![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।
৩ নভেম্বরকে কেন্দ্র করে যতবারই লিখতে বসেছি, ততবারই এই উপলব্ধি হয়েছে যে প্রিয়জনের বিচ্ছেদ বেদনা হাজারো নতুন সৃতির মাঝেও চির অম্লানই থাকে। বেদনা বিজড়িত ঐ স্মৃতিটিকে আমরা অশ্রু দিয়ে গড়া কোন স্মৃতির বাক্সে সংগোপন রেখে দেই। যেন অতলান্তিকের গভীরে লুকানো কোন মুক্তা এমনি ভাবে সেই প্রিয়জনের স্মৃতি স্থান পায় হৃদয়ে। শ্রান্তিহীন সময়ের কোন এক মুহূর্তকে বন্দী করে যখন খোলা হয় বাক্সটি এবং সৃতির কুয়াশা দূরীভূত হয়, তখন আশ্চর্য হয়ে দেখি বেদনা কেমন সতেজ ; বিচ্ছেদের অশ্র আজো বহমান!
৩ নভেম্বর, ১৯৭৫, জাতি হারায় তার চার সুযোগ্য সন্তানকে। প্রথম বাংলাদেশ তথা মুজিব নগর সরকারের মূল নেতৃত্ব সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, আবু হেনা কামরুজ্জামান ও মনসুর আলীকে জেলখানার অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীরা হয় পুরস্কৃত- বিচারের বাণী কেঁদে চলে নিভৃতে।
১৫ অগাস্ট, ১৯৭৫, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের হত্যাকান্ড ও জেল হত্যাকান্ড কোন বিছিন্ন ঘটনা ছিলনা। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা ও মুজিব নগর সরকারবিরোধী পরাজিত শক্তিরা প্রতিশোধ নেয় নানা প্রকার ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার মাধ্যমে। ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য তাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল মুজিব-তাজউদ্দীন জুটির মধ্যে ভাঙ্গন ধরানো। বঙ্গবন্ধু ছিলেন স্বাধীনতার প্রেরণা আর তাজউদ্দীন ছিলেন সেই স্বাধীনতা স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ক। শত বছরের সংগ্রামের এক স্বর্ণালি লগ্নে এই নবীন জুটির আবির্ভাব বাংলাদেশের রাজনীতির মঞ্চে। তারা পরিকল্পনা করতেন একত্রে, এবং বাস্তবায়ন করতেন কাধে কাঁধ মিলিয়ে । তারা ছিলেন একে অন্যের পরিপূরক। বাংলাদেশকে তার অভীষ্ট সুশাসন ও জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় বিবর্তিত করার জন্য বড় প্রয়োজন ছিল তাদের যৌথ নেতৃত্বর। মুজিব বাদে তাজউদ্দীনের ইতিহাস যেমন অসম্পূর্ণ তেমনি তাজউদ্দীন বাদে মুজিবের। ৬ দফার অন্যতম রূপকার, বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী মূল সংগঠক-পরিচালক, ন্যায়নীতিতে অটল, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন তাজউদ্দীন যেন ছিলেন মুজিবের বর্ম স্বরূপ। প্রতিবিপ্লব ঘটানোর জন্য এবং দেশী-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুকে তাই তাজউদ্দীনের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নেয়া ছিল অপরিহার্য। আশ্চর্য ব্যাপার হোল যে ইতিহাসের এই অতি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়টি জাতীয় পরিসরে এবং বস্তুনিষ্ঠভাবে আলোচিত হয়নি। আমাদের সুশীল সমাজের অধিকাংশই বিষয়টিকে এড়িয়ে গিয়েছেন। অথচ এই অধ্যায়টির উপর আলোকপাত হওয়া উচিৎ ছিল কোন বাক্তিবিশেষের ওপর কটাক্ষ করার জন্য নয় বরং ইতিহাস হতে শিক্ষা গ্রহণ, ভবিষ্যতে সঠিক পথটি বেছে নেয়ার জন্য ; যে পথে চলবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম- তাদেরই জন্য। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর এক চিঠিতে লিখেছিলেন, ইতিহাস কারো গুণ গাঁথা গাইবার জন্য নয়। ইতিহাস সত্য প্রকাশের জন্য।
