি ২৭ তারিখ ঘোষণা বঙ্গবন্ধুর নামে পাঠ করেন নাই। আমি খুব অবাক হচ্ছি পোস্টের এমন পাঠে এবং কিছু মন্তব্যে। ভাই আমি ভণ্ডামি দেখতারিনা যতটা জানি আপনিও তাই। ভুল কে ভুল আর ভাল কে ভাল বলতে সমস্যা কোথায় বলবেন কি ? আমি নিরপেক্ষ জবাব চাই।

৮৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:১৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: @এস আর সজল নামক এক জ্ঞানের সাগর প্রশ্ন করেছেন

৬. কর্নেল ফারুককে কেন তিনি বাংলাদেশে সসম্মানে এনে দেশ থেকে সসম্মানে বিদায় করলেন অথচ তার অনুসারিদের ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলেন?



আমি সেই জ্ঞানের সাগরকে জিজ্ঞেস করতে চাই তার বাপ ও দাদার লাইব্রেী ওফ কংগ্রেসের ৫০০০ বইয়ের সংগ্রহশালার মধ্যে কি Anthony Mascarenhas-এর লেখা Bangladesh : A legacy of blood বইটি নাই নাকি???

তাকে সেই বইয়ের ১২ তম অধ্যায়ের ১৩৭ নম্বর থেকে ১৪৪ নম্বর পৃষ্ঠা পর্যন্ত পড়ে দেখতে বলব।

যদি না থাকে তবে এই লিন্কে Bangladesh : A legacy of blood গিয়ে সেটা ডাইনলোড করে নিয়ে পড়ার জন্য বলব। যাতে করে দালালী করতে গিয়ে সাধারন মানুষের দ্বারা তার সম্মার গনধর্ষিত না হয়।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

চমৎকার।

৮৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৫৯

বাংলার হাসান বলেছেন: @এস আর সজল ভাই এই পোষ্ট দেখেই কান্না শুরু করে দিলে কি চলবে? ১৮ই ফেব্রুয়ারী ও ২২/২৩শে মার্চ ১৯৭১ এর এই তিন দিনে ইতিহাস তুলে ধরলে আপনাদের আল্লাহ’মাবুদ জানে কি অবস্থা সৃষ্টি হবে। তবে সকল দলের সমর্থকদের জন্য একটিু ঝাঁকি আসতেছে খুব দ্রুত। মাত্র এক পর্ব দিছি দেখতে পারেন, Click This Link

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




ভাইরে কিছু বলার নাই আমার আর।

৮৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:০৬

ফারজানা শিরিন বলেছেন: I will make politics difficult for the politicians.

আমার ভাগ্য হয়নাই এমন মানুষকে বেঁচে থাকতে দেখার । আফসোস ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আমিও সেই হতভাগ্যের একজন যে আপু।

৮৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:০৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: @এস আর সজল নামক এক জ্ঞানের সাগর কে পড়ে দেখতে বলতেছি এখানে কি লিখা আছে


২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

প্রিয়তে রইল।

৯০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:০৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

প্রিয়তে রইল।

৯১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:১০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

প্রিয়তে রইল।

৯২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:১০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

প্রিয়তে রইল।

৯৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:১০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


প্রিয়তে রইল।

৯৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:১১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

প্রিয়তে রইল।

৯৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:১১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

প্রিয়তে রইল।

৯৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:১২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

প্রিয়তে রইল।

৯৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:২৩

দাসত্ব বলেছেন: @ এম আর সুমন : আপনার উচিত ছিলো - যেই ডকুমেন্টস গুলো আপনি ১০৮ নাম্বার মন্তব্যে আপলোড করেছেন সেগুলোর মূল উৎস উল্লেখ করা , ডকুমেন্টস গুলো কার সংগ্রহ সেগুলো অ্যাকোনলেজ করা।

এটা বলবেন না যে - আপনার মনে ছিলোনা।
আমার যেই পোস্টটা থেকে যেই ডকগুলা সংগ্রহ করা হয়েছে সেই পোস্টটার একদম শেষে এটা পরিষ্কারভাবে লিখে দেয়া ছিলো -

ব্লগটির সকল তথ্য , উপাত্ত এবং সংযুক্ত ডকুমেন্ট লেখকের নিজস্ব সংগ্রহ এবং পুরোপুরিভাবে সত্ত্বাধীন......


এরআগেও - ব্লগে / ফেসবুকে একই ধরনের আচরন করতে দেখেছি অনেককে।

যতই অজুহাত দেখান না কেন - আমি খুব ভালো করেই জানি - সম্পূর্ন ইচ্ছাকৃতভাবে মূল সূত্র উল্লেখ করা হয়না কিংবা মূল সংগ্রাহককে অ্যাকোনলেজ করা হয়না।


২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এই প্রথম আপনাকে আমার ব্লগে পেলাম ভাইয়া, আমার ব্লগে স্বাগতম।


স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা রইল।

আমাকে মুক্তিযোদ্ধা হবার ব্যাঞ্জনা দেয়া হয়েছে; তবু চিত্তে তুমি আছো আজো হে মহান নেতা।

৯৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৪৫

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: মেজর জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাই। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। তার অবদান বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাসের অংশ।
কান্ডারি ভাই ত্যসমমৃদ্ধ একটি পোস্টের জন্যে ধন্যবাদ।

তবে,
১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বরে এরকম একটি কর্মশালা উদ্বোধনকালে তিনি দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন,

“কোন রাজনৈতিক আদর্শ ধর্মকে ভিত্তি করে হতে পারে না। একটা অবদান থাকতে পারে। কিন্তু ধর্মকে কেন্দ্র করে কখনওই রাজনীতি করা যেতে পারে না। অতীতে আমাদের অভিজ্ঞতা হয়েছে যে ধর্মকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান সময়ে যখনই রাজনীতি করা হয়েছিল সেটা বিফল হয়েছে। কারণ ধর্ম ধর্মই। আমাদের অনেকে আছে যারা আমাদের দেশে যে বিভিন্ন ধর্ম রয়েছে, সেগুলোকে কেন্দ্র করে রাজনীতির পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেষ্টা করেন। রাজনীতির রূপরেখা বানাতে চেষ্টা করেন, আমরা বারবার দেখেছি তারা বিফল হয়েছে। ধর্মের অবদান থাকতে পারে রাজনীতিতে, কিন্তু রাজনৈতিক দল ধর্মকে কেন্দ্র করে হতে পারে না। এটা মনে রাখবেন, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ”


