নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূণ্যতা থেকে শূণ্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

কান্ডারি অথর্ব

আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।

কান্ডারি অথর্ব › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃতের ভাগাড়ে ওঠে জীবনের সঘন গর্জন জননী বাংলা, এই হোক তব শেষ ক্রন্দন - উত্তাল মার্চ - শেষ পর্ব

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪





মৃতের ভাগাড়ে ওঠে জীবনের সঘন গর্জন

জননী বাংলা, এই হোক তব শেষ ক্রন্দন





তাজউদ্দীনের ভাষায়, 'আমি সেদিন সাড়ে সাত কোটি বাঙালির স্বার্থে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তা হলো : একটি স্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিচালনার জন্য কাজ শুরু করা৷'

"যাঁরা আজ রক্ত দিয়ে উর্বর করছে বাংলাদেশের মাটি, যেখানে উৎকর্ষিত হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন মানুষ, তাঁদের রক্ত আর ঘামে ভেজা মাটি থেকে গড়ে উঠুক নতুন গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা; গণমানুষের কল্যাণে সাম্য আর সুবিচারের ভিত্তিপ্রস্তরে লেখা হোক "জয় বাংলা", "জয় স্বাধীন বাংলাদেশ"।"




নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয়লাভের পরও ইয়াহিয়া খান আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করায় শেখ মুজিবের ডাকে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী গণহত্যা শুরু করে। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় পশ্চিম পাকিস্তানে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়।



তাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নেতা। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সাফ্যলের সাথে পালন করেন। একজন সৎ ও মেধাবী রাজনীতিবিদ হিসেবে তাঁর পরিচিতি ছিল।







তাজউদ্দীন আহমদ ১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই গাজীপুর জেলার অন্তর্গত কাপাসিয়ার দরদরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মৌলভী মোঃ ইয়াসিন খান এবং মাতা মেহেরুননেসা খান।



আবুল হাশিম প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর ১৯৪৩ সালে তাজউদ্দীন আহমদ মুসলিম লীগের রাজনীতিতে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত হন। ১৯৪৪ সালে বঙ্গীয় মুসলিম লীগের কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন।







১৯৪৮-এর ১১ এবং ১৩ মার্চ সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে ধর্মঘট-কর্মসূচী ও বৈঠক করেন৷ ২৪ মার্চ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সাথে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের নেতারাসহ তিনি বৈঠক করেন৷ তিনি ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন। ছিলেন সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সদস্য। ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৭ পর্যন্ত ঢাকা জেলা আওয়ামী মুসলিম লীগের (১৯৫৫ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ নাম পরিবর্তিত হয়ে হয় আওয়ামী লীগ) সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৪-এর নির্বাচনে তিনি যুক্তফ্রন্ট প্রার্থী হিসেবে মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদককে পরাজিত করে পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৪ সালে প্রাদেশিক আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে যে সর্বদলীয় নেতৃসম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমান ছয়দফা দাবি উত্থাপন করেন, সেই সম্মেলনে শেখ মুজিবের সাথে তিনিও যোগদান করেন। সম্মেলনের বিষয় নির্বাচনী কমিটিতে তাজউদ্দীন ছিলেন অন্যতম সদস্য। এই বছরের ৮ মে তিনি দেশরক্ষা আইনে গ্রেফতার হন। ১৯৬৮ সালে জেলে থাকা অবস্থাতেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে পুণঃনির্বাচিত হন। ৬৯’এর গণঅভ্যুত্থানের ফলশ্রুতিতে জেল থেকে মুক্তি পান। ১৯৭০ সালে তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। এই বছরের সাধারণ নির্বাচনের জন্য গঠিত আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি বোর্ডের সেক্রেটারি নির্বাচিত হন। ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।