৭৪ সালের শুরু থেকেই তাজউদ্দীন আহমদ ওনার স্ত্রীকে বলতেন “ তুমি বিধবা হতে চলেছ। দেশটা যে ভাবে চলছে মুজিব ভাই বাঁচবেন না, আমরাও কেউ বাঁচবনা, দেশটা চলে যাবে স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে”। ৭৪ এর ২৬ অক্টোবর তাজউদ্দীন আহমদ, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে মন্ত্রীসভা হতে পদত্যাগ করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রখ্যাত চরমপত্রের রচয়িতা এবং পাঠক এম আর আক্তার মুকুল এ প্রসঙ্গে বলেন “ মন্ত্রিসভা হতে তাজউদ্দীন বিদায় নিলেন, যেন বঙ্গবব্ধুর কোমর হতে শানিত তরবারি খসে গেল। ”
৭৫ এর জুলাই মাসের কোন এক রাতে, তাজউদ্দীন আহমদ ঘরে লুঙ্গি গেন্জি পরা অবস্থায় সংগোপনে, তার ধানমন্ডির বাসা থেকে ৩২ নাম্বার রোডে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে যান। তখন রাত প্রায় ১১ টা বাজে। বঙ্গবন্ধু তখন শোবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাজউদ্দীন আহমদ ওনাকে সতর্ক করে বলেন যে “মুজিব ভাই, আপনি অবিলম্বে আর্মির ইন্টেলিজেন্সের গতিবিধির ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখেন, কোন একটা ভয়ানক প্ল্যান ম্যাচিউরড হতে যাচ্ছে, এই খবর আমি পেয়েছি। আপনি আমার এই কথাকে কোনভাবেই হালকাভাবে নেবেন না।” বঙ্গবন্ধু গভীর আত্মবিশ্বাসের সাথে তাজউদ্দীনকে আশ্বাস দিলেন দুশ্চিন্তা না করার জন্য।
১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হবার পর তাজউদ্দীন আহমদ আর্তনাদ করে বলেছিলেন “বঙ্গবন্ধু জেনে গেলেন না কে বন্ধু আর কে শত্রু”। বঙ্গবন্ধু এবং জেল হত্যাকান্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারী বঙ্গবন্ধু মন্ত্রীসভার খন্দকার মোশতাক তখন রাষ্ট্রপতির পদে এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী আর্মির দলছুট অংশটিকে তিনি সম্ভাষণ করছেন “সূর্য সন্তান” বলে।
১৫ অগাস্ট সকাল সাড়ে নটার দিকে তাজউদ্দীন আহমদ পরিবারসহ গৃহবন্দী হন। তার আগে বেগম জোহরা তাজউদ্দীনসহ বহু শুভাকাংখী তাকে বাড়ি ত্যাগ করতে বলেছিলেন। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের রচয়িতা ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম ফোন করে বাসা থেকে চলে যাবার অনুরোধ জানান। কিন্তু উনি কেমন নিজেকে নিয়তির হাতেই সমর্পণ করে দিলেন। ২২ অগাস্ট যখন ওনাকে বাড়ি থেকে জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন আম্মা জিজ্ঞেস করেছিলেন যে কবে ছাড়বে মনে হয়। উনি চলে যেতে যেতেই হাত নেড়ে বলেছিলেন “ টেইক ইট ফরেভার”।
আজ এই রচনাটি লিখতে লিখতে আমি আলোড়িত হৃদয়ে স্মরণ করছি বাবা তাজউদ্দীনের অমর সৃতিকে। যিনি ছিলেন তার সময়ের চেয়ে বহু অগ্রসর এক নির্মলচিত্তের ভিন্ন মার্গের রাজনীতিবিদ- রাষ্ট্রনায়ক। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও তিনি জেলখানার নর্দমা ভরাট করে বুনেছেন অজস্র ফুলে ঘেরা বাগান-যেন ওর মাঝেই দিয়ে গেছেন এক বিপুল বারতা-“ টু প্ল্যান্ট এ গার্ডেন ইজ টু বিলিভ ইন টুমরো”।
(২৯ অক্টোবর,২০১২। কোস্টারিকা।)
শারমিন আহমেদ : বাংলাদেশের প্রখম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের বড় কন্যা।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত অন্যতম একটি স্থান হলো বর্তমান মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল, মেহেরপুর জেলার মুজিব নগরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে স্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা ও শপথ গ্রহণের মাধ্যমে ত্রিশলক্ষ শহীদের তরতাজা রক্ত আর কোটি জনতার আত্মত্যাগের এক বীরত্ব গাঁথা ৯ মাস সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশবাসী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