তার এই কথা তিনি পরবর্তীতে রক্ষা করতে পারেন নাই।
১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু সরকার আরো ৩৮ জনের সাথে গোলাম আযমের নাগরিকত্ত ও বাতিল করে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে জিয়াউর রহমানের আনুকূল্যে ১৯৭৮ সালে গোলাম আযম পাকিস্তানি সার্টিফিকেট নিয়ে দেশে ফিরে আসে।মায়ের অসুস্থতার কথা বলে আসে কিন্তু কোন ভিসা ছাড়াই বাংলাদেশে বাস করতে থাকে যে দেশকে স্বীকিৃতি না দিতে সে সৌদি রাজার কাছে সাতবার আবেদন করেছিল। ১৯৯৪ সালে বিএনপি সরকারের সময় আদালতের রায়ে সে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব লাভ করে।

এই পদক্ষেপ বাংলদেশে জামাতে ইসলামির মতো ধর্ম
ভিত্তিক দলকে পশ্রয় দিয়েছে।


তাঁর বিতর্কিতও ভুমিকা আছে।

তবে সব ছাপিয়ে তিনি বাংলাদশের ইতিহাসের অংশ। তকে শ্রদ্ধা জানাই।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ভুল ত্রুটি ছাড়া আমরা কেউ না তবে রাজাকাররা যা করেছে সেটা ভুল নয় সেটা মহাপাপ।


স্বাধীনতার শুভেচ্ছা জানবেন।

৯৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:২৭

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: এত ক‍্যাচাল দেইখা আর ভাল্লাগেনা ভাই। ভাল থাকবেন।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

মনে হয় পোষ্ট দিয়ে অন্যায় করে ফেলেছি এমন একটা ভাব।

১০০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৩০

তাসিম বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম। ধন্যবাদ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন।

০৬ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৩১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ ভাই।

১০১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দ পোস্ট কান্ডারী..ভালো লাগলো

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



সুন্দর পোষ্ট আর সুন্দর রইল কোথায় ভাই, ভুল আমার আমি কেন কোন দলের নই কেন আমি নিরপেক্ষ ভাবে দেশকে ভালোবাসি। আমাকে একটু বলবেন সেলিম ভাই আমার মত নিরপেক্ষ মানুষের ঠাই কোথায় ?

১০২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০৩

এস আর সজল বলেছেন: বিপ্লব06ঃ ১. আমি মাল্টি নিক না।
২. আমার কোন কমেন্টটা নোংরা??? আমি তো কোন গালি কিংবা খারাপ শব্দ উচ্চারন করি নি????

@মোস্তফা কামাল পলাশঃ Anthony Mascarenhas-র বইটার বাংলা অনুবাদ আমার কাছে আছে আর আমি সেটা অনেক আগেই পড়েছি। বইটার নাম বাংলাদেশঃ রক্তের ঋণ। Anthony Mascarenhasএর বইয়ে অনেক অসঙ্গতি আর ভুল আছে। আমার কথা আপনার বিশ্বাস হবে না কোনদিনও সেটা আমি ভালো মত জানি। হুমায়ূন স্যারের "দেয়াল" বইয়ে স্যার স্পষ্টই বলে দিয়েছেন Anthony Mascarenhas সাহেবের ভুলের কথা। এছাড়াও আপনি যদি উনার বর্ণনার সাথে অন্যান বই কিংবা ডকুমেন্টারির সাথে মিলান তাহলে অনেক অমিল খুজে পাবেন। আমার কাছে আপাতত বইটা নাই তাই আপনাকে উদাহরণ সহ দিতে পারছি না। আর দয়া করে কাউকে কটাক্ষ করে কথা বলবেন না। যে কারোই খারাপ লাগে কটাক্ষ শুনলে। ধন্যবাদ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


দয়া করে ক্যাচাল করবেন না আমি এই পোস্টে ক্যাচাল চাচ্ছিনা, আমি নিজেও ক্যাচাল মুক্ত ব্লগ পছন্দ করি।

১০৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০৮

এস আর সজল বলেছেন: @banglar_hasanঃ দয়া করে আমার কমেন্টের লিঙ্ক গুলে পড়ে আসুন। তারপর দয়া করে ঝাকি দিতে আইসেন। ধন্যবাদ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


দয়া করে ক্যাচাল করবেন না আমি এই পোস্টে ক্যাচাল চাচ্ছিনা, আমি নিজেও ক্যাচাল মুক্ত ব্লগ পছন্দ করি।

১০৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১৬

াহো বলেছেন: ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক তিনটি টিভি চ্যানেলের সন্ধ্যার খবরের সংকলন এই ফুটেজটি। এবিসি, সিবিএস এবং এনবিসি- তিনটি চ্যানেলই তাদের ব্রেকিং নিউজে বলে পূর্ব পাকিস্তানে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে এবং শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন,পূর্ব পাকিস্তান এখন থেকে বাংলাদেশ।শুরুতেই এবিসি নিউজের সংবাদ পাঠক জানাচ্ছেন: পূর্ব পাকিস্তানে দারিদ্রতা ও বঞ্চনাজনিত ঘৃণা অবশেষে গৃহযুদ্ধের রূপ নিয়েছে।পূর্ব পাকিস্তানের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান প্রদেশটির স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন এবং এখন থেকে তা বাংলাদেশ বলে অভিহিত হবে। এরপর ঢাকা থেকে টেড কপেলের বরাতে এই স্বাধীনতার ঘোষনার নেপথ্য বর্ণনা।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ধন্যবাদ।

১০৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২১

আশিকুর রহমান ১ বলেছেন: একজন খাঁটি হাম্বা দেখার আমার বহু দিনের আশা ছিলো। আজকে ব্লগে আইসা ইতিহাসবেত্তা রাহোর গাঁজাখুরি, মনগড়া হাম্বীয় ইতিহাস দেখে সেই আশা পূর্ণ হলো। একজন মানুষের মাথায় কি পরিমান গোবর থাকলে এইভাবে হাস্যকর ভাবে ইতিহাস বিকৃতি করতে পারে আমার জানা নেই? আমি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী। কিন্তু কখনো বঙ্গবন্ধুর সাথে শহীদ জিয়ার তুলনা করিনা। কারন সেরার সাথে কখনো সেরার তুলনা হয় না। তারাই দুইজনই সেরা। আপনি যেমন জিয়ার ত্রুটিগুলো খুটিঁয়ে খুটিঁয়ে আরো কিছু মিথ্যা ও বিকৃত তথ্য যোগ করে উপস্থাপন করছেন ঠিক তেমনি আমিও ইচ্ছা করলে স্বাধীনতা পরবর্তী রক্ষীবাহীনি, বাকশাল সহ বঙ্গবন্ধুর অসংখ্য ত্রুটি তুলে ধরতে পারবো। মুজিব, জিয়া দুইজনই মানুষ। তাদের ভুল ত্রুটি থাকাটাই স্বাভাবিক। তাই আমাদের উচিত তাদের ক্ষুদ্র ত্রুটি গুলো তুলে না ধরে তাদের বৃহত্‍ মহাকর্ম গুলো তুশে ধরা। আর আপনার যদি তারপরও ইতিহাস বিকৃতি করার খায়েশ থাকে তবে আপনাকে অনুরোধ করবো আরো ২০-৩০ বছর পর এইসব গাঁজাখুরি গল্প লিখেন। তখন হয়তো আর জিয়ার সমসাময়িক কেও থাকবেনা তাই তারা আপনার এই বিকৃত ইতিহাস মানুষ তখন বিশ্বাস করলেও করতে পারে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কখনো বঙ্গবন্ধুর সাথে শহীদ জিয়ার তুলনা করিনা। কারন সেরার সাথে কখনো সেরার তুলনা হয় না। তারাই দুইজনই সেরা।