প্রথমে আত্মরক্ষা তারপর প্রস্তুতি এবং সর্বশেষে পাল্টা আক্রমণ এই নীতিকে সাংগঠনিক পথে পরিচালনার জন্য সরকার তিনি সরকার গঠনের চিন্তা করতে থাকেন। তাই তাজউদ্দীন আহমদ আত্মগোপন করেন এবং যুদ্ধকে সংগঠিত করার জন্য সীমান্তের দিকে যাত্রা করেন। এরই মধ্যে ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় তিনি ফরিদপুর কুষ্টিয়া পথে পশ্চিম বাংলার সীমান্তে পৌঁছান। ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ৩১ মার্চ মেহেরপুর সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে পদার্পণ করেন। সীমান্ত অতিক্রম করার বিষয়ে মেহেরপুরের মহকুমা শাসক তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী তাদের সার্বিক সহায়তা প্রদান করেন। সীমান্ত অতিক্রম করার পর ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মহাপরিদর্শক গোলক মজুমদার তাজউদ্দীন আহমদ ও ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামকে যথোপযুক্ত সম্মান প্রদর্শনপূর্বক তাদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেন। গোলক মজুমদারের কাছে সংবাদ পেয়ে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক কেএফ রুস্তামজী তাদের আশ্রয়স্থলে এবং তাজউদ্দিন আহমদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেন এবং পূর্ববাংলা সার্বিক পরিস্থিতি এবং বাঙালির স্বাধীনতা লাভের অদম্য স্পৃহা সম্পর্কে সম্যক অবগত হন। সীমান্তে পৌঁছে তাজউদ্দিন দেখেন যে বেঙ্গল রেজিমেন্টের বিদ্রোহী সেনাদের সমর্থনে ভারত সরকার থেকে নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত ভারতীয় সামরিক বাহিনী এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কিছুই করার নেই। মুক্তিফৌজ গঠনের ব্যাপারে তাজউদ্দীন আহমদ বিএসএফ এর সাহায্য চাইলে তৎকালীন বিএসএফ প্রধান তাকে বলেন যে মুক্তি সেনা ট্রেনিং এবং অস্ত্র প্রদান সময় সাপেক্ষ কাজ। তিনি আরো বলেন যে ট্রেনিং বিষয়ে তখন পর্যন্ত ভারত সরকারের কোন নির্দেশ না থাকায় তিনি মুক্তিবাহিনীকে ট্রেনিং ও অস্ত্র দিতে পারবেন না। কেএফ রুস্তামজী দিল্লির ঊর্ধ্বতন সাথে যোগাযোগ করলে তাকে জানানো হয় তাজউদ্দীন আহমদ ও ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামকে নিয়ে দিল্লি চলে আসার জন্য। উদ্দেশ্য ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং তাজউদ্দিন আহমদের বৈঠক। দিল্লিতে যাবার পর ভারত সরকার বিভিন্ন সূত্র থেকে নিশ্চিত হন যে, তাজউদ্দীন আহমদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠতম সহকর্মী।







ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের আগে ভারত সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাজউদ্দিন আহমদের কয়েক দফা বৈঠক হয় এবং তিনি তাদের বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম পরিচালনার জন্য যেসব সাহায্য ও সহযোগিতার প্রয়োজন তা বুঝিয়ে বলেন। এসময় তিনি উপলব্ধি করেন যে আওয়ামী লীগের একজন নেতা হিসেবে তিনি যদি সাক্ষাৎ করেন তবে সামান্য সহানুভূতি ও সমবেদনা ছাড়া তেমন কিছু আশা করা যায় না। সরকার গঠন ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ঐ সরকারের দৃঢ় সমর্থন ছাড়া বিশ্বের কোন দেশই বাংলাদেশের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে না। এছাড়া ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের আগের দিন এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাজউদ্দীনের কাছে জানতে চান যে স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে কোন সরকার গঠিত হয়েছে কিনা। তখন তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে বৈঠকে তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিরূপে নিজেকে তুলে ধরবেন। কারণ এতে 'পূর্ব বাংলার জনগণের সংগ্রামকে সাহায্য করার জন্য ৩১ মার্চ ভারতীয় পার্লামেন্টে যে প্রস্তাব গৃহীত হয়' তা কার্যকর রূপলাভ করতে পারে বলে তাজউদ্দিনের ধারণা হয়। ইন্দিরা গান্ধীর সাথে বৈঠকের সূচনাতে তাজউদ্দিন জানান যে পাকিস্তানী আক্রমণ শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই ২৫/২৬ মার্চেই বাংলাদেশকে স্বাধীন ঘোষণা করে সরকার গঠন করা হয়েছে। শেখ মুজিব সেই স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রেসিডেন্ট এবং মুজিব - ইয়াহিয়া বৈঠকে যোগদানকারী সকল প্রবীণ সহকর্মীই মন্ত্রীসভার সদস্য। মুজিবের গ্রেফতার ছাড়া তখন পর্যন্ত দলের অন্যান্য প্রবীণ নেতা-কর্মীর খবর অজানা থাকায় সমাবেত দলীয় প্রতিনিধিদের সাথে পরামর্শক্রমে দিল্লির উক্ত সভায় তাজউদ্দীন নিজেকে প্রধানমন্ত্রীরূপে তুলে ধরেন। ঐ বৈঠকে তাজউদ্দীন আহমদ ইন্দিরা গান্ধীর কাছে স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানের জন্য অনুরোধ করেন। ইন্দিরা গান্ধী তাঁকে এই বলে আশ্বস্ত করেন যে, উপযুক্ত সময়ে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়া হবে। এভাবেই অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের ধারণার সূচনা। ৪ঠা এপ্রিল দিল্লীতে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তাজউদ্দীনের আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়। ১০ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সনদ ঘোষনা করা হয়। ১১ এপ্রিল তাজউদ্দীন বেতারে ভাষণ দেন। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে আনুষ্ঠানিকভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তাজউদ্দীন আহমদ হন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। অস্থায়ী সরকার ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত কলকাতা থেকে কার্য পরিচালনা করে। তাজউদ্দীন আহমদ দৃঢ়তা ও নিষ্ঠার সাথে এতে নেতৃত্ব দেন।





ছবি পরিচিতি: সৈয়দ নজরুল ইসলাম (ভাইস-প্রেসিডেন্ট), তাজউদ্দীন আহমদ(প্রধানমন্ত্রী), কামরুজ্জামান(স্বরাস্ত্রমন্ত্রী), এম. মনসুর আলী (অর্থমন্ত্রী)



১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের পর তাজউদ্দিন আহমেদ ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলামকে সাথে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। কিন্তু ভারতের সীমান্তে পৌঁছে, তিনি বিনা প্রটোকলে ভারতে প্রবেশ করেন নাই। তিনি ঐ সময় বলেন, একটি স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অন্য দেশে তিনি কোন প্রটোকল ও আমন্ত্রন ছাড়া প্রবেশ করতে পারেন না। এটা করলেও তার দেশের জন্য অসম্মানজনক। অতঃপর ওপারের ভারতীয় বাহিনী তাকে গার্ড অফ অর্নার দিয়ে ভারতে নিয়ে যায়।





ছবি পরিচিতিঃ স্বাধীন বাংলা বেতার হতে প্রচারিত প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এর একটি সাক্ষাৎকার



২২শে ডিসেম্বর তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ বাংলাদেশ সরকারের নেতৃবৃন্দ ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করেন। শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ফিরে আসলে তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তিনি অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ১৯৭৩-এ ঢাকা-২২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন৷ বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় বাজেট পেশ করেন, প্রথম পাঁচশালা পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন।



১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলের সমাপনী অধিবেশনের বক্তৃতায় তিনি দল, সরকার এবং নেতা ও কর্মীদের মাঝে দূরত্ব দূর করে, সংগঠন এবং সরকারের মাঝে এক নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানান৷



পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধুর সাথে তাজউদ্দীনের দূরত্ব সৃষ্টি হয়। বঙ্গবন্ধু তাঁর দীর্ঘ ৩০ বছরের বিশ্বস্ত রাজনৈতিক সহকর্মীকে ভুল বুঝেন। ১৯৭৪ সালের ২৬শে অক্টোবর তাজউদ্দীন মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট প্রথম গৃহবন্দী ও পরে ২২ আগস্ট গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।