এখানে বলা প্রয়োজন যে, ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার স্বাধীনতা সূর্য অস্ত যাওয়ার পর ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল, আবার সেই প্রাচীন জেলার (নদীয়ার) আর এক অংশে মেহেরপুর মুজিব নগরের আম্রকাননে স্বগর্বে আত্মপ্রকাশ করেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। আর সেই থেকে পালিত হয়ে আসছে ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস। মুজিবনগর আজ ইতিহাসের পাতায় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল ভারতের মাটিতে সরকার গঠন করলেও বৈধতার প্রশ্নে দেশের মাটিতে শপথ গ্রহণ করার জন্য প্রথমে আখাউড়া পরে চুয়াডাঙ্গা শেষে নিরাপত্তার জন্য বেছে নেয়া হয় মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী বৈদ্যনাথ তলার আম বাগানে।
১৯৭১ সালে সকাল বেলা তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার গাঁয়ের নাম বদলে গিয়ে নতুন নাম হল মুজিবনগর। বিশাল আম্রকাননের সুশীতল ছায়াতলে আত্মপ্রকাশ করল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী বিপ্লবী সরকার। নিশ্চিত হল স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যুদয়। তৎকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ এবং মন্ত্রী সভা শপথ গ্রহণ করেন। ঐদিন তাজউদ্দিন আহমেদ সেখানে ঘোষণা করেছিলেন, পলাশীর আম্রকাননে যে স্বাধীনতার সূর্য অস্ত গিয়েছিল আজ তার নিকটবর্তী অঞ্চলের আরেক আম্রকাননে সেই স্বাধীনতা সূর্য পুনরায় উদিত হলো। প্রকাশ্যে বাংলাদেশের মুজিব নগরের মুক্তাঙ্গনে শতাধিক দেশী-বিদেশী সাংবাদিক, প্রেস ফটোগ্রাফার, বেতার ও টিভি প্রতিনিধিদের সম্মুখে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ ও প্রধানমন্ত্রী সভার শপথ গ্রহণের ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার এসডিও ছিলেন তৌফিক ই এলাহী। তিনি জানতে পারলেন ১৭ এপ্রিল ভবের পাড়ার জমিদার বৈদ্যনাথ বাবুর আমবাগানে একটি হাই কমান্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেই মত মঞ্চ সজ্জাসহ সার্বিক ব্যবস্থা করলেন তিনি। নেতাদের জন্য আশে পাশের গ্রাম থেকে চেয়ার টেবিলের আনার ব্যবস্থা করেন। সেই চেয়ারগুলো ছিল হাতল বিহীন। বর্তমানে চেয়ারগুলো ঢাকা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। সকাল ৮টার দিকে অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক কর্নেল মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানি, পররাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমেদ, স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী এএইচ কামরুজ্জামান ও অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, অধ্যাপক ইউসুফ, আব্দুল মান্নান ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার অন্যতম রূপকার ও সংগঠক মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন (পরে মন্ত্রী), সহ নেতারা মুজিবনগর পৌঁছলেন। কলকাতা প্রেসক্লাব থেকে সাংবাদিকদের গাড়ির মিছিল নিয়ে মুজিবনগর এসেছিল। ঐতিহাসিক আম বাগানের মাঝামাঝি পশ্চিম প্রান্তে বর্তমানে যেখানে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। ঠিক তার মাঝখানে সভামঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। যে ভিতের উপর সেদিন বাংলাদেশের পতাকা উঠানো হয়েছিল ঠিক সেখানে একটি স্তম্ভ তৈরি করা হয়েছিল। আর ওই স্তম্ভটিকে স্মৃতি সৌধের মাঝখানে রেখে বর্তমান স্মৃতি সৌধটি নির্মাণ করা হয়েছে। প্রথমে সাদাটুপি, চেকলুঙ্গি ও সাদা শার্ট পরে স্থানীয় যুবক বর্তমান মুজিবনগর ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক বাকের আলী পবিত্র কোরআন শরীফ থেকে তেলাওয়াত করে সভার শুভ উদ্বোধন করেন। নতুন রাষ্ট্র সার্বভৌম বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশ করেন প্রভাষক আসাদুল ইসলাম (মরহুম)সহ স্থানীয় মিশনারির শিল্পীরা। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও নবগঠিত স্থানীয় ১২ জন আনসার বাহিনীর একটি দল কর্তৃক গার্ড অব অনার গ্রহণের পর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম সভামঞ্চে প্রধান অতিথি হিসেবে আসন গ্রহণ করেন। নেতাদের সবার পরনে ছিল সাদা পায়জামা ও পাঞ্জাবি। একমাত্র পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পরনে ছিল গাঢ় রংয়ের লম্বা কোর্ট প্যান্ট এবং টুপি। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাবেক মন্ত্রী আব্দুল মান্নান এমএনএ। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তথ্য, প্রচার ও বেতারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান কর্মকর্তা ছিলেন। অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী (সাবেক মন্ত্রী) বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র পাঠ করলেন ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করলেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হলেন শেখ মুজিবুর রহমান, তবে তার অনুপস্থিতিতে উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিলেন। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন তাজউদ্দিন আহমেদ, মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক কর্নেল মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী, খন্দকার মোশতাক আহমদ পররাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী এবং ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী অর্থমন্ত্রীর অস্থায়ী দায়িত্ব পেলেন। শপথ গ্রহণের পর প্রথমে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম সংক্ষিপ্ত ভাষণ রাখেন। এভাবে অন্যান্য নেতাদের বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দিন আহমেদ ৮ পৃষ্ঠার এক বিবৃতি পাঠ করলেন এবং ওইস্থানে বৈদ্যনাথ তলার নাম রাখলেন মুজিব নগর। বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করলেন ইয়াহিয়া খান গণহত্যা চালিয়ে নিজেই পাকিস্তানের করব খুঁড়েছেন। বাংলাদেশের নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য জনবহুল রাষ্ট্র বাংলাদেশ বিশ্ব সভায় স্থান করে নেবেই। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শেষে বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে নাম লেখা হলো ভবের পাড়ার বৈদ্যনাথতলা থেকে আজকের মুজিব নগরের। গঠিত হলো মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাজধানী মুক্তিযুদ্ধের সুতিকাগার।
বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর ঐতিহাসিক এই স্থানটিকে বাঙ্গালির নিকট চির স্মরণীয় করে রাখার জন্য স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭৪ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিব নগর স্মৃতি জাদুঘরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এবং একই দিনে বঙ্গবন্ধু তোরণ এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী। পরবর্তী ১৯৮৭ সালে তৎকালীন এরশাদ সরকার সেখানে মুজিব নগর স্মৃতিসৌধ এবং রেস্ট হাউস নির্মাণ করেন। বলা যায়- এরশাদ সরকারের শাসনামলেই মুজিব নগরের উন্নয়ন কাজ শুরু হয়। সে আমলে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩ স্তম্ভ বিশিষ্ট একটি স্মৃতি সৌধ নির্মিত হয়। এই স্মৃতিসৌধটির ডিজাইনের নকশা করেন স্থপতি তানভীর করিম। সৌধটির স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্য হলো ১৬০ ফুট ব্যাসের গোলাকার স্তম্ভের উপর মূল বেদিকে কেন্দ্র করে ২০ ইঞ্চি ২৩টি দেয়াল রয়েছে। যা উদীয়মান সূর্যের প্রতিকৃতি ধারণ করেন। সৌধের ২৩টি স্তম্ভ ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সংগ্রামের প্রতীক। ৩০ লক্ষ শহীদের স্মৃতিকে স্মরণ করে রাখার জন্য বসানো হয়েছে ৩০ লক্ষ পাথর। স্মৃতিসৌধের বেদীতে আরোহনের জন্য রয়েছে একটি র্যা ম্প ও বের হওয়ার জন্য ৯টি সিঁড়ি, যা ৯ মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতীক। দীর্ঘ বছরে চড়াই উৎরাই পেরিয়ে মুজিব নগরের সেই বৈদ্যনাথ তলার আম্রকাননকে ঘিরে গড়ে উঠেছে মুজিবনগর কমপ্লেক্স।