মুজিব, জিয়া দুইজনই মানুষ। তাদের ভুল ত্রুটি থাকাটাই স্বাভাবিক। তাই আমাদের উচিত তাদের ক্ষুদ্র ত্রুটি গুলো তুলে না ধরে তাদের বৃহত্‍ মহাকর্ম গুলো তুশে ধরা।

সহমত। দারুন বলেছেন।

১০৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৭

এস আর সজল বলেছেন: Click This Link

Click This Link
Click This Link

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


পড়ে দেখব।

১০৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধা মেজর জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাই তার অবদান বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাসের অংশ



কাণ্ডারি ভাই, আপনার অন্য পোস্ট গুলর মতই অসম্ভব তথ্য বহুল,সমৃদ্ধ একটা পোস্ট ...

পোস্ট এ +++++ প্রিয় তে নিলাম ,আপনার অনুমতি নিয়ে শেয়ার দিচ্ছি ভাইয়া ...


আপনার জন্য শুভকামনা , আমাদের কে সুন্দর ভাবে ভাল মন নিয়ে বাঁচার জন্য অনেক সময় হাঁস হতে হয় ।।

ভাল থাকবেন :)

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




আপনার উপদেশ এখন থেকে মেনে চলব আমাদের কে সুন্দর ভাবে ভাল মন নিয়ে বাঁচার জন্য অনেক সময় হাঁস হতে হয় ।।

স্বাধীনতার শুভেচ্ছা রইল।

১০৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

রাসেল ভাই বলেছেন: একটি দেশে জিয়া একবারই আসে আমরা তাকে ধরে রাখতে পারিনি ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সেটা আমাদের নিয়তি ভাই।

১০৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: জনাব, @এস আর সজল আপনি প্রশ্ন করেছেন

৬. কর্নেল ফারুককে কেন তিনি বাংলাদেশে সসম্মানে এনে দেশ থেকে সসম্মানে বিদায় করলেন অথচ তার অনুসারিদের ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলেন?

আমি আপনাকে জিজ্ঞেস করলাম কোথায় পেয়েছে উপরোক্ত তথ্য ???

আপনি কিন্তু বলেন কোথায় পেয়েছেন???


আপনি বললেন Anthony Mascarenhas এর বইয়ে ভুল আছে। আপনি স্পষ্ট করে বলবেন যে কত পৃষ্টায় কোন তথ্য ভুল আছে। এবং কেন ভুল আছে? অন্য কোন লেখকের সুত্রের সাথে সেটা মিলে না???


শেষ প্রশ্ন নিচের ছবি দুটোর মাঝে পারর্থক্যটা একটু বলবেন দয়া করে। সেই সাথে কোনটার প্রতি মানুষের গ্রহনযোগ্যতা বেশি সেটাও জানাবেন আশাঁকরি।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



:|| :|| :|| B-) :| :| :|

১১০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: জনাব, @এস আর সজল আমার তো মনে হয় আপনাকে কটাক্ষ করি নাই। আপনি বলেছেন

ভাই, দাদা ছিলেন ডাক্তার, বাপও ডাক্তার। দুইজনই মুক্তিযোদ্ধা। বাসায় আল্লাহর রহমতে বইয়ের অভাব নাই। পারিবারিক পাঠাগারে হাজার পাঁচেকের উপর বই আছে এবং আল্লাহর রহমতে সব গুলা বই অন্তত একবার করেও পড়া আছে।

আমি শুধু জানতে চেয়েছি আপনার পড়া ঐ ৫০০০ বইয়ের মাঝে Anthony Mascarenhas এর লেখা Bangladesh : A legacy of blood বইটি ছিল কি না। কারণ ঐ বইটি পড়া থাকলে আপনি ঐ রকম একটা ভুল প্রশ্ন কখনই করতে পারতেন না।



২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


:| :| :| :|

১১১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: জনাব, @এস আর সজল আপনি সেই ব্যক্তির বই পড়ে [হান মুক্তিযুদ্ধ ও ৭ই নভেম্বর(ড. আনোয়ার, তাহেরের ভাই। এবারের বই মেলার সংগ্রহ) ] মানুষের সাথে ইতিহাস নিয়ে তর্ক করতে আসেন যে কিনা ভারতীয় হাইকমিশনার কে অপহরন করতে গিয়ে ধরা পরে জেল খেটেছে ????

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
B:-) B:-) B:-) B:-)

বলেন কি ভাই ?

১১২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: জনাব, @এস আর সজলআপনি কোন তাহেরের কথা বলেন যেই তাহেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজেই সেনাবাহিনী থেকে বের করে দিয়েছিলেন???


আপনি কি জানেন কেন শেখ মুজিবুর রহমান নিজেই কর্নেল তাহের কে সেনাবাহিনী থেকে বের করে দিয়েছিলেন???

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




এই ইতিহাসটা ভাই একটু বিস্তারিত জানতে চাই।

১১৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০০

জুল ভার্ন বলেছেন: গুড জব এবং প্রিয়তে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা রইল অনেক অনেক অনেক।

১১৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩

ধীবর বলেছেন: প্লাস ও প্রিয়তে। খুব ভালো কাজ করেছেন। আর কিছু লোক কেনই বা বঙ্গবন্ধুর সাথে জিয়ার তুলনা করে বুঝি না।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



স্বাধীনতার শুভেচ্ছা ভাইয়া।

আমিও তাই বুঝিনা বঙ্গবন্ধুর সাথে জিয়ার তুলনা কেন করে কেন ???