১৫ আগস্ট, ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করার পর হত্যাকারীদের নির্দেশে তাজউদ্দীন আহমদকে গৃহবন্দী করা হয়। ২৩ আগস্ট সামরিক আইনের অধীনে তাজউদ্দীন আহমদ-সহ ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। ৩রা নভেম্বরে কারাগারের ভিতরে তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মোঃ মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে জেলহত্যা নামে কুখ্যাত হয়ে আছে।







"যারা সত্য এবং ন্যায়ের জয়গান করেন তাদের কাছে তাজউদ্দীন আহমেদ এবং বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস অঙ্গঅঙ্গিভাবে জড়িত", বাবা সম্পর্কে এভাবেই বয়ান করেন কন্যা শারমীন আহমদ।



দীর্ঘ ৩৭ বছরেও জেলখানায় জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার বিচার-প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বিচার-প্রক্রিয়া শুরুই হয়েছিল ঘটনার দীর্ঘ ২১ বছর পর। নানা পর্যায় পার হয়ে এখন মামলাটি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল শুনানি পর্যায়ে।



১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ওই বছরেরই ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় গুলি করে হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী এই জাতীয় চার নেতাকে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরে আসার পর এই মামলা গতি পায়। ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর নিম্ন আদালত পলাতক তিন আসামিকে ফাঁসি ও ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। তবে চার রাজনীতিবিদ কে এম ওবায়দুর রহমান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, নূরুল ইসলাম মঞ্জুর ও তাহেরউদ্দিন ঠাকুর এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মেজর (অব.) খায়রুজ্জামানকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।







২০০৮ সালের ২৮ আগস্ট মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ ও জেল আপিলের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় দেন। এতে একজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য দুজন ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত চারজন খালাস পান। এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১০ সালের শেষ দিকে লিভ টু আপিল করে। আপিল বিভাগ ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে খালাস পাওয়া দুই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দফাদার মারফত আলী শাহ ও দফাদার মো. আবুল হাশেম মৃধাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। আর রাষ্ট্রপক্ষকে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলা হয়। প্রায় ২২ মাস পর গত ৩১ অক্টোবর এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আনিসুল হক ২৫ পৃষ্ঠার সারসংক্ষেপ প্রস্তুত করে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে জমা দেন।



বাংলাদেশের জাতীয় মুক্তিসংগ্রামে নেতৃত্ব একজন গুরুত্তপূর্ণ নেতা। সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধেঅন্য রাষ্ট্রের সহযোগিতা নিয়ে তা পরিচালনা করতে তিনি ছিলেন সুদক্ষ, দূরদর্শী, দৃঢ়চেতা এবং রাষ্ট্রনায়কোচিত গুনাবলিসম্পন্ন নেতৃত্বযা ছাড়া সাফল্য অর্জন ছিল অসম্ভব। এ ধরনের নেতৃত্বের উদ্ভব অকস্মাৎ হয়না। তিনি জনগনের মধ্য থেকে ধারাবাহিক কঠোর অনুশীলন, প্রশ্নাতীত দেশপ্রেম এবং অফুরন্ত প্রাণশক্তি নিয়ে বের হয়ে আসতে পেরেছিলেন। এই মুহূর্তে এমনই একজন প্রধানমন্ত্রীরবড় বেশী প্রয়োজন ছিল আমাদের এই দেশে হে মহান, আমাদের প্রাণপ্রিয় জননেতা। তাইত আপনাকে আজো বার বার জানাই আমার হৃদয়ের গহীন হতে লাল সালাম।









আমার এই সিরিজের বাকি পর্বগুলো




"আমি মেজর জিয়া বলছি" - উত্তাল মার্চ - সপ্তম পর্ব

দ্রোহের আগুন জ্বলছে হৃদয়ে ২৫ শে মার্চ কাল রাতের বিভীষিকা ময় সেই স্মৃতি বারবার ফিরে আসে চেতনায়