এক নজরে মুজিবনগর কমপ্লেক্স :
জমির পরিমাণ ৮০ একর, ৬ দফা ভিত্তিক ৪ প্রজাতির ২২০০ গোলাপ গাছের বাগান, ৩৯.৩৭ একর জমির উপর প্রায় ১৩০০টি বৃক্ষ শোভিত আমবাগান, বঙ্গবন্ধু তোরণ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি কেন্দ্র, টেনিস মাঠ, প্রশাসনিক ভবন, ২৩টি কংক্রিটের ত্রিকোণ দেয়ালের সমন্বয়ে উদীয়মান সূর্যের প্রতিকৃতিকে করে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ, পর্যটন মোটেল, স্বাধীন ক্লাব ও পাঠাগার, বিশ্রামাগার, গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা ডাকবাংলো, পোস্ট অফিস, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর ভিত্তিক বাংলাদেশের মানচিত্র, শেখ হাসিনা মঞ্চ, শিশু পল্লী ও ডর্মেটরী, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, আধুনিক মসজিদ, হেলিপ্যাড।
তবে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ বাংলাদেশের মানচিত্র। মহান মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টরে মানচিত্রটিকে ভাগ করা হয়েছে। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী, মানচিত্রের উত্তর দিকটা উঁচু থেকে ক্রমান্বয়ে দক্ষিণ দিকটা ঢালু করা হয়েছে এবং সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চল সমূহকে চিহ্নিত করে পানির ওপর ভাসমান দেখানো হয়েছে। মানচিত্রের বাইরে উত্তর দিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ জিয়াউর রহমান, জাতীয় ৪ নেতা, গার্ড অব অনারকারী ১২ আনসার সদস্যসহ ৪০০টি মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য এবং বাকিগুলো রক্ষণাবেক্ষণার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় স্থাপনাসহ সৌন্দর্য নস্ট হয়ে যাচ্ছে। যদি ডাক বাংলো ও পোস্ট অফিসটি চালু করা হয়েছে। তবে মুজিব নগরে পর্যটন ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা এবং তাদের মুজিব নগর সম্পর্কে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার মত কোন ব্যবস্থা নেই।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৫৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
৭৪ সালের শুরু থেকেই তাজউদ্দীন আহমদ ওনার স্ত্রীকে বলতেন “ তুমি বিধবা হতে চলেছ। দেশটা যে ভাবে চলছে মুজিব ভাই বাঁচবেন না, আমরাও কেউ বাঁচবনা, দেশটা চলে যাবে স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে"
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩৯
আশিক মাসুম বলেছেন: +++++ দিয়া পড়া শুরু করলাম।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:০০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
খুসি হলাম
৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৪১
একজন আরমান বলেছেন:
ইতিহাস কারো গুণ গাঁথা গাইবার জন্য নয়। ইতিহাস সত্য প্রকাশের জন্য।
৭৪ সালের শুরু থেকেই তাজউদ্দীন আহমদ ওনার স্ত্রীকে বলতেন “ তুমি বিধবা হতে চলেছ। দেশটা যে ভাবে চলছে মুজিব ভাই বাঁচবেন না, আমরাও কেউ বাঁচবনা, দেশটা চলে যাবে স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে”
যা বলার তা তাজউদ্দিন আহমেদই বলে গেছেন।
এখন আমাদের একটিই চাওয়া ওনার মতো একজন প্রধানমন্ত্রী !