দুজন যে যার কাজের জন্য মহান। এই কথাটা আমাদের স্বীকার করতে সমস্যা কোথায়। !!!!!!!!

১১৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

যুবায়ের বলেছেন: অসাধারন একটি পোষ্ট.....
সোজা প্রিয়তে নিলাম।

মহান স্বাধীনতা ঘোষণা করার জন্য শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্যলুট জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান , শহীদ জিয়াউর রহমান কে নিয়ে ক্যঁচাল পছন্দ করিনা।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাই এমন ক্যাচাল লাগা পোষ্ট প্রিয়তে নিয়ে কি লাভ।

আমি নিরপেক্ষ থাকতে চেয়ে আজ ক্যাচালের জন্ম দিয়ে খুব অপরাধ বোধ হচ্ছে। নিজের কাছে নিজেকে খুব লজ্জা লাগছে।

এই আমরা বাংলাদেশী !!!!!!!

১১৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: মোস্তফা কামাল পলাশ ভাই, এস আর সজল, এই পোলাটা এখনও আনডাগ্রাড স্টুডেন্ট, এরে এখনই এত টাইট দেবার দরকার নাই, নতুন নতুন চুল উঠলে এরকম একটু করে। এখনও ক্রস রেফারেন্সিং করা শেখে নাই।

অফটপিক- আপনার পিএইচডি কেমন চলছে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাই কিছু মনে নিয়েন না; নো টাইট নো চুল উঠা উঠি !!! সুন্দর যুক্তিতর্ক পেলে মনটাতে খুসি লাগে ।

১১৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৩২

নােয়ফ চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে , অনেক অনেক শ্রদ্ধা জানাই প্রিয় নেতাকে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

স্বাধীনতার শুভেচ্ছা রইল। ভাই। ভাল থাকবেন।

১১৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭

জনৈক গণ্ডমূর্খ বলেছেন: অসম্ভব ভালো একটা পোস্ট কান্ডারী ভাই। +++++

সোজা প্রিয়তে নিয়ে গেলাম।

সিরিজের সবগুলো পোস্ট আস্তে আস্তে পড়ে দেখব।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাই এই ক্যাচাল লেগে যাওয়া পোস্টে আবার প্লাস দিয়ে প্রিয়তে নিলেন আমি এমনিতেই খুব হতাশ হয়েছি।

আসলে কি জানেন ক্যাচাল একটি সামাজিক ব্যাধি হয়ে যাচ্ছে।

১১৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

এস আর সজল বলেছেন: কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: মোস্তফা কামাল পলাশ ভাই, এস আর সজল, এই পোলাটা এখনও আনডাগ্রাড স্টুডেন্ট, এরে এখনই এত টাইট দেবার দরকার নাই, নতুন নতুন চুল উঠলে এরকম একটু করে। এখনও ক্রস রেফারেন্সিং করা শেখে নাই।

এটা কি ধরণের কথা?????? :( :( :( :( :( এটা কোন ধরণের ব্লগিং???? :-/ :-/ :-/ গত ৩ ঘণ্টা ধরে পড়াশুনা করে প্রশ্নের জবাব দিতে এসে যদি এ ধরণের কথা শুনতে হয়, লাগবে না আমারা ব্লগিং। ধন্যবাদ। বিদায় সামু। এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত সামুকে বিদায়। X(( X(( X((
ধন্যবাদ ভাই।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ভাই রেগে গেলেন ত হেরে গেলেন। অভিমান নয় সুন্দর যুক্তি স্থাপন করুন যদি সেটা যুক্তি সঙ্গত হয়, এটাই সুস্থ ধারার ব্লগিং এর জন্য কাম্য। আর বিতর্ক সৃষ্টির শুরু যে বা যারাই করেছে এমন একটি নির্ভেজাল পোস্টে দয়া করে যদি পারেন আমাকে ক্ষমা করে সেই যুক্তির অবসান না ঘটিয়ে এভাবে বিদায় নেয়া আমার জন্য খুব কষ্ট দায়ক হবে।

১২০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫

পেন্সিল চোর বলেছেন: এই সময়ে এইসব নেতাদের খুব অভাব আমাদের দেশে :( :( :(
ফিরে আসুন জিয়াউর রহমান।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ফিরে আর আসবেনা কখনো এমন একজন বঙ্গবন্ধু কিংবা এমন একজন শহীদ জিয়া।


এটাই আফসোস থাকবে শুধু কিছু কুলাঙ্গার।

১২১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

আমিনুর রহমান বলেছেন: আমি বুঝলাম না পোষ্টটা সামু স্টিকি করল না কেন ;) ;) ;)

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

হায় হায় ভাই এইটা কি বললেন B:-) B:-) B:-)

১২২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪২

নেক্সাস বলেছেন: সামু এমন পোষ্ট ষ্টিকি না করার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আশা করবো জানা ময়াডাম এর একটা গ্রহনযোগ্য জবাব দিবেন।

জিয়াউর রহমানের অবদান কে খাটো করে লিখা অনেক পোষ্ট ষ্টকি হয়েছে। কিন্তু এমন সুন্দর তথ্যবহুল পোষ্ট কেন ষ্টিকি নয় জানতে চাই। যদি সামু আমাকে একজন ব্লগার মনে করে আর কি>

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


নেক্সাস ভাই আপনিও এই দাবী তুলছেন B:-) B:-) B:-)

১২৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮

আমিনুর রহমান বলেছেন: নেক্সাস ভাই আমি আপনার পিছে আছি ;) ;) ;)

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


:-B :-B :-B

১২৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫২

একজন নিশাচর বলেছেন: আমিনুর ভাই, আসেন আপনার সাথে বাজি ধরি।

সামু এই পোস্ট কখনই স্টিকি করবে না।

বাজির দরদাম আপনার উপর ছেড়ে দিলাম।


জোরেসোরে পোস্ট স্টিকির আবেদন জানাইয়া গেলাম।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আমি কি বাজী ধরব নাকি আমি বাদ থাকব নিজের কথা আবার নিজে কেমনে বলিরে ভাই ;) ;) ;)

১২৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬

শিপু ভাই বলেছেন:
ওটাতো পড়েছি। আসলে ঐ অংশটুকুই পড়েছি।

আমি কোন মতামত দেই নাই। জানতে চাইছি।
আমার জানামতে ২৬ তারিখে জিয়াউর রহমান কোন ঘোষনা পাঠ করে নাই।
করেছেন ২৭ তারিখে।