অপারেশন জ্যাকপট - উত্তাল মার্চ - ষষ্ঠ পর্ব

"এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম " – উত্তাল মার্চ – পঞ্চম পর্ব

“কালানুক্রম” – উত্তাল মার্চ – চতুর্থ পর্ব “ভিনদেশী মুক্তিবাহিনী” আমরা তোমাদের ভুলব না – উত্তাল মার্চ – তৃতীয় পর্ব

“ভিনদেশী মুক্তিবাহিনী” আমরা তোমাদের ভুলব না – উত্তাল মার্চ – দ্বিতীয় পর্ব

“ওয়ালাকুমুসসালাম” - উত্তাল মার্চ – প্রথম পর্ব

STOP GENOCIDE

দারুণ ক্রোধের আগুনে আবার জ্বালবো একুশে ফেব্রুয়ারি।।



মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫

লেখোয়াড় বলেছেন:
+++++++++++++
প্রিয়তে।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ভাল লাগছে খুব শেষ পর্বে আপনাকে প্রথম মন্তব্যকারি হিসেবে পেয়ে।

২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। +।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাইয়া খুব ইচ্ছা ছিল সিরিজটি আরও চালিয়ে নিয়ে যেতে কিন্তু সময় এবং ধৈর্য নিয়ে আর পেরে উঠছিলাম না। তবে যদি আবার কখনো সময় হয় তবে হয়ত আরও নতুন কিছু নিয়ে লিখব।

৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩

নেক্সাস বলেছেন: এই পোষ্ট সাথে নির্বাচিত পাতায় আসলো কিন্তু জিয়া কে লিখা পোষ্ট আসলনা।

সাবাস সামু....


সুন্দর পোষ্ট। বাংলার স্বাধীনতা যুদ্ধে তাজউদ্দিনের অবদান বিশাল।

অবশ্য সেই অবদানের পুরষ্কার তার আদরের পূত্র কে চড় খেতে হয়েছে শেখ সেলিমের হাতে।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আমি আপনার প্রোফাইলে লেখা আপনার কথাটাকে স্মরণ করছি

আমি পৃথীবির একজন অভিশপ্ত মানুষ


জানি সবকিছুর শেষ আছে...
ললাটের সাথে ইচ্ছার দ্বন্ধ একদিন থেমে যাবে;
পুরাবে আমার হলুদ সময়ের চিটচিটে গল্প।
তবে সেদিন পৃথিনীর রং কি হবে আমার জানা নেই..

৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ৩য় ভালোলাগা

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




ধন্যবাদ সেলিম ভাই।

৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১০

মেহেরুন বলেছেন: +++++

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আপুর জন্য অনেক শুভকামনা রইল।

৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬

আমিনুর রহমান বলেছেন: এমন পোষ্টে লাখো কোটি প্লাস।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাই পর্বটি খুব দ্রুত শেষ করে ফেললাম আরও চালিয়ে যাবার ইচ্ছা ছিল হয়ত বেঁচে থাকলে অন্য কোন ভাবে আবার একটি নতুন সিরিজের শুরু করব। দোয়া করবেন যেন কিছু তথ্য ভিত্তিক সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে পারি আবারো কখনো অন্য কিছু নিয়ে।

৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: স্বাধীনতাযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবের অনুপস্থিতি যিনি বুঝতে দেননি তিনি তাজউদ্দিন আহমদ। উনার প্রতি আমার অসংখ্য শ্রদ্ধা।

ধন্যবাদ কান্ডারী অথর্ব।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আমার হৃদয়ের গহীন হতে লাল সালাম।

ধন্যবাদ ভাই।

৮| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪

তাহিতি তাবাসুম বলেছেন: তাজউদ্দিন আহমদকে শ্রদ্ধা।পরে পড়বো,প্রিয়তে নিয়ে গেলাম।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমার শুভকামনা জানবেন, জীবনের এভাবেই সত্যর সন্ধানে নির্ভীক থাকুন।

৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

অন্ধকার রাজপুত্র বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম আপনার এই লেখা থেকে , চমৎকার পোস্ট ++++++

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ভালথাকবেন এবং শুভ কামনা অন্ধকার রাজপুত্র ।

ব্লগে আপনাকে খুব কম দেখা যায় । কারন কি ?