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:০০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
যা বলার তা তাজউদ্দিন আহমেদই বলে গেছেন।
এখন আমাদের একটিই চাওয়া ওনার মতো একজন প্রধানমন্ত্রী !
৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:০০
াহো বলেছেন: +
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ।
৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:২২
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট
অনেক কিছু জানলাম +++
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ রইল ভাইয়া।
৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৩০
শিপন মোল্লা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট সুজা পিয়েতে রেখে দিলাম।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
যা বলার তা তাজউদ্দিন আহমেদই বলে গেছেন।
এখন আমাদের একটিই চাওয়া ওনার মতো একজন প্রধানমন্ত্রী !
৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৪০
দুঃখ বিলাসি বলেছেন: +
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ।
৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪
চলতি নিয়ম বলেছেন: +
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।
৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: পোস্ট টি নির্বাচিত পাতায় যাওয়া উচিত ছিল
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।
১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৬
আরজু পনি বলেছেন:
আজকের দিনের জন্যে অসাধারণ এক পোস্ট।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপু তাহলে অন্যদিন দিলে কি অসাধারন হত না
১১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪২
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: পোস্ট রাতে পড়বো। এখন হাজিরা দিয়ে গেলাম।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
তাহলে রাতে আবার দেখা হচ্ছে নিশ্চয়
১২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫২
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: শহীদ তাজউদ্দীন লও সেলাম, বাংলার ইতিহাসে এতটা প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদ, নেতা, এসেছেন কিনা গবেষনার বিষয়।
পোস্ট প্রিয়তে।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সহমত এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন।
১৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩
s r jony বলেছেন: ++++++++++++++++
যাবেন নাকি একদিন? চলেন দেখে আসি আমাদের এই ঐতিহাসিক স্থান
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চলেন যাই একদিন। কবে যাবেন ঠিক করেন।
১৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭
সোনালী ডানার চিল বলেছেন: লেখক বলেছেন:
যা বলার তা তাজউদ্দিন আহমেদই বলে গেছেন।
এখন আমাদের একটিই চাওয়া ওনার মতো একজন প্রধানমন্ত্রী !
পোষ্টে++++++++++
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ চিল ভাই। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
১৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: +++++++++++
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
১৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২
সীমান্ত উন্মাদ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট +++ এবং ভালো লাগা হাজার লক্ষ। আর শুভকামনা সব সময়।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনাদের এমন শুভ কামনার মাঝে হাজার বছর বেঁচে থাকার সাধ জাগে কিন্তু হায় জীবন বড়ই ক্ষণস্থায়ী !!!
১৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০
বোকামন বলেছেন:
মুজিব নগর সম্পর্কে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার মত কোন ব্যবস্থা নেই
ভাইজান কান্ডারী অথর্ব,
যদি থাকতো ! ইতিহাস এবং সঠিক !
“আমার পক্ষের ইতিহাস সঠিক .. আপনারটা ভুল .... বিভ্রান্ত করছেন আপনি জাতিকে ....”
এভাবেই জন্ম হচ্ছে আরেক বিরোধীতার প্রজন্ম ....
তাই সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার ব্যবস্থা আমাদেরই করতে হবে।
পোস্টে আপনার পরিশ্রম সে কাজটাই করে যাচ্ছে ...
কৃতজ্ঞতা জানবেন ....
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সহমত। চেষ্টা করছি দোয়া রাখবেন।
১৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১
এসএমফারুক৮৮ বলেছেন: যাওয়া হয়নি কখনো, তবে ইচ্ছে আছে।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চলেন ঘুরে আসি।
১৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: একটা ছবি মনে হয় লালনের আখরার ছবি !!!