কেউ মানুক আর না মানুক ইতিহাস সত্য। সেই সত্য ইতিহাসটা জানতে চাই।

এই ২৬ আর ২৭ এর কন্ট্রাডিক্টরি বহুদিন যাবত চলছে।


২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


২৬ তারি সন্ধ্যা ৭টায় একবার দিয়েছিলেন এবং পরে ২৭ তারিখ সকাল ১১টায় আবার পুনরায় ভাষণ দেন এটাই সত্যি।

১২৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭

নেক্সাস বলেছেন: প্রিয় কান্ডারী ভাই অসাধারণ একটি পোষ্ট দিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযু্দ্ধ এবং পরবর্তী রাজনৈতিক ইতিহাসের ক্রান্তিকগ্নে তথা দুঃসময়ে আরেক কান্ডারী স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কে নিয়ে।
আজকে দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রে বাংলার এই মহানায়কের জীবনিতে কালীমা লেপনের হীন চেষ্টা চলছে। জোতির্ময় জিয়ার পেছনে ছুটছে কালো মেঘের দল। আধিপত্যাবাদী শক্তি এবং তার দোসর মিডিয়া জিয়া এবং তাকে ঘিরে রচিত ইতিহাস মুছে ফেলার নির্মম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ইতিহাস থেকে স্থাপনা যেখানে জিয়া নামটি এসেছে সেখানেই এরা হিংস্র দানবের মত ঝাঁপিয়ে পড়েছে। চলছে জিয়াকে ঘিরে গালিগালাজ আর কুৎসীত রটনা। ঠিক যেভাবে আলোর পিছনে অন্ধকার ছায়া লেগে থাকে।

আপনাকে শত কোটি জিয়া ভক্ত, আধিপত্যাবাদ বিরোধী দেশপ্রেমিক বাংলাদেশীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ। এভাবে শত বাধা অতিক্রম করে সত্যিকারের ইতিহাস এগিয়ে যাবে। জিয়া বেঁচে আছে, বেঁচে থাকবে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমাকে মুক্তিযোদ্ধা হবার ব্যাঞ্জনা দেয়া হয়েছে; তবু চিত্তে তুমি আছো আজো হে মহান নেতা।



এভাবে শত বাধা অতিক্রম করে সত্যিকারের ইতিহাস এগিয়ে যাবে। জিয়া বেঁচে আছে, বেঁচে থাকবে।

১২৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭

নেক্সাস বলেছেন: প্রিয় কান্ডারী ভাই অসাধারণ একটি পোষ্ট দিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযু্দ্ধ এবং পরবর্তী রাজনৈতিক ইতিহাসের ক্রান্তিকগ্নে তথা দুঃসময়ে আরেক কান্ডারী স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কে নিয়ে।
আজকে দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রে বাংলার এই মহানায়কের জীবনিতে কালীমা লেপনের হীন চেষ্টা চলছে। জোতির্ময় জিয়ার পেছনে ছুটছে কালো মেঘের দল। আধিপত্যাবাদী শক্তি এবং তার দোসর মিডিয়া জিয়া এবং তাকে ঘিরে রচিত ইতিহাস মুছে ফেলার নির্মম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ইতিহাস থেকে স্থাপনা যেখানে জিয়া নামটি এসেছে সেখানেই এরা হিংস্র দানবের মত ঝাঁপিয়ে পড়েছে। চলছে জিয়াকে ঘিরে গালিগালাজ আর কুৎসীত রটনা। ঠিক যেভাবে আলোর পিছনে অন্ধকার ছায়া লেগে থাকে।

আপনাকে শত কোটি জিয়া ভক্ত, আধিপত্যাবাদ বিরোধী দেশপ্রেমিক বাংলাদেশীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ। এভাবে শত বাধা অতিক্রম করে সত্যিকারের ইতিহাস এগিয়ে যাবে। জিয়া বেঁচে আছে, বেঁচে থাকবে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অসংখ্য ভাল লাগা ভাই এবং স্বাধীনতার শুভেচ্ছা জানবেন

১২৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

তোমার গল্পের মৃত রাজকন্যা বলেছেন:

অসাধারন একটি পোষ্ট.....!!!!!!!



অনেক প্রিয় একজন ব্যাক্তিত্তকে নিয়ে পোস্ট দেয়ার জন্যে কাণ্ডারি ভাইয়াকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ...

প্রিয়তে নিলাম ...




আর অগুনিত প্লাস ... ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++





ভালো থাকুন সব সময় ! :)







২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




অসংখ্য ভাল লাগা এবং স্বাধীনতার শুভেচ্ছা জানবেন

১২৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

ইকবাল পারভেজ বলেছেন: বাহ, সময় নিয়ে পরিশ্রম করে লেখা খুব গোছানো সুন্দর পোস্ট। নির্দ্বিধায় প্লাস দিলাম :-)

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অসংখ্য ভাল লাগা ভাই এবং স্বাধীনতার শুভেচ্ছা জানবেন

১৩০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২

গেদু চাচা বলেছেন: মিঃ কান্ডারী থ্যাংকস মহান জিয়া কে নিয়ে এমন সময়পযোগী পোষ্ট দেওয়ায়।

কষ্ট করে ৪ নং কমেন্টের উত্তরে মিঃ ইয়েন কে বলবেন জামাত কে রাজনীতি করার অধীকার জিয়া দেয়নি। জিয়া বহুদলীয় গনতন্ত্র চালু করেছিলেন তথাপী জিয়ার আমলে কোন নির্বাচনে জামাত অংশগ্রহন করার অনুমতি পায়নি। পরে ১৯৮৬ সালে এরশাদের আমলে শেখ হাসিনা সাথে জামাত ও এরশাদের পাঁতানো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়। সে নির্বাচন বিএনপি বয়কট করেছিল।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


দারুন ইতিহাস তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ অনেক আমার স্বাধীনতার শুভেচ্ছা জানবেন।

১৩১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: স্বাধীনতা অর্জন করা আর স্বাধীনতা রক্ষা করা------মুজিব এর হাত ধরে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি , রাষ্ট্রের স্হিতিশীলতা ছাড়া স্বাধীনতা রক্ষা করা যায়না আর স্হিতিশীল রাষ্ট্র গঠনের প্রাথমিক ভিতটুকু শক্ত করে দিয়ে গেছেন জিয়া।ধন্যবাদ । আপনার পোষ্ট তথ্য সমৃদ্ধ।ভাল থাকবেন। আর একটি কথা -আপনার এ ধরনের পোষ্ট হতে বুঝতে পারি অনেক রীচ আপনার সংগ্রহ।কর্নেল (অব) কাজী নুরুজজামান এর একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ বইটি সংগ্রহে আছে ?