১০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯

সজিব তৌহিদ বলেছেন: বিশাল লেখা পড়ে শেষ করতেই পাড়লাম না। তবে ভালো মনে হয়েছে..

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


হুম তা হবে হয়ত।

১১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫

s r jony বলেছেন:

অনেক কিছু জানিতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ধন্যবাদ গৃহীত হইল সানন্দে।

১২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: কত অজানারে...

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


হুম জানতে হবে যে ভাই। আছেন কেমন ?

১৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

বাংলার হাসান বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ধন্যবাদ হাসান ভাই ।

১৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯

বোকামন বলেছেন:








কিছু মানুষ এভাবেই নীরবে আসে নীরবে চলে যায় দিয়ে যায় অনেক কিছু .......

সম্মানিত ব্লগার,
আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে আপনার সিরিজগুলোর জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। নতুন প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানুক, চেতনায় ধারন করুক... এই কামনা করি।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ.....

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



যদি বেঁচে থাকি তবে ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু করব আরেকটি সিরিজ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দোয়া করবেন।

১৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: খুব দারুন লেখা!

অভিনন্দন ভাইয়া....

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



চেষ্টা করেছি ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন আশা করি।

১৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪

আমি বাঁধনহারা বলেছেন:



ভালো লাগল।অনেক অজানা তথ্য জানা হল।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা
পাশে আছি...চালিয়ে যান প্রিয় মিতা।
+++++++++++++++++++++++




ভালো থাকবেন
মনে রাখবেন!!!

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ধন্যবাদ ভাই।

১৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০

আশিক মাসুম বলেছেন: বোকামন বলেছেন:








কিছু মানুষ এভাবেই নীরবে আসে নীরবে চলে যায় দিয়ে যায় অনেক কিছু .......

সম্মানিত ব্লগার,
আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে আপনার সিরিজগুলোর জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। নতুন প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানুক, চেতনায় ধারন করুক... এই কামনা করি।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ.....



খুব ভাল লাগলো।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


যদি বেঁচে থাকি তবে ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু করব আরেকটি সিরিজ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দোয়া করবেন।

১৮| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
চমৎকার পোষ্টে খুব ভালোলাগা।

তবে বঙ্গবন্ধুর সাথে তাজউদ্দীনের দূরত্ব সৃষ্টির বিষয়টা আর একটু ডিটেলস্‌ আশা করেছিলাম।

শুভকামনা কান্ডারী ভাই।।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ধন্যবাদ চিল আমি চেয়েছিলাম লিখব পরে আর কেন যেন লিখা হলনা।

১৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২

একজন আরমান বলেছেন:
আমি আপনাকে বলবো বলবো করছিলাম, যে তাজউদ্দিনকে নিয়ে লিখেন। বলার আগেই লিখে ফেলছেন। ধন্যবাদ।

ওনার মতো একজন প্রধানমন্ত্রীর খুব দরকার এখনকার বাংলাদেশে।

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সত্যি আরমান উনার মতন একজন প্রধানমন্ত্রীর এখন খুব দরকার।

২০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:

সুন্দর পোস্ট।

১১তম ভাললাগা।
প্রিয়তে ....