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
২০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর এক চিঠিতে লিখেছিলেন, ইতিহাস কারো গুণ গাঁথা গাইবার জন্য নয়। ইতিহাস সত্য প্রকাশের জন্য।
পোস্ট বরাবর এর মতই ++++ দিয়ে গেলাম
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ইতিহাস কারো গুণ গাঁথা গাইবার জন্য নয়।
২১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৫
একজন নিশাচর বলেছেন: চমৎকার পোস্ট কান্ডারী ভাই।
+++
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।
২২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫২
একজন নিশাচর বলেছেন: স্বচক্ষে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল সেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর।
সেখান থেকে ফিরেঃ
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
দারুন তাহলে আপনি আমাকে এবার পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবেন আশা করি।
২৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪২
জাকারিয়া মুবিন বলেছেন:
চমৎকার পোস্ট।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।
২৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০১
আমিনুর রহমান বলেছেন: পোষ্টটি পড়ে ভীষন খারাপ লেগেছিলো যার কারনে কালকে পোষ্ট পড়ে কমেন্টস করি নাই।
বাংলাদেশ নামক দেশটি স্বাধীন হওয়ার পিছনে সবচেয়ে যে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে, তার অবদানের কথা আজ আমরা কেউ বলি না এমনকি আমরা তার কথা মনেও রাখিনি।
কোন একটা বইয়ে (নামটা মনে নেই) পড়েছিলাম শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ দিনের পর দিন, ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতেন ভারতের তৎকালীন ইন্দিরা গান্ধী'র কার্যালয়ের সামনে তাকে রাজী করানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতেন যেন উনি বাংলাদেশে ভারতীয় সৈন্য পাঠানো হয়।
পোষ্ট +++
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৩০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
পোস্টটি লিখতে যেয়ে আমারও খুব খারাপ লেগেছিল।
বাংলাদেশ নামক দেশটি স্বাধীন হওয়ার পিছনে সবচেয়ে যে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে, তার অবদানের কথা আজ আমরা কেউ বলি না এমনকি আমরা তার কথা মনেও রাখিনি।
২৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২৭
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ২-৩ মাসের ভেতরেই যাবো আশাকরি।
এখান থেকে ৮০-৯০ কি:মি: হবে হয়তো।
++++
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৩০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাইয়া আমাকে কি আপনার সাথে নেবেন ?
২৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৯
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: অবশ্যই সাথে নেবো।
কবে আসতে চান বলুন?
ছুটির দিন দেখে চলে আসুন.....
১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনি ছুটির দিন দেখে সময় বের করেন আমি ইনশাল্লাহ চলে আসব।
২৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫৭
নরাধম বলেছেন:
তাজউদ্দিন আহমেদ অন্যতম প্রিয় ব্যক্তিত্ব। পোস্টটা পড়ে মনটা এমন খারাপ হল। প্রিয়তে।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাইয়া তবে মন খারাপ না করে চলুন দোয়া করি এই মহান নেতার জন্য।
২৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৩৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তাজউদ্দিন ছিলেন অসাধারণ প্রতিভাবান একজন মানুষ।তাকে যথাযথ মূল্যায়ন হলে দেশ অনেক এগিয়ে যেত।রাজনীতির দূষ্ট আত্নারা সেটি হতে দেয়নি।তার মত দেশপ্রেমিক সত্যি বিরল।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সহমত
২৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২৫
শের শায়রী বলেছেন: তাজউদ্দিন আহমেদ ছিলেন একজন অন্যতম শ্রেষ্ট বাঙ্গালী।
আর ভাইর পোষ্ট যে অসাধারন হবে এতে আর চমক কি?
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
হাসছি ভাই, ভাই এভাবে বলে বলে আমাকে লেখার প্রতি দ্বায় বদ্ধ করে ফেলছেন।
৩০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৫
বাংলার হাসান বলেছেন: ++++++++++
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ হাসান ভাই।
৩১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২৩
জুন বলেছেন: সত্যি ইতিহাস কান্ডারী অথর্ব
+
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সত্যি ইতিহাস আপু। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:২৭
স্বপনবাজ বলেছেন: বড় দুঃখ এই অভাগী দেশটার ! শ্রেষ্ট সন্তান গুলোকে হারায় অসময়ে !
পোষ্টে প্লাস !