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:





আপনার মন্তব্যের সাথে আমি কঠিন ভাবে সহমত জানাচ্ছি অথচ এই সহজ সত্য কথাটি অনেকের স্বীকার করতে খুব বাধে কেন বুঝতে পারিনা।

বইটি সংগ্রহে নেই তবে আমি পড়েছি পুরো বইটি।

১৩২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫

বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: হাজারটা প্লাস (যদি সত্যিই দিতে পার্তাম শান্তি পেতাম)

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আমি সেই প্লাস আমার হৃদয় দিয়ে অনুধাবন করতে পারছি।
আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১৩৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২

আমি বাঁধনহারা বলেছেন:

হে মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান
আজও আমরা গাই তোমার বীরত্বের গান..।
তুমি বাংলাদেশি জাতীয়তাদের ধারক ও বাহক
ইতিহাসের পাতায় তুমি কালজয়ী এক নায়ক।

ভালো লাগল ভাই।

ভালো থাকবেন
মনে রাখবেন!!!

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


হে মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান
আজও আমরা গাই তোমার বীরত্বের গান..।
তুমি বাংলাদেশি জাতীয়তাদের ধারক ও বাহক
ইতিহাসের পাতায় তুমি কালজয়ী এক নায়ক।

১৩৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৫১

শিপন মোল্লা বলেছেন: স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া এবং বন্ধবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নয়।


এই নিয়ে কোন বিতর্ক চাইই না। এটা স্রেফ মুক্তিযুদ্ধ দলীয়করণের নগ্ন প্রচেষ্টা।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



মুক্তিযুদ্ধ দলীয়করণের নগ্ন প্রচেষ্টা আর চাইনা।

১৩৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭

স্বপ্নরাজ বলেছেন:

সোজা প্রিয়তে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন স্বাধীনতার শুভেচ্ছা রইল।

১৩৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫১

হাছন রাধা করিম বলেছেন: অসম্ভব রকমের ভালো একটি পোষ্ট। আবাল মুর্খের দল কেনো যে শেখ সাহেব আর প্রেসিডেন্ট জিয়াকে তুলনা করে বিতর্ক করে আল্লাহ মালুম।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


যারা এই কাজটি করে তারা রাজনীতির জন্য মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে শুধু ব্যাবসা করে।

১৩৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

বোকামন বলেছেন:









আমাদের উচিত তাদের ক্ষুদ্র ত্রুটি গুলো তুলে না ধরে তাদের বৃহত্‍ মহাকর্ম গুলো তুলে ধরা ..........

পোস্টে কৃতজ্ঞতা .......

মত থাকুক..... দ্বিমত থাকুক
মতামতের সুযোগ থাকুক

পক্ষ থাকুক বিপক্ষ থাকুক
নিরপক্ষের আশ্রয় থাকুক

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমাদের উচিত তাদের ক্ষুদ্র ত্রুটি গুলো তুলে না ধরে তাদের বৃহত্‍ মহাকর্ম গুলো তুলে ধরা


মত থাকুক..... দ্বিমত থাকুক
মতামতের সুযোগ থাকুক

পক্ষ থাকুক বিপক্ষ থাকুক
নিরপক্ষের আশ্রয় থাকুক

সহমত

১৩৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

মেহেরুন বলেছেন: Click This Link

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ধন্যবাদ আপু দেখছি।

১৩৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৫

বাংলার হাসান বলেছেন: সন্মানিত ভদ্র মোহদয়গন, আপনারা যারা এই পোষ্টের বিরোধীতা করে মন্তব্যে খাল কেটে হাজারীবাগ ট্যানারীর নেংরা পানি প্রবাহিত করার চেষ্টায় লিপ্ত তাদের নিকট আমার কিছু জানার জন্য কয়েকটি প্রশ্ন।

প্রশ্ন(১) কারা সেই আমজনতা যারা ৭১ এই কাল রাত্রিতে প্রাণ দিয়েছিল ?
প্রশ্ন(২) হাজার হাজার শহীদের মধ্য থেকে ১০/১২ জন আওয়ামি লীগের প্রথম বা দ্বিতীয় সারির নেতার নাম বলুন যারা ২৬শে মার্চ , ৭১ এর হানাদারদের হাতে নিহত হয়েছিল ?
প্রশ্ন(৩) স্বাধীতার রুপকার ”নিউক্লিয়াস” এর কথা কেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে নেই?
প্রশ্ন(৪) বঙ্গবন্ধু কি ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের আইকন না রুপকার?
প্রশ্ন(৫) আমাদের পতাকা,জাতীয় সঙ্গীত, ও স্বাধীনতার ইশতেহার কাদের সৃষ্টি?


আপাদত পাঁচখান প্রশ্নের উত্তর দেন, তারপরে না হয় বাকী গুলান।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমিও জানতে চাই ভাই ?????

১৪০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২৯

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: বইটির ১১-১৫ পৃষটা আরেকবার চেক করে দেখবেন কি ? সংগ্রহে থাকা অন্যকোন তথ্য বা ব্যক্তিগত জানা তথ্য উল্লেখ করলামনা।ভাল থাকবেন।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমিত আর নিজে বানিয়ে লিখিনি আমি যা পেয়েছি তাই লিখেছি তবে আমাদের দেশের ইতিহাস এতবার এতভাবে বিক্রিতি হয়েছে এখন অনেকের মনেই অনেক কিছু নিয়ে সংশয় দ্বিমত কাজ করে। আবার অনেক জায়গায় অনেক রকম তথ্য পাওয়া যায় এবং দেখেছি সবাই যে যার অবস্থানে থেকে নিজেকেই সঠিক বলে মনে করে তাই আমার দেয়া তথ্যে তেমন সংশয় কাজ করলে আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখলেই খুসি হব ধন্যবাদ।

১৪১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫৪

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন:
কে বলেরে জিয়া নাই জিয়া সারা বাংলায়
এক জিয়ার লোকান্তরে
লক্ষ জিয়া ঘরে ঘরে !!!