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




ধন্যবাদ ভাই তবে আসুন আমরা এই মহান নেতার হত্যার বিচার চাই।

২১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: শত ব্যস্ততার মধ্যে ও চমৎকার লেখা টি উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



চেষ্টা করেছি সত্য তুলে ধরতে।

২২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২৫

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: মহান নেতার ইতিহাস লেখায় আপ্নাকে ধন্যবাদ ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাই আমি তার হত্যার বিচার চাই।

২৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২১

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
তাজউদ্দীন-কে নিয়ে যতোবার পড়েছি, আপ্লুত হয়েছি। আজো হলাম।

নাইস পোষ্ট ++

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:






আমি লেখার সময় কেঁদে ফেলেছিলাম। আমি তার হত্যার বিচার চাই।

২৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩২

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: তাজউদ্দীন আমার কাছে একজন বিস্ময়কর প্রতিভার মানুষ , সত্যিকার ভাবে বাংলাদেশ তাঁকে ধারন করতে পারেনি।পোষ্টে ভাল লাগা রইল।

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


যদি বাংলাদেশ তাঁকে ধারন করতে পারত তবে আজ দেশটা এমন হত না।

আমি তার হত্যার বিচার চাই।

২৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৩

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: চমৎকার !
এই প্রথম তাজউদ্দিন আহমদ সম্বন্ধে কোন ব্লগে কিছু পড়লাম ।
শিরোনামটাও অসাধারণ হয়েছে কান্ডারী ভাই ।
পোস্টে প্লাস ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



মৃতের ভাগাড়ে ওঠে জীবনের সঘন গর্জন
জননী বাংলা, এই হোক তব শেষ ক্রন্দন

২৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১৬

আরজু পনি বলেছেন:

তাজউদ্দিন সামনে এলে ভাবি আমরা কতো বড় বেইমান! :|

অফ লাইনে পড়েই ঠিক করেছিলাম নিজের কাছে নিয়ে যাব এমন দারুণ একটি পোস্ট।

অনেক ধন্যবাদ কান্ডারী...।।

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আমরা আসলেই বেঈমান। :(

ঠিক আছে আপু আপনাকে এই পোষ্ট চিরতরে উৎসর্গ করে দিলাম।


উৎসর্গে প্রিয় ব্লগার আরজুপনি


আমার শুভ কামনা জানবেন।

২৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪

মামুন রশিদ বলেছেন: মৃতের ভাগাড়ে ওঠে জীবনের সঘন গর্জন
জননী বাংলা, এই হোক তব শেষ ক্রন্দন ।


বাংলাদেশের স্বাধীন ভিত্তি গড়ে তোলার অন্যতম কারিগর তাজ উদ্দীন আহমেদ । একদিন হয়তো আমরা তার অবদান আর ত্যাগের মুল্যায়ন করবো ।


চমৎকার লেখায় প্লাস+++++++++

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

বাংলাদেশের স্বাধীন ভিত্তি গড়ে তোলার অন্যতম কারিগর তাজ উদ্দীন আহমেদ । একদিন হয়তো আমরা তার অবদান আর ত্যাগের মুল্যায়ন করবো । সেই দিন কবে আসবে ?

২৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন:
একজন তাজউদ্দীনের প্রয়োজন আজ।

তাঁর হত‍্যার বিচার হোক।

৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সহমত

২৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২২

শের শায়রী বলেছেন: ভাই অনেক প্রিয় একটা মানুষ কে সামনে আনার জন্য ধন্যবাদ।

নিরবে থেকে যাওয়া এক মহান বাঙালী।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সত্যি নিরবে থেকে যাওয়া এক মহান বাঙালী।

৩০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

এম হুসাইন বলেছেন: এই অসাধারন পোস্টটা যে কিভাবে মিস করলাম......

মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন ।
++++ সহ প্রিয়তে।


কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।
শুভকামনা।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

বাংলাদেশের স্বাধীন ভিত্তি গড়ে তোলার অন্যতম কারিগর তাজ উদ্দীন আহমেদ । একদিন হয়তো আমরা তার অবদান আর ত্যাগের মুল্যায়ন করবো ।


অসংখ্য ধন্যবাদ ও মঙ্গল কামনা করি।

৩১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২৮

রক্তলেখা বলেছেন: হ্যাঁ, আমি নিশ্চিত । এই পোস্টটিই আমার পছন্দের তালিকায় যুক্ত করতে চাই । ধন্যবাদ ।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাইরে আমার বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন। অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.