আসলে শহিদ জিয়ার মতো নেতা আর পাওয়া যাবে না আর । অসময়ে চলে গেলেন তিনি । অথবা চলে যেতে হয়েছে তাকে :(

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আমাকে মুক্তিযোদ্ধা হবার ব্যাঞ্জনা দেয়া হয়েছে; তবু চিত্তে তুমি আছো আজো হে মহান নেতা।

১৪২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক কষ্ট করেছেন। ভালো পোষ্ট। তথ্যগত যদি কোন ভূল থেকেও থাকে, প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমান পেলে তা সংশোধন করে নিবেন, সেই কামনাই রইল।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমিত আর নিজে বানিয়ে লিখিনি আমি যা পেয়েছি তাই লিখেছি তবে আমাদের দেশের ইতিহাস এতবার এতভাবে বিক্রিতি হয়েছে এখন অনেকের মনেই অনেক কিছু নিয়ে সংশয় দ্বিমত কাজ করে। আবার অনেক জায়গায় অনেক রকম তথ্য পাওয়া যায় এবং দেখেছি সবাই যে যার অবস্থানে থেকে নিজেকেই সঠিক বলে মনে করে তাই আমার দেয়া তথ্যে তেমন সংশয় কাজ করলে আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখলেই খুসি হব ধন্যবাদ।

১৪৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১৯

অ্যানোনিমাস বলেছেন: মেজর জিয়া আমার রিয়েল লাইফ হিরো। পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


বাহ বাহ আপনাকে স্যালুট ভাই।

১৪৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: জিয়ার সততা কিংবদন্তী,,জিয়ার নেতৃত্বগুণ অসাধারণ.......জুড়ীতে কাজ করছি সেখানকার আওয়ামীলীগ নেতাও বলে ফেলল এই খানে জিয়াকে কোদাল হাতে দেখছি.....ভাবেনতো..আরো বলল জিয়া ১০ বছর দেশ চালাতে পারে আমরা অনেক এগিয়ে যেতাম।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


:( :( :( :( :( :( :( :( :( :( :(

১৪৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯

তাহিতি তাবাসুম বলেছেন: অসাধারন।প্লাস এবং প্রিয়তে।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ওরে বাবা আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন। কেমন আছেন ?

১৪৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯

স্পাইসিস্পাই001 বলেছেন: এই সব ব্যাপার নিয়ে ক্যাচাল একদম ভাল লাগে না....

কান্ডারী ভাই দূর্দান্ত পোস্ট....অনেক কিছু জানলাম ভাই, যদিও জানা ছিল অনেকটা ......

বঙ্গবন্ধু আর জিয়া দুজনেই ছিলেন আমাদের স্বাধীনতার প্রধান হাতিয়ার ... এদের নিয়ে কোন সমালোচনা শুনলে খুব কষ্ট লাগেরে ভাই..এরা যদি জীবিত থাকতেন তাহলে জাতি হিসেবে আমরা অনেক এগিয়ে যেতাম... দুজনের প্রতিই আমার লাল সালাম.....

ধন্যবাদ ব্রো .....ভাল থাকবেন....

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



সহমত ভাই পুরোপুরি সহমত

১৪৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০১

এম হুসাইন বলেছেন: মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।

+ ও প্রিয়তে।




কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই এমন একটি পোস্টের জন্যে।

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমাকে মুক্তিযোদ্ধা হবার ব্যাঞ্জনা দেয়া হয়েছে; তবু চিত্তে তুমি আছো আজো হে মহান নেতা।

১৪৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪

বিষণ্ণ বালক বলেছেন: বিতর্কের বাইরে কেউ নয়। দোষে-গুণেই মানুষ। বুকে হাত দিয়ে ভাবুন, আপনার আমারও ভূল-ত্রুটি আছে। জিয়াউর রহমানও এর আওতাভুক্ত। তথাপি ক্ষণিকের জন্যও যদি নিরপেক্ষ হতে পারেন, তবে যাচাই করলে দেখতে পাবেন অনেক বিরুদ্ধতাবাদীও বিবেকের দায়ে স্বীকার করবে "স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সৎ , দেশপ্রেমিক ও সফল রাষ্ট্রনায়কের নাম জিয়াউর রহমান"। আমি এমন অনেক বিরুদ্ধতাবাদীকে অকপটে তা স্বীকার করতে দেখেছি এবং আপনারাও দেখেছেন নিশ্চয়ই।

সামু কি পারবে এই পোস্টটা স্টিকি করার সৎ সাহসা দেখাতে ?

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সহমত।

১৪৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮

মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ পশ্চিম পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যখন পূর্ব পাকিস্তানের নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর বর্বরের মতো ঘৃণ্য হামলা চালায় এবং সে রাতে পশ্চিম পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে পূর্ব পাকিস্তানের জনপ্রিয় বাঙালি নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বন্দী হন।তখন "আমি মেজর জিয়া বলছি,......." মেজর জিয়ার সে ঘোষনা অভিবিভাবহীন নিরস্ত্র জাতিকে ঘুরে দারাবার সাহস জুগিয়েছিল।
পোস্ট স্টিকি করার যোগ্য।

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকবেন।

১৫০| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

মামুন রশিদ বলেছেন: অসম্ভব ভালো, সৎ আর কষ্টকর প্রচেষ্টা । গ্লানিকরও বটে ।



সাধুবাদ জানাই, প্রিয় কান্ডারী ভাই ।

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



জীবনে বেঁচে থাকাটাই এখন বড় বেশী গ্লানিকর হয়েগেছে ভাই।

১৫১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২৯

ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: অনেক শ্রদ্ধ ও ধন্যবাদ আপনাকে

প্রিয়তে নিলাম ...+++++++++

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
শ্রদ্ধা জানাই শহীদ জিয়াকে যিনি আমাদের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।

১৫২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৫৭

এক আলোকবর্ষ​ দূরে বলেছেন: মুজিব-জিয়া কারও একার সম্পত্তি না। আমাদের জাতীয় নেতারা দেশের সম্পদ। অথচ নেতা বিক্রির রাজনীতির জন্য দেশটা আজ এতটা পিছিয়ে আছে। বিতর্কিত মন্তব্যগুলোর উত্তর দেবারই কোন আবশ্যকতা দেখি না। তাদেরকে তাদের মত কমেন্ট করে হিট বাড়াতে দিন। জানেন তো বোবার কোন শত্রু নেই। :)

নিঃসন্দেহে ভাল পোস্ট ভাই। আরও ভাল পোস্ট আশা করি।

৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সহমত দোয়া করবেন

১৫৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০১

তাহিতি তাবাসুম বলেছেন: ভাল আছি,বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ পরীক্ষা চলছে,একটু ব্যস্ত।দোয়া করবেন,ভাল থাকবেন।শুভকামনা রইল।

৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
দোয়া রইল

১৫৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৪

কাজিম কামাল বলেছেন: পক্ষপাতদুষ্ট তবে ভাল পোস্ট

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এই পোস্টে আপনি পক্ষপাতিত্ত কোথায় খুঁজে পেলেন, আমি খুব অবাক হলাম।

১৫৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:০৪

মামদোভুত বলেছেন: স্বাধীনতার পাঠক জিয়াকে শ্রদ্ধা।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
লাল সালাম এই মহান নেতার প্রতি

১৫৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:২৫

অজানা এক আমি বলেছেন: .

স্বাধিনতার ঘোষক জিয়া
লও লও লও সালাম ....

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

লাল সালাম এই মহান নেতার প্রতি

১৫৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

শিরিষ গাছ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। ভালো লাগল।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ শিরিষ গাছ।

১৫৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩৯

মূর্খ রুমেল বলেছেন: আমাদের দেশের একজন কুলাঙ্গার নেতা জিনি জাতির জনকের খুনিদের মাফ করে দিয়েছিল তাকে কিভাবে লাল সালাম দেন ? তার উত্থান যেভাবে হয়েছে পতন ও সেভাবেই হয়েছে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:০৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাদের মত কিছু মানুষ আজো আছে বলেই বাংলাদেশ আজ এত সুন্দর শান্তির দেশ হতে পেরেছে। অন্ধ দল প্রেম ছেড়ে দিয়ে সঠিক ইতিহাস জানুন ।

১৫৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:১৩

গেদু চাচা বলেছেন: স্বধীনতার ঘোষক জিয়া লও সালাম।

জিয়া মানেই স্বাধীনতা আর সার্বভোমত্বের অতন্দ্র প্রহরী এক নির্লিপ্ত চেতনা।

জিয়া মানেই এক উর্বর যুগ সন্ধিক্ষণ।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
জিয়া মানেই স্বাধীনতা আর সার্বভোমত্বের অতন্দ্র প্রহরী এক নির্লিপ্ত চেতনা।

১৬০| ১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন:
লাল সালাম এই মহান নেতার প্রতি

If he were alive today, we would not suffer this much!

১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সহমত

১৬১| ২২ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪২

বাঙলি বলেছেন: এই সঙ্কটময় মুহূর্তে ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় পশ্চিম পাকিস্তানী বাহিনীর বর্বর আক্রমণের পর লেফটেন্যান্ট জেনারেল মেজর জিয়াউর রহমান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করে বিদ্রোহ করেন এবং ২৬শে মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসার মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেন।


সহজ-সরল এই ঘটনার বিবরণে আপনার পক্ষপাতিত্ব লুকিয়ে আছে।

কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র কারা করল? জিয়া কোন অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধে জড়ালেন? তিনি কিভাবে ঘোষণা পত্র পাঠের জন্য বেতার কেন্দ্রে আনিত হয়েছিলেন?

এ বিষয়গুলো এড়িয়ে গেছেন আপনি। তাই আপনার পরবর্তী ইতিহাস বর্ণনা পড়ার আগ্রহ পেলাম না।

জিয়াকে আপনি হৃদয়ে ধারণ করতেই পারেন, সেজন্য সত্য এড়িয়ে যেতে হবে কেন?

২৪ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:১৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনি দেখি ভালই ইতিহাস জানেন দেখছি। দয়া করে একটি ইতিহাস ভিত্তিক বই লিখে ফেলেন। ইতিহাস ত ভাই আর আমি লিখিনি। ইতিহাস থেকে নিয়েই লেখা হয়েছে। আপনার মন্তব্য পড়েও স্পষ্ট বোঝা যায় যে আপনিও পক্ষ পাত মুলক মন্তব্য করছেন। আর আমার বাকি পোস্ট না পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ কারন সেখানেও আপনি এমন পক্ষ পাত মুলক মন্তব্য করবেন যেটা আমার জন্য মঙ্গল জনক হবে না।


ইতিহাসে যেড ফোরস নামে যে একটি অধ্যায় ছিল আমাদের মুক্তি যুদ্ধে সেটা হয়ত আপনার পক্ষপাতিত্ব মুলক রাজনীতিতে হৃদয়ে ধারন করতে শরম করে এজন্যই বেশরমের মতন যেখানে খুসি সেখানে মন্তব্য করেন এভাবে। আমি আপনার কাছে ইতিহাস শিখতে চাই না ধন্যবাদ।

১৬২| ১৫ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫

বাঙলি বলেছেন: বেশরমের মতো পক্ষপাত করবেন, অসত্য তথ্য দেবেন- তাতে দোষের কিছু নেই?

বিদ্রোহী সিপাহীদের হাতে বন্দি জিয়াকে মৃত্যুর হাত থেকে উদ্ধার করেন কর্নেল তাহের- তারই বদৌলতে জিয়া পরবর্তীতে বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসেন এবং উদ্ধারকারী তাহেরকেই প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে হত্যা করেন।

আপনার পড়া ইতিহাসের পাতায় নিশ্চয় এই সত্যগুলোও ছিল, কিন্তু আপনি সুন্দরভাবে সেগুলো এড়িয়ে গেছেন।

সেক্ষেত্রে জিয়ার বিরুদ্ধে সংঘটিত সেনা অভ্যুত্থানসমূহ এবং তা দমন করতে গিয়ে জিয়া কর্তৃক শত শত সেনা কর্মকর্তা হত্যার ঘটনা চাপা দেবেন সেটাই স্বাভাবিক।

জিয়ার স্তবগান করতে কেউ আপনাকে বারণ করেনি, ইতিহাস বলতে গেলে পুরোটাই বলতে হয়।

১৫ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।

১৬৩| ২০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৫৮

বুলেট কিংবা কবিতা বলেছেন:

Life of President Ziaur Rahman of Bangladesh Life of President Ziaur Rahman of Bangladesh


সাত পর্ভের চমতকার একটা ইউটিউব ভিডিও ।

২০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:০৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ সময় করে দেখে নিতে হবে।

১৬৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৯

দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট ।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ধন্যবাদ।

১৬৫| ০৫ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:৪৭

ক্লান্ত তীর্থ বলেছেন: তাহেরের ফাঁসির ব্যাপারে জিয়াউর রহমানের কোনো ভূমিকা ছিল না। স্বাভাবিক নিয়মে কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে তাঁর বিচার হয়। কোর্ট মার্শালের চেয়ারম্যান ও বিচারকরা তাহেরকে ফাঁসির আদেশ দেন। এই অংশটুকু মেনে নিতে পারলাম না।

০৬ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৩০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


মানা না মানায় কিছু আসে যায় না। ইতিহাস যারা বদলে দেবার চেষ্টা করে তাদের জন্য করুণা হয়।

১৬৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯

কিউপিড রিটার্নস বলেছেন: এতদিন পরে এসে পড়লাম, ভালো লাগলো। সত্যকথা গুলো এভাবেই বেঁচে থাক।

১৬৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৫

মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: এতো কিছু বলার অনেক কিছুই বাকি রয়ে গেছে।জিয়ার অবদানের কথা বলে শেষ করা যাবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.